Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

হিজবুল্লাহর দেড় লাখ ক্ষেপণাস্ত্র-রকেটের নিশানায় ইসরায়েল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী হামাসের সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ ১৮ দিনে গড়িয়েছে। হামলা-পাল্টা হামলায় উভয়পক্ষে ব্যাপক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীন ভূখণ্ডের দাবিতে হামাসের শুরু করা এই যুদ্ধে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় উপত্যকাজুড়ে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাসাবাড়ি, হাসপাতাল, মসজিদ কোনও কিছুই ইসরায়েলের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন শিগগিরই হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

এই যুদ্ধের শুরু থেকে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানিও ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে ইসরায়েলি-আমেরিকান এক সৈন্যও আছেন। হামাসকে একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে গাজা উপত্যকায় স্থল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল।

কিন্তু ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের প্রতিবেশি লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ সতর্ক করে দিয়ে বলছে, গাজায় অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ এবং স্থল হামলার পরিকল্পনা বাতিল না করা হলে ইসরায়েলে নজিরবিহীন আক্রমণ চালাবে তারা। এমনকি ইসরায়েলের দিকে হিজবুল্লাহর দেড় লাখ রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র তাক করা আছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্বের শক্তিশালী সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি। 

হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের জন্য কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে এবং তাদের ভাণ্ডারে থাকা অস্ত্র ইসরায়েলের জন্য মাথাব্যথার কারণ হতে পারে কি না সেই বিষয়ে বিশ্লেষণী এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজ।

এতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটস ইসরায়েলের তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাককে পাশে নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে আছি, যেখানে হিজবুল্লাহর কাছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের চেয়েও অনেক বেশি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এরপর থেকে হিজবুল্লাহ আরও শক্তিশালী হয়েছে।

ইরানের সহায়তায় ও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ নেতৃত্বাধীন সরকারকে সহায়তার মাধ্যমে হিজবুল্লাহ ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে এবং তা কাজে লাগিয়ে লেবাননের সশস্ত্র এই গোষ্ঠী রকেটসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের মজুত বৃদ্ধি করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সাম্প্রতিক এক হিসেব অনুযায়ী, হিজবুল্লাহর কাছে প্রায় দেড় লাখ রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে; যার বেশিরভাগই কয়েক ডজন কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে পারে। তবে লেবানন থেকে শত শত কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার মতো উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র তাদের কাছে আছে বলে একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষকরা ২০১৮ সালে ইসরায়েলের ঠিক উত্তরে লেবাননে অবস্থিত হিজবুল্লাহর প্রাণঘাতী অস্ত্রাগার নিয়ে একটি বিস্তারিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। এতে তারা বলেন, বিশ্বে রাষ্ট্রীয় কাঠামো নেই এমন সংগঠনগুলোর মধ্যে হিজবুল্লাহই সবচেয়ে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত। এই গোষ্ঠীটির কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, বিমান-বিধ্বংসী, ট্যাংক-বিধ্বংসী এবং জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। এছাড়াও হিজবুল্লাহর কাছে বিপুলসংখ্যক ‘ডাম্ব’ রকেট রয়েছে।

চলতি সপ্তাহে হারেৎজের সাথে আলাপকালে ওই গবেষক দলের সদস্য শান শাইখ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সিরিয়ায় হিজবুল্লাহর হস্তক্ষেপের কারণে সিরিয়া, ইরান বা রাশিয়ার কাছ থেকে গোষ্ঠীটি আরও অত্যাধুনিক এবং নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম স্ট্যান্ডঅফ ক্ষেপণাস্ত্র পেতে পারে। আর এটি বেশ উদ্বেগজনক।

স্ট্যান্ডঅফ ক্ষেপণাস্ত্র হচ্ছে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, যা উৎক্ষেপণস্থল গোপন রেখে দূরবর্তী লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের সম্প্রতি প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, হিজবুল্লাহর কাছে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার স্বল্পপাল্লার রকেট, ইরানের তৈরি মাঝারিপাল্লার ৮০ হাজার ফজর-৩, ফজর-৫, খাইবার ও রা’আদ রকেট রয়েছে। এছাড়াও দূরপাল্লার ৩০ হাজার জিলজাল রকেট ও ফাতেহ-১১০ (এম৬০০) ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

নিবন্ধে আরও বলা হয়, সিরিয়ার কাছ থেকে সীমিতসংখ্যক স্কাড-ক্ষেপণাস্ত্র পেয়েছে হিজবুল্লাহ। এছাড়া শতাধিক ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে তাদের কাছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৫০০ কেজি ওজনের বোমা বহন করতে পারে। ফাতেহ-১১০ ক্ষেপণাস্ত্রে অত্যাধুনিক জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবস্থা রয়েছে; যার ফলে যেকোনও স্থানে নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে পারে।

ইসরায়েলের সামরিক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ধারণা, হামাসের সাথে যুদ্ধ শুরুর প্রথম কয়েক দিনে ইসরায়েলে কয়েক হাজার রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। এছাড়াও প্রতিদিন দেড় হাজার করে রকেট ছোড়ার সক্ষমতা রয়েছে এই গোষ্ঠীর। ২০০৬ সালে দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের সময় রকেট দিনে প্রায় ২০০ রকেট ছুড়েছিল হিজবুল্লাহ। গত কয়েক বছরে হিজবুল্লাহ তাদের নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম এমন অস্ত্র মজুত প্রকল্প জোরদার করেছে।

হিজবুল্লাহর এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য নির্বিচার অস্ত্র মজুতের চেয়ে নির্ভুল নিশানার অস্ত্র বাড়ানো; যা শত্রুপক্ষকে লক্ষ্য করে কেবল হামলা চালানোই নয় বরং সরাসরি তাদের সদরদপ্তর, সামরিক ঘাঁটি, বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সৈন্য সমাবেশ রয়েছে এমন এলাকায় আঘাত করা। 

বিশাল অস্ত্রভাণ্ডারের পাশাপাশি হিজবুল্লাহর কাছে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের বিপুল মজুত রয়েছে। এর মধ্যে হেলিকপ্টার ও নিচ দিয়ে যাওয়া বিমান বিধ্বংসী কাঁধ থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। আর কাঁধ থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের বিশেষত্ব হলো এই অস্ত্র নিক্ষেপকারীর অবস্থান গোপন রাখা যায়। নিক্ষেপকারী যেকোনও অবস্থানে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর দ্রুতই অদৃশ্য হয়ে যেতে পারেন। এ ছাড়া হিজবুল্লাহর কাছে ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ও ভারী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে আকাশে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।

দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সবচেয়ে গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছিল হিজবুল্লাহর ট্যাংক-বিধ্বংসী ইউনিটের কাছে। হিজবুল্লাহর এই ইউনিট সেই সময় রাশিয়ার তৈরি উন্নতমানের কর্নেট ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। যে কারণে আইডিএফ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয় ওই সময়। আমেরিকান জ্যাভেলিনের মতো কর্নেট ক্ষেপণাস্ত্র ওপর থেকে ট্যাংকে আঘাত হানতে পারে।

২০১১ সাল থেকে সাঁজোয়া ট্যাংক ব্যবহার করে আসছে ইসরায়েল। এতে থাকা বিশেষ ‘ট্রফি সুরক্ষা ব্যবস্থা’ ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ শনাক্ত এবং এর আঘাত হানা ঠেকাতে পারে। ২০১৪ সালে ট্রফি সুরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসরায়েল সফলভাবে কর্নেট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়। অপ্রতিরোধ্য ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের পাশাপাশি হিজবুল্লাহ গত ২০ বছরে তাদের নিজস্ব শক্তিশালী বাহিনী গড়ে তুলেছে। যার মূলে রয়েছে ইরানে এবং স্থানীয়ভাবে তৈরি বিভিন্ন আকারের ও সক্ষমতার ড্রোন। এসব ড্রোন আত্মঘাতী হিসেবে কাজ করার জন্য অস্ত্র অথবা ভারী ওয়ারহেড বহন করতে পারে।

ইসরায়েলের আলমা রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন সেন্টারের অনুমান, হিজবুল্লাহর কাছে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২ হাজার ড্রোন রয়েছে। এর মধ্যে বেসামরিক ড্রোনও আছে; যা অস্ত্র পরিবহনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।

রাদওয়ান বাহিনী নামে হিজবুল্লাহর বিশেষ কমান্ডো ইউনিট রয়েছে। ইসরায়েলের সাথে এই বাহিনীর যুদ্ধ করার সক্ষমতা আছে বলে মনে করা হয়। এমনকি দুই সপ্তাহ আগে হামাস যেভাবে হামলা চালিয়েছে, ঠিক একই ধাঁচের হামলা চালিয়ে সীমান্ত লাগোয়া ইসরায়েলের কিছু শহর ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণও নিতে পারে এই গোষ্ঠীটি। রাদওয়ান বাহিনীর প্রায় আড়াই হাজার সদস্য রয়েছে; যারা লেবানন এবং ইরানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এই বাহিনীর সদস্যরা প্যারাগ্লাইডিংয়ের মাধ্যমে এবং সমুদ্রপথ ব্যবহার করে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশেও সক্ষম। এই বাহিনীর অনেক সদস্যের সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

২০১৮ সালে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে বেশ কিছু সুরঙ্গের সন্ধান পায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। হিজবুল্লাহর সদস্যরা যাতে বিনা বাধায় ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে এসব সুরঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। সুরঙ্গ ব্যবহার করে যে ইসরায়েলে হামলা চালানো সম্ভব তা গত ৭ অক্টোবর প্রমাণিত হয়েছে।


আরও খবর



৯ গোলের জয় পেল ব্রাজিলের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ঠিকই ধরেছেন। জয়টা ব্রাজিল জাতীয় দলের নয়। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাসহ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের জাতীয় দলগুলো বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলায় ব্যস্ত। এর মধ্যেই চলছে ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ। ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত যুবাদের এই টুর্নামেন্টেই গতকাল ৯ গোলের জয়োত্সব করেছে ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-১৭ দল।

ব্রাজিল টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। তবে এবারের টুর্নামেন্টে শুরুটা তাদের ভালো হয়নি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে এশিয়ার দেশ ইরানের যুবাদের কাছে তাদের হারতে হয় ২-৩ গোলে। সেই হতাশা কাটিয়ে গতকাল দুর্দণ্ডপ্রতাপে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ব্রাজিলের যুবারা।

গতকালের জয়টা অবশ্য অখ্যাত নিউ কালেদোনিয়ার বিপক্ষে। জাকার্তা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় চার বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে যেন আরো শান দিয়ে নামে ব্রাজিলের তরুণ তুর্কিরা। গোল উত্সবে মেতে উঠে করে আরো ছয় গোল। দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেছেন কাউস ইলিয়াস। জোড়া গোল করেছেন রায়ান। একটি করে গোল করেছেন পালমেইরাসের বিস্ময় বালক এস্তবাও উইলিযান, সোসা সান্তোস, ভিক্টর রেস ও সুজা কুনহা।

ম্যাচে রেকর্ড ৮১টি শট নিয়েছে ব্রাজিলের তরুণরা। এর মধ্যে ২৩টি শট ছিল লক্ষ্যে। যার ৯টি থেকে গোল আদায় করেছে। বিপরীতে নিউ কালেদোনিয়া শট নিয়েছে পাঁচটি। তার মধ্যে মাত্র একটি লক্ষ্যে ছিল। তা সহজেই রুখে দেয় ব্রাজিলের গোলরক্ষক। আগের ম্যাচে নিউ কালেদোনিয়াকে ১০-০ গোলে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। ইংলিশরা ১০ গোল করেছিল ৩৯ শটেই।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষণায় বাড়ছে চিন্তা, গভীর সংকটের পথে অর্থনীতি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৫জন দেখেছেন

Image

বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মান উন্নয়ন নিয়ে সম্প্রতি একটি নতুন স্মারকপত্র সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে, তাদের ওপর বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই স্মারক জারির ঘোষণা দেওয়ার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও চলে আসে। ব্লিংকেন বলেছেন, আমরা কল্পনা আক্তার নামে বাংলাদেশি এক গার্মেন্টকর্মীর মতো মানুষদের সঙ্গে থাকতে চাই।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে চলমান ডলার সংকট সম্প্রতি আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সংকট সামাল দিতে গত অর্থবছরের শুরু থেকে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। বিভিন্ন পণ্যের এলসি খোলা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে আমদানিতে তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখা না গেলেও গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এর ফলে ক্রমাগতভাবে কমছে এলসি খোলার প্রবৃদ্ধি। ফলে আমদানি হ্রাস পাওয়ায় দেশে পণ্যের দামও হু হু করে বেড়ে চলেছে। এলসি খুলতে না পারায় দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি-বাণিজ্য কমে গেছে। আমদানি কম হওয়ায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজে রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে।

অপরদিকে বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি ঘোষণায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের মাঝে। চাহিদামতো এলসি খুলতে না পেরে এখন শিল্প কাঁচামাল, নিত্যপণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতির মতো অত্যাবশ্যকীয় আমদানিও কমিয়ে দিয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা কমেছে ১১.২২ শতাংশ। এ ৪ মাসে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে মোট ২ হাজার ১৮২ কোটি ডলারের। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময় এলসি খোলা হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৪৬৬ কোটি ডলারের। এ সময় ব্যাংকগুলোর এলসি নিষ্পত্তিও কমেছে ২৪ শতাংশের বেশি।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে ব্যাংকগুলো এলসি নিষ্পত্তি করেছিল ২ হাজার ৮৯৪ কোটি ডলারের। সেখান থেকে কমে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে তা নেমে এসেছে ২ হাজার ১৯৭ কোটি ডলারে। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটানা ১২ মাস ধরে আমদানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি চলে আসছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমকে বলেন, মূলধনী যন্ত্র ও কাঁচামাল দুটোরই আমদানি কমে গেছে। উৎপাদনের যে সক্ষমতা আছে, গ্যাস-সংকটের কারণে তাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটের দিকে যাচ্ছে।

পণ্য আমদানিকারকরা জানান, এলসি খুলতে নানা ধরনের শর্ত দেওয়া হচ্ছে ব্যাংক থেকে। একদিকে উৎপাদন কমছে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির কারণে ভোগ্যপণ্যের বিক্রিও কমছে।

দেশের পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বিধিনিষেধ ও ভিসানীতির পর শ্রম অধিকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বক্তব্য এখন বড় শঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভে পর ঘোষিত এ স্মারক এখন উদ্যোক্তাদের নতুন করে ভীত করে তুলছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকারকে সক্রিয়ভাবে একীভূত ও উন্নত করার জন্য পাঁচ ধরনের কর্মপরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এগুলো হচ্ছে—

প্রথমত: যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, শ্রমিক, শ্রম সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীলসমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করবে, যাতে করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারকে সুরক্ষিত করা যায়। এর অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মীরা শ্রমিক ও শ্রম ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হবে, যাতে তাদের কথা যুক্তরাষ্ট্রের কাজের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। দ্বিতীয়ত: যারা শ্রমিকদের হুমকিধমকি দেবে, ভয় দেখাবে, শ্রম ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি, শ্রম সংগঠনের ওপর আক্রমণ করবে তাদের নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তৃতীয়ত: দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকদের জন্য চাকরির সুযোগ বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদেশে শ্রমিকদের অধিকার উন্নত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের সক্ষমতাকে বাড়ানো হবে। এজন্য শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, তারা যাতে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো শনাক্ত করে তা প্রতিরোধ করতে পারে। চতুর্থত: যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সরকার এবং জাতিসংঘ, জি-২০-এর মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করবে, যাতে শ্রম অধিকার এবং শ্রমমান উন্নত করা যায়। পঞ্চমত: যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব বাণিজ্য চুক্তি এবং সাপ্লাই চেইন যাতে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তার জন্য মার্কিন প্রচেষ্টা আরো বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করার মাধ্যমে উত্পাদিত পোশাক আমদানি বন্ধ করবে।

তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশনের দেশ। ওরা (চাইলে) দিতে পারে। ওরা বড়লোক। আমাদের বাস্তবতার নিরিখে আমরা কাজ করবো। আমরা তো একদিনে যুক্তরাষ্ট্র হতে পারবো না। যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিলে বাংলাদেশের কিছু হবে না।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




আ.লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন সাকিব

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৭জন দেখেছেন

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনটি আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। আসনগুলো হলো— ঢাকা-১০, মাগুরা-১ ও ২। 

শনিবার (১৮ নভেম্বর) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সাকিব আল হাসানের পক্ষে স্বজনরা ফরমগুলো সংগ্রহ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকী নাজমুল আলম।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রথম দিনেই ১০৬৪টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে। এর মধ্যে সরাসরি ১০৫০ জন, আর অনলাইনে ১৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

তিনি জানান, প্রথম দিনে ঢাকা বিভাগে ২১৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯৮টি, সিলেট বিভাগ ৫৫টি, ময়মনসিংহ বিভাগ ১০৫টি, বরিশাল বিভাগে ৭৫টি, খুলনা বিভাগে ১২৫টি, রংপুর বিভাগে ১০৯টি ও রাজশাহী বিভাগে ১৬৯টি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। ফরম বিক্রি থেকে আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

এর আগে শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ফরম সংগ্রহ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য গোপালগঞ্জ-৩ আসনের মনোনয়ন ফরম কেনেন। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




এখন আর সংলাপের সুযোগ নেই : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

‘কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, যারা গণতন্ত্র চর্চা করে, তারা সংলাপ চায় না, এমন কথা বলতে পারে না। কিন্তু একটা সময় আছে। আজকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে। আপনি সংলাপ করবেন কবে। আমরা যখন তাদেরকে বলেছিলাম শর্ত ছাড়া সংলাপে জন্য। তারা তখন সেটিতে রাজি হয়নি।’ আজ বুধবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস থেকে সংলাপের চিঠি পাওয়ার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সংলাপের সুযোগ আছে কি না- এরপর সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন আর সংলাপের কোনো সুযোগ নেই। বিএনপিকে আমরা অনেক আগে থেকেই বলে আসছিলাম, শর্ত ছাড়া সংলাপে আসলে তখন আমরা বিবেচনা করব। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই।’ তবে চিঠির বিষয়টি নিয়ে তিনি দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

আজ ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সচিবালয়ে দেখা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সংলাপের আহ্বান সম্পর্কিত চিঠি ওবায়দুল কাদেরের হাতে তুলে দেন পিটার ডি হাস। তিনিও আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সে সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক সোমবার বিকেলে এ চিঠি পাওয়ার কথা জানান। ওইদিন বিএনপিও চিঠি পাওয়ার কথা জানায়।


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




আহত-অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা অনুদানের আবেদন শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৩২জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে অনুদানের আবেদন শুরু হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসের আবেদন চলবে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। এতে সই করেন ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন সোহাগ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট কর্তৃক ‘দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের এককালীন আর্থিক অনুদান প্রদান নির্দেশিকা, ২০২০’ অনুসরণপূর্বক এককালীন চিকিৎসা অনুদান দেওয়া হয়।

দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী প্রতি ২ মাস অন্তর বর্ণিত লিংক ব্যবহার করে অনলাইনে আবেদন দাখিল করতে পারেন। একজন দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থী তার চিকিৎসা মেয়াদে একবার মাত্র চিকিৎসা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, ই-চিকিৎসা অনুদান ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণপূর্বক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান শ্রেণির দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর প্রান্তের আবেদন আগামী ৩১ ডিসেম্বর-২০২৩ তারিখ পর্যন্ত সিস্টেম ব্যবহার করে অনলাইনে করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর