Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

১৭ দিনে এলো ১৩ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১৭৬জন দেখেছেন

Image

দেশে ডলারের তীব্র সংকট চলছে। ফলে ব্যাংকগুলো নিয়মিত ঋণপত্র (আমদানি-এলসি) খুলতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে বেশি দামে প্রবাসী আয় রেমিট্যান্স কেনার সুযোগ পাচ্ছে ব্যাংকগুলো। এতে করে বাড়ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।  

রোববার (১৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি নভেম্বরের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বৈধ পথে ও ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১১৮ কোটি ৭৭ হাজার ডলার; বাংলাদেশি মুদ্রার যার পরিমাণ ১৩ হাজার ১৮৩ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১১ টাকা ধরে)। সে হিসেবে দৈনিক আসছে ৬ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১৭ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭ কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৭ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অ‌ক্টোব‌রে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস রেমিট্যান্স প্রবাহ ধারাবাহিকভাবে কমেছিল। ডলার সংকটের কারণে গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয়ে বড় হোঁচট খায়। ওই মাসে গত সাড়ে ৩ বছর বা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় আসে বাংলাদেশে, যা পরিমাণে ১৩৪ কোটি ডলার। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ১০৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত মার্চের পর থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু তাতে সংকট আরও প্রকট হয়। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন-অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এর ওপর। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় তারা সভা করে ডলারের রেট নির্ধারণ করে আসছে।

সবশেষ ব্যাংকগুলোর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রবাসী ও রপ্তানি আয় কেনার ক্ষেত্রে ডলারের ঘোষিত দাম ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, আজকে আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন হচ্ছে ১১১ টাকা। তবে কোনো ব্যাংকের প্রয়োজনে চাইলে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ সর্বোচ্চ দাম হবে ১১৬ টাকা। তবে আমদানিকারকদের কাছে ব্যাংকগুলোকে ১১১ টাকায় বিক্রি করতে হবে; এর বেশি নেওয়া যাবে না।

কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে নগদ এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১২৫ টাকা। চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১২৫ টাকা পর্যন্ত।


আরও খবর



বাইশগজে বাংলাদেশের চেয়ে বরাবরই এগিয়ে প্রতিবেশী ভারত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৫৫জন দেখেছেন

Image

খেলাধুলা ডেস্ক : বাইশগজে বাংলাদেশের চেয়ে বরাবরই এগিয়ে প্রতিবেশী ভারত। সাদা বলের ওডিআই-টি-টোয়েন্টিতে তবুও মাঝে মাঝে বাঘের গর্জন বুক কাঁপিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার। তবে লাল বলের টেস্ট ক্রিকেটে আভিজাত্যটা বরাবরই দাপটের সাথে দেখিয়েছে ভারত। এদিকে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টেস্ট সিরিজ জিতেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। সেই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু করতে যাচ্ছেন তারা। চান্দিকা হাথুরুসিংহেও আশাবাদী ভারতে তার শিষ্যরা ভালো কিছু করে দেখাতে পারবে। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ মনে করেন, প্রত্যাশার চাপ থাকলেও সেটি দলের জন্য ভালো। 

২৪ বছর আগে এই ভারতের সাথেই শুরু লাল সবুজের টেস্ট যাত্রা। এরপর ১৩ টেস্টের ১১টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৫টাই আবার ইনিংস ব্যবধানে। সবশেষ ২০১৯ এর টেস্ট সিরিজে ইন্দোরের পর কলকাতার গোলাপী বলের বেদনার গল্পটাতো ভুলেই যেতে চাইবে মুমিনুলরা। যদিও এই চাপের ক্রিকেট নিয়ে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি চান্দিকা হাথুরুসিংহের।

টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে মঙ্গলবার অনুশীলনে শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে। সেখানে এক প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহে বলেন, এই চাপকে সুবিধা হিসেবে দেখছি। আমার মনে হয় এটা আমাদের অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ করে এবং আরও বেশি সামনে তাকানোর সুযোগ করে দেয়। তখন আমরা নিজেদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতা ও অবস্থান সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পারি।

বাংলাদেশ ভারত সফরে গিয়েছে ৮ ব্যাটার, ৬ বোলার ও ২ অলরাউন্ডার নিয়ে। ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে মনে করেন এটিই বাংলাদেশ ইতিহাসের সেরা টেস্ট দল। হাথুরুও মনে করেন, এটিই বাংলাদেশের ভারসাম্যপূর্ণ দল। তিনি বলেন, সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সুগঠিত দল।


আরও খবর

ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আমানতের খেয়ানত করলে কী হয়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৯৭জন দেখেছেন

Image

ধর্ম  ডেস্ক : মুসলমানদের একে অপরের বিশ্বস্ত হতে হবে- রসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের এ শিক্ষাই দিয়েছেন। ইসলাম সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত জীবনব্যবস্থা। এ জীবনব্যবস্থায় কোনোভাবেই অসত্য এবং অন্যায়ের স্থান থাকতে পারে না। একজন মানুষ অপর মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা প্রতারণামূলক আচরণ করবে না এটি ইসলামি সমাজের কাক্সিক্ষত ও কাম্য বিষয়। পবিত্র কোরআনে এবং রসুলুল্লাহ (সা.) এর হাদিসে এ বিষয়ে বারবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন : ‘যখন দুই পক্ষ মিলে যৌথ কোনো কাজ করে, আমি তখন তাদের (সঙ্গে) তৃতীয় পক্ষ হই। যে পর্যন্ত তারা পরস্পরের সঙ্গে খেয়ানত তথা বিশ্বাসঘাতকতা না করে।’ (-সুনানে আবুদাউদ, হাকেম)। এ হাদিসে রসুল (সা.) আরও বলেন, মানুষের চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য থেকে যে গুণটি সবচেয়ে আগে অদৃশ্য হয়ে যাবে তাহলো আমানতদারি তথা বিশ্বস্ততা। আর শেষ অবধি যা রয়ে যাবে তা হচ্ছে নামাজ। এমন অনেক নামাজি আছে যারা কোনো কল্যাণই অর্জন করতে পারে না। আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন- রসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা খেয়ানত কর না, কেননা খেয়ানত কতই না শাস্তি ও তিরস্কারযোগ্য। (-আবু দাউদ ও তিরমিজি)।

সততা হলো মানবজীবনের প্রধান মূলধন। যারা এ সম্পদে সমৃদ্ধ তারা সমাজের সবার আস্থার পাত্র। যে কারণে ইসলাম ব্যক্তিগত সততাকে গুরুত্ব দিয়েছে। হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, কেয়ামতের দিন আমানতের খেয়ানতকারীকে হাজির করে বলা হবে- ‘তোমার কাছে গচ্ছিত আমানত ফিরিয়ে দাও। সে জবাব দেবে, ইয়া পরওয়ারদেগার! কীভাবে তা ফিরিয়ে দেব? পৃথিবী তো ধ্বংস হয়ে গেছে। তখন তার কাছে গচ্ছিত রাখা জিনিসটি যেভাবে রাখা হয়েছিল ঠিক অনুরূপ আকারে জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে তাকে দেখানো হবে। অনন্তর তাকে বলা হবে- যাও, ওখানে নেমে ওটা তুলে আন। অতঃপর সে নেমে গিয়ে সেটি কাঁধে বয়ে নিয়ে আসবে। তার কাছে জিনিসটির ওজন পৃথিবীর সব পর্বত অপেক্ষা বেশি মনে হবে। তার ধারণা হবে, তুলে আনলেই সে দোজখের আগুন থেকে নাজাত পাবে। কিন্তু সে যখন জাহান্নামের শেষ প্রান্তে চলে আসবে, অমনি ওই জিনিসটি নিয়ে পুনরায় জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তরে পড়ে যাবে। এভাবে সে চিরকালই জাহান্নামে থাকবে। অনন্তর হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘নামাজ, অজু, গোসল, পরিমাপ ও পরিমাপের দাঁড়িপাল্লা সবই আমানতের শামিল, আর কারও রক্ষিত জিনিস সর্বাপেক্ষা বড় আমানত।

প্রত্যেক মুসলমানকে পরস্পরের প্রতি যেমন বিশ্বস্ত হতে হবে তেমন আল্লাহ ও রসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালনেও বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে হবে। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ঘোষণা করেন : ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রসুলের এবং জেনেশুনে নিজেদের পারস্পরিক আমানতের খেয়ানত কর না।’ (-সুরা আনফাল-২৭)। এ আয়াতের শানে নজুল সম্পর্কে ইমাম ওয়াহেদি (রহ.) বলেন, বিশিষ্ট সাহাবি হজরত আবু লুবাবা (রা.) এর ব্যাপারে পবিত্র কোরআনের এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়। মুসলমানগণ যখন বনু কুরায়যাকে অবরোধ করে রেখেছিলেন, আর বনু কুরায়যার মহল্লায় লুবাবার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েরা অবস্থান করছিল। রসুল (সা.) তখন কোনো এক বিশেষ প্রয়োজনে আবু লুবাবা (রা.)-কে বনু কুরায়যার কাছে পাঠালেন। কুরায়যা গোত্রের লোকেরা জানতে চাইল : আবু লুবাবা! সা’দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা যদি অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসি, তাতে আমাদের কী পরিণতি হবে বলে তুমি মনে কর?’ আবু লুবাবা (রা.) আপন গলার দিকে ইশারা করে বুঝাতে চাইলেন, তোমাদের সবার গলা কেটে ফেলা হবে, কাজেই তোমরা তা করতে যেও না। তার এ আচরণ ছিল আল্লাহ ও রসুলের খেয়ানতের পর্যায়ভুক্ত। আবু লুবাবা (রা.) নিজেই স্বীকারোক্তি করেন, ‘আমি পা স্থানচ্যুত করার পূর্বেই বুঝতে সক্ষম হলাম, আমি আল্লাহ ও তার রসুলের খেয়ানত করে ফেলেছি।’ (এরপর হজরত আবু লুবাবা (রা.) দীর্ঘ ছয় দিন মসজিদে নববীর একটি কাঠের খামের সঙ্গে নিজেকে বেঁধে রাখেন এবং তওবা মঞ্জুর হওয়ার ঘোষণা আসার পরই তিনি বাঁধনমুক্ত হন।) হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ বান্দাদের জন্য যা কিছু (যে বিষয়গুলো) ফরজ করেছেন, তাই আল্লাহর আমানত।’ অর্থাৎ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তোমরা আল্লাহর দেওয়া ফরজ আদেশ-নিষেধ ভঙ্গ বা অমান্য কর না। হজরত কালবি (রা.) বলেন, আল্লাহ ও তাঁর রসুলের অবাধ্যচারিতাই হচ্ছে খেয়ানত। আল্লাহর ফরজকৃত বিধানের ব্যাপারে প্রত্যেকেই আমানতদার।

আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুল (সা.) বলেছেন, ‘মোনাফেকের চিহ্ন তিনটি : যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং যখন তার কাছে কিছু গচ্ছিত রাখা হয়, তখন তা খেয়ানত করে। (-বোখারি ও মুসলিম)। আহমাদ, বাযযার ও তাবারানির বর্ণনায় রসুল (সা.) বলেছেন, ‘যার আমানতদারি নেই তার ইমান নেই এবং যে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে না তার ভিতর দীন নেই। সব ব্যাপারেই খেয়ানত বা বিশ্বাসঘাতকতা দোষণীয়। তবে একটা অন্যটা অপেক্ষা বেশি দোষণীয় হতে পারে। যে লোক ক্ষুদ্র কোনো বিষয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করল, আর যে কারও অর্থ-সম্পদ ও পরিবার-পরিজনের ব্যাপারে বিশ্বাসঘাতকতা বা আরও বড় কোনো অপরাধ করল, তারা উভয়ে সমান নয়।


আরও খবর

কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে আলেমদের মতামত

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




৭-১০ দিনের মধ্যে জানা যাবে ঢাবির ক্লাস শুরুর তারিখ

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৮৩জন দেখেছেন

Image

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্লাস শুরুর বিষয়ে সাত থেকে দশ দিনের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট তারিখ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান।  

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজের সাথে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন।

 

উপাচার্য বলেন, ক্লাস শুরু করাটাই আমাদের সবচেয়ে বড় জরুরি। আমরা অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ভিত্তিতে এটি করতে চাচ্ছি। অংশীজনদের পূর্ণমাত্রায় সমর্থন ছাড়া আমরা এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।  

‘সেজন্য আমরা অত্যন্ত সিস্টেমেটিক মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে এখানে এসেছি। আমরা প্রায় শেষের পর্যায়ে আছি। আমাদের ডিনরা ও প্রভোস্টরা শূন্যপদ ছিল। তা আমরা পূরণ করেছি।  

তিনি বলেন, রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আমাদের বিভাগীয় ও অফিস প্রধানদের সঙ্গে একটি মিটিং রয়েছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিভিন্ন সংগঠন, সাংবাদিকদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করব। আশা করা যায় এক সপ্তাহ থেকে দশদিনের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে পারব। আমরা সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে একটা আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করব।

উপাচার্য বলেন, একবার কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারলে বাকি অনেকগুলো আমাদের উন্নয়নের কাজ করব। ট্রমা ও সাইকোলজিক্যাল দিক থেকে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার পরিকল্পনা রয়েছে। ছাত্র-শিক্ষক পর্যায়ে কিছু দ্বন্দ্ব আছে, সেগুলো নিয়ে আমাদের পরিষ্কার পরিকল্পনা রয়েছে।  

সিন্ডিকেট পুনর্গঠন করা হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট পুনর্গঠনের মতো সময় আমাদের হাতে নেই। ক্লাস শুরু করাটা ইমার্জেন্সি। এটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। এ মুহূর্তে সদস্য যারাই থাকুন না কেন, তারা এর গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।  

সিন্ডিকেট পুনর্গঠনের মতো দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতিগত জটিলতা প্রক্রিয়ায় গেলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আরও দীর্ঘ হয়ে যেতে পারে। এজন্য এটাকেই (শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা) মৌলিক অ্যাজেন্ডা ধরে সবচাইতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চাই।


আরও খবর

শাবির নতুন ভিসি সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




দাওয়াত না পেয়ে লন্ডন প্রবাসীর ওপর হামলা, আদালতে মামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

কুমিল্লায় পারিবারিক অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে মো. জাকির হোসেন নামে এক লন্ডন প্রবাসীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে ওই প্রবাসীর বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটও করা হয়। পরে হামলার শিকার জাকিরের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সূচনা আক্তার বাদী হয়ে বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের ৭ নম্বর আমলি আদালতে মামলা করেছেন।

ভুক্তভোগী জাকির হোসেন জেলার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি দক্ষিণ ইউনিয়নের বালুয়া গ্রামের আনু মিয়ার ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ লন্ডনে বসবাস করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার মৃত মনু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া, লেদা মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম, গেদা মিয়ার ছেলে মনির হোসেন, হারুন উদ্দিনের ছেলে জালাল মিয়া এবং জোহর আলীর ছেলে বোরহান উদ্দিন। তারা বিএনপির কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও সরকার পতনের পর থেকে এলাকায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছেন বলে জানা গেছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আক্তার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বরুড়া থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন।



আরও খবর



আরিফিন শুভর প্লট বাতিল করছে রাজউক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৯৩জন দেখেছেন

Image

শেখ হাসিনা সরকারের বিভিন্ন সময়ে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া সব প্লট বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে মুজিব সিনেমা করে আলোচনায় আসা অভিনেতা আরিফিন শুভকে সংরক্ষিত কোটায় বরাদ্দ দেওয়া রাজউকের প্লটটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শুভর সঙ্গে সিনেমাটির প্রযোজক লিটন হায়দারের প্লটও বাতিল হচ্ছে বলে জানা গেছে।বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার।জানা যায়, গত বছরের ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত রাজউকের বোর্ড সভায় পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প থেকে শুভকে ১০ কাঠা এবং প্রযোজক লিটন হায়দারকে ৩ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর এ প্লটের বিপরীতে শুভ সরকার-নির্ধারিত টাকা জমা দিয়ে একটি চুক্তিপত্রও গ্রহণ করেন। কিন্তু সময় স্বল্পতার কারণে তিনি এ প্লটের রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করে নিতে পারেননি। এরই মধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শুভর প্লটসহ গত ১৫ বছরে রাজনৈতিক বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া প্লটগুলো নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আরিফিন শুভ ও লিটন হায়দারের প্লট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজউক।রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি। তবে কী পরিমাণ প্লট বাতিল হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। মূলত, রেজিস্ট্রেশন হয়নি, এমন শতাধিক প্লটের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বোর্ড সভায় এ তালিকা উপস্থাপন করে বরাদ্দ বাতিল করা হবে।



আরও খবর

সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪