Logo
আজঃ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জবাই করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক

চিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে শুল্ক কমানোর সুপারিশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:  বাজারে চিনির দাম স্বাভাবিক ও সাশ্রয়ী মূল্য ধরে রাখতে অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড কমিশন।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো চিঠিতে আপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনি আমদানিতে বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৩০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। 

গত ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠানটির বাণিজ্য নীতি শাখা থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। যেখানে ট্যারিফ কমিশন শুল্ক কমানোর পক্ষে বিভিন্ন যুক্তির উপস্থাপন করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে স্থানীয় বাজারে চিনির বর্ধিত চাহিদা সৃষ্টি হয়। বর্ধিত এই চাহিদা বিবেচনায় চিনির সামগ্রিক সরবরাহ ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য চিনি পরিশোধনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহকে এখনই চিনি আমদানির নিমিত্ত এলসি খুলতে হবে। গত এক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত চিনির মূল্য ৩৯৪ মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭৬.১৯ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বৃদ্ধির হার ২০.৮১ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার এবং আসন্ন পবিত্র রমজানে যৌক্তিক মূল্যে চিনি সরবরাহের নিমিত্ত শুল্ক হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন।

আরও খবর

আপেলের আমদানি বাড়লেও কমেছে মাছ, আনার, কমলার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: সেঞ্চুরিয়নে গতকাল রাতে পাকিস্তানকে দ্বিতীয় ম্যাচে ৭ উইকেটে হারিয়ে টি–টোয়েন্টি সিরিজ ২–০ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের ২০৬ রান তাড়া করতে নেমে ৩ বল হাতে রেখে জিতেছে হাইনরিখ ক্লাসেনের দল। এ ম্যাচে ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেলে বেশ কিছু রেকর্ড নিজের করে নিয়েছেন পাকিস্তানি তারকা বাবর আজম।

ভারত–পাকিস্তান সমঝোতা, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হাইব্রিড মডেলেই

ম্যাচটি খেলতে নামার আগে তিন সংস্করণ মিলিয়ে বাবরের মোট রান ছিল ১৩,৯৯৮। চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসে প্রথম বলেই চার মেরে পঞ্চম পাকিস্তানি হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফলকের দেখা পান বাবর।


ইনজামাম–উল–হক, ইউনিস খান, মোহাম্মদ ইউসুফ ও জাভেদ মিঁয়াদাদ এর আগে মাইলফলকটি টপকেছেন। ৩৩৮ ইনিংসে বাবরের রান ১৪,০২৯। ৫৫১ ইনিংসে ২০,৫৮০ রান নিয়ে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রানসংখ্যায় সবার ওপরে ইনজামাম। ইউনিস ৪৯১ ইনিংসে ১৭,৭৯০ রান নিয়ে দ্বিতীয়। ৪৩২ ইনিংসে ১৭,৩০০ রান নিয়ে তৃতীয় ইউসুফ এবং চতুর্থ মিঁয়াদাদের সংগ্রহ ৪০৭ ইনিংসে ১৬,২১৩ রান।


সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেন রিজা হেনড্রিকস। সেঞ্চুরির পর তাঁর উদ্‌যাপন এএফপি

এই ইনিংস দিয়ে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতেও একটি রেকর্ড গড়েছেন বাবর। এই সংস্করণে দ্রুততম ১১ হাজার রানের রেকর্ড এখন তাঁর। ২৯৮ ইনিংসে বাবরের রানসংখ্যা এখন ১১,০২০। 


এই পথে বাবর ভেঙেছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ক্রিস গেইলের রেকর্ড। মাইলফলকটিতে পৌঁছাতে গেইলের লেগেছিল ৩১৪ ইনিংস। অর্থাৎ প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০-এর কম ইনিংস খেলে ১১ হাজার রানের দেখাও পেলেন বাবর।


ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণে দ্রুততম ৭, ৯ ও ১০ হাজার রানের রেকর্ডও তাঁর।


তবে স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে বাবরের চেয়ে বেশি রান করা পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান কিন্তু আছেন। তিনি আবার অলরাউন্ডার। ঠিকই ধরেছেন। ৪২ বছর বয়সী শোয়েব মালিক। বাবরের জন্মের (১৫ অক্টোবর, ১৯৯৪) ঠিক ৫ বছর পরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত (১৫ অক্টোবর, ১৯৯৯) শোয়েব এই সংস্করণে ৫০৫ ইনিংসে ১৩,৪১৫ রান করেছেন। ক্রিস গেইলের পরই (৪৫৫ ইনিংসে ১৪,৫৬২) এ সংস্করণে রানে দ্বিতীয় শোয়েব।


শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪ হাজার এবং স্বীকৃত টি–টোয়েন্টিতে ১১ হাজার রানই নয়, বাবর কাল আরও একটি হাজারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ৩১ রানের ইনিংসের পথে ছুঁয়েছেন পেশাদার ক্রিকেটে ২৬ হাজার রানের ঘর। বাবরের তিন মাইলফলকের ম্যাচে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বড় ইনিংসটি খেলেছেন অবশ্য সাইম আইয়ুব। 


৫ ছক্কা ও ১১ চারে ৫৭ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ওপেনার। শেষ দিকে ইরফান খানের ১৬ বলে ৩০ রান পাকিস্তানকে দুই শ পার হওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেয়। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা ভেবে রেখেছিলেন অন্য কিছু। বিশেষ করে ওপেনার রিজা হেনড্রিকস।


১০ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ বলে ১১৭ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে প্রথম টি–টোয়েন্টি সেঞ্চুরিও তুলে নেন এই ডানহাতি। ৩৮ বলে ৬৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে মাঠে থেকে জয় নিশ্চিত করেন রাসি ফন ডার ডুসেন। জোহানেসবার্গে আজ রাত ১০টায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।


সংক্ষিপ্ত স্কোর:


পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০৬/৫ (সাইম ৯৮*, বাবর ৩১, ইরফান ৩০, রিজওয়ান ১১, আব্বাস ১১*; দাইয়ান ২/২১, বার্টম্যান ২/৫১, লিন্ডা ১/২৮)।


দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৯.৩ ওভারে ২১০/৩ (হেনড্রিকস ১১৭, ডুসেন ৬৬*, ব্রিটৎজকে ১২, ক্লাসেন ৮*; জাহানদাদ ২/৪০, আব্বাস ১/৪৬, আবরার ০/২৯, হারিস ০/৫৭)।


ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।


সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২–০ তে এগিয়ে।


ম্যাচসেরা: রিজা হেনড্রিকস (দক্ষিণ আফ্রিকা)।



আরও খবর



শেষ যুগে যেভাবে চলতে বলেছেন নবীজি (সা.)

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: সময় যত কেয়ামতের দিকে ঘনিয়ে যাবে, ততই ফিতনা বেড়ে যাবে। ঈমান ও ইসলামের ওপর টিকে থাকা তখন সবার পক্ষে সহজ হবে না। এমন কঠিন সময়ে হাদিসের নির্দেশনা হলো- নিজেকে নেক আমলে ব্যস্ত রাখা এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরের পরিবেশে না যাওয়া। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হবে, বসে থাকা ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর চলমান ব্যক্তি দ্রুতগামী ব্যক্তি থেকে ভালো থাকবে। (মুসলিম : ৭১৩৯)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘ফিতনার সময় ঈমানদারের করণীয় হলো- সর্বদা চুপ থাকা। এত পরিমাণ চুপ থাকা, যার কারণে কোনো ফিতনা তাকে আকৃষ্ট করতে না পারে। (আল ফিতান : ৭৩৫)। হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে তাকাবে, ফিতনা তাকে ঘিরে ধরবে। তখন কেউ যদি কোনো আশ্রয়ের জায়গা কিংবা নিরাপদ জায়গা পায়, তাহলে সে যেন আত্মরক্ষা করে। (বোখারি : ৭০৮১)

এ ছাড়া আল্লাহর কাছে অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত। হুজাইফা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, মানুষের ওপর এমন একটা যুগ আসবে যখন কেউ রক্ষা পাবে না, সে ছাড়া যে দোয়া করছে, ডুবন্ত মানুষের দোয়ার মতো। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৩৬৪৪৭)

অর্থাৎ নদীতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তি যেভাবে বাঁচার আকুতি নিয়ে দোয়া করতে থাকে, সেভাবে দোয়া করা। পাশাপাশি নিজের নজরের হেফাজত করা। ফিতনার বিষয় সম্পর্কে জানতেও বের না হওয়া। ফিতনার দিকে দৃষ্টি বা উঁকি না দেওয়া। সবসময় সৎ কাজ আঁকড়ে ধরা, অসৎ কাজ পরিহার করা, সর্বসাধারণকে এড়িয়ে মুত্তাকিদের সঙ্গে চলাফেরা করা এবং পাপাচারীদের সঙ্গ ত্যাগ করা ফিতনাকালীন গুরুত্বপূর্ণ আমল।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন ফিতনা তীব্র আকার ধারণ করবে, তখন তোমরা সৎ কাজকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে এবং অসৎ কাজ হতে বিরত থাকবে। তোমাদের মাঝে বিশেষ লোক যারা রয়েছে, তাদের প্রতি মনোনিবেশ করবে এবং সর্বসাধারণকে এড়িয়ে চলবে। (আল ফিতান : ৭২১)

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, ফিতনার যুগে কেউ যদি জান্নাতের উপযুক্ত হতে চায়, তার জন্য বিশেষ তিনটি করণীয় রয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, সেসময় নাজাতের উপায় কী? তিনি বললেন, নিজের জিহ্বা আয়ত্তে রাখবে, নিজের ঘরে পড়ে থাকবে এবং নিজের পাপের জন্য রোদন করবে। (মিশকাত : ৪৮৩৭)

সর্বযুগের অন্যতম বড় ফিতনা হচ্ছে নারীর ফিতনা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো নারীর ওপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি বারবার দৃষ্টিপাত করো না; বরং দৃষ্টি অতিসত্বর ফিরিয়ে নিও। কারণ তোমার জন্য প্রথমবার ক্ষমা, দ্বিতীয়বার নয়। (মুসনাদে আহমদ : ১৩৬৯)। নবীজি (সা.) আরো বলেছেন, পুরুষের জন্য নারী জাতি অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোনো ফিত?না আমি রেখে যাইনি। (বোখারি : ৫০৯৬)

এ উম্মতের আরো একটি বড় ফিতনা হচ্ছে- ধন-সম্পদের ফিতনা, যা আল্লাহর আনুগত্য থেকে মানুষকে গাফেল রাখে। হজরত কাব ইবনে ইয়াজ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোনো না কোনো ফিতনা ছিল। আর আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধন-সম্পদ। (তিরমিজি : ২৩৩৬)

ফিতনার যুগে গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হচ্ছে কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা, যা না থাকলে যেকোনো সময় ফিতনা গ্রাস করে ফেলতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা আঁকড়ে ধরে থাকো, তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নত।’ (আত-তারগিব ওয়াত তাহরিব : ৪০)

দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে করণীয় : পাপ সবসময় বর্জনীয়। পাপের চূড়ান্ত শাস্তি আখেরাতে হলেও অনেক সময় দুনিয়াতেও আল্লাহতায়ালা শাস্তি দিয়ে থাকেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো জাতির মধ্যে আত্মসাৎ বৃদ্ধি পেলে সে জাতির লোকদের অন্তরে ভয়ের সঞ্চার করা হয়। কোনো জাতির মধ্যে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়লে সেখানে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। কোনো সম্প্রদায়ের লোকরা পরিমাপ ও ওজনে কম দিলে তাদের রিজিক সংকুচিত করা হয়। কোনো জাতির লোকরা অন্যায়ভাবে বিচার-ফয়সালা করলে তাদের মধ্যে রক্তপাত বিস্তৃতি লাভ করে। কোনো জাতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপর শত্রুদল চাপিয়ে দেন।’ (মুয়াত্তা মালেক : ১৩২৩)

আল্লাহর দেওয়া দুনিয়াবি শাস্তির ধরন নানারকম হয়ে থাকে। কারো অসুস্থতার মাধ্যমে, কাউকে অসহায়ত্বের মাধ্যমে, কারো আবার ঈমান হরণের মাধ্যমে। গুনাহের প্রথম শাস্তি হলো মানসিক অস্থিরতা। এরপর নানা আপদে পতিত হতে হয় পাপিকে।

প্রথম শাস্তি মানসিক অশান্তি বড় এক আপদ। এই আপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তওবা ও নেক আমল। এ ছাড়া প্রশান্তির কোনো উপায় নেই। এ মহা নেয়ামত আল্লাহতায়ালা তার রাসুলকে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, আমি কি আপনার অন্তর প্রশান্ত করিনি? (সুরা ইনশিরাহ : ১)

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কঠিন ফিতনার দিনে ঈমান ঠিক রাখার তাওফিক দান করুন। দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে হাদিসের নির্দেশনা যথাযথ আমল করারও তাওফিক দিন। আমিন।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




দুর্নীতিতে যুক্ত নেতানিয়াহু , জানালেন ইসরাইলি তদন্ত কর্মকর্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিশ্চিতভাবে দুর্নীতিতে দোষী বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা। এলি আসায়াগ নামে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়া সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি নিশ্চিত প্রধানমন্ত্রী দোষী।

পুলিশের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে অবসর নেওয়া আসায়াগ ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০১৯ সালের শুরু পর্যন্ত নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা এবং বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ২০২১ সালের মার্চে দীর্ঘ ৩৬ বছরের চাকরি জীবন থেকে অবসর নেন।

এলি আসায়াগ বুধবার ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজকে বলেন, ‘আমি ৩৬ বছর পুলিশে কাজ করার পর ৫৮ বছর বয়সে অবসর নিয়েছি। আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। তবে বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাকে আর পদোন্নতি দেওয়া হবে না। এর সম্ভাব্য কারণ হতে পারে যে, আমি এ ধরনের সংবেদনশীল মামলাগুলো পরিচালনা করেছি’।

নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসায়াগ বলেন, তিনি এখনও মামলার সাক্ষী হতে পারেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রধানমন্ত্রী কখনও কখনও ‘রাগান্বিত হয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন’।

এই মামলার তদন্তকে তিনি তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দক্ষ এবং পেশাদার তদন্তগুলোর একটি বলে বর্ণনা করেছেন।

আসায়াগ বলেন, ‘নয় মাসেরও কম সময়ে আমরা তদন্ত সম্পন্ন করি এবং প্রতিবেদনটি স্টেট প্রসিকিউটরের দপ্তরে পাঠাই’। একই সঙ্গে তিনি একে ‘সাদা পোশাকধারী অপরাধের ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত তদন্ত’ বলে উল্লেখ করেন।

তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি নেতানিয়াহুকে দোষী মনে করেন কি না? জবাবে আসায়াগ নিশ্চিতভাবে বলেন, ‘আমি যদি নিশ্চিত না হতাম, তবে অভিযোগগঠনের সুপারিশ করতাম না’।

২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল আভিচাই ম্যান্ডেলব্লিট নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলায় দুর্নীতির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেন।

নেতানিয়াহু আগামী মঙ্গলবার তেলআবিব জেলা আদালতে তার বিরুদ্ধে আনা এসব দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সাক্ষ্য দেবেন।

নেতানিয়াহুর বিচার ২০২০ সালে জেরুজালেম জেলা আদালতে শুরু হয়। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি


আরও খবর



রাণীনগরে আতব ধানে ব্লাস্টের আক্রমণ ॥ ক্ষতিতে কৃষকরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগর চলতি আমন মৌসুমে আতব ধানের শীষ ব্যাপকহারে মরে যাচ্ছে। ব্লাষ্ট রোগ আক্রমণ হয়ে ধানের শীষ মরে যাওয়ায় ফলন অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে। কৃষকরা বলছেন, যেখনে প্রতি বছর বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৬ মণ হারে ফলন হয়েছে সেখানে এবছর মাত্র ৬ থেকে ৮ মণ হারে ফলন হচ্ছে।

তবে কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, একই জাতের ধান বার বার চাষ করলে ওই ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই ভাল ফলন পেতে ধানের জাত পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন কৃষকদের। রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলা জুড়ে ১৮ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ধানের চাষ করছেন কৃষকরা। এর মধ্যে ধানী গোল্ড, বিনা-১৭, ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান-৯০, স্বর্ণা এবং আতব ও চিনি আতব ধান চাষ করছেন কৃষকরা। অফিসের তথ্য মতে কৃষকরা ব্রি-৩৪ জাতের আতব ধান চাষ করেছেন প্রায় ৭ হাজার ৫৪০ হেক্টর এবং চিনি আতব ধান চাষ করেছেন ১৩৩ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা বলছেন, ধান রোপণের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান গাছ বেশ ভালো হয়েছিল।

ধানের শীষ বড় হবার পর থেকেই শীষ মরা রোগ দেখা দেয়। শীষ মরা প্রতিরোধে বিভিন্ন কোম্পানীর ওষুধ ছিটিয়েও কোন ফল হয়নি। তাদের ভাষ্যমতে চাষকৃত আতব ধান সব চাইতে বেশি মরেছে। তবে অন্যান্য জাতের ধানের শীষ তুলনামূলকভাবে কম মরেছে। কৃষকরা বলছেন, ব্যাপক হারে ধানের শীষ মরে যাওয়ায় প্রতি বছরের গড় ফলন অর্ধেকেরও কম হয়েছে এবার। এতে চরমভাবে লোকসানে পড়েছেন কৃষকরা।


আরও খবর

আপেলের আমদানি বাড়লেও কমেছে মাছ, আনার, কমলার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




রাজবাড়ীতে ২৬ কেজি গাঁজাসহ কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

রাজবাড়ী প্রতিনিধি: র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানাধীন দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকায় কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান অবৈধ মাদক মজুদ করে রেখেছে।

উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের উক্ত আভিযানিক দল অদ্য ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১৩:২০ ঘটিকায় উল্লেখিত এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ৭,৮০,০০০/- (সাত লক্ষ আশি হাজার) টাকা মূল্যমানের ২৬ (ছাব্বিশ) কেজি গাঁজাসহ ০১ জন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীর নাম ১। মোঃ ইউসুফ আলী (৩২), পিতা- মৃত ওয়াস কুরনী, সাং-ইটভাটা পাড়া, ডাকঘরঃ বদরগঞ্জ, থানা- চুয়াডাঙ্গা সদর, জেলা- চুয়াডাঙ্গা বলে জানা যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামী পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজাবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা রুজু করতঃ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর