Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

ইসলামে পবিত্রতার গুরুত্ব

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩০জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : আল্লাহতায়ালা পবিত্র। তাঁর আসমাউল হুসনা পবিত্রতম নামগুলোর অন্যতম ‘সুব্বুহুন’ তথা পবিত্রতম ‘কুদ্দুসুন’ তথা অতি পবিত্র ও মহা পবিত্রকারী। আল্লাহা চান মানুষের পূতপবিত্র জীবনযাপন। 

তিনি বলেন, ‘হে নবী পরিবার! আল্লাহ তো শুধু চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদের সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।’ (সুরা আহজাব : ৩৩)। আল কোরআনে আরও এসেছে, ‘বরং তিনি তোমাদের পবিত্র করতে চান।’ (সুরা মায়েদা : ৬)।

আল্লাহ পবিত্রতা ভালোবাসেন। পবিত্রতা মানে জীবন-যাপনের পবিত্রতা, বিশ্বাসের পবিত্রতা, কর্মের পবিত্রতা, শারীরিক পবিত্রতা, মানসিক পবিত্রতা, আর্থিক পবিত্রতা, বাহ্যিক পবিত্রতা, অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা; ভাষা তথা কথার পবিত্রতা, রুচির পবিত্রতা, দৃষ্টি ও দৃষ্টিভঙ্গির পবিত্রতা, পরিবেশের পবিত্রতা; শ্রবণের পবিত্রতা, দর্শনের পবিত্রতা, চিন্তার পবিত্রতা। পবিত্রতা জীবনযাপনের পূর্বশর্ত। 

নবী (সা.) বলেছেন, ‘পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ।’ অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ‘পবিত্রতা ইমানের অর্ধেক।’ (মুসলিম, মিশকাত)

পানি দিয়ে অজু, গোসল আর পানি না পেলে পবিত্র মাটি দিয়ে তায়াম্মুমের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করতে হয়।

আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, হে ইমানদারগণ! যখন তোমরা নামাজের জন্য দাঁড়াতে যাবে, তখন তোমাদের মুখমন্ডল ও কনুই পর্যন্ত হাতগুলো ধোও আর তোমাদের মাথা মাসেহ কর আর টাখনু পর্যন্ত (গিঁট বা টাখনুসহ) তোমাদের পাগুলো ধোও। (সুরা মায়েদা : ৬)।

তেমনিভাবে কোরআন-হাদিসে গোসল ও তায়াম্মুম করার কথাও বলা হয়েছে। মোট কথা, ইসলাম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতার ধর্ম। আমাদের শরীরের পবিত্রতার পাশাপাশি মনের পবিত্রতাও অর্জন করতে হবে। মানুষের প্রাকৃতিক পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে ইসলামের সুস্পষ্ট বিধিবিধান রয়েছে। 

নবী (সা.) বিভিন্ন হাদিসে গোঁফ কর্তন করা, দাড়ি বড় করা, মিসওয়াক করা বা নিজের দাঁতমুখ পরিষ্কার করা, নাকের মধ্যে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, নখ কাটা, দেহের অঙ্গসন্ধিগুলো ধোয়া, বগলের নিচের চুল পরিষ্কার করা, নাভির নিচের চুল মু-ন, পানি ব্যবহার করে শৌচকার্য করা, কুলি করা, খতনা করা ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতামূলক কাজগুলোকে ফিতরাত তথা ইসলামি জরুরি কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

নরনারী সব মানুষের দেহ, পোশাক, বাড়িঘর, আঙিনা সবকিছু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ইসলাম নির্দেশনা দিয়েছে। মনের পবিত্রতা তথা কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, পরিত্যাগ করে আল্লাহতায়ালা প্রিয় নবী (সা.)-এর পথে পরিচালিত হওয়াই মানব জীবনের সার্থকতা। দেহ, পোশাক, বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। দেহ বা পোশাক অপরিচ্ছন্ন কাউকে দেখলে নবী (সা.) আপত্তি করতেন।

রসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা তোমাদের বাড়ির আঙিনা সব দিক পরিচ্ছন্ন রাখবে। (তিরমিজি) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অন্যতম দিক হলো মলমূত্র ত্যাগ। মলমূত্র ত্যাগের আদব হলো অন্যের দৃষ্টি থেকে সতর আবৃত রাখা। এজন্য স্যানিটারি পায়খানা বা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে তৈরি পায়খানার মধ্যে মলমূত্র ত্যাগ করা। পায়খানা-প্রস্রাবের সময় নিজ সতর অন্যকে দেখতে দেওয়া হারাম ও অভিশাপের কারণ। 

নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মলত্যাগের জন্য গমন করে, সে যেন নিজেকে আড়াল করে (আবু দাউদ)। বর্তমানে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু,  করোনা, চিকুনগুনিয়াসহ আমরা অনেক রোগই প্রতিরোধ করতে পারি পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের মাধ্যমে। আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক, ব্যবসায়িক সব ক্ষেত্রে আল্লাহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নসহ সুন্দর জীবনযাপনের তৌফিক দান করুন।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে চায় হামাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ১৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে, তার মেয়াদ আরও বাড়াতে চায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই রাজনৈতিক গোষ্ঠী। রোববার এক বিবৃতিতে নিজেদের এই অবস্থান স্পষ্ট করেছে হামাসের হাইকমান্ড।

যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় দেওয়া সেই বিবৃতিতে হামাসের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে চায়। মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় জিম্মিদের মুক্তিদান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের দেড় মাস পেরোনোর পর গত শুক্রবার থেকে চার দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়।

উভয়পক্ষকে, বিশেষ করে হামাসকে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আনতে বিশেষ কূটনৈতিক ভূমিকা রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ কাতার। হামাসের উচ্চপর্যায়ের নেতারা গত বেশ কয়েক বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এ প্রসঙ্গে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘চারদিনের যুদ্ধবিরতির ফলে জিম্মিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যে গতি এসেছে, সেটি অব্যাহত রাখতেই বিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো জরুরি। আমরা আশা করছি, সবাই এ ব্যাপারটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবেন।’

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ কারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।

অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার চালানোর দিন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে শত শত সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।

গত শুক্রবার থেকে গাজা উপত্যকায় শুরু হয়েছে চার দিনের যুদ্ধবিরতি। বিরতির তৃতীয়দিন পর্যন্ত মোট ৩৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ পালন করলেন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৭৩জন দেখেছেন

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র ওমরাহ পালন করেছেন।

সোমবার ভোরে পবিত্র মক্কায় তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীদের নিয়ে কাবাঘর তাওয়াফ করেন প্রধানমন্ত্রী।

পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ ও ওমরার অন্যান্য কর্মসূচি সম্পাদনের পর মসজিদ-আল হারামে নামাজ আদায় করেন তিনি।

এসময় বাংলাদেশ ও দেশের জনগণ এবং মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে  ওমরাহ পালন করেন তার সফরসঙ্গী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ.কে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা।

পরে প্রধানমন্ত্রী মসজিদুল হারামে ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেন।

এর আগে মদিনা মোনাওয়ারায় হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র রওজা মোবারক জিয়ারত এবং মসজিদ-ই নববিতে আসর ও মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে বিমানে জেদ্দায় পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সড়কপথে জেদ্দা থেকে পবিত্র মক্কায় এসে পৌঁছেন।


আরও খবর



জোড়া ফ্ল্যাট বিক্রি রণবীর-দীপিকার! নেপথ্যে কী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : কার্তিকের ধনত্রয়োদশীর দিনে পালন করা হয় ধনতেরাস। এবার দিনটি ছিল শুক্রবার (১০ নভেম্বর)। ধনতেরাসে লক্ষ্মী লাভের আশায় অনেকে নতুন গহনা কিংবা সম্পত্তি কেনেন। এই অনন্যা পান্ডে নতুন অ্যাপার্টমেন্ট কিনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। আর সেই আবহেই রণবীর-দীপিকা নিজেদের জোড়া ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

বলিউড সূত্রে খবর, ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের গোরেগাঁওতে রণবীর সিংয়ের নামে দুটি ফ্ল্যাট ছিল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সেই ফ্ল্যাট দুটি কিনে ছিলেন অভিনেতা। তবে সেসময়ে যে দামে ওই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, সেটিই এবার ধনতেরাসে চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৫ কোটি টাকা লেগেছিল ওই ফ্ল্যাট দুটি কিনতে। তবে এবার সেটা বিক্রি করলেন ১৫.২৫ কোটি টাকায়। এক্ষেত্রে অভিনেতা যে তিন গুণ দামে গোরেগাঁওয়ের ফ্ল্যাট দুটি বিক্রি করেছেন তা বলাই যায়।

মুম্বাইয়ে ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ের ধারে ওই ফ্ল্যাট দুটি ওবেরয় মলের অল্প দূরেই ছিল। দুটিই ছিল ১৩২৪ বর্গফুটের। তবে ধনতেরাসের দিন সেই দুটি ফ্ল্যাটই বিক্রি করে দিলেন রণবীর সিং। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা, তাহলে কি অর্থকষ্টে ভুগছেন তারকা দম্পতি? আবার উদ্বিগ্ন অনুরাগীদের প্রশ্ন, নাকি বিচ্ছেদের জল্পনায় সিলমোহর পড়ল। যদিও জনসমক্ষে রোম্যান্টিক কাপল হিসেবেই ধরা দেন রণবীর-দীপিকা।


আরও খবর



হরতাল-অবরোধেও চলছে পরীক্ষা, উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলের সব পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেজন্য রাজধানীসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে চলছে বার্ষিক পরীক্ষা কিংবা মূল্যায়নের কার্যক্রম। এর মধ্যে আবার গত ২৯ অক্টোবর থেকে চলছে হরতাল-অবরোধ। হরতাল-অবরোধে বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও বাস-ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। সে কারণে ছুটির দিনে এবং কর্মসূচির বিরতির দিনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। সেটি সম্ভব না হলে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এখন অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে, বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোর হরতাল-অবরোধে দিশেহারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরাও। তারা বলছেন, হরতাল-অবরোধে শিক্ষার্থীদের স্কুলে না আসার অপশন থাকলেও পরীক্ষার ক্ষেত্রে তা করা কঠিন। বাধ্য হয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান ছুটির দিন শুক্র-শনিবার এবং হরতাল-অবরোধের বিরতির দিন মঙ্গলবার পরীক্ষা নিচ্ছে। তবে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান হরতাল-অবরোধেও মধ্যে পরীক্ষা নিচ্ছে। 

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে স্কুলগুলোকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা শেষ করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে চায় তা নিতে পারে। এজন্য মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তরের কোনো নিষেধ নেই। তবে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।   

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর বেলাল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, নির্বাচনের বছর হওয়ায় একটু আগেভাগেই পরীক্ষা শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। এজন্য নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এদিকে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে হরতাল-অবরোধও চলছে। তাই অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হরতাল-অবরোধের ফাঁকে ছুটির দিনে পরীক্ষা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের আলাদা কোনো নির্দেশনা নেই। কিন্তু অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই।

অভিভাবকরা বলছেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি-ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় অবস্থিত উদয়ন স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাবা হাজী মো. শাহজাহান বলেন, বাচ্চাদের পরীক্ষার জন্য হলেও ১৫দিন রাজনৈতিক কর্মসূচি স্থগিত রাখা উচিত। আমার ছেলে নিজে স্কুলে আসতে পারলেও হরতাল-অবরোধের কারণে তাকে এখন একা পাঠাই না। অফিস রেখে তাকে স্কুলে নিয়ে আসতে হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ করে তাকে বাসায় দিয়ে তারপর অফিসে যেতে হবে। বছরের শেষে এ ধরনের কর্মসূচি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী রুবাবা দৌলার বাবা সাইফুল ইসলাম বলেন, হরতাল-অবরোধে মধ্যে স্কুলে পরীক্ষা চলছে। কিন্তু বাচ্চারা কীভাবে আসবে সেই  চিন্তা না করছে সরকার, বিরোধী দল বা স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ তাদের সন্তান পড়াশোনা করে বিদেশে। আর দেশে পড়লেও তারা নিরাপত্তা নিয়েই স্কুলে আসে। কিন্তু যত কষ্ট হয় আমাদের। হরতাল-অবরোধের মধ্যে পরীক্ষা না নিয়ে মঙ্গলবার, শুক্র ও শনিবার নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বিরোধী দলগুলোর এসব কর্মসূচির মধ্যেই রাজধানীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। ছুটির দিনগুলোতে সুযোগ বুঝে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। আজ (রোববার) থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির মূল্যায়ন পরীক্ষা শুরু হবে।

প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে। এজন্য শুক্র, শনি ও মঙ্গলবার তিনদিন পরীক্ষা নেওয়ার হচ্ছে। তবে যেসব ক্লাসে বিষয় বেশি সেসব ক্লাসে অন্যান্য দিনেও পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অভিভাবকদের বলা হয়েছে যে, আপনার সন্তানকে সাবধানে স্কুলে নিয়ে আসবেন।

ভিকারুননিসা স্কুলে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, পরীক্ষা চলাকালে যাতে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি না দেওয়া হয়, সেজন্য গতকাল (শনিবার) রাজধানীতে মানববন্ধন করে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছি। সন্তানরা যাতে নির্ভয়ে ও স্বাচ্ছন্দ্যে স্কুলে আসতে পারে, আনন্দের সাথে বার্ষিক মূল্যায়নে অংশ নিতে পারে সেই দাবি জানিয়েছি। তাছাড়া আনন্দের পরীক্ষা যেন বিষাদে পরিণত না হয় সেই দাবি জানিয়েছি।

অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু ঢাকা পোস্ট বলেন, স্কুলগুলো পড়েছে ঝামেলায়। একদিকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করতে হবে, অন্যদিকে সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি হলো রাজনৈতিক দলগুলোকে শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করতে হবে। কিন্তু তারা করছে না। আমরা চাই কোনো কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যেন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার না হয়। কিন্তু গত ১৫ দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন।

তার দাবি, যেসব শিক্ষার্থী হরতাল-অবরোধে স্কুলে আসতে পারছে না, তাদের অনুপস্থিত দেখানো যাবে না। বরং ক্লাসে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস করাতে হবে।


আরও খবর



জ্বরে ভুগছেন শাকিব খান-সোনাল চৌহান

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : নতুন সিনেমা ‘দরদ’ এর শুটিংয়ে এখন ভারতে বাংলাদেশের সুপারস্টার শাকিব খান। এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো তার বিপরীতে অভিনয় করছেন বলিউডের অভিনেত্রী। কিন্তু শুটিংয়ে গিয়ে বিপাকে শাকিব। ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এই অভিনেতা।

শুধু শাকিব নয়, বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান, পরিচালকসহ এই সিনেমার শুটিং ৭০ শতাংশ কলাকৌশুলী এই ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। সিনেমার বাংলাদেশি পরিচালক অনন্য মামুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই তথ্য জানান।

আজ বুধবার ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘ইউনিটের ৭০% কুশীলবদের ভাইরাস জ্বর। শাকিব ভাই, সোনাল সবার। আমার নিজের ১০২। তাও থেমে নেই আমরা। দরদে ডুবে আছে সবাই।’

শাকিব খানের প্যান ইন্ডিয়ান এই সিনেমাটি নিয়ে আগে থেকেই অনেক জল্পনা ছিল। ভারতের বেনারসে গত মাসের শেষের দিকে শুরু হয়েছিল এই সিনেমার শুটিং। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ‘দরদ’ বাংলাসহ হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালায়লাম, কর্নাটক এই ছয় ভাষায় ৩০টির বেশি দেশে মুক্তি পাবে।

‘দরদ’ সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ভারতের এসকে মুভিজ, ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ, বাংলাদেশের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট ও কিবরিয়া ফিল্মস। এতে শাকিব ছাড়াও শহীদুজ্জামান সেলিম, পায়েল সরকার, রাজেশ শর্মা, মিশা সওদাগর, এলিনা শাম্মী, জেসিয়া ইসলাম, ভারতের রাহুল দেবের অভিনয়ের কথা রয়েছে।


আরও খবর