Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

৬৫০০ নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে বৈশ্বিক সহায়তা চায় গাজা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ২২৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে আগেই। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ১০ হাজার। এছাড়া গাজাজুড়ে সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

এবার নিখোঁজ এসব হাজারও মানুষের খোঁজ পেতে এবং একইসঙ্গে উদ্ধার করতে বৈশ্বিক সহায়তা চেয়েছে গাজা কর্তৃপক্ষ।২৯ নভেম্বর রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি যুদ্ধের ফলে গত ৭ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ হওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে খুঁজে বের করতে এবং উদ্ধার করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গাজা মিডিয়া অফিসের প্রধান।

ইসমাইল আল-থাওয়াবতা আনাদোলুকে বলেছেন: ‘সিভিল ডিফেন্স দল গুলো এখনও ধ্বংস স্তূপের নিচ থেকে বহু মরদেহ উদ্ধার করছে এবং গাজা উপত্যকার দক্ষিণ থেকে উত্তরে যাওয়ার রাস্তা গুলো থেকেও মরদেহ উদ্ধার হচ্ছে।’

তিনি বলেছেন, গাজায় এখনও সাড়ে ৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তারা হয় ধ্বংস স্তূপের নিচে আছেন বা তাদের ভাগ্যে ঠিক কী ঘটেছে তা এখনও অজানা। নিখোঁজ এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি নারী ও শিশু।

তিনি আরও বলেন, ধ্বংস স্তূপের নিচে থাকা লোকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য তাদের সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি এবং জ্বালানি দরকার।

একই সঙ্গে ধ্বংস স্তূপের নিচ থেকে নিখোঁজ ব্যক্তি বা তাদের মৃতদেহ বের করার জন্য ‘প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ধ্বংসাবশেষ অপসারণে বিশেষজ্ঞ দল সরবরাহ করতে’ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন আল-থাওয়াবতা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে। ভূখণ্ডটিতে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ৬ হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও চার হাজার।

অবশ্য গাজায় বর্তমানে যুদ্ধবিরতি চলছে। দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর গত শুক্রবার চার দিনের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছায় হামাস ও ইসরায়েল।

যদিও ইসরায়েল হুমকি দিয়ে রেখেছে, যুদ্ধ বিরতি শেষ হলেই তারা আবারও গাজায় হামলা চালানো শুরু করবে।


আরও খবর



বিয়ে করতে চাইলে কি রিজিক বাড়ে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ে মুসলিম জীবনে একটি পবিত্র ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি শুধু দুইটি জীবনকে একত্রিত করার মাধ্যম নয়, বরং পারিবারিক জীবন শুরু করার একটি সুন্দর ও কল্যাণময় ব্যবস্থা। ইসলামের দৃষ্টিতে বিয়ে মানবজীবনে বরকত বয়ে আনে এবং রিজিক বৃদ্ধির কারণ হয়। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বিয়ের গুরুত্ব ও কল্যাণের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিয়ে থেকে বিরত থাকা ইসলাম সমর্থন করে না। বরং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত হিসেবে বিয়ে পালন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি কাজ।

বিয়ের মাধ্যমে মানুষ নবজীবনে প্রবেশ করে। জীবনে প্রভূত কল্যাণসাধন হয়। বিয়ে রহমত ও বরকত ও রিজিক বাড়ার কারণ। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করেনি, তাদের বিয়ে করিয়ে দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ণ, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সুরা নুর ৩২)


এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আবু বকর (রা.) তরুণ-তরুণীদের উৎসাহ দিয়ে বলতেন, ‘তোমরা বিয়ে করে আল্লাহর নির্দেশ পালন করো। তিনি তোমাদের দেয়া অঙ্গীকারও পালন করবেন।’ (তাফসিরে ইবনে আবি হাতেম ৮/২৫৮২)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা মহান আল্লাহর কর্তব্য। প্রথমজন হলেন আল্লাহর পথে জিহাদ পালনকারী। তারপর মুক্তিপণ আদায়ে কাজ করা চুক্তিবদ্ধ দাস এবং পবিত্র জীবনের লক্ষ্যে বিবাহকারী।’ (তিরমিজি ১৬৫৫)


এছাড়া হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেছেন, ‘তোমরা বিয়ের মধ্যে প্রাচুর্য অনুসন্ধান করো। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যদি তারা দরিদ্র হয়, নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে প্রাচুর্য দান করবেন’ (সুরা নুর ৩২, তাফসিরে ইবনে কাসির, তিরমিজি ১০৬১)

সুতরাং কেউ যদি অল্প সামর্থ্য নিয়ে বিয়ে করার নিয়ত করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তাদের সচ্ছলতা দিবেন ইনশাআল্লাহ।

অভিভাবকদেরও উচিত নয় নিজের ছেলের অথবা নিজ কন্যার জন্য নির্বাচিত পাত্রের সাময়িক অভাবকে বিয়ে করার প্রতিবন্ধক মনে করা। যদি তারা উপার্জনে সক্ষম এবং পরিবার পরিচালনার সামর্থ্য রাখে তাহলে তাদের জীবনোপকরণ দিয়ে সংসার শুরু করতে সাহায্য করা উচিত এবং বিয়ে দিয়ে দেয়া উচিত। (বয়ানুল কুরআন)।

তবে যদি কেউ বিয়ে করতে সমর্থ না হয় তাহলে তার ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তিনি বলেন, ‘হে যুবসমাজ, তোমাদের মধ্যে যার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে। কারণ তা দৃষ্টিকে অধিক অবনতকারী, প্রবৃত্তিকে অধিক দমনকারী’ (বুখারি ১৯০৫)।

কোনো মুসলমানের উচিত নয় বিয়ে না করার পণ করা। কেননা রসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘বিয়ে আমার সুন্নত। আর যে আমার সুন্নত অনুযায়ী আমল করে না, সে আমার উম্মতভুক্ত নয়।’ (ইবনে মাজা ১৮৪৬)


আরও খবর

ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫




মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্টারের বড় সাফল্য-ব্যর্থতা কী

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: জিমি কার্টার ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। এই মেয়াদকালে তাঁর সাফল্যের মধ্যে অন্যতম ছিল ক্যাম্প ডেভিড শান্তি চুক্তি।

অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্টারকে ঘিরে যথেষ্ট বিতর্কও ছিল। বিশেষ করে মার্কিন ভোটাররা তাঁকে একজন দুর্বল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখেছিলেন। এ কারণে এক মেয়াদ শেষে তাঁকে হোয়াইট হাউস ছাড়তে হয়।


কার্টারের কর্মজীবনের যে উত্তরাধিকার, তা মূলত তাঁর হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরের সময়ে প্রতিষ্ঠিত হয়।


স্থানীয় সময় গতকাল রোববার বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের বাড়িতে কার্টার মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

কার্টার প্রথম কোনো সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি শতবর্ষে পা রেখেছিলেন। গত অক্টোবরে তিনি তাঁর ১০০তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করেন।

কার্টারের প্রয়াণে তাঁর জীবনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।


পানামা খাল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কার্টার তাঁর মেয়াদের প্রথম বছরে একটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে পদক্ষেপ নেন। তিনি পানামা খালের ব্যবস্থাপনা পানামার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

গত শতকের শুরুর দিকে এই খাল খনন করা হয়। শুরু থেকে খালটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে ছিল।


১৯৭৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর কার্টার ও পানামার জাতীয়তাবাদী নেতা ওমর তোরিজোস পানামা খাল চুক্তি সই করেন। চুক্তির শর্ত মেনে ১৯৯৯ সালে পানামার কাছে খালটির নিয়ন্ত্রণ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে যুক্তরাষ্ট্র।

চুক্তি সইয়ের সময় কার্টার বলেছিলেন, বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তির কেন্দ্রে থাকা উচিত ন্যায্যতা, বলপ্রয়োগ নয়।

এই পদক্ষেপের জন্য কার্টারকে নিজ দেশে উপহাসের শিকার হতে হয়েছিল। তবে ইতিহাস অবশ্য এই চুক্তিকে কূটনীতির একটি নিপুণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখে আসছে।

কার্টারের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পানামার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো বলেছেন, সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট পানামাকে নিজ দেশের পূর্ণ সার্বভৌমত্ব অর্জনে সহায়তা করেছিলেন।


রাজনীতিতে নৈতিকতা

কার্টার হোয়াইট হাউসে এসে তাঁর পূর্বসূরিদের চর্চা করা ‘অনৈতিক রাজনৈতিক’ বিষয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তিনি মানবাধিকারকে তাঁর প্রশাসনে গুরুত্বের কেন্দ্রে রেখেছিলেন।

১৯৭৮ সালে মার্কিন নেভাল একাডেমিতে একটি বক্তব্য দিয়েছিলেন কার্টার। বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো এমন একটি বিশ্ব গঠনে সহায়তা করা, যা অর্থনৈতিক মঙ্গল, সামাজিক ন্যায়বিচার, রাজনৈতিক আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মৌলিক মানবাধিকারের জন্য সর্বত্র মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতি আরও দ্রুত সাড়া দেয়।’

কার্টার ১৯৭৭ সালে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।


ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি

১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বরে কার্টার তৎকালীন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী মেনাচেম বেগিন ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্প ডেভিডে আমন্ত্রণ জানান।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে কার্টারের মধ্যস্থতায় ১৩ দিনের গোপন আলোচনার পর দুটি চুক্তি সই হয়। কার্টারকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করার সময় এই চুক্তিকে (ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি) একটি কূটনৈতিক বিজয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল।



ইরান জিম্মি সংকট


১৯৭৯ সালের নভেম্বরে ইরান জিম্মি সংকটের সূত্রপাত হয়। ১৯৮১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তা চলে।

ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ৫০ জনের বেশি আমেরিকানকে ৪৪৪ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল।


কার্টারের জন্য এই সংকট ছিল ‘অগ্নিপরীক্ষা’।


জিম্মি সংকটের অবসানে ১৯৮০ সালের এপ্রিলে একটি ব্যর্থ সামরিক অভিযান চালানও হয়। আর এই ব্যর্থতা একই বছরের শেষ দিকে কার্টারের পুনর্নির্বাচনের সম্ভাবনা শেষ করে দেয়।


আরও খবর



সরিষাবাড়ি জাতীয় নাগরিক কমিটির অনুমোদন

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

জামালপুর সংবাদদাতা: জামালুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার জাতীয় নাগরিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে।২৮ ডিসেম্বর জাতীয় নাগরিক কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আকতার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব অলিক মৃ এবং সদস্য হাসান ইমতিয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

কমিটিতে মো: রাসেল আহমেদকে প্রধান সমন্বয়ক এবং ফরহাদ আলীকে সহকারি সমন্বয়ক পদ মর্যাদায় রেখে ৫৩ সদস্যের উপজেলা প্রতিনিধি মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে উপজেলা-পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডসহ আঞ্চলিক কমিটি গঠনে ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, কমিটিতে জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আন্দোলনে হতাহত এবং অংশগ্রহণকারিদের প্রধান্য দিয়ে এই কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর



তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ৩৬

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: চীনের তিব্বতের প্রত্যন্ত পার্বত্য অঞ্চলে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৬ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। চীনের মিডিয়া বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিব্বতের এই ভূমিকম্পনের কম্পন বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, ভুটানে অনুভূত হয়েছে।

মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলের ৭ দশমিক ১। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

তবে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮।

সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৫০ মাইল পশ্চিমে। ওই এলাকার নিকটবর্তী ড্যামাকসং কাউন্টির গেদার শহরে হতাহতের ঘটনাগুলো ঘটেছে। এখন পর্যন্ত৩৮ জনের আহতের খবর পাওয়া গেছে।


আরও খবর



ফুলবাড়ী দাদুল কমিউনিটি ক্লিনিক ৩ মাস যাবৎ বন্ধ, ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | ১২জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি: দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের দাদুল কমিউনিটি ক্লিনিকটি দীর্ঘ ৩ মাস যাবৎ বন্ধ থাকায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় হাজারো রোগী। কমিউনিটি ক্লিনিকটি দ্রæত চালুর দাবি করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।


দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র ১ কিলো দুরে অবস্থিত দাদুল কমিউনিটি ক্লিনিক। বিগত ৫ আগাস্টের পর থেকে একবারেই বন্ধ হয়ে আছে ক্লিনিকটি। অল্প সময়ের জন্য মাঝে মাঝে কে বা কাহারা খোলে আবার বন্ধ করে চলে যায়। বর্তমানে ক্লিনিকটি একেবারে পরিত্যাক্ত একটি বাড়ীর মতো পড়ে আছে। স্থানীয়রা ক্লিনিকের বাউন্ডারির ভিতরে তাদের পোষা ছাগল বেধে রেখেছে। দেখে বোঝার উপায় নাই যে এটি একটি ক্লিনিক। ক্লিনিকের এমন দুরাবস্থায় বিপাকে পড়েছে এখানকার চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা । তারা দাবি করেন দ্রæত সময়ের মধ্যে এই ক্লিনিকটি চালু করা হউক। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মশিউর রহমান বলেন, দাদুল কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য সহকারী বিরুদ্ধে আগেও অভিযোগ পেয়েছি। আবারো অভিযোগ পাওয়া গেলো । তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



কাজিহাল ইউনিয়নের দাদুল গ্রামের ইদ্রিস আলী বলেন, আমি ৫ কিলো দুর থেকে আমার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে এসেছি কিন্তু ক্লিনিক বন্ধ। আমি রোগী নিয়ে বড়ই বিপদে আছি। এখন চিকিৎসা নিতে ফুলবাড়ী শহরে নিতে হবে এখনা থেকে ২২ কিলো দুরে ফুলবাড়ী স্বাস্থ্য কম্পেক্স।

একই এলাকার মকসেদ আলী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক তৃনমুল পর্যায়ের মানুষের একমাত্র ভরসা অথচ ক্লিনিকটি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোন ভ্রæক্ষেপ নাই। তারা শুধু মাস গলে সরকারী টাকা পায় আর যার যেমন ইচ্ছা তেমন করে চলে। আমরা বর্তমান সরকারের সু দৃষ্টি কামনা করছি। এমন কথা বলেন এখানকার অনেকেই।  


কাজিহাল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাঞ্চন মিয়া বলেন, ক্লিনিকটি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র বলা হলেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন নাই।


ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মশিউর রহমান বলেন, আমি দাদুল কমিউনিটির দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারীকে শো-কজ করেছি। আবারো শো-কজ করা হবে । তার জবাব যদি সন্তসজনক না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।  



আরও খবর