Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

জিম্মিদের মুক্তিতে যে প্রস্তাব দিলো হামাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলি বাহিনী যদি তাদের অভিযানে ৫ দিন বিরতি দিতে রাজি হয়, তাহলে নিজেদের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৭০ জনকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস। গোষ্ঠীটির সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবেইদা এই তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক অডিও বার্তায় উবেইদা বলেন, ‘কাতারি ভাইদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে যদি শত্রুরা ৫ দিনের যুদ্ধবিরতি দেয়— সেক্ষেত্রে ৭০ জন ইসরায়েলিকে আমরা মুক্তি দেবো।’

‘বিরতি বলতে আমরা সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি বুঝিয়েছি; আর এই বিরতির সময় অবশ্যই গাজা উপত্যকার সব এলাকায় ত্রাণ মানবিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।’

বস্তুত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কিংবা মানবিক বিরতি আহ্বানের বিষয়টি গত দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে আলোচনায় ‍ছিল। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজা উপত্যকায় কোনো মানবিক বিরতি ঘোষণা করবে না প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। অন্যদিকে হামাস বলে আসছিল, বিরতি ঘোষণা না করা হলে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। এদিন ভোরের দিকে সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে শত শত মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ধরে নিয়ে যায় যোদ্ধারা।

এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। উপত্যকার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় গাজা ও মিসরের সীমান্তপথ রাফাহ ক্রসিং, যা গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের কাছে ‘লাইফলাইন’ নামে পরিচিত।

গত ৩৭ দিন ধরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা বোমা বর্ষণে কার্যত ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে মাত্র ৩৬৫ কিলোমিটার আয়তনের ভূখণ্ড গাজা। উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ইসরায়েলি অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১১ হাজার।

যুদ্ধের শুরু থেকেই মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করছে কাতার। হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারাও কাতারে বসবাস করেন।

গত অক্টোবরের শেষ দিকে ৭-৮ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এক্ষেত্রেও কাতারের প্রভাব ছিল।


আরও খবর



সিনেমা হল খুলছেন সালমান খান

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : ‘টাইগার ৩’ দিয়ে দু’বছরের মন্দা কাটিয়েছেন সালমান খান। সেই আনন্দেই এবার দিয়ে দিলেন নতুন ঘোষণা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বলিপাড়ায় রাজত্ব করা সালমান এবার সারা ভারত জুড়ে সিনেমাহল খুলতে চলেছেন। 

পরিকল্পনাটা অনেক আগেই নেওয়া। তবে মাঝে কোভিডের কারণে সব পিছিয়ে দিতে বাধ্য হন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সালমান বলেন, আমি অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করে আছি। আসলে এটা বাস্তবায়নে অনেকটা সময় দরকার। জমি, নির্মাণকাজ, লোক নিয়োগ সব মিলিয়ে বিরাট কর্মযজ্ঞ। তবে সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরই কাজ শুরু করব। ধীরে ধীরে শুরু করব। তবে করবই, এই বিষয়ে নিশ্চিত। 

এর নাম হতে পারে সালমান টকিজ। অন্য হলের তুলনায় এখানে টিকিটের দাম হবে অনেকটাই কম। করমুক্ত টিকিট মিলবে এই সিনেমা হল। স্বাভাবিক ভাবেই দাম অনেকটাই কম হবে টিকিটের। বাচ্চা ও আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছেলে-মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে মিলবে টিকিট।


আরও খবর



এক দিনে আরও ১৬৩৮ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১৩

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরও ১৬৩৮ জন।

নতুন এসব শনাক্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪০ জন, আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১২০৪ জন। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে আরও ১৩ জনের।

শনিবার (৪ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৬ হাজার ৬৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৮৩৭ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৪ হাজার ৭৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮০১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১ লাখ ৭১৭ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৪ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৭৭২ জন। ঢাকায় ৯৮ হাজার ৫৪ এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৭১ হাজার ৭১৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।


আরও খবর

একদিনে ৮৭৭ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ৭

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার মান কমলো ৭ টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৩জন দেখেছেন

Image

দেশে ডলারের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। লাগামহীনভাবে বাড়ছে দাম। বিপরীতে কমছে টাকার মান। নানা পদক্ষেপ নিয়েও দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে খোলা বাজারে খুচরা ডলারের দাম গিয়ে ঠেকেছে ১২৬ থেকে ১২৭ টাকায়।

চিকিৎসা, শিক্ষা বা ভ্রমণের জন্য যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের নগদ প্রতি ডলার কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১২৭ টাকা পর্যন্ত। এক সপ্তাহ আগেও খোলা বাজারে ডলারের দাম ছিল ১২০ টাকা। আর বছরের শুরুতে দাম ছিল ১১০ টাকা। সেই হিসাবে প্রতি ডলারের বিপরীতে সপ্তাহে টাকার মান কমেছে ৭ টাকা, আর চলতি বছরে কমেছে ১৭ টাকা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলো ডলার সংকটের কারণে আমদানির দেনা শোধ করতে পারছে না। তাই সংকট মোকাবিলায় অনেক ব্যাংক বাড়তি দামে প্রবাসী আয় কিনছে। এ সুযোগে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো হঠাৎ করে ১২ থেকে ১৪ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম। ফলে অনেক ব্যাংক বাধ্য হয়ে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকায় প্রবাসী আয় কিনেছে। এর প্রভাবে খোলা বাজারে ডলারের দামও হু হু করে বেড়েছে।

মতিঝিল দিলকুশার এলাকায় খুচরা ডলার কেনা-বেচা করেন আব্দুর রহমান। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকেও বাজার খুব চড়া। কেউ ডলার বিক্রি করতে আসলে ১২৫ থেকে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা দিচ্ছি। আর কেউ কিনতে আসলে ১২৬ টাকা থেকে ১২৭ টাকায় বিক্রি করছি। বৃহস্পতিবারও ১২৬ টাকা ছিল।

কেন হঠাৎ দাম বাড়ল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাহিদা বাড়লে দামও বাড়ে। এখন ব্যাংক ডলার কিনছে ১২৪ থেকে ১২৫ টাকা তাহলে খোলা বাজারে তো ১২৬-১২৭ টাকা হবেই।

অফিসের কাজে দুবাই যাবেন আরমান আরিফ। নগদ ডলার কেনার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিচ্ছেন। তিনি বলেন, আজকে ডলার কেনার জন্য কয়েকটি ব্যাংকে খোঁজ নিলাম। কোনো ব্যাংক ডলার বিক্রি করতে চায়নি। পরে কয়েকটি মানি চেঞ্জারে ফোন দিলাম আন-অফিসিয়ালি রেট ১২৬ টাকা ৫০ পয়সা চেয়েছে। এখনও ডলার কিনতে পারিনি। দেখি দাম কমে কি না। সামনের সপ্তাহে ফ্লাইট, এর মধ্যে দাম না কমলেও কিনতে হবে।

ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, ডলারের বাজার খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। স্থিতিশীল করার জন্য আমরা সব স্টেকহোল্ডার একসঙ্গে কাজ করছি। কিছু ব্যাংক বেশি সমস্যায় আছে, তাদের এ রেট মানতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। যেন বাজার অস্থিতিশীল না হয়।

তিনি বলেন, ডলারের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে রেমিট্যান্সের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের নিজস্ব প্রণোদনাসহ ডলারের দর কোনোভাবেই ১১৬ টাকার বেশি দর দেওয়া যাবে না। তবে আমদানিকারকদের কাছে ব্যাংকগুলোকে ১১১ টাকায় বিক্রি করতে হবে; এর বেশি নেওয়া যাবে না। কেউ যদি এটা অমান্য করে তাহলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

ডলারের বাজার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, গত ৬ মাস এমন সমস্যা ছিল না; ডলারের দাম ১২৪ টাকা কখনো হয়নি। বাড়তি প্রণোদনা উন্মুক্ত করায় ডলারের বাজারে বিশৃঙ্খলা হয়েছে। এখন বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তারা (এবিবি ও বাফেদা) একটা রেট নির্ধারণ করেছে। তাদের নির্ধারিত রেট বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্য চেয়েছেন। ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।

২০ বিলিয়নে রিজার্ভ
দেশের বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে নিয়মিত ডলার বিক্রি করে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এরই মধ্যে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের মতো বিক্রি করা হয়েছে। ফলে ধারাবাহিকভাবে কমছে অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এ সূচকটি ধারাবাহিকতা কমছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এখন গ্রস রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫.৭২ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী, গ্রস রিজার্ভ ২০ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন। এর বাইরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এখন যে পরিমাণ প্রকৃত রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে শুধু তিন মাসের আমদানি খরচ মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।


আরও খবর

আবারও বাড়লো সোনার দাম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ইন্টারনেট সেবাদাতা ৪৮ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করল বিটিআরসি

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন

Image

দেশে ৪৮ ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এসব প্রতিষ্ঠানকে ১০ দিনের মধ্যে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) লাইসেন্স বিটিআরসিতে সমর্পণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

গত ১২ নভেম্বর বিটিআরসির লাইসেন্সিং শাখার পরিচালক মো. নুরন্নবীর স্বাক্ষরিত জরুরি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এ তথ্য। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সেই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ কর হয় বিটিআরসির ওয়েবসাইটে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের নামের পাশে উল্লিখিত ক্যাটাগরির আইএসপি লাইসেন্স যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে সমর্পণ হিসেবে বাতিল করা হলো। ওই লাইসেন্সসমূহের অধীনে যেকোনো কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে অবৈধ ও বিটিআরসি আইন, ২০০১ এর অধীন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এতে আরও বলা হয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ক্যাটাগরির আইএসপি লাইসেন্সের সঙ্গে যেকোনো ধরনের টেলিযোগাযোগ চুক্তি সম্পাদন, সেবা গ্রহণ-প্রদান এবং আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি জারির ১০ দিনের মধ্যে আইএসপি লাইসেন্স কমিশন বরাবর সমর্পণের নির্দেশনা দেয়া হলো (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।


আরও খবর



কৃষিতে স্বাবলম্বী পাবনার রাকিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

সফিক ইসলাম,পাবনা: ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবাকে কৃষি কাজে সহায়তা করাই ছিল রাকিবের নেশা।

বাবার অল্প কিছু জমি নিয়ে বাবা চাষাবাদে ব্যস্ত থাকেন সর্ব সময়। বাবার ফসল উৎপাদন দেখে পাবনা সদর উপজেলার কৃষি অফিস সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেন অনেক সময়ই।

আর এটা দেখে রাকিবের চাষাবাদ করার আগ্রহ জন্ম নেয়। বাবা শীতকালীন গ্রীষ্মকালীন সকল শস্য উৎপাদনে পাবনা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তা নেন। আর কিছু কর্মকর্তাদের সহায়তার ধরণ দেখে রাকিবের মন জুড়িয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন কিছু উদ্ভাবন তাকে ভেতরে ভেতরে অনুপ্রাণিত করে ।


বাবার কৃষিকাজকে সামনে রেখে, কৃষি অফিসের নতুন কোন প্রকল্প আসলেই রাকিব ঝাঁপিয়ে পড়ে। মনে মনে সংকল্প করেন না আমি এটা করবোই। এভাবেই লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকে পাশাপাশি বাবা কে সহায়তা করতে থাকে, মনে মনে চিন্তা করতে থাকে কৃষিতে নতুন বিপ্লব ঘটাবো। এসএসসি পাস করার পর থেকেই তার ভেতরে নতুন উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়।

নতুন কিছু করতে চাই নতুন কোন ভাবনা নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা কৃষি অফিসের অনেক প্রদর্শনী তার কাছে আসে এবং সে সফল ভাবে প্রদর্শনী গুলো সম্পন্ন করে। নতুন কিছু আবিষ্কারের মধ্যেই চলে আসে পলিনেট হাউজ প্রদর্শনীটি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাহানা পারভীন লাবনী এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদের অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতা পলিনেট হাউজ প্রদর্শনী টি শুরু করেন। পলিনেট হাউজের মধ্যে ক্যাপসিকাম সহ অন্যান্য শীতকালীন লাভজনক ফসল উৎপাদন হওয়ার কথা।


কিন্তু হাতে অনেক খানি সময়ও রয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদ মাঠ ফাঁকা না রাখার জন্য পরামর্শ দেন।এই সময় রাকিবের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি হয় পালংশাকের চাষ ‌। সুখের মুখ দেখতে বেশি সময় লাগে না। আল্লাহ পাকের সহায়তায় মাঠ ভরপুর পালং শাক অনেক সুন্দরভাবেই উৎপাদন হয়। লাভের পরিমাণ অন্য ফসলের তুলনায় বেশি‌‌।

এ তো বললাম একটা প্রকল্পের কথা। এরকম আরো অনেক প্রদর্শনী করে এবং অন্যান্য জমিতে প্রযুক্তির ব্যবহার ও পরিশ্রম করে আজ স্বাবলম্বী রাকিব। রাকিব ধান গম সরিষা গ্রীষ্মকালীন টমেটো তরমুজ চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন। পাশাপাশি রাকিব ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করেও অনেক লাভবান হয়েছেন ।রাকিব বলেন আমি নতুন একটি প্রযুক্তির সাথে যুক্ত আছি যেটাতে লেবার কস্ট অনেক কম।


প্রযুক্তিটির নাম হচ্ছে পলিথিন মালচিং এটি ব্যবহারের মাধ্যমে চাষাবাদ করলে জমিতে আগাছা জন্মায় না ফলে লেবার খরচ অনেক কম হয়। রাকিব আরো বলেন কৃষি কর্মকর্তা এবং উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদের দিকনির্দেশনায় আমার এ সফলতা। আমি উনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।


আরও খবর