Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ডোনাল্ড লু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ২৭৯জন দেখেছেন

Image


নিউজ ডেস্ক:


ঢাকায় পৌঁছেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন মার্কিন এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। 


বিমান বন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তরে আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক মাসুদুল আলম এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।


গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এটি তার প্রথম সফর। এ নিয়ে পঞ্চমবার বাংলাদেশ সফর করেছেন লু।



 গত বছরের জুলাইতে তিনি সর্বশেষ বাংলাদেশ সফর করেন। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার সঙ্গী হয়ে ঢাকায় আসেন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এবং মার্কিন ভিসানীতিসহ নানামুখী তৎপরতার মধ্য দিয়ে সেই সফরটি আলোচিত ছিল।


ডোনাল্ড লু’র এই সফরকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। তবে ডোনাল্ড লু’র এবারের সফর যতটা না রাজনৈতিক তার চেয়েও বেশি কূটনৈতিক বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। আলোচনা হবে জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন তিনি।


সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরের প্রথম দিন রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন বুধবার তিনি প্রথমে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ও পরে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন। 


পরে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিন দিনের ঢাকা সফরের সময় ডোনাল্ড লুর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময়ের কথা রয়েছে।


আরও খবর



দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের বিপুল বকেয়া বিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাস সরবরাহের বিল নিয়মিত পরিশোধ করছে না। বরং গ্যাসের বিপুল বকেয়া পরিশোধে ওসব প্রতিষ্ঠান গড়িমসি করছে। তাতে বিপাকে পড়েছে দেশের ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি মোট ২১ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। আর ওই টাকা আদায় করতে না পারায় এরই মধ্যে কোম্পানি পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে বিগত সরকারের চেয়ে অনেক তৎপর হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ে সফলতা দেখাতে পারছে না। বিশেষ করে বিপুল অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ করলেও ওই গ্যাসের বিল আদায় হচ্ছে না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত তিন বছর ধরেই গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধ নিয়ে টানাপড়েন চলছে। বিদেশী কোম্পানিগুলোর কাছে এ খাতে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৭৫ কোটি ডলার বকেয়া ছিল। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধ করে ২৪ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ও বিদেশী বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিল পরিশোধেও তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটছে না। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের মোট ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। তার মধ্যে বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) পাবে ৮ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে তিতাস গ্যাস পাবে ৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া ৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। তবে মার্চ ও এপ্রিল হিসাবে ধরলে এ খাতে মোট বকেয়ার পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ অর্থ আদায়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো কঠোর অবস্থানে থাকলেও খুব বেশি অগ্রগতি নেই।

সূত্র জানায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে বকেয়া পড়েছে ৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে ১৬৫ কোটি টাকা বকেয়া এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৪ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে চট্টগ্রামে গ্যাস বিতরণে নিয়োজিত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৬৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ৬৫৫ কোটি টাকা আর বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে ৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে। আর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে পায় ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৭১৬ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ বকেয়া পাবে। সংস্থাটির গ্যাস সরবরাহ বাবদ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনার পরিমাণ ১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৬৮৪ কোটি টাকা।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ নেয়। ওই গ্যাসের বকেয়া বাবদ বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাবে। যার মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আইপিপি) কাছে গ্যাসের বিল ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গ্যাস নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিক্রি করে। কিন্তু বিপিডিবি কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারায় তারাও গ্যাসের বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না। যদিও এখন সরকার বিদ্যুতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বকেয়া কমিয়ে এনেছে। তার পরও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর কাছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্যাসের বিপুল পরিমাণ বকেয়া নিয়ে তীব্র অস্বস্তি রয়েছে। বিশেষ করে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব আদায়ে এ ঘাটতি পরিচালন ব্যয়ে বড় আকারে প্রভাব ফেলছে। তবে বকেয়া আদায়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের মাধ্যমে বকেয়া আদায়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

এদিকে একাধিক বিতরণ কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকার বকেয়া বিল আগের চেয়ে দ্রুত পরিশোধ করছে। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও দ্রুত অর্থ পাচ্ছে। তবে তারা বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে নানা ইস্যু তুলে ধরে। আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি বারবার সামনে তুলে ধরে। এ বিষয়ে এখন সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখা জরুরি। কারণ এ বিল বকেয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। যদিও বকেয়া আদায়ে তিতাস কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন। কেননা এটি যেহেতু সরবরাহ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, ফলে এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কঠোর অবস্থানে গেলে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগের চেয়ে বিল আদায় কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে বকেয়া আদায়ের হার ছিল ১১০ শতাংশ। 

অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎ উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সভাপতি ডেভিড হাসানাত জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের কাছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর এখনো তিন মাসের বকেয়া রয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিলো ছয় মাস। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সরকার বিল পরিশোধ করেছে। বকেয়া নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও বেশকিছু একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আইপিপিগুলোর মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। যেমন সার্ভিস চার্জ ৯ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আমাদের সমস্যাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতে গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ে জ্বালানি বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করা হয়েছে। কারো দুই মাসের অধিক বিল বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। আবাসিকের ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। সরকারি গ্যাস বিল আদায়ে বকেয়া  বিল আদায়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। বকেয়ার বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ক্যালকুলেটরের মডেল নির্ধারণ করে দিল বোর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

আসন্ন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় হলে নির্ধারিত ৭টি মডেলের সায়েন্টিফিক নন প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। এর পাশাপাশি সাধারণ ক্যালকুলেটরও ব্যবহার করতে পারবে। ক্যালকুলেটরের নির্দিষ্ট মডেল উল্লেখ করে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা কেন্দ্র সচিব ও সংশ্লিষ্টদের পাঠানো হয়েছে।

সোমবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পরীক্ষায় নির্ধারিত ৭টি মডেলের সায়েন্টিফিক নন প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটগুলো হলো-এফএক্স-১০০এমএস, এফএক্স-৯৯১ইএ, এফএক্স-৫৭০এমএস, এফএক্স-৮২এমএস, এফএক্স-৯৯১ইএক্স, এফএক্স-৯৯১এমএস এবং এফএক্স-৯৯১ইএস প্লাস।

উল্লিখিত মডেলের ক্যালকুলেটর ছাড়াও শিক্ষার্থীরা সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।


আরও খবর



ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার ভিসা কার্যক্রম পুনরায় শুরু করায় কৃতজ্ঞতা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪১জন দেখেছেন

Image

অস্ট্রেলিয়ার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার সুসান রাইল আজ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি ঢাকায় ভিসা কার্যক্রম পুনরায় চালু করার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান।

‘ভিসার আবেদন এখন অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে’ বলে উল্লেখ করেন হাইকমিশনার রাইল। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ৬৫ হাজারর বেশি বাংলাদেশি অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন এবং এর পাশাপাশি আরও ১৪ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সেখানে অধ্যয়ন করছে।

সাক্ষাৎকালে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রম, নির্বাচন প্রস্তুতি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অস্থির সময়ের পর আমরা এখন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, “আমাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত রয়েছে সংবিধান, বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনিক সংস্কারে — এগুলোই একটি শক্তিশালী বাংলাদেশের ভিত্তি। আমরা সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি একটি সুষ্ঠু উত্তরণ নিশ্চিত করতে এবং আগামী মাসে আমরা ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা করব।”

তিনি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়েও কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘বহু বছর পর প্রথমবারের মতো জনগণ, বিশেষ করে প্রথমবার ভোটার হওয়া তরুণরা স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবে। আমি বিশ্বাস করি এটি একটি উৎসবমুখর ও আশাব্যঞ্জক সময় হবে।’

নির্বাচনী সহায়তা নিয়ে সুসান রাইল জানান, অস্ট্রেলিয়া ইউএনডিপির মাধ্যমে বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশনের প্রাতিষ্ঠানিক, কারিগরি ও পরিচালনাগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ২০ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার প্রদান করবে।

বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে রাইল বলেন, ‘আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারে পৌঁছেছে, যা গত পাঁচ বছরে বার্ষিক গড়ে ১৬.২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং প্রবাসীদের অবদানের কথাও তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস প্রোগ্রাম বাংলাদেশে ৩,০০০-এরও বেশি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে, যারা দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।’

এর জবাবে অধ্যাপক ইউনূস অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে অধ্যাপক ইউনূস এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে রাইল বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সম্প্রতি মূল অংশীদারদের মাধ্যমে অতিরিক্ত ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে, যার ফলে ২০১৭ সাল থেকে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জন্য বাংলাদেশে মোট সহায়তার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার।’ 
তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমারে পরিস্থিতি অনুকূল হলে, অস্ট্রেলিয়া নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের আশায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’

বাংলাদেশে তার নতুন দায়িত্ব নিয়ে রাইল বলেন, ‘আমি এখানে এসে সত্যিই উচ্ছ্বসিত। আমি বহুদিন ধরে বাংলাদেশের প্রাণবন্ত সংস্কৃতি এবং গতিশীল রাজনৈতিক দৃশ্যপটের প্রশংসা করে এসেছি।’

সাক্ষাৎকালে এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিক উইং-এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ নূরে আলম উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হচ্ছে আগামীকাল

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

 অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশ চূড়ান্ত করতে এবং জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে।

ঐকমত্য কমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে।

আলোচ্য সূচিতে রয়েছে- সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনয়ন, আইনসভায় নারী প্রতিনিধিত্ব, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও প্রধান বিচারপতির নিয়োগ প্রক্রিয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৭, ১৮ ও ১৯ জুন তিনদিন কমিশন  রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে।  ১৮ ও ১৯ জুনের আলোচ্য সূচি পরে জানানো হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন-নিউজ সরাসরি সম্প্রচার করবে।


আরও খবর



ঢাকা জেলার দোহারে গণধর্ষণ মামলার আসামী র‌্যাব-১০ কর্তৃক গ্রেফতার।

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

 ভিকটিম তার খালাতো বোন এর সাথে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন জয়পাড়া কালেমা চত্বর হোটেলে রাতের খাবার খেতে যায়। এরপর তারা বাড়ি ফেরার পথে পথিমধ্যে জয়পাড়া কলেজে পৌছালে আসামী সিফাত হোসেন @ মনি (২২)’সহ অপরাপর আসামীগণ ভিকটিম ও তার খালাতো বোনকে ডাক দিয়ে তাদেরকে জুস খেতে দেয়। পরবর্তীতে আসামীগণ তাদেরকে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে দুই মোটরসাইকেলে দুইজনকে উঠাইয়া ভিকটিমদের বাসার দিকে নিয়ে যায়। আসামীগণ ভিকটিমদেরকে তাদের বাড়ির সামনে না নামিয়ে দ্রæত মোটরসাইকেল যোগে অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় ভিকটিমের খালাতো বোন মোটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়ে। ভিকটিমের খালাতো বোনের কাছ থেকে ভিকটিমের বাবা নাঈম হোসেন (৩৮) ঘটনার বিস্তারিত শুনতে পেরে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৫/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০২.০০ ঘটিকায় ভিকটিম বাড়িতে ফিরে আসে। ভিকটিমের নিকট হতে তার বাবা জানতে পারে যে, আসামী সিফাত হোসেন @ মনিসহ অপরাপর আসামীরা ভিকটিমকে ঢাকা জেলার দোহার থানাধীন খাড়াকান্দা পালবাড়ী ব্রীজ এলাকায় নিয়ে গিয়ে গত ১৪/০৫/২০২৫ তারিখ অনুমান ২২.৩০ ঘটিকা হতে গত ১৫/০৫/২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত আসামীরা ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে গণধর্ষণ করে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা ঢাকা জেলার দোহার থানায় একটি গণধর্ষণ মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ১৪, তারিখ- ১৬/০৫/২০২৫ খ্রি., ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধিত/২০২০) এর ৯(৩)। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গণধর্ষণে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে অধিনায়ক, র‌্যাব-১০, ঢাকা বরাবর একটি অধিযাচনপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত অধিযাচনপত্রের ভিত্তিতে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল উল্লেখিত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ১৫/০৬/২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমান ১২.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর বংশাল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় আসামী সিফাত হোসেন @ মনি (২২), পিতা- খোকা মিয়া, সাং- উত্তর জয়পাড়া, থানা- দোহার, জেলা- ঢাকা’কে গ্রেফতার করে।  

গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



আরও খবর