Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

একমাসেই দুইবার মুখোমুখি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ অক্টোবর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৭১জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা। ফুটবলের যেকোন সংস্করণেই যে দ্বৈরথ প্রবল উন্মাদনা ছড়ায়। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে আগামী ২২ নভেম্বর ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। কনমেবল অঞ্চলের ৬ষ্ঠ রাউন্ডের সেই ম্যাচ নিয়ে এখন থেকেই উত্তপ্ত ফুটবল দুনিয়া। তবে, এর আগেই আরও একবার এই মারাকানাতেই দেখা যাবে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের দ্বৈরথ।

লাতিন আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খ্যাত কোপা লিবার্তাদোরেস কাপের ফাইনাল আগামী ৪ নভেম্বর। দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় এই আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার স্মৃতিবিজড়িত ক্লাব বোকা জুনিয়র্স ও ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স।

আর্জেন্টাইন ক্লাবটিতে খেলেন উরুগুয়ে ফুটবলের কিংবদন্তি বনে যাওয়া এডিনসন কাভানি। গোলবারের নিচে আছেন ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়া সার্জিও রোমেরো। এবারেও দুইবার ক্লাবকে টাইব্রেকারে জয় এনে দিয়েছেন তিনি। এছাড়া মার্কাস রোহো, ক্রিশ্চিয়ান মেদিনা আছেন দলের ভরসা হিসেবে। আর ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিতে আছেন ঘরের ছেলে ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা মার্সেলো। আছেন অভিজ্ঞ তারকা ফিলিপ মেলো। আর ক্লাবের কোচ হিসেবে থাকছেন ব্রাজিল দলের বর্তমান কোচ ফার্নান্দো দিনিজ। মারাকানায় তাই এক জমজমাট ফাইনালেরই অপেক্ষা করছেন সকলে।  

এদিকে ল্যাটিন আমেরিকার এই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই দেখতে স্টেডিয়ামে জড়ো হবেন ৭৮ হাজার দর্শক। ধারণা করা হচ্ছে,আর্জেন্টিনা থেকে এই ম্যাচ দেখতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ জড়ো হবেন। উত্তাপ টের পেয়ে আগে থেকেই ব্রাজিলের রিও ডি জেনারিও রাজ্য সরকার জরুরি অবস্থা জারি করেছে। ম্যাচ শেষে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য তারা সতর্কতা অবলম্বন করছে।

বোকা জুনিয়র্স এখন ১১ বার লিবার্তাদোরেস ট্রফির ফাইনাল খেলেছে। যার মধ্যে ৬ বার শিরোপা ঘরে তুলেছে তারা। যদিও তারা সবশেষ জিতেছিল ২০০৭ সালে। এরপর ২০১২ ও ২০১৮ সালে ফাইনালে উঠেও আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে তাদের। এবার সপ্তম শিরোপা জেতার জন্য তারা মরিয়া। অন্যদিকে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স এর আগে মাত্র একবারই ফাইনালে উঠতে পেরেছিল। সেটা ২০০৮ সালে। কিন্তু ইকুয়েডরিয়ান ক্লাব এলডিইউ কুইতোর কাছে হেরে শিরোপা বঞ্চিত হয় তারা। 

এছাড়া মাসের শেষ দিকে আছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলা। উড়ন্ত ফর্মে থাকা আর্জেন্টিনা যেখানে মুখোমুখি হবে ব্রাজিলের। গত ৫০ ম্যাচে মাত্র একবার পয়াজয়ের স্বাদ পেয়েছে মেসি বাহিনী। আর এই মারাকানাতেই ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জিতেছিল তারা। আরও একবার মারাকানায় তাই জয় নিতেই চাইবে আলবিসেলেস্তেরা। আর ছন্দ হারিয়ে ফেলা ব্রাজিল চাইবে প্রতিশোধ নিতে। বাছাইপর্বের তিনে থাকা সেলেসাওরা সহসাই পয়েন্ট হারাতে নারাজ। 


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




ভারতীয় শিবিরে ফাইনালের আগে অন্যরকম দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : সময়ের হিসেবে আর একদিনের অপেক্ষা। এরপরই আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে শুরু হবে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল। প্রায় দেড়মাসের ক্রিকেট যজ্ঞের পর্দা নামবে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার এই প্রেস্টিজিয়াস ম্যাচ দিয়ে। দুই দলই এখন অবস্থান করছে আহমেদাবাদ শহরে। সেখানেই চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। 

ফাইনালের দুদিন আগেই পিচ পরীক্ষা করে দেখেছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বৃহস্পতিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল চলাকালেই ফাইনালের ভেন্যুতে পৌঁছে গেছে টিম ইন্ডিয়া। শুক্রবার মাঠেও নেমে পড়েছেন স্বাগতিকরা। 

তবে শেষ সময়ে এসে ভারত শিবিরে দেখা দিতে পারে অন্যরকম এক অস্বস্তি। সেটাও নিজেদের দলে কোন ইনজুরি বা প্রতিপক্ষ বিবেচনায় না। এই অস্বস্তি আম্পায়ার কেন্দ্রিক। ফাইনালে অনফিল্ডে থাকবেন, ইংল্যান্ডের দুই অভিজ্ঞ আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ ও রিচার্ড কেটেলবরো। 

সেমিফাইনালে দায়িত্ব পালন করা আরও দুজন দায়িত্ব পেয়েছেন ফাইনালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন প্রথম সেমিফাইনালে টিভি আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন। এবার এই আম্পায়ার আহমেদাবাদের ফাইনালেও ম্যাচ পরিচালনায় থাকবেন টিভি আম্পায়ার হিসেবে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে থার্ড আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন ক্রিস গ্যাফানি। নিউজিল্যান্ডের এই বিশেষজ্ঞ ১৯ নভেম্বর ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনালে উপস্থিত হবেন চতুর্থ আম্পায়ার হয়ে।

তবে ভারতের সমস্যা এই রিচার্ড কেটেলবোরোকে নিয়ে। রোহিত শর্মাদের জন্য আনলাকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় কেটেলবোরোকে। নক আউটে টিম ইন্ডিয়ার যেসব ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এর প্রত্যেকটিতেই হেরেছে ভারত।

২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া সবকটি ম্যাচেই আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন কেটেলবোরো। এর মধ্যে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল ও ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালেও আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন এই ক্যাটেলবোরো।

এরপর ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে ভারত-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচেও আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এর বাইরে ২০২১ ও ২০২৩ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের হেরে যাওয়া দুটি ম্যাচেই থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন কেটেলবোরো। স্বাভাবিকভাবেই তাই রিচার্ড কেটেলবোরো কেন্দ্রিক আলোচনা বেশ জোরেশোরে শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

এছাড়া মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ফাইনালে ম্যাচ রেফারির দায়িত্ব সামলাবেন অ্যান্ডি পাইক্রফট। জিম্বাবুয়ের পাইক্রফট প্রথম সেমিফাইনালেও ছিলেন ম্যাচ রেফারির ভূমিকায়। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালের ম্যাচ অফিসিয়ালদের কেউই এবারের বিশ্বকাপে থাকছেন না।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




গাজায় বিরতি পরবর্তী ইসরায়েলি অভিযানে নিহত ‍১৭৮

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৭ দিন যুদ্ধবিরতি শেষে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি স্থল ও বিমান বাহিনী অভিযান শুরুর প্রথম দিনে সেখানে নিহত হয়েছেন মোট ১৭৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে এএফপি।

গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলার পর জিম্মি-বন্দি বিনিময় এবং গাজায় মানবিক ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ দিতে ২৫ নভেম্বর সাময়িক যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে ইসরায়েল এবং গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণ কারী গোষ্ঠী হামাস। সেই বিরতি শেষ হয় শুক্রবার ভোরে উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান ও স্থলবাহিনীর অভিযান শুরুর মধ্যে দিয়ে।

শুক্রবার ভোরের দিকে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হিলোটের বাসিন্দারা সাইরেনের শব্দে জেগে ওঠেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, গাজা থেকে রকেট ছোড়া হয়েছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে সেই রকেট আঘাত হানার আগেই তা ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

এই ঘটনার পর এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে গাজায় ফের অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয় আইডিএফ।

গাজার হামাস নেতৃত্বাধীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপত্যকার অন্তত ১০০টি স্থানে গোলা বর্ষণ করেছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ কারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।

অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার চালানোর দিন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে শত শত সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।

দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধের পর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে গত ২৫ নভেম্বর অস্থায়ী যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাস। গত নভেম্বরের মাঝামাঝি যুদ্ধের অন্যতম মধ্য স্থতাকারী দেশ কাতারের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধ কালীন মন্ত্রিসভা বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল হামাসের হাইকমান্ড।

সেই প্রস্তাবে গোষ্ঠীটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ইসরায়েল যদি গাজা উপত্যকায় চার দিনের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে, রাফাহ ক্রসিংয়ে অপেক্ষারত ত্রাণ, জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা পণ্যবাহী ট্রাক গুলোকে প্রবেশ করতে দেয় এবং ইসরায়েলি কারাগার গুলো থেকে অন্তত ১৫০ জন বন্দিকে মুক্তি দেয়, তাহলে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে থেকে ৫০ জনকে ছেড়ে দেবে হামাস।

সেই প্রস্তাব মেনে নিয়ে ২৫ নভেম্বর চার দিনের যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল। পরে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিসর, ইউরোপ ও অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীদের তৎপরতায় যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ানো হয়।

যুদ্ধবিরতির ৬ দিন ২৫-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৯৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিপরীতে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগার থেকে ১৮০ জনকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েলও।


আরও খবর



লঘুচাপ তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬১জন দেখেছেন

Image

দক্ষিণপূর্ব এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং বৃষ্টিপাত হতে পারে।  

আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এ ছাড়া আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে— সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অস্থায়ীভাবে মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। 

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে মৌসুমী স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। 

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ভোর ৫টা ১৪ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬টা ১১ মিনিটে।  

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুণ্ডে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়াতে ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  


আরও খবর



রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় জানিয়েছি: সিইসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৩২জন দেখেছেন

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি। নির্বাচন অতি আসন্ন। তবে আমরা এখনও পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নেইনি। নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য তারিখ জানানো হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্য হলো আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করা। আমরা রাষ্ট্রপতিকে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কেও অবহিত করেছি। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হবে- সুশৃঙ্খলভাবে হবে। এ ব্যাপারে উনার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে- উনি আশ্বাস দিয়েছেন।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাষ্ট্রপতি বলেছেন- যে কোনো মূল্যে সাংবিধানিক ধারা অব্যহত রাখতে হবে। আমাদের ওপর সাংবিধানিক যে দায়িত্ব আরোপ করা হয়েছে, সেখানে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে- আমরা সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।

নির্বাচনের তফসিল কি আগামী ১৫ নভেম্বর মধ্যে ঘোষণা করা হবে- এ বিষয়ে সিইসি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে দ্রুতই ঘোষণা করবো, কারণ সময় হয়ে গেছে।

ভোটের মাঠের রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা হয়েছে কিনা- এ বিষয়ে সিইসি বলেন, না, এটা নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। আমরা শুধু আমাদের কথা বলেছি। এছাড়া রাজনৈতিক সংলাপের ব্যাপারেও কোনো কথা হয়নি বলে জানান সিইসি।


আরও খবর



বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ কমছেই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

গত জানুয়ারি থেকে প্রতি মাসে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ কমছে। কারণ পুরোনো ঋণ পরিশোধের পরিমাণ নতুন ঋণের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত সেপ্টেম্বরে স্বল্পমেয়াদী বিদেশি ঋণ ৩ দশমিক ১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৩ কোটি ডলার। গত আগস্টে তা ছিল ১২ দশমিক ৮৪ বিলিয়ন ডলার। স্বল্পমেয়াদী ঋণ তিন থেকে নয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয় এবং তা বিদেশ থেকে নেওয়া বেসরকারি খাতের মোট ঋণের ৬৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

কিন্তু ডলারের কম মজুত, টাকার অবমূল্যায়ন ও বৈশ্বিক সুদের উচ্চহারের কারণে উদ্যোক্তারা এই ধরনের ঋণ এড়িয়ে চলছেন। গত জানুয়ারির শুরুতে বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদী বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার। এরপর তা কমে হয়েছে ২৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত ৯ মাসে উদ্যোক্তারা ১৯ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছেন এবং মূল অর্থ ও সুদ বাবদ ২৩ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার শোধ করেছেন। নতুন ঋণের তুলনায় ঋণ পরিশোধের উচ্চহার জানুয়ারি থেকে চলমান আছে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়নের কারণে বেসরকারি খাত ডলারে ঋণ নিতে আগ্রহী নয়। কয়েক বছর আগে বিদেশি ঋণের সুদের হার ছিল দুই শতাংশ। এখন উদ্যোক্তারা ১০ শতাংশ দিতে রাজি হলেও ডলারে ঋণ পাচ্ছেন না।

২০২১ সালে বেসরকারি খাত বিদেশি ঋণদাতাদের কাছ থেকে স্বল্পমেয়াদে ৩৩ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছে। গত বছর ৩৭ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার নতুন ঋণের বিপরীতে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ৩৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নতুন ঋণের তুলনায় বেশি পরিমাণে ঋণ পরিশোধ দেশের রিজার্ভ কমিয়ে দিচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, গত ১ নভেম্বর দেশের মোট রিজার্ভ ছিল ২০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। গত ২৫ অক্টোবর তা ছিল ২০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের রিজার্ভ ছিল প্রায় ৪০ দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ও ২০২১-২২ সালের শেষে তা ছিল ৩৩ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, গত জুনে শুরু হওয়া চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের আর্থিক হিসাবের ঘাটতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। এর বিপরীতে, আগের বছরের একই সময়ে এটি ৮৩৯ মিলিয়ন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।

রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আমদানি সীমিত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগের পর চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশের আমদানি কমেছে ২২ দশমিক ৪৭ শতাংশ। গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ছিল ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩