Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

আদালতে কাঁদলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্য ও সে সময় আদালতে হয়রানির অভিযোগ তুলে ধরতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তার আইনজীবী। বিএনপির আইন সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সর্বোচ্চ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্না করে ফেলেন।


বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয় রেফাত আহমেদের নের্তৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই মামলা বাতিল আবেদনের ওপর তৃতীয় দিনের মতো শুনানি চলছিল। পরে এ মামলার অপর আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো) কামালের আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত না হওয়ায়, আদালত আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি মূলতবি করেন। ওইদিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।



বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতে এ মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্য পড়ে শোনানা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।


ওই বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘প্রায় ৩ যুগ আগে মানুষের ডাকে ও ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে আমি রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখি। সে দিন থেকেই বিসর্জন দিয়েছি নিজের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ। আমি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দেশে ও জনগণের ভাগ্যের সঙ্গে নিজের ভাগ্যকে একাকার করে ফেলেছি। আমার নিজের কোনো পৃথক আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাই আমার আশা আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়েছে। আমার জীবন পুরোপুরি জড়িয়ে গেছে এদেশের মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যয়ের সঙ্গে। তারে সুখ-দুঃখ ও উত্থান পতনের সঙ্গে।’



তিনি আরও বলেছিলেন, ‘দেশ জাতি যখন সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে, আধিকার হারিয়েছে, বিপন্ন হয়েছে তখন আমিও নানাভাবে আক্রান্ত হয়েছি। আমার পরিবারও পড়েছে নানামুখী সমস্যা সংকটে। বারবারই প্রকাশ হয়েছে যে বাংলাদেশ ও এদেশের জনগণের ভাগ্যের সঙ্গে আমার নিজের ও আমার পরিবারের ভাগ্য একসূত্রে গাথা হয়ে গেছে।’ এই বক্তব্য তুলে ধরার সময় কায়সার কামালের চোখে জল চলে আসে। যখন অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি এই বক্তব্য তুলে ধরছিলেন তখন পুরো আদালত কক্ষে পিনপতন নীরবতা।


আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদা জিয়ার য়ো দীর্ঘ বক্তব্যের অংশ বিশেষ তুলে ধরে আপিল শুনানিতে কায়সার কামাল বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি করতে হয়েছে। ১০/১২ জন আইনজীবীকে ভেতরে যেতে অনুমতি দিত। এমনকি সিনিয়র আইনজীবীরা আদালতের কাছে অনুনয় বিনয় করে খালেদা জিয়াকে বসার জন্য অনুমতি চাইতেন। আমরা পিঁড়ি নিয়ে আদালতে যেতাম। সেই ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে আমাদের আইনি লড়াই চালাতে হয়েছে।


তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তো দেশের কোনো সাধারণ নাগরিক নন। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী। সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে যে আচরণ তার প্রতি করার দরকার ছিল দুকের তৎকালীন পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল সেটা করেননি। খালেদা প্রতি তীর্যক মন্তব্য করেছেন বিচার চলাকালে। আমারে প্রত্যাশা দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ন্যায়বিচার পাবেন। মামলায় আনীত অভিযোগের সঙ্গে যার কোনো বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নাই সেই মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যা ছিল অন্যায়।


সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, বিশেষ আদালত বিচারের নামে অবিচার করেছে। আপিল বিভাগের কাছে আবেদন ওই আদালতের রায় বাতিল করে খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হোক। শুধু খালেদা জিয়াই নয় অন্যান্য আপিলকারী ও আপিল করেনি তাদেরও খালাস দেওয়ার আবেদন করছি।


রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও দুদকের পক্ষে মো. আসিফ হাসান শুনানি করেন। এদিকে মামলার দণ্ডিত আসামি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছে আপিল বিভাগ।


আদালতে আপিলের পক্ষে ছিলেন আরও শুনানিতে ছিলেন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।


এর আগে ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে খালেদা জিয়া আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।


এদিকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একটি রায় দেন। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।


পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। পরে শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত নভেম্বরে আপিল মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াসহ সবার সাজা বাতিল করে দেন। যদিও এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।


এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর প্রগতিশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা, সমুদ্রে অপরাধ দমন ও সুশাসন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক সহায়তায় দেশে-বিদেশে নৌবাহিনীর অংশগ্রহণ এবং ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নৌবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান।

সেনাবাহিনী প্রধান রোববার বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০২২-বি ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৫-এ ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২২-বি ব্যাচের ৪৪ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২৫-এ ব্যাচের ৮জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৫২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন।

উল্লেখ্য, কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জন নারী এবং ৪ জন বিদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন।  কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বিভিন্ন বিষয়ে কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন। সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে মিডশিপম্যান মেহেদী হাসান মৃধা,(এক্স), বিএন সকল বিষয়ে সেরা চৌকস মিডশিপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন।

মিডশিপম্যান মো. মেহেরাব হক তনি, (এক্স), বিএন প্রশিক্ষণে ২য় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ প্রধান স্বর্ণপদক’ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার অ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট রাজীব দত্ত, (শিক্ষা), বিএন কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। এছাড়াও, মিডশিপম্যান্ট আবুহোরাইরা এলবাদাউয়ি আহমেদ আবদেলনাইম, (এক্স) এসইউডি (সুদান আর্মি) সেরা চৌকস বিদেশি মিডশিপম্যান হিসেবে প্রথমবারের মতো ‘বিএনএ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক’ লাভ করেন। পরে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান ব্রত নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।

সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর ভাষণের শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নবীন কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি নবীন কর্মকর্তাদের সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন। পেশা হিসেবে দেশ সেবার এ মহান দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নবীন কর্মকর্তা ও তাদের অভিভাবকবৃন্দকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য প্রশিক্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও নৌসদস্যদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



শিশুশ্রম নির্মূলের জন্য ও শিশুদের স্কুলমুখী করতে অসহায় পরিবারের মাঝে হাঁস বিতরণ।

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

 মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু 

 স্টাফ রিপোর্টার

শরণখোলা উপজেলায় শিশুশ্রম নির্মূলের জন্য ও শিশুদের স্কুলমুখী করতে পরিবারের বিকল্প আয় বৃদ্ধির জন্য অসহায় পরিবারের মাঝে হাঁস বিতরণ করা হয়। গ্লোবাল মার্চ এবং কর্ড এইড এর অর্থায়নে উদয়ন বাংলাদেশের বাস্তবায়নে শরণখোলা উপজেলার  ২ নং খোন্তাকাটা ৩ নং রায়েন্দা ও ৪ নং সাউথখালী ইউনিয়নের অসহায় পরিবারের শিশুশ্রম নির্মূলের জন্য হাঁস ছাগলসহ পরিবারের সদস্যদের কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে । আগেও শরণখোলা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ১২০ জন সদস্য নির্বাচিত করে এদের মধ্য থেকে ৪০ জনকে ছাগল ও ৮০ জনকে হাঁস বিতরণ করা হয়। হাঁস বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন শরণখোলা উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ভেটেনারি সার্জন ডাঃ আল মামুন জুয়েল কর্ড এইডের ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার কো-অর্ডিনেটর মোঃ জয়নাল আবেদিন উদয়ন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইসরাত জাহান।



আরও খবর



গাইবান্ধায় পান ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট এলাকায় কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন একটি বাগান থেকে আব্দুল খালেক মিয়া (৩৫) নামে এক পান ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আব্দুল খালেক মিয়া উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে পান ব্যবসা করেন। সকালে গাইবান্ধা-নাকাইহাট ভাইয়া গোবিন্দগঞ্জ সড়কের পাশের বাগানে তার গলা কাটা মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার হাটে যান আব্দুল খালেক। কিন্তু গভীর রাতেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজতে থাকেন। পরে শুক্রবার সকালে নাকাইহাট বাজারের পাশের বাগানে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নিহতের বড় ভাই আলম মিয়া বলেন, আব্দুল খালেক শারীরিক প্রতিবন্ধী ও সরল প্রকৃতির ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেন তিনি।
এব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি রংপুর থেকে ক্রাইম টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করবে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



প্রায় ৬০ কোটি টাকার টোল আদায় ঈদের ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

ঈদের ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতুতে প্রায় ৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

সেতু বিভাগের সচিব এম আব্দুর রউফ জানান, ঈদুল আজহার ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতু পারাপারের ক্ষেত্রে সর্বাধিক যানবাহন দেখা গেছে।

তিনি বলেন, সেতু পারাপারের সময় কমানোর লক্ষ্যে সেতুগুলোতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ (ইটিসি) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।

সচিব বলেন, আমরা ছয়টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি, যাতে যানবাহনগুলো অ্যাপের মাধ্যমে টোল পরিশোধ করে দ্রুত সেতু পার হতে পারে।

সূত্র জানায়, ৫ জুন পদ্মা ও যমুনা সেতু তাদের সর্বোচ্চ দৈনিক টোল সংগ্রহ ও যানবাহন পারাপারের রেকর্ড করেছে।

এই ঈদের ছুটিতে দেশের বৃহৎ সেতু দুটি থেকে বিপুল পরিমাণ টোল আদায় করা হয়েছে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ ৫ জুন সর্বোচ্চ ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার টোল আদায় করেছে। 
একই দিনে যমুনা সেতু থেকে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকার টোল আদায় করা হয়েছে।

৫ জুন, যমুনা সেতু দিয়ে ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন এবং পদ্মা সেতু দিয়ে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন অতিক্রম করে।


আরও খবর



নিহত সাবেক এমপি আনারের ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়ি মিলল কুষ্টিয়ায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ জুলাই ২০২৫ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

 কুষ্টিয়া শহরের একটি বহুতল ভবনের পার্কিং জোনে একটি ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়ির সন্ধান মিলেছে। কোটি টাকার গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিহত আনোয়ারুল আজিম আনারের বলে জানায় পুলিশ ও স্থানীয়রা।

গাড়িটির সন্ধান মিললে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যান। কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনের ৮ তলা বিশিষ্ট সাফিনা টাওয়ার নামের ভবনের গ্যারেজে ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ব্র্যান্ডের গাড়িটি পাওয়া যায়। গাড়ি থেকে গাড়ির কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করেছে পুলিশ। কালো কালারের গাড়িটির নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো-ঘ ১২-৬০৬০’।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার এসআই স্বপন বাসস’কে বলেছেন, ‘গাড়ির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। গাড়ি থেকে গাড়ির কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে- গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হবে।’

স্থানীয়রা বলেছেন, আমরা গাড়িটির খবর পাই। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে গাড়িটি দেখতে পান। পুলিশ গাড়ি থেকে গাড়ির কাগজপত্র, সংসদ সদস্য ও সিআইপি স্টিকার উদ্ধার করেছে। গাড়িটি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাগজপত্রে তার নাম রয়েছে। এই গাড়িটি বেশ কয়েকমাস আগে বাড়ির গ্যারেজে রাখা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সাব্বির  বলেছেন, ‘আমরা প্রথমে শুনতে পাই যে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের গাড়ি রাখা আছে সাফিনা টাওয়ারের গ্যারেজে। পরে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ গাড়ি থেকে গাড়ির কাগজপত্র উদ্ধার করেছে। সংসদ সদস্যের স্টিকার উদ্ধার করেছে। এই গাড়ির চালক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগার আলীর গাড়ি চালক ছিলেন এক সময়। তিনিই গাড়ি থেকে কাগজপত্র ও স্টিকার দেন পুলিশকে। গাড়ির কাগজপত্র দেখে বোঝা যায় যে, গাড়িটির মালিক ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার।


আরও খবর