Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

অনলােইন ডেস্ক: হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারের সময় এক নারীর মৃত্যুকে ঘিরে আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন। তবে আপাতত স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন অভিনেতা। এ মামলায় তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন আল্লু অর্জুনকে।

তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের শুনানির ঠিক এক ঘণ্টা আগে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন নিম্ন আদালত। এই গ্রেপ্তারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আল্লু হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তাঁর আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

গতকাল শুক্রবার আল্লুকে তাঁর বাড়ি থেকে দুপুর ১২টা নাগাদ গ্রেপ্তার করেছিল হায়দরাবাদ পুলিশ।

এরপর চিক্কদপল্লি পুলিশ স্টেশনে অভিনেতাকে নিয়ে এসে তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করে পুলিশ। আল্লুকে নামাপল্লি আদালতে পেশ করা হয়েছিল। এর আগে অভিনেতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। এ মামলায় আল্লুর নিজস্ব দেহরক্ষী সন্তোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিকেল পাঁচটার সময় তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। ৫০ হাজার টাকার বন্ডে অভিনেতার অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট।

২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি এ মামলার আগামী শুনানির দিন ঘোষণা করেছেন আদালত। এদিকে আল্লুর অভিযোগ যে পুলিশ হঠাৎ তাঁর শয্যাঘরে ঢুকে পড়েছিল। এমনকি তাঁকে পোশাক বদলাতে এবং নাশতা খাওয়ার সময় দেওয়া হয়নি। আবার এদিকে রেবতীর স্বামী ভাস্কর সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারির বিষয়ে কিছু জানতেন না। আর তিনি এই মামলা ফিরিয়ে নিতে চান বলে জানিয়েছেন। ভাস্করের কথায়, এ ঘটনার পেছনে আল্লুকে সরাসরি দায়ী করা যায় না।

আল্লু অর্জুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ৪ ডিসেম্বর রাতে আরটিসি ক্রসরোডসের চিক্কদপল্লির সন্ধ্যা থিয়েটারে ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’ ছবির প্রিমিয়ারে কাউকে না জানিয়ে হঠাৎই গিয়েছিলেন তিনি। তাঁকে দেখে থিয়েটারের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আর ধাক্কাধাক্কিতে বেশ কিছু ব্যক্তি আহত হয়েছিলেন। এই রাতে পদপিষ্ট হয়ে অকালে প্রাণ হারান ৩৫ বছরের রেবতী।

রেবতীর সঙ্গে ছিল তাঁর ১৩ বছরের ছেলে শ্রীতেজ। এ ঘটনার কবলে পড়ে আহত হয়েছিল শ্রীতেজ। এখনো কিশোরটি ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন আছে। শ্রীতেজের চিকিৎসাজনিত সব খরচের দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আল্লু। আর তিনি রেবতীর পরিবারকে ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

চিক্কদপল্লি পুলিশ স্টেশনে আল্লু অর্জুন, তাঁর সুরক্ষাকর্মী এবং প্রেক্ষাগৃহের মালিকের বিরুদ্ধে সেকশন ১০৫ ও ১১৮(১) ধারায় মামলা করেছিল রেবতীর পরিবার। রেবতীর পরিবারের বক্তব্য, আল্লুর আগমনের কোনো আগাম খবর দেওয়া হয়নি। আর প্রেক্ষাগৃহের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।




আরও খবর

কখনও ভাবিনি আমি বাঁচব : প্রীতি জিনতা

রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫




দারুল আরকাম ছিল মুসলমানদের আশ্রয়স্থল

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: দারুল আরকাম মানে আরকামের ঘর। ঘরটির অবস্থান ছিল মক্কার সাফা পাহাড়ের কাছে। সাফা ও মারওয়ার মাঝখানে সাঈ করার সময় বাড়িটির দরজার সামনে দিয়ে যেতে হতো। আব্বাসি খলিফা আবু জাফর আল মনসুরের সময় পর্যন্ত বাড়িটি অবিকৃত ছিল। এর পর আল-আরকামের এক প্রৌত্র আবদুল্লাহ ইবনে উসমান কারাগার থেকে মুক্তি পেতে তাঁর ভাগের অংশ খলিফা মনসুরের কাছে ১৭ হাজার দিনারে বিক্রি করে দেন। খলিফা মনসুরের পর খলিফা মাহদী এ বাড়ি দান করেন। তিনি বাড়িটির পুরোনো কাঠামো সংস্কার করেন। এভাবে বেশ কিছু হাত বদল হয়ে যুগে যুগে বাড়িটির পরিবর্তন সাধিত হতে থাকে। ধীরে ধীরে এক সময় বাড়িটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।


ইসলামের সংকটপর্বে দারুল আরকাম ছিল রাসুল (সা.) ও মুসলমানদের আশ্রয়স্থল। সেটি হয়ে উঠেছিল ওহি নাজিলেরও অন্যতম স্থান। বাসাটির মালিক ছিলেন আল-আরকাম ইবনে আবিল আরকাম (রা.)।


দারুল আরকাম বা আরকামের বাড়ির কথা উল্লেখ না করে ইসলামের প্রথম পর্যায়ের ইতিহাস আলোচনা করা সম্ভব নয়। ইসলামের প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এ বাড়ির ভূমিকা অনন্য। নবুয়তের প্রথম দিকে ইসলামের বুনিয়াদি শিক্ষা ও ইবাদতের নিয়মনীতি এখানে শেখানো হতো। সে সময় অল্প যে কজন ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন, তাঁরা এ বাসায় রাসুল (সা.)–এর সঙ্গে মিলিত হতেন। উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) এ বাড়িতে ইসলামের ঘোষণা দেন।


আল-আকরামের জন্ম ৫৯৭ খ্রিষ্টাব্দে। জাহেলি যুগের আরবে তিনি বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। ইসলামপূর্ব যুগে রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর নেতৃত্বে মক্কায় ‘হিলফুল ফুজুল’ নামে যে কল্যাণ সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আরকাম ছিলেন তাঁর অন্যতম সদস্য। তাঁর দাদা ছিলেন মক্কার একজন নেতা।


আরকাম (রা.) ১১–১২ জনের পরই ইসলাম গ্রহণ করেন। মুসলিমদের অবস্থা সে সময় সংকটজনক। মক্কার অবিশ্বাসীরা চাচ্ছিল, শক্তি অর্জনের আগেই ইসলামের আন্দোলনটিকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে।


আরকাম (রা.)–এর ইসলাম গ্রহণের পর তাঁর বাড়িটি মুসলিমদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রে পরিণত হয়। রাসুল (সা.) এখানে ইসলামে আসা নতুন মুসলমানদের সঙ্গে একত্র হয়ে বৈঠক করতেন। রাসুল (সা.) ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে এখান থেকে ইসলামের দাওয়াত দিতেন।


উমর (রা.) ইসলাম গ্রহণের পর ঘর থেকে বেরিয়ে প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত ও শিক্ষাদান শুরু হয়। মুসলমানরা আরকামের বাসা থেকে বের হয়ে মসজিদে হারামে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়েন। আবু বকর (রা.) কাবা প্রাঙ্গণে উপস্থিত কুরাইশদের সম্বোধন করে ইসলামের দাওয়াত তুলে ধরতেই আবু বকরের ওপর তারা হামলা করেছিল। এভাবে মক্কায় প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার সূচনা।


নবুয়তের ১৩তম বছরে মক্কার অন্য মুসলমানদের সঙ্গে আল-আরকাম (রা.) মদিনায় হিজরত করেন। এর পর মদিনায় স্থায়ীভাবে থাকার সময় মক্কার ঐতিহাসিক এই বাড়িটি সন্তানদের জন্য ওয়াকফ করে যান।


আল-আরকাম (রা.) বদর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। এ যুদ্ধের জন্য রাসুল (সা.) তাঁকে ‘আল-মারজুবান’ নামের একটি তলোয়ার দিয়েছিলেন। সততা ছিল আরকাম (রা.)–এর চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। রাতের ইবাদতের প্রতি ছিল তাঁর প্রবল আকর্ষণ।


৮৩ বছর বয়সে তিনি মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তাঁর অসিয়ত অনুযায়ী সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) তাঁর জানাজা পড়ান। মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।


আরও খবর

ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫




ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: মহান আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জন্য বিশেষ কিছু নিয়ামত পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে জান্নাতির ফল। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘যারা ইমান আনয়ন করে এবং সৎকর্ম করে তাদের শুভ সংবাদ দাও যে, তাদের জন্য আছে জান্নাত, যার নিম্নদেশে প্রবাহিত হয় নদী। যখনই তাদের ফলমূল খেতে দেওয়া হবে তখনই তারা বলবে, আমাদের পূর্বে জীবিকারূপে যা দেওয়া হতো এটা তো তাই। তাদের অনুরূপ ফলই দেওয়া হবে আর সেখানে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী রয়েছে, তারা সেখানে স্থায়ী হবে।’ (সুরা বাকারা ২৫)


জান্নাতে যেসব ফল পাওয়া যাবে তার মধ্যে একটি হলো ডালিম। কোরআন মাজিদে বলা হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন,



وَ هُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡشَاَ جَنّٰتٍ مَّعۡرُوۡشٰتٍ وَّ غَیۡرَ مَعۡرُوۡشٰتٍ وَّ النَّخۡلَ وَ الزَّرۡعَ مُخۡتَلِفًا اُكُلُهٗ وَ الزَّیۡتُوۡنَ وَ الرُّمَّانَ مُتَشَابِهًا وَّ غَیۡرَ مُتَشَابِهٍ ؕ كُلُوۡا مِنۡ ثَمَرِهٖۤ اِذَاۤ اَثۡمَرَ وَ اٰتُوۡا حَقَّهٗ یَوۡمَ حَصَادِهٖ ۫ۖ وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ؕ اِنَّهٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ


‘আর তিনিই সৃষ্টি করেছেন এমন বাগানসমূহ, যার কিছু মাচায় তোলা হয় আর কিছু তোলা হয় না এবং খেজুরগাছ ও শস্য, যার স্বাদ বিভিন্ন রকম, জয়তুন ও আনার (ডালিম), যার কিছু দেখতে এক রকম আর কিছু ভিন্ন রকম।


তোমরা তার ফল থেকে আহার করো, যখন তা ফল দান করে এবং ফল কাটার দিনেই তার হক দিয়ে দাও আর অপচয় কোরো না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের ভালোবাসেন না।’ (সূরা আনআম, আয়াত : ১৪১)


ডালিম পুষ্টিসমৃদ্ধ একটি ফল, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে শরীরের ভিটামিন ঘাটতি পূরণ করে এ ফল।


প্রতিদিন ডালিম খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি, রক্তশূন্যতা এবং হাড়ের ব্যথা কমাসহ হজমশক্তি ও রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে। শুধু ডালিমের দানাতেই নয় খোসাতে রয়েছে নানাবিদ উপকারিতা। ডালিমের খোসায় উপকারিতা নিয়ে হজরত আলী রা. বলেন, ‘তোমরা খোসাসহ ডালিম খাও। কেননা তা পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ৫/৯৯)


জান্নাতে শুধু ডালিম বা শুধু ফল পাওয়া যাবে এমন নয়। জান্নাতে বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবেন তাই পাবেন, যা মানুষের ধারণারও বাইরে। চিরস্থায়ী জান্নাতে যেসব নেয়ামত রয়েছে তা মানুষের কল্পনার বাইরে।


আরও খবর

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

বিয়ে করতে চাইলে কি রিজিক বাড়ে

বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫




রাজশাহী ক্যাডেট কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯৫জন দেখেছেন

Image

চারঘাট (রাজশাহী) সংবাদদাতা: রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ এর ৫৭তম আন্ত:হাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকালে কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে তিনদিন ব্যাপি আন্ত:হাউজ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অত্র কলেজের অধ্যক্ষ ড. আ ফ ম মোরতাহান বিল্লাহ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সামরিক সচিব, মেজর জেনারেল সাজেদুর রহমান এনডিইউ, পিএসসি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, ইউএনও সানজিদা সুলতানা, এ্যাডজুটেন্ট মেজর জুভেন ওয়াহিদসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, অভিভাবকমন্ডলী, প্রাক্তন ও বর্তমান ক্যাডেটবৃন্দ।  


প্রতিযোগিতায় রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের খালিদ হাউস, কাসিম হাউস এবং তারিক হাউসের ক্যাডেটবৃন্দ ২৭টি ইভেন্টে তিনদিন ব্যাপি এ প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহন করেন। সারা বছরের একাডেমিক ও সহ-পাঠ্যক্রম সংক্রান্ত কার্যক্রমের সফলতা বিবেচনা করে কাসিম হাউসকে চ্যাম্পিয়ন ও খালিদ হাউসকে রানার্স আপ হিসেবে ঘোষনা করা হয়। প্রতিযোগিতায় অসাধারন ক্রীড়া নৈপুন্য দেখানো বিজয়ী ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি।  


প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন,মেজর জেনারেল সাজেদুর রহমান উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিট এই কলেজের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ফলাফল ও শৃঙ্খলার মানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।  পাশাপাশি শিক্ষার সাথে ক্রীড়া ক্ষেত্রে রাজশাহী ক্যাডেট কলেজের গৌরবোজ্জ্বল অবস্থানের কথা উল্লেখ করেন। প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার পাশাপাশি ক্যাডেটদের দেহসৌষ্ঠব বিকাশে খেলাধুলা, সুস্থ মানসিকতা ও দলীয়ভাবে কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে পারবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। # 



আরও খবর



ঢাকা ক্যাপিটালসে যোগ দিলেন ইংলিশ ওপেনার রয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক:  ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় যোগ দিলেন ঢাকা ক্যাপিটালসে। সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে সিলেটে দলের সঙ্গে টিম হোটেলে যোগ দিয়েছেন তিনি। তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন চিত্রনায়ক এবং ঢাকা ক্যাপিটালসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মামুনুর ইমন।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তুমুল জনপ্রিয় ক্রিকেটার জেসন রয়। মারকুটে এই ব্যাটার এবার খেলবেন ঢাকা ক্যাপিটালসের জার্সিতে। সাইম আইয়ুব না আসার কারণে ঢাকার ওপেনিং বর্তমানে কিছুটা নড়বড়ে। সেখানে স্বস্তি ফিরতে পারে রয়ের সংযোজনে। এছাড়া ড্রাফটে অবিক্রীত দেশি ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকেও দলে টেনেছে ঢাকা ক্যাপিটালস।


মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সিলেটে দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেবেন রয়। রংপুরের বিপক্ষে সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা আছে ৩৪ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান।

এদিকে চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৩ ম্যাচের মধ্যে সবকটিতে হেরে টেবিলের একদম তলানিতে রয়েছে ঢাকা। পরের ম্যাচ আগামী ৭ জানুয়ারি, প্রতিপক্ষ টেবিল টপার রংপুর রাইডার্স।


আরও খবর



সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা: মামুনুল হক

প্রকাশিত:শনিবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, ‘দেশের স্বার্থবিরোধী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী গোষ্ঠী পালালেও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই।’


বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ১৫ বছর পূর্তিতে গতকাল শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে এক যুব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মামুনুল হক এসব কথা বলেন।


মামুনুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত— এক ভাগে ভিনদেশি দালাল, আরেক দিকে দেশপ্রেমিক জনতা। ভিনদেশি চক্র ১৫ বছর বাংলাদেশকে জিম্মি করে রেখেছিল।’ সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা বাংলাদেশের কাগজ পুড়িয়ে ফেলতে পার, কিন্তু মানুষের মনে তোমাদের বিষয়ে যে ঘৃণা জন্মেছে, তা মুছে ফেলতে পারবে না।’



খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, এর আগে ইসকনকে দিয়ে বাংলাদেশ ধ্বংসের চেষ্টা প্রকাশ পেয়েছে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যার মধ্য দিয়ে। টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে যাঁরা রাত গভীরে ঘুমিয়ে থাকা নিরীহ মুসল্লিদের ওপর হামলা করে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এই হামলাকারীরা তাবলিগের সাথি নয়, তারা খুনি ও ভিনদেশি শক্তির অংশ। এই ফ্যাসিবাদের দোসরদের রুখে দিতে দেশপ্রেমিক যুবকদের কাজে লাগাতে হবে।


সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মামুনুল হক বলেন, ‘দেশবিরোধী শক্তিদের স্পেস দিলে আপনাদের স্পেস কমে যাবে। আপনাদের হাতে সময় সীমিত। এ সময় যথাযথভাবে কাজে লাগান।’


এ সময় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কোনো বাকশাল দেখতে চাই না। আমরা ছাত্র-জনতার অধিকার আদায় করতে চাই। জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। আন্দোলন ও সংগ্রামের জন্য যখন কোনো ভূখণ্ড তৈরি হয়ে যায়, তখন তা দমিয়ে রাখা যায় না।’


মামুনুল হক আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল বিভাজনের রাজনীতি। কিন্তু চব্বিশে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্ররা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই বিভাজন ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন হয়েছে।’


সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। সে সন্ত্রাসী ছিল। ২০১৩ সালে জিকিররত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত হামলা করে অসংখ্য আলেম ও ইসলামপ্রিয় জনতাকে শহীদ করা হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশের সব কাঠামো ধ্বংস করে পালিয়েছে। যারা বলে হাসিনা আবার ফিরে আসবে, তাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, তা কখনো সম্ভব না। তা আমরা হতে দেব না।’


সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমাদ, আতাউল্লাহ আমিন, কুরবান আলী, আবদুল আজিজ, শরাফত হুসাইন, মাহবুবুল হক, তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী, শাহিনুর পাশা চৌধুরী প্রমুখ।



আরও খবর

স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫