Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

হরতাল-অবরোধেও চলছে পরীক্ষা, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৫জন দেখেছেন

Image

আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলের সব পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেজন্য রাজধানীসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে চলছে বার্ষিক পরীক্ষা কিংবা মূল্যায়নের কার্যক্রম। এর মধ্যে আবার গত ২৯ অক্টোবর থেকে চলছে হরতাল-অবরোধ। হরতাল-অবরোধে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও বাস-ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। সে কারণে ছুটির দিনে এবং কর্মসূচির বিরতির দিনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। সেটি সম্ভব না হলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এখন অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে, বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর হরতাল-অবরোধে দিশেহারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও। তারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে শিক্ষার্থীদের স্কুলে না আসার অপশন থাকলেও পরীক্ষার ক্ষেত্রে তা করা কঠিন। বাধ্য হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ছুটির দিন শুক্র-শনিবার এবং হরতাল-অবরোধের বিরতির দিন মঙ্গলবার পরীক্ষা নিচ্ছে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান হরতাল-অবরোধেও মধ্যে পরীক্ষা নিচ্ছে। 

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা শেষ করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে চায় তা নিতে পারে। এজন্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের কোনো নিষেধ নেই। তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।   

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনের বছর হওয়ায় একটু আগেভাগেই পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এদিকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে হরতাল-অবরোধও চলছে। তাই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ছুটির দিনে পরীক্ষা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোনো নির্দেশনা নেই। কিন্তু অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই।

অভিভাবকরা বলছেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি-ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় অবস্থিত উদয়ন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাবা হাজী মো. শাহজাহান বলেন, বাচ্চাদের পরীক্ষার জন্য হলেও ১৫দিন রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখা উচিত। আমার ছেলে নিজে স্কুলে আসতে পারলেও হরতাল-অবরোধের কারণে তাকে এখন একা পাঠাই না। অফিস রেখে তাকে স্কুলে নিয়ে আসতে হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ করে তাকে বাসায় দিয়ে তারপর অফিসে যেতে হবে। বছরের শেষে এ ধরনের কর্মসূচি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রুবাবা দৌলার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধে মধ্যে স্কুলে পরীক্ষা চলছে। কিন্তু বাচ্চারা কীভাবে আসবে সেই  চিন্তা না করছে সরকার, বিরোধী দল বা স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ তাদের সন্তান পড়াশোনা করে বিদেশে। আর দেশে পড়লেও তারা নিরাপত্তা নিয়েই স্কুলে আসে। কিন্তু যত কষ্ট হয় আমাদের। হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা না নিয়ে মঙ্গলবার, শুক্র ও শনিবার নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বিরোধী দলগুলোর এসব কর্মসূচির মধ্যেই রাজধানীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ছুটির দিনগুলোতে সুযোগ বুঝে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আজ (রোববার) থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। এজন্য শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার তিনদিন পরীক্ষা নেওয়ার হচ্ছে। তবে যেসব ক্লাসে বিষয় বেশি সেসব ক্লাসে অন্যান্য দিনেও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের বলা হয়েছে যে, আপনার সন্তানকে সাবধানে স্কুলে নিয়ে আসবেন।

ভিকারুননিসা স্কুলে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, পরীক্ষা চলাকালে যাতে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়া হয়, সেজন্য গতকাল (শনিবার) রাজধানীতে মানববন্ধন করে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছি। সন্তানরা যাতে নির্ভয়ে ও স্বাচ্ছন্দ্যে স্কুলে আসতে পারে, আনন্দের সাথে বার্ষিক মূল্যায়নে অংশ নিতে পারে সেই দাবি জানিয়েছি। তাছাড়া আনন্দের পরীক্ষা যেন বিষাদে পরিণত না হয় সেই দাবি জানিয়েছি।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু ঢাকা পোস্ট বলেন, স্কুলগুলো পড়েছে ঝামেলায়। একদিকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে, অন্যদিকে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি হলো রাজনৈতিক দলগুলোকে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করতে হবে। কিন্তু তারা করছে না। আমরা চাই কোনো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার না হয়। কিন্তু গত ১৫ দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন।

তার দাবি, যেসব শিক্ষার্থী হরতাল-অবরোধে স্কুলে আসতে পারছে না, তাদের অনুপস্থিত দেখানো যাবে না। বরং ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে।


আরও খবর



শিশুর বেছে বেছে খাবার খাওয়ার অভ্যাস দূর করবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

সাধারণত অভিভাবকরা মনে করেন যে শিশুরা সব ধরনের খাবার নাও খেতে পারে। প্রি-প্যাকেজড কিড-সাইজ স্ন্যাকস যেমন চিকেন নাগেটস, স্যান্ডউইচ শিশুদের পছন্দের খাবার। কিন্তু মায়েরা সচরাচর এমন খাবার শিশুদের খেতে দিতে চান না যদি শিশুটি জোর না করে। শিশুর জন্য অভিভাবকরা যে ধরণের খাবার তৈরি এবং পরিবেশন করে সেটি পরিবর্তন করা দরকার। কিন্তু বাবা-মা চাইলেই তাদের দুশ্চিন্তা দূর করতে পারে যদি তারা কিছু নিয়ম মেনে চলে। আসুন জেনে নিই সেই নিয়মগুলো-

১. খাবারকে না বলা চলবে না
বাসায় শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের কোনো খাবার নিয়ে অভিযোগ করার সুযোগ রাখবেন না। এর মানে তাদের সব খাবারই খেতে হবে তেমনও নয়। কিন্তু খাবারকে না বলা চলবে না। সব খাবার শরীরে পুষ্টি জোগায়। শিশুদেরকে এটি বোঝানো উচিত। প্রত্যেক খাবারেরই নিজস্ব গুণ আছে। যারা অনেক কষ্ট করে রান্না করে শিশুরা খাবার না খেলে তারাও মনে কষ্ট পায়। ক্ষুধার্ত না থাকলে কাউকে খাবারের জন্য জোর করা উচিত নয়। খাবারের টেবিলে অবশ্যই খুশি মনে বসতে হবে। তাতে খাদ্য পরিপাক ভালোভাবে হয় এবং ভালো ঘুমও হয়। যেকোনো খাবার নিয়ে বলা উচিত না যে এটা ভালো না। এতে শিশু পরবর্তীতে ওই খাবার আর খেতে চায় না।

২. খাবার খাওয়াকে স্বাভাবিক অভ্যাস হিসেবে গড়ে তুলুন
শিশুরা খাবার খায় শরীরে পুষ্টি জোগাতে। তাই অভিভাবকের উচিত সঠিক নিয়মে খাবার দেওয়া। খাবার শেষ করতে পারলে পুরস্কার পাবে- শিশুকে কখনো এ ধরনের কথা বলবেন না। তাহলে ওরা ধরে নেবে যে খাবার খাওয়া একটি কষ্টের কাজ যা শেষ করতে পারলে পুরস্কার পাওয়া যায়। বরং খাবার খাওয়াকে প্রতিদিনের সাধারণ অভ্যাস হিসেবেই গড়ে তুলুন। এমনকী শিশুর জন্মদিনেও অনেক পদের আয়োজন করার প্রয়োজন নেই। এর বদলে তাকে এই বিশেষ দিন উপলক্ষে পছন্দের কিছু কিনে দিন, ঘুরতে নিয়ে যান। আবার শাস্তি হিসাবে কখনোই শিশুর খাবার বন্ধ করা ঠিক না। এতে শিশু মনে কষ্ট পাবে এবং দুর্বল হয়েও পরবে। তবে অস্বাস্থ্যকর খাবারও দেয়া চলবে না। তাদেরকে বুঝাতে হবে কোনটি তাদের জন্য ঠিক। শিশুদেরকে খুশি রাখতে মাঝে-মধ্যে তাদের জন্য ভালো খাবার রান্না করা উচিত । এতে তাদের মনও ভালো থাকবে এবং তারা খুশিও হবে। মূলত যখন তারা কোনো ভালো কিছু করবে তখন তাদের উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে এটি করতে পারেন। কিন্তু কোন খারাপ কাজ করলে শাস্তি না দিয়ে অবশ্যই বোঝাতে হবে।

৩. শিশুর ক্ষুধা নষ্ট হতে দেবেন না
অনেকেরই খাওয়ার সময় চলাফেরা করার অভ্যাস রয়েছে যার ফলে ক্ষুধা নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে শিশুরা নানা অজুহাতে এই কাজটি করে থাকে। কিন্তু তাতে আরও ক্ষতি হয়ে যায়। তাই এই কাজ তাদের করতে দেয়া যাবে না। সঠিক সময়ে খাবার দিলে শিশুরা যেকোনো খাবারই খুশি হয়ে খেয়ে নেয়। এতে তাদের খালি পেটেও বেশিক্ষণ থাকতে হয় না। পরবর্তী খাবারের জন্যও তারা উৎসাহিত থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার জন্য ক্ষুধাকে অজুহাত হতে দেয়া যাবে না। শিশুর ক্ষুধা নিবারণে হালকা নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস হতে দেয়া যাবে না।

৪. পারিবারিক কার্যকলাপের একটি অংশ
টিভি দেখার সময় শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাস করা উচিত নয়। তাতে সে পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। শিশুরা পরিবারের সবার সঙ্গে খাবার খেলে তাদের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। সবার সঙ্গে খাবার খেলে শিশুরা গল্প করতে পারবে এবং পরিবারের সবার প্রতি টানও কাজ করবে। সবার জন্যে অবশ্যই একই রকমের খাবারের ব্যবস্থা করা উচিত, তাতে সবাই মিলেমিশে খাওয়াদাওয়া করা শিখবে। খাবারের সময়টি পারিবারিক কাজের অন্তর্ভুক্ত। তাই এই সময় বাকি যেকোনো কাজ থেকে দূরে থাকা উচিত।

৫. চেষ্টা করুন, আবার চেষ্টা করুন
যেসব শিশু খাবার বেছে খায় তদেরকে সুন্দর করে খাবারে পরিবেশন করতে হবে। যাতে খাবারগুলো তাদের কাছে সুস্বাদু লাগে এবং খুশি হয়ে খায়। বাচ্চারা যখন কোন খাবার পছন্দ না করে তখন তারা ভিন্ন খাবারের বায়না ধরে, তখন অভিবাবকরা শুধু বোঝায় যে খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত। শিশু কোনো খাবার খেতে না চাইলে তাকে জোর করা উচিত নয়। বরং বোঝাতে হবে যে এটি তাদের জন্য উপকারী।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




আর্জেন্টিনার নতুন প্রেসিডেন্ট জেভিয়ার মিলে

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ২২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন দেশটির ডানঘেঁষা গণতন্ত্রপন্থী নেতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জেভিয়ার মিলে (৫৩)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও আর্জেন্টিনার সাবেক অর্থমন্ত্রী সের্গিও মেসাকে (৫১) ১২ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

আর্জেন্টিনার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ভোটের ফলাফল প্রকাশ করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। সেখানে দেখা গেছে, জেভিয়ার মিলে পেয়েছেন ৫৬ শতাংশ ভোট এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সের্গিও মেসা পেয়েছেন ৪৪ শতাংশ ভোট।

রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাপক মূল্যস্ফীতি এবং তার জেরে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা এবং বাড়তে থাকা দারিদ্রের চাপে বিপর্যস্ত আর্জেন্টিনায় নির্বাচনের শুরু থেকেই খানিকটা সুবিধাজনক জায়গায় ছিলেন জেভিয়ার। কিন্তু তারপরও তার ৫৬ শতাংশ ভোট অর্জনকে ‘আশার চেয়েও বেশি’ বলে মনে করছেন অনেকেই।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া তাৎক্ষণিক এক ভাষণে জেভিয়ার বলেন, ‘আমাদের সামনে পাহাড়প্রমাণ সমস্যা অপেক্ষা করছে। এই সমস্যার উৎস মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং দারিদ্র্য। দেশের পরিস্থিতি বেশ খারাপ এবং সত্যিকার অর্থেই আসলে এখন হাত গুটিয়ে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই।’

‘আমরা পিছু হটব না; সামনে এগিয়ে যাবো এবং এই সংকট পরিস্থিতিকে অতিক্রম করব।’

শনিবার রাতে ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর রাজধানী বুয়েন্স এইরেসে জেভিয়ারের শত শত সমর্থক গাড়ি-মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে, স্লোগান দিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে, রক মিউজিক বাজিয়ে নিজেদের নেতার বিজয় উদযাপন শুরু করেন।

২১ বছর বয়সী শিক্ষার্থী এফরেইন ভিভেরো তাদের মধ্যে একজন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে এই ঐতিহাসিক বিজায় উদযাপন করতে এসেছে। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। (জেভিয়ার) মিলে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক। মেসা আসলে আমাদেরকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে নেতৃত্ব দিতে পারতেন না; এখন আমরা আমাদের নেতাকে পেয়ে গেছি।’

চলতি বছর জাতীয় নির্বচানে জয়ের মধ্যে দিয়ে আর্জেন্টিনার ঘরোয়া রাজনীতিতে পেরোনিস্ট পার্টির গত ৮৩ বছরের আধিপত্যের অবসান ঘটিয়েছেন জেভিয়ার মিলে।

মিলে ব্যাপকভাবে গর্ভপাতবিরোধী, অস্ত্র আইন সহজ করার পক্ষে এবং আর্জেন্টিনার নাগরিক পোপ ফ্রান্সিসের সমালোচক। তার প্রথম দু’টি বৈশিষ্টের সঙ্গে মার্কিন রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টির মতাদর্শের মিল রয়েছে।

ভোটের পরাজিত প্রার্থী সের্গিও মেসার সমর্থক এবং স্কুলশিক্ষিকা সুসানা মার্টিনেজ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘জেভিয়ারের নীতির কথা ভাবলে আমরা আতঙ্কিত হয়ে উঠি।’


আরও খবর



শুধু চিনি ছাড়লেই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি মিলবে না

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি। তাই পছন্দের অনেক খাবারই তালিকা থেকে বাদ দিতে হয়েছে অনেকের। সুগার-ফ্রি ডায়েট করলেই বোধ হয় ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এ রকম ধারণাও রয়েছে অনেকের। বিষয়টি পুরোপুরি ভুল নয়। তবে আধুনিক চিকিৎসা বলছে, পরিমিত পরিমাণে সব কিছু খেয়েও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া মানেই যে ডায়েট সফল, তা কিন্তু নয়। জীবনযাপনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনাও জরুরি।

নিয়মিত শরীরচর্চা করা
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম এবং প্রধান শর্তই হলো শরীরচর্চা করা। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে ইনসুলিন হরমোনের ক্ষরণ, ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন
দিনের পর দিন ঘুম কম হলে, তা ইনসুলিন ক্ষরণ এবং গ্লুকোজ বিপাক হারের ওপর প্রভাব ফেলে। তাই রক্তে শর্করার মাত্রায় হেরফের হয়।

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
ঘরে-বাইরে কাজের চাপ, ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলতে পারে। যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বশে রাখতে নিয়মিত ধ্যান, যোগাসন করা যেতে পারে।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে চায় হামাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে, তার মেয়াদ আরও বাড়াতে চায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই রাজনৈতিক গোষ্ঠী। রোববার এক বিবৃতিতে নিজেদের এই অবস্থান স্পষ্ট করেছে হামাসের হাইকমান্ড।

যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় দেওয়া সেই বিবৃতিতে হামাসের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে চায়। মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় জিম্মিদের মুক্তিদান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের দেড় মাস পেরোনোর পর গত শুক্রবার থেকে চার দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়।

উভয়পক্ষকে, বিশেষ করে হামাসকে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আনতে বিশেষ কূটনৈতিক ভূমিকা রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ কাতার। হামাসের উচ্চপর্যায়ের নেতারা গত বেশ কয়েক বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এ প্রসঙ্গে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘চারদিনের যুদ্ধবিরতির ফলে জিম্মিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যে গতি এসেছে, সেটি অব্যাহত রাখতেই বিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো জরুরি। আমরা আশা করছি, সবাই এ ব্যাপারটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবেন।’

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ কারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।

অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার চালানোর দিন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে শত শত সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।

গত শুক্রবার থেকে গাজা উপত্যকায় শুরু হয়েছে চার দিনের যুদ্ধবিরতি। বিরতির তৃতীয়দিন পর্যন্ত মোট ৩৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।


আরও খবর



উবার চালকদের জন্য সুখবর

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৬৯জন দেখেছেন

Image

যাত্রীদের জন্য বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে এবং অফলাইন ট্রিপের সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং অ্যাপ উবার। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে যে, উবার মটো চালকরা যেভাবে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন, সে ব্যাপারটি পরিবর্তনে কাজ করছে তারা। 

আজ থেকে উবার মটো চালকরা বিভিন্ন ধরনের সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান থেকে নিজেদের পছন্দমতো প্ল্যানটি বেছে নিতে পারবেন। এর ফলে যাত্রীদের কাছ থেকে চালকদের সরাসরি টাকা চাওয়া ও ‘অফলাইন’ ট্রিপ নিতে বলার মতো ঘটনা কমে আসবে বলে আশাবাদী উবার।

এমন তথাকথিত ‘খ্যাপ’ ট্রিপের কারণে ঘন ঘন ট্রিপ ক্যান্সেল হতে পারে এবং যাত্রীরা চালকদের সাথে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে পারেন। এমন ট্রিপ নেওয়ার অর্থ হলো, উবার অ্যাপের কোনো নিরাপত্তার ফিচার বা ইন্স্যুরেন্স পলিসি এক্ষেত্রে কাজ করবে না। 

নিজেদের সুবিধামতো সাবস্ক্রিপশন প্যাকেজ বেছে নিলে চালকরা প্রতিটি ট্রিপেই ০% সার্ভিস ফি উপভোগ করতে পারবেন। প্রতিদিন হাজারো উবার চালক ঢাকার রাস্তায় চলাচল করেন। সাবস্ক্রিপশন সার্ভিসটি যাত্রী ও চালক উভয়কেই একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা দেবে এবং রাস্তায় তাদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে তুলবে। 

উবার ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার হেড অফ সিটি অপারেশনস অভিষেক পাধ্যয় মন্তব্য করেন, “ঢাকার উবার মটো ড্রাইভার পার্টনারদের জন্য সাবস্ক্রিপশন চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। অফলাইন ট্রিপের সাথে জড়িত নিরাপত্তার ঝুঁকি বিষয়ে আমরা অবগত। এই সাবস্ক্রিপশন যাত্রী ও চালক সবার অভিজ্ঞতাই উন্নত করে তুলবে। চালকরাই আমাদের ব্যবসার প্রাণ। নিরাপত্তা, উদ্ভাবন ও সুবিধাকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের জন্য টেকসই জীবনধারণের সুযোগ সৃষ্টিতে আমরা কাজ করে যাবো।”

ড্রাইভার অ্যাপের নতুন ভার্সনে সাবস্ক্রিপশন সার্ভিসটি পাওয়া যাচ্ছে। দৈনিক, তিন দিনের মতো বিভিন্ন মেয়াদে সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান রয়েছে। সাবস্ক্রিপশনের মেয়াদ থাকাকালীন চালকরা আনলিমিটেড অফার ও ট্রিপ উপভোগ করতে পারবেন। নিরাপত্তা, ইন্স্যুরেন্স কাভারেজ এবং নির্ভরযোগ্যতার সাথে, চালকদের একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা প্রদানের ব্যাপারে উবার আশাবাদী।


আরও খবর