Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে প্রণোদনা পাচ্ছেন ৪০ হ্জাার কৃষক

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৫জন দেখেছেন

Image

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে বোরো হাইব্রিড ধান চাষাবাদে প্রণোদনা পাচ্ছেন ৪০ হাজার কৃষক।

২০২৩-২৪ অর্থ বছরে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে জেলার ৫ উপজেলায় ৮০ হাজার কেজি বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। এ কর্মসূিচর আওতায় ১জন কৃষক (৩৩ শতাংশ) ১বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য ২ কেজি করে বোরো ধানের হাইব্রিড ধান বীজ  পাবেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের  গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৮০০ জন কৃষকের মধ্যে বিতরণের জন্য ১৫ হাজার ৬০০ কেজি  বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। মুকসুদপুরে ৬ হাজার ৫০০ জন কৃষকের জন্য ১৩ হাজার কেজি বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বরাদ্দ এসেছে। কাশিয়ানী উপজেলায় ৫ হাজার ৭০০ জন কৃষকের মধ্যে বিতরণের জন্য ১১ হাজার ৪০০ কেজি বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বরাদ্দ করেছে সরকার।

কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৩ হাজার কৃষকের মধ্যে বিতরণের জন্য ২৬ হাজার কেজি বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৭ হাজার কৃষকের জন্য ১৪ হাজার কেজি বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বরাদ্দ মিলেছে। হাইব্রিড বোরো বীজতলা তৈরীর জন্য দ্রুত এসব ধান বীজ  বিতরণ সম্পন্ন করা হচ্ছে। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, ৮০ হাজার কেজি বোরো হাইব্রিড ধান বীজ দিয়ে ৪০ হাজার প্রান্তিক কৃষক ৪০ হাজার বিঘা জমিতে হাইব্রিড ধানের চাষাবাদ করবেন। এতে জেলায় হাইব্রিড ধানের চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে বাড়বে হাইব্রিড ধানের উৎপাদন। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭ হাজার ৮০০ জন কৃষকের জন্য ১৫ হাজার ৬০০ কেজি বোরো হাইব্রিড ধান বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। এ ধান বীজ বিতরণের জন্য আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছি। 


আরও খবর



যুবলীগ হচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী সহযোগি সংগঠন -শহীদ উল্লা খন্দকার

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

মাহাবুব সুলতান, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্র্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যতগুলো সহযোগি সংগঠন আছে তার মধ্যে যুবলীগ অন্যতম। যুবলীগ হচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি শক্তিশালী সহযোগি সংগঠন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি ১৯৭২ সালের এই দিনে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের সাথে কোন ভূঁইফোর সংগঠনের কখনোই মিল হবে না।

শনিবার গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমাদের কারো যদি কোন ত্রুটি বিচ্যুতি থাকে তাহা এখন ভুলে যেতে হবে। সময় খুব কম। দ্রুত সময়ের মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হবে। তফসিল ঘোষনার পরেই আমাদের সকলের মিলেমিশে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করতে হবে। যাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার ক্ষতায় এসে এই দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারেন।

কোটালীপাড়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ফজলুর রহমান দিপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম অহিদুল ইসলাম, মোঃ কামাল হোসেন শেখ, আমিনুজ্জামান খান মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাজরা বক্তব্য রাখেন। 

আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিল ও কেক কাটা হয়। এর আগে দলীয় নেতা- কর্মীরা মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকারকে সাথে নিয়ে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি উপজেলা পরিষদ চত্তর থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যলয়ে এসে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।


আরও খবর



কলাপাড়ায় তৃর্নমূল পর্যায়ের জনতার দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪১জন দেখেছেন

Image

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রকৃতিক দুর্যোগের সাথে টিকে থাকা তৃর্নমূল পর্যায়ের জনতার দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আভাস ও একশনএইড বাংলাদেশ’র সহযোগিতায় লালুয়া, চম্পাপুর ও ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন যুব ফোরাম ও শিশু ফোরাম এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। 

শনিবার বেলা এগারোটায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়র তৈহিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লালুয়া ইউনিয়ন শিশু ফোরামের সভাপতি নবম শ্রেণির ছাত্রী মোসা. জিদনী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

‘জলবায়ু পরিবর্তন ও জলবায়ু সুবিচার’ স্লোগানে লিখিত বক্তব্যর ওপর আলোচনা করেন কলাপাড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন, ডালবুগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আখতার হোসেন, চম্পাপুর ইউনিয়ন যুব ফোরামের সভাপতি মো. রায়হান. ডালবুগঞ্জ যুব ফোরামের সভাপতি মোসা. মনিরা, চম্পাপুর শিশু ফোরামের সভাপতি মোসা. ফারিয়া প্রমুখ।


আরও খবর



শ্রম খাতের অগ্রগতি দেখতে ইইউর প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬৮জন দেখেছেন

Image

শ্রম খাতের উন্নয়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশের কতটা অগ্রগতি হলো, তা দেখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধিদল আগামী ১২ নভেম্বর ঢাকা সফরে আসছে। ইইউর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে আসছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ইইউর প্রতিনিধিদলটি গত জুন-জুলাইয়ের দিকে বাংলাদেশ সফর করার কথা ছিল। কিন্তু নানা কারণে সেটি হয়নি। সম্প্রতি ওই সফরটি করার জন্য তারা প্রস্তাব দিয়েছে। ঢাকার দিক থেকেও না করা হয়নি। ইইউর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি ১২ নভেম্বর ঢাকার আসার কথা রয়েছে। সব মিলিয়ে তারা বাংলাদেশে পাঁচ দিন অবস্থান করবে।

প্রতিনিধিদলের সফরে কোনো বিষয়গুলো আলোচনা হবে? জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, শ্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা শ্রম খাতের উন্নয়নে এনআইপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখবেন এবং এ বিষয়ে আলোচনা করবেন। প্রতিনিধিদলটি তিনজন সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এর মধ্যে রয়েছে শ্রমসচিব, পররাষ্ট্রসচিব ও বাণিজ্যসচিব। আগামী ১৫ নভেম্বর তিন সচিবের সঙ্গে প্রতিনিধিদলের বৈঠকের কথা রয়েছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ সফরে তিন সচিব ছাড়াও ইইউর প্রতিনিধিদল আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় ন্যূনতম মজুরির দাবিতে তৈরি পোশাকশিল্পের শ্রমিকরা আন্দোলন করছেন। ঠিক ওই মুহূর্তে ইইউর প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসছে। প্রতিনিধিদলের সফরে সংশ্লিষ্ট বৈঠকগুলোতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি প্রসঙ্গটি অবধারিতভাবে আলোচনায় থাকবে। এর বাহিরে শ্রম আইন পরিস্থিতি, ইপিজেডে শ্রম অধিকার সুরক্ষা, সব ধরনের শিশুশ্রম বিলোপ, শ্রমিকবিরোধী সহিংসতা, নিপীড়ন, শ্রম ইউনিয়নবিরোধী তৎপরতা রোধ, ট্রেড ইউনিয়ন চর্চায় সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাসহ আইএলও’র মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশের কর্মযজ্ঞ নিয়ে আলোচনা হতে পারে।


আরও খবর



সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক তবুও দাম নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৩জন দেখেছেন

Image

নড়াইলের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে আমন ধান। সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ফলন মোটামুটি ভালো হলেও উৎপাদন ব্যয় উঠবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। এদিকে ফলন ভালো হয়েছে দাবি করে কৃষি বিভাগ বলছে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবং কৃষক ন্যায্য মূল্য পেলে আগামীতে আমান চাষ আরও বাড়বে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ হাজার ২৬২ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২৩ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে। 

সরেজমিন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে আমন ধানের খেত সবুজ থেকে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। কৃষকরাও ফসল ঘরে তুলতে দিন-রাত এক করে কাজ করছে। কেউ ধান কাটছে, কেউ আঁটি বাঁধছে। কেউ কেউ সেই ধান মাথায় নিয়ে খেত থেকে বাড়ি যাচ্ছে। আবার কেউ করছে মাড়াইয়ের কাজ। সকাল থেকে দিনভর এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। তবে কৃষকের মুখে নেই হাসি। ফলন মোটামুটি ভালো হলেও সার, কীটনাশক, ধান কাটা শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়েছে। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। ফলে ধানের দাম না বাড়লে লাভ তো দূরে থাক এই দামে উৎপাদন খরচ উঠবে কি না তা নিয়ে এখন শঙ্কায় কৃষক।  

সদর উপজেলার উজিরপুর এলাকার আমন চাষি বলেন, ধানের ফলন একেবারে খারাপ না। ফলন ভালোই। কিন্তু সার, ওষুধ দিয়ে যে খরচ পড়ে তাতে তাদের মোটেই লাভ থাকে না। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। দাম বাড়ানো উচিত। দাম না বাড়ালি কৃষক বাঁচবে না। 

অজিত বিশ্বাস জানান, তারা যে দাম পাচ্ছে সে দামের তুলনায় যে খরচ হয় সে খরচের পয়সা তাদের বাঁচে না। এ বছর পোকার (কারেন্ট পোকা) কারণে বিঘা প্রতি ধানের ফলনও কম হয়ছে। তারপর সার-মাটিতে যে খরচ তা চালান একটুও মেলে না। চাষি মানুষ, চাষ করতে হয়, তাই করে যাচ্ছেন। 

কার্তিক দাসসহ জেলার আরো কয়েকজন কৃষক জানান, সব কিছুর যে দাম তাতে ধানের দাম ১৫শ টাকার নিচে হলে কৃষকের লস। যেভাবে খরচ হয়, তাতে কৃষকের বেঁচে থাকা সম্ভব না। তারপরও নিজেদের জমি, চাষ না করে কি করবেন। না খেয়ে তো আর মরা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে  লস হলেও চাষ করা লাগে। 

এদিকে আমনের ফলন ভালো হয়েছে দাবি করে নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রোকনুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা আগ্রহের সাথে রোপা আমন চাষ করেছে। তুলনামূলক রোগবালাই এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। তবে কৃষকদের একটি আশঙ্কার জায়গা হচ্ছে ধানের দাম। প্রতিটা স্তরে যে উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং কৃষক যদি যথাযথ মূল্য পায় তাহলে নড়াইলসহ সারাদেশে রোপা আমনের আবাদ বাড়বে। একইসঙ্গে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে কৃষক আরও আগ্রহী হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা। 


আরও খবর



রাজনৈতিক সহিংস কর্মকাণ্ডে দেশের অর্থনীতি ঝুঁকিতে পড়ছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৮জন দেখেছেন

Image

বিরাজমান বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, অর্থনীতিবিদ এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই। গতকাল মঙ্গলবার এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা, ডলার-সংকট, মূল্যস্ফীতি, বিলাসী পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ, ব্যাংক ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, এলসিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বিগত কয়েক বছর যাবত্ দেশে অত্যন্ত স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে যা ব্যবসা, বাণিজ্য ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সহিংস কর্মকাণ্ডের ফলে দেশের ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়ছে। একই সঙ্গে, তৈরি পোশাক খাতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা জাতীয় অর্থনীতিকে শঙ্কার দিকে ঠেলে দিচ্ছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি দেশের সাপ্লাই চেইনকে ভীষণভাবে বিঘ্নিত করছে—যার প্রভাব পণ্যের উত্পাদন, বাজার মূল্য এবং রপ্তানি ও সেবা খাতের ওপরও পড়ছে। এ সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে জাতীয় অর্থনীতির স্বার্থে সব ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড পরিহারের আমন্ত্রণ জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

তৈরি পোশাক খাতে শ্রমিক ও কর্মচারীদের চাহিদা অনুযায়ী মজুরি কমিশন গঠন এবং শ্রমিক-মালিক উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে মজুরি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে—যা ইতিবাচক পদক্ষেপ। তা সত্ত্বেও তৈরি পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। প্রকৃত শ্রমিকরা কোনোভাবেই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ডলার-সংকট সমাধান এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো কার্যকরী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। পাশাপাশি শিল্পকারখানায় উত্পাদন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ বর্তমান সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সারা দেশের সব চেম্বার, অ্যাসোসিয়েশনকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবসায়ী সংহতি সমাবেশ আয়োজনের জন্য এফবিসিসিআইকে পরামর্শ দেন। এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অর্থনীতির এই সংকটের মুহূর্তে রাজনৈতিক সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তাব্যক্তিদের বিতর্কিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বানও জানান তিনি। অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় আরো জোরদার করতে এফবিসিসিআইকে কমিটি গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়াও বিদ্যমান সহিংস কর্মসূচির বিরুদ্ধে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য এফবিসিসিআইকে আহ্বান জানান তিনি।

সভায় এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ডলারের ওপর চাপ কমাতে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের আরো সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রয়োজনে আগামী ছয় মাস থেকে এক বছর সময়ে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসী পণ্য আমদানির হার আরো কমিয়ে আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কাটছাঁটের কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সম্প্রতি তৈরি পোশাক খাতে সৃষ্ট সহিংস ঘটনায় বহিরাগতরা জড়িত উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, প্রকৃত শ্রমিকরা কখনো নিজ কারখানায় আগুন দিতে পারে না। উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩