Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

বিপদগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতা রসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩১জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। কোনো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত হলে তাদের পাশে দাঁড়ানো ইসলামের শিক্ষা। মহানবী (সা.)-এর আদর্শ। নামাজ, রোজার মতো শ্রেষ্ঠতম ইবাদত। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন- ‘মুমিনদের উদাহরণ তাদের পারস্পরিক ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতির দিক দিয়ে একটি মানবদেহের মতো, যখন একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়, তখন তার পুরো দেহ আক্রান্ত, তখন তার পুরো দেহ ডেকে আনে তাপ ও অনিদ্রা।’ (সহিহ মুসলিম)। যাদের যে পরিমাণ সামর্থ্য রয়েছে সে অনুযায়ী অসহায়, দুর্গত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য মহানবী (সা.) নির্দেশ প্রদান করেছেন। নির্দেশ প্রদান করেছেন আপন আপন সাধ্যানুযায়ী জুলুম-অত্যাচার প্রতিহত করার প্রতি। তিনি ফরমান, ‘তোমাদের মধ্যে যে অন্যায় দেখবে সে যেন তার হাত দিয়ে বাধা দেয়, আর যদি হাত দিয়ে বাধা দিতে না পারে তবে যেন মুখ দিয়ে বাধা দেয়, আর যদি মুখ দিয়ে বাধা দিতে না পারে তবে যেন অন্তরে বাধা দেয় (বা পরিকল্পনা গ্রহণ করে)’। আর এটি হলো দুর্বল ইমানের পরিচয়।’ (সহিহ মুসলিম)। মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প সম্বল নিয়ে অথবা প্রচুর জিনিসের সঙ্গে এবং প্রচেষ্টা কর আল্লাহর পথে নিজেদের জানমাল নিয়ে, এটি তোমাদের জন্য অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার।’ (সুরা-আত তাওবাহ-৪১)।

মানুষ এবং হিংস্র প্রাণীর মধ্যে মৌলিক পার্থক্য হলো- হিংস্র প্রাণী একে অপরকে খেয়ে বাঁচে। মানুষ পরস্পরের সহযোগিতা করে আনন্দ পায়। মানুষ সামাজিক জীব। তারা হিংস্র প্রাণী নয়। তাই মানুষ মানেই মিলেমিশে থাকবে। পরস্পর কল্যাণকামী হবে। কারও ওপর অন্যায় আচরণ, জুলুম-অত্যাচার, মানবতাবিরোধী কোনো কাজ তারা করবে না। ক্ষমতার দাপটে, টাকার প্রাচুর্যে এবং জাতিগত অহমিকায় কোনো মানুষ অসহায়-দুর্বলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে না। আল্লাহতায়ালা অত্যাচারীকে পছন্দ করেন না। অত্যাচারীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য তিনি মানবসমাজকে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা করেন, ‘আর তোমাদের কী হলো যে তোমরা লড়াই কর না আল্লাহর পথে এবং অসহায় নর-নারী ও শিশুদের পক্ষে যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এ জনপদ যার অধিকারী অত্যাচারী, তা থেকে নিষ্কৃতি দান করুন। আর আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য অভিভাবক ঠিক করে দিন এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দিন।’ (সুরা আন-নিসা-৭৫)।

অত্যাচারী আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত। জান্নাত থেকে বিতাড়িত। অত্যাচারীর বিরুদ্ধে আল্লাহর বিধান এবং তাঁর অবস্থান অনেক কঠোর। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘তোমরা অত্যাচারীদের মোকাবিলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি সংগ্রহ এবং অশ্ববাহিনী প্রস্তুত রাখবে, যেন আল্লাহর শত্রুদের ওপর এবং তোমাদের শত্রুদের ওপর প্রভাব পড়ে।’ (সুরা আল আনফাল-৬০)।

বর্তমান সমাজে বিরাজমান অশান্তি ও অস্থিরতার মূল কারণ হলো- জুলুম, অত্যাচার। ইসলামী পরিভাষায় অত্যাচারী হলো সীমা লঙ্ঘনকারী। সীমা লঙ্ঘনের অপরাধে আল্লাহতায়ালা এ পৃথিবীর প্রতাপশালী ও পরাশক্তি কাউকে ছেড়ে দেননি। ভবিষ্যতেও কেউ রেহাই পাবে না। অতএব আমাদের জন্য জুলুম-অত্যাচার পরিহার করা এবং যাবতীয় অপরাধ প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করা বর্তমান সময়ের দাবি। মানবিক ও ইমানি দায়িত্ব।


আরও খবর



লঘুচাপ তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬১জন দেখেছেন

Image

দক্ষিণপূর্ব এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং বৃষ্টিপাত হতে পারে।  

আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ ছাড়া আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে— সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। 

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে মৌসুমী স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। 

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।  

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়াতে ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  


আরও খবর



পরকালে আল্লাহ যাদের আলোকিত করবেন

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | জন দেখেছেন

Image

ইসলাসিক ডেস্ক : হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বলবেন, তোমরা মাথা ওঠাও। অতঃপর তারা মাথা ওঠালে তাদের আমল অনুপাতে নূর প্রদান করা হবে। তাদের কেউ এমনও থাকবে, যাদের বড় পাহাড়সম নূর প্রদান করা হবে, যার আলোতে তারা চলবে। আবার কাউকে তা অপেক্ষা ছোট নূর প্রদান করা হবে।

আবার খেজুর গাছ সমতুল্য নূর কারো ডান হাতে প্রদান করা হবে। আবার কাউকে তা অপেক্ষা ছোট নূর প্রদান করা হবে। 

অবশেষে একজনকে তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে নূর প্রদান করা হবে, যা একবার প্রজ্জ্বলিত হবে আরেকবার নিভে যাবে। যখন আলোকিত হবে তখন সে পা ওঠাবে এবং নির্বাপিত হলে দাঁড়িয়ে যাবে।

সেদিন আল্লাহ তাআলা তাদের সামনে অবস্থান করবেন। অতঃপর জাহান্নামের ওপর রাস্তা বানানো হবে, যা পিচ্ছিল ও তরবারির চেয়ে ধারালো। এরপর বলা হবে, তোমরা অতিক্রম করো। তারা নিজেদের নূর অনুযায়ী অতিক্রম করবে।

কেউ চোখের পলকে, কেউ বিদ্যুৎ গতিতে, কেউ মেঘের গতিতে, কেউ নিক্ষিপ্ত তারকার গতিতে, কেউ বাতাসের গতিতে, কেউ দ্রুতগামী ঘোড়ার গতিতে, কেউ দ্রুতগামী পদচারীর গতিতে পুলসিরাত অতিক্রম করবে। আর যার বৃদ্ধাঙ্গুলিতে আলো প্রদান করা হবে সে মুখমণ্ডল, পা ও হাতের ওপর ভর করে অতিক্রম করতে যাবে। একসময় সে এক পায়ের ভরে ঝুলে যাবে এবং জাহান্নামের আগুনের প্রভাব অনুভব করবে। এভাবে চলতে চলতে সে নাজাত পেয়ে যাবে। নাজাত প্রাপ্তির পর সে বলবে, ওই আল্লাহর প্রশংসা, যিনি আমাকে এমন আলো দিয়েছেন, যা আমার দেখার পর অন্য কাউকে প্রদান করেননি। (সহিহুত তারগিব, হাদিস : ৩৫৯১, ৩৭০৪; মুসতাদরাক হাকেম : ৩৪২৪)

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘বস্তুত আল্লাহ যাকে আলো দেন না, তার কোনো আলো থাকে না।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ৪০)


আরও খবর

তাওবার গুরুত্ব

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




রোগীদের পানাহার সম্পর্কে মহানবী (সা.)-এর উপদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩১জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : অসুস্থ হলে অনেকের খাবারের চাহিদা কমে যায়। অনেক সময় আমরা তাদের জোর করে খাবার দিতে চেষ্টা করি। এটি সমীচীন নয়। উকবা ইবনু আমির (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের রোগীদের পানাহারের জন্য জোর-জবরদস্তি কোরো না।

কেননা আল্লাহ তাদের (বিশেষভাবে) খাওয়ান এবং পান করান। (তিরমিজি, হাদিস : ২০৪০, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪৪৪)

এই হাদিসের ব্যাখ্যা হলো, মহান আল্লাহ অসুস্থ ব্যক্তিকে ক্ষুধার যন্ত্রণা ও পিপাসার ওপর ধৈর্য ধারণ করার ক্ষমতা দান করেন।

ইবনুল কাইয়িম (রহ.) লিখেছেন, ‘রোগীর পানাহারে ইচ্ছা না থাকার পেছনে হতে পারে রোগীর শরীর তখন রোগ নির্মূল করার কাজে ব্যস্ত থাকে, অথবা তার চাহিদা শেষ হওয়া, অথবা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কমে যাওয়া কিংবা নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার কারণে পানাহারের চাহিদা কমে থাকতে পারে। 

মোটকথা, কারণ যা-ই হোক, এ অবস্থায় রোগীকে খাবার খেতে বাধ্য করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

আর মানুষ যখন রোগাক্রান্ত হয়, তখন মানব স্বভাব রোগের মূল উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিহত করার প্রতি মনোনিবেশ করে। তাই এ সময় রোগীর মধ্যে খাবার-পানীয় গ্রহণের চাহিদা বেশি থাকে না।’ (আত-তিববুন নববী, পৃষ্ঠা-১৫২)


আরও খবর



এইচএসসির ফল প্রকাশের কারণে স্কুল ভর্তির লটারি পেছাল

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৩জন দেখেছেন

Image

আগামী ২৬ নভেম্বর স্কুল ভর্তির লটারি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওইদিন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। তাই সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ডিজিটাল লটারির কার্যক্রম পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২৬ নভেম্বর স্কুলে ভর্তির লটারির ফল প্রকাশের কথা ছিল। তবে ওইদিন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হবে। এজন্য লটারির ফল প্রকাশের কার্যক্রম কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে টেলিটকে পাঠানো এক চিঠিতে ২৮ নভেম্বর সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি সব প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। সেগুনবাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারির ফল প্রকাশ করা হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী ২৮ নভেম্বর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বেসরকারি (মহা ও জেলার সদর উপজেলা পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের অনলাইন লটারি অনুষ্ঠানের দিন ধার্য করা হয়েছে। ধার্য করা তারিখ অনুযায়ী লটারি অনুষ্ঠানের ভেন্যু আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (জামাই) নির্ধারণসহ যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা আয়োজন সংক্রান্ত প্রস্তুতি বিষয়ে অধিদপ্তরকে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, আগামী বছর দেশের সরকারি ও সরকারিকৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ৫ লাখ ৬৩ হাজার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। সারাদেশের ৬৫৮টি সরকারি ও সরকারিকৃত বিদ্যালয়ে আসন আছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১০৬টি।

আর ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে শুধু মহানগরী ও জেলার সদর উপজেলার বেসরকারি স্কুলগুলো মোট ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি আসন প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে চাচ্ছে৷ তবে বেসরকারি স্কুলগুলোতে আড়াই লাখের মতো শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করেছেন। ফলে বেসরকারি স্কুলগুলোতে কয়েক লাখ আসন ফাঁকা থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


আরও খবর



ভোলায় আমনের ধানের বাম্পার ফলন সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

জেলায় চলতি মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৬৮ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় আমনের মোট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লাখ ৭৫ হাজার ৫৬৮ হেক্টর জমিতে। বিপরীতে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯৩৬ হেক্টর। মাঠে বর্তমানে ফসলের অবস্থাও বেশ ভালো রয়েছে। ফসল কর্তনও শুরু করেছে কৃষকরা। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।

জেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, নির্ধারিত জমি থেকে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৩ মে:টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এতে হেক্টরপ্রতি চাল পাওয়া যাবে ২ দশমিক ৯৩ মে:টন। এছাড়া সরকারিভাবে জেলার ১১ হাজার কৃষককে ১ বিঘা জমির অনুকূলে উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রদান করা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে কৃষকরা ফসল কাটা শুরু করেছেন। আগামী মাসের প্রথম দিকের মধ্যে শতভাগ জমির ফসল কাটা হয়ে যাবে বলে কৃষি অফিস জানায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী উদ্বিদ সংরক্ষণ অফিসার মো: হুমায়ুন কবির বাসস’কে বলেন, জেলায় মোট আমন আবাদের মধ্যে সদর উপজেলায় হয়েছে ২৩ হাজার ৮০০ হেক্টর, দৌলতখানে ১৪ হাজার ৪২০, বোরহানউদ্দিনে ১৮ হাজার ১৫০, তজুমদ্দিনে ১১ হাজার ৮৬০, লালমোহনে ২৩ হাজার ৬০০, চরফ্যাশনে ৭১ হাজার ৮০৬ ও মনপুরায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি রয়েছে। এছাড়া জেলায় এবার বিভিন্ন প্রকল্পের অওতায় প্রায় ১ হাজার প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

সদর উপজেলার রাজাপুর উনিয়নের কৃষক ফরাজ হোসেন, রুস্তম আলী ও লোকমান সুলতান বলেন, তারা ৫ একর জমিতে আমন ধানের চাষ করেছেন। এবছর বড় কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হওয়ায় তাদের ফসলের মাঠ ভালো রয়েছে। কৃষি অফিস থেকে পাচ্ছেন সব ধরনের পরামর্শ সেবা। বর্তমানে ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তারা। অপর কৃষক আনোয়ার হোসেন ও সিদ্দিকুল্লা বলেন, এখন আর ধান কাটার জন্য শ্রমিক খুঁজতে হয়না। মেশিনের মাধ্যমে স্বল্প টাকা ও সময়ে অনেক বেশি ধান কাটা হয় বলে জানান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো: হাসান ওয়ারিসুল কবীর বাসস’কে বলেন, জেলায় এবছর আমনের ব্যাপক আবাদ হয়েছে। রোগ-বালাই’র তেমন প্রভাব ছিলোনা। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কৃষি অফিসাররা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। ব্রী-ধান ৫২,৪০, ৪৪, ৭১, স্বর্ণাসহ বেশ কিছু জাতের আবাদ হচ্ছে ভোলায়। তবে এর মধ্যে ব্রী-ধান ৭১ বেশ সম্ভাবনাময় একটি জাত। কৃষদেরও বেশ পছন্দ এ জাতটির। এটি আগাম কাটা যায়।

তিনি আরো বলেন, জেলায় প্রায় সোয়া ৩ লাখ কৃষক আমন চাষের সাথে যুক্ত রয়েছেন। আমরা তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছি। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলায় আমনের বাম্পার ফলনের কথা জানান জেলার প্রধান এ কৃষি কর্মকর্তা।


আরও খবর