Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গেম ও অ্যাপ কাজেই এল না

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৬৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: আলাদা তিনটি কর্মসূচি নেয়ার পর আবার ৩৩০ কোটি টাকার মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। তবে ওই প্রকল্পের আওতায় তৈরি বেশির ভাগ গেম ও অ্যাপ কোনো কাজে আসছে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঘুরেফিরে নিজেদের লোকদের কাজ দিতে এসব প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। এ প্রকল্পের মোট অর্থের ১৭ শতাংশের বেশি শেখ পরিবারের নামে সিনেমা ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ‘মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্প নেয়া হয়। তিন দফায় মেয়াদ বেড়ে এ প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। চলতি ডিসেম্বরে যা শেষ হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রকল্পটির পিসিআর প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পে প্রশিক্ষণ বাবদ ১৩৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। অ্যাপ ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয় ১৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮টি গেমিং ও অ্যাপস ল্যাব করা হয়েছে।

কাছের লোকদের জন্যই প্রকল্প

ডিজিকন টেকনোলজিসের সঙ্গে যৌথভাবে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেড (এমসিসি) সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে। প্রকল্পে এই দুই কোম্পানি ৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার কাজ পায়।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এমসিসি অনেক কাজ পেয়েছে। এমসিসিকে পরে এনডিই ইনফ্রাটেক কিনে নেয়।

এমসিসির প্রধান নির্বাহী ও এনডিই ইনফ্রাটেকের পরিচালক মো. আশরাফ খান দাবি করেন, সম্পর্ক নয়, তিনি প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ পেয়েছেন। ডিজিকন টেকনোলজিসের প্রধান ওয়াহেদ শরীফ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু বলে প্রচলিত রয়েছে। আইসিটি খাতে তার একচেটিয়া প্রভাব ছিল। সরকার পতনের আগেই তিনি বিদেশে চলে গেলেও প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে।

ওয়াহেদ শরীফ দাবি করেন, নিয়ম মেনেই তার প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। মোবাইল গেম প্রকল্পে বেশি কাজ পাওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- প্রাইম টেক সল্যুশন, ইজি টেকনোলজি ও স্পিনঅফ স্টুডিও।

তথ্যপ্রযুক্তি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নাটোরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসরুল আলম (মিলন) আইসিটি বিভাগে কমিশন–বাণিজ্য করতেন। শেষ দিকে এসে তিনি নিজেই কোম্পানি খোলেন। অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি প্রাইমটেক, স্পিনঅফসহ অন্যদের সঙ্গে কাজ করতেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রাইমটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা রাশেদুল আলম বলেন, মাসরুল নিজের অভিজ্ঞতার জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রায় একই কথা বলেন স্পিনঅফের প্রতিষ্ঠাতা এ এস এম আসাদুজ্জামান। মাসরুলের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আবার পলকের ঘনিষ্ঠ মফিজুর রহমান ইজি টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আইসিটি বিভাগসহ পলকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনার একচেটিয়া কাজ করত ইজি টেকনোলজির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঢাকা লাইভ। সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানটি লাপাত্তা হয়ে গেছে।

বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, কাছের কিছু ব্যক্তির জন্য প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল। এটা অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছিল।

অ্যাপ ও গেমের অবস্থা

গুগল প্লে স্টোরে এ প্রকল্পের নামে ১৫০টি অ্যাপ পাওয়া যায়। বেশির ভাগ অ্যাপের ডাউনলোডের পরিমাণ ১টি, ১০টি, ৫০টি ও ১০০টি করে। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার করে ডাউনলোড হয়েছে ডিজিটাল শিশু শিক্ষা ও মুজিব ১০০ অ্যাপ।

করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালে এ প্রকল্পে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘লাইভ করোনা টেস্ট’ নামে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যার কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শেখ পরিবারকে নিয়ে ৫০ কোটি ব্যয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বানানো বিভিন্ন অ্যাপ ও গেমের পেছনে প্রকল্পের মোট বরাদ্দের সাড়ে ১৭ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ২৩টি উক্তি নিয়ে থ্রি–ডি হলোগ্রাম তৈরি হয়েছে এ প্রকল্পের টাকায়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ২১ কোটি টাকা।

প্রকল্পের প্রকিউরমেন্টের ৬৪টি কাজের তালিকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৯টি বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলকে নিয়ে বানানো অ্যানিমেশন ও গেম তৈরি। এতে চ্যাটবট, অভিধান, অ্যাপ ও অ্যানিমেশন সিনেমা রয়েছে।

২০২২ সালে শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ নামে একটি গেমিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। সব মিলিয়ে এসব কাজে ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়।

প্রকল্পে আট বছরে যত পরিচালক

মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে ১১ জন কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে তিনজন এক থেকে দুই বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন। ৫ জন ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৯ মাস কাজ করেছেন। বাকি তিনজন এক মাসও কাজ করতে পারেননি। একজন ১৩ দিনও কাজ করেছেন।

আইসিটি বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রকল্পে প্রচুর তদবির ও সুপারিশ আসত। তাই কেউ থাকতে পারতেন না।

প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কাজ করা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাকে সরানোর জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ জনপ্রশাসনে ডিও লেটার দিয়েছিলেন।

এ প্রকল্প প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের ধারণা ও উদ্দেশ্য ভালো ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নে সমস্যা ছিল। বাংলাদেশকে তুলে ধরে, বিশ্বমানের এমন অন্তত একটি গেম হলেও প্রকল্পটিকে সফল বলা যেত। কিন্তু তা হয়নি।


আরও খবর



দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সিউলের একটি আদালত এ আদেশ জারি করেন। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।


৩ ডিসেম্বর সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে এ পরোয়ানার আদেশ দেওয়া হয়। বিদ্রোহ ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে একাধিক তদন্তের মুখোমুখি ইউন। গত দুই সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে একাধিক জিজ্ঞাসাবাদের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার আদেশ উপেক্ষা করেন তিনি। অবশেষে কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হওয়ার তিনটি সমন উপেক্ষা করার পরে এই পরোয়ানা এলো।


রোববার রাতে তদন্তকারীরা বিদ্রোহ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ইউনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেন। এ পদক্ষেপকে তার আইনজীবীরা অবৈধ বলে বর্ণনা করেছেন।


দক্ষিণ কোরিয়া স্বল্পকালীন সামরিক আইন ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। ইউন এবং তার একজন উত্তরসূরিও পার্লামেন্ট দ্বারা অভিশংসিত হয়েছেন।


দেশটির পরিস্থিতি বলছে, ইউন সুক যেকোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন। এটি বর্তমান পরিস্থিতিতে অস্বাভাবিক নয়। বর্তমান এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তাকে গ্রেপ্তার করা হলে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে আটক রাখা হতে পারে অথবা অন্য কোনো কারাগারেও পাঠাতে পারেন আদালত।


ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে আটদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয়বার পার্লামেন্টে ইউনের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা হয়। এতে বেশিরভাগ সদস্য তার অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেন। পার্লামেন্টে অভিশংসনের জন্য দুই তৃতীয়াংশ ভোটের প্রয়োজন হয়। গোপন ব্যালটের এ ভোটে ৩০০ সদস্যই অংশ নিয়েছেন। এ সময় পার্লামেন্টের বাইরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন।


বিবিসি জানিয়েছে, ইউনের দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) কয়েকজন সদস্যসহ মোট ২০৪ জন সদস্য অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।


দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী হ্যান ডাক-সু এখন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। প্রেসিডেন্ট অভিশংসনের মুখোমুখি হলেও আইনি জটিলতার কারণে তিনি পদে বহাল থাকবেন। তবে কোনো নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী হবেন না তিনি।


ভোটের পর এক বিবৃতিতে শেষ পর্যন্ত দেশের জন্য সর্বোচ্চটা দিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউন। তিনি বলেন, যদিও আমি আপাতত বিরতি দিচ্ছি, তবে গত আড়াই বছরে জনগণের সাথে আমার ভবিষ্যতের জন্য যাত্রা থামানো উচিত নয়। আমি যে উত্সাহ এবং সমর্থন পেয়েছি তা আমি আমার সাথে বহন করব এবং আমি শেষ অবধি জাতির জন্য আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।


এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন। পরে অবশ্য বিরোধীদের আপত্তি ও সংসদ সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যম আইন প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।



আরও খবর



ভিনির লাল কার্ডের পরও ১০ জনের রিয়ালের অবিশ্বাস্য জয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: স্প্যানিশ লা লিগায় ১০ জনের দল নিয়েও দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে অবনমনপ্রত্যাশী ভ্যালেন্সিয়াকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদকে। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) লা লিগার এই উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে লুকা মদ্রিচ ও জুড বেলিংহ্যামের অতিরিক্ত সময়ের গোল রিয়ালকে শীর্ষস্থানে নিয়ে যায়।




প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ২৭ মিনিটে থিবো কুর্তোয়ার ঠেকিয়ে দেয়া শট থেকে জাভি গুয়েরার সুযোগ কাজে লাগিয়ে হুগো ডুরো ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন। এরপর রিয়াল একাধিকবার সমতা আনার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়।



দ্বিতীয়ার্ধে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় রিয়াল। তবে ৫৫ মিনিটে জুড বেলিংহ্যামের নেওয়া পেনাল্টি পোস্টে লেগে ফেরত আসে। ৭৯ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় রিয়াল। গোলকিপার স্তোল দিমিত্রিয়েভস্কিকে থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।



১০ জনের দল নিয়েও শেষ মুহূর্তে পাল্টা আক্রমণে রিয়াল ম্যাচে ফিরে আসে। ৮৫ মিনিটে জুড বেলিংহ্যামের পাস থেকে লুকা মদ্রিচ নিচু শটে গোল করেন। অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে বেলিংহ্যাম নিজেই দারুণ একটি গোল করে রিয়ালকে ২-১ ব্যবধানে জয় এনে দেন।



এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট দাঁড়ায় ৪৩, যা দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের চেয়ে দুই পয়েন্ট বেশি। যদিও অ্যাথলেটিকোর হাতে একটি ম্যাচ বেশি রয়েছে। অপরদিকে, ভ্যালেন্সিয়া গোল পার্থক্যে তলানির কাছাকাছি অবস্থান করছে।



রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তি ম্যাচের প্রথমার্ধ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'প্রথমার্ধে আমরা খুবই খারাপ খেলেছি, আর দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জন নিয়েও দুর্দান্ত। আমরা তিন পয়েন্ট পেতে চেয়েছিলাম এবং পেয়েছি, কিন্তু এই দুই বিপরীত চেহারা দেখানো আমাদের উচিত নয়।'



জুড বেলিংহ্যামের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করে তিনি বলেন, `পেনাল্টি মিসের পরও বেলিংহ্যাম বিশ্বাস হারায়নি। বরং সেটি তাকে আরও উজ্জীবিত করেছিল। শেষ ৩০ মিনিটের মতো পারফরম্যান্স কেবল সে-ই করতে পারে।`



তবে তিনি দলের সাম্প্রতিক পেনাল্টি মিসের প্রবণতা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। `গত চারটির মধ্যে তিনটি পেনাল্টি আমরা মিস করেছি। এ বিষয়ে আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কে পেনাল্টি নেবে,` বলেন অ্যানচেলত্তি।



ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে রিয়াল আপিল করার কথা জানিয়েছে। অ্যানচেলত্তি বলেন, `আমরা মনে করি এটি লাল কার্ডের মতো ঘটনা নয়। তবে দল এই পরিস্থিতিতে দারুণ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। আমরা আপিল করব, যদিও জানি না তা গ্রহণ করা হবে কি না।


আরও খবর



ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য বিশেষ কিছু নিয়ামত পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে জান্নাতির ফল। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যারা ইমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে তাদের শুভ সংবাদ দাও যে, তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয় নদী। যখনই তাদের ফলমূল খেতে দেওয়া হবে তখনই তারা বলবে, আমাদের পূর্বে জীবিকারূপে যা দেওয়া হতো এটা তো তাই। তাদের অনুরূপ ফলই দেওয়া হবে আর সেখানে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী রয়েছে, তারা সেখানে স্থায়ী হবে।’ (সুরা বাকারা ২৫)


জান্নাতে যেসব ফল পাওয়া যাবে তার মধ্যে একটি হলো ডালিম। কোরআন মাজিদে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন,



وَ هُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَ جَنّٰتٍ مَّعۡرُوۡشٰتٍ وَّ غَیۡرَ مَعۡرُوۡشٰتٍ وَّ النَّخۡلَ وَ الزَّرۡعَ مُخۡتَلِفًا اُكُلُهٗ وَ الزَّیۡتُوۡنَ وَ الرُّمَّانَ مُتَشَابِهًا وَّ غَیۡرَ مُتَشَابِهٍ ؕ كُلُوۡا مِنۡ ثَمَرِهٖۤ اِذَاۤ اَثۡمَرَ وَ اٰتُوۡا حَقَّهٗ یَوۡمَ حَصَادِهٖ ۫ۖ وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ؕ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ


‘আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন এমন বাগানসমূহ, যার কিছু মাচায় তোলা হয় আর কিছু তোলা হয় না এবং খেজুরগাছ ও শস্য, যার স্বাদ বিভিন্ন রকম, জয়তুন ও আনার (ডালিম), যার কিছু দেখতে এক রকম আর কিছু ভিন্ন রকম।


তোমরা তার ফল থেকে আহার করো, যখন তা ফল দান করে এবং ফল কাটার দিনেই তার হক দিয়ে দাও আর অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সূরা আনআম, আয়াত : ১৪১)


ডালিম পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি ফল, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে শরীরের ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করে এ ফল।


প্রতিদিন ডালিম খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, রক্তশূন্যতা এবং হাড়ের ব্যথা কমাসহ হজমশক্তি ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে। শুধু ডালিমের দানাতেই নয় খোসাতে রয়েছে নানাবিদ উপকারিতা। ডালিমের খোসায় উপকারিতা নিয়ে হজরত আলী রা. বলেন, ‘তোমরা খোসাসহ ডালিম খাও। কেননা তা পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ৫/৯৯)


জান্নাতে শুধু ডালিম বা শুধু ফল পাওয়া যাবে এমন নয়। জান্নাতে বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবেন তাই পাবেন, যা মানুষের ধারণারও বাইরে। চিরস্থায়ী জান্নাতে যেসব নেয়ামত রয়েছে তা মানুষের কল্পনার বাইরে।


আরও খবর

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

বিয়ে করতে চাইলে কি রিজিক বাড়ে

বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫




টেলিকম খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিতে এসএমপি গাইডলাইনের বাস্তবায়ন করতে হবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: টেলিযোগাযোগ খাতে স্থিতিশীলতা ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতে সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার (এসএমপি) গাইডলাইনের কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এসএমপি গাইডলাইন সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে ছোট অপারেটরদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে অবকাঠামো শেয়ারে উৎসাহ বাড়বে এবং এ খাতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে।


মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এমন মতামত দেন।



টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআরএনবির সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন দেওয়ান। মূল প্রবন্ধে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের মধ্যে একটি একক বৃহৎ অপারেটরের আধিপত্যের কারণে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।


বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ২০১৮ সালে এসএমপি গাইডলাইন চালু করলেও এর গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো কার্যকরভাবে পর্যালোচনা বা বাস্তবায়ন করেনি। এসএমপি নীতিমালার ধারা ৭(১১)-তে বার্ষিক পর্যালোচনার নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষিত হয়েছে। এমনকি, বর্তমানে এর বাস্তবায়ন এই খাতের ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে খুব সামান্যই প্রভাব ফেলছে।


বৈঠকে বক্তারা অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো আন্তর্জাতিক উদাহরণ তুলে ধরে দেখান যে, এসএমপি নীতিমালার কঠোর বাস্তবায়ন বাজারের ন্যায্যতা ও গ্রাহকের সুবিধা নিশ্চিত করছে।


বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী এই খাতের অংশীজনদের মাঝে আরও বেশি সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, এসএমপি প্লেয়ারের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এখন, আপনাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। খাত সংশ্লিষ্টদের মাঝে সহযোগিতা বা অংশীদারিত্বের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে হবে।


প্রতিযোগিতা কমিশনের সাবেক পরিচালক মো. খালেদ আবু নাসের প্রতিযোগিতা কমিশনকে আরও কার্যকর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে প্রতিযোগিতা কমিশন অকার্যকর। এদিকে, বিটিআরসির সঙ্গে কমিশনের তেমন কোনো লিয়াজোঁ নেই। ফলে একচেটিয়া বাজার তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় পুরো টেলিকম খাতের পরিবর্তন প্রয়োজন।


ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাহী পরিচালক ও সিইও টিআইএম নুরুল কবির বলেন, এই খাতের উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বিটিআরসির রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা উচিত। পাশাপাশি, আরও বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য আইন ও নীতিমালার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


এমটবের সেক্রেটারি জেনারেল লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. জুলফিকার বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আরও বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।


বাংলালিংকের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে যেসব নিয়মনীতি আছে সেগুলো বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। সামনে যেহেতু এআইর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আসছে, আমাদের বাজারে প্রতিযোগিতা কীভাবে আরও বাড়ানো যাবে সে বিষয়ে মনোনিবেশ করতে হবে।


রবির হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স সাহেদুল আলম বলেন, টেলিকম খাতে সুস্থ প্রতিযোগিতার কোনো পরিবেশ নেই। একটি অপারেটর প্রতি বছর বিপুল মুনাফা অর্জন করছে। এর কারণ হলো টেলিকম বিধিমালা বৃহৎ অপারেটরদের সুবিধা দিচ্ছে, অন্যদিকে ছোট অপারেটরদের প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করছে।


টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল মাবুদ চৌধুরী বলেন, অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাঝে টেলিটক কষ্ট করে টিকে আছে।


সভায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম বলেন, এসএমপি গাইডলাইনে ২০টি ধারা আছে, কিন্তু বাস্তবায়ন করা হয়েছে মাত্র তিনটি, যা বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা প্রতিষ্ঠায় তেমন ভূমিকা রাখেনি। বিটিআরসিকে আইনে ক্ষমতা দেওয়া আছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে সে ক্ষমতার কার্যকর ব্যবহার করা হচ্ছে না।


আরও খবর



"সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য- কেনো, কোথায় ও কিভাবে!"

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (MRP) এই জিনিস টা বাংলাদেশ,ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কা ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখা যায় না। 


ধরেন আপনি ১ লিটারের কোকা-কোলা বাংলাদেশের যেকোনো দোকানে কিনবেন একই দাম দিয়ে। কিন্তু এই ১ লিটারের কোকা-কোলা ইউরোপ, আমেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন রকমের দামে কিনতে হবে। 

মানে এখানে সাপ্লাই-ডিমান্ড বা ঐ দোকানের প্রাইসিং পলিসির এর ওপর মূল্য নির্ভর করে। 


সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য পদ্ধতিটির কিছু বৈশিষ্ট্য:

• MRP খুচরা বিক্রেতাদের ওপর একরকম বাধা তৈরি করে, ফলে তারা নির্দিষ্ট টাকার বেশি লাভ করতে পারে না।


•অল্প সময়ের জন্য হলেও MRP মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে৷ যেহেতু পণ্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের থেকে বেশি দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।


•এটা মুক্তবাজার (Free market) এর বিপরীত। 

এই পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে কোনো পণ্যের মূল্য বাজারের মাধ্যমে(সাপ্লাই-ডিমান্ড) নির্ধারণ করা হয় না। সুতরাং সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বাজারের সাথে সামঞ্জস্য নাও হতে পারে।

অর্থাৎ ঐ পণ্যের মূল্য বাজার মূল্য অনুযায়ী কমও হতে পারে আবার বেশিও হয়ে যেতে পারে। 


এই MRP সাধারণত নির্ধারণ করে পণ্যের উৎপাদন বা আমাদনিকারক কোম্পানী।


একটি ছোট্ট তথ্য:

আমরা অনেক সময় পার্কে বা স্টেশনে কোনো দোকান থেকে চিপস, কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি কিনতে গেলে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য থেকে বেশি দাম চাওয়া হয়। 

এক্ষেত্রে একদমই সেই দামে কিনবেন না বরং দোকানদারকে বুঝিয়ে বলবেন যে, সে যদি এই কাজ করে তাহলে তার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় অনুর্ধ এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে।

এরপরও উনি কথা না শুনলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হটলাইনে ফোন করবেন!



-রিফাত রায়হান 

শিক্ষার্থী, ফাইন্যান্স বিভাগ (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)


আরও খবর

ব্যবসায়ীদের আতঙ্ক ও উদ্বেগ

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫