Logo
আজঃ রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

হরতাল-অবরোধেও চলছে পরীক্ষা, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১৮৭জন দেখেছেন

Image

আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলের সব পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেজন্য রাজধানীসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে চলছে বার্ষিক পরীক্ষা কিংবা মূল্যায়নের কার্যক্রম। এর মধ্যে আবার গত ২৯ অক্টোবর থেকে চলছে হরতাল-অবরোধ। হরতাল-অবরোধে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও বাস-ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। সে কারণে ছুটির দিনে এবং কর্মসূচির বিরতির দিনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। সেটি সম্ভব না হলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এখন অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে, বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর হরতাল-অবরোধে দিশেহারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও। তারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে শিক্ষার্থীদের স্কুলে না আসার অপশন থাকলেও পরীক্ষার ক্ষেত্রে তা করা কঠিন। বাধ্য হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ছুটির দিন শুক্র-শনিবার এবং হরতাল-অবরোধের বিরতির দিন মঙ্গলবার পরীক্ষা নিচ্ছে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান হরতাল-অবরোধেও মধ্যে পরীক্ষা নিচ্ছে। 

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা শেষ করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে চায় তা নিতে পারে। এজন্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের কোনো নিষেধ নেই। তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।   

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনের বছর হওয়ায় একটু আগেভাগেই পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এদিকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে হরতাল-অবরোধও চলছে। তাই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ছুটির দিনে পরীক্ষা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোনো নির্দেশনা নেই। কিন্তু অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই।

অভিভাবকরা বলছেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি-ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় অবস্থিত উদয়ন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাবা হাজী মো. শাহজাহান বলেন, বাচ্চাদের পরীক্ষার জন্য হলেও ১৫দিন রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখা উচিত। আমার ছেলে নিজে স্কুলে আসতে পারলেও হরতাল-অবরোধের কারণে তাকে এখন একা পাঠাই না। অফিস রেখে তাকে স্কুলে নিয়ে আসতে হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ করে তাকে বাসায় দিয়ে তারপর অফিসে যেতে হবে। বছরের শেষে এ ধরনের কর্মসূচি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রুবাবা দৌলার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধে মধ্যে স্কুলে পরীক্ষা চলছে। কিন্তু বাচ্চারা কীভাবে আসবে সেই  চিন্তা না করছে সরকার, বিরোধী দল বা স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ তাদের সন্তান পড়াশোনা করে বিদেশে। আর দেশে পড়লেও তারা নিরাপত্তা নিয়েই স্কুলে আসে। কিন্তু যত কষ্ট হয় আমাদের। হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা না নিয়ে মঙ্গলবার, শুক্র ও শনিবার নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বিরোধী দলগুলোর এসব কর্মসূচির মধ্যেই রাজধানীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ছুটির দিনগুলোতে সুযোগ বুঝে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আজ (রোববার) থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। এজন্য শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার তিনদিন পরীক্ষা নেওয়ার হচ্ছে। তবে যেসব ক্লাসে বিষয় বেশি সেসব ক্লাসে অন্যান্য দিনেও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের বলা হয়েছে যে, আপনার সন্তানকে সাবধানে স্কুলে নিয়ে আসবেন।

ভিকারুননিসা স্কুলে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, পরীক্ষা চলাকালে যাতে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়া হয়, সেজন্য গতকাল (শনিবার) রাজধানীতে মানববন্ধন করে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছি। সন্তানরা যাতে নির্ভয়ে ও স্বাচ্ছন্দ্যে স্কুলে আসতে পারে, আনন্দের সাথে বার্ষিক মূল্যায়নে অংশ নিতে পারে সেই দাবি জানিয়েছি। তাছাড়া আনন্দের পরীক্ষা যেন বিষাদে পরিণত না হয় সেই দাবি জানিয়েছি।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু ঢাকা পোস্ট বলেন, স্কুলগুলো পড়েছে ঝামেলায়। একদিকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে, অন্যদিকে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি হলো রাজনৈতিক দলগুলোকে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করতে হবে। কিন্তু তারা করছে না। আমরা চাই কোনো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার না হয়। কিন্তু গত ১৫ দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন।

তার দাবি, যেসব শিক্ষার্থী হরতাল-অবরোধে স্কুলে আসতে পারছে না, তাদের অনুপস্থিত দেখানো যাবে না। বরং ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে।


আরও খবর

পাপারাজ্জিদের খপ্পরে হৃতিক-সাবা

শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪

সরকারের উপদেষ্টা হতে চান ফারুকী

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪




তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধ, রাঙামাটিতে পরিবহন ধর্মঘট

প্রকাশিত:শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image
তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে আজ শনিবার সকাল ৬টা থেকে ‘সিএইচটি ব্লকেড’ নামে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের শুরুতেই তিন জেলায় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন চলছে না। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে ৪ জন নিহত, অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবিতে গতকাল শুক্রবার ‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র–জনতার’ ব্যানারে ৭২ ঘণ্টার এই অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে গতকাল প্রতিবাদ সমাবেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন নামের সংগঠন। এ ছাড়া পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টও (ইউপিডিএফ) অবরোধে সমর্থন জানায়।
এদিকে রাঙামাটিতে আজ সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মালিক সমিতি। গতকাল  রাঙামাটিতে বাস, ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এই ধর্মঘট ডেকেছেন তাঁরা। গতকাল রাতে এক জরুরি সভায় তাঁরা এ ঘোষণা দেন।
অবরোধে সকাল থেকে খাগড়াছড়ির সঙ্গে চট্টগ্রাম ও ঢাকার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম যাত্রাপথে চলাচলকারী শান্তি পরিবহনের বাস চলছে না। আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেনের মোড়ের কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট বিক্রি করা হয়নি। কাউন্টারে গিয়ে কয়েকজন যাত্রী ফেরত যান। একইভাবে একই রুটে চলাচলরত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থার (বিআরটিসি) বাসও সকালে কোনো প্রান্ত থেকে ছাড়েনি। আন্ত–উপজেলায় চলাচলকারী জিপ বা সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলছে না।
জিপ মালিক সমিতির সভাপতি নির্নিমেষ দেওয়ান বলেন, ‘কোনো গাড়ি আজ থেকে চলবে না। বিভিন্ন উপজেলা এবং সাজেকে চলাচল করে আমাদের গাড়িগুলো। অবরোধের জন্য তা বন্ধ রয়েছে।’
একইভাবে রাঙামাটি ও বান্দরবানের সঙ্গেও চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রাঙামাটিতে চলাচলকারীপাহাড়িকা এক্সপ্রেস ও বান্দরবানের পূরবী ও পূর্বাণী বাস চলছে না। এ ছাড়া ঢাকায় চলাচলকারী বাসও ছাড়েনি। তিন জেলার সঙ্গে পণ্য পরিবহনের ট্রাক ও পিকআপ গাড়ি চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
রাঙামাটির ভেদভেদী এলাকায় দেখা যায়, শহরের স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাও বন্ধ রয়েছে। অবরোধে দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত এগুলো বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।  

গত বুধবার খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ও বাঙালি সংঘাতের রেশ গতকাল পার্শ্ববর্তী জেলা রাঙামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ-সহিংসতায় পার্বত্য এই দুই জেলায় ৪ জন নিহত এবং অন্তত ৮০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গতকাল দুই জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবারের সংঘাত, অগ্নিসংযোগ ও গোলাগুলির ঘটনার পর থেকে পাহাড়ে বসবাসকারী পাহাড়ি-বাঙালি উভয় সম্প্রদায় আতঙ্কের মধ্যে পড়েছে। দুই জেলায় সেনা, পুলিশ ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার খাগড়াছড়ি সদরে মোটরসাইকেল চুরিকে কেন্দ্রে করে গণপিটুনিতে মো. মামুন (৩০) নামের এক বাঙালি যুবককে হত্যা করার জেরে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই দিন সেখানকার পাহাড়ি ও বাঙালির মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে হত্যার প্রতিবাদে দীঘিনালায় বাঙালিরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বাঙালিদের অভিযোগ, মিছিলটি বোয়ালখালী বাজার অতিক্রম করার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সংঘর্ষের একপর্যায়ে দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে বিভিন্ন দোকান ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, আগুনে দীঘিনালা বাসস্টেশন ও লারমা স্কয়ার এলাকায় ১০২টি দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে পাহাড়িদের ৭৮টি ও বাঙালির সম্প্রদায়ের ২৪টি দোকান রয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলায় সংঘর্ষের জেরে খাগড়াছড়ি জেলা সদর, পানছড়ি ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ও গুলির ঘটনায় তিনজন নিহত হন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন জুনান চাকমা (২০), ধনঞ্জয় চাকমা (৫০) ও রুবেল চাকমা (৩০)।

আগের দিনের ঘটনার জেরে গতকাল খাগড়াছড়ির পাশাপাশি রাঙামাটিতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খাগড়াছড়িতে তিন পাহাড়ির মৃত্যু ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সকালে রাঙামাটি জেলা সদরে ‘সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন পাহাড়িরা। মিছিলে ঢিল ছোড়াকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় আঞ্চলিক পরিষদ কার্যালয়সহ ৩০ থেকে ৪০টি বাড়িঘর, দোকানপাটে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। প্রথম আলোর রাঙামাটি প্রতিনিধি সাধন বিকাশ চাকমার মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের অন্তত ৩০টি যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত এবং আহত হয়েছেন দুই পক্ষের অন্তত ৫৫ জন। নিহত ব্যক্তির নাম অনিক কুমার চাকমা। তিনি কর্ণফুলী ডিগ্রি কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী। এ ঘটনার প্রতিবাদে ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদলের দুই জেলা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।

আরও খবর



ডিমের বাজারে অস্থিরতা : নেপথ্যের যারা

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি অস্থিরতা তৈরি হয়েছে সারা দেশের ডিমের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে একটি ডিমের দাম পৌঁছেছে ১৫ টাকায়। এমন অস্থিরতার নেপথ্যে বহুজাতিক কোম্পানি এবং রাজধানীর তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতিকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন (বিপিএ)। একইসঙ্গে গত ২০ দিনে অযৌক্তিকভাবে ডিম ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে অসাধু চক্র ২৮০ কোটি টাকা লুটপাট করেছ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব অভিযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে ডিমের বাজারে অস্থিরতা চলছে। যার প্রেক্ষিতে ডিম-মুরগির দামও নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কোনো প্রান্তিক খামারিকে ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণের ওয়ার্কিং গ্রুপ কমিটিতে রাখেনি। তারা শুধু কর্পোরেট গ্রুপদের পরামর্শে দাম নির্ধারণ করেছে। যার ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবার এর জন্য ফিড ও মুরগির বাচ্চার উৎপাদনকারী কোম্পানি, তাদের অ্যাসোসিয়েশন এবং তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতিসহ আরো অনেকের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে।তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ দশমিক ২৯ টাকা। সে অনুযায়ী ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকা যদি ভোক্তা পর্যায়ের দাম থাকে তবে সেটি যৌক্তিক। কিন্তু সেই ডিমের দাম পোঁছেছে ১৫ টাকায়। এমন অবস্থায় ডিম আর মুরগির বাজারে স্বস্তি রাখতে পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট ভেঙে ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ কমাতে পারলে শিগগিরই বাজার সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিবৃতিতে ডিমের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের ভূমিকার ব্যাপারে বলা হয়, তারা প্রথমে খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করেন। পরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় রাতে ডিম পাঠানো হয়। এরপর সকালে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ফজরের নামাজের পর দাম নির্ধারণ করে সব জায়গায় মোবাইল এসএমএস ও ফেসবুকের মাধ্যমে দাম ছাড়িয়ে দেয়। এরপর সারা দেশেই এই দাম বাস্তবায়ন করা হয়। এখানে প্রতিদিন ১০০ ডিমে ১০-২০ টাকা কমিয়ে ৭ টাকা প্রতি পিসে দাম নামিয়ে আনা হয়। আবার একই নিয়মে ডিমের দাম বাড়িয়ে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে এই সিন্ডিকেট দাম কমিয়ে ডিম কিনে ৫ থেকে ৭ দিন সংরক্ষণ করে রাখে। এরপর হঠাৎ দাম বাড়িয়ে নিজেরা কমদামে কেনা ডিম বেশি দামে বিক্রি করে দ্বিগুণ-তিনগুণ লাভ করে। এতে করে, সারা দেশের ডিম ব্যবসায়ীরা লাভবান হয় আর উৎপাদক ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।



আরও খবর



৬ষ্ঠ-৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা হবে যেভাবে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক:  পরীক্ষার আগ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের যতটুকু অংশ পড়ানো শেষ হবে, তার ভিত্তিতে মাধ্যমিকের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শ্রেণি কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়া এবং অভিভাবকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এমন নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এ নির্দেশনা প্রকাশ করেছে। মাউশি থেকে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এনসিটিবি থেকে পাঠানো চিঠির আলোকে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিখনকালীন মূল্যায়ন এবং বার্ষিক পরীক্ষা পরিচালনার জন্য সাধারণ নির্দেশনা ও বিষয়ভিত্তিক নির্দেশনায় দেওয়া সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি এবং নমুনা প্রশ্নপত্র ও মানবণ্টন ইতিমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

গত কয়েক মাসের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শ্রেণি কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে এবং শিক্ষাবর্ষের অবশিষ্ট সময়ে সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষের শিখন কার্যক্রম শেষ করা সম্ভব হবে না বলে শিক্ষার্থী-শিক্ষক এবং অভিভাবকমহল থেকে দাবি করা হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে আগামী বার্ষিক পরীক্ষার আগ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের যতটুকু অংশ সম্পন্ন করতে পারবে, তার ভিত্তিতে নমুনা প্রশ্নপত্রের আলোকে প্রশ্নপত্র তৈরি করে বার্ষিক পরীক্ষা নিতে পারবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

 

সূত্র : যুগান্তর।


আরও খবর



ওয়েবসাইট বা অ্যাপ নিরাপদ কি না, জানাবে গুগল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ৭২জন দেখেছেন

Image

সার্চ ইঞ্জিন গুগলের রয়েছে অসংখ্য ফিচার। নানান কাজে প্রথম ভরসা হতে পারে গুগল। গুগলে যখন যা ইচ্ছে সার্চ করছেন। যা জানতে ইচ্ছে হচ্ছে সার্চ করে জেনে নিচ্ছেন। শুধু সার্চের জন্যই নয় গুগলের রয়েছে আরও অসংখ্য ফিচার। এখন আপনার ফোনে ভাইরাস থাকলে তা সরাতে সাহায্য করবে গুগল। গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে সহজেই জেনে নিতে পারবেন ফোনে কোনো ক্ষতিকর অ্যাপ রয়েছে কি না। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে গুগল প্লে স্টোর থেকেই সব অ্যাপ ডাউনলোড করতে হয়। যদি কোনো ভুল অ্যাপ ইন্সটল হয়, তাহলে তা ফোনের ক্ষতি করতে পারে। তাই অ্যাপগুলি সব সময় যাচাই করে ডাউনলোড করা উচিত। অনেক সময় বেশ কিছু অ্যাপ গোপনে ইন্সটল হয়ে থাকে ফোনে। তাই গুগল প্লে স্টোরে অবশ্যই সেটি স্ক্যান করে নেওয়া উচিত। গুগল প্লে স্টোর থেকে শুধু অ্যাপ ডাউনলোড করা নয়, কোনো গোপন অ্যাপ রয়েছে কি না তাও জানা যায়। এর জন্য প্লে প্রোজেক্ট নামক একটি ফিচার চালু করেছে গুগল। যা লাখ লাখ ব্যবহারকারীদের ক্ষতিকর অ্যাপ থেকে বাঁচানোর কাজ করে। এই প্লে প্রোজেক্ট ফিচারের মাধ্যমে পুরো স্মার্টফোন স্ক্যান করা যাবে। যদি কোনো ক্ষতিকর অ্যাপ থাকে সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেলবে। 

যেভাবে কাজটি করবেন-
প্রথমে গুগল প্লে স্টোর ওপেন করুন। তারপর উপরে প্রোফাইল আইকনে ক্লিক করুন।এবার এখানে মেনু সেকশনে প্লে প্রোজেক্ট অপশন পাবেন। ওই অপশনে ক্লিক করা মাত্রই স্ক্যানিং শুরু হয়ে যাবে।   স্ক্যানিংয়ে ফোনে কোনো ভাইরাস রয়েছে কি না বা ক্ষতিকর অ্যাপ রয়েছে কি না দেখা হবে। যদি কোনো ক্ষতিকর অ্যাপ না থাকে তাহলে সবুজ রঙে লেখা আসবে নো হার্মফুল অ্যাপস ফাউন্ড। আর যদি ভাইরাস থাকে তাহলে স্ক্রিনেই ভেসে উঠবে সেই তথ্য।


আরও খবর

গুগল ড্রাইভ খালি করার কৌশল

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




তারেক রহমান এই আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একমাত্র মাস্টারমাইন্ড হচ্ছেন তারেক রহমান। কার্যকর আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যা করা দরকার সবই করেছেন তিনি। এটা যদি কাউকে ব্যাখ্যা করে বোঝাতে হয় তাহলে একটু অসুবিধা আছে।

১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। আর তারেক রহমান বিচক্ষণতার সঙ্গে বিএনপিকে রক্ষা করেছে— মন্তব্য করেন শামসুজ্জামান দুদু।

শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত প্রতীকী প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দুদু বলেন, এক মাসে কিছু হয় না। একটা সন্তান জন্ম দিতেও নয় মাস লাগে। এক মাসে যদি কোনো সন্তান আনতে হয় সেটা হয় মৃত। ১৬টি বছর এদেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে। ১৬টি বছর এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক গুম ও নিখোঁজ হয়েছে। ১৬টি বছর জেল খেটেছে। এক মাসের আন্দোলনের কথা সব বিবেচনায় যদি এনে থাকেন সেটা ঠিক হয়নি। এজন্য যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা সম্ভব হবে তত তাড়াতাড়ি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। যত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করা সম্ভব হবে, তত তাড়াতাড়ি নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনায় তার উপযুক্ততা প্রমাণ করতে পারবে। এটাই আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সেদিকেই আমি সরকারকে আহ্বান করি। কারণ এই সরকার আমাদের সরকার। এই সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। সেজন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।



আরও খবর