Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

জবাই করে হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার।

প্রকাশিত:শনিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজেস্ব প্রতিনিধি: পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার বাকুল মিয়াকে জবাই করে হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ০১ নং পলাতক আসামী মোঃ দুলাল গ্রেফতার।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে। অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, অবৈধ দখলদার, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও ধর্ষণ, প্রতারকদের গ্রেফতার করে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদা তৎপর রয়েছে র‍্যাব।

গত ২৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত্রি আনুমানিক ২১.০০ ঘটিকায় পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানাধীন রাউতি মিয়াপাড়া এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঘোড়ার গাড়ী চালক মোঃ বাকুল মিয়া (৪৫), সাং-রাউতি মিয়াপাড়া, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাকে দুস্কৃতিকারীরা নৃশংসভাবে গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে। উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়ে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনা র‍্যাবের আভিযানিক দল র‍্যাব সদর দপ্তর, ইন্ট উইং এর সহায়তায় অদ্য ১৩/১২/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বিকাল ১৭.২০ ঘটিকায় সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানাধীন দিলরুবা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার ০১ নং এজাহারনামীয় আসামী মোঃ দুলাল, পিতা-মৃত আওয়াল, সাং-রাউতি, থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



সাফ জয়, বদল, বিদায় এবং হামজা

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক :  অপেক্ষার অবসান। বছরের অন্তে এসেছে সুখবরটা। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলতে ফিফার অনুমতি পেয়েছেন হামজা চৌধুরী । সাবিনা খাতুনরা সাফ শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে জয়ী হওয়ার পর ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির তারকাকে পাওয়া বিদায়ী বছরে বড় প্রাপ্তিই বাংলাদেশের ফুটবলে।


তবে মাঠে জামাল ভূঁইয়াদের প্রাপ্তি প্রায় শূন্যই। ৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলে মাত্র ২টিতে জয় ভুটান ও মালদ্বীপের সঙ্গে। ৬ হারের ৪টি ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ফিলিস্তিন (২টি), অস্ট্রেলিয়া ও লেবাননের কাছে। বাকি দুই হার ভুটান ও মালদ্বীপের সঙ্গে। ২০১৬ সালে ভুটানের কাছে প্রথম হারের আট বছর পর সেই দুঃস্মৃতি ফিরে এসেছে। তবে মেয়েদের জাতীয় দলের পরিসংখ্যানটা বেশ ভালো। ৮ ম্যাচে ৫ জয়। এক ড্র, দুটি হার। সাফের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা।



বিদায়ী বছরে বয়সভিত্তিক ফুটবলে এসেছে তিনটি শিরোপা। প্রথমটি অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের সাফে। দ্বিতীয়টি মেয়েদের অনূর্ধ্ব-২০ সাফে ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে। অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের সেরা মোছাম্মদ সাগরিকা। অনূর্ধ্ব-২০ ছেলেদের বিভাগে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ।


মাঠের বাইরে এসেছে বড় পরিবর্তন। বছরের অন্যতম আলোচিত ঘটনা বাফুফে থেকে কাজী সালাহউদ্দিনের বিদায়। ২৬ অক্টোবের বাফুফের নির্বাচনে সভাপতি পদে পঞ্চমবার প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েও নানা সমালোচনায় শেষ পর্যন্ত সরে যান। বাফুফেতে তাঁর ১৬ বছরের আলোচিত-সমালোচিত অধ্যায় শেষ হয়েছে এভাবেই। সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী, সহসভাপতি কাজী নাবিলরাও বিদায় নিয়েছেন। ‘নতুন বাফুফের’ নতুন সভাপতি হয়েছেন সাবেক ফুটবলার তাবিথ আউয়াল।


৫ আগস্ট দেশে পটপরিবর্তনের পর স্পনসররা সরে যাওয়ায় শেখ জামাল-শেখ রাসেলের মতো ক্লাব দল গড়েনি ঘরোয়া লিগে। বিপ্লবের আগে মে মাসে টানা পঞ্চমবার পেশাদার লিগ জিতে রেকর্ড গড়েছে বসুন্ধরা কিংস, বিদায়ী মৌসুমে জিতেছে লিগ, ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপের ট্রেবলও।


আরও খবর



ফৌজদারি মামলা তদন্তের জন্য পুলিশের বাইরে সংস্থার প্রস্তাব

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: ফৌজদারি অপরাধের মামলা তদন্তের জন্য আলাদা সংস্থা গঠন করা প্রয়োজন বলে মনে করে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। সংস্থাটি হবে দক্ষ ও নির্ভরযোগ্য, যাতে প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে। একই সঙ্গে বিচারব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা ফেরাতে একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছে কমিশন।


কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।


বর্তমানে ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত করে পুলিশ। থানা-পুলিশের পাশাপাশি অপরাধ তদন্তে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) রয়েছে। এর মধ্যে পিবিআই যাত্রা শুরু করে ২০১২ সালে। তবে এসব ইউনিট পুলিশের অধীনে পরিচালিত হয়। নিয়োগ হয় পুলিশ থেকে বদলির মাধ্যমে।



বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন যে তদন্ত সংস্থার কথা বলছে, তার কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রাথমিক প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, সংস্থাটির জনবল পুলিশ বাহিনী থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হবে। তাদের নিয়োগ, চাকরির শর্ত, বাজেট, অবকাঠামো ও আনুষঙ্গিক বিষয়াদি একটি স্বতন্ত্র সংগঠন ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোভুক্ত হবে। সাধারণভাবে প্রস্তাবিত সংস্থা কাজ শুরু করবে মামলা দায়েরের পর। এই সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট অ্যাটর্নি বা প্রসিকিউটরের তদারকিতে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। 


বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে সংস্কার কমিশনের কার্যক্রম, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় যথাযথ ও প্রভাবমুক্ত তদন্ত নিশ্চিতে স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা গঠন; স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা এবং স্বল্প ব্যয়ে ও স্বল্প সময়ে কার্যকর বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ তুলে ধরা হয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি বিচার বিভাগের আর্থিক স্বাধীনতা, পর্যাপ্ত বাজেট নিশ্চিত করাসহ বেশ কয়েকটি বিষয় কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসবের প্রতিফলন থাকবে।



বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের সুপারিশ পেতে অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি কমিশন গঠন করেছে, যার একটি বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমানকে প্রধান করে আট সদস্যের এই কমিশন গঠন করা হয় গত ৩ অক্টোবর। ৯০ দিনের মধ্যে কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা। সময়সীমা গতকাল শুক্রবার শেষ হয়। তবে সময়সীমা ইতিমধ্যে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। কমিশন এর আগে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।


প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থায় তদন্ত একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তদন্ত কর্মকর্তা সৎ, সাহসী, দক্ষ ও পেশাদার না হলে তদন্ত প্রতিবেদনে নানা রকম দুর্বলতা থেকে যায়। অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাবসহ নানা কারণে যথাযথভাবে প্রকৃত তথ্য প্রতিফলিত হয় না। দ্রুত ও মানসম্পন্ন তদন্তের ওপর মামলার ফলাফল অনেকাংশে নির্ভরশীল।


কমিশনের প্রস্তাব নিয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মুহাম্মদ নুরুল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, ‘গোটা পৃথিবীতে পুলিশ ফৌজদারি মামলার তদন্ত করে। তবে ফ্রান্সে ম্যাজিস্ট্রেটদের তদন্তের উদাহরণ আছে। আমরা তদন্তের জন্য সিআইডি, পিবিআই ও দুদকের (দুর্নীতি দমন কমিশন) মতো সংস্থা করেছি। এরপরও কেন নতুন তদন্ত সংস্থার প্রয়োজন হবে, সেটি পরিষ্কার নয়।’ তিনি বলেন, বিদ্যমান ব্যবস্থায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে আইজিপিরও কিছু বলার ক্ষমতা নেই। এরপরও তো প্রভাব বিস্তারের ঘটনা ঘটেছে। এগুলো হয়েছে মূলত রাজনৈতিক কারণে। নতুন সংস্থা হলে যে সেখানে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হবে না, সেই নিশ্চয়তা কে দেবে।


আইনজীবীরা বলছেন, দেশে সার্বিকভাবে ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তদের দোষী প্রমাণিত হওয়ার হার কম-বেশি ২০ শতাংশ। ৮০ শতাংশই খালাস পেয়ে যায়। এর কারণ, তদন্তে ঘাটতি। থানা-পুলিশের একেকজন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে অনেক মামলা থাকে। তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নানা কাজ থাকে। ফলে সব মামলার তদন্তে প্রয়োজনীয় সময় দিতে পারেন না তদন্ত কর্মকর্তা। অনেকের বিরুদ্ধে প্রভাবশালীর চাপে তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়া এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগও রয়েছে।


দুর্নীতি প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গত মাসে ‘সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানায়, দেশে সর্বোচ্চ ঘুষ গ্রহণকারী পাঁচটি খাত হলো পাসপোর্ট, বিআরটিএ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, বিচারিক সেবা ও ভূমি খাত।



সংস্কার কমিশন বলেছে, একটি বড় সমস্যা হলো মিথ্যা মামলা। অনেক ক্ষেত্রে দোষী ব্যক্তিদের সঙ্গে নির্দোষ ব্যক্তিদেরও মামলায় যুক্ত করা হয়। আবার প্রকৃত ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করা হয় বা মূল ঘটনাকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধামাচাপা দেওয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে তদন্ত সুষ্ঠু না হলে নিরপরাধ ব্যক্তির হয়রানির আশঙ্কা থাকে বা প্রকৃত অপরাধী ছাড়া পেয়ে যায়। বিরোধী পক্ষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা দায়ের ও পুলিশকে ব্যবহারের মাধ্যমে হেনস্তার ঘটনা অহরহ ঘটে থাকে।


সংস্কার কমিশন বলছে, পুলিশের কিছু সদস্যের দুর্নীতি, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও অসৎ উদ্দেশ্যে পুলিশকে যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের ব্যাপারে একধরনের ভীতি কাজ করে। এ ছাড়া তদন্তকাজ পরিচালনায় পুলিশের কোনো একক ইউনিট নেই; বরং একাধিক বিভাগকে একই ধরনের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তদন্ত ব্যবস্থা যথেষ্ট সুসংগঠিত ও সুদক্ষ নয়। সমন্বয়ের অভাবে অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই আদালতে মামলার বিচার শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত অপরাধীরা ছাড়া পেয়ে যায়।



প্রাথমিক প্রতিবেদনে অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠনের প্রস্তাবের পক্ষে তথ্য ও যুক্তি তুলে ধরেছে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর ভাষ্য, এ পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সর্বস্তরের আইন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন মূলত অস্থায়ীভাবে এবং রাজনৈতিক বিবেচনায়। আইন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালন বিষয়ে জবাবদিহির কোনো আইনি কাঠামো নেই। যোগ্যতা বা দক্ষতা বা সততা নয়, মূলত আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিবেচনা করা হয় রাজনৈতিক আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে।


এ ছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস ছাড়া জেলা পর্যায়ে কোনো আইন কর্মকর্তার জন্য পৃথক অবকাঠামো, সহায়ক জনবল, বাজেট বা আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ফৌজদারি মামলার তদন্তকারী ব্যক্তি অথবা সংস্থার সঙ্গে আইন কর্মকর্তাদের মতামত গ্রহণ বা গুরুত্ব দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও নেই। জেলা পর্যায়ের আইন কর্মকর্তার জন্য নির্ধারিত পারিশ্রমিক অতি নগণ্য। তাঁদের দায়িত্ব পালনের মান মোটেও সন্তোষজনক নয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে একটি স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে কমিশন মনে করে।


প্রাথমিক প্রতিবেদনে প্রস্তাবিত অ্যাটর্নি সার্ভিসের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। এর ভাষ্য, অ্যাটর্নি সার্ভিস হবে একটি স্থায়ী সরকারি চাকরি। সার্ভিসের সুনির্দিষ্ট কাঠামো, নিয়োগপদ্ধতি, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা, বেতনকাঠামোসহ আর্থিক সুবিধাদি এবং আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথ বিধানসংবলিত আইন থাকবে। পর্যাপ্ত অবকাঠামো, বাজেট বরাদ্দ ও সহায়ক জনবলের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রস্তাবিত সার্ভিসের দুটি ইউনিট থাকবে— (ক) অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবং অ্যাডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল সমন্বয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্ট ইউনিট এবং (খ) অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি, ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি, অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট এবং ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি সমন্বয়ে গঠিত জেলা ইউনিট।


ফৌজদারি মামলার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র তদন্ত সংস্থা এবং স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস গঠন প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক। সংস্কার কমিশনের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থায়ী অ্যাটর্নি সার্ভিস রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যতিক্রম, যেখানে ল ক্যাডার সার্ভিস নেই। ক্ষমতাসীন দল বদল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল থেকে শুরু করে আইন কর্মকর্তা ও পিপি-এপিপি পদে রদবদল হয়ে যায়। নতুন ক্ষমতাসীন দলের অনুসারীরা ওই সব পদে নিয়োগ পান। এতে দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি দেখা যায়।


শাহদীন মালিক বলেন, পুলিশকে বহু ধরনের কাজ করতে হয়। যদি আলাদা করে একদল শুধু তদন্তের জন্য নিয়োজিত থাকে, তাহলে তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়বে। তদন্ত সঠিক ও যথার্থ হবে।


আরও খবর



এবার ইয়েমেনে হামলা শুরু করল ইসরায়েল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১২১জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা ও পশ্চিম তীর, লেবানন ও সিরিয়ার পর এবার মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ইয়েমেনে হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। আজ বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের ‘সামরিক স্থাপনায়’ হামলা চালানোর খবর জানায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী।


ইসরায়েল অভিমুখে হুতি বিদ্রোহীদের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ইয়েমেনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।  


গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪৫ হাজার ছাড়াল, ১৭ হাজারই শিশু

এ বিষয়ে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি বলেন, হুতি বিদ্রোহীদের সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী সানার বন্দর ও জ্বালানি অবকাঠামো রয়েছে।


হুতি–ঘনিষ্ঠ টেলিভিশন চ্যানেল আল মাশিরাহ জানায়, আজ ভোরের দিকে সানা ও বন্দরনগরী হোদেইদাহতে আগ্রাসী অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল।


ইসরায়েলে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুতিদের

টেলিভিশন চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সানার দুটি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা হয়েছে। এ ছাড়া হোদেইদাহর বন্দরে শত্রুপক্ষ অন্তত চারটি হামলা চালিয়েছে। জ্বালানি স্থাপনায় দুটি হামলা হয়েছে।


তবে এসব হামলায় হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি।


আরও খবর



এই বোসিস্টোকে কি চিনতে পারছেন সৌম্য–তাসকিন

প্রকাশিত:বুধবার ০১ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

খেলা ডেস্ক: উইলিয়াম বোসিস্টোকে কি এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, তাসকিন আহমেদরা চিনতে পেরেছেন? খুলনার হয়ে বিপিএলে গতকাল ৭৫* রানের ইনিংস খেলা এই ক্রিকেটারকে অবশ্য ভুলে গেলেও অবাক হওয়ার সুযোগ নেই। অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার যে থমকেই ছিল বছরের পর বছর ধরে। আর ১৩ বছর আগে ঘটে যাওয়া ঘটনা কজনই বা মনে রাখে।


গভীরভাবে নিয়মিত ক্রিকেটের খোঁজখবর না রাখলে এই ক্রিকেটারকে সাধারণ কোনো সমর্থকেরও চেনার কথা নয়। জানার কথা নয় এই বোসিস্টোর সঙ্গে সৌম্য, লিটন দাস, তাসকিন, এনামুল, নুরুল হাসানদের বাজে স্মৃতিও আছে!


২০১২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কথা। সেই বিশ্বকাপে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন উইলিয়াম বোসিস্টো। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ইনিংসের ১২তম ওভারে সৌম্য সরকারের বলে ব্যাট করছিলেন বোসিস্টো। ওভারের পঞ্চম বলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান জিমি পিয়ারসনকে মানকাডিং করেন সৌম্য।


১৭২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৩ উইকেটে ৩৩। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক এনামুল হককে মানকাডিং আপিল তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন বোসিস্টো। এনামুল সেই অনুরোধ রাখেননি। যদিও শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ম্যাচটি জিততে পারেনি। ১০০ রানে ৫ উইকেট তুলে নেওয়ার পরও অপরাজিত ৭১ রান করে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেন এই বোসিস্টো। সেই বিশ্বকাপে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলেও টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার ওঠে বোসিস্টোরই হাতে।


২০১২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কথা। সেই বিশ্বকাপে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন উইলিয়াম বোসিস্টো। বাংলাদেশের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ইনিংসের ১২তম ওভারে সৌম্য সরকারের বলে ব্যাট করছিলেন বোসিস্টো। ওভারের পঞ্চম বলে নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা ব্যাটসম্যান জিমি পিয়ারসনকে মানকাডিং করেন সৌম্য।

২০১২ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার বোটিস্টোর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ২০১৩ সালে। তবে এর পরের দিনগুলো তাঁর জন্য সুখকর হয়নি। ২০২১ সাল পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, সব মিলিয়ে মাত্র ২৮ ম্যাচের ক্যারিয়ার। কেন ৮ বছরে ২৮টি ম্যাচের বেশি খেলার সুযোগ পাননি, সেটা তাঁর ব্যাটিং গড়ই বলে দেয়—২২.৫৩।


লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে খেলেছেন সর্বশেষ ২০১৭ সালে। ৫০ ওভারের খেলায় ১৪ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮৬, মোট রান ৩৮৯।


বিপিএলে খেলতে যেহেতু বাংলাদেশে এসেছেন, টি-টোয়েন্টির রেকর্ডই বোধ হয় আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। অবাক করা বিষয় হচ্ছে, এবারের বিপিএলে গতকাল খুলনা টাইগার্সের হয়ে খেলতে নামার আগে আগে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে তিনি সর্বশেষ খেলেছিলেন চার বছর আগে। সর্বসাকল্যে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ১২টি। এর ১১টি আবার বিগ ব্যাশ লিগে। যেখানে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস অপরাজিত ৩৬।



৪ বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে বোসিস্টোর কত রান করেছেন, মনে আছে নিশ্চয়! ৫০ বলে অপরাজিত ৭৫। টি-টোয়েন্টিতে যা তাঁর একমাত্র ফিফটি, সর্বোচ্চ ইনিংস তো বটেই। বিপিএলের আগে নেপালের লিগেও খেলেছেন। তবে সেই লিগ আইসিসির স্বীকৃতি পায়নি।


আরেকটি অবাক করা ব্যাপার হলো, ২০১২ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কাউকেই বিপিএলে সতীর্থ হিসেবে পাননি বোসিস্টো। তবে প্রতিপক্ষ হিসেবে এনামুল, সৌম্য, তাসকিন, নুরুলদের সঙ্গে তাঁর শিগগিরই দেখা হবে।


আরও খবর



রোজার বিয়ে হওয়ায় ভেঙে পড়েছে মা, করছে কান্নাকাটি: প্রাক্তন প্রেমিক ফায়েজ

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৮জন দেখেছেন

Image

ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই বিয়ে করেছেন জনপ্রিয় গায়ক অভিনেতা তাহসান খান। গত শনিবার সন্ধ্যায় মেকওভার আর্টিস্ট রোজা আহমেদের গলায় মালা দিয়েছেন তিনি। পারিবারিক আয়োজনেই সম্পন্ন হয়েছে তাহসান-রোজার বিয়ে।


বিয়ে সম্পন্ন হলেও বিনোদন অঙ্গন থেকে শুরু করে নেট পাড়ায় তাহসান ও রোজার বিয়ে নিয়ে আলোচনা এখনো তুঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলেই এ উন্মাদনার প্রমাণ মিলছে। গায়ক তাহসান ও রোজা আহমেদের বিয়ের ছবি ঘুরছে হাজারো পোস্টে।

 

সোমবার (৬ জানুয়ারি) তাহসানের বিয়ের খবর নিশ্চিত হওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে, ফায়েজ বেলাল নামে এক যুবককে ধোঁকা দিয়ে নাকি তাহসানের সঙ্গে সংসার পেতেছেন রোজা আহমেদ। ফায়েজ দাবি করেন, রোজার সঙ্গে নাকি দুই বছরের প্রেম ছিল তার। এরপর তা নিয়ে তৈরি হয় নানা ধোঁয়াশা। তাহসানের স্ত্রী রোজা আহমেদের পরই আলোচনায় আসেন তার কথিত প্রাক্তন প্রেমিক ফায়েজ বেলাল।

 

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তাহসান-রোজার বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন রোজার প্রাক্তন প্রেমিক ফায়েজ বেলাল। সেখানে রোজা আহমেদের নাম মুখে না নিলেও পরোক্ষভাবে কথিত প্রাক্তনকে নিয়ে নানান কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারে ফায়েজ এও দাবি করেন, রোজার বিয়ে হওয়ায় ফায়েজের মা কান্নাকাটি করছেন!

ফায়েজের কথায়, ‘আমার কারও ওপর অভিমান নেই। আমি তাদের দুজনকেই অসংখ্য শুভকামনা জানাই। ওর বিয়ের খবরে (রোজা আহমেদ) খবরে আমার মা সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছে, মানে আমার থেকেও বেশি। তিনি আমাকে আজকে এই সাক্ষাৎকারে আসতে দিতে চায়নি।’

ফায়েজ বলেন, ‘তখন আমার মা আমাকে খাইয়ে দিচ্ছেন আর সে সময় তার চোখে পানি দেখছি। জিজ্ঞাসা করলাম কাঁদছেন কেন, তখন আম্মু উত্তর দিলেন ‘এরকম তো অনেককেই খাইয়ে দিয়েছি’। আমি তার নাম বলতে চাই না, তখন আমিও মা কে ধরে কান্না করে দেই।’

উল্লেখ্য, ফায়েজ বেলাল পেশায় একজন ব্যবসায়ী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার। তার বাবার নাম সেলিম শিকদার ও মায়ের নাম ফজিলাতুন্নেসা। তিনি বর্তমানে ঢাকার খিলখেতে বসবাস করেন।


আরও খবর

কখনও ভাবিনি আমি বাঁচব : প্রীতি জিনতা

রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫