Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় দেশ : মসজিদে নববির ইমাম

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৮১জন দেখেছেন

Image

সৌদি আরবের মদিনার পবিত্র মসজিদে নববির ইমাম শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান বাংলাদেশকে তার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুই দেশের ভৌগোলিক দূরত্ব সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জনগণ ধর্মীয় বন্ধনের কারণে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে শেখ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-বুয়াজান এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে বলেন, মদিনায় পবিত্র মসজিদে নববির ইমাম বলেছেন বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় দেশ।

শেখ ড. আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহমান আল-বুয়াজান বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গল ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, মসজিদে নববিতে কর্মরত খাদেমদের অধিকাংশই বাংলাদেশি নাগরিক।

সারা দেশে নির্মিত মডেল মসজিদ প্রসঙ্গে পবিত্র মসজিদে নববির ইমাম বলেন, যারা মসজিদ নির্মাণ করেন মহান আল্লাহ তাদের অনেক নেয়ামত দান করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় মসজিদে নববির ইমামকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ২০২৩ সালের জাতীয় ইমাম সম্মেলনে তার উপস্থিতি বাংলাদেশের মানুষকে ইসলামের প্রকৃত মর্মের প্রতি উৎসাহিত করবে।

হজ পালনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ১৯৮৪ সালে প্রথম হজ করেছি এবং পরে পিতা বঙ্গবন্ধু ও মা বঙ্গমাতার পক্ষ থেকেও হজ করেছি।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, আমি জেদ্দায় অনুষ্ঠাতব্য ওআইসির নারী বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দেব এবং মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত করব।

জবাবে শেখ ড. আবদুল্লাহ বিন আবদুর রহমান আল-বুয়াজান বলেন, আমি মদিনার পবিত্র মসজিদে নববিতে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রতীক্ষায় থাকবেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, ধর্ম বিষয়ক সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার এবং সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইল উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপশন (জিসিএ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. প্যাট্রিক ভি ভারকুইজেন একই স্থানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

প্রেস সচিব জানান, প্যাট্রিক ভি ভারকুইজেন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে জলবায়ু ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এসময় তিনি ভাসমান পানির গাড়ির মতো দেখতে নেদারল্যান্ডস হেড কোয়ার্টার অফিসের মডেল দেখান এবং প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

জিসিএ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হয়েছে।

জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেল্ট তৈরি করতে কাজ করছি, অন্যদিকে আমার দল আওয়ামী লীগ ১৯৮৫ সাল থেকে বনায়নের জন্য চারা রোপণ করে আসছে।

অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের প্রেসিডেন্সির বিশেষ দূত আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আল্লাহ বিশ্ব জাহানের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬৬জন দেখেছেন

Image

ইসলমিক ডেস্ক : এ দুনিয়ায় যা কিছু আছে এগুলোর কোনোটিই নিজে নিজে পয়দা হয়নি। সবকিছুরই একজন স্রষ্টা আছেন। সেই স্রষ্টা হলেন মহান রব্বুল আলামিন। তিনিই বিশ্বজাহানের একমাত্র সৃষ্টিকর্তা।

সৃষ্টির সেরা : সব সৃষ্টির মাঝে মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর, সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান এবং সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মর্যাদার অধিকারী। মানুষকে এ শ্রেষ্ঠত্বদানের কথা উল্লেখ করে পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন : ‘নিশ্চয়ই আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদের স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদের উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদের অনেক সৃষ্টবস্তুর ওপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছি। (বনি ইসরাইল : ৭০)।

সৃষ্টিকুলের পরিমাণ অসংখ্য-অগণিত : অনেকে বলেন, আল্লাহতায়ালা সর্বমোট ১৮ হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। অথচ সৃষ্টিকুলের মোট সংখ্যা কারও জানা নেই। বরং সৃষ্টিকুল হচ্ছে অসংখ্য, অগণিত। সুবৃহৎ কলেবরে সুদীর্ঘ ৩০ খণ্ডে সমাপ্ত এক অসাধারণ তাফসির গ্রন্থের লেখক প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা তানতাভি (রহ.) স্বীয় তাফসির গ্রন্থের ভূমিকায় লিখেছেন; লোকেরা বলে যে, আল্লাহতায়ালা সর্বমোট ১৮ হাজার মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন। লোকদের এ কথা শুনে আমি আল্লাহর বিভিন্ন সৃষ্টি সংখ্যা গুনতে শুরু করলাম। এক এক করে গুনতে গুনতে ১০ লাখ পর্যন্ত পৌঁছেছি। কিন্তু তাতেও গণনা শেষ হয়নি। গণনার বাইরে আরও অসংখ্য মাখলুক রয়ে গেছে। যাই হোক, জল ও স্থলভাগের সব সৃষ্টির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হচ্ছে মানুষ। আল্লাহ মানুষকে সবকিছুর ওপর শ্রেষ্ঠত্বদান করেছেন। সবকিছু সৃষ্টির চেয়ে মানুষকে সর্বাপেক্ষা সুন্দর হিসেবে সৃষ্টি প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, আমি মানুষকে সুন্দরতম অবয়বে সৃষ্টি করেছি। (সুরা তীন : ৪)।

মানুষকে সর্বশেষে সৃষ্টি করার রহস্য : আল্লাহতায়ালা সবকিছু সৃষ্টির চেয়ে মানুষকে সর্বাধিক সুন্দর করে বানিয়েছেন। সবকিছু সৃষ্টি করার পর সর্বশেষে মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। কেননা অন্যান্য সৃষ্টিকে বানানো আল্লাহর মূল লক্ষ্য ছিল না বরং মানুষকে সৃষ্টি করাই ছিল আল্লাহর মূল লক্ষ্য। তাই মানবজাতি হচ্ছে আল্লাহতায়ালার মূল লক্ষ্যবস্তু। ওয়াজ মাহফিলে যেরূপ বক্তা এবং শ্রোতার আগমনের আগেই সভাস্থলে বিছানা বিছানো হয়, লাইটিং করা হয় এবং মাইকের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে শ্রোতারা পাক-পবিত্র পরিবেশে বসে বক্তার মুখে কোরআন-হাদিসের কথা শুনতে পারে। যথাযথভাবে দীনি আলোচনা করা ও তা শ্রবণ করার সুবিধার্থে বক্তা এবং শ্রোতাদের সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার আগেই উপরোল্লিখিত আনুষঙ্গিক কাজগুলো করে রাখতে হয় এবং সভা শেষে বক্তা ও শ্রোতারা যখন সভাস্থল ছেড়ে নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যান তখন সেই বিছানাপত্র উঠিয়ে ফেলা হয়, লাইট খুলে ফেলা হয় এবং মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তদ্রুপ আশরাফুল মাখলুকাত মানুষকে সৃষ্টি করার আগেই তাদের বসবাসের জন্য এ পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষের জন্যই চাঁদ, সূর্য গ্রহ-নক্ষত্র, পাহাড়-পর্বত, নদী-সাগর, আগুন পানি এবং আলো-বাতাস প্রভৃতি সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষের কল্যাণার্থে আনুষঙ্গিক সবকিছুকে সৃষ্টি করার পর আল্লাহপাক মানুষকে সৃষ্টি করেছেন। চন্দ্র-সূর্যের নমুনা রূপে মানুষকে দুটি চক্ষুদান করেছেন। এ চন্দ্র-সূর্য না থাকলে শুধু চোখ দ্বারা দেখা আমাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। আবার এক এক করে পৃথিবীর সব মানুষ যখন এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবে তখনো সেই ওয়াজ মাহফিলের ন্যায় সব সৃষ্টিকুল ধ্বংস হয়ে যাবে। সারকথা এ আসমান-জমিন, গ্রহ-নক্ষত্র, আগুন-পানি, আলো-বাতাস ও মাটি ইত্যাদি সবকিছুকে আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্য। অতএব মানুষ হচ্ছে আল্লাহর মূল সৃষ্টি ও প্রধান লক্ষ্যবস্তু। আর সৃষ্টিকুল হচ্ছে আনুষঙ্গিক গৌণমাত্র।

মানুষের অকৃতজ্ঞতা : সৃষ্টির সেরা হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে আমরা কোনো দিন কোনো দরখাস্ত করিনি। কোনো প্রকার আবেদন-নিবেদন এবং দরখাস্ত ছাড়াই আল্লাহতায়ালা আমাদের তাঁর সব ধরনের নেয়ামত দান করেছেন। তিনি আমাদের বসবাসের জন্য উপযোগী বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছেন, আমাদের রক্ষণাবেক্ষণ ও সব ধরনের রিজিকের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মানুষের প্রতি আল্লাহতায়ালা এ সীমাহীন অনুগ্রহ প্রদর্শন করা সত্ত্বেও তারা আল্লাহর সবচেয়ে বেশি নাশুকরী করছে। অন্য কোনো সৃষ্টি এভাবে আল্লাহর নাশুকরী করে না।

বাকশক্তি আল্লাহর দান : আল্লাহতায়ালা মানুষকে অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। সুস্থ-সবল ও সুঠাম শরীর দান করেছেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও সে যদি কথা বলতে না পারত, তাহলে দুঃখের সীমা থাকত না।

তাই আল্লাহতায়ালা তাকে বাকশক্তি দান করেছেন, কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি কথা বলতে না পারে, তবে তার মতো দুঃখী মানুষ দুনিয়ায় আর কেউ নেই। আমাদের আশপাশের বোবা মানুষগুলো কথা বলতে না পেরে কতইনা কষ্ট করে।

এ বাকশক্তি কোনো দোকানে বিক্রি হয় না। টাকা-পয়সায় কিনতে পাওয়া যায় না। পৃথিবীর সব মানুষ মিলেও কাউকে বাকশক্তি দান করতে পারবে না। এটা একমাত্র আল্লাহতায়ালার দান; মানুষের প্রতি আল্লাহর অসীম অনুগ্রহের অন্যতম।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ২৬ নভেম্বর

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৮জন দেখেছেন

Image

এইচএসসি ও তার সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির ভিত্তিতে  ওই দিনটিকে আনুষ্ঠানিক ফলপ্রকাশের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ওইদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হবে। পরে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা একযোগে পরীক্ষার ফলাফল পাবেন। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।‌

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আগামী ২৬ অথবা ২৮ নভেম্বর —যে কোনো একদিন চাওয়া হয়েছিল। পরে তিনি ২৬ নভেম্বর দিনটিতে সম্মতি দিয়েছেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের নিয়ম রয়েছে।

প্রসঙ্গত, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য প্রতিবারই সম্ভাব্য সময় হিসেবে দুই অথবা তিন দিনের একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে আলাপ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে সেটি বোর্ডগুলোকে জানিয়ে দেয়।

চলতি বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট, আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা (চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাতে যে ৫ কাজ করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৪জন দেখেছেন

Image

ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তিত মানুষের অভাব নেই। কারণ এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস একবার দেখা দিলে নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করতে থাকে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রচেষ্টারও কমতি রাখেন না অনেকে। তবে সব সময় সব প্রচেষ্টা সফল হয় না। কারণ অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা আসলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে না। তাই আপনাকে জেনে নিতে হবে সহজ ও সঠিক কিছু উপায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রাতে কোন ৫টি কাজ করতে হবে-

সুষম খাবার খেতে হবে

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রাতে সবার আগে নজর রাখতে হবে খাবারের দিকে। রাতের খাবার যেন সুষম হয় সেদিকে নজর দিন। এর অর্থ হলো খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট থাকতে হবে। এই তিনটির পরিমাণ যেন সমান সমান থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। এতে রাতে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

বেশি রাতে খাবার খাবেন না

রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু এটি মোটেই ভালো কোনো অভ্যাস নয়। আপনারও যদি এই অভ্যাস থাকে তবে তা দ্রুত ত্যাগ করুন। কারণ এই অভ্যাস আপনার ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত রাতে দেরি করে খাবার খান তবে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই রাত আটটার মধ্যে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

রাতের খাবারের পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। দিন ও রাত মিলিয়ে মোট ২-৩ লিটার পানি পান করবেন। এতে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে সহজেই। যে কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। তাই এই অভ্যাস বাদ দেওয়া চলবে না। খেয়াল রাখবেন যেন খাওয়ার পরপরই পানি পান করা না হয়। কারণ তাতে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে

সীমিত খাবার খান

রাতে খুব বেশি খাবার খাবেন না। এসময় মেপে খাবার খাওয়াই ভালো। কারণ রাতে অতিরিক্ত খাবার খেলে ঘুমের মধ্যে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই রাতের খাবার যতটা সম্ভব সীমিত করার চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারলে।

অল্প হাঁটাচলা করুন

রাতের খাবার খাওয়ার পরপরই বিছানায় চলে যাবেন না। কারণ এতে হজমে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। এতে খাবার হজম সহজ হবে। যার ফলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর আপনিও দূরে থাকতে পারবেন ডায়াবেটিস থেকে।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক, শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে’

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : ‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই এভাবেই নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।

ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর এই নৃশংসতায় অনেকটা মুষড়ে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। তাইত এই নৃশংসতা বন্ধে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আহবান জানান তিনি।

ক্যারিয়ারে ভালো সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার আগে ওপার বাংলায় একে একে দুইটি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এছাড়া আগামীকাল যোগ দিবেন গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে। এতকিছুর মাঝেও তার মন কাঁদে ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য।

আজ (১৯ নভেম্বর) ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি অনলাইনে, খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুঁজে আসে।’

আজ গোয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন জয়া আহসান। ২০ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাওয়া এই উৎসবে অংশগ্রহন করেছে জয়ার পাঁচটি সিনেমা। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই উৎসবে প্রিমিয়ার হচ্ছে জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’ এবং প্রথম ইরানি ছবি ‘ফেরেশতে’। এর বাইরে বিভিন্ন বিভাগে লড়াই করবে জয়াভিনীত টলিউডি সিনেমা কৌশিক গাঙ্গুলির ‘অর্ধাঙ্গিনী’, সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ আর সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের ‘ঝরা পালক’।


আরও খবর



আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তানজিন তিশা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা গতকাল ১৫ নভেম্বর রাতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ।

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, তানজিন তিশার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, গতকাল বুধবার অভিনেত্রীর রাজারবাগের বাসায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা যায়, অভিনেতা মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তিশার। তবে কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল তাদের মধ্যে। বুধবার রাতে তিশা নিজের রাজারবাগের বাসা থেকে ফারহানের উত্তরার বাসায় যান। সেখান থেকে ফিরেই ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে, রাতে তিশাকে গুরুতর অবস্থায় সেখানে নেওয়া হয়েছিল। আপাতত অভিনেত্রী বিপদমুক্ত।

তিশার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ঢাকা মেডিকেল থেকে রাজধানীর পান্থপথের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে তিশাকে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। তবে এ বিষয়ে মুশফিক ফারহানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।


আরও খবর