Logo
আজঃ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম
সিলেটে মধ্যরাতে হামলার শিকার ‘আত্মগোপনে থাকা’ আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ জামিনে মুক্তি পেলেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৯ কর্মকর্তা অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদপত্রে বিন্দুমাত্র হস্তক্ষেপ করেনি : প্রেস সচিব আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার আল্লু অর্জুন ৩১ রানের ইনিংসে ৩ মাইলফলকে বাবর আজম অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট জবাই করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার। জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক

ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পরিষদের এক সভা ৩০ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ এতে সভাপতিত্ব করেন। 

সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা, শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, মো. আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার ও কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। 


আরও খবর

আপেলের আমদানি বাড়লেও কমেছে মাছ, আনার, কমলার

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




শেষ যুগে যেভাবে চলতে বলেছেন নবীজি (সা.)

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

ধর্ম ডেস্ক: সময় যত কেয়ামতের দিকে ঘনিয়ে যাবে, ততই ফিতনা বেড়ে যাবে। ঈমান ও ইসলামের ওপর টিকে থাকা তখন সবার পক্ষে সহজ হবে না। এমন কঠিন সময়ে হাদিসের নির্দেশনা হলো- নিজেকে নেক আমলে ব্যস্ত রাখা এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরের পরিবেশে না যাওয়া। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, অচিরেই এমন ফিতনার আত্মপ্রকাশ হবে, বসে থাকা ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি চলমান ব্যক্তি থেকে উত্তম হবে। আর চলমান ব্যক্তি দ্রুতগামী ব্যক্তি থেকে ভালো থাকবে। (মুসলিম : ৭১৩৯)

অন্য হাদিসে এসেছে, ‘ফিতনার সময় ঈমানদারের করণীয় হলো- সর্বদা চুপ থাকা। এত পরিমাণ চুপ থাকা, যার কারণে কোনো ফিতনা তাকে আকৃষ্ট করতে না পারে। (আল ফিতান : ৭৩৫)। হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে তাকাবে, ফিতনা তাকে ঘিরে ধরবে। তখন কেউ যদি কোনো আশ্রয়ের জায়গা কিংবা নিরাপদ জায়গা পায়, তাহলে সে যেন আত্মরক্ষা করে। (বোখারি : ৭০৮১)

এ ছাড়া আল্লাহর কাছে অধিক পরিমাণে দোয়া করা উচিত। হুজাইফা (রা.) বলেছেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, মানুষের ওপর এমন একটা যুগ আসবে যখন কেউ রক্ষা পাবে না, সে ছাড়া যে দোয়া করছে, ডুবন্ত মানুষের দোয়ার মতো। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা : ৩৬৪৪৭)

অর্থাৎ নদীতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তি যেভাবে বাঁচার আকুতি নিয়ে দোয়া করতে থাকে, সেভাবে দোয়া করা। পাশাপাশি নিজের নজরের হেফাজত করা। ফিতনার বিষয় সম্পর্কে জানতেও বের না হওয়া। ফিতনার দিকে দৃষ্টি বা উঁকি না দেওয়া। সবসময় সৎ কাজ আঁকড়ে ধরা, অসৎ কাজ পরিহার করা, সর্বসাধারণকে এড়িয়ে মুত্তাকিদের সঙ্গে চলাফেরা করা এবং পাপাচারীদের সঙ্গ ত্যাগ করা ফিতনাকালীন গুরুত্বপূর্ণ আমল।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন ফিতনা তীব্র আকার ধারণ করবে, তখন তোমরা সৎ কাজকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধরবে এবং অসৎ কাজ হতে বিরত থাকবে। তোমাদের মাঝে বিশেষ লোক যারা রয়েছে, তাদের প্রতি মনোনিবেশ করবে এবং সর্বসাধারণকে এড়িয়ে চলবে। (আল ফিতান : ৭২১)

হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, ফিতনার যুগে কেউ যদি জান্নাতের উপযুক্ত হতে চায়, তার জন্য বিশেষ তিনটি করণীয় রয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমির (রা.) বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম এবং বললাম, সেসময় নাজাতের উপায় কী? তিনি বললেন, নিজের জিহ্বা আয়ত্তে রাখবে, নিজের ঘরে পড়ে থাকবে এবং নিজের পাপের জন্য রোদন করবে। (মিশকাত : ৪৮৩৭)

সর্বযুগের অন্যতম বড় ফিতনা হচ্ছে নারীর ফিতনা। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো নারীর ওপর তোমার দৃষ্টি পড়লে তার প্রতি বারবার দৃষ্টিপাত করো না; বরং দৃষ্টি অতিসত্বর ফিরিয়ে নিও। কারণ তোমার জন্য প্রথমবার ক্ষমা, দ্বিতীয়বার নয়। (মুসনাদে আহমদ : ১৩৬৯)। নবীজি (সা.) আরো বলেছেন, পুরুষের জন্য নারী জাতি অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোনো ফিত?না আমি রেখে যাইনি। (বোখারি : ৫০৯৬)

এ উম্মতের আরো একটি বড় ফিতনা হচ্ছে- ধন-সম্পদের ফিতনা, যা আল্লাহর আনুগত্য থেকে মানুষকে গাফেল রাখে। হজরত কাব ইবনে ইয়াজ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, প্রত্যেক উম্মতের জন্য কোনো না কোনো ফিতনা ছিল। আর আমার উম্মতের ফিতনা হলো ধন-সম্পদ। (তিরমিজি : ২৩৩৬)

ফিতনার যুগে গুরুত্বপূর্ণ অবলম্বন হচ্ছে কোরআন-সুন্নাহ আঁকড়ে ধরা, যা না থাকলে যেকোনো সময় ফিতনা গ্রাস করে ফেলতে পারে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের মাঝে এমন বস্তু রেখে যাচ্ছি, তোমরা যদি তা আঁকড়ে ধরে থাকো, তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হলো আল্লাহর কিতাব ও নবীর সুন্নত।’ (আত-তারগিব ওয়াত তাহরিব : ৪০)

দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে করণীয় : পাপ সবসময় বর্জনীয়। পাপের চূড়ান্ত শাস্তি আখেরাতে হলেও অনেক সময় দুনিয়াতেও আল্লাহতায়ালা শাস্তি দিয়ে থাকেন। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো জাতির মধ্যে আত্মসাৎ বৃদ্ধি পেলে সে জাতির লোকদের অন্তরে ভয়ের সঞ্চার করা হয়। কোনো জাতির মধ্যে ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়লে সেখানে মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পায়। কোনো সম্প্রদায়ের লোকরা পরিমাপ ও ওজনে কম দিলে তাদের রিজিক সংকুচিত করা হয়। কোনো জাতির লোকরা অন্যায়ভাবে বিচার-ফয়সালা করলে তাদের মধ্যে রক্তপাত বিস্তৃতি লাভ করে। কোনো জাতি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করলে আল্লাহ তাদের ওপর শত্রুদল চাপিয়ে দেন।’ (মুয়াত্তা মালেক : ১৩২৩)

আল্লাহর দেওয়া দুনিয়াবি শাস্তির ধরন নানারকম হয়ে থাকে। কারো অসুস্থতার মাধ্যমে, কাউকে অসহায়ত্বের মাধ্যমে, কারো আবার ঈমান হরণের মাধ্যমে। গুনাহের প্রথম শাস্তি হলো মানসিক অস্থিরতা। এরপর নানা আপদে পতিত হতে হয় পাপিকে।

প্রথম শাস্তি মানসিক অশান্তি বড় এক আপদ। এই আপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো তওবা ও নেক আমল। এ ছাড়া প্রশান্তির কোনো উপায় নেই। এ মহা নেয়ামত আল্লাহতায়ালা তার রাসুলকে দিয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, আমি কি আপনার অন্তর প্রশান্ত করিনি? (সুরা ইনশিরাহ : ১)

আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে কঠিন ফিতনার দিনে ঈমান ঠিক রাখার তাওফিক দান করুন। দুনিয়াবি শাস্তি থেকে বাঁচতে হাদিসের নির্দেশনা যথাযথ আমল করারও তাওফিক দিন। আমিন।


আরও খবর

শীতকালীন ইবাদতের গুরুত্ব

বুধবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৪




ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক দুই মাদক ব্যবসায়ী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬০জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: গতকাল ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যের চালান নিয়ে একটি মাইক্রোবাস যোগে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা করেছে।

উক্ত সংবাদ প্রাপ্তির পর র‌্যাব-১০ এর আভিযানিক দলটি তাৎক্ষনিক ঢাকার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন বেউতা এলাকায় অবস্থান করে একটি অস্থায়ী চেকপোস্ট স্থাপন করে এবং সন্দেহজনক গাড়ী তল্লাশী করতে থাকে। তল্লাশীর একপর্যায়ে একই তারিখ বিকাল আনুমানিক ১৭:১০ ঘটিকায় সন্দিগ্ধ মাইক্রোবাসটি র‌্যাবের চেকপোষ্টের সামনে পৌঁছানো মাত্র কর্তব্যরত র‌্যাব সদস্যরা মাইক্রোবাসটিকে সিগন্যাল দিয়ে থামায়।

অতঃপর র‌্যাব সদস্যরা উক্ত মাইক্রোবাসে থাকা ০২ জন আরোহীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, তাদের মাইক্রোবাসে ফেনসিডিল আছে। পরবর্তীতে কর্তব্যরত র‌্যাব সদস্যরা স্থানীয় লোকজনদের উপস্থিতিতে বিধি মোতাবেক তল্লাশী করে গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেখানো ও বের করে দেওয়া উক্ত মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা  ০৩ টি সাদা রংঙ্গের প্লাষ্টিকের বস্তার ভিতরে রক্ষিত আনুমানিক ১৪,৬৭,০০০/- (চৌদ্দ লক্ষ সাতষট্টি হাজার) টাকা মূল্যমানের ৪৮৯ (চারশত ঊননব্বই) বোতল ফেনসিডিলসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম  মমতাজ বেগম (৩৭), স্বামী-মোঃ নুরুজ্জামাল, সাং-বেউতা, ইউ/পি-তারানগর, থানা-কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা-ঢাকা, ২। মোঃ নুরুজ্জামাল (৪০), পিতা- মৃত আক্কাছ, সাং-বেউতা, ইউ/পি-তারানগর, থানা-কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা-ঢাকা, বলে জানা যায়। এ সময় তাদের নিকট হতে মাদক বহনে ব্যবহৃত ০১টি মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পন্থায় ফেনসিডিলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে কেরাণীগঞ্জ মডেলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল।


গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর



মালয়েশিয়ার প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মো. শুহাদা অথমান আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলে তিনি এ আহ্বান জানান। এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল হাইকমিশনারকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।

মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর দু'দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, নতুন হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তির অন্যতম গন্তব্যস্থল।

বাংলাদেশের শ্রমশক্তি উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তালিকাভুক্ত যে ১৮ হাজার শ্রমিক নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তারা যেন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ সময় ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আগামী মাসে মালয়েশিয়া আসিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আরো আশা প্রকাশ করেন, আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেবে। সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে রক্ষা নেই বিহার-ওড়িশার, সর্তক করলেন মমতা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি :

বাংলাদেশ সীমান্তে আগুন জ্বললে তা থেকে পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, তাতে বিহার এবং ওড়িশাও রেহাই পাবে না বলে সতর্ক করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিতিশীলতা চলতে থাকলে বিহার, ওড়িশাও এর প্রভাব থেকে রেহাই পাবে না। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম নিউজ-১৮-এর এক অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটা লিডারলেস (নেতৃত্বহীন) পরিস্থিতির মতো হয়ে গেছে। সে জন্যই প্রবলেমটা হচ্ছে। কিন্তু আমি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চাই না।

মমতা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যদি কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার-ওড়িশাও রক্ষা পাবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করুক।

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখতে এবং নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান, যাতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং সেখানে সবাই শান্তিতে থাকতে পারে। 

মমতা বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে যদি কেউ আগুন লাগায়, তবে বিহার-ওড়িশাও রক্ষা পাবে না। আমি চাই, আমাদের প্রতিবেশীরা আমাদের সঙ্গে শান্তিতে বাস করুক।

এ সময় তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখতে এবং নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান, যাতে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং সেখানে সবাই শান্তিতে থাকতে পারে। 


আরও খবর



চিন্ময়ের গ্রেফতারে দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে : রিজভী

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু নীতির ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছিলেন। আর শেখ হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করত ভারত। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।

আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

উপস্থিত সাংবাদিকদের রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে গিয়ে কিভাবে নিজ দেশের ছাত্র, শ্রমিক, রিকশাচালক থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের রক্ত পান করেছেন, তা এসব আহত রোগীদের দেখলে বোঝা যায়। এদের দেখলে হৃদয়টা কেঁদে ওঠে। শরীর শিউরে ওঠে।

‘সেই পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, সেখান থেকে যারা বিভিন্ন অপপ্রচার করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই যে বাংলাদেশে এসে আন্দোলনে আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখুন। কী ধরনের ভয়াবহ নির্মম পাশবিকতা চালিয়েছে হাসিনা সরকার! কারো মুখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো দুই হাত উড়ে গেছে। কারো দুই পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারো চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন যেন তাদের কাছে এখন অভিশাপ।’

 

রিজভী বলেন, ‘বাংলাদেশে নাকি দিনরাত হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, মানুষদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এই ধরনের অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না। ভারতকে মনে করতাম সেখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা হতো, যেই ভারতকে জ্ঞানীগুণী দেশ বলে জানতাম, এখন মনে হচ্ছে সেই দেশে হিংস্র ঘাতক এবং রক্ত পিপাসু মানুষেরা বাস করে। তারা হাসিনাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতেন। সেই স্বার্থের জন্যই তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য কুমিরের কান্না কানছে।’

 

তিনি বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছিড়েছে। আমাদের দেশে লোকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী, এটি একটি ভয়ঙ্কর আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেনি শেখ হাসিনা নিজ দেশের মানুষের ওপর কী নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে! কী হিংস্র আচরণ করেছে! আহত এইসব ছাত্র-জনতাকে দেখলে মনে হয়, কোনো হরর সিনেমার দৃশ্য! শেখ হাসিনা এইরকম কর্মকাণ্ড করে গেছে! আজ তার জন্য এত মায়াকান্না! তার জন্য আজ সীমান্তে সীমান্তে ভারতীয় লোকজন এসে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে বিক্ষোভ করবে বলে বলছে।

তিনি আরো বলেন, চিন্ময় তার অপকর্মের কারণে ইসকন থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন। তার অপরাধের কারণে সরকার তাকে গ্রেফতার করেছে। তার জন্য মনে হচ্ছে, দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র। সর্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। কেউ এই দেশকে ভয় দেখিয়ে মাথানত করাতে পারবে না। চোখ রাঙিয়ে নতজানু করতে পারবে না।

রিজভী বলেন, যারা আমার ভাইদের হত্যা করেছে, হাত কেটে দিয়েছে, মুখ উড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। যারা নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। যারা তাকে রক্ষার চেষ্টা করবে, তারা স্বাধীনতার বিরোধী। সার্বভৌমত্বের বিরোধী। জনগণের বিরোধী।


আরও খবর

শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা

বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪