সাইবার নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নতুন ফিচার আনছে গুগল। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচারটি হলো নগ্ন ছবি আদান-প্রদান সীমিত করার লক্ষ্যে আনা ফিচারটি। গুগলের এই ফিচারটি কারো ছবিতে নগ্নতা থাকলে সে ছবি পাঠানোর বিষয়ে ব্যবহারকারীরা সচেতন কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া এমন সব নগ্ন ছবি ঝাপসা করে দেবে। ফিচারটিতে ব্যবহার হয়েছে এমন টুল, যা ব্যবহারকারীর ফোনে থাকা এ ধরনের ছবি শনাক্ত করতে সক্ষম। এর ফলে মানুষের প্রাইভেসি সুরক্ষিত থাকবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। গুগল বলছে, ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি রক্ষায় এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড মেসেজ কনটেন্ট কেবল আদান-প্রদানকারীর কাছে ব্যক্তিগত বা গোপন রাখতে ব্যবহার হয় ডিভাইসে। তারা বলছে, সংবেদনশীল কনটেন্টের সতর্কীকরণ বার্তাটি ব্যবহারকারীর ছবির বিভিন্ন কনটেন্টে প্রবেশাধিকার দেয় না গুগলকে। এমনকি গুগল এও জানে না, গোপন কোনো ছবি শনাক্ত হয়েছে কি না। এ নতুন ফিচারটি চালু হলে তা নগ্ন ছবি থাকতে পারে এমনসব ছবিকে দেখার আগেই চিহ্নিত করবে এবং কেউ এমন ছবি দেখতে চায় কি না তা যাচাইয়ের জন্য যোগ করবে একটি ‘স্পিড বাম্প’ও। এ ছাড়া কেউ এ ধরনের ছবি শেয়ার করতে বা ফরোয়ার্ড করতে চাইছেন সে ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। এরপর এসব ছবির বিভিন্ন লিংক ও উৎস অন্তর্ভুক্ত হবে স্পিড বাম্পণ্ডএ এবং নগ্ন ছবি পাঠানোর ঝুঁকি ও আকস্মিক শেয়ার ঠেকানোর কথা ব্যবহারকারীদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করবে ফিচারটি। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অপশনাল থাকলেও ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য ফিচারটি বাধ্যতামূলক করেছে গুগল। সামনের মাসগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড ৯ বা এরপরের সংস্করণ ও গুগল মেসেজেস অ্যাপে চলে এমনসব ডিভাইসে ফিচারটি আনবে টেক জায়ান্টটি।
ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষায় নতুন ফিচার আনছে গুগল
গুগলে যে বিষয়ে ভুলেও সার্চ করবেন না
রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গেম ও অ্যাপ কাজেই এল না
শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব
নিজেস্ব প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সাংবাদিক বা সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি এবং করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, আমরা এক ইঞ্চিও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আটকাবো না। আমাদের সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, মুক্ত সাংবাদিকতা।
অন্তর্বর্তী সরকার স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী জানিয়ে তিনি বলেন, গত চার মাসে আমরা কাউকে মানা করিনি। আপনারা আমাদের ভুলত্রুটি দেখিয়ে দিন, ধরিয়ে দিন। ক্ষমতায় থাকলে অনেক কিছু বোঝা যায় না। তাই আপনারা দায়িত্ব নিয়ে ভুল ধরিয়ে দিন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করেছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায়।
প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যম মালিকরা যেন সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে না পরে এ বিষয়েও তারা কাজ করতে চান। মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বেতন না দিতে পারলে মালিকদের বলবো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
আগরতলামুখী লংমার্চকে অভ্যর্থনা জানাতে সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীরা
বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
শেয়ারবাজারে টানা পতনে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা
অর্থনীতি ডেস্ক : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পতনে দিয়েহারা হয়েপড়েছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। এ নিয়ে টানা ৬ কর্মদিবস শেয়ারবাজারে পতন হলো। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ১৯৮ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে, বেড়েছে ১০৫ টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৯১ কোম্পানির শেয়ারদর। তবে বুধবারের চেয়ে এদিন লেনদেন সামান্য বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স’ ১৯ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৫ হাজার ১০৫ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ডিএসইএস০২ দশমিক ০৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৪০ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ০৭ দশমিক ৫২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আজ ডিএসইতে ৩৫১ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ৩০৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
আজ ডিএসইতে মোট ৩৯৪ টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৫টি কোম্পানির, বিপরীতে ১৯৮ কোম্পানির দর কমেছে। পাশাপাশি ৯১ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর ছিলো অপরিবর্তিত।
আপেলের আমদানি বাড়লেও কমেছে মাছ, আনার, কমলার
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
২০২৫ সালে মুদ্রানীতির রাশ ছাড়বে চীন
বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন।শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি মিজানুরের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।
জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ
নিজেস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ মধ্যরাতে হামলার শিকার হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে সিলেট নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল সূত্রে পুলিশ হামলার বিষয়টি জানতে পেরেছে। পুলিশ বিষয়টি জানার আগেই মিসবাহ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। তবে কোথায় ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা বিস্তারিত জানতে অনুসন্ধান চলছে। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মিসবাহ উদ্দিন আত্মগোপনে আছেন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়। তাই পুলিশের চোখ এড়িয়ে রাতের বেলা তিনি মাঝেমধ্যে আত্মগোপনে থাকা বাসাটি থেকে বেরোতেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিসবাহ উদ্দিন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় যাওয়ার পথে একদল দুর্বৃত্ত তাঁর পথ রোধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ভোররাত চারটার দিকে তাঁকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। মিসবাহ উদ্দিনের এক নিকটাত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে (মিসবাহ উদ্দিন) আঘাত করেছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পরে গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মিসবাহ উদ্দিন এখন কোথায় ও কী অবস্থায় আছেন, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এ ছাড়া কারা তাঁর ওপর হামলা করেছে, তা-ও জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁর স্ত্রী, ভাই, মেয়ে ও ভাগনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তাঁরা সাড়া দেননি। যোগাযোগ করলে সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সাংবাদিকদের সূত্রে হামলার বিষয়ে খবর পেয়েছেন তিনি। লিখিতভাবেও কেউ অভিযোগ করেননি। তবে পুলিশ ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে চেষ্টা করছে। মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া সিলেট জেলা জজ কোর্টে তিনি সরকারি কৌঁসুলির দায়িত্বও পালন করেন।
আওয়ামী লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ মধ্যরাতে হামলার শিকার হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে সিলেট নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, হাসপাতাল সূত্রে পুলিশ হামলার বিষয়টি জানতে পেরেছে। পুলিশ বিষয়টি জানার আগেই মিসবাহ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। তবে কোথায় ও কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে, তা বিস্তারিত জানতে অনুসন্ধান চলছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে মিসবাহ উদ্দিন আত্মগোপনে আছেন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার অভিযোগে সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়। তাই পুলিশের চোখ এড়িয়ে রাতের বেলা তিনি মাঝেমধ্যে আত্মগোপনে থাকা বাসাটি থেকে বেরোতেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মিসবাহ উদ্দিন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় যাওয়ার পথে একদল দুর্বৃত্ত তাঁর পথ রোধে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় নগরের সাগরদিঘিরপার এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। ভোররাত চারটার দিকে তাঁকে নগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
মিসবাহ উদ্দিনের এক নিকটাত্মীয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে (মিসবাহ উদ্দিন) আঘাত করেছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। পরে গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে তাঁকে হাসপাতাল থেকে নিরাপদে নিয়ে আসা হয়েছে। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে মিসবাহ উদ্দিন এখন কোথায় ও কী অবস্থায় আছেন, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। এ ছাড়া কারা তাঁর ওপর হামলা করেছে, তা-ও জানা যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাঁর স্ত্রী, ভাই, মেয়ে ও ভাগনের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তাঁরা সাড়া দেননি।
যোগাযোগ করলে সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন সাংবাদিকদের সূত্রে হামলার বিষয়ে খবর পেয়েছেন তিনি। লিখিতভাবেও কেউ অভিযোগ করেননি। তবে পুলিশ ঘটনার আদ্যোপান্ত জানতে চেষ্টা করছে।
মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া সিলেট জেলা জজ কোর্টে তিনি সরকারি কৌঁসুলির দায়িত্বও পালন করেন।
জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
আজ বিকেলে যৌথসভা ডেকেছে বিএনপি
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
তানজিকা বলেছিলেন প্রেম করে বিয়ে করবেন, শেষ পর্যন্ত কি করেছেন...
তিন বছর আগে তানজিকা আমিন প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে বলেছিলেন, প্রেম করে বিয়ে করবেন। খোঁজাখুঁজিও চলছে। কারণ, বরের সঙ্গে একটা জানাশোনা তো লাগবেই। তিন বছর পর এসে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জানালেন, তিনি বিয়ে করেছেন। পাত্র ৬ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচিত। ঢাকার বেইলি রোডের বাসায় একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ের কাজটি শেষ করেন তিনি।
২০০৪ সালের লাক্স আনন্দধারা মিস ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ তানজিকা আমিন। ২০ বছরের ক্যারিয়ারে কাজের সংখ্যা তুলনামূলক কম। তবে এখন আগের চেয়ে তিনি অনেক বেশি সিরিয়াস। আগে বয়সও ছিল কম। মাত্র ২০ বছর বয়সে বিনোদন অঙ্গনে কাজ শুরু করেছেন বলে জানান।
এক যুগ আগে তানজিকা আমিন বিয়ে করেছিলেন স্থপতি এনামুল করিম নির্ঝরকে। তাঁদের সেই দাম্পত্য সম্পর্ক কয়েক বছর টিকেছিল। তবে এই বিয়ের সিদ্ধান্ত মোটেও ভুল ছিল বলে মনে করেন না তিনি।
প্রথম আলোকে তখন বলেছিলেন, ‘আমাদের একটা অভ্যাস, কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেটা যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তাহলে বলি যে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। আমার বিয়ের ডিসিশন পারফেক্ট ছিল, ডিভোর্স আনফরচুনেটলি হয়ে গেছে। সুন্দর সময় কেটেছে। আমার সময়টা আমি উপভোগ করেছি। এসব নিয়ে আমার কোনো অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই।’
তবে সংসারজীবন নিয়ে ভাবনাচিন্তা ছিল। বিয়ে করার প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করছিলেন। এ প্রসঙ্গে তানজিকা বলেছিলেন, ‘আমার মা-বাবা নাতি-নাতনির মুখ দেখার জন্য অস্থির হয়ে যাচ্ছেন। আমি তো তাঁদের একমাত্র সন্তান, আমার প্রতি তাঁদের একটা প্রত্যাশাও আছে। আমারও তো জীবনে একজন সঙ্গী দরকার। সবকিছু মিলে আই নিড আ সংসার।’ তানজিকার সেই সংসার গড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে লেগে যায় তিন বছর। আজ ৬ ডিসেম্বর দীর্ঘ ৬ বছরের বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে স্বামীর সম্পর্কে রূপ দিলেন তানজিকা।
বিয়ের প্রসঙ্গে তানজিকা বলেছিলেন, ‘আর্ট মাধ্যমে আমরা যারা কাজ করি, তাদের জীবনধারণটাই একটু আলাদা। প্রথম বিয়েতে একটা ধাক্কা খাওয়াতে পরেরটা বুঝেশুনে করতে চাই। যেটাই হোক না কেন, এমন একটা মানুষকে বেছে নিতে চাই, যার সঙ্গে আগামীর সময়টা কাটিয়ে দিতে পারি।’
নির্ঝরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তানজিকা আমিন বিরতিতে কাজ করেছেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালে পরিচয় হয় অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী সাইফ বাসুনিয়ার সঙ্গে। আস্তে আস্তে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তানজিকার মায়েরও পছন্দ হয় সাইফকে। বিয়ে প্রসঙ্গে তানজিকা আজ শুক্রবার দুপুরে প্রথম আলোকে বললেন, ‘আমাদের আকদ হয়েছে, একেবারে পারিবারিকভাবে। আত্মীয়স্বজনেরা ছিলেন। সাইফকে আমি ২০১৮ সাল থেকে চিনলেও কখনো তাঁকে বিয়ে করব, এমনটা ভাবিনি। তবে আমাদের বন্ধুত্ব ছিল। সেটা যে প্রেম বা বিয়েতে গড়াবে, তা ভাবিনি। অবশেষে তা হয়ে গেল।’
কবে থেকে ভাবলেন, এই বন্ধুকে বিয়ে করা যায়? ‘দুই মাস আগে ভাবলাম, এর সঙ্গে বিয়ে নিয়ে ভাবা যায়। তবে বিষয়টা পুরোপুরি পরিবারের মধ্যে ছিল। সাইফকে আমার মায়ের খুব ভালো লাগত। ভীষণ পছন্দ করতেন, আগে থেকে চিনতেনও।
পারিবারিকভাবে বিয়ে নিয়ে আমার ওপর চাপও ছিল। একটা সময় এসে পারিবারিক চাপ মেনে নিতে হয়েছে। এটাও ঠিক যে আমারও তাকে ভালো লাগত। আমি জানতাম, সে খুব ভালো একজন মানুষ। মানবিক মানুষ। মনে হয়েছে, সে–ই আমার জন্য সবচেয়ে সঠিক মানুষ, যাকে জীবনসঙ্গী করা যায়।’ বলেন তানজিকা আমিন।
আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন
শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪