Logo
আজঃ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জবাই করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৩ হাজার ১৬০ জন ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ১০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ১৬৩ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ১ হাজার ৫১০ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ১০২ জন নিহত এবং আরও ২৮৭ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।




আরও খবর



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলে ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থীই পোষ্য কোটায় ভর্তি

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

রাবি প্রতিনিধি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও একটি ‘রিভিউ কমিটি’ গঠন করেছেন। তবে স্নাতক পর্যায়ে পোষ্য কোটা ভর্তির তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে পোষ্য কোটায় ভর্তির হার আরও বেশি। স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোটা শতকরা ৪ শতাংশ থাকলেও স্কুল পর্যায়ে ভর্তিতে এই কোটার হার ৮৭ শতাংশ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এখানে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য। ক্যান্টনমেন্ট স্কুলগুলোতে যেমন সেখানকার নিযুক্ত কর্মকর্তাদের সন্তানরাই লেখাপড়া করতে পারেন। সেই একই উদ্দেশ্যে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তবুও বাইরের কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। যদিও সেটা খুবই নগণ্য। তবে বর্তমান ছাত্রনেতারা বলছেন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পোষ্য কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।

গত ২০ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম শ্রেণির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ১২০টি আসন সংখ্যার মধ্যে অভ্যন্তরীণ ১০৫ এবং বহিরাগত ১৫ টি। বিজ্ঞপ্তিতে অভ্যন্তরীণ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারী/সহায়ক/সাধারণ কর্মচারী/নিয়মিত মাস্টাররোল কর্মচারী ও ডাইনিং কর্মচারীর সন্তানদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। অন্যদিকে নিয়মিত শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, তাদেরকে প্রতিপাল্য বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

পোষ্য কোটার যৌক্তিকতা নেই জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারীজ বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, গত জুলাই-আগস্টে আমাদের হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, এই শহিদদের একটাই দাবি ছিল কোটা প্রথা নিপাত যাক। আমি একজন বিবেকবান মানুষ হিসেবে এই কোটা আর দেখতে চাই না। সবাই ক্লাসে একই মেধাতে ক্লাস করবে। দুইটা ভিন্ন মেধার শিক্ষার্থী একই ক্লাস বুঝতে পারেন না। যে শিক্ষার্থী কোটায় ভর্তি হয়, তার সঙ্গে মেধায় ভর্তি শিক্ষার্থীর জ্ঞানের পার্থক্য থাকে। ওই প্রেক্ষাপট থেকে বর্তমানে কোটা রাখার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমি মনে করি অবশ্যই এটা বৈষম্য। ছাত্র জনতার জুলাই বিপ্লবের পরে সব জায়গায় মেধার ভিত্তিতে সুযোগ পাবে এটাই আমরা দেখতে চাই। একজন দিন মজুরের ছেলে যেভাবে মেধার ভিত্তিতে চান্স পায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তানও যেন সেভাবেই সুযোগ-সুবিধাটা পায় এটাই আমাদের চাওয়া।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এখানে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য। ১৯৬৬ সাল থেকে পোষ্য কোটার জন্য আলাদা আলাদা বরাদ্দ রাখার বিষয়ে নীতিমালা রয়েছে। সেই অনুযায়ী পোষ্য কোটা নিয়েই ভর্তি চলছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ছিল এখানকার যারা শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের সন্তানরা পড়ালেখা করবে।


আরও খবর

চুয়েটের ১১ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




৩৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে গেম ও অ্যাপ কাজেই এল না

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: আলাদা তিনটি কর্মসূচি নেয়ার পর আবার ৩৩০ কোটি টাকার মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রকল্প নিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। তবে ওই প্রকল্পের আওতায় তৈরি বেশির ভাগ গেম ও অ্যাপ কোনো কাজে আসছে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঘুরেফিরে নিজেদের লোকদের কাজ দিতে এসব প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। এ প্রকল্পের মোট অর্থের ১৭ শতাংশের বেশি শেখ পরিবারের নামে সিনেমা ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে ‘মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এ প্রকল্প নেয়া হয়। তিন দফায় মেয়াদ বেড়ে এ প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩০ কোটি টাকা। চলতি ডিসেম্বরে যা শেষ হবে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, প্রকল্পটির পিসিআর প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। প্রকল্পে প্রশিক্ষণ বাবদ ১৩৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে। অ্যাপ ও গেম তৈরিতে ব্যয় হয় ১৬৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮টি গেমিং ও অ্যাপস ল্যাব করা হয়েছে।

কাছের লোকদের জন্যই প্রকল্প

ডিজিকন টেকনোলজিসের সঙ্গে যৌথভাবে মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশনস লিমিটেড (এমসিসি) সবচেয়ে বেশি কাজ পেয়েছে। প্রকল্পে এই দুই কোম্পানি ৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার কাজ পায়।

খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিযোগ, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এমসিসি অনেক কাজ পেয়েছে। এমসিসিকে পরে এনডিই ইনফ্রাটেক কিনে নেয়।

এমসিসির প্রধান নির্বাহী ও এনডিই ইনফ্রাটেকের পরিচালক মো. আশরাফ খান দাবি করেন, সম্পর্ক নয়, তিনি প্রতিযোগিতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কাজ পেয়েছেন। ডিজিকন টেকনোলজিসের প্রধান ওয়াহেদ শরীফ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু বলে প্রচলিত রয়েছে। আইসিটি খাতে তার একচেটিয়া প্রভাব ছিল। সরকার পতনের আগেই তিনি বিদেশে চলে গেলেও প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে।

ওয়াহেদ শরীফ দাবি করেন, নিয়ম মেনেই তার প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। মোবাইল গেম প্রকল্পে বেশি কাজ পাওয়া অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- প্রাইম টেক সল্যুশন, ইজি টেকনোলজি ও স্পিনঅফ স্টুডিও।

তথ্যপ্রযুক্তি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নাটোরের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মাসরুল আলম (মিলন) আইসিটি বিভাগে কমিশন–বাণিজ্য করতেন। শেষ দিকে এসে তিনি নিজেই কোম্পানি খোলেন। অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি প্রাইমটেক, স্পিনঅফসহ অন্যদের সঙ্গে কাজ করতেন।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রাইমটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা রাশেদুল আলম বলেন, মাসরুল নিজের অভিজ্ঞতার জন্য তাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রায় একই কথা বলেন স্পিনঅফের প্রতিষ্ঠাতা এ এস এম আসাদুজ্জামান। মাসরুলের মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আবার পলকের ঘনিষ্ঠ মফিজুর রহমান ইজি টেকনোলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আইসিটি বিভাগসহ পলকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পরিচালনার একচেটিয়া কাজ করত ইজি টেকনোলজির সহযোগী প্রতিষ্ঠান ঢাকা লাইভ। সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানটি লাপাত্তা হয়ে গেছে।

বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর বলেন, কাছের কিছু ব্যক্তির জন্য প্রকল্পটি নেয়া হয়েছিল। এটা অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছিল।

অ্যাপ ও গেমের অবস্থা

গুগল প্লে স্টোরে এ প্রকল্পের নামে ১৫০টি অ্যাপ পাওয়া যায়। বেশির ভাগ অ্যাপের ডাউনলোডের পরিমাণ ১টি, ১০টি, ৫০টি ও ১০০টি করে। সর্বোচ্চ ৫০ হাজার করে ডাউনলোড হয়েছে ডিজিটাল শিশু শিক্ষা ও মুজিব ১০০ অ্যাপ।

করোনা মহামারিকালে ২০২০ সালে এ প্রকল্পে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘লাইভ করোনা টেস্ট’ নামে প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে, যার কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শেখ পরিবারকে নিয়ে ৫০ কোটি ব্যয়

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বানানো বিভিন্ন অ্যাপ ও গেমের পেছনে প্রকল্পের মোট বরাদ্দের সাড়ে ১৭ শতাংশ ব্যয় করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ২৩টি উক্তি নিয়ে থ্রি–ডি হলোগ্রাম তৈরি হয়েছে এ প্রকল্পের টাকায়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ২১ কোটি টাকা।

প্রকল্পের প্রকিউরমেন্টের ৬৪টি কাজের তালিকা পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৯টি বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও শেখ রাসেলকে নিয়ে বানানো অ্যানিমেশন ও গেম তৈরি। এতে চ্যাটবট, অভিধান, অ্যাপ ও অ্যানিমেশন সিনেমা রয়েছে।

২০২২ সালে শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘হাসিনা অ্যান্ড ফ্রেন্ডস’ নামে একটি গেমিং প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করা হয়। সব মিলিয়ে এসব কাজে ৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়।

প্রকল্পে আট বছরে যত পরিচালক

মোবাইল গেম ও অ্যাপ্লিকেশন প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে ১১ জন কাজ করেছেন। তাদের মধ্যে তিনজন এক থেকে দুই বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন। ৫ জন ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৯ মাস কাজ করেছেন। বাকি তিনজন এক মাসও কাজ করতে পারেননি। একজন ১৩ দিনও কাজ করেছেন।

আইসিটি বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রকল্পে প্রচুর তদবির ও সুপারিশ আসত। তাই কেউ থাকতে পারতেন না।

প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে কাজ করা এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাকে সরানোর জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ জনপ্রশাসনে ডিও লেটার দিয়েছিলেন।

এ প্রকল্প প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক বি এম মইনুল হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের ধারণা ও উদ্দেশ্য ভালো ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নে সমস্যা ছিল। বাংলাদেশকে তুলে ধরে, বিশ্বমানের এমন অন্তত একটি গেম হলেও প্রকল্পটিকে সফল বলা যেত। কিন্তু তা হয়নি।


আরও খবর



দিল্লির শাসকগোষ্ঠী এক রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিচ্ছে; রুহুল কবির রিজভী

প্রকাশিত:বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “আমরা রক্ত দিয়ে কেনা স্বাধীনতা পিন্ডির কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছি, দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করার জন্য নয়।”

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের লংমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, “আমরা রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি, এটাকে আমরা কখনোই বিক্রি করব না। পিন্ডির শাসন থেকে ছিনিয়ে আনা এই স্বাধীনতা দিল্লির কাছে সমর্পণ করার মতো রক্ত আমাদের নেই।”

রুহুল কবির রিজভী ভারতের শাসকগোষ্ঠীর সমালোচনা করে বলেন, “দিল্লির সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী আজ এক ভয়ঙ্কর রক্তপিপাসু লেডি ফেরাউনকে সমর্থন দিয়েছে। অথচ এই শাসকগোষ্ঠী গোটা বিশ্বে গণতন্ত্রকামী দেশগুলোর নিকট নিন্দিত। ভারত যদিও গণতান্ত্রিক দেশ, তাদের শাসকরা বাংলাদেশের মানুষের আত্মশক্তি ও বীরত্বকে কখনোই বুঝতে পারেনি।”

বুধবার সকাল ৯টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ শুরু হয়। কর্মসূচি শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে সমাবেশের মাধ্যমে দিনব্যাপী লংমার্চ শেষ হবে।

বিআরইউ


আরও খবর



অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: অন্তর্বর্তী সরকার কোনো সাংবাদিক বা সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি এবং করবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।


শফিকুল আলম বলেন, আমরা এক ইঞ্চিও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আটকাবো না। আমাদের সরকারের উদ্দেশ্যই হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, মুক্ত সাংবাদিকতা।


অন্তর্বর্তী সরকার স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী জানিয়ে তিনি বলেন, গত চার মাসে আমরা কাউকে মানা করিনি। আপনারা আমাদের ভুলত্রুটি দেখিয়ে দিন, ধরিয়ে দিন। ক্ষমতায় থাকলে অনেক কিছু বোঝা যায় না। তাই আপনারা দায়িত্ব নিয়ে ভুল ধরিয়ে দিন।


তিনি বলেন, ইতোমধ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন কাজ শুরু করেছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায়।


প্রেস সচিব বলেন, গণমাধ্যম মালিকরা যেন সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করতে না পরে এ বিষয়েও তারা কাজ করতে চান। মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের বেতন না দিতে পারলে মালিকদের বলবো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।


আরও খবর

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




মালয়েশিয়ার প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মো. শুহাদা অথমান আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলে তিনি এ আহ্বান জানান। এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল হাইকমিশনারকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর দু'দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, নতুন হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তির অন্যতম গন্তব্যস্থল।

বাংলাদেশের শ্রমশক্তি উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তালিকাভুক্ত যে ১৮ হাজার শ্রমিক নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তারা যেন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ সময় ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আগামী মাসে মালয়েশিয়া আসিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরো আশা প্রকাশ করেন, আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেবে। সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪