Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাতে যে ৫ কাজ করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৩জন দেখেছেন

Image

ডায়াবেটিস নিয়ে চিন্তিত মানুষের অভাব নেই। কারণ এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। নীরব ঘাতক ডায়াবেটিস একবার দেখা দিলে নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করতে থাকে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রচেষ্টারও কমতি রাখেন না অনেকে। তবে সব সময় সব প্রচেষ্টা সফল হয় না। কারণ অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা আসলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে না। তাই আপনাকে জেনে নিতে হবে সহজ ও সঠিক কিছু উপায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রাতে কোন ৫টি কাজ করতে হবে-

সুষম খাবার খেতে হবে

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রাতে সবার আগে নজর রাখতে হবে খাবারের দিকে। রাতের খাবার যেন সুষম হয় সেদিকে নজর দিন। এর অর্থ হলো খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন ও ফ্যাট থাকতে হবে। এই তিনটির পরিমাণ যেন সমান সমান থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। এতে রাতে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।

বেশি রাতে খাবার খাবেন না

রাতে দেরি করে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। কিন্তু এটি মোটেই ভালো কোনো অভ্যাস নয়। আপনারও যদি এই অভ্যাস থাকে তবে তা দ্রুত ত্যাগ করুন। কারণ এই অভ্যাস আপনার ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত রাতে দেরি করে খাবার খান তবে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই রাত আটটার মধ্যে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন

রাতের খাবারের পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। দিন ও রাত মিলিয়ে মোট ২-৩ লিটার পানি পান করবেন। এতে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকবে সহজেই। যে কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে। তাই এই অভ্যাস বাদ দেওয়া চলবে না। খেয়াল রাখবেন যেন খাওয়ার পরপরই পানি পান করা না হয়। কারণ তাতে হজমের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে

সীমিত খাবার খান

রাতে খুব বেশি খাবার খাবেন না। এসময় মেপে খাবার খাওয়াই ভালো। কারণ রাতে অতিরিক্ত খাবার খেলে ঘুমের মধ্যে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। তাই রাতের খাবার যতটা সম্ভব সীমিত করার চেষ্টা করুন। সবচেয়ে ভালো হয় এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারলে।

অল্প হাঁটাচলা করুন

রাতের খাবার খাওয়ার পরপরই বিছানায় চলে যাবেন না। কারণ এতে হজমে সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। এতে খাবার হজম সহজ হবে। যার ফলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে আর আপনিও দূরে থাকতে পারবেন ডায়াবেটিস থেকে।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




কৃষিতে স্বাবলম্বী পাবনার রাকিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

সফিক ইসলাম,পাবনা: ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবাকে কৃষি কাজে সহায়তা করাই ছিল রাকিবের নেশা।

বাবার অল্প কিছু জমি নিয়ে বাবা চাষাবাদে ব্যস্ত থাকেন সর্ব সময়। বাবার ফসল উৎপাদন দেখে পাবনা সদর উপজেলার কৃষি অফিস সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেন অনেক সময়ই।

আর এটা দেখে রাকিবের চাষাবাদ করার আগ্রহ জন্ম নেয়। বাবা শীতকালীন গ্রীষ্মকালীন সকল শস্য উৎপাদনে পাবনা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তা নেন। আর কিছু কর্মকর্তাদের সহায়তার ধরণ দেখে রাকিবের মন জুড়িয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন কিছু উদ্ভাবন তাকে ভেতরে ভেতরে অনুপ্রাণিত করে ।


বাবার কৃষিকাজকে সামনে রেখে, কৃষি অফিসের নতুন কোন প্রকল্প আসলেই রাকিব ঝাঁপিয়ে পড়ে। মনে মনে সংকল্প করেন না আমি এটা করবোই। এভাবেই লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকে পাশাপাশি বাবা কে সহায়তা করতে থাকে, মনে মনে চিন্তা করতে থাকে কৃষিতে নতুন বিপ্লব ঘটাবো। এসএসসি পাস করার পর থেকেই তার ভেতরে নতুন উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়।

নতুন কিছু করতে চাই নতুন কোন ভাবনা নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা কৃষি অফিসের অনেক প্রদর্শনী তার কাছে আসে এবং সে সফল ভাবে প্রদর্শনী গুলো সম্পন্ন করে। নতুন কিছু আবিষ্কারের মধ্যেই চলে আসে পলিনেট হাউজ প্রদর্শনীটি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাহানা পারভীন লাবনী এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদের অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতা পলিনেট হাউজ প্রদর্শনী টি শুরু করেন। পলিনেট হাউজের মধ্যে ক্যাপসিকাম সহ অন্যান্য শীতকালীন লাভজনক ফসল উৎপাদন হওয়ার কথা।


কিন্তু হাতে অনেক খানি সময়ও রয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদ মাঠ ফাঁকা না রাখার জন্য পরামর্শ দেন।এই সময় রাকিবের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি হয় পালংশাকের চাষ ‌। সুখের মুখ দেখতে বেশি সময় লাগে না। আল্লাহ পাকের সহায়তায় মাঠ ভরপুর পালং শাক অনেক সুন্দরভাবেই উৎপাদন হয়। লাভের পরিমাণ অন্য ফসলের তুলনায় বেশি‌‌।

এ তো বললাম একটা প্রকল্পের কথা। এরকম আরো অনেক প্রদর্শনী করে এবং অন্যান্য জমিতে প্রযুক্তির ব্যবহার ও পরিশ্রম করে আজ স্বাবলম্বী রাকিব। রাকিব ধান গম সরিষা গ্রীষ্মকালীন টমেটো তরমুজ চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন। পাশাপাশি রাকিব ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করেও অনেক লাভবান হয়েছেন ।রাকিব বলেন আমি নতুন একটি প্রযুক্তির সাথে যুক্ত আছি যেটাতে লেবার কস্ট অনেক কম।


প্রযুক্তিটির নাম হচ্ছে পলিথিন মালচিং এটি ব্যবহারের মাধ্যমে চাষাবাদ করলে জমিতে আগাছা জন্মায় না ফলে লেবার খরচ অনেক কম হয়। রাকিব আরো বলেন কৃষি কর্মকর্তা এবং উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদের দিকনির্দেশনায় আমার এ সফলতা। আমি উনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।


আরও খবর



সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার মান কমলো ৭ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৩জন দেখেছেন

Image

দেশে ডলারের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। লাগামহীনভাবে বাড়ছে দাম। বিপরীতে কমছে টাকার মান। নানা পদক্ষেপ নিয়েও দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে খোলা বাজারে খুচরা ডলারের দাম গিয়ে ঠেকেছে ১২৬ থেকে ১২৭ টাকায়।

চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১২৭ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহ আগেও খোলা বাজারে ডলারের দাম ছিল ১২০ টাকা। আর বছরের শুরুতে দাম ছিল ১১০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি ডলারের বিপরীতে সপ্তাহে টাকার মান কমেছে ৭ টাকা, আর চলতি বছরে কমেছে ১৭ টাকা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলো ডলার সংকটের কারণে আমদানির দেনা শোধ করতে পারছে না। তাই সংকট মোকাবিলায় অনেক ব্যাংক বাড়তি দামে প্রবাসী আয় কিনছে। এ সুযোগে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো হঠাৎ করে ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম। ফলে অনেক ব্যাংক বাধ্য হয়ে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকায় প্রবাসী আয় কিনেছে। এর প্রভাবে খোলা বাজারে ডলারের দামও হু হু করে বেড়েছে।

মতিঝিল দিলকুশার এলাকায় খুচরা ডলার কেনা-বেচা করেন আব্দুর রহমান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকেও বাজার খুব চড়া। কেউ ডলার বিক্রি করতে আসলে ১২৫ থেকে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছি। আর কেউ কিনতে আসলে ১২৬ টাকা থেকে ১২৭ টাকায় বিক্রি করছি। বৃহস্পতিবারও ১২৬ টাকা ছিল।

কেন হঠাৎ দাম বাড়ল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লে দামও বাড়ে। এখন ব্যাংক ডলার কিনছে ১২৪ থেকে ১২৫ টাকা তাহলে খোলা বাজারে তো ১২৬-১২৭ টাকা হবেই।

অফিসের কাজে দুবাই যাবেন আরমান আরিফ। নগদ ডলার কেনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তিনি বলেন, আজকে ডলার কেনার জন্য কয়েকটি ব্যাংকে খোঁজ নিলাম। কোনো ব্যাংক ডলার বিক্রি করতে চায়নি। পরে কয়েকটি মানি চেঞ্জারে ফোন দিলাম আন-অফিসিয়ালি রেট ১২৬ টাকা ৫০ পয়সা চেয়েছে। এখনও ডলার কিনতে পারিনি। দেখি দাম কমে কি না। সামনের সপ্তাহে ফ্লাইট, এর মধ্যে দাম না কমলেও কিনতে হবে।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ডলারের বাজার খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। স্থিতিশীল করার জন্য আমরা সব স্টেকহোল্ডার একসঙ্গে কাজ করছি। কিছু ব্যাংক বেশি সমস্যায় আছে, তাদের এ রেট মানতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যেন বাজার অস্থিতিশীল না হয়।

তিনি বলেন, ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দর কোনোভাবেই ১১৬ টাকার বেশি দর দেওয়া যাবে না। তবে আমদানিকারকদের কাছে ব্যাংকগুলোকে ১১১ টাকায় বিক্রি করতে হবে; এর বেশি নেওয়া যাবে না। কেউ যদি এটা অমান্য করে তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

ডলারের বাজার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, গত ৬ মাস এমন সমস্যা ছিল না; ডলারের দাম ১২৪ টাকা কখনো হয়নি। বাড়তি প্রণোদনা উন্মুক্ত করায় ডলারের বাজারে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এখন বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা (এবিবি ও বাফেদা) একটা রেট নির্ধারণ করেছে। তাদের নির্ধারিত রেট বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্য চেয়েছেন। ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

২০ বিলিয়নে রিজার্ভ
দেশের বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এরই মধ্যে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের মতো বিক্রি করা হয়েছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে কমছে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ সূচকটি ধারাবাহিকতা কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এখন গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫.৭২ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, গ্রস রিজার্ভ ২০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন। এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে পরিমাণ প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে শুধু তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।


আরও খবর

আবারও বাড়লো সোনার দাম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




যুদ্ধবিরতি নিয়ে যা বলছে ইসরায়েল-হামাস

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবশেষে চারদিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে আজ বুধবার বলা হয়েছে, শিশু ও নারীসহ ৫০ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে চার দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির সরকার সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। তাতে আরও বলা হয়েছে, সরকার লক্ষ্য অর্জনের একটি রূপরেখা অনুমোদন করেছে এবং সেই অনুযায়ী নারী ও শিশুদের সমন্বয়ে আগামী চারদিনে মুক্তি পাবে অন্তত ৫০ জিম্মি। এ সময় যুদ্ধে বিরতি দেওয়া হবে।

পাশাপাশি ইসরায়েল সরকার বলেছে, এর বাইরে অতিরিক্ত প্রতি ১০ জিম্মির মুক্তির জন্য একদিন করে যুদ্ধবিরতি থাকবে। এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল সরকার, আইডিএফ (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সব জিম্মিকে মুক্ত করতে, হামাস নির্মূলে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের প্রতি নতুন কোনো হুমকি আসবে না- এমনটা নিশ্চিতে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে।

ইসরায়েলের পর ওই চুক্তির বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাস। সেখানে তারা বলেছে, ৫০ জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে আটক দেড় শ’ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু মুক্তি পাবে।

সেই সঙ্গে ওই চুক্তির অংশ হিসেবে মানবিক সহায়তা, ওষুধ ও জ্বালানি নিয়ে শতাধিক ট্রাককে গাজায় প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে বলেও হামাস জানিয়েছে। আরও বলেছে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকাকালীন গাজায় কোনো হামলা বা গ্রেপ্তার করবে না ইসরায়েলি বাহিনী।


আরও খবর



সিলেট টেস্টে ১৫০ রানে জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : সিলেট টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে ১৫০ রানে হারাল বাংলাদেশ। শেষ দিনে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩ উইকেট। প্রথম সেশনেই নাঈম আর তাইজুল এই তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরষ্কার হাতে উঠে তাইজুলের হাতে। 

গতকাল বাংলাদেশের দেওয়া ৩৩২ রানের টার্গেটে সেই লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে শুরতেই চাপে পড়ে কিউইরা। তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হয় নিউজিল্যান্ড। ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল সফরকারীরা।

নিউজিল্যান্ডের লড়াইয়ের শেষ আশা হয়ে ছিল ৪৪ রানে অপরাজিত ড্যারিল মিচেল। সকালে মিচেল তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৯ম ফিফটি তুলে নেয়। ১২০ বলে ৫৮ রান করে নাঈম হাসানের বলে সুইপ করতে গিয়ে তাইজুলের হাতে ধরা পরেন এই ব্যাটার। এরপর মাঠে এসে পাল্টা আক্রমন করে নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক টিম সাউদি। তাইজুলের বলে আউট হওয়ার আগে আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে ২ ছক্বা ও ১ চারে ২৪ বলে ৩৪ রান করেন সাউদি। 

শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন অনেকক্ষণ ধরে প্রতিরোধ গড়ে রাখা ইশ সোধি। তিনি ৯১ বলে ২২ রান করে তাইজুলের শিকার হন। ১৮১ রানে শেষ হয়  নিউজিল্যান্ড এর দ্বিতীয় ইনিংস।

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ নিয়ে ৭ম টেস্ট খেলল বাংলাদেশ। ৩ হার ও ৩ ড্রয়ের পর ঘরের মাঠে কিউইদের বিপক্ষে এই প্রথম টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। আর তাতে দারুণ অবদান বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। নিউজিল্যান্ডের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ১০ উইকেট নিলেন তিনি। সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে টেস্টে দ্বিতীয় বারের মতো এক ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন তাইজুল। ২০১৮ সালে টেস্টে প্রথম বারের মতো তাইজুল ১০ উইকেট নিয়েছিলেন এই সিলেটেই! নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ রানে নিলেন ৬ উইকেট।

সিলেট টেস্ট জয়ে ব্যাটসম্যানদের কথাও বলতে হবে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৮৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস খেলেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান। দ্বিতীয় ইনিংসে হাল ধরেছিলেন তিন ব্যাটসম্যান—অধিনায়ক নাজমুল হোসেন (১০৫), মুশফিকুর রহিম (৬৭) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (৫০)।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




প্রাক্তনেই বাজিমাত

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫০জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : নির্মাণের শুরু থেকেই দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে সালমান-ক্যাটরিনার ‘টাইগার থ্রি’। তাছাড়া বলিউডে সাবেক এই প্রেমিক জুটির পর্দায় রসায়ন মানেই অনুরাগীদের হুমড়ি খেয়ে পড়া। অন্যদিকে বিয়ের পর থেকেই খুব একটা কাজে সরব হননি ক্যাটরিনা।

সব মিলিয়ে অনেকেই ধারণা করেছিলেন ‘টাইগার থ্রি’ দিয়ে যেমন ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বাইরে আসতে পারেন সালমান, তেমনি নিজের কামব্যাকও স্মরণীয় হতে পারে ক্যাটরিনার। এবার সেই আভাসও মিললো। এরইমধ্যে সিনেমাটির অগ্রীম টিকেটের বুকিং শুরু হয়েছে। আর সেখানেই চমকে দিয়েছেন সালমান-ক্যাট ভক্তরা।

প্রথম দিনেই প্রায় কোটি টাকার টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে! শুরুতেই দর্শকদের এমন আগ্রহে রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে ভারতীয় সিনেবোদ্ধারা। তাদের নতুন ধারণা ক’দিন আগেই বক্স অফিস মাত করা শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ সিনেমাকে পেছনে ফেলতে পারে ‘টাইগার থ্রি’।

উল্লেখ্য, আগামী ১২ নভেম্বর কালীপুজো ও দীপাবলির সময়ে মুক্তি পাচ্ছে ‘টাইগার থি’। এর আগে ‘এক থা টাইগার’ এবং ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন সালমান। এবার প্রায় ৬ বছর পরে মুক্তি পেতে চলেছে এই সিনেমার তৃতীয় পর্ব।

এছাড়াও গত কয়েক বছর বিশেষ কোনো হিট সিনেমাও নেই ক্যাটরিনা-সালমানের ঝুলিতে। এদিকে খানিকটা ‘পাঠান’ সিনেমার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই সকাল ৭টা থেকে শোয়ের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে ‘টাইগার থ্রি’র। তবে শুরুটা ভালো হলেও শেষটা কতটা ভালো হয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা!


আরও খবর