Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

ব্ল্যাক হানি না সাধারণ মধু- কোনটি বেশি উপকারী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৮৪৮জন দেখেছেন

Image

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বিস্ময়কর এক প্রাকৃতিক উপাদান মধু। যা এক প্রকার মিষ্টি ও ঘন তরল পদার্থ। মধু তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটিই সম্পন্ন করে মৌমাছি। বিভিন্ন ফুলের নির্যাস বা রস সংগ্রহ করে রহস্যময় প্রক্রিয়ায় মধু সৃষ্টি করে তারা।

পবিত্র কোরআন থেকে শুরু করে চিকিৎসা বিদ্যা- সবখানেই মধুর নানা উপকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে। অগণিত শারীরিক সমস্যার সমাধান রয়েছে এই প্রাকৃতিক পদার্থটিতে। মধুর কিন্তু বিভিন্ন নাম রয়েছে। রঙ, গঠন কিংবা উৎসের ওপর নির্ভর করে এর নাম করণ করা হয়। মধুর এমনই একটি প্রকার ‘ব্ল্যাক হানি’। বাংলায় যাকে কালো মধু বলতে পারেন।

মধু মাত্রই উপকারি। তবে তুলনার কথা আসলে সাধারণ মধুর চেয়ে কালো মধু কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। স্বাদ, গঠন, রঙ, পুষ্টি উপাদান, স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে প্রতিনিয়ত এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। কালো মধু কেন সাধারণ মধুর চেয়ে বেশি উপকারি, জানুন এই প্রতিবেদনে-

মধুর উৎস ফুলের নির্যাস এ কথা আমাদের সবার জানা। বছরের একেক সময় একেক ফুল ফোটে। সময়ের ওপর এদের ধরনে পরিবর্তন আসে। মূলত ফুলের ধরনের ওপর নির্ভর করে মধুর রঙ কেমন হবে। এই যেমন সরিষা ফুলের মধু হালকা সোনালি রঙের। সেই তুলনায় কালোজিরা ফুলের মধু কালচে হয়ে থাকে।

কালো মধু কী?
যে মধুর রঙ গাঢ় বাদামি বা কালচে হয় তাকে কালো মধু বলা হয়। সাধারণ মধুর তুলনায় এর ঘনত্ব হয় বেশি, রঙও গাঢ়। একারণে এই মধুকে অনেকে ডার্ক হানি বা গাঢ় মধু নামেও চেনেন। প্রশ্ন থাকতে পারে, এই মধুর রঙ কালো বা বাদামী হয় কেন? কারণ যে সব ফুলের পরাগ গাঢ় বা কালচে রঙের, সে সব ফুলের রস সংগ্রহ করেই এই বিশেষ মধু তৈরি হয়।

ব্ল্যাক হানির প্রকারভেদ?
ফুলের ওপর নির্ভর করে কালো মধুর নানা প্রকারভেদ রয়েছে। কিছু জনপ্রিয় কালো মধু হলো- ব্ল্যাকবাট, বাকউইট, মেনুকা, জাররাহ, থাইম, চেস্টনাট, ড্যান্ডেলিয়ন, মেডো ইত্যাদি। প্রতিটি ধরনেরই রয়েছে আলাদা বিশেষত্ব। এই যেমন, মেনুকা হানি। নিউজিল্যান্ডের মেনুকা গাছের ফুলের নির্যাস বা রস সংগ্রহ করে মৌমাছিরা এই মধু তৈরি করে, এছাড়াও আফ্রিকার বিভিন্ন রেইন ফরেস্ট গুলোতে অতি উচ্চ মানের কিছু কালো মধু পাওয়া যায়। এতে সাধারণ মধুর সব পুষ্টি উপাদান তো রয়েছেই, বাড়তি পাওনা হিসেবে আছে ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড। যা অন্য মধুতে নেই।

কালো মধু আর সাধারণ মধুর মধ্যে পার্থক্য কী?
সাধারণ মধু আর কালো মধু তৈরি প্রণালি, সংগ্রহের উপায় সবটাই এক। সব মধুই মৌমাছিরা ফুল থেকে আহরণ করে এবং মৌচাকে জমায়। আর মৌচাক থেকে তা মানুষ সংগ্রহ করে। তাহলে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য কোথায়? কোনটির পুষ্টি গুণই বা বেশি?

সাধারণ মধু আর কালো মধুর বাহ্যিক পার্থক্য রঙে আর ঘনত্বে। কালো মধু তুলনা মূলক কালচে হয়। এতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম হওয়ায় ঘনত্ব আর পুষ্টি দুটোই সাধারণ মধুর থেকে বেশি থাকে। গবেষণা অনুযায়ী, বাকউইট ফুলের মধুতে সাধারণ মধুর তুলনায় ২০ গুণ বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। কালো মধুতে প্রচুর ফ্রুক্টোজ থাকে। মিষ্টির তীব্রতা সাধারণ মধুর তুলনায় বেশি হওয়ায় অল্প পরিমাণেই বেশি মিষ্টতা মেলে।

আমরা দোকান থেকে যে মধু কিনি তার বেশির ভাগই মৌচাক থেকে সংগ্রহ করার পর পাস্তুরায়ন করা হয়। খাঁটি মধুতে প্রিবায়োটিক, প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ (পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম) এবং ভিটামিন (বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬ এবং সি) সহ ১৮০টির বেশি পদার্থ রয়েছে। এই উপকারি যৌগ গুলোর বেশির ভাগই পাস্তুরাইজেশনের সময় তাপে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে, নির্দিষ্ট ফুলের মধু থেকে সৃষ্ট কালো মধু সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করে সরাসরি গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো হয়। ফলে পুষ্টি উপাদান গুলো অক্ষুণ্ণ থাকে।

কালো মধু রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তারুণ্য ধরে রাখতে এর বিকল্প নেই। এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই বিভিন্ন রোগের সঙ্গে শরীর সহজে লড়াই করতে পারে।

দুই ধরনের মধুই উপকারি। কোনটি খাবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনার। সাধারণ চা বা অন্য পানীয়তে চিনির বদলে মিষ্টি কিছু খেতে চাইলে বেছে নিতে পারেন হালকা বা সাধারণ মধু। আর আপনি যদি সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশি পুষ্টিকর কিছু খেতে চান তবে কালো মধু খান। মজবুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মিলবে এতে।

ব্ল্যাক হানি বা কালো মধু পাবেন কোথায়?
ভেজালের ভিড়ে খাঁটি মধু খুঁজে পাওয়াটাই কঠিন। সে ক্ষেত্রে কালো মধুর খোঁজ মেলা আরও জটিল বটে। তবে ইন্টারনেটের কল্যাণে বর্তমানে আমাদের দেশে এই মধুর চাহিদা বেড়েছে। গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনায় কিছু বিদেশি ব্র্যান্ড দেশের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, সুপার স্টোর, ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স সাইট ব্ল্যাক হানি এনেছে। এছাড়া দেশের প্রথম কোম্পানি হিসেবে অর্গানিক নিউট্রিশন লিমিটেড, ‘কারকুমা’ ব্র্যান্ড নামে অর্গানিক ব্ল্যাক হানি বাজার জাত করছে। এটি ইউএসডিএ অর্গানিক সার্টিফাইড। লেভেল ও উৎস দেখে পছন্দ মতো জায়গা থেকে ব্ল্যাক হানি কিনতে পারেন।


আরও খবর



দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত রাখবেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন অব্যাহত রাখবে বলে নিশ্চিত করেছেন অনশনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। রোববার (১২ জানুয়ারি) জবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা।


সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ধরে তারা অনশনরত রয়েছেন। এই সময়ে তারা পানাহার থেকে বিরত রয়েছেন। প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অনশনে অংশগ্রহণ করেছে বলে তারা জানান।



গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম জানান, ১৩ জন প্রাথমিকভাবে অনশনে বসেছি, অনশনকারীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে ৫০ জনের মতো হয়েছে। আরও অনেক শিক্ষার্থী যুক্ত হবে।


সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কেউ আসেনি কথা বলতে। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত যেই আসুক আমরা অনশন অব্যাহত রাখব। এখনো কেউ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়নি। সবাই সুস্থ আছেন। কিন্তু সবার মধ্যেই ক্লান্তি রয়েছে।


এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা এই অনশনে বসেন। তাদের দাবিগুলো হলো- দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করা; শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা; অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অন্তত ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা দিতে হবে।


জবি গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি কে এম রাকিব বলেন, আমরা ৩ দাবিতে গণ-অনশনে বসেছি। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের জন্য যে বড় একটা আন্দোলন হলো এবং সেখানে মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করতে পারে কিন্তু আমরা দেখতে পাই প্রশাসনের এ ব্যাপারে কাজের কোনো অগ্রগতি নেই তাই আমরা গণ-অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।


দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন চন্দ্র সুকুল বলেন, অস্থায়ী আবাসন ও সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর করতে হবে যে কোনো মূল্যে। আমরা লালফিতার দৌরাত্ম্য দেখতে চাই না, চিঠি বিলির কাহিনি আর শুনতে চাই না। আমরা দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখতে চাই। দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরব না।


আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাকিব উল ইসলাম বলেন, জবির ক্যাম্পাস আমাদের অধিকার, অনুগ্রহ নয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা সীমাহীন জায়গা সংকট, অবকাঠামোর ঘাটতি, আবাসন সমস্যায় ভুগছি। পুরান ঢাকার অস্বাস্থ্যকর এবং জনবহুল পরিবেশে শিক্ষার মৌলিক চাহিদাগুলো কোনোভাবেই পূরণ করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকেই আমরা নতুন ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু গত দুই দশকে আমরা শুধু আশ্বাস পেয়েছি, বাস্তবায়ন নয়।


এ বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের পেছনে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের দাবি মূলত আমাদের দাবির অংশ।


আরও খবর

মনোহরদীতে দুইজন হাফেজা কে স্বর্ণপদক প্রদান

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫




শেখ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্র ও লন্ডনে তিনশ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকালে দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে ৯ প্রকল্পে ৮০ হাজার কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ ও মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ১৭ ডিসেম্বর থেকে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে কাজ শুরু হয়।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্প, বেপজাসহ ৯টি প্রকল্পে এসব অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের এসব দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। শুনানি নিয়ে এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না?– তা জানতে চেয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট।



আরও খবর



আইসিএবির নতুন সভাপতি মারিয়া হাওলাদার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদদের সংগঠন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মারিয়া হাওলাদার। সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মো. জহিরুল ইসলাম। ২০২৫ সালের জন্য তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন।


গত শনিবার আইসিএবির কাউন্সিল সভায় নতুন কাউন্সিল সদস্যদের দ্বারা তাঁরা নির্বাচিত হন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।



আইসিএবির নতুন সভাপতি মারিয়া হাওলাদার এর আগে ২০২১ ও ২০২৪ সালে আইসিএবির সহসভাপতি (অপারেশনস অ্যান্ড মেম্বারস সার্ভিসেস) ছিলেন। তিনি হাওলাদার মারিয়া অ্যান্ড কোং (এইচএমএসি) চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা অংশীদার। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক ক্রেস্টন গ্লোবালের সদস্য সংস্থা।


মারিয়া হাওলাদার বর্তমানে জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) মহাসচিবের দায়িত্বে আছেন। তিনি ২০২১ সালে আইসিএবির বেশ কয়েকটি অটোমেশন প্রকল্পের চেয়ারপারসন ছিলেন। মারিয়া হাওলাদার ২০০৮ সালে আইসিএবির সহযোগী সদস্য ও ২০১৩ সালে ফেলো সদস্য হন।


আইসিএবির নতুন সহসভাপতি জহিরুল ইসলাম এ কাসেম অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসের অংশীদার। প্রতিষ্ঠানটি আন্তর্জাতিক ইকোভিস ইন্টারন্যাশনালের সদস্য সংস্থা।


২০২৪ সালেও আইসিএবির সহসভাপতি ছিলেন জহিরুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চট্টগ্রাম আইন কলেজ থেকে এলএলবি সম্পন্ন করেন। কর ও করপোরেট আইন অনুশীলনে তাঁর ৩০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।


জহিরুল ইসলাম রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সদস্য ও রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং পোর্ট সিটির সভাপতি ছিলেন। তিনি মা ও শিশু হাসপাতাল, কিডনি ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির আজীবন সদস্য। এ ছাড়া তিনি চিটাগাং ক্লাব, চিটাগাং বোট ক্লাব, নর্থ গুলশান ক্লাব ও ভাটিয়ারি গলফ ক্লাবের আজীবন সদস্য।



আরও খবর



বাউফলের ব্যবসায়ী শিবু বনিক অপহরণের ঘটনায় আটক-৫

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৫জন দেখেছেন

Image

সঞ্জয় ব্যানার্জী, পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

অপহৃত ব্যবসায়ী শিবু বনিককে (৭৮) উদ্ধারের পর ৫ জন অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর দুইটায় এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার জাহিদ গণমাধ্যম কর্মিদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে বাউফল থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন,  ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার বালিগোনা গ্রামের আকবর শরীফের ছেলে মোঃ মাসুদ শরীফ(২৪), ভোলা জেলার দক্ষিণ আইচা উপজেলার পাচুকিয়া গ্রামের জাকির সিকদারের ছেলে মোঃ মাহফুজ, বাকিরা হলেন বাউফল উপজেলার নাজিরপুর তাতেরকাঠি ইউনিয়নের বড় ডামিলা গ্রামের মিন্টু মৃধার ছেলে মিরাজ মৃধা(২০), মোঃ বাবুল প্যাদার ছেলে মোঃ জহির প্যাদা(২৭) এবং গকুল চন্দ্র মিস্ত্রীর ছেলে বিধান চন্দ্র মিস্ত্রী(২২)।
এসময় অপহরন এবং ডাকাতির কাজে ব্যাবহৃত,  দেশিও অস্ত্র-সস্ত্র সহ লুন্ঠিত ১৩৫৬৮০ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

এবিষয়ে পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেন,‘আমাদের কার্যক্রম চলছে। এই অপহরনের ঘটনায় আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে ৯ জনের সম্পৃক্ততা পেয়েছি যাদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য জেলা পুলিশ কাজ করছে।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাজেদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাউফল সার্কেল) আরিফ মুহাম্মদ শাকুর, বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন,  পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কে এম শাহাদাত হোসেন সহ জেলার ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,  কালাইয়া বন্দরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিবানন্দ রায় শিবু বনিক অরফে শিবু বণিক গত ৩ জানুয়ারি রাত ১০টার দিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি হয়ে দুর্বৃত্তদের হাতে অপহৃত হওয়ার ৫২ ঘন্টা পর সোমবার রাত ১ টায় তাকে নাজিরপুর ইউনিয়নের ডালিমা গ্রামের কচুয়া এলাকার একটি মসজিদের পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ

আরও খবর



বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ৬৪ কোটি ডলার ঋণ ছাড় ১০ ফেব্রুয়ারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১২৬জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশের জন্য চতুর্থ কিস্তিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার ছাড় করতে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হবে। বোর্ডের অনুমোদন পেলে ১০ ফেব্রুয়ারি তা ছাড় করা হবে বলে জানিয়েছেন আইএমএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।


বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রিস পাপাজর্জিও এসব কথা বলেন।


চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের আগে শর্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা ও নতুন ঋণের বিষয়ে দরকষাকষি করতে গত ৩ ডিসেম্বর থেকে আইএমএফ গবেষণা বিভাগের ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্রোইকোনমিকসের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করে।

ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বাংলাদেশের পূর্বের শর্ত পূরণের পর ফেব্রুয়ারিতে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলারে চতুর্থ ধাপে ঋণ দেবে। 


এ লক্ষ্যে আগামী বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রস্তাবটি সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদ বোর্ড সভায় রাখা হবে। পর্যালোচনা শেষে অনুমোদনের পর ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অর্থ বিতরণ করা হবে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়, দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি।


তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক আইএমএফ। তবে অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি এবং ব্যাংকখাতের সংস্কার চলমান রাখতে হবে।


আরও খবর