Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

চুয়েটের ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

শিক্ষা ডেস্ক : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) জুনিয়র শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিংয়ের অপরাধে ১১ শিক্ষার্থীকে ৬ মাসের জন্য সব ধরণের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃতরা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন কমিটির ২৭৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

পরে কমিটির সদস্যসচিব ও ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মাহবুবুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ২৩ ব্যাচের (২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চুয়েটের প্রধান গেটের বাইরে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির তদন্তে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা এই ছয় মাস বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হলে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে তারা চাইলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বরাবর আপিল করতে পারবেন।


আরও খবর



আশুলিয়ায় পাইকারি বাজারে আগুন, দেড় ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৬জন দেখেছেন

Image
  • আব্দুল্লাহ আল মনির                                                                                                                                                                                            সাভার উপজেলা প্রতিনিধি: ঢাকার আশুলিয়ায় একটি বাজারে মশলা ও নিষিদ্ধ পলিথিনের পাইকারি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ৮ টি দোকান পুড়ে গেছে। এসময় ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট দেড় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়, তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিস।

    সোমবার (৩০ শে ডিসেম্বর  ২০২৪)  রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল মোড় এলাকায় রমজান আলী সুপার মার্কেটের একটি দোকানে আগুন লাগে। এসময় মার্কেটে থাকা আরও আটটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ দোকানে ছিল নিষিদ্ধ পলিথিন। 

    প্রত্যক্ষদর্শী মো. আকবর হোসেন, বলেন  আমরা একটি দোকান থেকে ধোয়া বের হতে দেখি। পরে দোকানের শাটার ভেঙ্গে ফেলার পর ভেতরে আগুন দেখতে পাই৷ ওই দোকান থেকে আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে  দোকানে পলিথিন ছিলো। 

    প্রত্যক্ষদর্শীরা  আরও জানান, এখানে বেশিরভাগ  দোকানগুলোতে ছিল পলিথিন এবং প্লাস্টিক ব্যাগের দোকান। মসলা দোকান থাকলেও অধিকাংশ দোকানে পলিথিন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে। এজন্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতেও দেরি হয়েছে। 

    আরো বলেন, প্রথমে একটি মসলার দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয় । পরবর্তীতে বিভিন্ন পলিথিণের দোকান, চায়ের দোকান  ও বিভিন্ন মসলার দোকানে আগুন লাগে। তবে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। 

    এবিষয়ে ফায়ার সার্ভিস জানায়, রাতে আড়ৎ এর একটি দোকানে আগুনের সূত্রপাত হয়। এসময় আগুনের মাত্রা বেশি থাকায় আশপাশের দোকানেও ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ডিইপিজেড স্টেশন থেকে প্রথমে তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। কিন্ত আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে  জিরাবো স্টেশন থেকে আরো তিনটি ইউনিট যোগ দেয়। দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। 

    ফায়ার সার্ভিসের জোন-ফোর ডিএডি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন,  আমরা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে খবর পাই। তখন ডিইপিজেড স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে জিরাবো ফায়ার স্টেশন থেকে আরও তিনটি ইউনিট এসে যোগ দেয় । দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণ আসে। তবে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। কি কারণে আগুন লেগেছে ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।

     

আরও খবর



র‌্যাবের অভিযানে রাজশাহী থেকে অপহৃত নারী চিকিৎসক উদ্ধার, ০৪ অপহরণকারী গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৪০জন দেখেছেন

Image

নিস্ব প্রতিনিধি: র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, অবৈধ দখলদার, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, ধর্ষক, প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র‌্যাব।


 গত ৩০/১২/২০২৪ ইং তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫:২০ ঘটিকায় রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন  চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার নিজের বাড়ি থেকে ভিকটিম ডাঃ শাকিরা তাসনিম (২৬)  এবং তার পিতা আবু তাহের মোঃ খুরশীদ’ কে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতাকে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা এলাকায় আহত অবস্থায় গাড়ী থেকে ফেলে দিয়ে চলে যায় অপহরণকারীরা।


ঘটনাটি দেশব্যাপী প্রিন্ট, ইলেক্টনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের  করেন, যার মামলা নং-১৯/২০৮, তারিখ ৩১/১২/২০২৪, ধারাঃ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০২০) এর ৭/৩০ তৎসহ ৪৪৮/ ৩২৩/ ৩২৪/ ৩০৭/৩২৬/৩৬৫/ ৫০৬ পেনাল কোড৷ উল্লেখিত মামলার প্রেক্ষিতে অপহৃত ডাঃ শাকিরা তাসনিমÕকে উদ্ধার ও অপহরনকারীদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে র‌্যাব।


 এরই ধারাবাহিকতায় জনাব মোঃ আতিকুর রহমান মিয়া, পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি, অধিনায়ক, র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের নির্দেশনায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‌্যাব-১২,  সিপিসি-২ পাবনা ও র‌্যাব-৫, সিপিএসসি রাজশাহী র‌্যাবের একটি যৌথ আভিযানিক দল গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত ০৮.০০ ঘটিকায় ‘পাবনা জেলার সদর থানাধীন মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে  অপহৃত ভিকটিম ডাঃ শাকিরা তাসনিম, পিতা-আবু তাহের মোঃ খুরশীদ, সাং-চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকা, থানা-চন্দ্রিমা, জেলা-রাজশাহীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং মামলার ১ নং এজাহার নামীয় আসামি তানজিম খান তাজ  নিরব (৩০), পিতা-মোঃ আবু হানিফ কাজী, গ্রাম-বামনডাঙ্গা, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা,, অপহরণের সহযোগী মোঃ সেলিম  মল্লিক (৩৫), পিতা- শহীদ মল্লিক, সাং- চর গোবিন্দপুর, থানা-সুজানগর, জেলা-পাবনা, মোঃ সজিব হোসেন (২৩), পিতা-মোঃ সোলায়মান, সাং- বড়ংগাইল (দক্ষিন পাড়া), থানা- চৌহালি, জেলা-সিরাজগঞ্জ এবং অপহরনের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের চালক মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৩৫), পিতা- মৃত আমিনউদ্দিন মিয়া, সাং- বদনপুর, থানা- সুজানগর, জেলা-পাবনাদেরকে গ্রেফতার করে। এ সময় অপহরণের কাজ ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়।


 

উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার মাধ্যমে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন এবং অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী,দিনাজপুর প্রতিনিধি:

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী ৫নং খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দুই শতাধিক দুস্থ্য শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠিত হয়েছে।


গত (৯ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় খয়েরবাড়ী লক্ষিপুর বাজারে অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরনে জাতীয়তাবাদী বাস্তহারা দলের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো.আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আইনজীবি ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান কামরু। এসময় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামিম হোসেন ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেনসহ ইউনিয়ন বিএনপির সকল নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



১১৪জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রাদন

প্রকাশিত:শনিবার ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৬২জন দেখেছেন

Image

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: নুরুন্নাহার-আলাউদ্দিন কল্যাণ ট্রাষ্ট এর উদ্যেগে ও অর্থায়নে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার মাধ্যমিক ও সমপর্যায়ের সকল মাদ্রাসা এর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।  শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাঁশবাড়িয়া মরিয়ম মেমোরিয়াল গালর্স হাই স্কুলে উপজেলার ২৮টি মাধ্যমিক ও ২০টি মাদ্রাসার ১১৪জন শিক্ষার্থীদের এ বৃত্তি প্রদান করা হয়।

ট্রাষ্ট চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত সদস্য গ্রেড-১ জাতীয় রাজস্ব বোড (সচিব পদ মর্যাদায়) মো. আলাউদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও যুব বিষায়ক সম্পাদ উপজেলা যুব ফাউন্ডেশনের এ্যাডভোকেট শাহিন খান এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক শাহ আলম শানু, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আনোয়ার হোসেন,

মাদ্রাসা সমিতির সভা মাওলানা মোসলেম উদ্দিন, উপজেলা কল্যান সমিতির সদস্য মহিবুল্লা জয়, সদস্য এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান,  যুব ফাউন্ডেশনের মহা সচিব আবু সায়েম দেওয়ান, উপজেলা ছাত্র কল্যান সমিতির সভাপতি রাহাত হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাহিদ খান, সহ-সভাপতি জাহেদুল ইসলাম নোমান, সদস্য আন্তর্জাতিক বিষায়ক সম্পাদক গকুল চন্দ্র, আরজবেগী ইমেল ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ঈশ্বর চন্দ্র শীল, মাধ্যামিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষক সহ স্থানীয় গন্যমান্যব্যাক্তিবর্গ।



আরও খবর



বিষণ্নতা দূর করে কোরআন তিলাওয়াত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: ডিপ্রেশন মানসিক ও শারীরিকভাবে অত্যন্ত ক্লান্তিকর এবং নিঃশেষকারী হতে পারে। আমাদের মধ্যে যারা প্রতিদিন এ ধরনের মানসিক অশান্তির মুখোমুখি হই, তাদের জন্য আশা আছে। ইসলাম মুমিনদের ডিপ্রেশন মোকাবেলা এবং তা থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় হাতিয়ার দিয়েছে, যার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হাতিয়ার হলো পবিত্র কোরআন। 


মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে, আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) সঙ্গে একটি দৃঢ় এবং স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক মানসিক সুস্থতার দিকে সরাসরি প্রভাব ফেলে। এই সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে আল্লাহর প্রতি অপরিসীম বিশ্বাসের ভিত্তিতে- তাঁর পরিকল্পনা ও ইচ্ছার ওপর। আল্লাহ তাঁর বিশ্বাসীদের কখনো ত্যাগ করেন না এবং যদি বিশ্বাসী আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) প্রতি পরম বিশ্বাস রাখেন, তবে আল্লাহ তাঁর জন্য যথেষ্ট।


যদি আপনি নিজেকে ডিপ্রেশনে ডুবে যেতে দেখেন, তবে কোরআন বেশি বেশি তিলাওয়াত করুন। অন্যান্য কারণের পাশাপাশি ডিপ্রেশন ও উদ্বেগের প্রধান কারণগুলোর একটি হলো ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা এবং অজানা বিষয়ে ভয়। জীবনের পরিস্থিতি বা ঘটনাগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকার অনুভূতি (যা-ই হোক না কেন) অস্থিরতা, নিঃসঙ্গতা ও হতাশা সৃষ্টি করতে পারে। 


কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে এবং আল্লাহর বাণী বোঝার মাধ্যমে মানুষকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে কেবল আল্লাহই (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) সব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণকারী এবং তিনি আমাদের প্রত্যেকের জন্য একটি পরিকল্পনা রেখেছেন। আমাদের জীবনে যা কিছু ঘটে, তা যত ছোটই হোক না কেন, তা আল্লাহর বড় এবং নিখুঁত পরিকল্পনার অংশ। শেষ পর্যন্ত কিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই; সব কিছু আল্লাহর হাতে। তাহলে আমরা কেন হতাশ হবো? যখন আমরা জানি, আল্লাহ আমাদের দেখছেন এবং তিনিই সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।


কোরআনে আল্লাহ বলেন : ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য কোনো না কোনো উপায় বের করে দেবেন এবং তিনি তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না। যে আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ অবশ্যই তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন; নিশ্চয়ই প্রত্যেক বস্তুতে আল্লাহ একটি নির্ধারিত পরিমাণ স্থির করেছেন।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ২-৩)


কোরআন পাঠ করলে মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় যে এই পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী। এই দুনিয়া মানুষের জন্য পরীক্ষা এবং বেদনাদায়ক ঘটনাবলির স্থান, যা শেষ হয়ে যাবে এবং একটি নতুন (স্থায়ী) জগৎ উদ্ভূত হবে- জান্নাত ও জাহান্নামের জগৎ। আল্লাহ এই পৃথিবীকে আমাদের পরীক্ষা করার জন্য সৃষ্টি করেছেন। আর আল্লাহ তাদের পরীক্ষা করেন যাদের তিনি ভালোবাসেন এবং তিনি তাঁর বিশ্বস্ত বিশ্বাসীদের ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহর পরিকল্পনার ওপর বিশ্বাস) নিয়ে এসব পরীক্ষা মোকাবেলা করার নির্দেশ দেন।


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় পুরস্কার আসে সবচেয়ে বড় পরীক্ষার সঙ্গে। আল্লাহ যখন কোনো সম্প্রদায়কে ভালোবাসেন, তখন তিনি তাদের পরীক্ষা করেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৯৬)


এই জীবনের লক্ষ্যই হলো কষ্ট, ক্ষতি ও হতাশা। কেবল আল্লাহর প্রতি আমাদের বিশ্বাসই আমাদেরকে এই দুনিয়ার পরীক্ষাগুলো সহ্য করতে এবং জান্নাতে চিরস্থায়ী জীবনের লক্ষ্যে কেন্দ্রীভূত থাকতে সাহায্য করতে পারে। কোরআনের তিলাওয়াতের মাধ্যমে আমাদের অন্তর প্রশান্তি পায় এবং আমরা আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) অসংখ্য অনুগ্রহের কথা স্মরণ করি। ‘নিঃসন্দেহে, আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্তি লাভ করে।’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ২৮)


আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতিশ্রুতি দেন এবং সান্ত্বনা দেন যে আমরা এই পৃথিবীতে অসংখ্য কষ্টের সম্মুখীন হবো, কিন্তু প্রতিটি কষ্টের পরই প্রশান্তি আসবে। ‘সুতরাং নিশ্চয়ই, প্রতিটি কষ্টের সঙ্গে আছে প্রশান্তি; নিশ্চিতভাবেই প্রতিটি কষ্টের সঙ্গে আছে প্রশান্তি।’ (সুরা : ইনশিরাহ, আয়াত : ৫-৬)


পরিশেষে, এই দুনিয়ায় আমাদের ভাসিয়ে রাখতে পারে একমাত্র আল্লাহর প্রতি আমাদের বিশ্বাস। মূল বিষয় হলো আল্লাহর ক্ষমতার ওপর বিশ্বাস রাখা এবং তাঁর অসীম জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ওপর আস্থা রাখা যে তিনি জানেন আমাদের জন্য কী ভালো আর কী নয়। তিনি আমাদের সীমাহীনভাবে ভালোবাসেন এবং তিনি অপেক্ষা করেন যে আমরা তাঁর ওপর নির্ভর করব, যাতে তিনি আমাদের সীমাহীনভাবে দান করতে পারেন-এই পৃথিবীতে এবং পরকালেও।


এই দুনিয়া এবং এর পরীক্ষাগুলো একমাত্র একটি উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে : আমাদেরকে আল্লাহর দিকে ফিরিয়ে আনার জন্য। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) আমাদের কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন, যাতে আমরা তাঁর কাছেই শান্তি পাই। তিনি আমাদেরকে কঠিনতায় ফেলেন, যাতে আমরা তাঁর ওপর নির্ভর করি। তিনি আমাদের পথে বিপর্যয় পাঠান, যাতে আমরা শুধু তাঁর কাছেই সাহায্য চাই। তিনি চান তাঁর বান্দারা তাঁকে স্মরণ করুক, তাঁর কাছে ফিরে আসুক এবং এই দুনিয়ার প্রতিযোগিতায় হারিয়ে না যাক।


ইবন মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার বান্দা, তোমার বান্দার সন্তান, তোমার দাসীর সন্তান। আমার কপালের ভাগ্যদণ্ড তোমার হাতে, তোমার আদেশ আমার ব্যাপারে কার্যকর এবং তোমার সিদ্ধান্ত আমার ব্যাপারে ন্যায়সংগত। আমি তোমাকে তোমার প্রতিটি সুন্দর নামে ডাকি, যা তুমি নিজেকে দিয়ে বর্ণনা করেছ অথবা তোমার কিতাবে অবতীর্ণ করেছ, অথবা তোমার সৃষ্টির কাউকে শিখিয়েছ, অথবা তুমি যা অদৃশ্যের মধ্যে রেখেছ, কোরআনকে আমার অন্তরের প্রশান্তি, আমার বক্ষের আলো, আমার দুঃখ দূরকারী এবং আমার উদ্বেগ অপসারণকারী করো।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ৩৭০৪)।


এই দোয়া আমাদের হৃদয় ও আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করতে একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে কাজ করে। ইসলামে সব সময় নিরাময়ের আশা আছে। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) সব কিছু করতে সক্ষম এবং এমন কোনো গভীরতায় আপনি পৌঁছতে পারবেন না, যা তাঁর সাহায্যের বাইরে। ডিপ্রেশনের সমাধান আল্লাহর (সুবহানাহু ওয়া তাআলা) বাণীতে এবং তাঁর অসীম প্রজ্ঞায় নিহিত : তাঁর ওপর বিশ্বাস রাখুন, কারণ তিনি কখনো আপনাকে ত্যাগ করবেন না এবং তিনি সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী।


আরও খবর

ডালিমসহ জান্নাতে পাওয়া যাবে যেসব ফল

শনিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ভূমিকম্প নিয়ে কোরআন-হাদিসে কী বলা হয়েছে?

বৃহস্পতিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২৫