Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

আদালতে কাঁদলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৯০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্য ও সে সময় আদালতে হয়রানির অভিযোগ তুলে ধরতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তার আইনজীবী। বিএনপির আইন সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সর্বোচ্চ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার সময় কান্না করে ফেলেন।


বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয় রেফাত আহমেদের নের্তৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এই মামলা বাতিল আবেদনের ওপর তৃতীয় দিনের মতো শুনানি চলছিল। পরে এ মামলার অপর আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল (ইকোনো) কামালের আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত না হওয়ায়, আদালত আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি মূলতবি করেন। ওইদিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।



বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালতে এ মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়ার দেওয়া বক্তব্য পড়ে শোনানা ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।


ওই বক্তব্যে খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘প্রায় ৩ যুগ আগে মানুষের ডাকে ও ভালোবাসায় সাড়া দিয়ে আমি রাজনীতির অঙ্গনে পা রাখি। সে দিন থেকেই বিসর্জন দিয়েছি নিজের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ। আমি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দেশে ও জনগণের ভাগ্যের সঙ্গে নিজের ভাগ্যকে একাকার করে ফেলেছি। আমার নিজের কোনো পৃথক আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাই আমার আশা আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়েছে। আমার জীবন পুরোপুরি জড়িয়ে গেছে এদেশের মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যয়ের সঙ্গে। তারে সুখ-দুঃখ ও উত্থান পতনের সঙ্গে।’



তিনি আরও বলেছিলেন, ‘দেশ জাতি যখন সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে, আধিকার হারিয়েছে, বিপন্ন হয়েছে তখন আমিও নানাভাবে আক্রান্ত হয়েছি। আমার পরিবারও পড়েছে নানামুখী সমস্যা সংকটে। বারবারই প্রকাশ হয়েছে যে বাংলাদেশ ও এদেশের জনগণের ভাগ্যের সঙ্গে আমার নিজের ও আমার পরিবারের ভাগ্য একসূত্রে গাথা হয়ে গেছে।’ এই বক্তব্য তুলে ধরার সময় কায়সার কামালের চোখে জল চলে আসে। যখন অশ্রুসিক্ত নয়নে তিনি এই বক্তব্য তুলে ধরছিলেন তখন পুরো আদালত কক্ষে পিনপতন নীরবতা।


আত্মপক্ষ সমর্থনে খালেদা জিয়ার য়ো দীর্ঘ বক্তব্যের অংশ বিশেষ তুলে ধরে আপিল শুনানিতে কায়সার কামাল বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে বিশেষ আদালতে এই মামলার শুনানি করতে হয়েছে। ১০/১২ জন আইনজীবীকে ভেতরে যেতে অনুমতি দিত। এমনকি সিনিয়র আইনজীবীরা আদালতের কাছে অনুনয় বিনয় করে খালেদা জিয়াকে বসার জন্য অনুমতি চাইতেন। আমরা পিঁড়ি নিয়ে আদালতে যেতাম। সেই ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষে আমাদের আইনি লড়াই চালাতে হয়েছে।


তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তো দেশের কোনো সাধারণ নাগরিক নন। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী। সিনিয়র সিটিজেন হিসাবে যে আচরণ তার প্রতি করার দরকার ছিল দুকের তৎকালীন পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল সেটা করেননি। খালেদা প্রতি তীর্যক মন্তব্য করেছেন বিচার চলাকালে। আমারে প্রত্যাশা দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন ন্যায়বিচার পাবেন। মামলায় আনীত অভিযোগের সঙ্গে যার কোনো বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নাই সেই মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। যা ছিল অন্যায়।


সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, বিশেষ আদালত বিচারের নামে অবিচার করেছে। আপিল বিভাগের কাছে আবেদন ওই আদালতের রায় বাতিল করে খালেদা জিয়াকে খালাস দেওয়া হোক। শুধু খালেদা জিয়াই নয় অন্যান্য আপিলকারী ও আপিল করেনি তাদেরও খালাস দেওয়ার আবেদন করছি।


রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও দুদকের পক্ষে মো. আসিফ হাসান শুনানি করেন। এদিকে মামলার দণ্ডিত আসামি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিল শুনানির জন্য প্রস্তুত না হওয়ায় আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছে আপিল বিভাগ।


আদালতে আপিলের পক্ষে ছিলেন আরও শুনানিতে ছিলেন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল ও রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, মাকসুদ উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।


এর আগে ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে আপিলের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া সাজার রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে খালেদা জিয়া আপিল করেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। একই বছরের ২৮ মার্চ খালেদার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল দেন হাইকোর্ট। সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। এছাড়া পাঁচ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়া এবং ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিল খারিজ করেন আদালত।


এদিকে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের ৭ নম্বর কক্ষে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান একটি রায় দেন। রায়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সাজা হয়েছে মামলার অপর তিন আসামিরও।


পরে একই বছরের ১৮ নভেম্বর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। পরে শুনানি শেষে হাইকোর্ট গত নভেম্বরে আপিল মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াসহ সবার সাজা বাতিল করে দেন। যদিও এ দুই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।


এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের দাবি, বিএনপি চেয়ারপারসনের দণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। তারপরও আপিল শুনানি কেন? আমরা বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তিনি ক্ষমাও চাননি। তাই এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করতে আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন।


আরও খবর



শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক সংঘটিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার ও শাস্তির দাবীতে স্মারকলিপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

মাহফুজুল ইসলাম মন্নু : শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক সংগঠিত সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের যথাযথ বিচার ও শাস্তির দাবিতে লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ই ফেব্রুয়ারী) দুপুরে লোহাগড়া উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি ' মার্চ ফর জাস্টিস' উপলক্ষে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো: গিয়াস উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান রাজ, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম মুন্না, লোহাগড়া সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান হৃদয়সহ প্রমূখ।

লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কামরুন নাহার লিনা স্মারকলিপি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



ইসলাম শিক্ষকদের বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২৭জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক : সমাজের সম্মানিত মানুষদের মধ্যে শিক্ষকরা অন্যতম। কেননা শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এই মেরুদণ্ড দণ্ডায়মান রাখার কাজটি শিক্ষকরাই করে থাকেন। তাঁরা আমাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। আমাদের জীবন আলোকিত করেন। তাঁদের একেক ফোঁটা ঘাম আমাদের চলার পথের আলোকবর্তিকার জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। তাঁরা নিজেকে জ্বালিয়ে বিশ্বকে আলোকিত করেন। ইসলাম তাঁদের বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।

রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জ্ঞান অর্জন করো এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য আদব-শিষ্টাচার শেখো। এবং তাঁকে সম্মান করো, যাঁর থেকে তোমরা জ্ঞান অর্জন করো।’ (আল-মুজামুল আউসাত, হাদিস : ৬১৮৪)। শিক্ষকতার পেশা সম্মানিত হওয়ার আরেকটি কারণ রাসুল (সা.) নিজেই ছিলেন একজন শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমাকে শিক্ষক হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২২৯)। আবার সমাজ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের মধ্যে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিলে, তা নিশ্চয়ই সমাজে বিপর্যয় ডেকে আনে। বিস্কুট বানানোর ছাঁচে ত্রুটি থাকলে যেমন তা দিয়ে তৈরি করা বিস্কুটগুলো ত্রুটিযুক্ত হবে। তেমন কোনো শিক্ষক নীতি-নৈতিকতা হারিয়ে ফেললে তার প্রভাব তার ছাত্রদের মধ্যে পড়বে। তাদের মধ্যেও অনৈতিকতার চর্চা হবে স্বাভাবিক বিষয়।


আরও খবর



ভারতীয় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ২৭১টি ভুয়া তথ্য প্রচারিত: রিউমার স্ক্যানার

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৫১জন দেখেছেন

Image
তথ্যভিত্তিক ভুলই ছিল ১১৫টি। ছবি কেন্দ্রিক ভুল ছিল ৫৪টি এবং ভিডিও কেন্দ্রিক ভুল ছিল ১০২টি। শনাক্ত হওয়া ভুল তথ্যগুলোর মধ্যে মিথ্যা হিসেবে ১৭৫টি, বিভ্রান্তিকর হিসেবে ৬৫টি এবং বিকৃত হিসেবে ৩১টি

অনলাইন ডেস্ক : ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের ২৭১টি প্রমাণ মিলেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া এসব ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে সংস্থাটি। ক্যাটাগরিভিত্তিক ভুল তথ্য শনাক্ত ছাড়াও বিদায়ী মাসে দুইটি পরিসংখ্যান এবং একটি ফ্যাক্ট ফাইলও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

রোববার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, গণনাকৃত এই সংখ্যার মধ্যে রাজনৈতিক বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ১১৪টি ভুল তথ্যে ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মিলেছে। যা মোট ভুল তথ্যের ৪২ শতাংশ। এছাড়াও জাতীয় বিষয়ে ৬৭টি, আন্তর্জাতিক বিষয়ে ২৯টি, ধর্মীয় বিষয়ে ১৮টি, বিনোদন ও সাহিত্য বিষয়ে ১৫টি, শিক্ষা বিষয়ে নয়টি, প্রতারণা বিষয়ে ছয়টি, খেলাধুলা বিষয়ে পাঁচটি ভুল তথ্য শনাক্ত হয় ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানে।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, এসব ঘটনায় তথ্যভিত্তিক ভুলই ছিল ১১৫টি। ছবি কেন্দ্রিক ভুল ছিল ৫৪টি এবং ভিডিও কেন্দ্রিক ভুল ছিল ১০২টি। শনাক্ত হওয়া ভুল তথ্যগুলোর মধ্যে মিথ্যা হিসেবে ১৭৫টি, বিভ্রান্তিকর হিসেবে ৬৫টি এবং বিকৃত হিসেবে ৩১টি ঘটনাকে সাব্যস্ত করা হয়েছে।

রিউমার স্ক্যানারের  অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, প্লাটফর্ম হিসেবে গত মাসে ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। যা সংখ্যার হিসেবে ২২৫টি। এছাড়াও এক্সে ৫৬টি, টিকটকে ৪৪টি, ইউটিউবে ৪২টি, ইন্সটাগ্রামে ১৯টি, থ্রেডসে অন্তত একটি ভুল তথ্য প্রচারের প্রমাণ মিলেছে।

রিউমার স্ক্যানার জানায়, ভুল তথ্য প্রচারের তালিকা থেকে বাদ যায়নি দেশের গণমাধ্যমও। ১৬টি ঘটনায় দেশের একাধিক গণমাধ্যমে ভুল তথ্য প্রচার হতে দেখেছে রিউমার স্ক্যানার।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। গেল জানুয়ারিতে এই ধারাবাহিকতা দেখেছে রিউমার স্ক্যানার। সংস্থাটি জানায়, গত মাসে ভারতীয় গণমাধ্যমে সাতটি ঘটনায় বাংলাদেশকে জড়িয়ে অপতথ্য প্রচার করা হয়েছে। নয়টি ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হয়েছে।

সাম্প্রদায়িক অপতথ্য প্রচারের বিষয়টি কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় রয়েছে। জানুয়ারিতে এমন ৩২টি সাম্প্রদায়িক অপতথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। এর মধ্যে ২৫টি ঘটনাতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে অপতথ্য প্রচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

রিউমার স্ক্যানার টিমের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গেল মাসে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে জড়িয়ে ১৩টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ভুল তথ্যগুলোর ধরন বুঝতে এগুলোকে রিউমার স্ক্যানার দুইটি আলাদা ভাগে ভাগ করেছে। 

সরকারের পক্ষে যায় এমন ভুল তথ্যের প্রচারকে ইতিবাচক এবং বিপক্ষে যায় এমন অপতথ্যের প্রচারকে নেতিবাচক হিসেবে ধরে নিয়ে রিউমার স্ক্যানার দেখেছে, ৭৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই এসব অপতথ্য সরকারের বিপক্ষে যাওয়ার সুযোগ রেখেছে। জানুয়ারিতে ১২টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও। সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে ড. আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, নাহিদ ইসলাম ও আ ফ ম খালিদ হোসেনকে জড়িয়ে ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা রিউমার স্ক্যানার।

রিউমার স্ক্যানার গেল মাসের ফ্যাক্টচেকগুলো বিশ্লেষণে দেখেছে, এই সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভুল তথ্যের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এর মধ্যে দলটির প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন ভুল তথ্য শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৯৪ শতাংশ। এই সময়ে দলটির ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে প্রচার হওয়া ভুল তথ্য শনাক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) জড়িয়ে ভুল তথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমার স্ক্যানার। এই সময়ে দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নিয়ে ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, গত বছরের আগস্টে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে গত মাসে অপতথ্য শনাক্ত করেছে। তবে এসব অপতথ্য  তাদের পক্ষে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির সুযোগ রেখেছে বলে রিউমার স্ক্যানার শনাক্ত করেছে।

ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থাটি জানায়, ভুল তথ্যের রোষাণল থেকে রক্ষা পায়নি রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোও। গেল মাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে জড়িয়ে দুইটিসহ এই বাহিনীকে জড়িয়ে ১২টি ভুল তথ্যের প্রচার দেখেছে রিউমার স্ক্যানার। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা মেট্রোপলিটনের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে জড়িয়ে একটিসহ পুলিশের বিষয়ে ছড়ানো চারটি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। এর বাইরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) জড়িয়ে দুইটি ভুয়া তথ্যের প্রচার ছিল জানুয়ারিতে।

কোটা আন্দোলন থেকে সরকার পতনের সময়কে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। এ সংগঠনকে ও নেতাদের জড়িয়ে নিয়মিতই ভুয়া তথ্যের প্রচার শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও ঢাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁচটি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার। গত মাসে গণমাধ্যমের নাম, লোগো, শিরোনাম এবং নকল ও ভুয়া ফটোকার্ড ব্যবহার করে ৩৩টি ঘটনায় দেশি ও বিদেশি ২০টি সংবাদমাধ্যমকে জড়িয়ে ৩৯টি ভুল তথ্য প্রচার করা হয়েছে। এসব প্রচার মিথ্যা ও ভুল তথ্যের বলে সনাক্ত করেছে রিউমার স্ক্যানার।


সূত্র: বাসস


আরও খবর

প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শন

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এপ্রিল হতে পারে ইউনূস-মোদি সাক্ষাৎ

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পেমেন্ট ইস্যুেত গণমাধ্যমকে নিউজ করতে বারণ করলেন আশরাফুল

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

খেলাধুলা ডেস্ক : ক্রিকেটারদের পেমেন্ট নিয়ে যেন সার্কাস চলছে বিপিএলে। দুর্বার রাজশাহীর পেমেন্ট নিয়ে জটিলতা চলছে শুরু থেকেই। কিছুদিন আগে চিটাগং কিংসের পেমেন্ট নিয়েও উঠেছে বিতর্ক। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিপিএল। বিদেশের নানা প্লেয়াররা আসেন এই টুর্নামেন্টে খেলতে। এমন টুর্নামেন্টে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের এমন অপেশাদারিত্বের ব্যাপারটি বাংলাদেশের জন্য নিশ্চিতভাবেই সুখকর নয়। পেমেন্ট না পেয়ে অনুশীলন বয়কট করেছিলেন রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। এবার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করেছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। ১১ জন দেশি নিয়েই মাঠে নেমেছে দুর্বার রাজশাহী। এই দল নিয়ে টেবিল টপার রংপুর রাইডার্সকে হারিয়েও দিয়েছে রাজশাহী। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে ২ রানের জয় পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী। ম্যাচ শেষে দুই দলের সংবাদ সম্মেলনেই এসেছে ক্রিকেটারদের পেমেন্ট ইস্যু। টাকা দেওয়া নিয়ে এমন গড়িমসির ব্যাপারটি নিয়ে রংপুর রাইডার্সের সহকারী কোচ মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘অবশ্যই হতাশাজনক। ১১তম আসরে এসে। আইপিএল ১৭তম মনে হয় চলছে। গত ২০২৩ বিশ্বকাপে গিয়ে দেখেছি আইপিএলের কারণে প্রতি ভারত স্টেটে স্টেডিয়াম তৈরি করেছে। আমরা একই জায়গায় প্রতিবার টুর্নামেন্ট করি, আগের দিন হেলমেট আসে। আশা করি পরের বার তারা সচেতন হবে।

বিশেষ করে মিডিয়াকে বলব, আপনারা এই নিউজগুলা একটু কম করলে ভালো হয়। জানি আপনাদের নিউজের কারণে অনেকে পেমেন্ট পায়, তবে আমার মনে হয় এগুলা না করলেই ভালো।’ একাদশে অন্তত ২ জন বিদেশি খেলানোর নিয়ম থাকলেও এই ম্যাচে রাজশাহীকে ব্যতিক্রম করার সুযোগ দিয়েছে বিসিবি। এই ব্যাপারে আশরাফুল জানান, ‘আসছিলাম যখন শুনছিলাম তাদের (রাজশাহীর) বিদেশিরা হয়ত আসবে না। যেহেতু তারা বোর্ডের কাছে আবেদন করেছে, আমরা এটা স্বাভাবিকভাবেই দেখেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে, তাদের বিদেশিদের থেকে দেশিরাই বেটার ছিল। যারা খেলেছে তারাই, লোকালরা যারা বসে থাকেন তারাই ভালো প্লেয়ার আমার মনে হয়। এবার দেখেন অতটা কোয়ালিটি বিদেশি কিন্তু কমই এসেছে সব দলে।’ ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে ১১৯ রান তুলেছিল রাজশাহী। রংপুর থেমেছে ১১৭ রান করে।

শুরুতে দারুণ বোলিং করা রংপুর কিছুটা খেই হারিয়েছিল শেষ ভাগে গিয়ে। এ ব্যাপারে আশরাফুলের ভাষ্য, ‘অবশ্যই আমাদের কাছে সুযোগ ছিল ১০০ এর মধ্যে রাখা। যখন ৭০/৭ বা ৮ ছিল। সানজামুল (ইসলাম) ভালো করেছেন শেষ দিকে। আমাদের বোলাররাও আসলে যে জায়গায় বল করা উচিত ছিল সেখানে করতে পারেনি। রানা ব্যাক অব লেন্থে করেছেন। ওর যে পেস, যদি একটা ইয়র্কার, একটা ব্যাক অব লেন্থে ট্রাই করত তাহলে অন্যকিছু হতে পারত।’ চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা সৌম্য সরকার আলো ছড়াতে পারেননি। ১৩ বলে করেছেন ৮ রান। তবে চিন্তিত নন আশরাফুল। সৌম্যকে নিয়ে আশরাফুল বলেন, ‘নাহ সে তো আমাদের মেইন প্লেয়ার। গ্লোবাল টি-টোয়েন্টিতে অসাধারণ খেলেছে। ফাইনালেও ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও ভালো করেছে। ইঞ্জুরির পর ট্রেনিং করেছে আমাদের সাথে। আজকের উইকেটও কঠিন ছিল। বাউন্স নরমালের চেয়ে ৪ আঙুল বেশি ছিল। আজকে সহজ ছিল না, অভিজ্ঞ প্লেয়ার। ২ ম্যাচ বাকি আছে। আশা করছি সেরা ছন্দে চলে আসবে ইনশাল্লাহ।’ ১০ ম্যাচে ৮ জয়ের ফলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে এখনও শীর্ষে রয়েছে রংপ্রুর রাইডার্স। রংপুরের পরের ম্যাচ আগামীকাল বুধবার, প্রতিপক্ষ চিটাগং কিংস।


আরও খবর

রিয়াল ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছে নেই রদ্রিগোর

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




রিয়াল ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছে নেই রদ্রিগোর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৩২জন দেখেছেন

Image

খেলাধুলা ডেস্ক :  রিয়াল মাদ্রিদের অন্যতম প্রাণভোমরা রদ্রিগো। তাকে কেনার জন্য আগ্রহ দেখাচ্ছে অন্য ক্লাব। বিশেষ করে সৌদি আরবের ক্লাবগুলো থেকে তাকে নিতে লোভনীয় অর্থের প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্প্যানিশ জায়ান্টদের সঙ্গেই থাকতে চান তিনি। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে ৩১ ম্যাচে ১২ গোল করেছেন রদ্রিগো। অ্যাসিস্টও করেছেন ৮টি। স্বাভাবিকভাবেই তার মতো তারকাকে দলে নিতে চাইবে যে কেউ। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘সৌদি আরবের ক্লাবগুলোর প্রস্তাবের যে শর্ত আছে, সেটা দেখভালের কাজ মূলত আমার বাবার। যিনি আমার এজেন্ট। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই জানি না। তবে অন্য ক্লাবগুলোর আগ্রহের জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’ অন্য ক্লাব আগ্রহ দেখালেও রদ্রিগো স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি আসলে রিয়ালেই ভীষণ ভালো আছেন, ‘আমি এখানেই ভীষণ খুশি। অনেক দিন ধরে আছি। সব সময় বলি, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই জার্সি পরে খেলা আমার জন্য বিশেষ কিছু।’ রিয়ালে রদ্রিগোর বর্তমান চুক্তি ২০২৮ সাল পর্যন্ত। জানুয়ারির দলবদলে সবচেয়ে বেশি খরচ করা শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় ছিল জার্মানি (২৯৫.৭ মিলিয়ন ডলার), ইতালি (২২৩.৮ মিলিয়ন ডলার), ফ্রান্স (২০৯.৭ মিলিয়ন ডলার) এবং সৌদি আরব (২০২.১ মিলিয়ন ডলার)। 

নেইমার আল-হিলাল ছেড়ে সান্তোসে ফিরে গেছেন। আর কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড জন দুরান অ্যাস্টন ভিলা থেকে সৌদি ক্লাব আল-নাসরে ৭৯.৯৭ মিলিয়ন ডলারে যোগ দিয়ে মধ্য-মৌসুমের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় হয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদ তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট প্লে-অফের প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে। কারণ নতুন ফরম্যাটে উভয় দলই সরাসরি শেষ ষোলোতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে।



আরও খবর