Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

হলুদের সমারোহে পাল্টে গেছে সাতক্ষীরার দৃশ্যপট

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৫৮৯জন দেখেছেন

Image

সাতক্ষীরার ফসলের মাঠে এখন যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুধু সরিষা ফুলের সমারোহ। সরিষার হলুদ ফুলের গন্ধে মধু সংগ্রহ করতে উড়তে দেখা যাচ্ছে মৌমাছিদের।

কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চাষ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় ২১ হাজার ৭৬৭ দশমিক ২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যেখানে গত ৫ বছর আগে চাষ হতো মাত্র ৮ হাজার ৯৫৫ হেক্টর। কয়েক বছরের ব্যবধানে জেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। চাষের সময় আর খরচ কম হওয়ায় সরিষা চাষ বাড়ছে। গত কয়েক বছরে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ফলে শস্যটির ফলনও আগের চেয়ে বেড়েছে। এ কারণে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দিন দিন বাড়ছে সরিষার চাষ। মূলত সয়াবিনের উচ্চ মূল্যের কারণে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে সরিষার চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কয়েক বছরে বেশকিছু নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, বিনার সরিষা হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ১ দশমিক ৮ টন। জীবনকাল মাত্র ৮৭ দিন। বাড়তি ফলন ও কম সময়ের কারণে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।

অপরদিকে বাজারে দাম ভালো দাম পাওয়ায় সরিষা চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষকেরা। বাজারে সরিষা ফুল ও সরিষা শাকেরও চাহিদা বাড়ছে। ফলে ফুল ও শাক বিক্রি করেও বাড়তি উপার্জন করছেন অনেকে।

তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের কৃষক শামছুর রহমান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৫-৭ মণ করে সরিষার ফলন হবে।প্রতি বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।’

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের বর্তমান ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আনতে হয়। এতে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশে ৫০ ভাগ তেল উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে ৩ বছর মেয়াদী রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। চলতি মৌসুমে ২৮ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে বারি ও বিনার উদ্ভাবিত সরিষার জাতগুলোর ফলন বেশি। এ কারণে এতে চাষিরাও আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করছেন। এরপর আবার বোরো ধান রোপণ করতে পারছেন। এতে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে।’


আরও খবর

বাফলার বিলে সাদা শাপলার সমারোহ

শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আপাতত কাউকে প্রধান নেতা করছে না হামাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৪১জন দেখেছেন

Image

সাবেক প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর দলের চেইন অব কমান্ডে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে, আপাতত নতুন কোনো প্রধান নেতা বেছে নিচ্ছে না গোষ্ঠীটি।

হামাসের একাধিক উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি। গোষ্ঠীটির একজন উচ্চ পর্যায়ের নেতা এএফপিকে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “ইয়াহিয়া সিনওয়ারের শাহাদাৎ বরণের ঘটনার পর থেকে আমরা হামাসের চেইন অব কমান্ড নিয়ে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা করছি। কাতারে হামাসের যেসব শীর্ষ নেতারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে থেকে ৫ জনকে বেছে নিয়ে একটি কমিটি গত সেপ্টেম্বরে গঠিত হয়েছিল। দলের নীতিনির্ধারনী সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত আপাতত সেই কমিটিই নেবে।”

“যদি যাবতীয় শর্ত অনুকূলে থাকে, তাহলে আগামী মার্চ মাসে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নতুন প্রধান নেতা বেছে নেবো। পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকলে নির্বাচন আরও পরে হবে। তবে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ৫ সদস্যের কমিটিই দলের নির্বাহী দায়িত্বে থাকবে।”গত আগস্ট মাসে হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর শীর্ষ ৫ নেতার সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিল গোষ্ঠীটি। এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারেই হানিয়ার উত্তরসূরী প্রধান নেতা হয়েছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। কমিটির সদস্যদের সবাই কাতারে বাসবাস করছেন।

গত ৩১ জুলাই ইরানে এক আততায়ী হামলায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ও শীর্ষ নির্বাহী নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর ৭ আগস্ট এই পদে আসেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। এর আগ পর্যন্ত হামাসের গাজা শাখার প্রধান নেতা ছিলেন তিনি। হামাসের শীর্ষ নেতার পদ পাওয়ার ৪০ দিনের মাথায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত হন তিনি।কমিটির ৫ জন সদস্যের মধ্যে চার জনের নাম জানা গেছে। এরা হলেন খলিল আল হায়া, খালেদ মেশাল, মোহাম্মদ দারউইশ এবং জাহের জাবারিন। এদের মধ্যে খলিল আল হায়া এবং জাহের জাবারিন যথাক্রমে ফিলিস্তিনের দুই অঞ্চল গাজা এবং পশ্চিম তীরের প্রতিনিধি। খালেদ মেশাল হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতার পাশাপাশি একজন দক্ষ লিয়াজোঁ কর্মকর্তাও। মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য মিত্র দেশ ও সংস্থাগুলোর সঙ্গে হামাসের যোগাযোগ এবং লিয়াজোঁর ব্যাপারটি তিনিই দেখভাল করেন। অন্যদিকে মোহাম্মদ দারউইশ হামাসের শীর্ষ নীতি নির্ধারণী শাখা শুরা কাউন্সিলের সদস্য।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ার পর শোনা যাচ্ছিল, খলিল আল হায়া, খালেদ মেশাল এবং মোহাম্মদ দারউইশের মধ্যে থেকে কেউ একজন শীর্ষ নেতা হবেন। তবে বর্তমানে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে গোষ্ঠীটি।


আরও খবর



সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০ বছর পর্যন্ত কর সুবিধা

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image

নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনকারীকে সব কোম্পানিকে আয়কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

কোম্পানিগুলো ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে উৎপাদনে যাওয়া কোম্পানিকে ১০ বছরের জন্য শর্ত সাপেক্ষে এ অব্যাহতি সুবিধা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৭৬ এর উপধারা (১) অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশের আওতায় বিওও ভিত্তিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিকে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যেসব কোম্পানির বাণিজ্যিক উৎপাদন ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে আরম্ভ হবে, সেই সব কোম্পানি শর্ত সাপেক্ষে কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাণিজ্যিক উৎপাদন আরম্ভ হতে প্রথম ৫ বছর পর্যন্ত (প্রথম থেকে পঞ্চম বছর) শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে। পরবর্তী ৩ বছর (ষষ্ঠ হতে অষ্টম) অব্যাহতি সুবিধা ৫০ শতাংশ ও পরবর্তী ২ বছর (নবম ও দশম) ২৫ শতাংশ কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে।

শর্তের মধ্যে রয়েছে—আয়কর আইনের সব বিধানাবলি পরিপালন করতে হবে, প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশ-এ নির্ধারিত সব শর্তাবলি পূরণ করতে হবে এবং পলিসিতে বর্ণিত ব্যবস্থা অনুসারে কোম্পানিগুলো পরিচালিত হতে হবে। ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে এ অব্যাহতি সুবিধা কার্যকর হবে।


আরও খবর

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪




ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষায় নতুন ফিচার আনছে গুগল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১৮জন দেখেছেন

Image

সাইবার নিরাপত্তা এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি নতুন ফিচার আনছে গুগল। যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচারটি হলো নগ্ন ছবি আদান-প্রদান সীমিত করার লক্ষ্যে আনা ফিচারটি। গুগলের এই ফিচারটি কারো ছবিতে নগ্নতা থাকলে সে ছবি পাঠানোর বিষয়ে ব্যবহারকারীরা সচেতন কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এ ছাড়া এমন সব নগ্ন ছবি ঝাপসা করে দেবে।  ফিচারটিতে ব্যবহার হয়েছে এমন টুল, যা ব্যবহারকারীর ফোনে থাকা এ ধরনের ছবি শনাক্ত করতে সক্ষম। এর ফলে মানুষের প্রাইভেসি সুরক্ষিত থাকবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। গুগল বলছে, ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি রক্ষায় এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্টেড মেসেজ কনটেন্ট কেবল আদান-প্রদানকারীর কাছে ব্যক্তিগত বা গোপন রাখতে ব্যবহার হয় ডিভাইসে। তারা বলছে, সংবেদনশীল কনটেন্টের সতর্কীকরণ বার্তাটি ব্যবহারকারীর ছবির বিভিন্ন কনটেন্টে প্রবেশাধিকার দেয় না গুগলকে। এমনকি গুগল এও জানে না, গোপন কোনো ছবি শনাক্ত হয়েছে কি না। এ নতুন ফিচারটি চালু হলে তা নগ্ন ছবি থাকতে পারে এমনসব ছবিকে দেখার আগেই চিহ্নিত করবে এবং কেউ এমন ছবি দেখতে চায় কি না তা যাচাইয়ের জন্য যোগ করবে একটি ‘স্পিড বাম্প’ও। এ ছাড়া কেউ এ ধরনের ছবি শেয়ার করতে বা ফরোয়ার্ড করতে চাইছেন সে ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে। এরপর এসব ছবির বিভিন্ন লিংক ও উৎস অন্তর্ভুক্ত হবে স্পিড বাম্পণ্ডএ এবং নগ্ন ছবি পাঠানোর ঝুঁকি ও আকস্মিক শেয়ার ঠেকানোর কথা ব্যবহারকারীদের মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করবে ফিচারটি। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য অপশনাল থাকলেও ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য ফিচারটি বাধ্যতামূলক করেছে গুগল। সামনের মাসগুলোতে অ্যান্ড্রয়েড ৯ বা এরপরের সংস্করণ ও গুগল মেসেজেস অ্যাপে চলে এমনসব ডিভাইসে ফিচারটি আনবে টেক জায়ান্টটি।


আরও খবর

মনিটাইজেশনের শর্ত আরও সহজ করলো ফেসবুক

বৃহস্পতিবার ২৪ অক্টোবর 20২৪




গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৪৩ হাজার ১৬০ জন ছাড়িয়ে গেছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ১০২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ হাজার ১৬৩ জনে পৌঁছেছে বলে বুধবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত এক লাখ ১ হাজার ৫১০ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ১০২ জন নিহত এবং আরও ২৮৭ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।




আরও খবর



এবার হচ্ছে না আয়কর মেলা, অনলাইন রিটার্নে উৎসাহ

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪ | ৫১জন দেখেছেন

Image

নভেম্বর মাস এলেই কর মেলার জন্য অপেক্ষায় থাকতেন অনেক করদাতা। করোনাপরবর্তী ২০২০ সাল থেকে আর কর মেলা হয়নি। চলতি বছরও আয়কর মেলা আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে করদাতাদের সুবিধার্থে এবার ঘরে বসে অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়াকেই বেশি উৎসাহ দিচ্ছে এনবিআর।এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, কর কার্যালয়ে রিটার্ন দেওয়ার সুবিধা দিতে নভেম্বর মাসজুড়ে সেবা মাস পালন করা হবে। এ ছাড়া সচিবালয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থানে কর কর্মকর্তারা সহায়তা দিতে যাবেন। এমনকি সহায়তা দিতে স্বেচ্ছাসেবীও নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

জানা গেছে, সব কর অঞ্চলে করদাতাদের জন্য সেবাকেন্দ্র চালু করা হবে। সেখানে রিটার্ন জমার পাশাপাশি রিটার্ন ফরম পূরণে সহায়তা দেওয়া হবে। রিটার্ন জমার সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্ন জমার প্রাপ্তি স্বীকারপত্রও পাবেন করদাতারা।

২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর কর মেলা আয়োজন করে আসছে এনবিআর। এরই মধ্যে এই কর মেলা সাধারণ করদাতাদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। তবে গত বছরও করোনা বিবেচনায় মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। এনবিআরের আওতাধীন সারাদেশে ৪০টি কর অঞ্চল রয়েছে। কর কার্ড নিয়ে সিদ্ধান্ত নেই 

২০১৬ সাল থেকে প্রতিবছর জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণিতে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের কর কার্ড ও সম্মাননা দেওয়া হয়। কিন্তু এবার কর কার্ড দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি এনবিআরের আয়কর বিভাগ।

সূত্র বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরলে কর কার্ড নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।


আরও খবর

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪