Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

এমপি-নেতারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিতে পারবেন না

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ৫২২জন দেখেছেন

Image

উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিরা কাউকেই প্রার্থী করতে পারবেন না। দলের জেলা সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বশীল কোনো নেতাও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না। তবে স্থানীয় কোনো নেতা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। তবে দল থেকে কোনো অবস্থায়ই কাউকে সমর্থন করা যাবে না।

গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্ট দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের লক্ষ্যে সিরিজ বৈঠকের প্রথম দিনে এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে রংপুরের কেন্দ্রীয় বিভাগীয় নেতারা ছাড়াও ৯টি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর নেতারা এবং দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আজ রোববার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের ডাকা হয়েছে। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া কেন্দ্রীয় ও জেলার কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। অর্থাৎ, উন্মুক্ত নির্বাচনে কাউকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হবে না। এই অবস্থায় বিভিন্ন জায়গায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিরাসহ স্থানীয় নেতারা যার যার মতো করে প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে মাঠে নেমেছেন। স্থানীয় রাজনীতিতে প্রভাব ধরে রাখতে কিংবা নতুন করে প্রভাব বলয় গড়ে তুলতে উপজেলায় পছন্দের নেতাদের প্রার্থী করার এই প্রবণতাকে ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় দলের মধ্যে নতুন করে দ্বন্দ্ব-কোন্দল দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ স্থানীয় নেতাদের প্রার্থী ঘোষণার ওপর নিষেধাজ্ঞা এলো। 

এর আগে সূচনা বক্তব্যে বৈঠকের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার বা হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না বলে জানান। পরে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সব ধরনের দ্বন্দ্ব-কোন্দল নিরসনের কঠোর তাগিদের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত করতে এমপি কিংবা নেতাদের কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করে দেন। 

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো আগামীতে উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। তাই এসব নির্বাচনকে ঘিরে দ্বন্দ্ব-কোন্দলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। দলীয় কোন্দলের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ও উন্নয়ন কর্মককাণ্ড ম্লান না হয়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা আরও জানান, রংপুর মহানগরসহ রংপুরের মিঠাপুকুর, বদরগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, পীরগঞ্জ, কাউনিয়া ও পীরগাছায় আওয়ামী লীগে আগে থেকেই অন্তর্কোন্দল রয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধার জেলা-উপজেলায়ও নতুন করে কোন্দল রয়েছে। এই কোন্দল নিরসনসহ দল গোছাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। বিশেষ দুর্গম চরাঞ্চলে সাংগঠনিক শক্তি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

সূত্রমতে, বৈঠকে রংপুর মহানগরীর ছয় থানা কমিটি অনুমোদনের ক্ষমতা খর্ব করা হয় মহানগর আওয়ামী লীগের, যা এখন কেন্দ্রীয় কমিটি করবে। একইভাবে কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া কোনো জেলা কমিটি উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন কিংবা ভাঙতে পারবে না এবং কাউকে পদ থেকে অব্যাহতিও দিতে পারবে না বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

এর আগে দলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে রংপুর মহানগর কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও ফের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। মহানগরের ছয় থানা কমিটি গঠনের এক বছর পার হলেও অনুমোদন না দেওয়া, আহ্বায়কের একক সিদ্ধান্তে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করাসহ নানা কারণে দলের ভেতরে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে চরম স্থবিরতা বিরাজ করে, নেতকর্মীর মাঝেও দেখা দেয় বিভক্তি। গতকালের বৈঠকে এই বিষয়গুলো তুলে ধরে স্থানীয় নেতারা এর অবসানে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান। এই অবস্থায় কেন্দ্র থেকে থানা কমিটি অনুমোদনের ওই সিদ্ধান্ত আসে। 

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী সমকালকে বলেন, অত্যন্ত সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে মতবিনিময় করা হয়েছে। যেখানে দলীয় দ্বন্দ্ব-কোন্দল ও মতানৈক্য দূর করে দলকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে জেলা-উপজেলা নেতাকর্মীর ভূমিকা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দলের পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের কোনো নেতা কিংবা এমপি উপজেলায় চেয়ারম্যান বা কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারবেন না। 

দলের রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, রংপুরসহ বিভাগের কিছু কিছু সাংগঠনিক জেলায় সমস্যা আছে। যার সমাধানে বৈঠকে নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। এ ছাড়া থানা বা উপজেলা কমিটি গঠন বা ভাঙতেও কেন্দ্রের নির্দেশনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

নীলফামারী জেলা সভাপতি পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহম্মেদ এবং লালমনিরহাট জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান এমপি জানান, বৈঠকে দলের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হলেও স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য তাগিদ দেওয়া হয়েছে। 

দিনাজপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতা জানান, আগামী নির্বাচনগুলো যাতে করে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য সব নেতাকর্মীকে সজাগ থাকাসহ সংসদ নির্বাচন নিয়েও মনোক্ষণ্ন কিংবা হতাশা না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই রকম কথা জানিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা সাধারণ সম্পাদক দীপক রায় ও কুড়িগ্রাম জেলার সহসভাপতি সাঈদ হাসান লোবান।


আরও খবর



করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ময়মনসিংহ মেডিকেলে নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | ১২জন দেখেছেন

Image

 ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবারও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় নেয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি।

করোনা উপসর্গ নিয়ে দুইজন রোগী হাসপাতালের চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে অ্যান্টিজেন পরীক্ষায়, তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি রিএজেন্ট সংকটের কারণে।

হাসপাতালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষামাধ্যম আরটিপিসিআর বর্তমানে অচলাবস্থায় রয়েছে, কারণ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় রিএজেন্ট কিট নেই। এই অবস্থায় শুধুমাত্র র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ওপর নির্ভর করেই করোনা শনাক্ত করা হচ্ছে।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজিয়া হক জানান, ‘পিসিআর মেশিন সচল রয়েছে এবং অন্যান্য রোগের ল্যাপ টেস্টের জন্য নিয়মিতই ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট রিএজেন্ট কিট নেই, যা বাংলাদেশে শুধু হাতে গোনা দুটি কোম্পানির কাছেই সীমিত পরিমাণে রয়েছে। আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে কিট সরবরাহের জন্য অনুরোধ করেছি।’


আরও খবর



কন্যা সন্তানকে যে ৮টি অধিকার ইসলাম দিয়েছে

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

কন্যাসন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ নিয়ামত। ইসলাম কন্যা সন্তানকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। ইসলামের আগমনের আগে আরবের সমাজে কন্যা সন্তানকে জীবিত দাফন করা হতো। রোমান সভ্যতায় কন্যাদের বয়স্ক পুরুষদের সাথে বিয়ে দেওয়া হতো। ইসলাম কন্যা ও নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। কন্যা সন্তানের মা-বাবার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলনে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করনে, ‘যার ঘরে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলো, অতঃপর সে ওই কন্যাকে কষ্ট দেয়নি, মেয়ের ওপর অসন্তুষ্টও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে তার ওপর প্রধান্য দেয়নি, তাহলে ওই কন্যার কারণে আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ’ (মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ১/২২৩) ইসলাম ন্যায্যতার ভিত্তিতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করেছে। নারী-পুরুষের ভেতরের বৈষম্য দূর করেছে। ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গীর আলোকে নারীর আটটি অধিকার তুলে ধরা হলো-

১. ইসলাম কন্যা সন্তানকে শিক্ষার অধিকার দিয়েছে এবং পরিবারের কল্যাণে পুরুষের মতোই কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে।

২. ইসলাম কন্যা সন্তানকে তার পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করার অধিকার দিয়েছে।

৩. ইসলাম পিতার সম্পত্তিতে কন্যা সন্তানের উত্তরাধিকার নিশ্চিত করেছে।

৪. বৈবাহিক জীবনে সন্তুষ্ট না থাকলে ইসলাম কন্যা সন্তানকে খোলা (বিবাহ বিচ্ছেদ) চাওয়ার অধিকার দিয়েছে।

৫. যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হলে ইসলাম কন্যা সন্তানকে মামলা করার অধিকার দিয়েছে।

৬. ইসলাম কন্যা সন্তানকে নিজ চিন্তা ও মত প্রকাশ করার স্বাধীনতা দিয়েছে।

৭. ইসলাম কন্যা সন্তান ন্যায্য অধিকার দিয়েছে।

৮. ইসলাম কন্যা সন্তানকে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার অধিকার দিয়েছে এবং প্রতিটি বিষয়ে নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ দিয়েছে।

কন্যা সন্তানের বিশেষ কিছু দায়িত্ব-

১. সমাজে নিরাপদে চলাফেরা করার জন্য সঠিকভাবে পর্দায় থাকা।

২. নিজের ইজ্জত-সম্মান রক্ষা করা করা।

৩. নিজের পরিবারের যত্ন নেওয়া।

৪. গায়রে মাহরামের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. স্বামীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকা এবং নিজের ঈমান সংরক্ষণ করা।


আরও খবর



চিন্তামুক্ত থাকার জন্য যে দোয়া করবেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | ৭১জন দেখেছেন

Image

দুশ্চিন্তা আর উদ্বেগ কাটিয়ে ওঠা সহজ নয়। ঘুম ভেঙে উঠেই একরাশ দুশ্চিন্তা চেপে বসে মাথায়। সারা দিন অফিসের কাজে মানসিক চাপ আরও বাড়ে। চাকরি, স্বাস্থ্য, আর্থিক অবস্থা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে নানা রকম দুশ্চিন্তা লেগেই থাকে। কিছুতেই মন শান্ত হতে চায় না। এই উদ্বেগ, দুশ্চিন্তার কারণে রাতে যেমন ঠিকমতো ঘুম হয় না, তেমনই দিনভর অশান্তি, উৎকণ্ঠা কাজ করে মনে। মনকে চিন্তামুক্ত রাখতে অনেকেই অনেক ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এজন্য উপযোগী টিপসগুলো মেনে চলা উচিত। একইসঙ্গে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তার কাছে দোয়া করা উচিত। এখানে একটি দোয়া তুলে ধরা হলো, যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করবেন। 

চিন্তামুক্ত থাকার দোয়া-

حَسْبِيَ اللهُ لا إله إلا هو عَليه تَوَكّلْتُ وهو رَبُّ الْعَرشِ العَظِيْمِ

উচ্চারণ : হাসবিয়্যাল্লা-হু লা-ইলাহা ইল্লা-হুওয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।

অর্থ : আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মাবুদ নেই, তার প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।

দোয়ার ফজিলত 

হজরত আবু দারদা (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি সকাল বিকাল সাতবার সত্য দিলে (অর্থাৎ আখিরাতের প্রতি বিশ্বাস রেখে) এই দোয়া পড়বে, অথবা ফজিলতের প্রতি বিশ্বাস ছাড়া এমনিই দোয়াটি পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তাকে (দুনিয়া আখিরাতের) সব ধরনের চিন্তা থেকে হেফাজত করবেন। (আবু দাউদ)

আল্লাহর ওপর ভরসা

বিপদ-আপদ এবং যেকোনো মুহূর্তে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা উচিত। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মুমিনতো তারাই যাদের হৃদয় কম্পিত হয়, যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং তাঁর আয়াত তাদের কাছে তেলাওয়াত করা হয়, তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপরেই নির্ভর করে’ ( সুরা আনফাল, আয়াত, ২)

অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যারা ঈমান আনে ও তাদের প্রতিপালকেরই উপর নির্ভর করে।’ (সুরা, নাহল, আয়াত : ৯৯)

অন্যত্র আল্লাহ আরো বলেন, ‘যারা ধৈর্য ধারণ করে এবং তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে।’ ( সূরা নাহল, আয়াত : ৪২)

কোরআনের অন্যত্র আরও বর্ণিত হয়েছে ‘মুমিনদের জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিৎ।’ ( সুরা ইবরাহীম, আয়াত, ১১)

আল্লাহর ওপর ভরসা করলে তিনিই বান্দার জন্য যথেষ্ট হয়ে যান, বান্দার আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। এ বিষয়ে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে আল্লাহকে ভয় করে তিনি তার জন্য বেরোনোর পথ বের করে দেন এবং তাকে এমন স্থান থেকে জীবিকা দেন যা সে ভাবতেও পারে না। আর যে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে তিনি তার জন্য যথেষ্ট হন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তার কাজ চূড়ান্তকারী। অবশ্যই আল্লাহ প্রত্যেক কাজের জন্য একটা পরিমাপ ঠিক করে রেখেছেন।’ (সুরা, তালাক, আয়াত : ২-৩)।


আরও খবর



নেটফ্লিক্স ছাড়ছেন লিন্ডসে লোহান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নেটফ্লিক্সের দৌলতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় উত্থান পেয়েছেন লিন্ডসে লোহান। তিন বছর ধরে টানা তিনটি ছুটির আমেজের রোমান্টিক কমেডি করেছেন তিনি। ২০২২ সালের ‘ফলিং ফর ক্রিসমাস’, ২০২৪ সালের ‘আইরিশ উইশ’ এবং ‘আওয়ার লিটল সিক্রেট’ সিনেমাগুলো খুব ভালো দর্শক পেয়েছে। প্রতিটি ছবিই নেটফ্লিক্সের টপচার্টে উঠেছিল। তারমধ্যে ‘আওয়ার লিটল সিক্রেট’ প্রথম সপ্তাহেই ৩২.৪ মিলিয়ন ভিউ নিয়ে তার স্ট্রিমিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় হিট। তবু লোহান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেটফ্লিক্সে কাজ না করার। তিনি বলছেন, এখন সময় এসেছে নতুন কিছু ভাবার। এল ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি সবসময় এমন সিনেমা করতে চাই যা মানুষকে খুশি করে। একতা তৈরি করে সবার মধ্যে। কিন্তু এখন ভাবছি, এটা তো চিরকাল করতে পারি না। নেটফ্লিক্সের জন্য কাজ করা দারুণ। তবে আর করব না আমি। নতুন কিছু ভাবতে চাই।’ এই ভাবনারই প্রতিফলন ঘটছে তার পরবর্তী প্রজেক্টে। জনপ্রিয় ২০০৩ সালের সিনেমা ‘ফ্রিকি ফ্রাইডে’র সিক্যুেয়ল ‘ফ্রিকিয়ার ফ্রাইডে’ নিয়ে ফিরছেন লোহান। তার সঙ্গে থাকছেন আগের ছবির সহ-অভিনেত্রী জেমি লি কার্টিস। ডিজনির ব্যানারে তৈরি ছবিটি মুক্তি পাবে ৮ আগস্ট। সিক্যুেয়ল নিয়ে লোহানের ভাষ্য, ‘শুটিংটা ছিল খুবই মজার আর স্বচ্ছন্দ। ছবিটা দেখেও তাই লেগেছে। হালকা, প্রাণবন্ত আর দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। আমি চাই দর্শকরাও সেই আনন্দটা অনুভব করুক।’ তবে শুধু সিনেমা নয়, এবার টিভিতেও পা রাখতে চলেছেন লোহান। ভ্যারাইটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি এখন ‘কাউন্ট মাই লাইস’ নামের একটি সিরিজে কাজ করছেন। এটি একই নামের উপন্যাস থেকে নির্মিত হতে যাচ্ছে। হুলুর প্রযোজনায় তৈরি হতে যাওয়া এই সিরিজে তিনি থাকবেন নির্বাহী প্রযোজকের ভূমিকাতেও।


আরও খবর



ফুলছড়ি আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে ৬ চেয়ারম্যান আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২১ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ১২১জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর রহমান : গাইবান্ধায়  ফুলছড়ি উপজেলার আইন শৃঙ্খলা সভায়  ৭ জন চেয়ারম্যান উপস্থিত হন। এর  মধ্যে ৬ জন  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ৬ জন চেয়ারম্যান কে গ্রেফতার করতে  গিয়ে পাশ কাটিয়ে তিন নম্বর ইউনিয়ন  চেয়ারম্যান পালিয়ে যান। 


নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের আটককৃত ইউ পি চেয়ারম্যান রা হলেন। ১নং কোনচি পাড়া   ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা সেলু, ২ নং উড়িয়া উইপি চেয়ারম্যান কামাল পাশা, ৪ নং গজারিয়া  ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী খান খুশি,    ৫ নং ফুলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আজারুল হান্নান, ৬ নং এরেন্ডা বাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান আকন্দ,  ৭ নং ফজলুপুর  ইউপি চেয়ারম্যান আনসার আলী প্রামানিক, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতী নিয়ে ভোট করে তারা জয় লাভ করেন। উক্ত চেয়ারম্যানরা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে পদস্থ ছিলেন।  ফুলছড়ি থানা পুলিশ  ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ গ্রেপ্তার করেেন। ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জগৎ বন্ধু মন্ডলের  চিঠির  মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার দায়িত্বে থাকা সুদিজন আইনশৃঙ্খলা সভায়  উপস্থিত হন।    আজ বৃহস্পতিবার ১২ থেকে ১২,৪৫ মিনিট পযন্ত   আইন শৃঙ্খলা  মিটিং এর আয়োজন করেন। মিটিং শেষে নিচে নামা মাত্র উপজেলা চত্বরে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।


আরও খবর