
বিনোদন ডেস্ক : ‘এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই এভাবেই নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর এই নৃশংসতায় অনেকটা মুষড়ে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। তাইত এই নৃশংসতা বন্ধে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আহবান জানান তিনি।
ক্যারিয়ারে ভালো সময় কাটাচ্ছেন অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তার আগে ওপার বাংলায় একে একে দুইটি হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। এছাড়া আগামীকাল যোগ দিবেন গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে। এতকিছুর মাঝেও তার মন কাঁদে ফিলিস্তিনের শিশুদের জন্য।
আজ (১৯ নভেম্বর) ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি অনলাইনে, খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর। আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ।’
তিনি আরও লেখেন, ‘এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে। আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুঁজে আসে।’
আজ গোয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন জয়া আহসান। ২০ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাওয়া এই উৎসবে অংশগ্রহন করেছে জয়ার পাঁচটি সিনেমা। ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলা এই উৎসবে প্রিমিয়ার হচ্ছে জয়ার প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘কড়ক সিং’ এবং প্রথম ইরানি ছবি ‘ফেরেশতে’। এর বাইরে বিভিন্ন বিভাগে লড়াই করবে জয়াভিনীত টলিউডি সিনেমা কৌশিক গাঙ্গুলির ‘অর্ধাঙ্গিনী’, সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ আর সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়ের ‘ঝরা পালক’।