Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

৬৮০০ জনবল বহাল রাখার দাবিতে বিএডিসির কর্মচারীদের মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : কৃষি উৎপাদন প্রবৃদ্ধির স্বার্থে, বিএডিসি’কে রক্ষা করতে হবে“ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৬৮০০ জনবল বহাল রাখার দাবিতে বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের আয়োজনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৬ জুলাই) বিএডিসি কৃষি ভবন সংলগ্ন প্রধান সড়কে বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মো. মশিউরি রহমানের নেতৃত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর সংস্থাপন বিভাগের উপ-পরিচালক মো. পলাশ হোসেন, বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক  মো. আলী হায়দার ফয়সাল , কেন্দ্রীয় মহিলা শ্রমিক লীগ এর শ্রমিক কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা সুলতানা, সিবিআই এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  মো. রফিকুল ইসলাম সোহান, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন এর অর্থ বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর মো. মহাসিন লষ্কর প্রমূখ।


মানববন্ধনে বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সভাপতি মো. মশিউরি রহমান বলেন,  ১৯৯৮ সালে ‘কৃষি কমিশন’ কর্তৃক সুপারিশের প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীপরিষদের অনুমোদনক্রমে ৬৮০০ জনবল সম্বলিত বিএডিসির গেজেট প্রজ্ঞাপন ১৯.১০.১৯৯৮ তারিখে মহামান্য রাষ্ট্রপতি অনুমোদক্রমে জারি হয়।

দেশের কৃষি আধুনিকীকরণ তথা মানসম্পন্ন বীজের চাহিদা বৃদ্ধি, নন ইউরিয়া সার সরবরাহ এবং আধুনিক সেচ সুবিধা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক গঠিত ড. এ এম এম শওকত আলীর নেতৃত্বাধীন কমিটি ২০১০ সালে বিএডিসির জনবল ১০১০০-তে উন্নীতকরণের সুপারিশ করেন। উক্ত সুপারিশ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে বিএডিসির পুনর্গঠনের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন কেআইবি কনভেনশন হলে মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-০৫.১৫৭,০২৮,০১,০২,০২০,০৯ (২য় খন্ড), ২৪৬ তারিখঃ ২৯ নভেম্বর ২০১৮ মোতাবেক বিএডিসির জনবল কাঠামো ৯৩৫৫-তে পদ সৃজনের সম্মতি জ্ঞাপন করেন।

২০২১ সালে নভেম্বরে কৃষি মন্ত্রণালয় বিএডিসির ৬৮০০ কর্মচারীর অবসরোত্তর পেনশনের প্রস্তাবনা অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করলে অর্থ মন্ত্রণালয় জনবল ৩০১৭ জনে সংকোচনের নির্দেশনা জারি করে, যা মন্ত্রী পরিষদের অনুমোদনক্রমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে জারীকৃত গেজেট প্রজ্ঞাপনের সরাসরি লঙ্গন।

অনুমোদিত জনবল কাঠামো জনবল ৬৮০০ এর স্থলে ৩০১৭ জনে (অর্ধেক এর কম) নামিয়ে আনলে বিএডিসি’র কর্মক্ষেত্র পঙ্গু হয়ে যাবে, দেশের কৃষিখাত নাজুক হয়ে পড়বে। তাই কৃষির প্রাণ বিএডিসিকে বাঁচাতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি।


বিএডিসি শ্রমিক কর্মচারী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হায়দার ফয়সাল বলেন, অনুমোদিত জনবল কাঠামো জনবল ৬৮০০ এর স্থলে ৩০১৭ জনে (অর্ধেক এর কম) নামিয়ে আনলে নানান জটিলতা সম্মুখীন হবো।

মহা ব্যবস্থাপক/ প্রধান প্রকৌশলী পর্যায়ে ৬টি পদ, মাঠ পর্যায়ের ১২৯ টি অফিস প্রধানের পদসহ মোট ৩৭৮৩ টি পদ কম সৃজন করার ফলে প্রায় ১৩৫ টি অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। এতে করে বীজ উৎপাদন, সার সংরক্ষণ ও বিতরণ এবং সেচ কার্যক্রম তথা ফসল উৎপাদন ব্যাহত হবে। ফলে দেশের খাদ্য সয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হবে।

সদস্য পরিচালকের ৪টি পদের (বিএডিসি আইন ২০১৮ কর্তৃক অনুমোদিত) বিপরীতে ২টি পদে সম্মতি প্রদান করায় বোর্ড অব ডাইরেক্টরস অসম্পূর্ণ থাকবে। এতে করে বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা ও পরিকল্পনা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হবে এবং ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ অবৈধ হিসেবে গণ্য হবে।

বিএডিসি মাত্র ১৩০০ মে. টন বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে শুরু করে ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রেক্ষিতে বর্তমানে ১৬৫০০০ মে. টন বীজ উৎপাদন করছে। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ২০২৯-২০৩০ অনুযায়ী ২,০৫০০০ মে. টন এবং ডেল্টা প্ল্যান অনুযায়ী ২০৪০-২০৪১ সালে ৩,০০,০০০ মে. টন বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হবে।

এছাড়াও সমন্বিত ক্ষুদ্রসেচ নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী বিএডিসিতে চলমান সেচযন্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, বিদ্যুতায়নের ছাড়পত্র প্রদান এবং সেচস্কিম অনুমোদন ব্যাহত হবে।

ইতোমধ্যে জারিকৃত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে প্রায় ৬০০ পদে নিয়োগ কার্যক্রম চুড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে যা এই আদেশের প্রেক্ষিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে।

প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং নতুন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ বাধাগ্রস্থ হবে। এতে করে কৃষিবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অভিলক্ষ্য “ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শস্য বহুমুখীকরণ, পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ ফসল উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করা এবং জনসাধারণের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা” রূপকল্প ব্যাহত হবে।

কেন্দ্রীয় মহিলা শ্রমিক লীগ এর শ্রমিক কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সাবিনা সুলতানা  বলেন, অনুমোদিত জনবল কাঠামো ৬৮০০ হতে ৩০১৭ তে সংকোচিত করা হলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে কৃষির উপরে এধরণের হটকারী সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষি ও কৃষকের অন্যতম নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান বিএডিসিকে রক্ষার্থে ১. মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক অনুমোদিত ৬৮০০ জনবল ভূতাপেক্ষভাবে অনুমোদন; ২. বিএডিসিতে পেনশন স্কিম চালুকরণ; ৩. জনপ্রশাসন কর্তৃক স্মারক নং-০৫.১৫৭.০২৮.০১.০২.০২০.০৯ (২য় খন্ড)-২৪৬ তারিখঃ ২৯ নভেম্বর ২০১৮ মোতাবেক সুপারিশকৃত ৯৩৫৫ জনবল কাঠামোর বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি জ্ঞাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বিষয় হস্তক্ষেপ কামণা করছি।


আরও খবর



পরকালে আল্লাহ যার ওপর দয়ার দৃষ্টি দেবেন না

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : পোশাকে মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আভিজাত্য প্রকাশ পায়। পোশাকে প্রকাশ পায় মানুষের আর্থিক ও মানসিক দীনতা। অহংকার মানুষের মানসিক দীনতা ও মনোবৈকল্যের একটি লক্ষণ। ইসলাম পোশাক নিয়ে অহংকার করতে নিষেধ করেছে।

আবদুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অহংকারবশত নিজের পোশাক ঝুলিয়ে চলবে, আল্লাহ তার প্রতি কিয়ামতের দিন (দয়ার) দৃষ্টি দেবেন না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৭৮৩)

তবে ভালো পোশাক পরতে ইসলাম নিষেধ করেনি, বরং যারা সামর্থ্য থাকায় ভালো পোশাক পরে, কিন্তু তাদের মন আল্লাহর প্রতি বিনীত থাকে, তারা আল্লাহর কাছে পুরস্কৃত হবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে আদমসন্তান! প্রত্যেক নামাজের সময় তোমরা সুন্দর পরিচ্ছদ পরিধান করবে, আহার করবে ও পান করবে কিন্তু অপচয় করবে না।’ (সুরা: আরাফ, আয়াত : ৩১)

অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে আদমসন্তান! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকার ও বেশভূষার জন্য আমি তোমাদের পরিচ্ছদ দিয়েছি এবং তাকওয়ার পরিচ্ছদ–এটাই সর্বোত্তম।

এটা আল্লাহর নিদর্শনগুলোর অন্যতম, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৬)


আরও খবর



হরতাল-অবরোধেও চলছে পরীক্ষা, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৫জন দেখেছেন

Image

আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলের সব পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেজন্য রাজধানীসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে চলছে বার্ষিক পরীক্ষা কিংবা মূল্যায়নের কার্যক্রম। এর মধ্যে আবার গত ২৯ অক্টোবর থেকে চলছে হরতাল-অবরোধ। হরতাল-অবরোধে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও বাস-ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। সে কারণে ছুটির দিনে এবং কর্মসূচির বিরতির দিনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। সেটি সম্ভব না হলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এখন অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে, বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর হরতাল-অবরোধে দিশেহারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও। তারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে শিক্ষার্থীদের স্কুলে না আসার অপশন থাকলেও পরীক্ষার ক্ষেত্রে তা করা কঠিন। বাধ্য হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ছুটির দিন শুক্র-শনিবার এবং হরতাল-অবরোধের বিরতির দিন মঙ্গলবার পরীক্ষা নিচ্ছে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান হরতাল-অবরোধেও মধ্যে পরীক্ষা নিচ্ছে। 

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা শেষ করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে চায় তা নিতে পারে। এজন্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের কোনো নিষেধ নেই। তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।   

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনের বছর হওয়ায় একটু আগেভাগেই পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এদিকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে হরতাল-অবরোধও চলছে। তাই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ছুটির দিনে পরীক্ষা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোনো নির্দেশনা নেই। কিন্তু অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই।

অভিভাবকরা বলছেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি-ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় অবস্থিত উদয়ন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাবা হাজী মো. শাহজাহান বলেন, বাচ্চাদের পরীক্ষার জন্য হলেও ১৫দিন রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখা উচিত। আমার ছেলে নিজে স্কুলে আসতে পারলেও হরতাল-অবরোধের কারণে তাকে এখন একা পাঠাই না। অফিস রেখে তাকে স্কুলে নিয়ে আসতে হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ করে তাকে বাসায় দিয়ে তারপর অফিসে যেতে হবে। বছরের শেষে এ ধরনের কর্মসূচি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রুবাবা দৌলার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধে মধ্যে স্কুলে পরীক্ষা চলছে। কিন্তু বাচ্চারা কীভাবে আসবে সেই  চিন্তা না করছে সরকার, বিরোধী দল বা স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ তাদের সন্তান পড়াশোনা করে বিদেশে। আর দেশে পড়লেও তারা নিরাপত্তা নিয়েই স্কুলে আসে। কিন্তু যত কষ্ট হয় আমাদের। হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা না নিয়ে মঙ্গলবার, শুক্র ও শনিবার নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বিরোধী দলগুলোর এসব কর্মসূচির মধ্যেই রাজধানীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ছুটির দিনগুলোতে সুযোগ বুঝে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আজ (রোববার) থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। এজন্য শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার তিনদিন পরীক্ষা নেওয়ার হচ্ছে। তবে যেসব ক্লাসে বিষয় বেশি সেসব ক্লাসে অন্যান্য দিনেও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের বলা হয়েছে যে, আপনার সন্তানকে সাবধানে স্কুলে নিয়ে আসবেন।

ভিকারুননিসা স্কুলে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, পরীক্ষা চলাকালে যাতে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়া হয়, সেজন্য গতকাল (শনিবার) রাজধানীতে মানববন্ধন করে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছি। সন্তানরা যাতে নির্ভয়ে ও স্বাচ্ছন্দ্যে স্কুলে আসতে পারে, আনন্দের সাথে বার্ষিক মূল্যায়নে অংশ নিতে পারে সেই দাবি জানিয়েছি। তাছাড়া আনন্দের পরীক্ষা যেন বিষাদে পরিণত না হয় সেই দাবি জানিয়েছি।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু ঢাকা পোস্ট বলেন, স্কুলগুলো পড়েছে ঝামেলায়। একদিকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে, অন্যদিকে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি হলো রাজনৈতিক দলগুলোকে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করতে হবে। কিন্তু তারা করছে না। আমরা চাই কোনো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার না হয়। কিন্তু গত ১৫ দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন।

তার দাবি, যেসব শিক্ষার্থী হরতাল-অবরোধে স্কুলে আসতে পারছে না, তাদের অনুপস্থিত দেখানো যাবে না। বরং ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে।


আরও খবর



রুহানি নামাজের খোঁজে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৩জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : কেয়ামতের আলোচনা প্রসঙ্গে এক হাদিসে হুজুরপাক (সা.) বলেছেন, ‘শেষ জামানায় মসজিদের চাকচিক্য বাড়বে কিন্তু মুসল্লিদের কলবের নূর হারিয়ে যাবে।’ (বুখারি, কিতাবুস সালাত) আরেক হাদিসে রসুল (সা.) বলেছেন, ‘শেষ জামানায় এমন মানুষ দেখবে যাদের বাহ্যিক পোশাক ও ইবাদতের ধরন দেখে তোমরা নিজেদের তুচ্ছ মনে করবে। তোমাদের তেলাওয়াতের চেয়ে তাদের তেলাওয়াত অনেক বেশি মধুর ও হৃদয়গ্রাহী হবে। কিন্তু তাদের তেলাওয়াত কণ্ঠনালি ভেদ করে কলবে পৌঁছবে না। তাদের নামাজ এমন সৌন্দর্যে ভরপুর থাকবে যে, তাদের তুলনায় তোমাদের নামাজ মনে হবে নগণ্য ইবাদত। আফসোস! তাদের নামাজ মাথার ওপরেও উঠবে না।’ (মুসলিম, কিতাবুজ জাকাত)

রসুলের (সা.) এসব ভবিষ্যদ্বাণী জ্বলজ্যান্ত সত্য হয়ে দেখা দিয়েছে আমাদের বাস্তব জীবনে। প্রসঙ্গত বলছি, প্রায়ই একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হই। কেন আমাদের এত অধপতন হলো? একটা সময় ছিল আমাদের প্লেটে খাবার ছিল না, গায়ে বাহারি পোশাক ছিল না, ঘরে দামি আসবাব ছিল না; কিন্তু হৃদয়ভরা ইমান ছিল, তাওয়াক্কুল ছিল, ডাক্তারের কাছে কম যেতে হতো, ভাইয়ে ভাইয়ে মিল ছিল, পরিবারে শান্তি ছিল। এখন আমাদের পয়সা হয়েছে, অভাব দূর হয়েছে, খাবার ও পোশাকের ছড়াছড়ি, কিন্তু মনের সে শান্তি নেই কেন?

উন্নতি হয়েছে আমাদের ধর্মীয় অবকাঠামোতেও। আগে ১০ গ্রামে মসজিদ ছিল একটা। এখন প্রায় বাড়িপ্রতিই মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে। কার মসজিদ কত দামি টাইলসে হবে সে প্রতিযোগিতা করে হচ্ছে। নামাজির সংখ্যাও মাশাল্লাহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ছে পর্দানশীল নারী-পুরুষের পরিমাণও। কিন্তু কোথায় যেন একটা গন্ডগোল বেধে গেছে। ফলে বাইরের সবকিছু ঠিক আছে কিন্তু রুহানিয়াতটা নষ্ট হয়ে গেছে। অনেকটা হাইব্রিড ফসলের মতো। খাচ্ছি কিন্তু স্বাদ-পুষ্টি কিছুই পাচ্ছি না। উল্টো দিন দিন দুরারোগ্য ব্যাধির দিকেই এগিয়ে চলছি।

সে দিন এক মহব্বতের লোক এসে বলল, একটা কাজের জন্য একজন কর্মকর্তা তার কাছে ঘুষ চেয়ে বসলেন। জোহরের নামাজের ওয়াক্ত হলে ওই ঘুষখোরকে দেখা গেল অফিসের মসজিদের প্রথম কাতারে। আরেকজন বলেছিল হুজুর! আমার থেকে জোরজবরদস্তি করে যে নেতা জমি কেড়ে নিয়েছে, পনেরো দিন পরই ওমরা করতে গিয়ে দেখি সে আমার আগে আগে তাওয়াফ করছে। সামনের কাতারে দাঁড়ানোর জন্য এক ধরনের ব্যস্ততা দেখাচ্ছে। সময় পেলেই কোরআনুল কারিম তেলাওয়াতে বসে পড়ছে। আরও কত কী!

এসব কথা শুনলে মনটা হু হু করে ওঠে। কোনোভাবেই হিসাব মিলাতে পারি না। একদিকে কোরআন বলছে, ‘অবশ্যই নামাজ অশ্লীল কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে।’ আরেক দিকে সমাজে দেখছি উল্টো চিত্র। এর ব্যাখ্যা কী? দীর্ঘদিন বিষয়টি আমাকে অনেক ভাবিয়েছে। জবাব পেয়েছি এক আল্লাহর সুফির কাছে। নিভৃতচারী শব্দটি এতদিন সাহিত্যে পড়েছি। সুফিকে দেখে মনে হলো সত্যিকারের নিভৃতচারী একেই বলে। কথা বলেন খুব অল্প। তবে যা বলেন অন্তর ঠান্ডা করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

সেদিন খুব বৃষ্টি ছিল। ফকিরের হালকায় জিকির চলছে। একমনে বসে জিকির করছি। একটু পরপর দরুদ পড়ছি। এশার নামাজের আগে আগে ঘড়ি ধরে পাঁচ মিনিট নসিহত করলেন সুফি। মনে হলো পাঁচ শ বইয়ের এলম ট্রান্সফার করে দিয়েছেন আমাদের ভিতর। তিনি বললেন, ‘বাবারা! খোদাকে ডাকতে হলে আগে খোদাকে চিনতে হবে। খোদাকে না চিনে যতই ডাক মনে শান্তি পাবে না। এক সময় রাগে ক্ষোভে মনে হবে সব মিথ্যা। হয়তো মুখে মিথ্যা বলবে না কিন্তু তোমার কাজকর্মে প্রমাণ হবে তুমি আল্লাহকে বিশ্বাস কর না। একজন বেইমান-কাফের যা করে তুমিও তাই করবে। সে ঘুষ খায়, তুমি ঘুষ খাবে, সে জুলুম করে, তুমিও জলুম করবে। সে মদ খায়, জেনা করে, পর্দা করে না, এতিমের সম্পদ আত্মসাৎ করে, তুমিও তাই করতে থাকবে। যদিও তুমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়, বছরে বছরে হজে যাও, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তুমি একজন পাক্কা কাফের।’

একটু থেমে সুফি বললেন, ‘পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘হে বিশ্বাসীরা! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা সালাতের কাছেও যেও না। যতক্ষণ তোমরা যা বলছ তা বুঝতে না পার ততক্ষণ সালাত থেকে দূরে থাক।’ (সুরা নিসা, আয়াত ৪৩) দেখ পবিত্র কোরআনের প্রতিটি আয়াতের অন্তত সাতটি করে অর্থ থাকে। এক ধরনের অর্থ মাদরাসায় পড়ায়। আরেক ধরনের অর্থ পড়ায় আমাদের মতো ফকিরের খানকায়। মাদরাসার অর্থ অনুযায়ী আয়াতের অর্থ হলো, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাজ পড়া হারাম। আর ফকিরি অর্থ হলো, দুনিয়ার মোহ, টাকার নেশা, সম্পদের মহব্বত অন্তরে থাকা অবস্থায় হাকিকি সালাতের কাছে যেতেই পারবে না। শত চেষ্টা করলেও পারবে না। কেননা, কলবে যদি খোদার নূর না থাকে, তাহলে তুমি সালাতের মর্মার্থই বুঝবে না। জাহেরি সালাতে দাঁড়িয়েও তুমি দুনিয়ার চিন্তায় ডুবে থাকবে। চার রাকাত নামাজে চার দোকানের হিসাব মেলাবে। সত্যি করে বল তো, তোমরা যখন নামাজে দাঁড়াও তখন কি সাহাবিদের হাল তৈরি হয়? তোমাদের মাথায় কি পাখি এসে বসে? নাকি তীরের আঘাতের তীব্র যন্ত্রণা ভুলে যাও? কিংবা নামাজে দাঁড়ালে দুনিয়ার সব দুশ্চিন্তা-দুর্ভাবনা চলে যায়। এগুলো কিছুই হয় না। তোমরা বরং কখন নামাজ শেষ করে টাকার ধান্দায় ছুটবে সে জন্য অস্থির হয়ে থাক। তাই বাহ্যিক নেশার পাশাপাশি অন্তরের এই নেশা থেকে মুক্ত হওয়া জরুরি। এ কারণেই আল্লাহ নামাজে দাঁড়ানোর আগে নেশা থেকে মুক্ত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।’


আরও খবর



নতুন কারিকুলামে খেলাধুলাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সরকার শিক্ষার সব পর্যায়ে খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত সরকারিভাবে টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। নতুন কারিকুলামে খেলাধুলাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানুষ বিকাশ হয়।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর ক্রীড়া পরিষদ অডিটোরিয়ামে ‘বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাসিক এক হাজার টাকা হারে বাৎসরিক ১২ হাজার টাকা এবং একাদশ শ্রেণি থেকে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাসিক দুই হাজার টাকা হারে বাৎসরিক চব্বিশ হাজার টাকা দেওয়া হবে। মোট ১০০০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সর্বমোট এক কোটি ৮৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্রীড়াবিদরা দেশের জন্য খেলেন। তারা জীবনের খুব অল্প সময়ই এই খেলাধুলায় নিয়োজিত থাকেন। অনেক সময় দেখা যায়, তারা যখন খেলা থেকে অবসর নেন অথবা তারা যখন অসুস্থ হয়ে যান, তখন তারা খুবই খারাপ সময় কাটান। সরকার তাদের পাশে থাকার উদ্যোগ নিয়েছে। তাদেরকেও ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

করোনাকালে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশন সাত হাজার ৭৬৭ জন অসচ্ছল ক্রীড়াসেবীদের প্রতিজনকে পাঁচ হাজার টাকা হারে বিশেষ অনুদান দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ আহসান রাসেল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।


আরও খবর



শীতে শিশুদের খাদ্যতালিকায় যেসব খাবার রাখবেন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৭জন দেখেছেন

Image

শীতে সুরক্ষিত থাকতে মাফলার, টুপি, সোয়েটার অন্যতম হাতিয়ার। তারপরও নানা রোগবালাই লেগেই থাকে। বিশেষ করে শিশু-শরীরে এই সময় জাঁকিয়ে বসে রোগবালাই। তাই শীতের পোশাক নিয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি সচেতন থাকতে হবে শীতকালের খাবার নিয়েও। 

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম। শীতে আরও কমে যায়। তাই সুস্থ থাকতে এই সময় শিশুদের ডায়েটে বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি। শীতে সন্তানকে কোন খাবারগুলো খাওয়ানো জরুরি? 

শাকসবজির কথা প্রায় সব চিকিৎসকই বলেন। শীতকালীন সবুজ সবজি শিশুর খাদ্যতালিকায় থাকলে শিশুর স্বাস্থ্য থাকবে তরতাজা। 

কাজু, আখরোট, কাঠবাদাম ইত্যাদি বাদামে রয়েছে বিশেষ কিছু পুষ্টিগুণ। শীতকালীন রোগবালাই থেকে শরীরকে রক্ষা করে। বাদামে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফাইবারের মতো উপকারী উপাদান। এই প্রতিটি উপাদান রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই শীতে শিশুকে বেশি করে বাদাম খাওয়ান।

শিশু-শরীরের পুষ্টির জন্য শীতকালে নিয়মিত এক গ্লাস গরম দুধের কোনো বিকল্প নেই। দুধের মধ্যে থাকা পুষ্টিকর উপাদান সব বয়সের মানুষের জন্যই অত্যন্ত উপকারী। তবে শিশুদের শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দুধ শীতে শিশুদের খাওয়ানো জরুরি। 

ডিমে থাকা ভিটামিন ডি, জিংক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ই শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক। তা ছাড়া ডিমে থাকা প্রোটিন শীতকালে শরীর চাঙ্গা রাখার ব্যাপারেও ভালো কাজের।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩