Logo
আজঃ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জবাই করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক

গাজায় গর্ভবতী নারী ও নবজাতকদের ঝুঁকি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি জাতিসংঘের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সাড়ে ৭ হাজার।

এই পরিস্থিতিতে গাজায় গর্ভবতী নারী ও নবজাতকদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জাতিসংঘ। এমনকি ইসরায়েলি অবরোধে সরবরাহ বন্ধ থাকা খাবার, পানি, ওষুধ, জ্বালানির ওপরই তাদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি নির্ভর করছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাদ্য, পানি, ওষুধ, প্রসূতি চিকিৎসা ও জ্বালানির ঘাটতির কারণে গাজায় হাজার হাজার গর্ভবতী নারী ও নবজাতকের স্বাস্থ্যের বিষয়ে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে রোববার সতর্ক করেছে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের অফিস (ওসিএইচএ) বলেছে, ‘গাজায় যুদ্ধ চলছে এবং এর মধ্যেই সেখানে প্রায় ৫০ হাজার নারী গর্ভবতী অবস্থায় রয়েছেন। প্রতিদিন ১৮০ জনেরও বেশি নারী সন্তান প্রসব করছেন এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও হাজার হাজারের নারী সন্তানের জন্ম দেবেন।’

ওসিএইচএ আরও বলেছে, ‘এসব গর্ভবতী নারীর স্বাস্থ্য এবং তাদের নবজাতকের স্বাস্থ্য মূলত খাদ্য, পানি, ওষুধ, জ্বালানি এবং প্রসূতি মায়েদের চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রবেশের ওপর নির্ভর করছে।’

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।

পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল- আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার মানুষকে আটকে রেখেছে ইসরায়েল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোতে ‘ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক’ পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুসহ আরও বহু রোগী ‘দুঃখজনকভাবে’ মারা যাচ্ছে।

অন্যদিকে জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

উত্তর গাজায় অবস্থিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালের প্রধান আহমেদ আল-কাহলুত আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হাসপাতালের প্রধান জেনারেটরের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে, এতে করে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।


আরও খবর

আপেলের আমদানি বাড়লেও কমেছে মাছ, আনার, কমলার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার রাত ৮টায় মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এদিকে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা আগামী সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে শিক্ষকদের উদ্দেশে ‘উন্মুক্ত বিতর্ক’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আহবান জানান।  বিতর্কে শিক্ষকরা যদি পোষ্য কোটা নিয়ে যৌক্তিকতা দেখাতে পারেন তাহলে এই কোটা বহাল থাকবে, অন্যথায় এই কোটা বাতিল করতে হবে।

এ সময় তারা- ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘পোষ্য কোটা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘আপস না মৃত্যু, মৃত্যু মৃত্যু’, ‘মেধাবীদের কান্না আর না, আর না’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘আপস না বিপ্লব, বিপ্লব বিপ্লব’, ‘মেধাবীদের একশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। 

বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করার পরও আমাদের সঙ্গে বাবার কোটার ক্ষমতা দেখানো হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো প্রকার বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা থাকবে না। হয় স্থিতিশীল বাংলাদেশ থাকবে নয়তো পোষ্য কোটা থাকবে। পোষ্য কোটা ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ একসঙ্গে থাকতে পারে না। জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা নয়, সকল প্রকার কোটার অবসান চেয়েছি। তাই এখনো পোষ্য কোটা বহাল থাকায় জুলাই বিপ্লবের চূড়ান্ত লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সকল কোটা হারাম পোষ্য কোটা আমার তা হবে না। অন্য কোটা অবসান চান কিন্তু নিজেদের বেলায় কেনো নয়। পোষ্য কোটার কবর রচনা রাজশাহী থেকেই হবে। আপনারা যদি পোষ্য কোটা বহাল রাখতেই চান তবে আগামী পরশু সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত মঞ্চে উন্মুক্ত বিতর্কের আহবান রইলো। সেখানে আপনারা পোষ্য কোটার যৌক্তিক কারণ দেখাবেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান মারুফ বলেন, জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিল কোনো প্রকার কোটা থাকবে না, কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো পোষ্য কোটা বিদ্যমান আছে। যদি রক্ত দিতে হয় রক্ত দেব তাও পোষ্য কোটা মেনে নেব না। এই পোষ্য কোটার কবর রাজশাহীতেই রচিত হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল শাহরিয়ার সুমন বলেন, ১৪ নভেম্বর আমরা অনশনে বসেছিলাম ভিসি স্যার আমাদের আশ্বাস দিয়েছিলেন তবে এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি। কোটা বাতিলের জন্য আমাদের ভাই জীবন দিয়েছে। কোটা প্রথা সংস্কার না হলে আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, পোষ্য কোটা এক প্রকার জুলুম। এ জুলুম নিরসনে আমরা বরাবরই সোচ্চার। জুলাই অভ্যুথানে রক্তের ওপর দিয়ে আপনারা চেয়ারে বসেছেন। এখন তারাই স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। এটাকে আপনারা সুবিধা বলছেন। শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেটের বাইরে দিয়ে কেউ চেয়ারে থাকতে পারবে না। পোষ্য কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও রাবি শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মিশকাত চৌধুরী বলেন, কোটা ইস্যু বাংলাদেশে একটা মীমাংসিত ইস্যু। নতুন করে যারা কোটাকে পুনরায় প্রতিস্থাপন করতে চাচ্ছেন তাদের উৎখাত করা হবে। হাসিনা যে পথে পালিয়েছে তারাও সে পথে পালাতে বাধ্য হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্ত নাম্বার পেয়েও চান্স পায় না, পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থীরা ফেইল করেও ভালো সাবজেক্টে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। পরে অমুক ভাইয়ের ছেলে তমুক ভাইয়ের মেয়ে নামে চাকরি পেয়ে যায়। এটা তেলে মাথায় তেল দেওয়ার মত একটা বিষয়। বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের যে কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি সেখানে কোনো প্রকার কোটা প্রথা থাকবে না। কোনো অমেধাবী অযোগ্যরা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ না করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবে না।  এসময় বিক্ষোভ  সমাবেশে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

 

আরও খবর

চুয়েটের ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




জাতীয় দলের পর ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা সাকিবের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। ওয়ানডে খেলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও জাতীয় দলের জার্সিতে এই ফরম্যাটে আদৌ আর দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে সিরিজের জন্য ঘোষিত দলেও তাকে রাখা হয়নি।

জাতীয় দলের পাশাপাশি দেশের মাটিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও সাকিবের খেলা অনিশ্চিত। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন মৌসুমে এই অলরাউন্ডারের চিটাগং কিংসের হয়ে খেলার কথা ছিল। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন দেশের শীর্ষ এই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে তার খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

বিপিএলে সাকিবের খেলার সম্ভাবনা নিয়ে শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিপিএলে তার দল চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আমিও ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি এটার উত্তর দিতে দিতে। আমাদেরকেও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। আমার সঙ্গে কথা হয়েছে (সাকিবের)। কয়েকটি প্রশ্ন করেছিলাম তাকে সম্প্রতি কিছু নিউজ দেখার পর। উনি বলেছেন এর একটিও সত্যি না। উনি এগুলো বলেনি।’

সাকিবকে নিয়ে ধোঁয়াশার কথা জানিয়ে সামির কাদের বলেন, ‘আসার ব্যাপারে এখনও উনি কিছু বলেননি। পজিটিভও বলতে পারছি না। এটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। যেহেতু উনি দেশের হয়ে এই মুহূর্তে খেলতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে এখনো ওইভাবে আমাকে কিছু বলেনি।’

সাকিব না থাকলে অন্য ক্রিকেটার নেওয়া নিয়ে সামির বলেন, ‘সবার সঙ্গেই আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেব। সাকিবের বিকল্প নিয়ে আমাদের কিছুটা সমস্যায় পড়তে হতে পারে। বাঁহাতি স্পিনার কম পড়ে যাবে। আমরা স্থানীয় কোনো বাঁহাতি স্পিনার নিতে পারি।’


আরও খবর



সেনাদের ধর্ষণে কারাগারেই জন্ম নিয়েছে অসংখ্য শিশু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৫৯জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ার সেদনায়া কারাগারে বর্বরতার আরেক ইতিহাস যেন রচিত হয়েছে। প্রতিটি সেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে নারীদের। কুখ্যাত বন্দিশালার এই অংশে এসে বিস্ময়ের চরমে বিদ্রোহীরা। শত শত বন্দি নারীকে মুক্ত করেছে বিদ্রোহীরা। অনেক নারী বন্দিই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বন্দিদশা থেকে মুক্তির ঘটনা।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থা বলছে, সেদনায়াসহ এসব কারাগারে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি থাকা নারীদেরও পাওয়া গেছে। এমনকি কিশোরী অবস্থায় আটকের পর বন্দি করা হয়েছে অনেকেকেই।

বন্দি নারীদের ওপর ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন নিপীড়ন চালাতো আসাদ সেনারা। বিদ্রোহীরা এসব নারী বন্দিদের মুক্তি দেয়ার সময় অনেক শিশুকেও দেখা যায়। পিতৃ-পরিচয়হীন এসব শিশু জন্মের পর থেকেই বন্দি জীবন পার করে আসছিল মায়ের সাথেই।

কারাবন্দি এসব নারীদের ছিল না কোনো নাম। কয়েদি নাম্বার ধরেই ডাকা হতো তাদের। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, সিরিয়ার বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা ১ লাখ ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ মুক্তি পেয়েছেন।


আরও খবর



সংস্কারের জন্য ৩-৪ মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : সংস্কারের জন্য তিন বা চার মাসের বেশি সময়ের প্রয়োজন দেখে না বিএনপি। দলের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিটির সদস্যরা মনে করেন- নতুন করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা করা সময়ের অপচয়। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিএনপির গুলশান অফিসে সংবাদ সম্মেলনে তারা একথা বলেন।

এ সময় নেতারা বলেন- যাদের নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রক্রিয়া কলঙ্কিত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়া এবং অভিযুক্তদের আগামীতে কোন নির্বাচনী কাজে আর যুক্ত না করার সুপারিশ করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা না করে বরং হালনাগাদের পরামর্শ তাদের।

এ সময় সংবিধানে আরপিও সংশোধন, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভূমিকা, এনআইডির ক্ষমতা ইসিতে অপর্ণসহ নির্বাচন সংক্রান্ত ১৭টি সুপারিশ তুলে ধরেন তারা। যারা দীর্ঘদিন ভোট দিতে পারেনি তাদেরকে একটি সুষ্ঠু পরিবেশের মাধ্যমে কেন্দ্রে নিতে চায় বলেও জানান বিএনপি নেতারা।


আরও খবর



সিরিয়ার অবসান ঘটলো প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ যুগের

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ শাসনের সমাপ্তি ঘটেছে বলে সিরিয়ান কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন দেশটির সেনা কমান্ডার। বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত সিরিয়ার একজন কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা বলছেন, সিরিয়া এখন আসাদ থেকে মুক্ত। এর আগে সিরিয়ার দুইজন সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, আসাদ প্লেনে করে দামেস্ক ছেড়েছেন। তবে তিনি ঠিক কোথায় গেছেন- সেই সম্পর্কে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। 

ফ্লাইটরাডার ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে, দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে সিরিয়ার একটি বিমান উড্ডয়ন করেছে। এরপর বিমানটি সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের দিকে যায়। তবে আচমকা বিমানটি ইউ-টার্ন নিয়ে কয়েক মিনিটের জন্য উল্টো দিকে উড়ে যায় এবং ম্যাপ থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। 

বিমানটিতে কারা ছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। 

সিরিয়ার বিরোধীরা বলছেন, আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তারা আসাদ সরকারের পতনের ঘোষণা দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে সশস্ত্র বিরোধীরা বলেছেন, স্বেচ্ছাচারী শাসক আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আমরা দামেস্ককে বাশার আল-আসাদ থেকে মুক্ত ঘোষণা করছি।

বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দামেস্কে প্রবেশ করছে বিদ্রোহীরা। বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যম টেলিগ্রামে বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, আমাদের সেনারা রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দামেস্কের প্রধান স্কয়ারে হাজার হাজার লোক গাড়িতে করে এবং পায়ে হেঁটে এসেছেন। তারা হাত নাড়ছেন এবং স্বাধীনতা বলে স্লোগান দিচ্ছেন।  

বিদ্রোহীরা বলছেন, আমরা সিরিয়ার জনগণের সঙ্গে আমাদের বন্দীদের মুক্ত ও তাদের শিকল ভাঙ্গার এবং সেদনায়া কারাগারে অবিচারের যুগের সমাপ্তি ঘোষণা করার সংবাদ উদযাপন করছি। 

রাশিয়া এবং ইরান বাশার আল-আসাদ সরকারকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল। বাশার আল-আসাদ ২০০০ সাল থেকে সিরিয়ার ক্ষমতায় রয়েছেন। এর আগে তার বাবা হাফেজ আল-আসাদ ২৯ বছর দেশটি শাসন করেছিলেন। 

 

আরও খবর