Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ২৬ নভেম্বর

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৮জন দেখেছেন

Image

এইচএসসি ও তার সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির ভিত্তিতে  ওই দিনটিকে আনুষ্ঠানিক ফলপ্রকাশের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ওইদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হবে। পরে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা একযোগে পরীক্ষার ফলাফল পাবেন। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।‌

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আগামী ২৬ অথবা ২৮ নভেম্বর —যে কোনো একদিন চাওয়া হয়েছিল। পরে তিনি ২৬ নভেম্বর দিনটিতে সম্মতি দিয়েছেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের নিয়ম রয়েছে।

প্রসঙ্গত, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য প্রতিবারই সম্ভাব্য সময় হিসেবে দুই অথবা তিন দিনের একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে আলাপ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে সেটি বোর্ডগুলোকে জানিয়ে দেয়।

চলতি বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট, আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা (চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



হবিগঞ্জে জনকরাজ ও ন্যাশনাল-৪ হাইব্রিড ধান বীজে গেড়া না গজায় দিশেহারা কৃষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৪জন দেখেছেন

Image

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের চলতি মৌসুমকে সামনে রেখে জনকরাজ ও ন্যাশনাল-৪ হাইব্রিড ধান বীজ ক্রয় করে কৃষকরা প্রতারিত হয়েছেন এ ধান বীজে গেড়া না। গজায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এতে জেলা কয়েক হাজার কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যবসায়ী কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, চলতি বোরো মওসুমে হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় এনএসি নামক একটি ধান বীজ কোম্পানি ব্যবসায়ীদের কাছে প্রায় ৩শ টন জনকরাজ ও ন্যাশনাল-৪ হাইব্রিড ধান বীজ বিক্রি করে। ওই ব্যবসায়ীদের কাছ কৃষকরা ধান বীজ ক্রয় করেন চারা উৎপাদনের জন্য। কিন্তু কৃষকরা যখন ধান বীজ গুলো গেড়া উঠার জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখছেন তখন ধানের বীজে গেড়া আসছে না। কিছু ধান বীজে গেড়া আসলেও বীজতলায় গিয়ে চারা গোজানোর পরই মারা যাচ্ছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার ভাটি অঞ্চলের অধিকাংশ 

কৃষকরাই জনকরাজ ও ন্যাশনাল-৪ হাইব্রিড বীজ ক্রয় করেছেন কিন্তু ধান বীজ যখন পানি ভিজিয়ে রাখার ৫ দিনের গেড়া উঠছে না গেড়া না উঠায় ধানের বীজ তলা তৈরী করতে পারছেন না। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার কাটখাল গ্রামের কৃষক সৈয়দুল মিয়া জানান, চলতি মওসুমে ৫০ কের জমিতে চাষ করার পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। ওই জমি গুলোর জন্য তিনি বিভিন্ন জাতের ৫০ কেজি ধান বীজ ক্রয় করেন। এর মধ্যে ১০ কেজি ও ন্যাশনাল-৪ ধান বীজও ক্রয় করেন। প্যাকেট গুলো বাড়িতে নিয়ে ৫ দিন পর খুলে দেখি বীজগুলো পুরাতন দেখা যাচ্ছে। তারপর কৃষিবিদদের নিয়ম মেনেই আমি পানিতে ভিজিয়ে রাখি। ২/৩দিনের ভিতরে ধান বীজের গেড়া (ফুল) দেখা গেলেও জনকরাজ ধান বীজ গুলো পানিতে ভেজানোর ৫দিন পার হয়ে গেলেও গেড়া উঠেনি। আর ন্যাশনাল-৪ কিছু ধান বীজের গেড়া উঠলে বীজতলায় ফেলানোর একদিন পরই ধান গুলো পচে যাচ্ছে।

এতে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি এখন জমি গুলো চাষ করতে পারবো কি না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। এ অবস্থায় যে দোকান থেকে বীজ গুলো ক্রয় করেছেন, সেই দোকানের মালিককে ক্ষতির বিষয় গুলো অবগত করেন। এ প্রেক্ষিতে দোকানের মালিক কৃষক সৈয়দুল মিয়া বাড়িতে গিয়ে বীজতলা পরিদর্শন করে এ সত্যতা পান। এ সময় এনএসি ধান বীজ কোম্পানির  প্রতিনিধি কৃষক সৈয়দুল মিয়াকে ক্ষতিপূরন দেওয়ার আশ্বাস দেন। বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের মামুন মিয়া জনকরাজ ধান বীজ ১২ কেজি, একই গ্রামের মাওলানা জুবায়ের ৮কেজি, একই উপজেলার আতুকুড়া গ্রামের তোফাজ্জল মিয়া ১৭ কেজি, সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আব্দুল করিম, একই গ্রামের শহিদ মিয়া ৭কেজি, টঙ্গিঘাট গ্রামের কালা মিয়া ২ কেজি ক্রয় প্রতারিত হয়েছেন।

শুধু তারাই নয় আরো বহু কৃষক জনকরাজ, ন্যাশনাল-৪ ও হিরা-২ ধান বীজ ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছেন, এ ব্যাপারে কৃষক খোকন পাঠান জানান, বীজ গুলো নিয়ম অনুযায়ী ভেজানোর পর ধান বীজ গুলোতে গেড়া গজায়নি এতে আমার ১০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এখন আবারও ধান বীজ ক্রয় করতে হবে। তিনি জনকরাজ ধান বীজ ক্রয় না করার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান। জেলা কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ভেজাল বীজ কিনে কৃষকদের প্রতারিত হওয়ার কথা শুনেছি। কৃষকদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



কেন প্রয়োজন?

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২১জন দেখেছেন

Image

শরীরের সঙ্গে অনিয়ম করলে বডি ডিটক্সিফিকেশনের প্রয়োজন হয়। অনিয়ম মানে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া করা থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া বোঝায়। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে না চললে শরীরের যত্নের প্রয়োজন হয়। এর মানে হলো শরীর ডিটক্সিফিকেশন করতে হয়। বডি ডিটক্সিফিকেশন করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া। শরীরে ডিহাইড্রেটেড হতে না দেওয়া। তাহলে শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও ঠিকমতো পানি খেলে চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। হজমশক্তিতেও সমস্যা দেখা যাবে না, প্রদাহজনিত সমস্যা কমে যাবে।

বডি ডিটক্সের জন্য কী খাবেন

সবুজ শাক-সবজি : এই ধরনের শাক-সবজি ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই উপকরণ শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিন অর্থাৎ দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সবুজ শাক-সবজি আমাদের শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের যোগান দেয়। সার্বিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। অনেকসময় শাক জাতীয় সবুজ সবজি হজম করতে একটু অসুবিধা হতে পারে। তাই একবারে অনেকটা পরিমাণে শাক না খাওয়াই ভালো।

লেবু পানি: সামান্য গরম পানির মধ্যে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয় হজমের সমস্যা দূর করে। শরীরের ভিতর থেকে যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের করে আনে। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই পানীয়। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে সেটাও দূর করে এই পানীয়।

হলুদ : অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপকরণ থাকে হলুদের মধ্যে। হালকা গরম দুধের মধ্যে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার পাবেন। এতে প্রদাহজনিত সমস্যা দূর হবে, হজমশক্তি ভালো থাকবে। কাঁচা হলুদ খেতে পারলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

আদা : হজমক্ষমতা ভাল করার পাশাপাশি আদা আমাদের শরীরের ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে। চায়ের সঙ্গে কিংবা গরম পানির মধ্যে আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। শরীরে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া চালু রাখতেও আদা সাহায্য করে। এছাড়াও শীতের দিনে গলা ব্যথা, কাশি, সর্দি ইত্যাদি কমাতেও আদার রস কাজে লাগে।

বিট : শীতের পরিচিত সবজি বিট। সবজি হিসেবে, কিংবা সালাদে বা রস করেও বিট খেতে পারে। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং শরীরের সার্বিকভাবে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে বিট। ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসে ভরপুর এই সবজি শরীরে আয়রনের মাত্রাও সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই সবজি শরীর থেকে দূর করে যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ।

গ্রিন টি : বিপাকক্রিয়া বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের অভ্যন্তর থেকে টক্সিন বের করে আনাও গ্রিন টি- এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে গ্রিন টি। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




মাসের শুরুতেই হোক সমন্বয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

সংসারের খরচ বাবদ একটা অংশ ব্যয় হয় দিনের খাবারের আয়োজনে। সেজন্য বাজারের পরিকল্পনাটা খুব জরুরি। মাসের আয় থেকে কত টাকা খাবারে ব্যয় করবেন তার মানসিক প্রস্তুতি রাখা জরুরি। এক্ষেত্রে আগে থেকেই তালিকা করে নিন। এভাবে পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমন্বয়ে আপনার মানসিক যন্ত্রণা কম হবে।

বাজেট করা জরুরি
জনপ্রিয় বই অল ইয়োর ওর্থ: দ্য আলটিমেট লাইফটাইম মানি প্ল্যান বইটির কিছু বিষয় এখানে মনে রাখা জরুরি। তাদের হিসেব থেকেই আমরা একটি ভাগ করে নিচ্ছি। যদি কেউ মাসে ১ লাখ টাকা আয় করেন তাহলে সেটি ৫০, ৩০, ২০ হাজার এই তিন অংশে ভাগ করে ফেলুন। ভাগ অবশ্য আপনার চাহিদা অনুসারে করুন। যত কষ্টই হোক, সঞ্চয় খাতে যাবে ২০ হাজার, ৩০ হাজারে নিজের শখ মেটাবেন, বাকি ৫০ হাজার যাবে নিত্য খরচে। এই ৫০ হাজারের মধ্যেই আপনার বাড়ি ভাড়া, বাজার খরচসহ নানান রকম খরচ শোধ করার চেষ্টা করবেন।

বাজারে গেলে মানিয়ে নেওয়া
বাজারে আপনার চোখের হিসেবে পণ্য বাছাই করুন। চেষ্টা করুন কমদামি পণ্য কেনার। অনেকের এখন রান্নাকে একটু আয়েশি করার শখ থাকে। তাই কিছু পণ্য আপনাকে না কিনেই থাকতে হবে। মাসের শুরুতেই ভাড়া ও বিলের টাকা এক পাশে রেখে বাজারের টাকা আলাদা করুন। এবার বাজারের টাকা দিয়ে কীভাবে কী করবেন তা বাসার সবার সঙ্গে আলোচনা করুন। ভেবে দেখুন, কীভাবে এই টাকা আপনি খরচ করবেন। মাসের শুরুতেই যদি মুদিপণ্য কিনে ফেলা যায় তাহলে ভালো। টাকা কিছুটা সাশ্রয় হবে, তেমন সময় ও শ্রম কম লাগবে। অনেকেই বাজারে গেলে পণ্য কেনেন এবং খুচরো আকারে কেনেন। খুচরো আকারে কিনলে সমস্যা।

পরিবারের সবার সঙ্গে আলোচনা করে খাবারের হিসেব করা জরুরি। কারণ একজন ব্যক্তির খাবারে প্রতিদিন শর্করা (কার্বহাইড্রেট), আমিষ, প্রোটিন, খনিজ লবণ ও ভিটামিন থাকা দরকার। দরকারি উপকরণের কথা মাথায় রেখেই বাজার করা জরুরি। অনেকেই ভাবেন প্রোটিন প্রয়োজন নেই। কিন্তু এটি সত্য নয়।

খাবারে পুষ্টিগুণের সমন্বয়
ধরুন একদিন আপনি রুটি ও ডিম খেলেন নাশতায়। তারপরের দিন মেন্যু হবে ডাল ও রুটি। দুই দিন প্রোটিন, এক দিন ব্যালেন্সড, এক দিন নিরামিষ-এভাবে খাবারের মেন্যু ঠিক করে নেওয়া যায়। শীত আসছে তাই খিচুড়ি ব্যালেন্স ডায়েট হিসেবে একটি উপায়। নাশতায় প্রতিদিন দামি খাবার না রেখে ছোলা বা নুডলস রাখতে পারেন। বাদাম বাড়িতে রাখতে পারেন। রোজ দুধ না রাখতে পারলে বাদাম ব্যালেন্স করবে। দুধের বদলে চিনাবাদাম খেলেও ক্ষতি নেই। প্রতিদিন শাকের একটি মেন্যু রাখতে পারেন। শাকের দাম কম এবং পুষ্টিও অনেক।

বাজারে তালিকা নিয়ে যান
বাজারে গেলে অবশ্যই তালিকা নিয়ে যাবেন। শুধু শুধু ঘুরে লাভ নেই বরং আপনাকে দেখতে হবে তালিকার পণ্য পাওয়া যায় কি-না। আগে পরিবারের সদস্য সংখ্যা হিসাব করা দরকার, তারপর কোন জিনিস কতটুকু কিনবেন হিসাব করুন।

কোনো মাসে কোনো পণ্য বেশি থাকলে তা দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করবেন না। বাড়তি অংশ পরের মাসে যোগ হওয়ায় কিছু টাকা সাশ্রয় হবে, যেটা চাইলে সঞ্চয়ে যুক্ত করতে পারেন। খাবারের জন্য মাসের শুকনা বাজারগুলো মাসের শুরুতেই করা উচিত। কাঁচা বাজারটার ক্ষেত্রে কিছু স্বাধীনতা পাবেন।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




পবিত্র কোরআনের বর্ণনায় রহমত ও আজাবের বাতাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১জন দেখেছেন

Image

ইসলাসিক ডেস্ক : পবিত্র কোরআনে বাতাসের আরবি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে রিহুন (একবচন) আর ব্যবহার করা হয়েছে রিয়াহুন (বহুবচন)। দুটি শব্দের অর্থই বাতাস। দুটি শব্দের ব্যবহার এ জন্য যে বাতাস শব্দটি কোরআনে যখন একবচনে ব্যবহার হবে তখন সেটি আজাবের অর্থ দেবে আর যখন বহুবচন হিসেবে ব্যবহার হবে তখন সেটি রহমত অর্থ বোঝাবে।

এই দৃষ্টিকোণ থেকে বাতাসকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

১. রহমতের বাতাস ও ২. আজাবের বাতাস।

রহমতের বাতাস চার প্রকার

১. মুবাশশিরাত : বৃষ্টির আগে যে ঠাণ্ডা ও প্রশান্তিময় বাতাস বৃষ্টির আগাম সুসংবাদ জানান দেয় তাকে মুবাশশিরাত বাতাস বলা হয়। আল্লাহ বলেন, ‘তিনিই বৃষ্টির পূর্বে সুসংবাদবাহী বায়ু পাঠিয়ে দেন। এমনকি যখন বায়ুরাশি পানিপূর্ণ মেঘমালা বয়ে আনে তখন আমি এই মেঘমালাকে একটি মৃত শহরের দিকে হাঁকিয়ে দিই।

অতঃপর এই মেঘ থেকে বৃষ্টিধারা বর্ষণ করি। অতঃপর পানি দ্বারা সব রকমের ফল উৎপন্ন করি। এমনিভাবে মৃতদের বের করব, যাতে তোমরা চিন্তা করো।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৫৭)

২. নাশিরাত : সব ধরনের ভারী মেঘকে তার নিজ নিজ স্তরে বহন কারী বাতাসকে নাশিরাত বলা হয়।

কোরআনে এসেছে, ‘তিনি আল্লাহ, যিনি বায়ু প্রেরণ করেন, অতঃপর তা মেঘমালাকে সঞ্চারিত করে। অতঃপর তিনি মেঘমালাকে যে ভাবে ইচ্ছা আকাশে ছড়িয়ে দেন এবং তাকে স্তরে স্তরে রাখেন। এরপর তুমি দেখতে পাও তার মধ্য থেকে নির্গত হয় বৃষ্টিধারা। তিনি তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের ইচ্ছা পৌঁছান, তখন তারা আনন্দিত হয়।’ (সুরা : রোম, আয়াত : ৪৮)

৩. মুরসালাত : তথা প্রেরিত, মহান রবের পক্ষ থেকে প্রেরিত কল্যাণময় ও প্রশান্তিদায়ক বাতাসকে মুরসালাত বলে।

রাসুল (সা.)-এর দান শীলতার উদাহরণে তাঁকে রিহুল মুলসাল বা প্রেরিত বাতাসের চেয়েও বেশি দানশীল বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘কল্যাণের জন্য প্রেরিত বায়ুর শপথ।’ (সুরা : মুরসালাত, আয়াত : ১)

৪. জারিয়াত : জারিয়াত বলা হয় ধুলিকণা বিশিষ্ট ঝঞ্ঝা

বায়ুকে। আল্লাহ বলেন, ‘কসম ঝঞ্ঝাবায়ুর।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ১)

আজাবের বাতাস চার প্রকার

১. আকিম : যে বাতাসে কোনো কল্যাণ নেই, যা কোনো জাতি বা গোষ্ঠীর চরম পরিণতি ও ধ্বংস নিয়ে আসে। যেমন আদ সম্প্রদায়ের ওপর এই বাতাস প্রবাহিত হয়েছিল। আল্লাহ বলেন, ‘এবং নিদর্শন রয়েছে তাদের কাহিনিতে, যখন আমি তাদের ওপর অশুভ বায়ু প্রেরণ করেছিলাম।’ (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ৪১)

২. ছরছর : অত্যধিক শৈত্যসম্পন্ন প্রচণ্ড বাতাসকে ‘ছরছর’ বলে। কোরআনের ভাষায়, ‘এবং আদ গোত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রচণ্ড ঝঞ্ঝাবায়ুর মাধ্যমে, যা তিনি প্রবাহিত করেছিলেন তাদের ওপর সাত রাত্রি ও আট দিবস পর্যন্ত অবিরাম। আপনি তাদের দেখতেন যে তারা অসার খর্জুর কাণ্ডের মতো ভূপাতিত হয়ে আছে।’ (সুরা : হাকক্বাহ, আয়াত : ৬-৭)

৩. আসিফ : এ বাতাস সমুদ্রে প্রবাহিত হয়ে তার তরঙ্গমালা উত্তাল করে তোলে। যার ফলে জাহাজডুবিসহ অনেক প্রতীক‚ লতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ইরশাদ হচ্ছে, ‘তিনি তোমাদের ভ্রমণ করান স্থল ও সাগরে। এমনকি যখন তোমরা নৌকা সমূহে আরোহণ করলে আর তা লোকজনকে অনুকূল হাওয়ায় বয়ে নিয়ে চলল এবং তাতে তারা আনন্দিত হলো। নৌকা গুলোর ওপর এলো তীব্র বাতাস আর সর্বদিক থেকে সেগুলোর ওপর ঢেউ আসতে লাগল এবং তারা জানতে পারল যে তারা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তখন আল্লাহকে তার ইবাদতে নিস্বার্থ হয়ে ডাকতে লাগল, যদি তুমি আমাদের এই বিপদ থেকে উদ্ধার করে তোলো তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা কৃতজ্ঞ থাকব।’ (সুরা : ইউনুস, আয়াত : ২২)

৪. কসিফ : এই ধরনের বাতাস অত্যন্ত শক্তিশালী। যাকে সাধারণত আমরা টর্নেডো, সাইক্লোন বা হারিকেন ইত্যাদি বলে চিনে থাকি। কোরআনের ভাষায়, ‘অথবা তোমরা কি এ বিষয়ে নিশ্চিত যে তিনি তোমাদের আরেকবার সমুদ্রে নিয়ে যাবেন না, অতঃপর তোমাদের জন্য মহা ঝটিকা প্রেরণ করবেন না, অতঃপর অকৃতজ্ঞতার শাস্তি স্বরূপ তোমাদের নিমজ্জিত করবেন না? তখন তোমরা আমার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে সাহায্য কারী কাউকে পাবে না।’ (সুরা : ইসরাঈল, আয়াত : ৬৯)

পরিশেষে আমরা যেকোনো ধরনের বাতাসের সময় রাসুল (সা.)-এর শেখানো দোয়া পাঠ করব। তা হলো- 

‘আল্লহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খইরিহা, ওয়া খয়রি মা ফিহা, ওয়া খয়রি মা উরসিলাত বিহ। ওয়া আঊযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা ফিহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহ।’

(অর্থ : হে আল্লাহ! তোমার কাছে আমি এ বাতাসের মঙ্গল, এর মধ্যে নিহিত মঙ্গল এবং যে মঙ্গলসহ এটা পাঠানো হয়েছে তা প্রার্থনা করি, আর এর ক্ষতিকর দিক, এর মাঝে নিহিত ক্ষতি এবং যে ক্ষতিসহ এটা পাঠানো হয়েছে তা হতে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।) (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৪৯)


আরও খবর



গুঞ্জনই সত্যি, ফের মা হচ্ছেন আনুশকা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : দ্বিতীয়বারের মতো মা হতে চলেছেন বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা শর্মা। দিন কয়েক ধরেই খবরটি নিয়ে জোর গুঞ্জন ছিল, যদিও বিরাট বা আনুশকা কেউই এখন পর্যন্ত মুখ খুলেনি।

তবে কোহলির জন্মদিনে ইডেনে স্ত্রী আনুশকার অনুপস্থিতি অভিনেত্রীর মা হওয়ার গুঞ্জন কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছিল। এবার সেই জল্পনাই যেন স্পষ্ট হলো। কোহলির সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা আনুশকার দেখা মিলল। 

বিশ্বকাপের ভারতের পরবর্তী ম্যাচ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। এর আগেই বেঙ্গালুরু পৌঁছেছে টিম ইন্ডিয়া। এদিন স্বামী বিরাট কোহলির হাত ধরেই হোটেলে ঢুকতে দেখা গেছে আনুশকাকে। যেখানে অভিনেত্রীর বেবি বাম্প লক্ষ্য করা গেছে। 

আনুশকার পরনে ছিল কালো ঢিলেঢালা ফ্রক। খোলা চুল, রূপটান নেই বললেই চলে। ছিপছিপে চেহারায় স্পষ্ট অভিনেত্রীর স্ফীতোদর। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে আগলে ছিলেন বিরাট। সেই ভিডিওই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। এরপরই তারকা দম্পতিকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসাচ্ছেন ভক্তরা। 

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে একটি ম্যাটারনিটি ক্লিনিকের বাইরে দেখা গিয়েছিল আনুশকাকে। যদিও সেসময় অভিনেত্রীর অনুরোধে কোনো ছবি প্রকাশ করেনি সংবাদমাধ্যম।

বিরাটপত্নী তখন আশ্বস্ত করেন, খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা জানাবেন তারা। এর আগেই সবকিছু স্পষ্ট হল। দ্বিতীয়বারের মতো বিরাট-আনুশকার সংসারে আসতে চলেছে নতুন অতিথি।


আরও খবর