Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: সেঞ্চুরিয়নে গতকাল রাতে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজ ২–০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জিতেছে হাইনরিখ ক্লাসেনের দল। এ ম্যাচে ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে বেশ কিছু রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন পাকিস্তানি তারকা বাবর আজম।

ভারত–পাকিস্তান সমঝোতা, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই

ম্যাচটি খেলতে নামার আগে তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাবরের মোট রান ছিল ১৩,৯৯৮। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই চার মেরে পঞ্চম পাকিস্তানি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফলকের দেখা পান বাবর।


ইনজামাম–উল–হক, ইউনিস খান, মোহাম্মদ ইউসুফ ও জাভেদ মিঁয়াদাদ এর আগে মাইলফলকটি টপকেছেন। ৩৩৮ ইনিংসে বাবরের রান ১৪,০২৯। ৫৫১ ইনিংসে ২০,৫৮০ রান নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানসংখ্যায় সবার ওপরে ইনজামাম। ইউনিস ৪৯১ ইনিংসে ১৭,৭৯০ রান নিয়ে দ্বিতীয়। ৪৩২ ইনিংসে ১৭,৩০০ রান নিয়ে তৃতীয় ইউসুফ এবং চতুর্থ মিঁয়াদাদের সংগ্রহ ৪০৭ ইনিংসে ১৬,২১৩ রান।


সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন রিজা হেনড্রিকস। সেঞ্চুরির পর তাঁর উদ্‌যাপন এএফপি

এই ইনিংস দিয়ে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতেও একটি রেকর্ড গড়েছেন বাবর। এই সংস্করণে দ্রুততম ১১ হাজার রানের রেকর্ড এখন তাঁর। ২৯৮ ইনিংসে বাবরের রানসংখ্যা এখন ১১,০২০। 


এই পথে বাবর ভেঙেছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের রেকর্ড। মাইলফলকটিতে পৌঁছাতে গেইলের লেগেছিল ৩১৪ ইনিংস। অর্থাৎ প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০-এর কম ইনিংস খেলে ১১ হাজার রানের দেখাও পেলেন বাবর।


ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণে দ্রুততম ৭, ৯ ও ১০ হাজার রানের রেকর্ডও তাঁর।


তবে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে বাবরের চেয়ে বেশি রান করা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান কিন্তু আছেন। তিনি আবার অলরাউন্ডার। ঠিকই ধরেছেন। ৪২ বছর বয়সী শোয়েব মালিক। বাবরের জন্মের (১৫ অক্টোবর, ১৯৯৪) ঠিক ৫ বছর পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত (১৫ অক্টোবর, ১৯৯৯) শোয়েব এই সংস্করণে ৫০৫ ইনিংসে ১৩,৪১৫ রান করেছেন। ক্রিস গেইলের পরই (৪৫৫ ইনিংসে ১৪,৫৬২) এ সংস্করণে রানে দ্বিতীয় শোয়েব।


শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার এবং স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে ১১ হাজার রানই নয়, বাবর কাল আরও একটি হাজারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ৩১ রানের ইনিংসের পথে ছুঁয়েছেন পেশাদার ক্রিকেটে ২৬ হাজার রানের ঘর। বাবরের তিন মাইলফলকের ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বড় ইনিংসটি খেলেছেন অবশ্য সাইম আইয়ুব। 


৫ ছক্কা ও ১১ চারে ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। শেষ দিকে ইরফান খানের ১৬ বলে ৩০ রান পাকিস্তানকে দুই শ পার হওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা ভেবে রেখেছিলেন অন্য কিছু। বিশেষ করে ওপেনার রিজা হেনড্রিকস।


১০ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ বলে ১১৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরিও তুলে নেন এই ডানহাতি। ৩৮ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে মাঠে থেকে জয় নিশ্চিত করেন রাসি ফন ডার ডুসেন। জোহানেসবার্গে আজ রাত ১০টায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০৬/৫ (সাইম ৯৮*, বাবর ৩১, ইরফান ৩০, রিজওয়ান ১১, আব্বাস ১১*; দাইয়ান ২/২১, বার্টম্যান ২/৫১, লিন্ডা ১/২৮)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯.৩ ওভারে ২১০/৩ (হেনড্রিকস ১১৭, ডুসেন ৬৬*, ব্রিটৎজকে ১২, ক্লাসেন ৮*; জাহানদাদ ২/৪০, আব্বাস ১/৪৬, আবরার ০/২৯, হারিস ০/৫৭)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।


সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২–০ তে এগিয়ে।


ম্যাচসেরা: রিজা হেনড্রিকস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।



আরও খবর



চারঘাটে মহান বিজয় দিবস পালন করলেন জামায়াত ইসলামী

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

রাজশাহী প্রতিনিধি: যথাযোগ্য মর্যাদায় চারঘাটেও ৫৪তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চারঘাট উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে চারঘাট পল্লী বিদ্যুৎ মোড় থেকে এই দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চারঘাট উপজেলা শাখার অঙ্গসংগঠন নেতাকর্মী নিয়ে বিশাল একটি বর্নাঢ্য র‌্যালি বের করে চারঘাট বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চারঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাজশাহী জেলা পূর্ব শিবিরের সভাপতি রুবেল আলীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী গোলাম মর্তুজা। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত মনোনীত রাজশাহী-০৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী নাজমুল হক,জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মিনহাজুল ইসলাম,জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারী শফিকুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী সুফেল রানাসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন,সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শহীদদের স্বপ্নের সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রত্যায় ব্যাক্ত করেন।


আরও খবর

স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপির পৃথক পৃথক কর্মসূচি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী ছাত্রদল পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা শাখার উদ্যেগে  র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার মানিক মিয়া চত্ত্বর থেকে একটি র‍্যালী বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে সদর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এসে শেষ হয়। পরে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিক আহম্মেদ মোল্লার সভাপতিত্বে ও দশমিনা সরকারি আব্দুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবুল বাশার এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিতি ছিলেন-উপজেলা বিএনপির  সহ সভাপতি রুহুল আমিন মোল্লা, আমিন হাওলাদার, সদস্য ও সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন আকন সহ নবীন দলের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

এদিকে, উপজেলা বিএনপি নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে র‍্যালী ও পথ সভা করেছেন।  এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আলীম তালুকদার, সাধারন সম্পাদক শাহ আলম শানু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফকরুজ্জামান বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক বেল্লাল হোসেন মৃধা, যুব দলের আহবায়ক এ্যাডভোকেট এনামুল হক রতন ও সদস্য সচিব শামীম খান সহ বিএনপির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রমুখ।


আরও খবর



সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের ফজিলত

প্রকাশিত:রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: সুরা হাশর পবিত্র কোরআনের ৫৯তম সুরা। এটি মদিনায় অবতীর্ণ। এর ৩ রুকু, ২৪ আয়াত। এই সুরায় ইহুদিদের নির্বাসনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

মদিনা থেকে দুই মাইল দূরে বনু নাজিরের বসবাস। তারা নবী করিম (সা.)-এর সঙ্গে শান্তিচুক্তিতে আবদ্ধ ছিল। এ অবস্থায় নবী করিম (সা.) তাদের মহল্লায় গেলে তারা তাঁকে একটি ছাদের নিচে বসতে দেয়। পরে ছাদ থেকে পাথর গড়িয়ে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। আল্লাহ তাআলা ওহির মাধ্যমে তাঁকে এ বিষয়ে জানানো হলে তিনি জায়গাটি থেকে সরে যান। তাদের জানিয়ে দেন, ‘তোমরা চুক্তি ভঙ্গ করেছ। তোমাদের যেখানে ইচ্ছা চলে যাওয়ার জন্য ১০ দিন সময় দেওয়া হলো। এরপর তোমাদের কাউকে পাওয়া গেলে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে।’


সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ

উচ্চারণ : হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাদি, হুয়ার রাহমানুর রাহিম। হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুবহানাল্লাহি আম্মা য়ুশরিকুন। হুআল্লাহুল খালিকুল বা-রিউল মুছাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউছাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্; ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের অর্থ

অর্থ : তিনি আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনি পরম করুণাময়, পরম দয়াময়। তিনিই আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনিই মালিক, তিনিই পবিত্র, তিনিই শান্তি, নিরাপত্তাবিধায়ক, তিনিই রক্ষক, তিনিই পরাক্রমশালী, তিনিই প্রবল, তিনিই অহংকারের অধিকারী। ওরা যাকে শরিক করে আল্লাহ্ তার থেকে পবিত্র, মহান। তিনিই আল্লাহ্, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, সব সুন্দর নাম তাঁরই । আকাশ ও পৃথিবীতে যা-কিছু আছে সমস্তই তাঁর পবিত্র মহিমা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রমশালী, তত্ত্বজ্ঞানী। (সুরা হাশর, আয়াত: ২২থেকে ২৪)


মুনাফিক সরদারের প্ররোচনায় তারা দেশ ত্যাগ করল না। নবী করিম (সা.) চতুর্থ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসে তাদের পাড়া ঘেরাও করেন। নিরুপায় হয়ে তারা নতিস্বীকার করলে নবী করিম (সা.) আবারও তাদের সুযোগ করে দিয়ে বললেন, ‘অস্ত্র ছাড়া যতটা পারো জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে এখনই এলাকা ত্যাগ করো।’ আদেশ মেনে তারা দেশত্যাগ করল। কেউ চলে গেল খাইবার উপত্যকায়, কেউ সিরিয়ায়।


সুরাটির শেষ তিন আয়াতে আছে, ‘তিনি আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি অদৃশ্য ও দৃশ্যের পরিজ্ঞাতা। তিনি পরম করুণাময়’।


সুরা বুরুজে বিশ্বাসীর পুরস্কার, অবিশ্বাসীর শাস্তি

এই সুরায় ইহুদিদের নির্বাসনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুল (সা.) বলেছেন : যে ব্যক্তি সকাল বেলা সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তিলাওয়াত করবে। আল্লাহ ওই ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করেন; যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে।’ (সুনানে তিরমিজি,হাদিস : ৩০৯০)


আরও খবর

ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫




গৃহবধূ থেকে যেভাবে রাজনীতিতে উত্থান খালেদা জিয়ার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ১৯৮১ সালের ৩০মে যখন হত্যা করা হয় তখন খালেদা জিয়া ছিলেন নিতান্তই একজন গৃহবধূ। দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে তখন ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থান করছিলেন।

রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি তখন দিশেহারা ও বিপর্যস্ত। জিয়াউর রহমান পরবর্তী দলের হাল কে ধরবেন—এ নিয়ে আলোচনা চলতে থাকে। নেতাদের মধ্যে শুরু হয় কোন্দল।

তখন ভাইস-প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। তার বয়স তখন আনুমানিক ৭৮ বছর। তখনকার রাজনীতিতে সাত্তারকে একজন বৃদ্ধ এবং দুর্বল চিত্তের ব্যক্তি হিসেবে মনে করা হতো।

তাই দলের একটি অংশ চেয়েছিল কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্বের কাঠামো ঠিক করা হোক। কিন্তু অপর আরেকটি অংশ, যারা রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের সরকারে ছিলেন, তারা এর বিরোধিতা করেন।

 

প্রয়াত বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ তার চলমান ইতিহাস : জীবনের কিছু সময় কিছু কথা বইতে লিখেছেন- সামরিক ও শাসকচক্রের জন্য সবচেয়ে বড় ভয় ছিল খালেদা জিয়াকে নিয়ে। কারণ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য খালেদা জিয়াই সে সময় সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হতে পারতেন। কিন্তু তড়িঘড়ি করে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আব্দুস সাত্তারের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।

তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এইচ এম এরশাদ চেয়েছিলেন, সাত্তার প্রেসিডেন্ট হোক। বিষয়টি নিয়ে তখনকার বিএনপিতে মতভেদ দেখা দেয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত সেনা প্রধানের ইচ্ছে অনুযায়ী কাজ হয়েছে।

মওদুদ আহমদ লিখেছেন, বেগম জিয়া যদি প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চাইতেন, তাহলে অন্য কারো প্রার্থী হওয়ার তখন আর প্রশ্ন উঠতো না।

জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিলেন তখন খালেদা জিয়াকে প্রকাশ্যে খুব একটা দেখা যেত না। খালেদা জিয়া যখন রাজনীতিতে আসেন সেটা অনেককে চমকে দিয়েছিল।

সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান তার সংগ্রামী নেত্রী খালেদা জিয়া শীর্ষক লেখায় তাকে বর্ণনা করেছেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হলেও লাজুক গৃহবধূরূপে তার দুই ছেলে তারেক রহমান (পিনো) এবং আরাফাত রহমান (কোকো)-কে নিয়ে সাংসারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন।

রাজনীতির প্রতি অনীহা

বিচারপতি আব্দুস সাত্তারের বার্ধক্য ও দল পরিচালনা নিয়ে অসন্তোষের কারণে তৎকালীন বিএনপির একাংশ খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে আনার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু রাজনীতির প্রতি খালেদা জিয়ার তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে এর কয়েকটি কারণ ছিল। প্রথমত; জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড তার মনে গভীর দাগ কেটেছিল এবং তিনি মানসিকভাবে সে ধকল কাটিয়ে উঠতে পারছিলেন না।

দ্বিতীয়ত; খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে পরিবারের দিক থেকে তেমন কোনো উৎসাহ ছিল না।

খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে প্রয়াত সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ বেগম খালেদা জিয়া: হার লাইফ, হার স্টোরি বই লিখেছেন।

বছর তিনেক আগে যখন তিনি বেঁচে ছিলেন, তখন বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, জিয়াউর রহমানের আকস্মিক হত্যাকাণ্ড তার মনের মধ্যে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল। তিনি হয়তো ভাবতে শুরু করেছিলেন যে রাজনীতি হয়তো মানুষকে এ ধরনের করুন পরিণতির দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। রাজনীতির কঠিন পদযাত্রা সামলাতে পারবেন কিনা সেটি নিয়েও তার মনে প্রশ্ন ছিল। তাছাড়া পারিবারিকভাবে তার পিতা মেয়ের রাজনীতির ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না।

এসময় দলের নেতা-কর্মীরা রাজনীতিতে আসার জন্য দিনের পরদিন খালেদা জিয়াকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি দলের হাল না ধরলে দল টিকবে না বলেও অনেকে বলেন।

অন্যদিকে খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে আসার বিষয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচএম এরশাদের মনে ভয় ছিল বলে উল্লেখ করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

কারণ এরশাদ যেহেতু ক্ষমতা দখলের দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ভাবছিলেন খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এলে পরিস্থিতি সামলানো তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

 

সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ ২০১৯ সালের শুরুর দিকে বিবিসি বাংলাকে বলেন, খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে আসার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) আকবর হোসেন, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম শিশু এবং একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের মন্ত্রী হয়েছিলেন। নুরুল ইসলাম শিশু ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহচর। এছাড়া একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী পরবর্তীতে বিএনপি সরকারের মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন।

কর্মী থেকে দলের চেয়ারম্যান

বিএনপি'র ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১৯৮২ সালের ১৩ জানুয়ারি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে খালেদা জিয়া আত্মপ্রকাশ করেন। সেদিন তিনি বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ লাভ করেন।

একই বছর ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে খালেদা জিয়া প্রথম বক্তব্য রাখেন।

বিএনপি: সময়-অসময় বইয়ে লেখক মহিউদ্দিন আহমদ লিখেছেন বিএনপিতে যোগ দেবার পর থেকে খালেদা জিয়া বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া শুরু করেন।

আহমদ লিখেছেন, ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি শেরেবাংলা নগরে জাতীয় সংসদের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার এবং প্রধানমন্ত্রী শাহ আজিজুর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়াও উপস্থিত ছিলেন।

 

দলের তরুণ অংশ চেয়েছিল খালেদা জিয়া দলীয় প্রধান হোক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে বিএনপি'র প্রধান হিসেবে দেখেতে আগ্রহী ছিল তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এরশাদ।

বিএনপির চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য একইসঙ্গে প্রার্থী হয়েছিলেন খালেদা জিয়া এবং রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তার।

বিএনপির ওয়েবসাইটে তখনকার ঘটনা বর্ণনা তুলে ধরে বলা হয়, এর ফলে এক বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিচারপতি সাত্তার দুবার বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় যান। বেগম খালেদা জিয়া তাকে তরুণ নেতৃত্বের মনোভাবে কথা জানান। এসময় বিচারপতি সাত্তার বেগম খালেদা জিয়াকে দলের সহ-সভাপতির পদ এবং দেশের ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের অনুরোধ জানান। কিন্তু বেগম জিয়া ব্যক্তিগত কারণে তা গ্রহণ করেননি। অবশেষে বিচারপতি সাত্তারের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর বেগম খালেদা জিয়া চেয়ারম্যান পদ থেকে তার প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন।

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তৎকালীন সেনাপ্রধান এইচএম এরশাদ এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করেন। তখন রাজনীতিতে সাত্তারের আর কোনো মূল্য থাকেনি। সাত্তার আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির চেয়ারম্যান থাকলেও দল পরিচালনায় খালেদা জিয়ার প্রভাব বাড়তে থাকে।

১৯৮৩ সালের মার্চ মাসে খালেদা জিয়া দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান হন এবং এপ্রিল মাসের প্রথমে বিএনপির এক বর্ধিত সভায় তিনি ভাষণ দেন। কিন্তু তৎকালীন বিএনপির কিছু নেতা সেটি পছন্দ করেননি। বিএনপির সেই অংশটি ভিন্ন আরেকটি জায়গায় বৈঠকের আয়োজন করে।

সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনের কয়েকমাস পরেই খালেদা জিয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হন। এ সময় এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে উঠেন তিনি। ১৯৮৪ সালের ১০মে খালেদা জিয়া বিএনপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

এরশাদবিরোধী আন্দোলন যখন ধীরে ধীরে জোরালো হচ্ছিল তখন বিএনপির বাইরে অন্য রাজনৈতিক দল থেকে খালেদা জিয়াকে দলের নেতৃত্ব গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছিল। এক্ষেত্রে হায়দার আকবর খান রনো এবং রাশেদ খান মেনন ছিলেন অন্যতম।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য তারা দুজন তার তৎকালীন ক্যান্টনমেন্টের বাসায় গিয়েছিলেন। রনো তার আত্মজীবনী 'শতাব্দী পেরিয়ে' বইতে একথা তুলে ধরেছেন।

১৯৮০র দশকে জেনারেল এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশজুড়ে খালেদা জিয়ার ব্যাপক পরিচিত গড়ে উঠে। জেনারেল এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে বিএনপি জয়লাভ করে।

রাজনীতিতে আসার ১০ বছরের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার শাসন আমল, ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-২০০৬ -- এই দুইভাগে ভাগ করেন অনেক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক। দুই হাজার এক সালে ক্ষমতাসীন হবার পর থেকে খালেদা জিয়ার সরকার একের পর এক বিতর্কের মুখে পড়ে। সেই বিতর্ক থেকে তার দল ও সরকার আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। দুই হাজার আট সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার দল বিএনপির ব্যাপক ভরাডুবি হয়।

এরপর তেকে দলটি রাজনৈতিকভাবে আরে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বর্জনের পর বিএনপি রাজনৈতিকভাবে অনেকটা চাপে পড়ে যায়। খালেদা জিয়ার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এসে হাজির হয় তাঁর বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলা। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার কারণে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারেননি।

দেশে-বিদেশে সে নির্বাচন প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সাল থেকে খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন। ২০২০ সালে তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আসেন, তবে এজন্য নানা বিধিনিষেধ পালন করতে হয় তাকে, যার মধ্যে রয়েছে - রাজনীতিতে অংশ না নিতে পারা, বিদেশ যেতে না পারা।


আরও খবর

স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




হাদিস বর্ণনায় বিশ্বস্ত নারী সাহাবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ জানুয়ারী 2০২5 | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: আয়েশা বিনতে তালহা আত তাইমিয়া (রা.) ছিলেন একজন বিখ্যাত নারী সাহাবি। সপ্তম হিজরিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বংশ সূত্রে তিনি আবু বকর (রা.)-এর মেয়ে উম্মে কুলসুম (রা.)-এর কন্যা। সে হিসেবে তিনি উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.)-এর বোনের মেয়ে। তাছাড়া খ্যাতনামা সাহাবি তালহা বিন উবায়দুল্লাহ (রা.) ছিলেন তাঁর সম্মানিত পিতা। ফলে বংশ মর্যাদায় তিনি উভয় দিক দিয়েই শ্রেষ্ঠ ছিলেন।

বিখ্যাত এই নারী সাহাবির ছোট সময় থেকেই হাদিসের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব ছিল। তিনি তাঁর খালা হজরত আয়েশা (রা.) থেকে হাদিস বর্ণনা করেন। আর তাঁর থেকে হাদিস বর্ণনা করেন তাঁর চার ভ্রাতুষ্পুত্র যথাক্রমে তালহা বিন ইয়াহইয়া, মুয়াবিয়া বিন ইসহাক, মুসা ও উবায়দুল্লাহ বিন ইসহাক, হাবিব বিন আবি আমরাহ, ফুজাইল ফাকিমি (রহ.) প্রমুখ। হাদিস বর্ণনার জগতে তিনি ছিলেন নির্ভরযোগ্য রাবি। ইয়াহইয়া বিন মায়িন (রহ.) তাঁকে হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নারী হিসেবে গণ্য করেছেন। এমনকি হাদিসের নির্ভরযোগ্য কিতাব সুনানে নাসাঈ ও মুয়াত্তা মালেকে তাঁর থেকে বর্ণিত হাদিস রয়েছে।

তা ছাড়া তিনি ছিলেন রূপে-গুণে অনন্য খ্যাতির অধিকারী। প্রথমে তাঁর বিবাহ হয় মামাতো ভাই আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান বিন আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর সঙ্গে। পরবর্তী সময়ে  ইরাকের শাসনকর্তা মুসআব বিন জুবায়েরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি বিয়েতে মোহর হিসেবে এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা ধার্য করেন। মুসআব বিন জুবায়ের নিহত হলে তাঁর বিয়ে হয় আব্দুল্লাহ বিন উবায়দুল্লাহ তাইমির সঙ্গে। তিনিও স্ত্রীকে বিয়েতে হাজার হাজার দিরহাম মোহরানা হিসেবে প্রদান করেন।

সম্মানিত ও প্রভাবশালী এই নারী সাহাবি ছিলেন সর্বমহলে সমাদৃত। খলিফা আব্দুল মালিক বিন মারওয়ান এবং পরবর্তী খলিফা তাঁর পুত্র হিশাম তাঁকে খুব সম্মান করতেন। একবার আয়েশা বিনতে তালহা খলিফা আব্দুল মালিকের নিকট প্রতিনিধি হিসেবে এলেন। সে সময় তিনি হজ করতে চাচ্ছিলেন। তখন খলিফা রাজকীয় ব্যবস্থাপনায় তাঁর সঙ্গে থাকা লোকদের বাহনস্বরূপ ৬০টি খচ্চর উপহার দিয়েছিলেন।

আরেকবারের ঘটনা। তিনি খলিফা হিশাম বিন আব্দুল মালিকের নিকট এলেন। খলিফা তাঁর প্রতি সম্মান দেখালেন এবং নানা উপঢৌকনে ভূষিত করলেন। অনন্য সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী এই নারী ১১০ হিজরিতে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। (তারিখে দিমাশক : ৬৯/২৪৯, সিয়ারু আলামিন : নুবালা ৫/৭৪)।


আরও খবর

ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫