Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

আজ শেষ হচ্ছে স্কুল ভর্তির আবেদন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল ভর্তির জন্য আবেদনপত্র নেওয়া শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর)। দেশের সব সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন বিকেল ৫টায় শেষ হচ্ছে। গত ২৪ অক্টোবর অনলাইনে আবেদন শুরু হয়। এ বছর আবেদন ফি ১১০ টাকা। ভর্তিচ্ছুরা সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দক্রমে রাখতে পারছে।

এর আগে টেকনিক্যাল কারণে এক দফায় আবেদনের সময় দুইদিন বাড়ানো হলেও এ সময় আর বাড়ছে না বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ‌

মাউশি জানিয়েছে, দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি ও আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। কোনো শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।

‘জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০’ অনুযায়ী প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর বয়স ৬ বছরের বেশি হতে হবে। পরবর্তী শ্রেণিতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে।

শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে।

শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য অনলাইন আবেদন ও লটারির তারিখ নির্ধারণ করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কারিগরি সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান আবেদন ও ডিজিটাল লটারির যাবতীয় তথ্য ঢাকা মহানগরের ভর্তি কমিটির কাছে জমা দেবে। এরপর মাউশির তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগরের ভর্তি কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে লটারির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।

সারাদেশের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অনলাইনে প্রাপ্ত আবেদনের ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ নীতিমালা অনুযায়ী শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রথম লটারির সমসংখ্যক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা নির্বাচন করতে হবে। পরে প্রয়োজন হলে লটারির মাধ্যমে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।


আরও খবর



বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নিতে সৌদির প্রতি ঢাকা চেম্বার সভাপতির আহ্বান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৪জন দেখেছেন

Image

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং আল মদিনা আল মনোয়ারা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভা হয়েছে। সম্প্রতি মদিনা চেম্বারের কার্যালয়ে এ সভা অুনষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তারের নেতৃত্বে ৬১সদস্যবিশিষ্ট বেসরকারিখাতের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য প্রতিনিধি দলটি সৌদি আরব সফর করছে।

সভায় ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে সৌদি আরবে নিয়োজিত আছেন এবং বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩০ শতাংশই সৌদি আরব হতে আসে। 

তিনি বলেন, ‘সৌদি ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় সৌদি সরকার বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ হতে বিশেষ করে লজিস্টিক, অবকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তি ও আউটোর্সিং প্রভৃতি খাতে আরো বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার জন্য মদিনা চেম্বারের উদ্যোক্তাদসহ সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ সেই সাথে তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটনসহ অন্যান্য সামাজিক সেবা খাতে সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারেন। 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানাবিধ প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যেগুলোর সুবিধা গ্রহণ করে সৌদি ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। 

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাজার সম্প্রসারণ খুবই জরুরি। এমতাবস্থায় সৌদি আরবের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মদিনা চেম্বারের সহ-সভাপতি ড. খালিদ আব্দুল কাদের দাখাল বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নীতি সহায়তা ও উন্নত সেবা প্রদানের মতো বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধিতে তার চেম্বার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সচেষ্ট হবে। তিনি জানান, সৌদি আরবের মোট জিডিপিতে মদিনার অবদান প্রায় ৭% এবং এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারণের সুযোগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

এমতাবস্থায় তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পর্যটন, এগ্রোপ্রসেসিং, তৈরি পোশাক প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি দুই দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যকার যোগাযোগ আরো বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করেন। 

ঢাকা চেম্বারে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলগমীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




তরুণ আর্জেন্টিনার সামনে পুরোনো ‘শত্রু’ জার্মানি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : আর্জেন্টিনা আর জার্মানি। দুই মহাদেশের দুই ফুটবল পরাশক্তি। ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় জার্মানির ঘরে গিয়েছে ৪ শিরোপা। অন্যদিকে আর্জেন্টিনা এখন পর্যন্ত ৩বার বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি স্পর্শ করেছে। তবে প্রসঙ্গ যখন অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ, তখন শিরোপা ধরে দেখা হয়নি দুই দলের কারোরই। দুই দলের কেউ ফাইনালেই যেতে পারেনি। আজ মঙ্গলবার সেই অধরা ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবে দুই দল। 

আর্জেন্টিনা আর জার্মানির ফুটবল দ্বৈরথ বেশ পুরাতন। বৈশ্বিক পর্যায়ে বেশ কয়েকবারই একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। এই দুই দেশ একে অন্যের বিপক্ষে ফাইনাল খেলেছে মোট ৩ বার। ১৯৮৬ সালে ডিয়েগো ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ হয় করেছিলেন জার্মানির বিপক্ষেই। ১৯৯০ সালেই আবার জার্মানির কাছে শিরোপা হারাতে হয় তাদের। সবশেষ ২০১৪ সালে ব্রাজিলের মারাকানায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে মেসিদের শিরোপাবঞ্চিত করে জার্মানি। 

বড়দের খেলায় যখন একে অন্যের প্রতিপক্ষ, ছোটরাই বা ছাড় দেবে কেন! ক্লদিও এচেভেরি, অগাস্টিন রবার্তোরা নিশ্চিত ভাবেই জার্মানিকে ছাড় দিতে চাইবেন না। টুর্নামেন্টের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতার দুজনেই আর্জেন্টাইন। এচেভেরি আবার নিজেদের শেষ ম্যাচেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হ্যাটট্রিক করে নায়ক বনে গিয়েছিলেন। 

এচেভেরি আর রবার্তো ছাড়াও দলে আলাদা করে নজর রাখতে হবে সুবিয়াব্রের দিকেও। ৭ নং জার্সি পরিহিত এই উইঙ্গার বিশ্বকাপে খেলেছেন নিজের সেরাটা দিয়ে। কার্ড সাসপেনশনে অবশ্য এই ম্যাচে দেখা যাবেনা সান্তিয়াগো লোপেজকে। তবে তাকে ছাড়াও নিজেদের সর্বোচ্চটাই দিতে সক্ষম আলেবিসেলেস্তেরা। 

বিপরীতে পিছিয়ে নেই জার্মানিও। ইউরোপিয়ান পাওয়ার ফুটবলে অভ্যস্ত জার্মান তরুণরা নিজেদের দিনে বেশ ভয়ানক এক প্রতিপক্ষ। কোয়ার্টার ফাইনালেই আসরের অন্যতম ফেবারিট স্পেনকে হারিয়েছিল তারা। মঙলবারের ম্যাচে তাই স্বাভাবিকভাবেই উজ্জীবিত জার্মানির তরুণরা।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




চ্যাটজিপিটির ভয়েস চ্যাট ফিচার ব্যবহার করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২জন দেখেছেন

Image

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : আধুনিক প্রযুক্তি দুনিয়ায় এখন সবচেয়ে আলোচিত নাম চ্যাটজিপিটি। ওপেনএআইয়ে তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত এই অ্যাপটি অনেক দিন ধরেই আলোচনার তুঙ্গে। তবে প্রতিযোগিতার বাজারে ওপেনএআই এই অ্যাপটিকে আরো উন্নত রাখতে একের পর এক নতুন নতুন ফিচার যুক্ত করে চলেছে।

এখন থেকে অ্যান্ড্রয়েডের ব্যবহার কারীরাও তাদের ফোনে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতে পারেন। সেই সঙ্গে টাইপ না করেই ভয়েসের সাহায্যে চ্যাটবটের সঙ্গে চ্যাট করা যাবে। চ্যাটবটও নিজস্ব ভয়েসের মাধ্যমে মাত্র কয়েক সেকেন্ডে উত্তর দেবে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক এই ফিচারটি কীভাবে ব্যবহার করবেন

চ্যাটজিপিটি ভয়েস চ্যাট ব্যবহার করতে, আপনার চ্যাটজিপিটি মোবাইল অ্যাপের প্রয়োজন। এই অ্যাপটি গুগল প্লে এবং অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। আপনার যদি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন থাকে, তবে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে গুগল প্লে থেকে। যদি আইফোন থাকে তবে অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে।

যেভাবে ফ্রিতে চ্যাটজিপিটি ভয়েস চ্যাট ফিচার ব্যবহার করবেন

প্রথমে ডিভাইসে চ্যাটজিপিটি অ্যাপটি ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে হবে। যদি ইতিমধ্যেই ব্যবহার কারী করে থাকেন, তবে দেখে নিন সর্বশেষ সংস্করণ রয়েছে কি না। তারপর অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে। যদি অ্যাকাউন্ট না থাকে, একটি নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এজন্য সাইন ইন করতে হবে।

তারপর ভয়েস চ্যাট অন করুন। চ্যাট বক্সের ডানদিকে হেডফোন আইকনে ক্লিক করুন। এবার ভয়েসে তাকে কিছু প্রশ্ন করতে হবে। একবার ভয়েস চ্যাট অন হয়ে গেলে, আবার হেডফোন আইকনে ক্লিক করতে হবে এবং আপনার ভয়েস ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথোপকথন শুরু হবে।


আরও খবর



শিশুর বেছে বেছে খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

সাধারণত অভিভাবকরা মনে করেন যে শিশুরা সব ধরনের খাবার নাও খেতে পারে। প্রি-প্যাকেজড কিড-সাইজ স্ন্যাকস যেমন চিকেন নাগেটস, স্যান্ডউইচ শিশুদের পছন্দের খাবার। কিন্তু মায়েরা সচরাচর এমন খাবার শিশুদের খেতে দিতে চান না যদি শিশুটি জোর না করে। শিশুর জন্য অভিভাবকরা যে ধরণের খাবার তৈরি এবং পরিবেশন করে সেটি পরিবর্তন করা দরকার। কিন্তু বাবা-মা চাইলেই তাদের দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে যদি তারা কিছু নিয়ম মেনে চলে। আসুন জেনে নিই সেই নিয়মগুলো-

১. খাবারকে না বলা চলবে না
বাসায় শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কোনো খাবার নিয়ে অভিযোগ করার সুযোগ রাখবেন না। এর মানে তাদের সব খাবারই খেতে হবে তেমনও নয়। কিন্তু খাবারকে না বলা চলবে না। সব খাবার শরীরে পুষ্টি জোগায়। শিশুদেরকে এটি বোঝানো উচিত। প্রত্যেক খাবারেরই নিজস্ব গুণ আছে। যারা অনেক কষ্ট করে রান্না করে শিশুরা খাবার না খেলে তারাও মনে কষ্ট পায়। ক্ষুধার্ত না থাকলে কাউকে খাবারের জন্য জোর করা উচিত নয়। খাবারের টেবিলে অবশ্যই খুশি মনে বসতে হবে। তাতে খাদ্য পরিপাক ভালোভাবে হয় এবং ভালো ঘুমও হয়। যেকোনো খাবার নিয়ে বলা উচিত না যে এটা ভালো না। এতে শিশু পরবর্তীতে ওই খাবার আর খেতে চায় না।

২. খাবার খাওয়াকে স্বাভাবিক অভ্যাস হিসেবে গড়ে তুলুন
শিশুরা খাবার খায় শরীরে পুষ্টি জোগাতে। তাই অভিভাবকের উচিত সঠিক নিয়মে খাবার দেওয়া। খাবার শেষ করতে পারলে পুরস্কার পাবে- শিশুকে কখনো এ ধরনের কথা বলবেন না। তাহলে ওরা ধরে নেবে যে খাবার খাওয়া একটি কষ্টের কাজ যা শেষ করতে পারলে পুরস্কার পাওয়া যায়। বরং খাবার খাওয়াকে প্রতিদিনের সাধারণ অভ্যাস হিসেবেই গড়ে তুলুন। এমনকী শিশুর জন্মদিনেও অনেক পদের আয়োজন করার প্রয়োজন নেই। এর বদলে তাকে এই বিশেষ দিন উপলক্ষে পছন্দের কিছু কিনে দিন, ঘুরতে নিয়ে যান। আবার শাস্তি হিসাবে কখনোই শিশুর খাবার বন্ধ করা ঠিক না। এতে শিশু মনে কষ্ট পাবে এবং দুর্বল হয়েও পরবে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাবারও দেয়া চলবে না। তাদেরকে বুঝাতে হবে কোনটি তাদের জন্য ঠিক। শিশুদেরকে খুশি রাখতে মাঝে-মধ্যে তাদের জন্য ভালো খাবার রান্না করা উচিত । এতে তাদের মনও ভালো থাকবে এবং তারা খুশিও হবে। মূলত যখন তারা কোনো ভালো কিছু করবে তখন তাদের উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে এটি করতে পারেন। কিন্তু কোন খারাপ কাজ করলে শাস্তি না দিয়ে অবশ্যই বোঝাতে হবে।

৩. শিশুর ক্ষুধা নষ্ট হতে দেবেন না
অনেকেরই খাওয়ার সময় চলাফেরা করার অভ্যাস রয়েছে যার ফলে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে শিশুরা নানা অজুহাতে এই কাজটি করে থাকে। কিন্তু তাতে আরও ক্ষতি হয়ে যায়। তাই এই কাজ তাদের করতে দেয়া যাবে না। সঠিক সময়ে খাবার দিলে শিশুরা যেকোনো খাবারই খুশি হয়ে খেয়ে নেয়। এতে তাদের খালি পেটেও বেশিক্ষণ থাকতে হয় না। পরবর্তী খাবারের জন্যও তারা উৎসাহিত থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য ক্ষুধাকে অজুহাত হতে দেয়া যাবে না। শিশুর ক্ষুধা নিবারণে হালকা নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস হতে দেয়া যাবে না।

৪. পারিবারিক কার্যকলাপের একটি অংশ
টিভি দেখার সময় শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত নয়। তাতে সে পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। শিশুরা পরিবারের সবার সঙ্গে খাবার খেলে তাদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সবার সঙ্গে খাবার খেলে শিশুরা গল্প করতে পারবে এবং পরিবারের সবার প্রতি টানও কাজ করবে। সবার জন্যে অবশ্যই একই রকমের খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত, তাতে সবাই মিলেমিশে খাওয়াদাওয়া করা শিখবে। খাবারের সময়টি পারিবারিক কাজের অন্তর্ভুক্ত। তাই এই সময় বাকি যেকোনো কাজ থেকে দূরে থাকা উচিত।

৫. চেষ্টা করুন, আবার চেষ্টা করুন
যেসব শিশু খাবার বেছে খায় তদেরকে সুন্দর করে খাবারে পরিবেশন করতে হবে। যাতে খাবারগুলো তাদের কাছে সুস্বাদু লাগে এবং খুশি হয়ে খায়। বাচ্চারা যখন কোন খাবার পছন্দ না করে তখন তারা ভিন্ন খাবারের বায়না ধরে, তখন অভিবাবকরা শুধু বোঝায় যে খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত। শিশু কোনো খাবার খেতে না চাইলে তাকে জোর করা উচিত নয়। বরং বোঝাতে হবে যে এটি তাদের জন্য উপকারী।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণিতে বৃহস্পতিবার থেকে মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৭জন দেখেছেন

Image

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন। এই দুই শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের অংশ হিসেবে কোনো লিখিত পরীক্ষা নিতে পারবে না সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলো।

মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হবে। এ বিষয়টি মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানিয়ে আদেশ জারি করছে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল কিছু স্কুল। বিষয়টি শিক্ষা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি নির্দেশনা দিয়েছেন, কোনো লিখিত পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য আদেশ জারি করতে। সে অনুযায়ী আদেশ জারির প্রস্তুতি চলছে।

জানতে চাইলে অধিদপ্তরের মাধ্যমিক উইংয়ের পরিচালক বেলার হোসাইন বলেন, ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কীভাবে হবে তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু নির্দেশনা যাবে। তবে কোনো লিখিত পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। মূল্যায়ন টুলস ও নির্দেশনা অনুসারে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বিষয়টি সব শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের জানিয়ে আদেশ জারি করা হচ্ছে।

গত ৬ নভেম্বর এ দুই শ্রেণির ১৩টি বিষয়ের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের টুলস ও নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এসএম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী সামষ্টিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে ১৩টি বিষয়ের বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য বিষয়ভিত্তিক মূল্যায়ন টুলস্ ও নির্দেশনা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সূত্রোক্ত (২) নম্বর পত্র মোতাবেক এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর