Logo
আজঃ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫
শিরোনাম

হলুদের সমারোহে পাল্টে গেছে সাতক্ষীরার দৃশ্যপট

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ৬১৯জন দেখেছেন

Image

সাতক্ষীরার ফসলের মাঠে এখন যেদিকে চোখ যায়, সেদিকেই শুধু সরিষা ফুলের সমারোহ। সরিষার হলুদ ফুলের গন্ধে মধু সংগ্রহ করতে উড়তে দেখা যাচ্ছে মৌমাছিদের।

কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি বছর জেলায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে চাষ করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলায় ২১ হাজার ৭৬৭ দশমিক ২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যেখানে গত ৫ বছর আগে চাষ হতো মাত্র ৮ হাজার ৯৫৫ হেক্টর। কয়েক বছরের ব্যবধানে জেলায় সরিষার আবাদ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। চাষের সময় আর খরচ কম হওয়ায় সরিষা চাষ বাড়ছে। গত কয়েক বছরে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ফলে শস্যটির ফলনও আগের চেয়ে বেড়েছে। এ কারণে সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দিন দিন বাড়ছে সরিষার চাষ। মূলত সয়াবিনের উচ্চ মূল্যের কারণে ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে সরিষার চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) কয়েক বছরে বেশকিছু নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। সংস্থাটির তথ্যমতে, বিনার সরিষা হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ১ দশমিক ৮ টন। জীবনকাল মাত্র ৮৭ দিন। বাড়তি ফলন ও কম সময়ের কারণে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।

অপরদিকে বাজারে দাম ভালো দাম পাওয়ায় সরিষা চাষে আশার আলো দেখছেন কৃষকেরা। বাজারে সরিষা ফুল ও সরিষা শাকেরও চাহিদা বাড়ছে। ফলে ফুল ও শাক বিক্রি করেও বাড়তি উপার্জন করছেন অনেকে।

তালা উপজেলার নগরঘাটা গ্রামের কৃষক শামছুর রহমান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। আবহাওয়া ভালো থাকলে ১ বিঘা জমিতে প্রায় ৫-৭ মণ করে সরিষার ফলন হবে।প্রতি বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।’

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের বর্তমান ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আনতে হয়। এতে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ অবস্থায় দেশে ৫০ ভাগ তেল উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে ৩ বছর মেয়াদী রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। চলতি মৌসুমে ২৮ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে বারি ও বিনার উদ্ভাবিত সরিষার জাতগুলোর ফলন বেশি। এ কারণে এতে চাষিরাও আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করছেন। এরপর আবার বোরো ধান রোপণ করতে পারছেন। এতে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে।’


আরও খবর



ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু 

  স্টাফ রিপোর্টার 

বাগেরহাটের শরণখোলায় ক্লাইমেট - স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে খুলনা কৃষি অঞ্চলের জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রথম সংশোধনী প্রকল্পের মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ জুলাই দুপুর ১২ টায় শরণখোলা উপজেলা কিসে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মূল্যায়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্লাইমেট স্মার্ট প্রযুক্তি প্রকল্প পরিচালক। অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ উদ্দিন, কৃষি ব্যাংকের স্বয়ংক্রিয় শাখার ম্যানেজার সঞ্জয় দেবনাথ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক আঃ মালেক রেজা, প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার ধীমান মজুমদার, জাইকা প্রকল্প কর্মকর্তা রিয়াজুর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীম হাসান সুজন, সারের ডিলার ও ব্যবসায়ী মোঃ সরোয়ার হোসেন, শহিদুল ইসলাম,  সাংবাদিক শাহীন হাওলাদার, উদ্যোক্তা সরোয়ার হোসেন বাদল, কৃষক সুমন,নাছির মুন্সি। সভায় বক্তারা কৃষির উৎপাদনে কি কি সমস্যা রয়েছে তা তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন এ সক্ষম ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি গ্রহণ ও পতিত জমি চাষের আওতায় আনার মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় ফসলের নিবিড়তা কি ভাবে  বৃদ্ধির বৃদ্ধি করা যায় এবং সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার  ও মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা  এবং উচ্চ ফলনশীল ফল এবং সবজি আবাদ সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসলে উৎপাদন কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সে সম্পর্কে অবহিত করেন। 


আরও খবর



গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | ২৩জন দেখেছেন

Image

জেলা সদরে আজ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তানভীর মোল্যা (২৫) নামের একব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের মিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তানভীর মোল্যা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের খোকন মোল্যার ছেলে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. সাজেদুর রহমান বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, তানভীর মিয়াপাড়ার একটি বাড়িতে ডেকোরেটর শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। এ সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তানভীর মোল্যা উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হবে না সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ মে ২০২৫ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ জুন ২০২৫ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

করিডোর ইস্যু ও সীমান্ত নিরাপত্তা ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে—জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, এমন কোনো কার্যক্রমে সেনাবাহিনী কখনোই সম্পৃক্ত হবে না। সরকার ও সেনাবাহিনী একে অপরের সহযোগিতায় দেশ ও জাতির স্বার্থে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলেও আশ্বস্ত করেছে সেনাসদর।

ঢাকা সেনানিবাসে আয়োজিত একাধিক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম এ সময় করিডোর, কেএনএফ, সীমান্ত পরিস্থিতি এবং যৌথ অভিযানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন।

সোমবার (২৬ মে) ঢাকায় সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত ওই সংবাদ সম্মেলনে করিডোর ইস্যুতে সেনাবাহিনীর অবস্থান পরিষ্কার করে বলা হয়, এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি বিষয়। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনী সবসময় কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। এই বিষয়ে সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ কিংবা মতপার্থক্য নেই। বরং, তারা ‘ওতপ্রোতভাবে একে অপরের সম্পূরক হিসেবে’ কাজ করছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “এই দেশ আমাদের সবার। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সেনাবাহিনী কোনো আপস করে না। করিডোর ও বর্ডার পরিস্থিতি দুটি ভিন্ন বিষয়, এদের একসঙ্গে মেশানো অনুচিত।”

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চট্টগ্রামের এক পোশাক কারখানায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর নামে প্রায় ৩০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়ার ঘটনায় সেনাবাহিনী গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তদন্ত চলছে—এই পোশাক কাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এবং এর সঙ্গে অন্য কোনো সংগঠনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “বম কমিউনিটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। সেক্ষেত্রে ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কারা ব্যবহার করবে, তা খতিয়ে দেখার সুযোগ আছে। বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়া হচ্ছে না, বরং জাতীয় নিরাপত্তার অংশ হিসেবে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে সেনা কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে রাখাইন অঞ্চলের প্রায় ৮৫-৯০ শতাংশই আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে। মিয়ানমারে কার্যত কেন্দ্রীয় সরকারের অস্তিত্ব বিলীন। এই পরিস্থিতিতে সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীর মুভমেন্ট অস্বাভাবিক নয়, তবে বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উল-দৌলা বলেন, “আমরা বর্ডার কম্প্রোমাইজ করিনি, করবও না। যতক্ষণ শরীরে শক্তি থাকবে, আমরা দেশের সীমানা রক্ষা করব। এই দেশ আমাদের সকলের।”

সীমান্তে আরসা বাহিনীর টহল নিয়ে তিনি বলেন, “অবশ্যই এটি উদ্বেগজনক। তবে আমরা সতর্ক এবং বিজিবি ও সেনাবাহিনী একযোগে কাজ করছে। পুশইন কোনোভাবেই কাম্য নয়, প্রয়োজন হলে সেনাবাহিনী সরাসরি মাঠে নামবে।”

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ৪০ দিনে সেনাবাহিনী ২৪১টি অবৈধ অস্ত্র এবং ৭০৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে। আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৬১১টি অবৈধ অস্ত্র এবং ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সময়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৪ হাজার ২৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী জানায়, মাদকবিরোধী অভিযানে আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৪০০ জন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যার মধ্যে কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজ, অপহরণকারী ও ডাকাতও রয়েছে।

ভেজাল খাদ্যবিরোধী অভিযানে সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চিংড়িতে জেলি মেশানো এবং ভেজাল শিশু খাদ্য উৎপাদনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এসব অভিযানের ফলে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ও আস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেন সেনা কর্মকর্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সেনা কর্মকর্তারা আরও বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করবে”—এমন গুজব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো আলোচনাও হয়নি। তাদের একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে দেশের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সেনাবাহিনী দুই সপ্তাহব্যাপী বিশেষ নিরাপত্তা কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় টহল ও চেকপোস্ট বসানো হবে, যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা হবে।


আরও খবর



নওগাঁয় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | ১৬জন দেখেছেন

Image

কোরবানির পশুর চামড়া বেচাকেনায় জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে নওগাঁ জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।  

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বাসসকে বলেন, চামড়া দেশের সম্পদ। একটি চামড়াও নষ্ট হতে দেয়া হবে না। সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জেলায় এ বছর ৩ লাখ ৭৮ হাজার গবাদিপশু কোরবানি  দেওয়া হয়েছে। যার সিংহভাগ গরু। এসব পশুর চামড়া থেকে জেলায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার চামড়া বাণিজ্যের সম্ভাবনা  তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সঠিক নিয়মে চামড়া সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এ বছর নওগাঁ জেলায় বিনামূল্যে ৭৪ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো জেলার ১১টি উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে এ লবণ বিতরণ করা হয়। চামড়া সংরক্ষণে সঠিক পরিমাণ লবণ ব্যবহার করে সহজেই চামড়া সংরক্ষণ করা যায়। তাই এবার নওগাঁয় চামড়া নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে চামড়া বেচাকেনা হচ্ছে না। এবার নওগাঁয় প্রকারভেদে গরুর চামড়া ৩০০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও ছাগলের চামড়া কিনে লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। 

চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় গরুর চামড়ার দাম মিললেও মূল্য নেই ছাগলের চামড়ার। লাভের আশায় চামড়া কিনে এবারও লোকসান গুনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। তবে দেশের সম্পদ রক্ষার্থে প্রতি বছরের মত এ বছরও চামড়া সংগ্রহ করে সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষণ করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা । 

নওগাঁ শহরে চামড়া বিক্রি করতে আসা রহিদুল মিয়া বাসসকে বলেন, ‘১০টি ছাগলের চামড়া কিনে নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। মাত্র ৫০ টাকা দাম বলেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। ভ্যান ভাড়াই বা  দেব কীভাবে। ছাগলের চামড়ার দাম খুব কম। কেউ চামড়া নিতে চায় না।

পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও রানীনগর থেকে আসা কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী বলেন, এবার অনেক চামড়ায় ল্যাম্পি স্কিন রোগ থাকায়ও চামড়ার দাম কম।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মমতাজ হোসেন বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই চামড়া কেনা হচ্ছে। এবার জেলায় বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় বিনামূল্যে লবণ দেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসার চামড়া কিনতে হয় না, তারা ফ্রিতে পেয়ে যান। আবার লবণও ফ্রি। এতে করে বেশ লাভবান হবেন তারা।

তিনি আরো বলেন, আমাদের সুবিধা চামড়া বাকিতে কিনতে হচ্ছে না এবং বাকিতে বিক্রিও করতে হচ্ছে না। এতে করে উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। সরকারের এই উদ্যোগটা খুব ভালো। প্রতি বছর এ ব্যবস্থা করলে দেশের সম্পদ নষ্ট হবে না। বাকিতে বেচাকেনাও বন্ধ হবে।


আরও খবর



কোরবানির পশুর হাড় বিক্রি নিয়ে ইসলাম যা বলে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ জুন ২০২৫ | ১৪জন দেখেছেন

Image

পশু কোরবানির মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মূলত মানুষের তাকওয়া-পরহেজগারি পরীক্ষা করেন। বর্ণিত হয়েছে, (মনে রেখো, কোরবানির পশুর) গোশত অথবা রক্ত আল্লাহর কাছে কখনোই পৌঁছায় না; বরং তার কাছে কেবলমাত্র তোমাদের পরহেজগারিই পৌঁছায়। (সুরা হজ, আয়াত, ৩৭) 

আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেন- “আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্যে কোরবানি নির্ধারণ করেছি, যাতে তারা আল্লাহর দেওয়া চতুস্পদ জন্তু জবেহ কারার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। অতএব তোমাদের আল্লাহ তো একমাত্র আল্লাহ সুতরাং তাঁরই আজ্ঞাধীন থাকো এবং বিনয়ীগণকে সুসংবাদ দাও।” (সুরা হজ, আয়াত :৩৪)

কোরাবানির জন্য নির্ধারিত পশুর মাংস নিদ্বিধায় খাওয়া হালাল। কোরবানির মৌসুমে অনেক মহাজন কোরবানির হাড় ক্রয় করে থাকে। টোকাইরা বাড়ি বাড়ি থেকে হাড় সংগ্রহ করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এদের ক্রয়-বিক্রয় জায়েজ আছে কিনা?

এ বিষয়ে ইসলামী আইন ও ফেকাহশাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- টোকাইরা  কোরবানির পশুর হাড় সংগ্রহ করে বিক্রি করলে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু কোনো কোরবানিদাতার জন্য নিজ কোরবানির কোনো কিছু এমনকি হাড়ও বিক্রি করা জায়েজ হবে না। করলে মূল্য সদকা করে দিতে হবে। আর জেনেশুনে মহাজনদের জন্য এদের কাছ থেকে ক্রয় করাও বৈধ হবে না। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৫; কাযীখান ৩/৩৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০১)

কোরবানির মাংস, কোরবানির পশুর চামড়া, দড়ি ইত্যাদি বিক্রি করা যাবে না। বিক্রি করলেও সেই টাকা সদকা করে দিতে হবে। হাদিসে এসেছে, আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) বলেন, নবী (সা.) আমাকে তাঁর (কোরবানির উটের) আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করতে বলেছিলেন। তিনি কোরবানির পশুর গোশত, চামড়া ও আচ্ছাদনের কাপড় সদকা করতে আদেশ করেন এবং এর কোনো অংশ কসাইকে দিতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে (তার পারিশ্রমিক) নিজের পক্ষ থেকে দেব।’ (বুখারি: ১/২৩২)


আরও খবর