Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

চাষিদের আশার আলো দেখাচ্ছে ব্রি ধান ১০৩

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

বালাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদ্য উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান ১০৩ চাষে আশার আলো দেখছেন ধান চাষিরা। আমন মৌসুমে অন্য জাতের ধান চাষের চেয়ে এ জাতের ধান চাষাবাদে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যায়। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার চাষিরা এ ধান চাষ করে দ্বিগুণ ফলন পাওয়ায় তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। 

তাই এ জাত সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পাড়লে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং চাষিরা উপকৃত হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপশি জাতীয় পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা চাহিদাও মিটবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ব্রি ধান-১০৩ স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন ধান। গড় আয়ু ১২৮-১৩৩ দিন। গাছের গড় উচ্চতা ১২৫ সে. মি। কাণ্ড শক্ত, ডিগ পাতা খাড়া, ধানের ছড়া ও ধান লম্বা, চাল সোজা। ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩.৭ গ্রাম। এ ধানের প্রোটিন এবং অ্যামাইলোজের পরিমাণ ৮.৩% এবং ২৪%। চালের আকার/আকৃতি লম্বা ও চিকন হওয়ায় ধানের দাম বেশি। বিঘা প্রতি ফলন ২৪/২৫ মণ। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে প্রতি হেক্টরে ৮.০ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

আরও জানা গেছে, ভাত ঝরঝরে। ধানে রোগ-বালাই ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ অনেকটা কম। সারও কম লাগে। খেত থেকে ধান কাটার পরপরই ‘রবি শস্য’ করা যায়। এ আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করে ২ ফসলি জমিকে ৩ ফসলি ও ৩ ফসলি জমিকে ৪ ফসলে রূপান্তর করতে পারেন চাষিরা। তাই চাষিদের নিকট ব্রি ধান-১০৩ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গত বছরের উদ্ভাবিত ব্রি ধান-১০৩ এ উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১২০ হেক্টর। এছাড়াও ব্রি ধান-৭৫, ৮৭, ৯০ ও ৯৫ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এসব ধানের উপর গত শুক্রবার ‘খামারি মোবাইল অ্যাপের’ কার্যকারিতা যাচাই-বাচাই ও উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ধনবাড়ীর মুশুদ্দি উত্তরপাড়ায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া বলেন, এবার ৫ বিঘা জমিতে ব্রি ধান-১০৩ আবাদ করেছি। এতে বিঘা প্রতি ২৪/২৫ মণ ফলন পেয়েছি। এলাকার অনান্য চাষিরা এ ধান চাষে আশার আলো দেখছেন।

কৃষক বদিউজ্জামান, জমির উদ্দিন, সোহরাব আলী ও খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, এ উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদে চাষিরা বেশি লাভবান হবে। ধানে রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, ব্রি ধান-১০৩ এ আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। আমরা এ জাতের ধান চাষে চাষিদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান বলেন, ব্রি ধান-১০৩ উচ্চ ফলনশীল জাত। এ মৌসুমে যেসব চাষিরা এ ধান আবাদ করেছেন তারা দ্বিগুণ ফলন পেয়েছেন। যদি বীজ সংগ্রহ করে কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে চাষিরা লাভবান হবেন।


আরও খবর



কোরআনে সুন্নাহ অনুসরণের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৫জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাসুলের আনুগত্য করে, সে আল্লাহর আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাদের ওপর আমি তোমাকে রক্ষক হিসেবে প্রেরণ করিনি।’  (সুরা : নিসা, আয়াত : ৮০)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিস ও সুন্নত কোরআনে কারিমের পর শরিয়তের দ্বিতীয় উৎস ও দলিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে প্রমাণিত, তাঁর কথা, কাজ ও সমর্থনকে হাদিস বা সুন্নাহ বলা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ২৩ বছরের নবুয়তি জীবনের প্রতিটি কথা ও কাজের মাধ্যমে কোরআনের ব্যাখ্যা করেছেন। সেগুলোই মূলত হাদিস বা সুন্নাহ। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে হাদিস ও সুন্নাহ মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে এমন কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করা হলো— 

আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ফায়সালা মেনে নিতে মুমিনরা বাধ্য : হাদিস হলো মহানবী (সা.)-এর ফায়সালা। আর মুমিনরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ফায়সালা মেনে চলতে বাধ্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো বিষয়ে ফায়সালা করে দিলে কোনো মুমিন নর-নারীর জন্য সে বিষয়ে নিজস্ব কোনো ফায়সালা দেওয়ার এখতিয়ার নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্যতা করবে, সে ব্যক্তি স্পষ্ট ভ্রান্তিতে পতিত হবে।’  (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৬)

কথা ও কাজে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আগে বাড়া নিষিদ্ধ : হাদিস হলো নবীজির কথা। আর হাদিস না মানা নবীজির কথা থেকে নিজের কথা প্রাধান্য দেওয়ার নামান্তর। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আগে বেড়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু শোনেন ও জানেন।’   (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১)

নবীজির আনুগত্য যে করে না সে কাফির : হাদিস না মানা নবীজির আনুগত্য না করার সমতুল্য। আর যে নবীজির আনুগত্য করে না সে কাফির। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,  ‘তুমি বলো, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো। যদি তারা এতে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে (তারা জেনে রাখুক যে) আল্লাহ কাফিরদের ভালোবাসেন না।’  (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩২)

নবীজির আনুগত্য আল্লাহর আনুগত্যের  নামান্তর : হাদিসের অনুসরণ মানে নবীজির আনুগত্য। আর নবীজির আনুগত্য আল্লাহর আনুগত্যের নামান্তর। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রাসুলের আনুগত্য করে, সে আল্লাহর আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাদের ওপর আমি তোমাকে রক্ষক হিসেবে প্রেরণ করিনি।’  (সুরা : নিসা, আয়াত : ৮০)

নবীজির আনুগত্য না করলে বিবাদ দেখা দেবে : আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো। আপসে ঝগড়া কোরো না। তাহলে তোমরা হীনবল হয়ে যাবে এবং তোমাদের শক্তি উবে যাবে। তোমরা ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন।’  (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৪৬)

নবীর বিরুদ্ধাচরণে আজাব আসবে : হাদিস না মানা মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধাচরণের অন্তর্ভুক্ত। আর নবী (সা.)-এর বিরুদ্ধাচরণ করলে আল্লাহর আজাব আসবে। আল্লাহ বলেন, ‘রাসুলের প্রতি আহবানকে তোমরা পরস্পরের প্রতি আহবানের ন্যায় গণ্য কোরো না। আল্লাহ তাদের জানেন, যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে চলে যায়। অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সাবধান হোক যে ফিতনা তাদের গ্রাস করবে অথবা মর্মন্তুদ শাস্তি তাদের ওপর আপতিত হবে।’  (সুরা : নূর, আয়াত : ৬৩)

নবীজির আনুগত্য না করার পরিণাম জাহান্নাম : নবীজি (সা.)-এর আনুগত্য না করার পরিণাম জাহান্নাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করবে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আর এটাই হলো মহা সফলতা। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্যতা করবে এবং তাঁর সীমারেখা লঙ্ঘন করবে, তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে চিরদিন থাকবে। আর তার জন্য আছে অপমানজনক শাস্তি।’  (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৩-১৪)

নবীজির নিয়ে আসা বিধি-বিধান গ্রহণে কোরআনের নির্দেশ : মহান আল্লাহ বলেন, ‘...আর রাসুল তোমাদের যা দেন, তা গ্রহণ করো এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাকো। আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা।’  (সুরা : হাশর, আয়াত : ৭)

মুমিনদের জন্য নবীজির জীবনে আছে উত্তম আদর্শ : মহানবী (সা.)-এর নবুয়তি জীবনের কথা ও কাজের সমষ্টি হলো হাদিস। আর মুমিনদের জন্য মহানবী (সা.)-এর জীবনে আছে উত্তম আদর্শ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুলের মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসকে কামনা করে এবং বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করে তার জন্য।’  (সুরা : আহজাব, আয়াত : ২১)

মহানবী (সা.)-এর কথা-কাজ সব কিছু ওহি : মহানবী (সা.) নিজে থেকে কোনো কথা বলেননি, কোনো কাজ করেননি। যা বলেছেন, যা করেছেন সব কিছু মহান আল্লাহর হুকুমে। সুতরাং তাঁর আনুগত্য অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনি [রাসুল (সা.)] নিজ খেয়ালখুশিমতো কোনো কথা বলেন না। এটি শুধু তা-ই, যা তাঁর কাছে ওহি হিসেবে পাঠানো হয়।’  (সুরা : নাজম, আয়াত : ৩-৪)

হাদিস হলো কোরআনের ব্যাখ্যা : মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-কে কোরআনের ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তাঁর গোটা জীবনে কোরআনের যা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা-ই মূলত হাদিস। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি তোমার কাছে নাজিল করেছি কোরআন, যাতে তুমি মানুষকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে দাও, যা তাদের প্রতি নাজিল করা হয়েছে, যেন তারা চিন্তা-গবেষণা করে।’  (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৪)


আরও খবর



সারাদেশে ২৩১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৯জন দেখেছেন

Image

চলমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও হরতালকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে ২৩১ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশের জেলায় ২৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

২০ নভেম্বর সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ২৮ প্লাটুনসহ সারাদেশে ২৩১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এর আগে বিএনপির চলমান কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়ে পৃথকভাবে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ, লেবার পার্টি, এলডিপি।

এদিকে রোববার থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৬টি আগুন লাগার সংবাদ পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় ১৮টি যানবাহনে আগুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে তিনটি, ঢাকা বিভাগ একটি, রাজশাহী বিভাগে (নাটোর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ) সাতটি, চট্টগ্রাম বিভাগে (ফেনী, মিরসরাই, সাতকানিয়া) চারটি, ময়মনসিংহ বিভাগে (জামালপুর) একটি ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৯টি বাস, একটি কাভার্ড ভ্যান, ৬টি ট্রাক, একটি সিএনজি, একটি ট্রেন (৩ বগি) পুড়ে যায়।

হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন স্থানে মশাল মিছিল করেছেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি।

প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পুলিশ পণ্ড করে দেওয়ার পর সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর পাঁচ দফায় ১১ দিন পর্যায়ক্রমে সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যা শেষ হয় গত ১৭ নভেম্বর সকালে।


আরও খবর



মৃত্যুর স্মরণ যেভাবে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধি করে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৩জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : মৃত্যু এমন এক সত্য যা একদিন মানুষকে আলিঙ্গন করবেই। পৃথিবীর রঙ-রসে মেতে মৃত্যুকে হয়তো ভুলে থাকা যায়, কিন্তু মৃত্যুকে এড়ানো বা মৃত্যু থেকে পালিয়ে বাঁচা যায় না। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা যেখানেই থাক না কেন মৃত্যু তোমাদের নাগাল পাবে, যদিও তোমরা সুদৃঢ় দুর্গে অবস্থান কর।’  (সূরা নিসা, আয়াত, ৭৫)

মৃত্যু এমন এক সত্য মুসলিম-অমুসলিম, ছোট-বড়, ধনী-গরীব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষ বিনা বাক্যে মৃত্যুর কথা মেনে নিতে এবং বিশ্বাস করতে বাধ্য। মৃত্যুর এই বোধ ও বিশ্বাস মানুষ বাস্তবতা থেকেই অর্জন করেছে।

এ ব্যাপারে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,‘জীবন মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আমি পরীক্ষা করার জন্য তোমাদেরকে মন্দ ও ভালোতে লিপ্ত করি এবং তোমাদের সকলকে আমারই কাছে ফিরিয়ে আনা হবে।’  (সূরা আম্বিয়া, আয়াত, ৩৫)

বুদ্ধিমানের কাজ হল, সবসময় অন্তরে মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করা। মৃত্যুর স্মরণ মানুষের ঈমান, আমল, চিন্তা-চেতনায় প্রভাব ফেলে। তাইতো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর স্মরণের জন্য উম্মতকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাছাড়া মৃত্যুর স্মরণের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালার ভালোবাসা অর্জন হয়। 

এ ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা বেশি বেশি করে স্বাদ হরণকারী বিষয় তথা মৃত্যুর স্মরণ কর।’  (ইবনে মাজাহ, হাদিস, ৪২৫৮) 

অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ পছন্দ করে আল্লাহ তায়ালা তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন।’   (বুখারি, হাদিস, ৬০০২) 

আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মৃত্যু মুমিনের জন্য উপঢৌকন স্বরূপ।’  (শুআবুল ঈমান, ৯৭৭৩) 

এছাড়া মুসলিম মনীষীরা মৃত্যু সম্পর্কে বলেছেন,মৃত্যু বন্ধুকে আপন বন্ধু পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। তাই আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে প্রত্যেক মুমিন-মুসলিমের উচিত অধিক পরিমাণে মৃত্যুর কথা স্মরণ করা।


আরও খবর



ভারতীয় শিবিরে ফাইনালের আগে অন্যরকম দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : সময়ের হিসেবে আর একদিনের অপেক্ষা। এরপরই আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরু হবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল। প্রায় দেড়মাসের ক্রিকেট যজ্ঞের পর্দা নামবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই প্রেস্টিজিয়াস ম্যাচ দিয়ে। দুই দলই এখন অবস্থান করছে আহমেদাবাদ শহরে। সেখানেই চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। 

ফাইনালের দুদিন আগেই পিচ পরীক্ষা করে দেখেছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল চলাকালেই ফাইনালের ভেন্যুতে পৌঁছে গেছে টিম ইন্ডিয়া। শুক্রবার মাঠেও নেমে পড়েছেন স্বাগতিকরা। 

তবে শেষ সময়ে এসে ভারত শিবিরে দেখা দিতে পারে অন্যরকম এক অস্বস্তি। সেটাও নিজেদের দলে কোন ইনজুরি বা প্রতিপক্ষ বিবেচনায় না। এই অস্বস্তি আম্পায়ার কেন্দ্রিক। ফাইনালে অনফিল্ডে থাকবেন, ইংল্যান্ডের দুই অভিজ্ঞ আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ও রিচার্ড কেটেলবরো। 

সেমিফাইনালে দায়িত্ব পালন করা আরও দুজন দায়িত্ব পেয়েছেন ফাইনালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন প্রথম সেমিফাইনালে টিভি আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন। এবার এই আম্পায়ার আহমেদাবাদের ফাইনালেও ম্যাচ পরিচালনায় থাকবেন টিভি আম্পায়ার হিসেবে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে থার্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন ক্রিস গ্যাফানি। নিউজিল্যান্ডের এই বিশেষজ্ঞ ১৯ নভেম্বর ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনালে উপস্থিত হবেন চতুর্থ আম্পায়ার হয়ে।

তবে ভারতের সমস্যা এই রিচার্ড কেটেলবোরোকে নিয়ে। রোহিত শর্মাদের জন্য আনলাকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় কেটেলবোরোকে। নক আউটে টিম ইন্ডিয়ার যেসব ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এর প্রত্যেকটিতেই হেরেছে ভারত।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া সবকটি ম্যাচেই আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন কেটেলবোরো। এর মধ্যে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালেও আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন এই ক্যাটেলবোরো।

এরপর ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচেও আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর বাইরে ২০২১ ও ২০২৩ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের হেরে যাওয়া দুটি ম্যাচেই থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন কেটেলবোরো। স্বাভাবিকভাবেই তাই রিচার্ড কেটেলবোরো কেন্দ্রিক আলোচনা বেশ জোরেশোরে শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

এছাড়া মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ফাইনালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব সামলাবেন অ্যান্ডি পাইক্রফট। জিম্বাবুয়ের পাইক্রফট প্রথম সেমিফাইনালেও ছিলেন ম্যাচ রেফারির ভূমিকায়। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের ম্যাচ অফিসিয়ালদের কেউই এবারের বিশ্বকাপে থাকছেন না।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




আইপিএলে বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। এমনটি যদি হয়, তাহলে ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে রূপ নিবে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। বেশ কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। 

২০২২ এর ফুটবল বিশ্বকাপের পর একে একে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, নেইমার জুনিয়র, করিম বেঞ্জেমার মতো ফুটবলারদের নিজেদের দেশের ক্লাবে চুক্তি করে বিশ্ব ফুটবল মানচিত্রে আমূল বদল ঘটিয়েছে সৌদি আরব। এবার তাদের নজরে ক্রিকেটে!

আইপিএলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব। ব্লুমবার্গের একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চায় সৌদি আরব।

সৌদি আরবের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমনের উপদেষ্টা ভারত সরকারের সঙ্গে এই নিয়ে শীঘ্রই আলোচনায় বসবেন। আইপিএলের সঙ্গে কীভাবে এই চুক্তি করা যায়, তা নিয়েও কথা বলবে সৌদি আরব। জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বরের সৌদি আরবের প্রিন্সের ভারত সফরেই এই বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিকভাবে কথা হয়।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩