Logo
আজঃ শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24
শিরোনাম
বাকৃবির নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারদের প্রতি উদারতা দেখানোর কোনো প্রশ্নই আসে না : মো. নাহিদ ইসলাম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড গঠন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ফাউন্ডেশনে একশ’ কোটি টাকা অনুদান আহত-নিহতদের জন্য সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভে মহাসড়কে যানজট

গাজার আল-শিফা হাসপাতালে অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ২১৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফায় ঢুকে পড়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভিত্তিহীন গোয়েন্দা সূত্রে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য রয়েছে হামাস আল-শিফাসহ গাজার হাসপাতালগুলোতে অবস্থান করছে।’

এ কথা বলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শুরু হয়েছে অভিযান।

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় ট্যাংক ও বুল্ডোজার নিয়ে ঢুকেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। হাসপাতালটিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সদস্যরা লুকিয়ে আছেন ও সেখান থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে আগে থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিল ইসরায়েল। তবে ফিলিস্তিন এ অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, ইসরায়েলকে আরও উসকে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।

ইসরায়েল বলছে, এ অভিযান ‘প্রয়োজন’ ছিল।

অন্যদিকে গাজার সব হাসপাতাল পরিদর্শনের জন্য জাতিসংঘের প্রতি একটি আন্তর্জাতিক কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে হামাস। আবার আল-শিফা হাসপাতালের কর্মচারী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, ‘হামাস হাসপাতালকে ব্যবহার করছে না। হাসপাতালের নিচে কোনো ঘাঁটি নেই। শুধু শুধু হাসপাতালগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।’

এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হাসপাতালে অভিযানের পেছনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়ী বলে অভিযোগ করেছে হামাস। তারা মনে করছে, বাইডেন এ বিষয়ে ইসরায়েলকে ইন্ধন দিচ্ছে।

তবে ইসরায়েলের দাবি, আল শিফা হাসপাতালের নিচে হামাসের ভূগর্ভস্থ ঘাঁটি রয়েছে। তারা বেসামরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে হামাস।


আরও খবর

রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে ভারত

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ভারতে কি আদৌ ইলিশ রপ্তানি হবে?

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে এ কে এম সহিদের নিয়োগ স্থগিত

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে প্রতিষ্ঠানটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম সহিদের নিয়োগ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠতম উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবিলম্বে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ কে এম সহিদের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করা রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৫ সেপ্টেম্বর রুলসহ এই আদেশ দেন।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আদালতের আদেশটি নিশ্চিত করেছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।

তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম সহিদের নিয়োগ কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর দফায় দফায় তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত বছরের ১৪ অক্টোবর সপ্তমবারের মতো ওই পদে আরও তিন বছরের জন্য নিয়োগ পান তিনি। দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অভিযোগ থাকার পরও তাকসিমকে একই পদে দীর্ঘ সময় রাখা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ২০০৯ সালের পর থেকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ে ১৬ বার।

গত ১৫ বছরে ঢাকা ওয়াসায় একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন তাকসিম এ খান। ওয়াসার আইন অনুযায়ী, ঢাকা ওয়াসা পরিচালিত হওয়ার কথা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বোর্ডকে পাশ কাটিয়ে ঢাকা ওয়াসাকে পরিচালনা করেছেন বিতর্কিত এই ব্যক্তি। এ নিয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দ্বন্দ্বের ঘটনাও ঘটে। এতে তাকসিমের কিছুই হয়নি। বরং তার অনিয়ম, অপচয় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়ায় সরে যেতে হয় সংস্থাটির সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফাকে। ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে তাকসিমের মাসিক বেতন ছিল ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। সর্বশেষ করোনা মহামারির মধ্যে একলাফে ওয়াসার এমডির বেতন বাড়ানো হয়েছিল পৌনে দুই লাখ টাকা।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৪ আগস্ট ওয়াসার এমডি পদ থেকে পদত্যাগ করেন তাকসিম। পরদিন তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা দ্রুততম সময়ের মধ্যে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর বিধান অনুসারে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করবে। নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা ওয়াসায় কর্মরত জ্যেষ্ঠতম উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সব দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে হিসেবে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) এ কে এম সহিদ উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ওয়াসা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনিসুজ্জামান শাহীন খান। এ রিটে প্রাথমিক শুনানির পর রুলসহ আদেশ দেন উচ্চ আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ।

এ কে এম সহিদ উদ্দিন ২০১৬ সালে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে অবসরে যান। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরামর্শক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর ২০১৮ সালের এপ্রিলে তাকে দুই বছরের চুক্তিতে পরিচালক (কারিগরি) হিসেবে নিয়োগ দেন তৎকালীন এমডি তাকসিম এ খান। অথচ ঢাকা ওয়াসার জনবলকাঠামোয় এমন কোনো পদ নেই। তাকসিম খান নিজ ক্ষমতাবলে এ পদ সৃষ্টি করে সহিদ উদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওয়াসার অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর।



আরও খবর

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ছে

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




৭ বছর পর নিখোঁজ ছেলেকে ফিরে পেলেন মা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

সাত বছর আগে ছেলেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন মা হনুফা খাতুন (৬০)। ছেলে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। ভেবেছিলেন হারানো ছেলেকে মৃত্যুর আগে আর ফিরে পাবেন না। ফিরে পাওয়ার আশাও ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত আদরের ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন। রাজশাহীর বাগমারার কুমারপুর গ্রামের বাসিন্দা মামুনুর রশিদের প্রচেষ্টায় গতকাল বুধবার হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়েছেন মা হনুফা।

মামুনুর রশিদ বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের একটি সারের দোকানের সামনে এক যুবককে দেখতে পান তিনি। গায়ে ময়লা ও ছেঁড়া জামা। ট্রাউজার পরা অবস্থায় দোকানের বারান্দায় শুয়ে ছিলেন ওই যুবক। কাছে গিয়ে বুঝতে পারেন, ওই যুবক মানসিক প্রতিবন্ধী। যুবককে নিজ বাড়িতে নিয়ে খাবার দেন তিনি। খাওয়ার পর বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যরা পরের দিন গোসল করিয়ে পোশাক পরিবর্তন করে দেন। যুবকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। তিনি কোনো কথা বলছিলেন না তিনি। হতাশ হননি তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁর কলেজপড়ুয়া ছেলে ওই যুবকের সঙ্গে ভাব বিনিময়ের চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। পরে ১৭ সেপ্টেম্বর যুবকের কাছে কলম ও সাদা কাগজ দিলে তিনি তাঁর নাম লেখেন হারুনুর রশিদ। সেই সঙ্গে তাঁর বাবার নাম: নজরুল ইসলাম, গ্রাম: কালাপাড়া, উপজেলা: নালিতাবাড়ী ও জেলা শেরপুর বলে উল্লেখ করেন।

ঠিকানা পাওয়ার পর যুবকের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেন মামুনুর রশিদ। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল করে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করেন। ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবক সম্পর্কে জানান। ওসির মাধ্যমে কালাপাড়া গ্রামের এক গ্রাম পুলিশ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন মামুনুর রশিদ। একপর্যায়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হারুনের পরিচয় বিষয়ে নিশ্চিত হন। শেষ পর্যন্ত গতকাল বুধবার পরিবারের সদস্যদের কাছে হারুনকে হস্তান্তর করেন মামুনুর রশিদ।




আরও খবর

হাতিয়ায় ২১ ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ৭ জেলে

সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪




হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে খালেদা জিয়াকে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ৭২জন দেখেছেন

Image

পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে। 

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বিএনপির চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার  বলেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওনাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত ২১ আগস্ট দেড় মাসের মতো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় আনা হয় খালেদা জিয়াকে। 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। গত ২৩ জুন তার সফল অস্ত্রোপচার হয়।উন্নত চিকিৎসার জন্য যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে যুক্তরাজ্য নেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।


আরও খবর

গণপিটুনিতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এবার পদত্যাগ করলেন ইউজিসির আরেক সদস্য

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন। 

রোববার রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তিত হয়েছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। যে কোন নতুন সরকারের দেশ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ভিন্ন চিন্তা-ভাবনা থাকবে, আর এটাই স্বাভাবিক! সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রার্থনা করছি।’

এর আগে সকালে আলোচিত সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন।

পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য পদে দ্বিতীয় মেয়াদে কর্মরত আছি। ব্যক্তিগত কারণে উক্ত পদে আমার পক্ষে দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না বিধায় আমি অদ্য ৮ সেপ্টেম্বর উল্লিখিত সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছি এবং আমি আমার পূর্বের কর্মস্থল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপকের (গ্রেড-১) মূল পদে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পুনঃযোগদান করব।’

শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ইউজিসি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। এরপর আলমগীরকে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাকে এ দায়িত্ব দেওয়ার পর বিক্ষোভ করেন ইউজিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলন করেন কুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলীরা।

তাদের অভিযোগ আলমগীর ভিসি থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীদের নির্যাতন করেন।‌

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন ১৬ জুলাই মধ্যরাতে হঠাৎ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকি প্রতিষ্ঠান মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সব শিক্ষার্থীকে হল ছাড়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সমন্বয় করে এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন ইউজিসির তৎকালীন চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর।


আরও খবর

শাবির নতুন ভিসি সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




গণহত্যায় জড়িতদের ক্ষমা করার অধিকার কারও নেই: জামায়াতের আমির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০24 | ১১১জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আমরা বলেছি আমরা প্রতিশোধ নিব না- এর মানে হচ্ছে আমরা নিজের হাতে আইন তুলে নিব না। কিন্তু যিনি সুনির্দিষ্ট অপরাধ করেছেন- তার বিরুদ্ধে মামলা হবে এবং তাকে শাস্তি পেতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে এবং গত সাড়ে ১৫ বছরে যেসব অপরাধ করা হয়েছে তার বিচার করতে হবে।’ আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। আমিরে জামায়াত বলেন, ‘বিগত সরকার ক্ষমতার লোভে জেদের বশবর্তী হয়ে সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছে। সরকার শুধু স্থলভাগেই নয়, আকাশ থেকেও গুলি চালিয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের হত্যা করেছে। স্বাধীন দেশে পরিচালিত এই গণহত্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাই খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। দল হিসেবে সাড়ে ১৫ বছর পরে আমাদের সাথে বৈরী আচরণ করা হয়েছে। আমাদের নিবন্ধন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। শেষ মুহূর্তে সরকার দিশেহারা হয়ে আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছে।’ গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে জামায়াতের আমির দেশে হিংসার ও প্রতিশোধের রাজনীতির অবসান চেয়ে বলেছিলেন, ‘দল হিসেবে আমাদের ওপর যা করা হয়েছে, আমরা আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিলাম।’ এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়। এমন পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনার সরকার সুস্পষ্ট গণহত্যা চালিয়েছিল। এ গণহত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষমা করার অধিকার কারও নেই।’ জামায়াতের আমির বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিষ্ঠুরভাবে দমনের চেষ্টা করেছে সরকাল। কোনো মূল্যে গদি টিকিয়ে রাখতে হবে, এই জেদ ধরে শত শত মানুষকে হত্যা করা হয়। এটা ছিল সুস্পষ্ট গণহত্যা। শুধু স্থলভাগে নয়, আকাশ থেকেও গুলি চালানো হয়েছে। ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়ে যাদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের লাশ গুম করে দেওয়া হয়েছে।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়া আশুলিয়ায় ভ্যানভর্তি মানুষের মরদেহের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সেখানে ট্রাকের (ভ্যান) ওপর লাশের স্তূপ। তারপর ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে আগুন। আমরা কোন সভ্যতায় বসবাস করছি। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাব, এই গণহত্যা যারা সংঘটিত করেছে, অবশ্যই তাদের বিচারের আওতায় আনতেই হবে।’ জামায়াতের আমির ধনী-ব্যবসায়ী লুটেরাদের বিচার ও তাদের ক্ষমা না করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘গরিব দেশের কিছু চতুর ধনী জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করে, ব্যাংকগুলো ফোকলা করে দেশের বাইরে অর্থ নিয়ে গেছে। এই অর্থ ১৮ কোটি মানুষের। এদের আইনের আওতায় এনে অর্থও ফিরিয়ে আনতে হবে। এদের কোনোভাবেই ক্ষমা করা যায় না।’ বক্তব্যের শুরুতে জামায়াতের আমির একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দলের পাঁচজন শীর্ষ নেতাকে ‘মিথ্যা তথ্য ও সাজানো আদালতের রায়ে’ ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এই পাঁচজনসহ ১১ জন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ও প্রয়াত নেতাকে তিনি স্মরণ করেন। দীর্ঘ বক্তব্যে শফিকুর রহমান বিগত সাড়ে ১৫ বছরে সারা দেশে দলের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, নির্যাতন, কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া, গ্রেপ্তার, মামলার ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘শুধু জামায়াত নয়, বিরোধী দল বিএনপি, হাজারো ওলামায়ে কেরামের ওপর একই ধরনের তাণ্ডব চালানো হয়েছিল। যদিও জামায়াতের ওপর তাণ্ডব ছিল ভিন্নমাত্রা, ভিন্ন গভীরতার।’ শত শত ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত এ পরিবর্তনকে কেউ যাতে ব্যর্থ করে দিতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাড়ে ১৩ বছর পর দলের সারা দেশের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্যদের সরাসরি উপস্থিতিতে এ অধিবেশন হয়


আরও খবর

গণপিটুনিতে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪