Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে জায়গা হচ্ছে না সাকিবের

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৮১জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তাদের স্কোয়াড আইসিসির কাছে পাঠাবে রোববার (১২ জানুয়ারি)। সেই দলে বাংলাদেশের সাপেক অধিনায়ক ও বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের জায়গা হবে কিনা তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে কালবেলা জানতে পেরেছে যে সাবেক এই অধিনায়ককে এই স্কোয়াডে রাখা হচ্ছে না।



সাকিব আল হাসান, যিনি দীর্ঘদিন ধরে দলের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন, নানা কারণে কিছুদিন ধরেই খবরের শিরোনাম হয়েছেন। সম্প্রতি ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের কারণে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিং নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছেন। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তার বোলিং অ্যাকশনকে ত্রুটিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করে নিষিদ্ধ করেছে, যা আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও প্রযোজ্য হয়েছে। এছাড়াও দ্বিতীয়বার অ্যাকশন সংশোধনীর পরীক্ষা দিয়েও ফেল করেছেন তিনি।



এছাড়া, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকারের সাথে সাকিবের সম্পৃক্ততা তাকে করেছে বিতর্কিত। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই তিনি আর দেশে আসেননি। ফলে তার ফিটনেস ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে নির্বাচকরা জানেন না, যা তার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় প্রভাব রেখেছে।



বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে স্কোয়াড ঘোষণা না করা পর্যন্ত এই তথ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তবে, সাকিবের অনুপস্থিতি দলের কৌশল ও ভারসাম্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। তার অলরাউন্ড দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা দলের জন্য অমূল্য ছিল।



বিসিবি আগামীকাল আইসিসির কাছে দল পাঠালেও গণমাধ্যম দল সম্পর্কে জানতে পারবে আরো পরে।


আরও খবর

রিয়াল ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছে নেই রদ্রিগোর

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল জাবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪০জন দেখেছেন

Image

শিক্ষা ডেস্ক: প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি)।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান নেয়। এতে আটকা পড়েন প্রশাসনিক ভবনে অবস্থানরত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, পোষ্য কোটা মানেই অযোগ্যদের সুযোগ করে দেয়া। পোষ্য কোটা নিয়ে গতকাল প্রশাসন সংস্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কিন্তু আমরা তা প্রত্যাখান করে অবিলম্বে পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তারা।

ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী নিবির ভূইয়া বলেন, অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে আমরা অবস্থান নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কারোরই পোষ্য কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

এর আগে, সকাল ১১টার দিকে পূর্বের মতো পোষ্য কোটা বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা৷ সেখানে পোষ্য কোটা বাতিল সংক্রান্ত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ আনে শিক্ষার্থীরা৷ এসময় প্রতিবাদ জানাতে এলে এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷

এদিকে, পৌষ্য কোটা সংক্রান্ত সকল শর্ত বাতিল ও পুনরায় বহালের দাবিতে আগামীকাল থেকে লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, এ ঘোষণার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরাসরি ইন্ধন রয়েছে। পোষ্য কোটা বাতিল হোক, তা তারা চাচ্ছে না৷


আরও খবর



মন্দ আচরণের পরিণতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : কিছু মানুষ এমন আছে, যারা অন্যের সঙ্গে কটু ভাষায় কথা বলে আনন্দবোধ করে। তারা মনে করে, এই রূঢ় আচরণ তাদের ব্যক্তিত্বতে পাকাপোক্ত করে। তারা অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তারে তাদের আরেকটি কৌশল হলো, তারা খুব সূক্ষ্মভাবে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অন্যকে দমিয়ে রাখার জন্য নুন থেকে চুন খসলে অভিশাপও দিয়ে থাকে, অথচ রহমাতুল্লিল আলামিন, সরদারে দো আলম মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা.) এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মতে, কোনো মুমিনের জন্য এ ধরনের কাজে লিপ্ত হওয়া সমীচীন নয়। আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুমিন কখনো দোষারোপকারী ও নিন্দাকারী হতে পারে না, অভিসম্পাতকারী হতে পারে না, অশ্লীল কাজ করে না এবং কটুভাষীও হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৭) অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, বিশ্বনবী (সা.) বলেছেন, তোমরা পরস্পর একে অপরকে অভিসম্পাত, তার গজব ও জাহান্নামের বদদোয়া  কোরো না। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৭৬) অন্যকে অভিশাপ দেওয়া এতটাই ভয়ানক বিষয় যে তা দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশাপ দাতাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু দারদা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, যখন কোনো বান্দা কোনো বস্তুকে অভিশাপ দেয়, তখন ওই অভিশাপ আকাশের দিকে অগ্রসর হয়। অতঃপর সেই অভিশাপের আকাশে ওঠার পথকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন তা আবার দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তনের জন্য রওনা হয়; কিন্তু দুনিয়ায় আসার পথও বন্ধ করে দেওয়ায় সে ডানে-বাঁয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অবশেষে অন্য কোনো পথ না পেয়ে যাকে অভিশাপ দেওয়া হয়েছে, তার কাছে ফিরে আসে। তখন সেই বস্তু যদি অভিশাপের যোগ্য হয়, তাহলে তার ওপর ওই অভিশাপ পতিত হয়, অন্যথায় অভিশাপকারীর ওপরই তা পতিত হয়। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৫) এগুলো অভিশাপকারীর দুনিয়াবি ক্ষতি। আখিরাতেও শুধু অভিশাপ দেওয়ার প্রবণতার কারণে বহু মানুষ জাহান্নামে যাবে। যেমনটা নবীজি (সা.) নারীদের উদ্দেশ করে বলেছিলেন। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) হতে বর্ণিত, একবার ঈদুল আজহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহর রাসুল (সা.) ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেন, হে মহিলা সমাজ! তোমার সদকা করতে থাকো। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তারা জিজ্ঞেস করলেন, কী কারণে, হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, তোমরা অধিক পরিমাণে অভিশাপ দিয়ে থাকো আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। (বুখারি, হাদিস : ৩০৪) তাই কখনো এ ধরনের রূঢ় আচরণ ও অহেতুক অভিসম্পাতকারীর কবলে পড়লে তার সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত না হয়ে তাকে এড়িয়ে চলাই মুমিনের কাজ। এতে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবি মদদ পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি মহানবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় আছে। 

আমি তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখি, কিন্তু তারা সম্পর্ক ছিন্ন করে। আমি তাদের উপকার করি, কিন্তু তারা আমার ক্ষতি করে। তারা আমার সঙ্গে মূর্খের আচরণ করে, কিন্তু আমি তা সহ্য করি।’ তিনি বলেন, যদি তোমার বক্তব্য সঠিক হয়, তবে তুমি যেন তাদের মুখে উত্তপ্ত ছাই পুরে দিচ্ছ। তোমার কারণে তাদের দুর্ভোগ আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি এরূপ করতে থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী তাদের মোকাবেলায় তোমার সঙ্গে থাকবেন। (আদাবুল মুফরাদ, আয়াত : ৫২)


আরও খবর

ইসলাম শিক্ষকদের বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




বোয়ালমারী থেকে বিস্ফোরক মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা শাখার সাবেক সদস্য সাইদুল ইসলাম সোহরাবকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) তাকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে পাশ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় সোহরাবকে তার বোয়ালমারীস্থ বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহরাব হোসেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক সদস্য ও বোয়ালমারী উপজেলা শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের গুনবহা গ্রামের মো. রুস্তুম শেখের ছেলে।

থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের গত ১৬ জানুয়ারি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ আওয়ামী লীগের ১৭০ নেতাকর্মীর নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক দিনমজুর লাভলু সর্দার বাদি হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার অজ্ঞাতনামা আসামিও করা হয়। ওই বিস্ফোরক মামলার অজ্ঞাতনামা সন্দেহ ভাজন আসামী হিসেবে সোহরাবকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে বোয়ালমারী থানা থেকে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে ওইদিন রাতেই হস্তান্তর করা হয়। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আসামীকে ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ। 

বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ গোলাম রসুল বলেন, আলফাডাঙ্গায় বিস্ফোরক মামলার সন্দেহজনক আসামী হিসেবে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, আলফাডাঙ্গা থানার বিস্ফোরক মামলার সন্দেহমূলক আসামী হিসেবে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বোয়ালমারী থানা পুলিশের সহযোগিতায় গুনবহা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আলফাডাঙ্গায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার তাকে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। 


আরও খবর



অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত:সোমবার ২০ জানুয়ারী ২০25 | হালনাগাদ:সোমবার ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬২জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেছেন, উন্নয়ন ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিতে তার দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাত করেন জ্যাকবসন। এ সময় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আপনার সরকারকে বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

প্রধান উপদেষ্টা চলমান সংস্কার উদ্যোগ, জুলাই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইনের নিরাপদ অঞ্চলে প্রত্যাবাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা কামনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি পরিমাণে বাংলাদেশ থেকে পোশাক ও টেক্সটাইল আমদানি করবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

জুলাই ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি আশা করছেন, রাজনৈতিক দলগুলো ফেব্রুয়ারির শুরুর মধ্যেই ঐক্যমতে পৌঁছাবে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত কোনো ভিন্নমত শুনিনি। তবে এই রাজনৈতিক প্রচেষ্টাকে ’কঠিন’ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, প্রস্তাবিত ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হবে ‘ঐক্য’।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, সরকার কেবল একটি সহযোগির ভূমিকা পালন করবে। রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে সম্মত হলে সরকার তাদের একটি জুলাই চার্টারে স্বাক্ষর করার অনুরোধ জানাবে।

যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স কিছু সাংবাদিকের গ্রেফতার এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার প্রতিবেদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রধান উপদেষ্টা জানান, তার সরকার দেশে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এক ঘণ্টার বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ঢাকার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে অগ্রগতি এবং মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।


আরও খবর

প্রধান উপদেষ্টার আয়নাঘর পরিদর্শন

বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

এপ্রিল হতে পারে ইউনূস-মোদি সাক্ষাৎ

মঙ্গলবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫




মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সাবেক এমপি সহ ৪ ভাই বেকুসুর খালাস

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তবে এই মামলায় সাবেক সাংসদ সদস্য (এমপি) আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইসহ ১০ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত।

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান এ রায় দেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মোহাম্মদ আলী ও কবির হোসেন। তারা দুজনেই জামিনে থেকে পলাতক রয়েছেন।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে এই হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামক দুইজনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করে। তারা আদালতে জবানবন্দি দেন। আসামিদের জবানবন্দিতে আওয়ামী দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার নাম বের হয়ে আসে।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওয়াহেদ, আবদুল খালেক ও সনি আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান। আমানুর রাহমান খান রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তিন বছর জেলে থাকার পর জামিন লাভ করেন। ৫ আগস্টের পর তিনি আবার আত্মগোপনে চলে যান। অপর দুই ভাই ২০১৪ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে তাদের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। বিচার চলাকালে দুই আসামি আনিছুর রহমান ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ সমির কারাগারে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৬ জানুয়ারি ফারুক হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁশুলি মোহাম্মদ সাইদুর রহমান স্বপন বলেন, দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাসহ ১০ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।


আরও খবর