Channel23.news
মোঃএনায়েত হোসেন,হাতিয়া প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়ন পরিষদে শুক্রবার জেলেদের মাঝে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
জেলেদের জন্য চলমান ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ হলে চেয়ারম্যান ও ট্যাগ অফিসারের যোগ-সাজসে বিতরনকারীরা ৮/১০ কেজি করে চাল দিয়েছে। এতে কার্ডধারীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। চাল কম দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন ইউনিয়নের প্রশাসনিক চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম।
সুত্রে জানায়, নদীতে ঝাটকা আহরন নিষিদ্ধের সময় সরকারী ভাবে তালিকা প্রনায়ন করে ১১০জন জেলে পরিবারকে মাসে ৪০ কেজি করে ভিজিডি কার্ডে চাল বরাদ্ধ হয়। শুক্রবার ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে চাল বিতরন করা হয়। কয়েকজন জেলে জানান,ট্যাগ অফিসার অনুস্থিত থেকে প্রতিনিধির নিয়োগ দিয়ে চাল বিতরন শুরু হয়।
বিতরনকারীরা ৪০ কেজির স্থলে ৮/১ কেজি করে চাল দেয়। স্থানীয় লোকজন ও কয়েকজন সরকার দলীয় রাজনীতিবীদ বলেন,নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খাঁন ও নোয়াখালী ৬ হাতিয়া আসনের সাংসদ আয়েশা ফেরদৌস আলী এমপি নির্দেশনায় চাল বিতরন করা হলেও অদৃশ্য ব্যক্তি চাল নিয়ে চালবাজীতে মেতে উঠে।
জেলেদের চাল নিয়ে চালবাজীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ঠদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। স্থানীরা জানান, চাল বিতরন সময়ে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসারের প্রতিনিধি,চানন্দী ইউপি প্রশাসনিক চেয়ারম্যান, গ্রাম পুলিশসহ জেলে প্রতিনিধিবৃন্দ।
চাল কম দেওয়ার বিষয়ে চানন্দী ইউনিয়নের প্রশাসনিক চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বলেন,আমি নাস্তা করতে গেলে বিতরনকারীরা কয়েকজন জেলেকে চাল কম দেয়। এই জন্যে আমি আন্তরিক ভাবে ক্ষমা প্রার্থী।
উল্লেখ্য আগামী ৩০ শে মে পর্যন্ত জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত জেলেরা উল্লেখিত হারে ভিজিএফের চাল পাবে। জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে সরকার জেলে পরিবারের মাঝে প্রতিবছর এ চাল দিয়ে থাকে।