Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে যা বললেন চিত্রনায়ক ওমর সানী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৮৪জন দেখেছেন

Image

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে এবার মুখ খুললেন চিত্রনায়ক ওমর সানী। সমকালীন প্রায় সব বিষয় নিয়েই কথা বলেন ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেতা। সরব থাকেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও। এবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট দিয়েছেন ওমর সানী। 

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, 'সাধারণ মানুষ কী খাবে বলে দেন সরকার। খাবারের লিস্ট দিয়ে দেন আমরা কী খাব, আর পারছি না রাষ্ট্র।'


আরও খবর

ওদের অসহায় দেখে গলাটা বুজে আসে

রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩




হার্টে ব্লক ছাড়াও এনজিনা

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৭জন দেখেছেন

Image

যে কোনো কারণে হৃৎপিণ্ডে রক্ত প্রবাহের ঘাটতি দেখা দেওয়াকে ইসকেমিয়া বা রক্ত প্রবাহের স্বল্পতা বলা হয় এবং এরূপ অসুস্থতাকে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হৃৎপিণ্ডের রক্তনালিতে ব্লক (প্রতিবন্ধকতা) থাকার ফলে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হয়ে থাকে। তবে হৃৎপিণ্ডের রক্তনালি স্বাভাবিক থাকার পরও বেশ কিছু কারণে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ হতে পারে। উভয় ক্ষেত্রেই একই ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে, ফলে কেউ কেউ এ ধরনের রোগীকে হার্ট ব্লক আছে বলে ধরে চিকিৎসা প্রদান করতে থাকেন। রোগী যদি বয়স্ক ব্যক্তি হন তবে দুই ধরনের অবস্থা একই রোগীতে বিদ্যমান থাকতে পারে।

লক্ষণসমূহ : পরিশ্রমে বুকের ব্যথা অনুভূত হওয়া এবং বিশ্রাম গ্রহণে অতিদ্রুত ব্যথা নিরাময় হওয়া। প্রায় সময়ই ব্যথা তীব্র মাত্রায় হয়ে থাকে এবং ব্যথা বুকের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে বিশেষ করে গলা, চোয়াল, হাত, পেটের উপরিভাগে ও পিঠে। অনেকের বুক ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট বা নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার মতো অনুভূতি, কারও কারও এর সঙ্গে সঙ্গে বুক ধড়ফড় করতে পারে। বুকে ব্যথার মতো শ্বাসকষ্ট ও বুক ধড়ফড় করাও বিশ্রাম গ্রহণে দ্রুত নিরাময় হয়ে যায়। কখনো কখনো বুক ব্যথা অনুভূত না হয়ে শুধু শ্বাসকষ্ট ও বুকে ধড়ফড় বা যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন অথবা যাদের বয়স ৭০ বছর বা তার ঊর্ধ্বে।

এসব লক্ষণকে সাধারণভাবে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দিনকে দিন রোগীর অবস্থা জটিল আকার ধারণ করতে থাকে এবং এ অবস্থায় রোগীর আরও বেশ কিছু লক্ষণ পরিলক্ষিত হতে থাকে। যেমন- শারীরিক যোগ্যতা কমতে থাকা, অল্প পরিশ্রমেই প্রাথমিক লক্ষণসমূহ পরিলক্ষিত হওয়া, হালকা কাশি হওয়া, পেটে প্রচুর গ্যাস উৎপন্ন হওয়া, পেট ফেঁপে থাকা, পেট ভরাভরা ভাব অনুভূত হওয়া, বদহজমের মতো হওয়া, রাতে কাশি হওয়া ও শ্বাস বন্ধ হওয়ার অনুভূতি হওয়া, হাত-পা-মুখ ফোলাফোলা ভাব ধরা বা ফুলে যাওয়া, চোখে অন্ধকার দেখা, মাথা হালকা অনুভূত হওয়া বা মাথা ঘোরা অনুভূত হওয়া, খাদ্য গ্রহণে অনীহা, শারীরিক ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া, ঘন ঘন সর্দি কাশিতে আক্রান্ত হওয়া। পেটের উপরিভাগে ফুলা ও ব্যথা অনুভূত হওয়া।

ইসকেমিক বুকের ব্যথাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এনজিনা বলা হয়। শতকরা ৬০ ভাগ রোগীর হার্ট ব্লককে এনজিনার প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাকি ৪০ ভাগ রোগীর এনজিনার প্রধান কারণ হার্ট ব্লক বা রক্তনালির রক্ত প্রবাহের প্রতিবন্ধকতা নয়। এ ধরনের রোগী উচ্চরক্তচাপ, এওরটিক ভাল্ব ডিজিজ, হাইপারট্রফিক কার্ডিওমায়োপ্যাথি, থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য, মাইক্রোভাসকুলার এনজিনা, রক্তশূন্যতা, অপুষ্টিজনিত হৃদরোগ, থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি জনিত অসুস্থতা, মানসিক অস্থিরতা, প্রচণ্ড মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা, নেশাগ্রস্ততা ও ভয়ভীতি ইত্যাদি। তবে অনেক রোগীর দেহে এসব একাধিক কারণ বিদ্যমান থাকতে পারে। কারও দেহে যত বেশি সংখ্যক কারণ উপস্থিত থাকে তার রোগের তীব্রতাও তত বেশি। অনেক সময় এসব কারণের সঙ্গে হার্ট ব্লকও থাকতে পারে তবে এসব ক্ষেত্রে এনজিনার মূল কারণ হার্ট ব্লক নয় বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের বেলায়।

এ ধরনের অসুস্থতার জন্য কদাচিৎ এনজিওগ্রাম করার প্রয়োজন হতে পারে। প্রায় ক্ষেত্রেই এনজিওগ্রামে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ব্লক পাওয়া যায় না। প্রায় সব ক্ষেত্রে ইসিজি, কালার ডপলার ইকোকার্ডিওগ্রাম, বুকের এক্স-রে, রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা নির্ণয়, রক্তে সুগার, থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা, থেলিয়াম স্কেনিং, ইটিটি/টিএমটি, স্ট্রেস ইকোকার্ডিওগ্রামের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এসব রোগের চিকিৎসা নির্ভর করে প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে রোগ শনাক্তকরণের ওপর। তবে তার সঙ্গে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ভাবে নিরাপদ মাত্রায় কায়িকশ্রমের অনুশীলন করা এবং জীবনধারা পরিবর্তন করে উন্নতি লাভ সম্ভব। তাই এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। প্রতিকার নয় প্রতিরোধ সর্বদা উত্তম।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




ফেসবুকে রিল তৈরির নতুন সুবিধা চালু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

রিল তৈরি আরও সহজ করতে ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন ফিচার নিয়ে এলো ফেসবুক। যার মাধ্যমে রিলসের পারফরমেন্স তুলনা করা যাবে।

এবি টেস্টিং নামের এই ফিচার কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের বিভিন্ন ক্যাপশন ও থাম্বনেইলের ছবি নিয়ে যাচাই-বাছাই করতে দেবে। ফলে কোনো ভিডিও দর্শকের কাছে বেশি পৌঁছাবে তা সহজেই বুঝা যাবে।

এদিকে মেটা ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্যাপশন এবং থাম্বনেইলের অপশন তৈরি করতে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করার জন্য জেনারেটিভ এআই নিয়ে কাজ করছে।

এই ফিচার কিভাবে কাজ করবে -
ক্রিয়েটাররা এখন তাদের মোবাইল ডিভাইসে রিলস কম্পোজারের মধ্যে বিভিন্ন কন্টেন্ট থেকে রিল তৈরি করতে পারবেন। পুরোনো ভিডিও পোস্ট এবং লাইভ স্ট্রিম থেকেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। এছাড়া রিলস তৈরি করার সময় চারটি আলাদা ক্যাপশন ও থাম্বনেইল যুক্ত করা যাবে। ফলে কোন ক্যাপশন বা থাম্বনেইলে ভিডিও ভিউ বেশি হয় তা পরীক্ষা করা যাবে।

ক্রিয়েটাররা যেন সহজেই কনটেন্ট পারফরম্যান্সের ফলাফল বুঝতে পারে এজন্য মেটা প্রফেশনাল ড্যাশবোর্ডে একটি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট টুল যোগ করেছে। যা ক্রিয়েটারদের সব পোস্ট, রিল এবং ভিডিও এক জায়গায় দেখতে সহজ করবে। ২৮ দিনের রিপোর্টের পরিবর্তে পুরো ৯০ দিনের পারফরম্যান্স রিপোর্ট দেখতে পারবে ক্রিয়েটররা।

সংবাদমাধ্যম ভার্জ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এটি একটি সাধারণ মার্কেটিং কৌশল। যার মাধ্যমে দেখা হবে কীভাবে প্রচার করলে ব্যবহারকারীর অংশগ্রহণ তুলনামূলক বেশি হবে। যেমন- একটি রিলসে ভিন্ন ভিন্ন হেডলাইন দিয়ে দেখা হবে, কোনটি ব্যবহারকারীরা বেশি পছন্দ করছেন।


আরও খবর



হরতাল-অবরোধেও চলছে পরীক্ষা, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলের সব পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেজন্য রাজধানীসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে চলছে বার্ষিক পরীক্ষা কিংবা মূল্যায়নের কার্যক্রম। এর মধ্যে আবার গত ২৯ অক্টোবর থেকে চলছে হরতাল-অবরোধ। হরতাল-অবরোধে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও বাস-ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। সে কারণে ছুটির দিনে এবং কর্মসূচির বিরতির দিনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। সেটি সম্ভব না হলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এখন অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে, বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর হরতাল-অবরোধে দিশেহারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও। তারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে শিক্ষার্থীদের স্কুলে না আসার অপশন থাকলেও পরীক্ষার ক্ষেত্রে তা করা কঠিন। বাধ্য হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ছুটির দিন শুক্র-শনিবার এবং হরতাল-অবরোধের বিরতির দিন মঙ্গলবার পরীক্ষা নিচ্ছে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান হরতাল-অবরোধেও মধ্যে পরীক্ষা নিচ্ছে। 

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা শেষ করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে চায় তা নিতে পারে। এজন্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের কোনো নিষেধ নেই। তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।   

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনের বছর হওয়ায় একটু আগেভাগেই পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এদিকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে হরতাল-অবরোধও চলছে। তাই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ছুটির দিনে পরীক্ষা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোনো নির্দেশনা নেই। কিন্তু অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই।

অভিভাবকরা বলছেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি-ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় অবস্থিত উদয়ন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাবা হাজী মো. শাহজাহান বলেন, বাচ্চাদের পরীক্ষার জন্য হলেও ১৫দিন রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখা উচিত। আমার ছেলে নিজে স্কুলে আসতে পারলেও হরতাল-অবরোধের কারণে তাকে এখন একা পাঠাই না। অফিস রেখে তাকে স্কুলে নিয়ে আসতে হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ করে তাকে বাসায় দিয়ে তারপর অফিসে যেতে হবে। বছরের শেষে এ ধরনের কর্মসূচি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রুবাবা দৌলার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধে মধ্যে স্কুলে পরীক্ষা চলছে। কিন্তু বাচ্চারা কীভাবে আসবে সেই  চিন্তা না করছে সরকার, বিরোধী দল বা স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ তাদের সন্তান পড়াশোনা করে বিদেশে। আর দেশে পড়লেও তারা নিরাপত্তা নিয়েই স্কুলে আসে। কিন্তু যত কষ্ট হয় আমাদের। হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা না নিয়ে মঙ্গলবার, শুক্র ও শনিবার নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বিরোধী দলগুলোর এসব কর্মসূচির মধ্যেই রাজধানীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ছুটির দিনগুলোতে সুযোগ বুঝে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আজ (রোববার) থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। এজন্য শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার তিনদিন পরীক্ষা নেওয়ার হচ্ছে। তবে যেসব ক্লাসে বিষয় বেশি সেসব ক্লাসে অন্যান্য দিনেও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের বলা হয়েছে যে, আপনার সন্তানকে সাবধানে স্কুলে নিয়ে আসবেন।

ভিকারুননিসা স্কুলে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, পরীক্ষা চলাকালে যাতে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়া হয়, সেজন্য গতকাল (শনিবার) রাজধানীতে মানববন্ধন করে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছি। সন্তানরা যাতে নির্ভয়ে ও স্বাচ্ছন্দ্যে স্কুলে আসতে পারে, আনন্দের সাথে বার্ষিক মূল্যায়নে অংশ নিতে পারে সেই দাবি জানিয়েছি। তাছাড়া আনন্দের পরীক্ষা যেন বিষাদে পরিণত না হয় সেই দাবি জানিয়েছি।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু ঢাকা পোস্ট বলেন, স্কুলগুলো পড়েছে ঝামেলায়। একদিকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে, অন্যদিকে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি হলো রাজনৈতিক দলগুলোকে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করতে হবে। কিন্তু তারা করছে না। আমরা চাই কোনো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার না হয়। কিন্তু গত ১৫ দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন।

তার দাবি, যেসব শিক্ষার্থী হরতাল-অবরোধে স্কুলে আসতে পারছে না, তাদের অনুপস্থিত দেখানো যাবে না। বরং ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে।


আরও খবর



নির্ধারিত সময়ে রিটার্ন না দিলেই ভোগান্তি ও জরিমানা

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৫২জন দেখেছেন

Image

২০২২-২০২৩ অর্থবছর থেকে ই-টিআইএন’র স্থলে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার রশিদ (প্রাপ্তি স্বীকার বা জমা স্লিপ) বা ট্যাক্স সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়। অন্তত ৪০ ধরনের সেবায় আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করায় করদাতাকে নির্ধারিত ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিলের পরামর্শ দিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

কারণ এরপরই রিটার্ন দাখিল করলেই জরিমানাসহ ৬ ধরনের সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন করদাতারা। একই সঙ্গে নতুন আয়কর আইন-২০২৩ অনুসারে এ বিষয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এনবিআরের কর্মকর্তারা বলছে, কোম্পানি ব্যতীত সব করদাতার জন্য ৩০শে নভেম্বর ‘কর দিবস’ যা রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন এবং বিদ্যমান আইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধি করার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে একজন আয়কর আইনজীবী জানান, প্রতিবছর আমাদের অনেক করদাতা ৩০ নভেম্বরের পরে রিটার্ন দাখিল করার জন্য আসে। তাদের ধারণা ছিল সময় বৃদ্ধির আবেদন করে রিটার্ন দাখিল করলেই সমাধান। কিন্তু নতুন আইনে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পরে সময় বৃদ্ধির আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি। তাকে রিটার্ন দাখিল করতে হলে জরিমানা ও কর অব্যাহতির সুবিধা বাদ দিয়ে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহর অর্থ ও শর্ত

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হলো ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমান আলো, কুফর অন্ধকার।

ঈমানই জীবন, কুফর মৃত্যুতুল্য। ঈমান সরল পথ, আর কুফর ভ্রষ্টতার পথ। ঈমানের কালেমা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। এ কালেমার জন্য সৃষ্টিজগতের সৃষ্টি।

এ কালেমার জন্য মানুষ কাফির ও মুমিন—দুই ভাগে বিভক্ত। কেউ সৌভাগ্যবান—তারা জান্নাতি। আর কেউ হতভাগা—তারা জাহান্নামি।

এ কালেমার বাণী প্রচারের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে অসংখ্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন।

মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমার আগে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি, তাদের সবার ওপর আমার এই মর্মে নির্দেশ ছিল যে আমি ছাড়া আর কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই। সুতরাং তোমরা আমারই ইবাদত করো।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ২৫)

‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র অর্থ হলো, আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) মাবুদ (উপাস্য) নেই। আল্লাহ ছাড়া কোনো বস্তু বা সত্তার ইলাহ হওয়ার যোগ্যতা নেই। ইবাদতের একমাত্র উপযুক্ত মহান আল্লাহ।

মহান আল্লাহ পৃথিবীর প্রকৃত মালিক। আকাশ ও পৃথিবী তিনি নিজ ক্ষমতাবলে সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির ওপর তাঁর একচ্ছত্র মালিকানা, কর্তৃত্ব ও নিরঙ্কুশ ক্ষমতা। আর তা অবিভাজ্য ও অংশীদারহীন। সুতরাং তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনিই (আল্লাহ) সেই সত্তা, যিনি আকাশ ও পৃথিবীর ইলাহ (উপাস্য)।’ (সুরা জুখরুফ, আয়াত : ৮৪)

‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র দুই রুকন বা স্তম্ভ। অর্থাৎ এই বাক্যের মধ্যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুই ধরনের অর্থ আছে :

১. ‘না’ সূচক : আর তা হলো, ‘লা-ইলাহা’।‘লা’ মানে না বা নেই।‘ইলাহ’ মানে মাবুদ (উপাস্য/ইবাদতের উপযুক্ত)। অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোনো (সত্য) ইলাহ নেই।

প্রত্যেক পূজনীয় বস্তুকে ‘ইলাহ’ বলা হয়। ইমাম রাগেব ইসফাহানি (রহ.) লিখেছেন, কারো কারো মতে, আল্লাহ শব্দের মূল হলো ‘ইলাহ’। আর আরবের লোকেরা ‘ইলাহ’ শব্দ মাবুদ (যার ইবাদত করা হয়) অর্থে ব্যবহার করে। (আল-মুফরাতাদ ফি গারিবিল কোরআন, পৃষ্ঠা ৩১, ইলাহ)

সুতরাং ‘লা-ইলাহা’ মানে ইবাদত ও উপাসনায় আল্লাহর কোনো শরিক নেই।‘লা-ইলাহা’ অংশীদারত্বের সব প্রকারকে সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দেয়। আল্লাহ ছাড়া যাদের ইবাদত করা হয়, সবগুলো বর্জন করা অপরিহার্য করে দেয় ‘লা-ইলাহা’। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর এটা এ জন্য যে নিশ্চয়ই আল্লাহই সত্য এবং তার পরিবর্তে তারা যা ডাকে, অবশ্যই তা বাতিল। আর নিশ্চয়ই তিনিই তো সমুচ্চ, সুমহান।’ (সুরা হজ, আয়াত : ৬২)

২. ‘হ্যাঁ’ সূচক : আর তা হলো ‘ইল্লাল্লাহ’।‘ইল্লা’ মানে ছাড়া, ব্যতীত। ‘ইল্লাল্লাহ’ মানে আল্লাহ ছাড়া (আর কোনো ইলাহ নেই)।

সুতরাং এই কালেমার ‘না’ সূচক ‘লা-ইলাহা’ এবং ‘হ্যাঁ’ সূচক ‘ইল্লাল্লাহ’ দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা দেয়—একমাত্র ইলাহ মহান আল্লাহ।

তাই ‘ইল্লাল্লাহ’ বান্দার ইবাদতকে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য সাব্যস্ত করে। ইবাদতের যোগ্য একমাত্র আল্লাহ—তা অপরিহার্য করে দেয়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘আর তোমাদের ইলাহ এক ইলাহ’। তিনি ছাড়া অন্য কোনো ইলাহ নেই। তিনি অতি দয়াময়, পরম দয়ালু। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৬৩)

এই পবিত্র কালেমায় যথাযথ বিশ্বাসী হতে হলে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হবে। এসব শর্ত কোরআন-হাদিস থেকে গৃহীত।

শর্তগুলো হলো : ১. ‘ইলম’ অর্থাৎ (কালেমার অর্থ ও দাবি) জানা। ২. ‘ইয়াকিন’ তথা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা। ৩. ‘ইখলাস’ অর্থাৎ একনিষ্ঠ ও বিশুদ্ধ হওয়া। ৪. ‘সিদক’ তথা সত্যায়ন করা। ৫. ‘মাহাব্বাহ’ তথা ভালোবাসা। ৬. ‘ইনকিয়াদ’ তথা নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন করা। ৭. ‘কবুল’ তথা শর্তহীনভাবে গ্রহণ করা।

শর্তগুলোর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা

প্রথম শর্ত : এ কালেমার ‘না’ বাচক এবং ‘হ্যাঁ’ বাচক দুটি অংশের অর্থ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা জরুরি।

দ্বিতীয় শর্ত : ইয়াকিন বা দৃঢ় প্রত্যয়। অর্থাৎ এ কালেমার মাধ্যমে যে কথার স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাতে বিন্দু পরিমাণ সন্দেহ থাকতে পারবে না।

তৃতীয় শর্ত : ইখলাস বা নিষ্ঠা। অর্থাৎ অংশীদারত্বমুক্ত হয়ে বিশুদ্ধচিত্তে কালেমার দাবি মেনে নেওয়া। এই শর্ত ব্যক্তিকে শিরক ও রিয়া থেকে মুক্ত রাখবে।

চতুর্থ শর্ত : এই কালেমা পাঠকারীকে সত্যের পরাকাষ্ঠা হতে হবে। অর্থাৎ একই সঙ্গে মুখে ও অন্তরে এই কালেমায় বিশ্বাসী হতে হবে। এই শর্ত তাকে মুনাফিকি আচরণ থেকে বিরত রাখবে।

পঞ্চম শর্ত : ভালোবাসা। এই কালেমাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ, ধারণ ও লালন করতে হবে এবং মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে।

ষষ্ঠ শর্ত : আনুগত্য করা। এই কালেমার শর্ত ও দাবি হলো, পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য ইসলামী শরিয়তের যাবতীয় আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।

সপ্তম শর্ত : আন্তরিকভাবে এ কালেমা কবুল করা। দ্বিনের কোনো কাজ প্রত্যাখ্যান ও বর্জন থেকে নিজেকে বিরত রাখা। (ফাতহুল মাজিদ, শায়খ আবদুর রহমান বিন হাসান, পৃষ্ঠা ৯১)

কোনো কোনো আলেম উল্লিখিত সাতটি শর্তের সঙ্গে অষ্টম শর্ত যোগ করেছেন, আর তা হচ্ছে, তাগুতের সঙ্গে কুফরি করা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং তাগুতের প্রতি কুফরি।

তাগুত হলো, ওই সব বাতিল উপাস্য, আল্লাহকে ছাড়া যাদের উপাসনা করা হয়।

তাগুত শব্দের অর্থ সীমা লঙ্ঘনকারী, দুষ্কৃতির মূল বস্তু, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। শয়তান, কল্পিত উপাস্য, যাবতীয় বিভ্রান্তিকর উপায়-উপকরণ তাগুতের অন্তর্ভুক্ত। [আল-কোরআনুল করিম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, টীকা নম্বর : ১৭৭ (অবলম্বনে)]

সুতরাং কালেমা পাঠকারী এগুলো বর্জন করবে—এটাই স্বাভাবিক। মহান আল্লাহ বলেন, ‘...সুতরাং যে ব্যক্তি তাগুত অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত হাতল আঁকড়ে ধরে, যা কখনো ভাঙবে না। আল্লাহ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৬)


আরও খবর