Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

আবারও ভক্তকে মারতে গিয়ে শিরোনামে সাকিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ৪৬৪জন দেখেছেন

Image


দেশবাংলা ক্রীড়া ডেস্ক:

ক্রিকেট মাঠে ব্যাটে বলের নৈপুণ্যে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

মাঠের ক্রিকেটে সাকিবের পারফরম্যান্স প্রশংসনীয়। তবে খেলোয়াড় হিসেবে সাকিব বিশ্বে প্রশংসনীয় হলেও ব্যক্তি সাকিবের আচরণ নিয়ে রয়েছে রাজ্যের প্রশ্ন।

তারকা খ্যাতি পাওয়ার পর থেকেই একের পর এক শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। নিয়ম-নীতিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাচ্ছেন এই ক্রিকেটার।

ক্যামেরাম্যানের ওপর বিরক্ত হয়ে লাইভ ম্যাচে বাজে অঙ্গভঙ্গি, আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পক্ষে না যাওয়ায় স্টাম্পে লাথি, আম্পায়ারকে মারার জন্য তেড়ে যাওয়া, কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনকে মারার জন্য তেড়ে যাওয়াসহ সাকিবের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভাঙ্গের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।


মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে চড় মারার ঘটনা সাকিব ঘটিয়েছেন বহুবার। এবার নতুন করে আবারও বিতর্কে এই ক্রিকেটার। আবারও মেজাজ হারালেন সাকিব।

জানা গেছে, নারায়নগঞ্জে শেখ জামাল ও প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচ চলাকালীন সেলফি তুলতে যান এক ভক্ত। আর তখনই মেজাজ হারান সাকিব।

আজ সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের ম্যাচ নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় সাকিবের শেখ জামাল ও তামিম ইকবালের প্রাইম ব্যাংক।

জানা গেছে, মাঠের পাশে আলাপ করছিলেন সাকিব। এ সময় একজন ভক্ত ছবি তুলতে গেলে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং মারতে উদ্যত হন।

এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ চলাকালীন সময়ে একটি ইভেন্টে উপস্থিত হন সাকিব। তারকা ক্রিকেটারকে সেখানে দেখে তার ভক্ত-সমর্থদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।

নিরাপত্তারক্ষীরা সাকিবকে ঘিরে থাকলেও ভিড়ের মাঝে আটকে পড়েন তিনি। তার সঙ্গে ছবি তোলা এবং অটোগ্রাফের আবদার ছাড়াও তারকা ক্রিকেটারকে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করেন অনেকে।

ভিড়ের মাঝে এক ভক্ত সাকিবের ক্যাপ খুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই মেজাজ হারিয়ে বসেন তারকা ক্রিকেটার। ক্যাপ কেড়ে নিয়ে সেই ক্যাপ দিয়েই ভক্তকে বেশ কয়েকবার মারতে দেখা যায় সাকিবকে। সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।

এছাড়া মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করার সময় ভোট চলাকালীন নিজের আসনের একটি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে যান সাকিব। তখন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারকে সামনে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ভক্ত-সমর্থকরা।

অনেক তরুণ ভক্ত বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন। তখন মানুষের ভিড়ে সাকিব ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না। সেই সময় মেজাজ হারিয়ে এক ভক্তকে কষিয়ে চড় মারেন সাকিব।

মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সাকিব আল হাসানের চড় মারার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এনিয়েও অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেন


আরও খবর



দায়িত্ব পালন অসম্ভব হলে জনগণের সিদ্ধান্ত নেবে সরকার

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ১১১জন দেখেছেন

Image

শনিবার উপদেষ্টা পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই অভ্যুত্থানের জনপ্রত্যাশাকে ধারণ করে। কিন্তু সরকারের স্বকীয়তা, সংস্কার উদ্যোগ, বিচার প্রক্রিয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন ও স্বাভাবিক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কর্মকাণ্ড অর্পিত দায়িত্ব পালন করাকে অসম্ভব করে তুললে সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবে।’

বিবৃতিকে বলা হয়, ‘জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভা শেষে উপদেষ্টা পরিষদের এক অনির্ধারিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর অর্পিত তিনটি প্রধান দায়িত্ব (নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার) বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।’

এসব দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অযৌক্তিক দাবি দাওয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও এখতিয়ার বহির্ভূত বক্তব্য এবং কর্মসূচি দিয়ে যেভাবে স্বাভাবিক কাজের পরিবেশ বাধাগ্রস্ত করে তোলা হচ্ছে এবং জনমনে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে।

এতে আরও যোগ করে বলা হয়, ‘দেশকে স্থিতিশীল রাখতে, নির্বাচন, বিচার ও সংস্কার কাজ এগিয়ে নিতে এবং চিরতরে এদেশে স্বৈরাচারের আগমন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্য প্রয়োজন বলে মনে করে উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য শুনবে এবং সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করবে।’

‘শত বাধার মাঝেও গোষ্ঠীস্বার্থকে উপেক্ষা করে অন্তর্বর্তী সরকার তার ওপর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। যদি পরাজিত শক্তির ইন্ধনে এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারের ওপর আরোপিত দায়িত্ব পালনকে অসম্ভব করে তোলা হয়, তবে সরকার সব কারণ জনসমক্ষে উত্থাপন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগর এলাকায় পরিকল্পনা কমিশনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



গাইবান্ধা স্টেশন মাস্টারকে মারপিটে যুবক স্ত্রীসহ গ্রেফতার : কারাগারে প্রেরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর  রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রী মহিমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার। আনোয়ারুল হক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তারা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে গেলে স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম ও এক যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেশনের প্লাটফর্মের নিচে রেললাইনের উপর ট্রেনের পাশে এক যুবক ও স্টেশন মাস্টার একে অপরকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন। এসময় ওই যুবকের স্ত্রীও সেখানে এগিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রকাশ্যে এমন মারধরের ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি স্টেশনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সামনে ঘটলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসেননি। স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে পুলিশের গায়ে পোশাক থাকলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। একজন সরকারি কর্মকর্তার সাথে এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য। তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার মুঠোফোনে জানান, ঘটনার পর স্টেশন মাস্টার একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে অভিযুক্ত আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রীকে বগুড়া-সান্তাহার রুটে চলন্ত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাদেরকে গাইবান্ধা আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।



আরও খবর



ঘোড়া কোরবানি করা নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১৬৩জন দেখেছেন

Image

ছয় ধরনের গবাদি পশু কোরবানি করা যায়; উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণের মাংস খাওয়া হালাল হলেও হরিণ কোরবানি করা যায় না। একইভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া অনেকের মতে হালাল হলেও ঘোড়া কোরবানি করা যায় না। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। কোরবানি করার জন্য পশুর নির্দিষ্ট বয়সসীমা পার হওয়াও জরুরি। যে কোনো বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। উট কোরবানির জন্য তা কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। এ রকম ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে। উল্লেখ্য যে, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাগল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।


ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিধান কী?

ঘোড়ার মাংস হালাল এবং তা খাওয়া সাধারণভাবে জায়েজ। কিন্তু ঘোড়া যেহেতু এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধে ব্যবহৃত হতো, তাই ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হলে বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দিতে পারে এই আশঙ্কায় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন। কারণ খাদ্যের চেয়ে বাহন হিসেবে ঘোড়ার উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তা বেশি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোড়াকে বাহন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَّ الۡخَیۡلَ وَ الۡبِغَالَ وَ الۡحَمِیۡرَ لِتَرۡكَبُوۡهَا وَ زِیۡنَۃً وَ یَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গর্দভ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা ওগুলোতে আরোহণ করতে পার আর শোভা-সৌন্দর্যের জন্যও; তিনি সৃষ্টি করেন অনেক কিছু যা তোমাদের জানা নেই। (সুরা নাহল: ৮)


বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খেলে যদি বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মত অনুযায়ী ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বিবেচিত হবে। এ ছাড়া হানাফি মাজহাবের অন্য দুই বড় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ও মুহাম্মাদ (রহ.) এবং অন্যান্য মাজহাবের ইমামগণ ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে পুরোপুরি হালাল বলেছেন। তাদের মতের পক্ষে কিছু হাদিস পাওয়া যায়। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) খায়বারের দিন গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি: ৩৯৮২, সহিহ মুসলিম: ১৯৪১)


আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) যুগে একটি ঘোড়া জবাই করে তা খেয়েছিলাম। (সহিহ বুখারি: ৫১৯১, সহিহ মুসলিম: ১৯৪২)


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফর করেছিলাম। ওই সফরে আমরা ঘোড়ার মাংস খেতাম এবং তার দুধ পান করতাম। (দারাকুতনি ও বায়হাকি)


আরও খবর



নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি বিএনপির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৯৮জন দেখেছেন

Image


দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানের কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও প্রশ্ন উঠেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী একাধিক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের অন্তর্বর্তী নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে তার অবিলম্বে পদত্যাগ এবং তার দেশের-বিদেশে অবস্থান সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ দেড় দশকের ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতন্ত্র আন্দোলনের সময় ড. খলিলুর রহমানের কোনও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল না। অথচ তিনি হঠাৎ করে নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ পেয়েছেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক সন্দেহ ও প্রশ্ন ওঠেছে। রিজভী বলেন, ‘রাষ্ট্র নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো সুযোগ নেই,’ এবং বলেন, ‘ড. খলিলুর রহমানের বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য দেশের জনগণের সামনে আনতে হবে।’

শুক্রবার (২২ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও জানান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মন্তব্য বিশেষত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে বিস্ময়, উদ্বেগ ও ক্ষোভ তৈরি করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, ড. খলিলুর রহমান তারেক রহমানের রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা বিনষ্ট এবং জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন। এ ধরনের বক্তব্য রাষ্ট্রের উচ্চ পদে থাকা একজনের জন্য আত্মগরিমার প্রদর্শন নয়, বরং দুর্নীতিপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে ড. খলিলুর রহমান তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র আমি আমেরিকায় থেকেছি বলে আমাকে যদি বলা হয় আপনি বিদেশি নাগরিক, তাহলে কালকে তারেক রহমানকেও সে কথা বলতে হবে।’ রিজভী এ মন্তব্যকে ‘ধান ভানতে শিবের গীত’ বলে উল্লেখ করে বলেন, এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টার অংশ।

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘মানবিক করিডোর’ নামে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিয়ে ড. খলিলুর রহমান বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কীভাবে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি, যাকে ‘কুশীলব’ হিসেবে অভিহিত করা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আসীন হতে পারেন? তিনি দাবি করেন, এ ধরনের পরিস্থিতি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।

বিএনপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে নির্বাসিত জীবনে রয়েছেন, যেখানে তিনি দেশের জন্য কঠোর সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু তার রাজনৈতিক অবস্থান ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অবৈধ ও বিভ্রান্তিমূলক প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে, যা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

রিজভী বলেন, ‘আমরা আর নতুন করে কোনো স্বৈরাচারী বা প্রভুত্ববাদের অধীনে থাকতে চাই না। দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থে এমন বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য তুলে ধরার প্রয়োজন।’ তিনি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আহ্বান জানান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে ড. খলিলুর রহমানকে অবিলম্বে সরিয়ে দেশে-বিদেশে তার অবস্থান সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জনগণের সামনে উন্মুক্ত করতে।

বিএনপির এই পদক্ষেপের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করা এবং রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা অক্ষুণ্ণ রাখা। রিজভীর কথায়, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ নেই, জনমনে সৃষ্ট সন্দেহ দূরীকরণ জরুরি।’


আরও খবর



মহেশখালী-মাতারবাড়ী উন্নয়নে গতি আনতে মাস্টারপ্ল্যানের তাগিদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

উপকূলীয় মাতারবাড়ী অঞ্চলে গড়ে উঠছে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ সমুদ্রবন্দর, জ্বালানি কেন্দ্র এবং রপ্তানিমুখী শিল্পাঞ্চল—এই লক্ষ্য সামনে রেখে অবকাঠামোগত উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একাধিক আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে এই অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ঘিরে বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন কর্মসূচি (এমআইডিআই), যা এই অঞ্চলকে পরিণত করতে যাচ্ছে একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক করিডোরে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মাতারবাড়ীকে বন্দর, উৎপাদন ও জ্বালানির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হলে অবকাঠামো উন্নয়ন ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় দ্রুত অগ্রগতি আনতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও নৌপরিবহন সচিবদের উদ্দেশে তিনি নির্দেশনা দেন—মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে হবে। পাশাপাশি সমুদ্রগামী বড় কনটেইনার জাহাজগুলোকে ধারণে সক্ষম টার্মিনাল গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন।

শুধু শিল্প নয়, শ্রমিকদের জন্যও পরিকল্পিত নগর উন্নয়ন অপরিহার্য—এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একটি পরিকল্পিত শহর গড়ে তুলতে হবে, যেখানে মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল ও সংশ্লিষ্ট কারখানাগুলোর কর্মীদের জন্য মানসম্পন্ন জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বৈঠকে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সফলভাবে প্রথম জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের পর, জাপান এখন মাতারবাড়ী-মহেশখালী অঞ্চলে তাদের দ্বিতীয় একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এছাড়া সৌদি আরবের পেট্রোকেমিক্যাল জায়ান্ট আরামকো, আবুধাবি পোর্টস, সৌদি বন্দর পরিচালনাকারী সংস্থা রেড সি গেটওয়ে, জাপানি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেইআরএ এবং মালয়েশিয়ার পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি পেট্রোনাসসহ একাধিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি এই অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশ সম্প্রতি মাতারবাড়ীতে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে জাপানের পেন্টা-ওশেন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এবং টোয়া কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)-এর সহায়তায় বাস্তবায়িত এই প্রকল্প এমআইডিআই উদ্যোগের মূলভিত্তি হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস জানান, বুধবার (২৮ মে) শুরু হতে যাওয়া তার জাপান সফরে এমআইডিআই অঞ্চলের উন্নয়ন একটি গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে উপস্থাপিত হবে। তিনি ৩০ মে টোকিওতে আয়োজিত ৩০তম ‘নিক্কেই ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন। এই আলোচনায় মূলত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অর্থায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে একটি সুসংহত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন। তার মতে, মাতারবাড়ীকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে হলে সমন্বিত পরিকল্পনা ও রূপরেখা থাকা জরুরি।

এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া। এতে উপস্থিত ছিলেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ এবং সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। বৈঠকে এমআইডিআই সেলের মহাপরিচালক সারওয়ার আলম প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন।


আরও খবর