Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৮৩জন দেখেছেন

Image

ইসরায়েল এবার ফিলিস্তিনের গাজায় স্থল অভিযান শুরু করেছে। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শুক্রবার ইসরায়েলের সেনাদের পদাতিক বাহিনী ও ট্যাঙ্ক গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে।

সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এক খবরে বলেছে, হামাস নির্মূলে গাজায় টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বোমাবর্ষণের পর এই প্রথম স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

দক্ষিণে সরে যেতে বলা হয়েছে গাজার বাসিন্দাদের। আজ সকালে গাজা শহর থেকে সব বেসামরিক নাগরিককে দক্ষিণে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার আহ্বান জানায় ইসরায়েল। গাজায় প্রায় ২৫ লক্ষ মানুষ বসবাস করে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, আগামী কয়েকদিন তারা গাজা শহরে অভিযান চালাবে। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত বেসামরিক নাগরিকরা ফিরে আসতে পারবে না।


আরও খবর



নামাজে বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত অনন্য এক নিয়ামত। কোরআন তেলাওয়াতকারী মূলত আল্লাহ তায়ালার সঙ্গেই কথা বলে থাকেন। নামাজে কোরআন তেলাওয়াত অপরিহার্য বা ফরজ। সুতরাং বিশুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করাও অত্যাবশ্যক। কেরাত সম্পর্কীয় মাসায়েল অবগত হওয়া প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য দায়িত্ব। ফিকাহ তথা মাসয়ালার কিতাবে নামাজে বিশুদ্ধ কেরাত সম্পর্কিত মাসায়েল নিম্নরূপ বর্ণনা করা হয়েছে। ১. আরবি অক্ষরগুলো বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে হবে। বিভিন্ন অক্ষরের উচ্চারণের পার্থক্য নিরূপণ করে যেটি যেভাবে উচ্চারণ করতে হয় ঠিক সেভাবেই উচ্চারণ করতে হবে। যথার্থ এবং বিশুদ্ধ উচ্চারণের জন্য সব সময় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ভুল পড়লে গুনাহগার হবে। এমনকি নামাজ নষ্টও হয়ে যেতে পারে।

২. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতেহার পর কোরআনের যে কোনো সুরা অথবা বড় এক আয়াত বা ছোট তিনটি আয়াত পড়া ওয়াজিব। তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়তে হবে। বিতর, সুন্নত ও নফল নামাজের সব রাকাতেই সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়তে হবে। ৩. নামাজের রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলানো ওয়াজিব। এক্ষেত্রে কেউ প্রথমে সুরা বা আয়াত পড়ার পর সুরা ফাতিহা পড়লে ওয়াজিব আদায় হবে না। ৪. ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা ও দুই ঈদের নামাজে কেরাত উচ্চৈঃস্বরে পড়তে হবে, ইমাম ভুলে আওয়াজ না করে কিরাত পড়লে সিজদা সাহু করতে হবে। ইচ্ছাকৃত নীরবে নামাজ পড়লে নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

৫. জোহর ও আসর নামাজে ইমামকে নীরবে কেরাত পড়তে হয়। একাকী বিতর নামাজ আদায়কারীর জন্য নীরবে কেরাত পড়া ওয়াজিব। ৬. ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজ কোনো কারণবশত একাকী আদায় করলেও উচ্চৈঃস্বরে কেরাত পড়া উত্তম। ৭. জামাতের সঙ্গে ইমাম ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজ কাজা আদায় করলেও উচ্চৈঃস্বরে কিরাত পড়া ওয়াজিব। ৮. একই সুরা প্রথম ও দ্বিতীয় রাকাতে না পড়াই উত্তম। ৯. আস্তে করে কেরাত পড়ার নামাজেও কেরাত মুখে উচ্চারণ করে পড়তে হয়। একেবারে মুখ বন্ধ করে শুধু মনে মনে পড়া জায়েজ নয়।

১০. নামাজে কেরাত শেষ হওয়ার আগেই রুকুতে ঝুঁকে গিয়ে সেখানেও কেরাত পড়তে থাকা মাকরুহ। ১১. ফরজ নামাজে ইচ্ছাকৃত কোরআনের ক্রমধারার বিপরীত কেরাত পড়াও মাকরুহ, তবে ভুলে পড়লে তা মাকরুহ হবে না। ১২. ফরজ নামাজে একই সুরার অনেক আয়াত একত্রে পড়ার পর মাঝখানে দুই আয়াতের কম ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় রাকাতে সামনে থেকে পড়া মাকরুহ। এমনিভাবে দুই সুরা এভাবে পড়ে মাঝখানে তিন আয়াত সংবলিত সুরা ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সুরা পড়াও মাকরুহ। যেমন প্রথম রাকাতে সুরা মাউন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন পড়ে মাঝখানে সুরা কাউসার ছেড়ে দেয়, তাহলে মাকরুহ হবে। এ হুকুম ফরজ নামাজের জন্য, নফল নামাজের জন্য প্রযোজ্য নয়।

১৩. ফরজ নামাজের এক রাকাতে মাঝখানে এক বা একাধিক আয়াত ছেড়ে দ্বিতীয় রাকাত পড়া মাকরুহ। নফল নামাজের ক্ষেত্রে এ হুকুম প্রযোজ্য নয়। ১৪. কোনো ব্যক্তি নতুন মুসলমান হয়ে সবেমাত্র নামাজ আরম্ভ করেছে, কিন্তু কোরআনের কোনো সুরা বা আয়াত তার মুখস্থ নেই, এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে সুরা বা আয়াত মুখস্থ করতে হবে। মুখস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত নামাজে শুধু সুবহানাল্লাহ অথবা আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি পড়ে নামাজ আদায় করতে হবে। তবে কোরআনের সুরা বা আয়াত মুখস্থ করার ব্যাপারে অলসতা বা অবহেলা করলে গুনাহগার হবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি পৃষ্ঠা ১৪৯ থেকে ১৫০)

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করবে, তার প্রতিটি অক্ষরে অজুবিহীন অবস্থায় ১০ নেকি, অজু অবস্থায় ২০ নেকি, নামাজে বসে পড়লে ২৫ নেকি এবং দাঁড়িয়ে পড়লে ৫০ নেকি প্রদান করা হবে। নামাজে বিশুদ্ধ কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করা জরুরি। কেননা লাহনে জলি তথা মারাত্মক ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায় এবং লাহনে খফি তথা অসুন্দর পড়ার দ্বারা নামাজ মাকরুহ হয়ে যায়। লাহনেজলি তথা মারাত্মক ভুল যেমন: ১. ভিন্ন মাখরাজের ভুল উচ্চারণ। যদিও শুনতে কাছাকাছি মনে হয়। ২. হরকত তথা জের, জবর ও পেশের পরিবর্তন। যার দ্বারা অর্থের সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়, এমনকি কুফরিও হয়ে যায়। ৩. মাদের হরফকে টেনে না পড়া। লাহনে খফি তথা অসুন্দর পড়া। যেমন: গুন্নাহ, ঈদগাম, ইজহার, ইখফা ও ক্ললকলা ইত্যাদি যথাযথ নিয়মে আদায় না করা। এর দ্বারা অর্থ ঠিক থাকে কিন্তু তিলাওয়াত অসুন্দর হয়। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা কোরআন শরিফ বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত কর। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে নামাজের ভিতরে ও বাহিরে বিশুদ্ধভাবে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করার তৌফিক দান করুন, আমিন। 


আরও খবর



হবিগঞ্জে জনকরাজ ও ন্যাশনাল-৪ হাইব্রিড ধান বীজে গেড়া না গজায় দিশেহারা কৃষকরা

প্রকাশিত:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৪জন দেখেছেন

Image

লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জের চলতি মৌসুমকে সামনে রেখে জনকরাজ ও ন্যাশনাল-৪ হাইব্রিড ধান বীজ ক্রয় করে কৃষকরা প্রতারিত হয়েছেন এ ধান বীজে গেড়া না। গজায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এতে জেলা কয়েক হাজার কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যবসায়ী কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, চলতি বোরো মওসুমে হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় এনএসি নামক একটি ধান বীজ কোম্পানি ব্যবসায়ীদের কাছে প্রায় ৩শ টন জনকরাজ ও ন্যাশনাল-৪ হাইব্রিড ধান বীজ বিক্রি করে। ওই ব্যবসায়ীদের কাছ কৃষকরা ধান বীজ ক্রয় করেন চারা উৎপাদনের জন্য। কিন্তু কৃষকরা যখন ধান বীজ গুলো গেড়া উঠার জন্য পানিতে ভিজিয়ে রাখছেন তখন ধানের বীজে গেড়া আসছে না। কিছু ধান বীজে গেড়া আসলেও বীজতলায় গিয়ে চারা গোজানোর পরই মারা যাচ্ছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার ভাটি অঞ্চলের অধিকাংশ 

কৃষকরাই জনকরাজ ও ন্যাশনাল-৪ হাইব্রিড বীজ ক্রয় করেছেন কিন্তু ধান বীজ যখন পানি ভিজিয়ে রাখার ৫ দিনের গেড়া উঠছে না গেড়া না উঠায় ধানের বীজ তলা তৈরী করতে পারছেন না। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার কাটখাল গ্রামের কৃষক সৈয়দুল মিয়া জানান, চলতি মওসুমে ৫০ কের জমিতে চাষ করার পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। ওই জমি গুলোর জন্য তিনি বিভিন্ন জাতের ৫০ কেজি ধান বীজ ক্রয় করেন। এর মধ্যে ১০ কেজি ও ন্যাশনাল-৪ ধান বীজও ক্রয় করেন। প্যাকেট গুলো বাড়িতে নিয়ে ৫ দিন পর খুলে দেখি বীজগুলো পুরাতন দেখা যাচ্ছে। তারপর কৃষিবিদদের নিয়ম মেনেই আমি পানিতে ভিজিয়ে রাখি। ২/৩দিনের ভিতরে ধান বীজের গেড়া (ফুল) দেখা গেলেও জনকরাজ ধান বীজ গুলো পানিতে ভেজানোর ৫দিন পার হয়ে গেলেও গেড়া উঠেনি। আর ন্যাশনাল-৪ কিছু ধান বীজের গেড়া উঠলে বীজতলায় ফেলানোর একদিন পরই ধান গুলো পচে যাচ্ছে।

এতে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি এখন জমি গুলো চাষ করতে পারবো কি না। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। এ অবস্থায় যে দোকান থেকে বীজ গুলো ক্রয় করেছেন, সেই দোকানের মালিককে ক্ষতির বিষয় গুলো অবগত করেন। এ প্রেক্ষিতে দোকানের মালিক কৃষক সৈয়দুল মিয়া বাড়িতে গিয়ে বীজতলা পরিদর্শন করে এ সত্যতা পান। এ সময় এনএসি ধান বীজ কোম্পানির  প্রতিনিধি কৃষক সৈয়দুল মিয়াকে ক্ষতিপূরন দেওয়ার আশ্বাস দেন। বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের মামুন মিয়া জনকরাজ ধান বীজ ১২ কেজি, একই গ্রামের মাওলানা জুবায়ের ৮কেজি, একই উপজেলার আতুকুড়া গ্রামের তোফাজ্জল মিয়া ১৭ কেজি, সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের আব্দুল করিম, একই গ্রামের শহিদ মিয়া ৭কেজি, টঙ্গিঘাট গ্রামের কালা মিয়া ২ কেজি ক্রয় প্রতারিত হয়েছেন।

শুধু তারাই নয় আরো বহু কৃষক জনকরাজ, ন্যাশনাল-৪ ও হিরা-২ ধান বীজ ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছেন, এ ব্যাপারে কৃষক খোকন পাঠান জানান, বীজ গুলো নিয়ম অনুযায়ী ভেজানোর পর ধান বীজ গুলোতে গেড়া গজায়নি এতে আমার ১০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এখন আবারও ধান বীজ ক্রয় করতে হবে। তিনি জনকরাজ ধান বীজ ক্রয় না করার জন্য কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান। জেলা কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো: নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ভেজাল বীজ কিনে কৃষকদের প্রতারিত হওয়ার কথা শুনেছি। কৃষকদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



সিনেমা হল খুলছেন সালমান খান

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : ‘টাইগার ৩’ দিয়ে দু’বছরের মন্দা কাটিয়েছেন সালমান খান। সেই আনন্দেই এবার দিয়ে দিলেন নতুন ঘোষণা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিপাড়ায় রাজত্ব করা সালমান এবার সারা ভারত জুড়ে সিনেমাহল খুলতে চলেছেন। 

পরিকল্পনাটা অনেক আগেই নেওয়া। তবে মাঝে কোভিডের কারণে সব পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সালমান বলেন, আমি অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করে আছি। আসলে এটা বাস্তবায়নে অনেকটা সময় দরকার। জমি, নির্মাণকাজ, লোক নিয়োগ সব মিলিয়ে বিরাট কর্মযজ্ঞ। তবে সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই কাজ শুরু করব। ধীরে ধীরে শুরু করব। তবে করবই, এই বিষয়ে নিশ্চিত। 

এর নাম হতে পারে সালমান টকিজ। অন্য হলের তুলনায় এখানে টিকিটের দাম হবে অনেকটাই কম। করমুক্ত টিকিট মিলবে এই সিনেমা হল। স্বাভাবিক ভাবেই দাম অনেকটাই কম হবে টিকিটের। বাচ্চা ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলে-মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে মিলবে টিকিট।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ২৬ নভেম্বর

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

এইচএসসি ও তার সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৬ নভেম্বর রোববার প্রকাশ করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির ভিত্তিতে  ওই দিনটিকে আনুষ্ঠানিক ফলপ্রকাশের তারিখ হিসেবে নির্ধারণ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ওইদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফল হস্তান্তর করা হবে। পরে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা একযোগে পরীক্ষার ফলাফল পাবেন। আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।‌

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আগামী ২৬ অথবা ২৮ নভেম্বর —যে কোনো একদিন চাওয়া হয়েছিল। পরে তিনি ২৬ নভেম্বর দিনটিতে সম্মতি দিয়েছেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের নিয়ম রয়েছে।

প্রসঙ্গত, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য প্রতিবারই সম্ভাব্য সময় হিসেবে দুই অথবা তিন দিনের একটি প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে আলাপ করে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করে সেটি বোর্ডগুলোকে জানিয়ে দেয়।

চলতি বছর আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট, আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা (চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



তুরস্কে মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের দক্ষিনাঞ্চলীয় প্রদেশ আদানার ইনকিলরিক শহরের মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। আইএইচএইচ হিউম্যানিটেরিয়ান রিলিফ ফাউন্ডেশন নামের একটি ইসলামিক সহায়তা সংস্থা রোববার এই বিক্ষোভ সংগঠিত করেছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে বিক্ষোভের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন এবং পুলিশ টিয়ার শেল ও স্মোক বম্ব ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছে।

জবাবে বিক্ষোভকারীদেরকেও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল, প্লাস্টিকের চেয়ার ও অন্যান্য জিনিস ছুড়তে দেখা গেছে। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতেও জড়াতে দেখা গেছে অনেককে। তবে কিছু সময় এই অবস্থা চলার পর তাদের সরিয়ে দিতে সক্ষাম হয়েছে পুলিশ।

রোববার আঙ্কারা সফরে এসেছিলেন মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি আঙ্কার পৌঁছানোর দুই ঘণ্টা আগে বিক্ষোভ হয় ইনকিলরিক ঘাঁটিতে।

ইনকিলরিকের এই ঘাঁটিটি থেকে মূলত সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অঞ্চলে ক্ষমতাসীন আন্তর্জাতিক সংন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। আইএসকে প্রতিহত করতে যে আন্তর্জাতিক জোট গঠিত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক উভয়ই সেই জোটের সদস্য। মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি দল ২৪ ঘণ্টা এই ঘাঁটি এলাকায় অবস্থান করেন।

রোববারের বিক্ষোভের সংগঠক আইএইচএইচ হিউম্যানিটেরিয়ান রিলিফ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট বুলেন্ত ইয়িলদিরিম রয়টার্সকে জানিয়েছেন, হামাস ও ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে তুরস্কের জনগণ ক্ষুব্ধ এবং তারা চায় তুরস্ক থেকে সব মার্কিন সেনা বিদায় হোক।

বিক্ষোভের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ইয়িলদিরিমও। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতের সময় তাকে বিক্ষোভকারীদের নিবৃত্ত করতে দেখা গেছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চলানোর পর সেদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। সেই অভিযান এখনও চলছে।

হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। এছাড়া হামলার প্রথম দিনই ইসরায়েল থেকে অন্তত ২৩৪ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে গেছে হামাস।

অন্যদিকে, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ৯ হাজার। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার সংঘাত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের আল-আকাস অঞ্চলে।


আরও খবর