Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

বাংলাদেশ নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করলে মানুষ তার উচিত জবাব দেবে: কর্নেল অলি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৫২জন দেখেছেন

Image

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা নয়, সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ সুসম্পর্ক রাখতে চায়। তবে বাংলাদেশ নিয়ে কেউ মিথ্যাচার করলে মানুষ তার উচিত জবাব দেবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মগবাজারের এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

অলি আহমদ বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার বন্ধ করতে ভারতের প্রতি আহ্বান রইলো। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে এটাই প্রত্যাশা করে বাংলাদেশের জনগণ। বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ভারতে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগকে ভারতের দালাল মন্তব্য করে কর্নেল অলি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার শাসনের সময়টুকু ছাড়া বাকিরা ভারতের দালাল ছিল। বর্তমানে ভারতের দালাল হিসেবে আমরা কাউকে কাজ করতে দেবো না। আমার ভারতের বিপক্ষে না, আমরা কোনো দেশের বিরুদ্ধে না, যারা আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। তবে বেশি গুতাগুতি করলে কাউকে ছাড় দেব না। 


আরও খবর

স্বস্তি ও উদ্বেগ দুটোই বিএনপিতে

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫




দান-সদকায় এগিয়ে আসা একটি গুণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা বিশ্বাসীদের অপরিহার্য অংশ। তবে ইসলাম একটি যুক্তিপূর্ণ ধর্ম। সে কারণে আল্লাহর নামে অযৌক্তিক কাজ করলে চলে না। কারণ আল্লাহ আমাদের বুদ্ধি–বিবেচনা দিয়ে আশরাফুল মখলুকাত হিসেবে পয়দা করেছেন। আল্লাহ ভরসা বলে স্বেচ্ছায় আগুনে ঝাঁপিয়ে পড়া তো আর ইসলামের শিক্ষা নয়। ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো সচেতনতা।

দুঃস্থ-অভাবীদের অভাব মোচনে দান-সদকা নিয়ে এগিয়ে আসা একটি গুণ। দান-সদকার প্রতি ইসলাম মানুষকে অসম্ভব উৎসাহিত করেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে পেটভরে আহার করে আর তার প্রতিবেশী ক্ষুধার্ত থাকে, সে তো মুমিনই নয়।

 

আরও খবর

ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫




আশুলিয়ায় ভবন মালিকের স্বেচ্ছাচারিতায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

সাভার উপজেলা প্রতিনিধি: ঢাকার আশুলিয়ায় ভবন মালিকের স্বেচ্ছাচারিতায় প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্কুল মালিক আশুলিয়া থানা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন সুরাহা পাননি। ফলে ওই স্কুলের প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী পড়াশোনা ও পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।  


আশুলিয়ার পশ্চিম গুমাইল এলাকার স্বপ্নচূড়া শাফাত মেমোরিয়াল স্কুলের জমি ও ভবন মালিকের একক স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হয়ে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 


বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালে ড. রেহেনুমা খানম নামের এক নারী উদ্যোক্তা সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের উন্নত এবং মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রদান ও পুষ্টির কথা চিন্তা করে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম হাতে নেন হিরোজ ফর অল নামের একটি সেবামূলক সংগঠন। এরই ধারাবাহিকতায় পূর্ব থেকে পরিচিত আশুলিয়ার পশ্চিম গুমাইল এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী জয়নাব খানম ইভার মালিকানাধীন ৪ শতাংশ জমি ১৫ বছরের জন্য ইজারা (ভাড়া) হিসেবে নিয়ে সেখানে ৪ তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে একতলা একটি ভবন করেন হিরোজ ফর অল কর্তৃপক্ষ। পরে সেখানে "স্বপ্নচূড়া শাফাত মেমোরিয়াল স্কুল" নামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন এবং প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী ভর্তি করান।

পরে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে শিক্ষা-কার্যক্রম পাঠদান চালু করেন। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোরদেরকে শিক্ষার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার (দুধ, ডিম, কলা) প্রদান করতেন। কিন্তু শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার কিছুদিন পর থেকে ইজারাদাতা এবং তার স্বামী মিলে শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অবিভাবকদের নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকেন। পরে বিষয়টি মৌখিকভাবে বার বার ইজারাদাতা জয়নাব খানম ইভাকে বলা সত্বেও তিনি তা বন্ধ করেননি। এমনকি তিনি ব্যানার খুলে ফেলে দেন এবং এক পর্যায়ে স্কুলের কেয়ারটেকার ও স্কুলের শিক্ষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেন। সেই সাথে স্কুলের ভেতরে থাকা আসবাবপত্র,  কম্পিউটার সহ সকল প্রকার শিক্ষা উপকরণ সহ স্কুলে তালা লাগিয়ে দেন। যার ফলে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এসব ঘটনায় গেল বছরে আগস্টের ৯ তারিখ আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। 


স্কুলের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই স্কুলে শিক্ষার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার দেয়া হত শিক্ষার্থীদের। কিন্তু জমির মালিক তাদের ওই স্কুলে যেতে ভয়ভীতি দেখাতো। কিন্তু এরপরেও বাচ্চারা স্কুলে যেত। কারণ বিনামূল্যে পড়াশোনার পাশাপাশি বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবার প্রদান এটা অন্য কোথাও নেই। তাই ভয়ভীতি দেখালেও সেখানে পাঠাতাম। কিন্তু ওই মহিলা স্কুলে তালা লাগিয়ে দিছে এখন স্কুল বন্ধ। গরীব মানুষ আমরা, এখন বাচ্চাদের কোথায় পড়াবো জানিনা। 


স্বপ্নচূড়া শাফাত মেমোরিয়াল স্কুলের তত্ত্বাবধায়ক মুছা করিম রিপন জানান, পূর্ব পরিচিত এবং সু-সম্পর্ক থাকার কারণে গুমাইল এলাকার জয়নাবের কাছ থেকে জমি লীজ (ভাড়া) হিসেবে নিয়ে সেখানে চার তলা ফাউন্ডেশনের একটি ভবন নির্মাণ করা হয় এবং সেখানে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশু-কিশোরদের বিনামূল্যে শিক্ষাদান ও পুষ্টিকর খাবার প্রদানের লক্ষেই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে জয়নাব ও তার স্বামী ভবনটি দখলে নিতে নানা কৌঁশল করতে থাকে। এনিয়ে তাকে অন্তত তিনবার লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং প্রতারণার অভিযোগে মামলাও করা হয়েছে। স্কুলটি খুলে যাতে এর কার্যক্রম শুরু করতে পারি সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। তা না হলে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। 


জমির ইজারাদাতা জয়নাব খানম ইভার মুঠোফোনে জানান, এটা ঠিক ১৫ বছরের জন্য ভাড়া দিয়েছি। কিন্তু ভাড়া নেওয়ার পর তারা ঠিক মত ভাড়া পরিশোধ করেনি। এমনকি ১৩/১৩ মাসের ভাড়া বাকী পড়ায় তাদেরকে বের করে দিয়েছি। এছাড়া তাদেরকে বের করে দেয়ার পর আমাকে ও আমার স্বামীকে নানাভাবে হয়রানি করেছে তারা। এমনকি মামলা দিয়ে আমার স্বামীকে জেল খাটিয়েছে। হয়রানি আমরা হয়েছি তাদেরকে ভাড়া দিয়ে। তারা ভবনটি দখলের পায়তারা করেছিল বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি জানান, মামলাটি হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে। এরপরেও নানাভাবে হয়রানি করছে তারা। 


এবিষয়ে সাভার উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজমুশ শিহার মুঠোফোনে জানান, স্কুলটি আমাদের এখান থেকে রেজিষ্ট্রেশন নেই। আর এব্যাপারে আমাদেরকে কেউ জানায়নি। রেজিষ্ট্রেশন থাকলে হয়তো বিষয়টি দেখা যেত।


আরও খবর



আইফোনে পাসকোড ব্যবহারে সতর্কতার পরামর্শ

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৭৫জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: সাধারণত আইফোনে ৪ সংখ্যার পাসকোড ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এই পাসকোড ক্র্যাক করা প্রতারকদের কাছে কোনো সমস্যাই নয়। ফলে ডিভাইসটির নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয় খুব সহজে।


এ কারণে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে ব্যবহারকারীদের, যাতে তারা খুব সতর্কতার সঙ্গে পাসকোড ব্যবহার করেন। সব চেয়ে ভালো ৪ সংখ্যার পাসকোডের পরিবর্তে অন্য কোনো জটিল সংখ্যা দিয়ে আইফোন লক করে নেয়া। তাতে ফোন চুরি হলেও তথ্য হারানোর আশঙ্কা কম থাকে।


আইফোনে কম্প্লিকেটেড পাসওয়ার্ড তৈরি করা খুব কঠিন কিছু নয়। কীভাবে করতে হবে দেখে নেয়া যাক-


প্রথমে নিজের ফোনের সেটিংসে গিয়ে ফেস আইডি এবং পাসওয়ার্ডে যেতে হবে। তারপর চেঞ্জ পাসওয়ার্ডে ক্লিক করতে হবে। সেখানে নিজের পুরোনো পাসওয়ার্ড দিতে হবে। তারপরেই নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি করা যাবে। এরপর পাসকোড অপশনে গিয়ে কাস্টম আলফানিউমেরিক কোড নির্বাচন করতে হবে।


এতে ব্যবহারকারী অক্ষর, সংখ্যা, স্পেশাল ক্যারেক্টার (যেমন @,#,&,! প্রভৃতি) ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড তৈরি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ৬ থেকে ১০টি ক্যারেক্টার হতে হবে।


এছাড়া, ফোন নিরাপদে রাখার আর একটি উপায় অবশ্যই ফেস আইডি বা টাচআইডি ব্যবহার করা। যদি একান্তই ৪ সংখ্যার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়, তাহলে নিজেকেই সতর্ক রাখতে হবে। যখনই ফোন খোলা হবে তখন যেন আশপাশে অপরিচিত কেউ না থাকে।


আরও খবর



ফরিদপুরে দুইজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ঢাকা হতে মাগুরাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসে যাত্রী সেজে মাদকদ্রব্যের চালান নিয়ে ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন বদরপুর হয়ে মাগুরা জেলার দিকে যাচ্ছে।

 

উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের উক্ত আভিযানিক দল অদ্য ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ * তারিখ *রাত আনুমানিক ১২:৩০ ঘটিকায় ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন বদরপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ৩,৬০,০০০/- (তিন লক্ষ ষাট হাজার) টাকা মূল্যমানের ১২ (বারো) কেজি গাঁজাসহ ০২ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর নাম।

 

হৃদয় দে (২১), পিতা-শৈলান দে, সাং-ধনেশ্বরগাদী, থানা- শালিকা, জেলা- মাগুরা,২। মোঃ রনি (২০), পিতা- মৃত নুর ইসলাম, সাং-আঠারোখাদা, শান্তিপাড়া, থানা- মাগুরা সদর, জেলা- মাগুরা বলে জানা যায়।

 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে মাগুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।

 

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

 

আরও খবর



ইউনিলিভার বাংলাদেশ ও কেওক্রাডং বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে হলো ‘কোস্টাল ক্লিনআপ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯১জন দেখেছেন

Image

কক্সবাজার প্রধিনিধি: ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) এবং কেওক্রাডং বাংলাদেশ (কেবি) অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে কোস্টাল ক্লিনআপ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এই দ্বীপ পরিচ্ছন্নতা উদ্যোগে ৩৫০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়ে ১,৫০০ কেজির অধিক পরিমান সামুদ্রিক বর্জ্য দ্বীপটির সৈকত  থেকে সংগ্রহ করেন, যা পরবর্তীতে মূল ভূখন্ডে নিরাপদে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সংগৃহীত সামুদ্রিক বর্জ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- প্লাস্টিকের খাদ্যপণ্যের মোড়ক, প্লাস্টিকের বোতল, বোতলের ক্যাপ, প্লাস্টিকের ব্যাগ ইত্যাদি। 


যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘ওশান কনজারভেন্সি’ এর বাংলদেশের সমন্বয়ক প্রতিষ্ঠান কেবি বিগত ১৩ বছর ধরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতার কাজ করে আসছে। সংস্থাটি সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ছাড়াও কক্সবাজার-টেকনাফ উপদ্বীপ অঞ্চলেও বিগত বছরগুলোতে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সামুদ্রিক বর্জ্য সম্পর্কে বৈশ্বিক পর্যালোচনা ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে ভূমিকা রাখছে প্রতিষ্ঠানটি। এ বছর সেন্ট মার্টিন দ্বীপে সমুদ্র সৈকত পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির সঙ্গে ইউনিলিভার সম্পৃক্ত হওয়ায় ক্যাম্পেইনটি নতুন মাত্রা লাভ করেছে। ইতোপূর্বে এ উদ্যোগে ৫ হাজার ৭ শ’ স্বেচ্ছাসেবী সম্পৃক্ত হয়েছেন এবং তারা এ দ্বীপটি থেকে ২৮ হাজার ৫ শ’ কেজির বেশি বর্জ্য সংগ্রহ করেন।


ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর শামিমা আক্তার বলেন, “২০২০ সাল থেকে ইউনিলিভার বাংলাদেশ প্লাস্টিকের টেকসই ব্যবস্থাপনায় অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশে আমাদের যত পরিমাণ প্লাস্টিকে মোড়কজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে, তারচেয়ে বেশি প্লাস্টিক সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত করছি। তবে আমরা জানি, প্লাস্টিক বর্জ্য দূষণ এমন একটি সমস্যা যা একা সমাধান করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের প্রয়োজন যৌথ উদ্যোগ, যা পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে এবং সেন্ট মার্টিনের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়ক হবে। এ বছর কেওক্রাডং বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সেন্ট মার্টিন সমুদ্র উপকূল পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পরিচালিত হয়েছে, যেখানে তরুণ স্বেচ্ছাসেবক ও স্থানীয় জনগণকে যুক্ত করা হয়। এর মাধ্যমে সবার মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরির পাশাপাশি আমাদের পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে।”


‘ওশান কনজারভেন্সি’ এর ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুনতাসির মামুন বলেন, “এটি একটি দারুণ বিষয় যে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডেল্টা এবং এখানে বিভিন্ন জায়গায় অসাধারণ কিছু সমুদ্র সৈকত রয়েছে। সেন্ট মার্টিন দেশের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তবে, নানা আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ এই সুন্দর দ্বীপ এবং সৈকতের প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে ফেলছে। আমরা বিশ্বাস করি ইউনিলিভারের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে এবং আমাদের এই অংশীদারিত্ব অন্যদেরও বাংলাদেশে ভালো কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।”


বাংলাদেশের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) বা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি স্পর্শকাতর চ্যালেঞ্জ হওয়ায় ইউবিএল ভবিষ্যতেও কার্যকরী অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।


বাংলাদেশে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ভ্যালু চেইনে অগ্রগামী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে ইউনিলিভার বাংলাদেশ দেশব্যাপী প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামে দেশের সবচেয়ে বড় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প পরিচালনা করছে এবং নতুন প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য সমাধান তৈরির জন্য উদ্ভাবন চালিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি, ইউনিলিভার দেশজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে।


আরও খবর