Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

ফ্রান্স বাংলা প্রেস ক্লাবের ইফতার মাহফিল ও কমিউনিটির মিলনমেলা

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৯৭জন দেখেছেন

Image

ফ্রান্স বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে ফ্রান্সে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর প্যারিসের একটি হলে বুধবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশি কমিউনিটির সম্মানে এ ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। 

প্রেস ক্লাবের সভাপতি দেবেশ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক হিমুর পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফ্রান্স বাংলা প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি অধ্যাপক অপু আলম।  

ইফতার পূর্বে উন্মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশি কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, ইউরোপের মাল্টিকালচারের দেশ ফ্রান্সে দিন দিন বাংলাদেশি কমিউনিটির সংখ্যা বাড়ছে। দেশটিতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বহু মানুষ মেধা ও কঠোর পরিশ্রম করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ও সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এখানে রয়েছে বাংলাদেশিদের জন্যে উজ্জ্বল সম্ভাবনা। তাই সকল রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণে বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি সার্বজনীন সংগঠন এবং বাংলাদেশ হাউস প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কমিউনিটির নেতারা মূল্যবান মতামত ব্যক্ত করেন।

মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ কাশেম। অন্যান্যদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক দিলওয়ার হোসেন কয়েস, ফ্রান্স বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত ভট্টাচার্য শুভ, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী আরিফ রানা। প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাসু গোস্বামী, ফ্রান্সের বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



চাষিদের আশার আলো দেখাচ্ছে ব্রি ধান ১০৩

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৫জন দেখেছেন

Image

বালাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সদ্য উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান ১০৩ চাষে আশার আলো দেখছেন ধান চাষিরা। আমন মৌসুমে অন্য জাতের ধান চাষের চেয়ে এ জাতের ধান চাষাবাদে দ্বিগুণ ফলন পাওয়া যায়। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার চাষিরা এ ধান চাষ করে দ্বিগুণ ফলন পাওয়ায় তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। 

তাই এ জাত সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পাড়লে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং চাষিরা উপকৃত হবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপশি জাতীয় পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা চাহিদাও মিটবে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ব্রি ধান-১০৩ স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন ধান। গড় আয়ু ১২৮-১৩৩ দিন। গাছের গড় উচ্চতা ১২৫ সে. মি। কাণ্ড শক্ত, ডিগ পাতা খাড়া, ধানের ছড়া ও ধান লম্বা, চাল সোজা। ১০০০টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩.৭ গ্রাম। এ ধানের প্রোটিন এবং অ্যামাইলোজের পরিমাণ ৮.৩% এবং ২৪%। চালের আকার/আকৃতি লম্বা ও চিকন হওয়ায় ধানের দাম বেশি। বিঘা প্রতি ফলন ২৪/২৫ মণ। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে প্রতি হেক্টরে ৮.০ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

আরও জানা গেছে, ভাত ঝরঝরে। ধানে রোগ-বালাই ও পোকা-মাকড়ের আক্রমণ অনেকটা কম। সারও কম লাগে। খেত থেকে ধান কাটার পরপরই ‘রবি শস্য’ করা যায়। এ আগাম জাতের ধান চাষাবাদ করে ২ ফসলি জমিকে ৩ ফসলি ও ৩ ফসলি জমিকে ৪ ফসলে রূপান্তর করতে পারেন চাষিরা। তাই চাষিদের নিকট ব্রি ধান-১০৩ দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গত বছরের উদ্ভাবিত ব্রি ধান-১০৩ এ উপজেলায় আবাদ হয়েছে ১২০ হেক্টর। এছাড়াও ব্রি ধান-৭৫, ৮৭, ৯০ ও ৯৫ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এসব ধানের উপর গত শুক্রবার ‘খামারি মোবাইল অ্যাপের’ কার্যকারিতা যাচাই-বাচাই ও উচ্চ ফলনশীল আমন ধানের ফসল কর্তন ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ধনবাড়ীর মুশুদ্দি উত্তরপাড়ায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া বলেন, এবার ৫ বিঘা জমিতে ব্রি ধান-১০৩ আবাদ করেছি। এতে বিঘা প্রতি ২৪/২৫ মণ ফলন পেয়েছি। এলাকার অনান্য চাষিরা এ ধান চাষে আশার আলো দেখছেন।

কৃষক বদিউজ্জামান, জমির উদ্দিন, সোহরাব আলী ও খন্দকার গোলাম মোস্তফা বলেন, এ উচ্চ ফলনশীল ধান আবাদে চাষিরা বেশি লাভবান হবে। ধানে রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ নেই বললেই চলে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, ব্রি ধান-১০৩ এ আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। আমরা এ জাতের ধান চাষে চাষিদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান বলেন, ব্রি ধান-১০৩ উচ্চ ফলনশীল জাত। এ মৌসুমে যেসব চাষিরা এ ধান আবাদ করেছেন তারা দ্বিগুণ ফলন পেয়েছেন। যদি বীজ সংগ্রহ করে কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া যায় তাহলে চাষিরা লাভবান হবেন।


আরও খবর



এক ইনিংসে যত রেকর্ড গড়লেন ম্যাক্সওয়েল

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : রেকর্ডবুক তোলপাড় করা একটি ম্যাচ দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম আগে থেকেই শচীন টেন্ডুলকারের ঘরের মাঠ বলে খ্যাত। সেই ভেন্যুতে দাঁড়িয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানতাড়ার (২৯১) রেকর্ড গড়লেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্সরা। চলতি বিশ্বকাপেই রানতাড়ায় খুব বেশি সফল হওয়ার রেকর্ড নেই। যদিও এই আসরে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড গড়েছিল পাকিস্তান। সে তুলনায় আগে ব্যাট করা দলগুলোকেই বেশি জিততে দেখা গেছে।

বিশ্বকাপের ৩৯তম ম্যাচে গতকাল (মঙ্গলবার) আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া দুদলই সেমিফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে নেমেছিল। সে দৌড়ে ম্যাচের প্রায় অধিকাংশজুড়ে হাশমতউল্লাহ শহিদীর দল দাপট দেখালেও শেষ হাসিটা হেসেছেন কামিন্সরা। অথচ মাত্র ৯১ রানেই তারা ৭ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল।

সেখান থেকে ম্যাক্সওয়েল ও কামিন্স যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটি ছিল অবিশ্বাস্য। এমন দিনে রেকর্ডের খাতা এলোমেলো হয়ে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। সেরকমই কিছু রেকর্ড দেখে নেওয়া যাক—

৭ উইকেট হারানোর পর ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড
ক্রিকেট ইতিহাসে দলের চরম বিপর্যয় শুরুর পরও টেল এন্ডারদের সঙ্গে গড়া জুটিতে জয়ের রেকর্ড আগেও অনেক আছে। বিশেষত দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছোঁয়ার আগেই ৭ উইকেট হারিয়েও জয়ের ঘটনা আছে ১২ বার। তবে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড এদিন গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৯১ রানেই তারা ৭ উইকেট হারানোর পর আর কোনো ব্যাটারকে না হারিয়েই তারা ২৯১ রান পেরিয়েছে।

এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে এমন নজির দেখিয়েছে অজি ইতিহাসের সাক্ষী আফগানিস্তান। স্কটিশদের ২১১ রান তাড়ায় তারা মাত্র ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল। আফগানরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে নেয় ১ উইকেটে।

সপ্তম উইকেট বা তার নিচে সর্বোচ্চ রানের জুটি
এতদিন পর্যন্ত ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি ছিল ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও আদিল রশিদের যৌথভাবে করা ১৭৭ রানের। সেই রেকর্ড ভেঙে গতকাল অস্টম উইকেটে এসে ম্যাক্সওয়েল-কামিন্স ২০২ রানের জুটি গড়লেন। যা সপ্তম বা তার নিচের লোয়ার অর্ডার জুটিতে সর্বোচ্চ। এই রেকর্ডে তৃতীয় স্থানে আছেন দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২০২২ সালে এই দুজনের জুটিতে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশ ১৭৪ রানের জুটি পেয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরেই ভারতের মাটিতে ১৬২ রানের জুটি গড়েছিলেন দুই নিউজিল্যান্ড ব্যাটার মাইকেল ব্রেসওয়েল ও মিচেল স্যান্টনার।

এর আগে অষ্টম উইকেটে ২০০৬ সালে কেপটাউনে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যান্ড্রু হল ও জাস্টিন কেম্প সর্বোচ্চ ১৩৮ রানের জুটি বেধেছিলেন।

ওডিআই রানতাড়ায় প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, ছয় নম্বর ও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ
ওয়ানডেতে রানতাড়ায় এতদিন পর্যন্ত কোনো ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল না। গতকাল ১২৮ বলে ম্যাক্সওয়েল সেই কীর্তি গড়েছেন। এতদিন পর্যন্ত রানতাড়ায় সবচেয়ে বেশি রান ছিল পাকিস্তানের ফখর জামানের। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৩ রান করেছিলেন। ২০১১ সালে শেন ওয়াটসন অপরাজিত ১৮৫ রান করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৫ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলি সমান ১৮৩ রান করেন।

এছাড়া ফরম্যাটটিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এদিন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানও করেন ম্যাক্সওয়েল। শেন ওয়াটসনের করা ১৮৫ ছিল এতদিন পর্যন্ত কোনো অজি ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ম্যাক্সওয়েলের ২০১ তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর ওপরে আছে ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলের ২৩৭* ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের ২১৫।

এছাড়া ওয়ানডেতে ছয় বা এর নিচে ব্যাটে নেমে সর্বোচ্চ রানও করেছেন অজি ব্যাটার। আগের সর্বোচ্চ রান ছিল কপিল দেবের ১৭৫*, ১৯৮৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

বিশ্বকাপে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি, ওয়ানডেতে দ্বিতীয়
ম্যাক্সওয়েলের গতকালের দ্বিশতক ওয়ানডে বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুততম। এই কীর্তি গড়তে গতকাল আফগানদের বিপক্ষে ১২৮ বল খেলেছেন। তবে ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুততম দ্বিশতকের রেকর্ড ভারতীয় ব্যাটার ইশান কিষাণের। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০২২ সালে ১২৬ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফরম্যাট বিবেচনায় তার পরই অবস্থান ম্যাক্সওয়েলের। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে ক্রিস গেইল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৪ বলে ডাবল ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেছিলেন।

ছক্কার রেকর্ড
দ্বিশতক পূর্ণ করতে গতকাল এই অজি ব্যাটার ১০টি ছক্কা মেরেছিলেন। বিশ্বকাপে যা অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ৯ ছক্কার, এবারের বিশ্বকাপেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচেই যা গড়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ।

বিশ্বকাপের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছয় মারার রেকর্ডে ম্যাক্সওয়েলের সামনে আছেন চারজন। ইয়ন মরগান ২০১৯ সালে আফগানদের বিপক্ষে এক ইনিংসে ১৭টি ছয় মেরেছিলেন। ২০১৫ আসরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিস গেইল মেরেছিলেন ১৬টি ছয়। একই আসরে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে ১১টি এবং চলতি আসরে কিউইদের বিপক্ষে সমান ১১টি ছয় মারেন পাকিস্তানের ফখর জামান।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৪জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রানে অলআউট হলো নিউজিল্যান্ড। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করবে বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৩১০ রানে অলআউট হয়ে যায়। হাতে দুই উইকেট নিয়ে ৪৪ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে আজ নিউজিল্যান্ডকে লিডটা বড় করতে দেননি মুমিনুল হক সৌরভ। ১০১.১ ওভারে কাইল জেমিসনকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলার পর একই ওভারের পঞ্চম বলে টিম সাউদিকেও বোল্ড করেন।

নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ১০৪ রান করেন কেইন উইলিয়ামসন। এছাড়া গ্লেন ফিলিপস ৪২, ড্যারিল মিচেল ৪১, টিম সাউদি ৩২, কাইল জেমিসন ২৩, টম ল্যাথাম ২১, ডেভন কনওয়ে ১২ এবং হ্যানরি নিকোলস ১৯ রান করেন। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোঠা। এজাজ প্যাটেল ১ রানে অপরাজিত।

এর আগে গতকাল বুধবার একাধিক বার জীবন পাওয়া কিউইদের অভিজ্ঞ ব্যাটার কেন উইলিয়ামসন উইলিয়ামসন শতক তুলে নেন। এতে তাদের দলীয় সংগ্রহও অনেকটা বাড়ে। দিনের শেষদিকে উইলিয়ামসনকে আউট করতে সফল হয় বাংলাদেশের বোলাররা। দিনের খেলা শেষের ৪ ওভার আগে নতুন বল পেয়ে জ্বলে ওঠেন তাইজুল ইসলাম। ১০৪ রান করা উইলিয়ামসনকে বিদায়ের পর সোধিকেও ফেরান। দিন শেষে ৮৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন তাইজুল। দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৬ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড।


আরও খবর



কবজি ব্যথা: কারণ ও করণীয়

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১জন দেখেছেন

Image

কবজির ব্যথা নিয়ে অনেককেই চিকিৎসকের কাছে আসতে দেখা যায়। এ সময় বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীতে বেশি ব্যথা অনুভূত হয়। কখনো বৃদ্ধাঙ্গুলের পাশ দিয়ে ওপরের দিকে এই ব্যথা হয়। রাতে হাত অবশ হয়ে আসে। অস্থিরতায় ঘুম ভেঙে যায়। কবজির বা বৃদ্ধাঙ্গুলির ব্যথা অনেক কারণে হতে পারে, ডিকোয়ারভ্যান টেনো-সাইনোভাইটিসের মধ্যে অন্যতম।

আমাদের কবজি থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে যে টেনডন থাকে, সেখানে যখন প্রদাহ হয়, তখন এটিকে ডিকোয়ারভ্যান টেনো-সাইনোভাইটিস বলা হয়। সাধারণত মধ্য বয়স্ক নারীরা এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়। কারণ এটি  বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন- আঘাতজনিত কারণ, হাত দিয়ে ভারী কিছু উঠানো, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, একটানা লেখালেখি করা, দাঁ, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি করা, ড্রিল মেশনি ব্যবহার করা।

রোগ নির্ণয় : সাধারণত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লিনিক্যালি এই রোগটি নির্ণয় করতে পারেন। তবুও কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেকের কবজির এক্সরে ও রক্তের পরীক্ষার প্রয়োজন পড়ে।

চিকিৎসা : এ ক্ষেত্রে ওষুধের পাশাপাশি  ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। প্রয়োজনে কিছু ক্ষেত্রে ইনজেকশন দেওয়াও লাগতে পারে।

সতর্কতা : এ সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম গ্রহণ করতে হবে। হাতের কবজির ওপর চাপ পড়ে এমন কাজ এড়িয়ে চলতে হবে। পাশাপাশি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

করণীয় : হাত দিয়ে ভারী কিছু উঠানো যাবে না। কাপড়চোপড় চিপা যাবে না। টিউবওয়েল চাপা যাবে না। একটানা বেশিক্ষণ লেখালেখি না করা। দা, কোদাল বা কুড়াল দিয়ে কাটাকাটি না করা। ড্রিল মেশিন ব্যবহার না করা। কাজ করার সময় বিশেষ ধরনের ব্যান্ড ব্যবহার করা।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




সাগরে লঘুচাপ, তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে। ফলে দেশের তিন বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সকালে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি ঘণিভূত হয়ে সুষ্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো ঘণিভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবারের (১৬ নভেম্বর) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকংশ জায়গায় এবং সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

শুক্রবারের (১৭নভেম্বর) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত  পাঁচ দিনের আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।


আরও খবর