Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ ইউজিসির

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৮জন দেখেছেন

Image

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। ২০ নভেম্বর ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

ইউজিসি’র ইনোভেশন টিম দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে। কমিশনের গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু।

প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের লেনদেন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করতে হবে। তাহলে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যাবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন এবং দ্রুততার সঙ্গে উচ্চশিক্ষা সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি বান্ধব সমাজ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে। স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

ইউজিসি’র ইনোভেশন টিমের সদস্য এবং গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ইউজিনি’র ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফোকাল পয়েন্ট ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস। কর্মশালায় কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক ও সমমান পর্যায়ের ৩৯ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।


আরও খবর



ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা, ব্যাখ্যা চায় ইউজিসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২০জন দেখেছেন

Image

ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে পাকিস্তানি এক নাগরিক। সে বিষয়ে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ২২ নভেম্বর ইউজিসির পরিচালক ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত এক চিঠি আইআইইউসির রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো হয়। ইউজিসির কাছে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

ইউজিসি চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তিন ধরনের তথ্য জানতে চেয়েছে। এক. মোহাম্মদ আমিন নদভীকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কোন প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে (সংশ্লিষ্ট নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, বাছাই কমিটির সুপারিশ, সিন্ডিকেট ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভার কার্যবিবরণীসহ)। দুই. যেসব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল সেসব পদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত জনবল কাঠামোর (অর্গানোগ্রাম) অন্তর্ভুক্ত কি না। অনুমোদিত জনবল কাঠামোর অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকলে প্রমাণ (বোর্ড অব ট্রাস্টিজ ও সিন্ডিকেট সভার কার্যবিবরণী)। তিন. ওই ব্যক্তির জীবনবৃত্তান্ত, নিয়োগপত্র, নিয়োগের শর্ত, শিক্ষাগত যোগ্যতা, নাগরিকত্ব (জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট), ওয়ার্ক পারমিট (কাজের অনুমতি), ভিসা ইত্যাদির সত্যায়িত কপি।

জানা যায়, ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে বেড়াতে এসে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ আমিন নদভী। চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালের জুন মাস থেকে শিক্ষকতা করছেন তিনি। এ ছাড়া আর কিছু পদেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। জাতীয় একটি ইংরেজি গণমাধ্যমের অনলাইনে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। এ প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ইউজিসি থেকে এ ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।


আরও খবর



গুঞ্জনই সত্যি, ফের মা হচ্ছেন আনুশকা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : দ্বিতীয়বারের মতো মা হতে চলেছেন বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। দিন কয়েক ধরেই খবরটি নিয়ে জোর গুঞ্জন ছিল, যদিও বিরাট বা আনুশকা কেউই এখন পর্যন্ত মুখ খুলেনি।

তবে কোহলির জন্মদিনে ইডেনে স্ত্রী আনুশকার অনুপস্থিতি অভিনেত্রীর মা হওয়ার গুঞ্জন কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছিল। এবার সেই জল্পনাই যেন স্পষ্ট হলো। কোহলির সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা আনুশকার দেখা মিলল। 

বিশ্বকাপের ভারতের পরবর্তী ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এর আগেই বেঙ্গালুরু পৌঁছেছে টিম ইন্ডিয়া। এদিন স্বামী বিরাট কোহলির হাত ধরেই হোটেলে ঢুকতে দেখা গেছে আনুশকাকে। যেখানে অভিনেত্রীর বেবি বাম্প লক্ষ্য করা গেছে। 

আনুশকার পরনে ছিল কালো ঢিলেঢালা ফ্রক। খোলা চুল, রূপটান নেই বললেই চলে। ছিপছিপে চেহারায় স্পষ্ট অভিনেত্রীর স্ফীতোদর। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আগলে ছিলেন বিরাট। সেই ভিডিওই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এরপরই তারকা দম্পতিকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসাচ্ছেন ভক্তরা। 

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে একটি ম্যাটারনিটি ক্লিনিকের বাইরে দেখা গিয়েছিল আনুশকাকে। যদিও সেসময় অভিনেত্রীর অনুরোধে কোনো ছবি প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যম।

বিরাটপত্নী তখন আশ্বস্ত করেন, খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা জানাবেন তারা। এর আগেই সবকিছু স্পষ্ট হল। দ্বিতীয়বারের মতো বিরাট-আনুশকার সংসারে আসতে চলেছে নতুন অতিথি।


আরও খবর



বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নিতে সৌদির প্রতি ঢাকা চেম্বার সভাপতির আহ্বান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং আল মদিনা আল মনোয়ারা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভা হয়েছে। সম্প্রতি মদিনা চেম্বারের কার্যালয়ে এ সভা অুনষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তারের নেতৃত্বে ৬১সদস্যবিশিষ্ট বেসরকারিখাতের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য প্রতিনিধি দলটি সৌদি আরব সফর করছে।

সভায় ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি বিভিন্ন খাতে সৌদি আরবে নিয়োজিত আছেন এবং বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩০ শতাংশই সৌদি আরব হতে আসে। 

তিনি বলেন, ‘সৌদি ভিশন ২০৩০’-এর আওতায় সৌদি সরকার বহুমুখী উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ হতে বিশেষ করে লজিস্টিক, অবকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তি ও আউটোর্সিং প্রভৃতি খাতে আরো বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার জন্য মদিনা চেম্বারের উদ্যোক্তাদসহ সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’ সেই সাথে তিনি জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা, পর্যটনসহ অন্যান্য সামাজিক সেবা খাতে সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারেন। 

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানাবিধ প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। যেগুলোর সুবিধা গ্রহণ করে সৌদি ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। 

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাজার সম্প্রসারণ খুবই জরুরি। এমতাবস্থায় সৌদি আরবের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশ উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

মদিনা চেম্বারের সহ-সভাপতি ড. খালিদ আব্দুল কাদের দাখাল বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নীতি সহায়তা ও উন্নত সেবা প্রদানের মতো বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরো বৃদ্ধিতে তার চেম্বার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সচেষ্ট হবে। তিনি জানান, সৌদি আরবের মোট জিডিপিতে মদিনার অবদান প্রায় ৭% এবং এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারণের সুযোগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

এমতাবস্থায় তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পর্যটন, এগ্রোপ্রসেসিং, তৈরি পোশাক প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি দুই দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যকার যোগাযোগ আরো বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করেন। 

ঢাকা চেম্বারে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলগমীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




ডায়রিয়া নিয়ে কিছু কথা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৪জন দেখেছেন

Image

ডায়রিয়া নানা কারণে হয়ে থাকে তবে প্রধান কারণসমূহ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা প্রোটোজোয়া কর্তৃক ইনফেকশন হওয়া।

লক্ষণসমূহ : বারবার পাতলা পায়খানা হওয়া। শুরুর দিকে বমি হওয়া। এ ছাড়া ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতার কারণে কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। ডায়রিয়া হলে মূল সমস্যাই হলো পানি শূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। পানি শূন্যতার লক্ষণগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় মৃদু পানিশূন্যতা, স্বল্প পানিশূন্যতা, এবং তীব্র পানিশূন্যতা।

মৃদু পানিশূন্যতা : এখানে পানি শূন্যতার তেমন কোনো লক্ষণ থাকে না, বাচ্চা স্বাভাবিক থাকে। শুধু বারবার পাতলা পায়খানা হয়। স্বল্প পানিশূন্যতা এখানে বাচ্চা অস্থির থাকে, বারবার পানি খেতে চায়, চোখ বসে যায় এবং চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়।

তীব্র পানিশূন্যতা : এখানে বাচ্চা নেতিয়ে পড়ে, পানি খাওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে, চোখ অনেক বেশি বসে যায় এবং চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা খুব বেশি কমে যায়।

চিকিৎসার মূলত দুটি অংশ

১) যে কারণে ডায়রিয়া হয়েছে সেটার চিকিৎসা করা। ২) পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করা বা পানিশূন্যতার চিকিৎসা করা। ডায়রিয়া অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভাইরাস ঘটিত। তাই শুধু পানিশূন্যতার চিকিৎসা করলে শিশুরা সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়াল ডায়রিয়া যেমন : কলেরা এসব ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়। মৃদু ও স্বল্প পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে মূল চিকিৎসা হলো বারবার ওরস্যালাইন খাওয়ানো। আর তীব্র পানি শূন্যতা হলে বাচ্চাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আইভী বা শিরা পথে কলেরা স্যালাইন দেওয়া। তাই এ বিষয়ে অবহেলা না করে  সবাইকে সচেতন হতে হবে।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




৭ দিনে রিজার্ভ কমল ১১৮ কোটি ডলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৫জন দেখেছেন

Image

সংকট মেটাতে বাজারে প্রতিদিনই ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

চলতি নভেম্বর মাসের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৬ কোটি মার্কিন ডলার। ব্যাংকগুলো বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনায় মাসের প্রথম সপ্তাহে আকুর পেমেন্ট দেওয়ার পরও রিজার্ভ বেড়ে ২ হাজার ৭৮ কোটি ডলারে ওঠে। কিন্তু ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় রিজার্ভ আবারও কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১১৮ কোটি ডলার কমে রিজার্ভ এখন দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৬০ কোটি ৩৭ লাখ ডলারে।      

১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রোস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫২৬ কোটি (২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন) ডলার। তবে  আইএমএফের শর্ত ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫.৬৬ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ এক হাজার ৯৬০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমকি ৭৩  বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানকে দেওয়া ঋণ গ্যারান্টি, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আগে এগুলোকেও রিজার্ভ হিসেবে দেখিয়ে আসছিল। এসব হিসাব বাদ দেওয়ার কারণে রিজার্ভ থেকে ৫ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার কমে যায়।

তবে বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নেমে যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে পরিমাণ প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে শুধু তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া এ মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম এসব কারণেই মূলত রিজার্ভ কমছে।

কীভাবে তৈরি হয় রিজার্ভ

রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়, বিদেশি বিনিয়োগ, বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ থেকে যে ডলার পাওয়া যায় তা দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তৈরি হয়। আবার আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ বা কিস্তি পরিশোধ, বিদেশি কর্মীদের বেতন-ভাতা, পর্যটক বা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন খাতে যে ব্যয় হয়, তার মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা চলে যায়। এভাবে আয় ও ব্যয়ের পর যে ডলার থেকে যায় সেটাই রিজার্ভে যোগ হয়। আর বেশি খরচ হলে রিজার্ভ কমে যায়।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি ও বিভিন্ন পণ্যের দাম বেশি থাকায় আমদানি ব্যয় কমেনি। এছাড়া করোনার পর বৈশ্বিক বাণিজ্য আগের অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। পরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে, যা এখনো অব্যাহত আছে। এ সংকট দিন দিন বাড়ছে। বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থ বছরে এখন পর্যন্ত ৫২০ কোটি (৫ বিলিয়ন) ডলার বিক্রি করেছে। ফলে ধারাবাহিক ভাবে কমছে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ সূচকটি ধারাবাহিকতা কমছে।

দেশের বিভিন্ন খাতে শর্ত পূরণের লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে দিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে চলতি বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে। এই ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার গত ফেব্রুয়ারিতে পায় বাংলাদেশ। এই শর্তের মধ্যে অন্যতম ছিল জুনে প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৪৪৬ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে তা ২ হাজার ৫৩০ ডলার এবং ডিসেম্বরে ২ হাজার ৬৮০ ডলারে রাখার কথা ছিল। কিন্তু পরে এসব শর্ত শিথিল করেছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর থেকে রিজার্ভ কমে এ পর্যায়ে নেমেছে। এর আগে ধারাবাহিক ভাবে যা বাড়ছিল। ১০ বছর আগে ২০১৩ সালের জুন শেষে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। পাঁচ বছর আগে ছিল ৩৩ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। সেখান থেকে বেড়ে ২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছায়। ওই বছরের ৮ অক্টোবর ৪০ বিলিয়ন ডলারের নতুন মাইলফলক অতিক্রম করে। এরপর তা বেড়ে ক‌রোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট। ওইদিন রিজার্ভ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার বা চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে উঠে। এরপর ডলার সংকটে গত বছর থেকে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

আকু কী

এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। ইরানের রাজধানী তেহরানে আকুর সদর দপ্তর। এ ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির অর্থ পরিশোধ করে। বাংলাদেশ ব্যাংক সবশেষ গত ৭ নভেম্বর (মঙ্গলবার) চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১১১ কোটি ডলার পরিশোধ করে।


আরও খবর

আবারও বাড়লো সোনার দাম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩