Channel23.news
আলী আজীম,মোংলা থেকে:
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। পরাধীনতার শৃঙ্খলা ভেঙে মুক্তিকামী জনগণকে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সেই ভাষণ ছিল এক মহামন্ত্র।
বক্তরা বলেন, একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বাঙালি-জাতির মুক্তির সংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকন্ঠে যে কালজয়ী ভাষণ দিয়েছিলেন, তার মধ্যে নিহিত ছিল বাঙালির মুক্তির ডাক।
সরকার এ দিনটিকে ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে, যা একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আজকের এ দিনে আমরা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার অনন্য সাধারণ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে অর্জন করে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
মোংলা উপজেলা, পৌর আ’লীগ ও সহোযোগী সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত রবিবার (৭ মার্চ) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ইউনেস্কোর স্বীকৃতি প্রাপ্ত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের কালজয়ী ভাষণ উদযাপন উপলক্ষে মোংলায় আ’লীগের দলীয় কার্যালয়ে সকাল ১০ টায় আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু সুনিল কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার,মোংলা পৌর আ’লীগের সভাপতি ও মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আঃ রহমান, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কামরুজ্জামান জসিম, পৌর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী বাবলু, পৌর যুবলীগের সাধারণ সস্পাদক শেখ আল-মামুন, পৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মিজান তালুকদার,পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহরুক বাপ্পী সহ সকল পৌর কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর, এবং আওয়ামীলীগের সকল সহোযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।
পরে বঙ্গবন্ধু সহ ৭৫ এর নিহত সকল শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মোংলা উপজেলা আ’লীগ, মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলর ও মোংলা থানা পুলিশসহ পৌর আ’লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীবৃন্দ।