Logo
আজঃ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জবাই করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক

বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া ও আমল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নজর অর্থ দৃষ্টি। আর বদনজর মানে হলো, কুদৃষ্টি বা মন্দচাহনি। হিংসার নিকৃষ্ট স্বভাব-মিশ্রিত বিষাক্ত দৃষ্টিপাতের প্রভাবে ব্যক্তি বা বস্তুর মাঝে যে ক্ষতি দেখা যায় তাকে বদনজর বলা হয়। বদনজর দুইভাবে হয়-মানুষের বদনজর ও জিনের বদনজর। যুগে যুগে বদনজরের সমস্যা ও সমধান ছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা বদনজর থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাও। কেননা বদনজর সত্য।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৫০৮) বদনজরের প্রভাব বেশি পড়ে ছোট বাচ্চাদের ওপর। এ থেকে মুক্তি পেতে রাসুলুল্লাহ (সা.) রুকইয়া বা কোরআনি চিকিৎসা করতে আদেশ দিয়েছেন। ফলে এটি সুস্থতার নিয়ামত লাভ ও নিরাপদণ্ডসাচ্ছন্দ্যে জীবন যাপনে সহায়ক হয়।
বদনজরের লক্ষণ
বদনজরের আক্রান্ত ছোট বাচ্চাদের বেশ কিছু লক্ষণ ফুটে উঠে। যেমন-শিশুরা মায়ের বুকের দুধ বা খাবার খেতে না চাওয়া, অনর্থক ভয় পাওয়া, অস্বাভাবিক কান্নাকাটি করা ইত্যাদি।
বদনজর থেকে বাঁচার আমল
বদনজরের রুকইয়া বা কোরআনি চিকিৎসা প্রধানত দুই পদ্ধতিতে করা যায়। এক. কোরআনের আয়াত বা হাদিসে বর্ণিত দোয়া লিখে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমন্ত অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে, সে যেন ‘আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিং গদাবিহি ওয়া শাররি ইবাদিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়াতিনি ওয়া আই ইয়াহদরুন’-এই দোয়াটি পড়ে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর তার উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৯৩; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২৮)
দুই. বিশেষ দোয়া বা সুরা পাঠ করে ঝাঁড়ফুক করা।
এই প্রসঙ্গে সহজ ও সংক্ষিপ্ত  চারটি আমল এই :
এক. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার এই দোয়া পাঠ করবে, কোনো কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না। দোয়াটি এই-‘বিসমিল্লা হিল্লাজি লা-ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউং ফিল আরদি ওয়ালা ফিসসামাই ওয়াহুয়াস সামিউল আলীম।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৮)
দুই, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি সকাল- সন্ধ্যা তিনবার করে এই দোয়া পাঠ করবে সে প্রত্যেক সৃষ্টবস্তুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে। বিশেষ করে সাপ বিচ্ছুর অনিষ্ট থেকে রেহাই পাবে। দোয়াটি হলো-‘আউযু বিকালিমা তিল্লাহিত্তাম্মাতি মিং শাররি মা খলাক।’ (মুসলিম, হাদিস : ৬৬৩২)
তিন. রাসুলুল্লাহ (সা.) হাসান ও হুসাইন (রা.)-কে এই দোয়া পড়ে ঝাড়ফুঁক করতেন আর বলতেন তোমাদের পিতা ইবরাহিম (আ.) এই দোয়ার মাধ্যমে (তাঁর সন্তানদের) ঝাড়ফুঁক করতেন। দোয়াটি হলো-‘আউযু বিকালিমা-তিল্লাহিত্তাম্মাতি মিং কুল্লি শাইতানিন ওয়াহাম্মাহ ওয়ামিং কুল্লি আইনিন লাম্মাহ।’ (বুখারি, হাদিস : ৩১৩২)
চার. রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘সকাল-সন্ধ্যায় তিনবার সুরা ইখলাস, ফালাক এবং নাস পাঠ করবে। সবকিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৫)


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




রাজবাড়ীতে ২৬ কেজি গাঁজাসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান অবৈধ মাদক মজুদ করে রেখেছে।

উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের উক্ত আভিযানিক দল অদ্য ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৩:২০ ঘটিকায় উল্লেখিত এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ৭,৮০,০০০/- (সাত লক্ষ আশি হাজার) টাকা মূল্যমানের ২৬ (ছাব্বিশ) কেজি গাঁজাসহ ০১ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর নাম ১। মোঃ ইউসুফ আলী (৩২), পিতা- মৃত ওয়াস কুরনী, সাং-ইটভাটা পাড়া, ডাকঘরঃ বদরগঞ্জ, থানা- চুয়াডাঙ্গা সদর, জেলা- চুয়াডাঙ্গা বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে আমন ধানের বাম্পার ফলন, বেশি দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫০জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী প্রতিনিধি:
দেশের শস্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর। আর সেই জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে সোনালি ধান আমন। কৃষকরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। গত বছরের তুলনায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বেশি দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত জুড়ে ফসলের মাঠ। হেমন্তের মিষ্টি বাতাসে দোল খাচ্ছে আমনের সোনালি শীষ। সোনালি ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক। কেউ আঁটি বেঁধে ধানের বোঝা কাঁধে করে, কেউ ভ্যানে আবার কেউ গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ২ হাজার ৬৯৫ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার ৩২৫ মেট্রিকটন আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি এসব ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে গড়ে ৩.৪-৩.৬ মেট্রিকটন ।এর মধ্যে আগাম জাতের ধান রয়েছে হাইব্রিড ও উপশি জাতের তেজগোল্ড, ব্রী-৯০, বিনা-১৭, সম্পাকাটারি, জাটাপাড়ি, ধানিগোল্ডসহ আরও বিভিন্ন জাত।

সরজমিনে উপজেলার আলাদিপুর ইউনিয়ন, এলুয়াড়ী ইউনিয়ন ও শিবনগর ইউনিয়নের  রাজারামপুর, গোপালপুর, জাফরপুর, পলিশিবনগর, শমসেরনগর এলাকায় ঘুরে দেখা যায় , মাঠে মাঠে আগাম জাতের আমন ধান কাটা মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। কেউ ধান কাটছেন, কেউ আবার ধান কেটে কাঁধে করে জমি থেকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ মাড়াই করে বস্তায় ভরছেন। অনেকে ধান কাটার পর আগাম আলুসহ শীতকালীন রবিশস্য চাষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এজন্য মাঠে-মাঠে কিষান-কিষানিদের চরম ব্যস্ততা, যেন দম ফেলার ফুসরত নেই তাদের।

স্থানীয় কৃষক হাফিজুল হক চৌধুরী বলেন, এক সময় আগাম আলু চাষের জন্য জমি ফেলে রাখা হত। এখন স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন আগাম জাতের ধান আবিষ্কার হওয়ায় জমি ফেলে রাখা হয় না। ধানের পর আগাম আলু চাষ করলে আলুর ফলন ভালো হয়, দামও ভালো পাওয়া যায়। তাই ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ জমিগুলোতে প্রতি বছর আগাম ধান, আলু, ভুট্টাসহ চার ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এতে করে তারা লাভবান হচ্ছে।

আলাদিপুর ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের কৃষক ময়েজ আলী বলেন, এবছর তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের ধান লাগিয়েছেন তিনি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে ফলন ভালো হয়েছে, ইতি মধ্যে ১ এক বিঘা জমির ধান কেটেছেন। বাজারে দাম ও পেয়েছেন ভাল। বর্তমান বাজারে প্রতিবস্তা কাচা ধান বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা দরে। ধান কাটা শেষে এসব জমিতে আগাম আলু রোপণ করা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন,ফুলবাড়ী উপজেলা একটি খাদ্য উবৃদ্ধির উপজেলা  এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এই উপজেলায়  বিগত বছরের চেয়ে এবছর আমনের ফলন ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ভাগ ধান কৃষ তাদের ঘরে তুলেছেন। কৃষক দামও বেশি পাচ্ছে।


আরও খবর



বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে রক্ষা নেই বিহার-ওড়িশার, সর্তক করলেন মমতা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে তা থেকে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, তাতে বিহার এবং ওড়িশাও রেহাই পাবে না বলে সতর্ক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে বিহার, ওড়িশাও এর প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম নিউজ-১৮-এর এক অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটা লিডারলেস (নেতৃত্বহীন) পরিস্থিতির মতো হয়ে গেছে। সে জন্যই প্রবলেমটা হচ্ছে। কিন্তু আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চাই না।

মমতা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যদি কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার-ওড়িশাও রক্ষা পাবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করুক।

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখতে এবং নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান, যাতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং সেখানে সবাই শান্তিতে থাকতে পারে। 

মমতা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যদি কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার-ওড়িশাও রক্ষা পাবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করুক।

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখতে এবং নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান, যাতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং সেখানে সবাই শান্তিতে থাকতে পারে। 


আরও খবর



শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাব তলব

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

 নিজেস্ব প্রতিনিধি: সবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে চৌধুরী জাফরুল্লাহ সরাফাত, তাঁর ভাই চৌধুরী হাবিবুল্লাহ সরাফাত ও ডালিয়া চৌধুরীর হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এর আগে জাফরুল্লাহ ও হাবিবুল্লাহ চৌধুরীর ভাই ও পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে হিসাবের তথ্য তলব করেছে।

লেনদেন তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালাসংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে তলব করা ব্যক্তির নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা কোনো ধরনের আর্থিক অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না বা কারা এসব ট্রাস্টে টাকা দিয়েছেন এবং এই ট্রাস্টের টাকা কী কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে তাঁদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।

বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে পাঠাতে হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে টানা ১৬ বছর আওয়ামী লীগ শাসনের অবসান ঘটে।

 


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নেমেছে ১২.৪ ডিগ্রিতে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় উপজেলা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের অধিকাংশ সময় সূর্য মেঘে ঢাকা থাকছে। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত হিম বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হতে থাকে। আর হিমেল বাতাসে তীব্র শীতের কবলে পড়েছে উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদী তীরবর্তী চরের হতদরিদ্র মানুষ। এদিকে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু বৃদ্ধরা। পাশাপাশি তীব্র শীতের কাঁপছে গরু-ছাগলসহ প্রাণীকুল।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঘনকুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে যাতায়াত করছে। ফুলবাড়ী হাসপাতালে প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। অন্যদিকে, কুয়াশা ও শীতের কারণে কৃষি শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছে। তারা সময়মতো কাজে যেতে পারছেন না।

কুরুষাফেরুষা এলাকায় দিনমজুর আব্দুল জলিল বলেন, কয়েকদিন থেকে খুব ঠান্ডা ও কুয়াশা। কাজ করা খুব সমস্যা হইছে আমাগো। আজও সেই কুয়াশা রাস্তা দেখায় যায় না। কাজ করার সময় হাত বরফ হয়ে যায়। 

কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, এই মাসে তাপমাত্রা আরও কমে ২-৩টি শৈতপ্রবাহ এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


আরও খবর