Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

হতাশা ভুলতে চায় ব্রাজিল, জয়ের খোঁজে আর্জেন্টিনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৭জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবলের যেকোন মঞ্চেই ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা বড় দুই নাম। আর সেটা যদি হয় বিশ্বকাপের মত আসর, তবে তাতে আলাদা নজর থাকে এই দুই দেশের প্রতি। ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে অবশ্য হতাশ করেছে দুই দলই। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল অবিশ্বাস্য এক ম্যাচে হেরে গিয়েছে ইরানের কাছে। ২ গোলের লিড পেয়েও ম্যাচ নিজেদের হাতছাড়া করেছে তারা। আর আর্জেন্টিনা একপ্রকার অসহায় ছিল সেনেগালের কাছে। 

সেই হারের যন্ত্রণা না ভুলতেই আজ আবার মাঠে নামতে হচ্ছে দুই দলকে। সি গ্রুপের ম্যাচে বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায় মাঠে নামবে ব্রাজিল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ দূর্বল নিউ ক্যালডোনিয়া। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে ৬-০ গোলের বড় ব্যবধানে হেরেছিল তারা। এই ম্যাচে তাই বড় জয় প্রত্যাশা করতেই পারে ব্রাজিল। 

একইদিনে সন্ধ্যা ৬টায় মাঠে নামবে মেসির দেশ আর্জেন্টিনার তরুণ খেলোয়াড়রা। তাদের প্রতিপক্ষ এশিয়ান পাওয়ারহাউজ জাপান। আগের ম্যাচে সেনেগালের কাছে একরকম অসহায়ই ছিল আর্জেন্টাইন কিশোররা। গোলমুখে অগাস্টিন রবার্তো-ক্লদিও এচেভেরিরা বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। দুই উইঙ্গার সান্তিয়াগো লোপেজ আর ভ্যালেন্তিনো আকুনার আক্রমণ থেকে সুবিধাই করতে পারেনি তারা। এই ম্যাচে সেই গোলের দেখাই পেতে চাইবে আর্জেন্টিনা। 

বয়সভিত্তিক এই আসর এখন পর্যন্ত চারবার জয় করেছে ব্রাজিল। টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে তাই জয়টা খুব প্রয়োজন তাদের। আর অনূর্ধ্ব-১৭ তে কখনো ফাইনাল না খেলা আর্জেন্টিনা চায় এবার প্রথম শিরোপা পেতে। 


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




বিশ্বকাপের স্মৃতি গুলোই নিলামে তুলছেন লিওনেল মেসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২২জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক ঠিক এক বছর পর অন্যরকম এক ঘোষণা নিয়ে হাজির হয়েছেন লিওনেল মেসি। নিজের ক্যারিয়ারের অপূর্ণতা ঘোচানোর সেই বিশ্বকাপের মূল্যবান স্মৃতিগুলোকেই কিনা নিলামে তুলে দিচ্ছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা। বিশ্বকাপে মেসি পরেছেন এমন ৬টি জার্সি তোলা হচ্ছে নিলামে। ফেসবুক বার্তায় যা নিশ্চিত করেছেন মেসি নিজেই।

বিশ্বের অন্যতম বড় চিত্রকলা, অলংকার ও সংগ্রহে রাখার মতো অন্যান্য জিনিসের ব্রোকার হাউস সোথেবির পক্ষ থেকে এই নিলাম পরিচালনা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই সংস্থা সব মিলিয়ে জার্সিগুলোর দাম আনুমানিক এক কোটি ডলার আশা করছে। সেক্ষেত্রে ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে দামী নিলাম হবে মেসির এই জার্সিগুলো। আর এই নিলামের জন্য প্রাথমিক ব্যবস্থা নিয়েছে এসি মোমেন্টো।

উল্লেখ্য, নিলামকারী প্রতিষ্ঠানের প্রত্যাশা অন্যযায়ী, দাম এক কোটি ডলার পেরিয়ে গেলে  খেলাধুলার স্মারক নিলামের তোলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড গড়বে। কোনো খেলোয়াড়ের জার্সি নিলামে সর্বোচ্চ দামের বিক্রির রেকর্ডটি বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের। ১৯৯৮ সালে শিকাগো বুলসের হয়ে এনবিএ ফাইনালসে জর্ডানের পরিহিত জার্সি নিলামে এক কোটি এক লাখ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। 

এদিকে ফেসবুক পোস্টে মেসি জানিয়েছেন, এই নিলাম থেকে পাওয়া অর্থের একটি অংশ দেওয়া হবে ইউনিকাসের একটি প্রজেক্টে। বার্সেলোনার শিশু হাসপাতালের সঙ্গে শিশুদের দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসায় যৌথভাবে কাজ করছে এই প্রতিষ্ঠান। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই নিলাম চলবে। একইসময়ে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হবে এই জার্সিগুলো। 

উল্লেখ্য, আগের চার আসরে ব্যর্থতার স্মৃতি নিয়েই ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন লিওনেল মেসি। আসরে দুর্দান্ত খেলে আর্জেন্টিনাকে ৩৬ বছর পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেছেন মেসি। দলীয় সাফল্যের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ‘গোল্ডেন বল’ জিতেছিলেন মেসি।

পুরো টুর্নামেন্টে মোট ৭ ম্যাচ খেলেছিলেন মেসি। সেখান থেকে ৬টি জার্সি উঠছে নিলামে। গ্রুপ পর্বে সৌদি আরব, মেক্সিকো, দ্বিতীয় রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়া, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস, সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়া এবং ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে জার্সিগুলো পরেছিলেন মেসি।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




কেন প্রয়োজন?

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২১জন দেখেছেন

Image

শরীরের সঙ্গে অনিয়ম করলে বডি ডিটক্সিফিকেশনের প্রয়োজন হয়। অনিয়ম মানে অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া করা থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া বোঝায়। সঠিকভাবে নিয়ম মেনে না চললে শরীরের যত্নের প্রয়োজন হয়। এর মানে হলো শরীর ডিটক্সিফিকেশন করতে হয়। বডি ডিটক্সিফিকেশন করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি সঠিক পরিমাণে পানি খাওয়া। শরীরে ডিহাইড্রেটেড হতে না দেওয়া। তাহলে শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বেরিয়ে আসবে। এছাড়াও ঠিকমতো পানি খেলে চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। হজমশক্তিতেও সমস্যা দেখা যাবে না, প্রদাহজনিত সমস্যা কমে যাবে।

বডি ডিটক্সের জন্য কী খাবেন

সবুজ শাক-সবজি : এই ধরনের শাক-সবজি ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই উপকরণ শরীর থেকে সব ধরনের টক্সিন অর্থাৎ দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে। এছাড়াও সবুজ শাক-সবজি আমাদের শরীরে ভিটামিন এবং খনিজের যোগান দেয়। সার্বিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। অনেকসময় শাক জাতীয় সবুজ সবজি হজম করতে একটু অসুবিধা হতে পারে। তাই একবারে অনেকটা পরিমাণে শাক না খাওয়াই ভালো।

লেবু পানি: সামান্য গরম পানির মধ্যে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয় হজমের সমস্যা দূর করে। শরীরের ভিতর থেকে যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ বের করে আনে। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই পানীয়। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে সেটাও দূর করে এই পানীয়।

হলুদ : অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপকরণ থাকে হলুদের মধ্যে। হালকা গরম দুধের মধ্যে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার পাবেন। এতে প্রদাহজনিত সমস্যা দূর হবে, হজমশক্তি ভালো থাকবে। কাঁচা হলুদ খেতে পারলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

আদা : হজমক্ষমতা ভাল করার পাশাপাশি আদা আমাদের শরীরের ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে। চায়ের সঙ্গে কিংবা গরম পানির মধ্যে আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। শরীরে ভালোভাবে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া চালু রাখতেও আদা সাহায্য করে। এছাড়াও শীতের দিনে গলা ব্যথা, কাশি, সর্দি ইত্যাদি কমাতেও আদার রস কাজে লাগে।

বিট : শীতের পরিচিত সবজি বিট। সবজি হিসেবে, কিংবা সালাদে বা রস করেও বিট খেতে পারে। লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং শরীরের সার্বিকভাবে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে বিট। ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসে ভরপুর এই সবজি শরীরে আয়রনের মাত্রাও সঠিকভাবে বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই সবজি শরীর থেকে দূর করে যাবতীয় টক্সিন বা দূষিত পদার্থ।

গ্রিন টি : বিপাকক্রিয়া বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের অভ্যন্তর থেকে টক্সিন বের করে আনাও গ্রিন টি- এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। শরীর হাইড্রেটেড রাখতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে গ্রিন টি। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রিন টি খাওয়া উচিত নয়।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

শীতে লালশাক কেন খাবেন?

সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩




যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষণায় বাড়ছে চিন্তা, গভীর সংকটের পথে অর্থনীতি

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৬জন দেখেছেন

Image

বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকার ও তাদের মান উন্নয়ন নিয়ে সম্প্রতি একটি নতুন স্মারকপত্র সই করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিশ্বজুড়ে যারা শ্রমিক অধিকার হরণ করবে, শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাবে এবং আক্রমণ করবে, তাদের ওপর বাণিজ্য ও ভিসা নিষেধাজ্ঞাসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই স্মারক জারির ঘোষণা দেওয়ার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গও চলে আসে। ব্লিংকেন বলেছেন, আমরা কল্পনা আক্তার নামে বাংলাদেশি এক গার্মেন্টকর্মীর মতো মানুষদের সঙ্গে থাকতে চাই।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে চলমান ডলার সংকট সম্প্রতি আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সংকট সামাল দিতে গত অর্থবছরের শুরু থেকে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার। বিভিন্ন পণ্যের এলসি খোলা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে আমদানিতে তাৎক্ষণিক প্রভাব দেখা না গেলেও গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এর ফলে ক্রমাগতভাবে কমছে এলসি খোলার প্রবৃদ্ধি। ফলে আমদানি হ্রাস পাওয়ায় দেশে পণ্যের দামও হু হু করে বেড়ে চলেছে। এলসি খুলতে না পারায় দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি-বাণিজ্য কমে গেছে। আমদানি কম হওয়ায় বেনাপোল কাস্টমস হাউজে রাজস্ব আদায়ে ধস নেমেছে।

অপরদিকে বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতি ঘোষণায় চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের মাঝে। চাহিদামতো এলসি খুলতে না পেরে এখন শিল্প কাঁচামাল, নিত্যপণ্য ও মূলধনী যন্ত্রপাতির মতো অত্যাবশ্যকীয় আমদানিও কমিয়ে দিয়েছেন অনেক উদ্যোক্তা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে (জুলাই-অক্টোবর) পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা কমেছে ১১.২২ শতাংশ। এ ৪ মাসে পণ্য আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে মোট ২ হাজার ১৮২ কোটি ডলারের। যেখানে গত অর্থবছরের একই সময় এলসি খোলা হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৪৬৬ কোটি ডলারের। এ সময় ব্যাংকগুলোর এলসি নিষ্পত্তিও কমেছে ২৪ শতাংশের বেশি।

এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে ব্যাংকগুলো এলসি নিষ্পত্তি করেছিল ২ হাজার ৮৯৪ কোটি ডলারের। সেখান থেকে কমে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৪ মাসে তা নেমে এসেছে ২ হাজার ১৯৭ কোটি ডলারে। এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একটানা ১২ মাস ধরে আমদানিতে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি চলে আসছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম গণমাধ্যমকে বলেন, মূলধনী যন্ত্র ও কাঁচামাল দুটোরই আমদানি কমে গেছে। উৎপাদনের যে সক্ষমতা আছে, গ্যাস-সংকটের কারণে তাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটের দিকে যাচ্ছে।

পণ্য আমদানিকারকরা জানান, এলসি খুলতে নানা ধরনের শর্ত দেওয়া হচ্ছে ব্যাংক থেকে। একদিকে উৎপাদন কমছে, অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির কারণে ভোগ্যপণ্যের বিক্রিও কমছে।

দেশের পোশাক খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর বিধিনিষেধ ও ভিসানীতির পর শ্রম অধিকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া বক্তব্য এখন বড় শঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও পোশাক খাতের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে শ্রমিক বিক্ষোভে পর ঘোষিত এ স্মারক এখন উদ্যোক্তাদের নতুন করে ভীত করে তুলছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী শ্রমিকদের অধিকারকে সক্রিয়ভাবে একীভূত ও উন্নত করার জন্য পাঁচ ধরনের কর্মপরিকল্পনা রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এগুলো হচ্ছে—

প্রথমত: যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, শ্রমিক, শ্রম সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, সুশীলসমাজ এবং বেসরকারি খাতের সঙ্গে মিলিতভাবে কাজ করবে, যাতে করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারকে সুরক্ষিত করা যায়। এর অংশ হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মীরা শ্রমিক ও শ্রম ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হবে, যাতে তাদের কথা যুক্তরাষ্ট্রের কাজের মধ্যে প্রতিফলিত হয়। দ্বিতীয়ত: যারা শ্রমিকদের হুমকিধমকি দেবে, ভয় দেখাবে, শ্রম ইউনিয়নের নেতা, শ্রম অধিকারের পক্ষে কাজ করা ব্যক্তি, শ্রম সংগঠনের ওপর আক্রমণ করবে তাদের নিষেধাজ্ঞা, বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। তৃতীয়ত: দক্ষতাসম্পন্ন শ্রমিকদের জন্য চাকরির সুযোগ বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদেশে শ্রমিকদের অধিকার উন্নত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের সক্ষমতাকে বাড়ানো হবে। এজন্য শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, তারা যাতে শ্রম অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো শনাক্ত করে তা প্রতিরোধ করতে পারে। চতুর্থত: যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সরকার এবং জাতিসংঘ, জি-২০-এর মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করবে, যাতে শ্রম অধিকার এবং শ্রমমান উন্নত করা যায়। পঞ্চমত: যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব বাণিজ্য চুক্তি এবং সাপ্লাই চেইন যাতে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে তার জন্য মার্কিন প্রচেষ্টা আরো বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জোরপূর্বক শ্রমে নিয়োজিত করার মাধ্যমে উত্পাদিত পোশাক আমদানি বন্ধ করবে।

তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশনের দেশ। ওরা (চাইলে) দিতে পারে। ওরা বড়লোক। আমাদের বাস্তবতার নিরিখে আমরা কাজ করবো। আমরা তো একদিনে যুক্তরাষ্ট্র হতে পারবো না। যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দিলে বাংলাদেশের কিছু হবে না।


আরও খবর

আরেক দফা বাড়ল স্বর্ণের দাম

শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩




শীতে শিশুদের খাদ্যতালিকায় যেসব খাবার রাখবেন

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৭জন দেখেছেন

Image

শীতে সুরক্ষিত থাকতে মাফলার, টুপি, সোয়েটার অন্যতম হাতিয়ার। তারপরও নানা রোগবালাই লেগেই থাকে। বিশেষ করে শিশু-শরীরে এই সময় জাঁকিয়ে বসে রোগবালাই। তাই শীতের পোশাক নিয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি সচেতন থাকতে হবে শীতকালের খাবার নিয়েও। 

শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম। শীতে আরও কমে যায়। তাই সুস্থ থাকতে এই সময় শিশুদের ডায়েটে বিশেষ জোর দেওয়া জরুরি। শীতে সন্তানকে কোন খাবারগুলো খাওয়ানো জরুরি? 

শাকসবজির কথা প্রায় সব চিকিৎসকই বলেন। শীতকালীন সবুজ সবজি শিশুর খাদ্যতালিকায় থাকলে শিশুর স্বাস্থ্য থাকবে তরতাজা। 

কাজু, আখরোট, কাঠবাদাম ইত্যাদি বাদামে রয়েছে বিশেষ কিছু পুষ্টিগুণ। শীতকালীন রোগবালাই থেকে শরীরকে রক্ষা করে। বাদামে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফাইবারের মতো উপকারী উপাদান। এই প্রতিটি উপাদান রোগের সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই শীতে শিশুকে বেশি করে বাদাম খাওয়ান।

শিশু-শরীরের পুষ্টির জন্য শীতকালে নিয়মিত এক গ্লাস গরম দুধের কোনো বিকল্প নেই। দুধের মধ্যে থাকা পুষ্টিকর উপাদান সব বয়সের মানুষের জন্যই অত্যন্ত উপকারী। তবে শিশুদের শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ দুধ শীতে শিশুদের খাওয়ানো জরুরি। 

ডিমে থাকা ভিটামিন ডি, জিংক, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ই শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক। তা ছাড়া ডিমে থাকা প্রোটিন শীতকালে শরীর চাঙ্গা রাখার ব্যাপারেও ভালো কাজের।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ ইউজিসির

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৮জন দেখেছেন

Image

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি)। ২০ নভেম্বর ইউজিসির ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবন শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

ইউজিসি’র ইনোভেশন টিম দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে। কমিশনের গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. হাফিজ মো. হাসান বাবু।

প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিজিটাল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পেপারলেস অফিস প্রতিষ্ঠা এবং সব ধরনের লেনদেন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে করতে হবে। তাহলে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা যাবে। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি দমন এবং দ্রুততার সঙ্গে উচ্চশিক্ষা সেবা নিশ্চিত করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। আধুনিক বিজ্ঞান, তথ্য ও প্রযুক্তি বান্ধব সমাজ তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবনে গুরুত্ব দিতে হবে। স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তরে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

ইউজিসি’র ইনোভেশন টিমের সদস্য এবং গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ইউজিনি’র ই-গর্ভন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফোকাল পয়েন্ট ও সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাস। কর্মশালায় কমিশনের অতিরিক্ত পরিচালক, উপপরিচালক ও সমমান পর্যায়ের ৩৯ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।


আরও খবর