Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

ঘোড়া কোরবানি করা নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ মে 20২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ২৪১জন দেখেছেন

Image

ছয় ধরনের গবাদি পশু কোরবানি করা যায়; উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। খাওয়া হালাল এমন যে কোনো পশু কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণের মাংস খাওয়া হালাল হলেও হরিণ কোরবানি করা যায় না। একইভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া অনেকের মতে হালাল হলেও ঘোড়া কোরবানি করা যায় না। উট, গরু ও মহিষ এ তিন পশু কোরবানিতে সর্বোচ্চ সাত জন শরিক হতে পারে। অর্থাৎ একজন, দুজন, তিনজন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ সাতজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে একটি পশু কোরবানি যথেষ্ট হতে পারে। সে ক্ষেত্রে সাত জন ওই পশু কেনায় সমান শরিক হবে এবং সমানভাবে গোশতও ভাগ করে নেবে। ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এ তিন পশু একজনের পক্ষ থেকে কোরবানি করা যায়। কোরবানি করার জন্য পশুর নির্দিষ্ট বয়সসীমা পার হওয়াও জরুরি। যে কোনো বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করা যায় না। উট কোরবানির জন্য তা কমপক্ষে ৫ বছরের হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে। ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কিছু কমও হয়, কিন্তু এমন হৃষ্টপুষ্ট হয় যে, দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দ্বারাও কোরবানি করা জায়েজ। এ রকম ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে। উল্লেখ্য যে, ছাগলের বয়স ১ বছরের কম হলে কোনো অবস্থাতেই ওই ছাগল দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবে না।


ঘোড়ার মাংস খাওয়ার বিধান কী?

ঘোড়ার মাংস হালাল এবং তা খাওয়া সাধারণভাবে জায়েজ। কিন্তু ঘোড়া যেহেতু এক সময় বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো, যুদ্ধে ব্যবহৃত হতো, তাই ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খাওয়া হলে বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দিতে পারে এই আশঙ্কায় ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ঘোড়ার গোশত খাওয়াকে মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বলেছেন। কারণ খাদ্যের চেয়ে বাহন হিসেবে ঘোড়ার উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তা বেশি। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোড়াকে বাহন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَّ الۡخَیۡلَ وَ الۡبِغَالَ وَ الۡحَمِیۡرَ لِتَرۡكَبُوۡهَا وَ زِیۡنَۃً وَ یَخۡلُقُ مَا لَا تَعۡلَمُوۡنَ

তিনি ঘোড়া, খচ্চর ও গর্দভ সৃষ্টি করেছেন যাতে তোমরা ওগুলোতে আরোহণ করতে পার আর শোভা-সৌন্দর্যের জন্যও; তিনি সৃষ্টি করেন অনেক কিছু যা তোমাদের জানা নেই। (সুরা নাহল: ৮)


বর্তমান সময়ে ব্যাপকভাবে ঘোড়ার মাংস খেলে যদি বাহন হিসেবে বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য ঘোড়ার সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে ইমাম আবু হানিফার (রহ.) মত অনুযায়ী ঘোড়ার মাংস খাওয়া মাকরুহ বা অপছন্দনীয় বিবেচিত হবে। এ ছাড়া হানাফি মাজহাবের অন্য দুই বড় ইমাম আবু ইউসুফ (রহ.) ও মুহাম্মাদ (রহ.) এবং অন্যান্য মাজহাবের ইমামগণ ঘোড়ার মাংস খাওয়াকে পুরোপুরি হালাল বলেছেন। তাদের মতের পক্ষে কিছু হাদিস পাওয়া যায়। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) খায়বারের দিন গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। (সহিহ বুখারি: ৩৯৮২, সহিহ মুসলিম: ১৯৪১)


আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) যুগে একটি ঘোড়া জবাই করে তা খেয়েছিলাম। (সহিহ বুখারি: ৫১৯১, সহিহ মুসলিম: ১৯৪২)


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে সফর করেছিলাম। ওই সফরে আমরা ঘোড়ার মাংস খেতাম এবং তার দুধ পান করতাম। (দারাকুতনি ও বায়হাকি)


আরও খবর



বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৪৪জন দেখেছেন

Image

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, একবিংশ শতাব্দীর প্রগতিশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্র সম্পদের সুরক্ষা, সমুদ্রে অপরাধ দমন ও সুশাসন বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক সহায়তায় দেশে-বিদেশে নৌবাহিনীর অংশগ্রহণ এবং ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তায় নৌবাহিনীর কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান।

সেনাবাহিনী প্রধান রোববার বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০২২-বি ব্যাচ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ২০২৫-এ ব্যাচের প্রশিক্ষণ শেষে ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২০২২-বি ব্যাচের ৪৪ জন মিডশিপম্যান এবং ২০২৫-এ ব্যাচের ৮জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৫২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন।

উল্লেখ্য, কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জন নারী এবং ৪ জন বিদেশি কর্মকর্তা রয়েছেন।  কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান বিভিন্ন বিষয়ে কৃতি প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে পদক তুলে দেন। সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের মধ্যে মিডশিপম্যান মেহেদী হাসান মৃধা,(এক্স), বিএন সকল বিষয়ে সেরা চৌকস মিডশিপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন।

মিডশিপম্যান মো. মেহেরাব হক তনি, (এক্স), বিএন প্রশিক্ষণে ২য় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ প্রধান স্বর্ণপদক’ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার অ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট রাজীব দত্ত, (শিক্ষা), বিএন কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। এছাড়াও, মিডশিপম্যান্ট আবুহোরাইরা এলবাদাউয়ি আহমেদ আবদেলনাইম, (এক্স) এসইউডি (সুদান আর্মি) সেরা চৌকস বিদেশি মিডশিপম্যান হিসেবে প্রথমবারের মতো ‘বিএনএ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পদক’ লাভ করেন। পরে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান ব্রত নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।

সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনী প্রধান তাঁর ভাষণের শুরুতে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নৌ কমান্ডোদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নবীন কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও কর্তব্য নিষ্ঠার সঙ্গে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। সততা, সঠিক নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি নবীন কর্মকর্তাদের সদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেন। পেশা হিসেবে দেশ সেবার এ মহান দায়িত্বকে বেছে নেওয়ায় নবীন কর্মকর্তা ও তাদের অভিভাবকবৃন্দকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান। মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য প্রশিক্ষণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক ও নৌসদস্যদের তিনি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

 যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, ইরান আলোচনায় না এলে দেশটির জনগণের উচিত তাদের শাসকগোষ্ঠীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘যদি ইরানি সরকার শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সমাধানে না আসে, যার জন্য প্রেসিডেন্ট এখনো আগ্রহী এবং প্রস্তুত, তাহলে ইরানিরা কেন কয়েক দশক ধরে তাদের দমন করা একটি চরম সহিংস শাসনের ক্ষমতা কেঁড়ে নিতে পারবে না?


আরও খবর



গাইবান্ধা স্টেশন মাস্টারকে মারপিটে যুবক স্ত্রীসহ গ্রেফতার : কারাগারে প্রেরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৫০জন দেখেছেন

Image

মোঃ জিল্লুর  রহমান গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রী মহিমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার। আনোয়ারুল হক কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তারা কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব মেটাতে গেলে স্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম ও এক যুবকের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, স্টেশনের প্লাটফর্মের নিচে রেললাইনের উপর ট্রেনের পাশে এক যুবক ও স্টেশন মাস্টার একে অপরকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন। এসময় ওই যুবকের স্ত্রীও সেখানে এগিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, প্রকাশ্যে এমন মারধরের ঘটনার পর অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি স্টেশনে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সামনে ঘটলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে আসেননি। স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে পুলিশের গায়ে পোশাক থাকলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না। একজন সরকারি কর্মকর্তার সাথে এ ধরনের আচরণ অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য। তারা তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম তালুকদার মুঠোফোনে জানান, ঘটনার পর স্টেশন মাস্টার একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে অভিযুক্ত আনোয়ারুল হক ও তার স্ত্রীকে বগুড়া-সান্তাহার রুটে চলন্ত লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে গ্রেফতার করা হয়। দুপুরে তাদেরকে গাইবান্ধা আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।



আরও খবর



এক কার্গো এলএনজি ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার কিনবে সরকার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার ক্রয়ের জন্য পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির (এসিসিজিপি) ২৩তম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে পেট্রোবাংলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেসার্স এক্সেলেরেট এনার্জি এলপি থেকে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে প্রায় ৬১২ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় এক কার্গো এলএনজি সংগ্রহ করবে।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) চলতি অর্থবছরের ১৭তম লটের আওতায় কাফকো, বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৪০ কোটি ২৭ লাখ টাকায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রানুলার ইউরিয়া সার কিনবে। এতে প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ৩৮৩.২৫ মার্কিন ডলার। 

এছাড়াও আজকের ক্রয় কমিটির সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সুরক্ষা পরিষেবা বিভাগের পৃথক প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়।


আরও খবর



নওগাঁয় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বাসসকে বলেন, চামড়া দেশের সম্পদ। একটি চামড়াও নষ্ট হতে দেয়া হবে না। সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় এ বছর ৩ লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু কোরবানি  দেওয়া হয়েছে। যার সিংহভাগ গরু। এসব পশুর চামড়া থেকে জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা  তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সঠিক নিয়মে চামড়া সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর নওগাঁ জেলায় বিনামূল্যে ৭৪ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ লবণ বিতরণ করা হয়। চামড়া সংরক্ষণে সঠিক পরিমাণ লবণ ব্যবহার করে সহজেই চামড়া সংরক্ষণ করা যায়। তাই এবার নওগাঁয় চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া বেচাকেনা হচ্ছে না। এবার নওগাঁয় প্রকারভেদে গরুর চামড়া ৩০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। 

চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় গরুর চামড়ার দাম মিললেও মূল্য নেই ছাগলের চামড়ার। লাভের আশায় চামড়া কিনে এবারও লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে দেশের সম্পদ রক্ষার্থে প্রতি বছরের মত এ বছরও চামড়া সংগ্রহ করে সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষণ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা । 

নওগাঁ শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা রহিদুল মিয়া বাসসকে বলেন, ‘১০টি ছাগলের চামড়া কিনে নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। মাত্র ৫০ টাকা দাম বলেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। ভ্যান ভাড়াই বা  দেব কীভাবে। ছাগলের চামড়ার দাম খুব কম। কেউ চামড়া নিতে চায় না।

পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও রানীনগর থেকে আসা কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী বলেন, এবার অনেক চামড়ায় ল্যাম্পি স্কিন রোগ থাকায়ও চামড়ার দাম কম।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে। এবার জেলায় বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় বিনামূল্যে লবণ দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার চামড়া কিনতে হয় না, তারা ফ্রিতে পেয়ে যান। আবার লবণও ফ্রি। এতে করে বেশ লাভবান হবেন তারা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সুবিধা চামড়া বাকিতে কিনতে হচ্ছে না এবং বাকিতে বিক্রিও করতে হচ্ছে না। এতে করে উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। সরকারের এই উদ্যোগটা খুব ভালো। প্রতি বছর এ ব্যবস্থা করলে দেশের সম্পদ নষ্ট হবে না। বাকিতে বেচাকেনাও বন্ধ হবে।


আরও খবর