Logo
আজঃ বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম
ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস জুলাই বিপ্লবে স্কাউট সদস্যের আত্মাহুতি, এ নজির বিশ্বে আর নেই: প্রধান উপদেষ্টা বিসিবি সভাপতি রাজশাহী অঞ্চলে প্রিমিয়ার লিগ চালুর কথা বললেন সিএস ও কমিটির পক্ষ থেকে সি এস ও লিড ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত ইরানে মার্কিন হামলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নৌবাহিনী প্রযুক্তিনির্ভর ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ভূমিকা রাখছে : সেনাপ্রধান অবকাশ শেষে রোববার থেকে নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট হলি আর্টিজান হামলা : মৃত্যুদণ্ড থেকে সাত আসামির আমৃত্যু কারাদণ্ডের যুক্তি পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। ওমান উপসাগরে দুটি তেল ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষে

জনকল্যাণে নেতা-কর্মীদের এখন থেকেই মাঠে থাকার নির্দেশ তারেক রহমানের

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৬৩জন দেখেছেন

Image

অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জনগণের কল্যাণের লক্ষ্যে এখন থেকেই সার্বক্ষণিক মাঠে থাকার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন,‘ভোটের মাঠে বিএনপি’র প্রতি জন-আস্থা থাকলেও জনগণের কল্যাণে এখন থেকেই সকলকে মাঠে নামতে হবে। দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের এখনই প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি মানসিকতায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে।

তারেক রহমান আজ রোরবার দুপুরে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে লন্ডন থেকে ‘ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি জনগণের রায় নিয়ে আগামীতে ক্ষমতায় এলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবে, যা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসেবে চলবে। আমরা ধাপে ধাপে এটি আরও উন্নত করবো। যেদিন বাংলাদেশের মাটিতে জনগণের জন্য ৩১ দফা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সেদিনই বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের প্রকৃত বিজয় অর্জিত হবে।’

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘জনগণের আস্থা অর্জনে আমরা ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘদিনের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে দেশকে পুনর্গঠন করতে চাই।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন,‘আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর ধরে দেশের জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ৩১ দফা রূপরেখা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের দমন-পীড়নের প্রকৃত প্রতিশোধ নেওয়া হবে।’

দীর্ঘ ১৬ বছর পর নড়াইল জেলা বিএনপি’র দ্বিবার্ষিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমার এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়।

নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুন্ডু।

জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান, নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান আলেক, সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুর রহমান পলাশ, লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহদুজ্জামান বাটু, কালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু, নড়াইল পৌর বিএনপির সভাপতি তেলায়েত হোসেন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফসিয়ার রহমান।এ সময় নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা খান মোহাম্মদ কবীর হোসেন, আমেরিকার টেক্সাস বিএনপির সেক্রেটারি শেখ জহিরুল ইসলামসহ বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ও কাউন্সিলরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

জনগণের সমর্থন পেলে আগামী নির্বাচনে বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল- এ কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ৩১ দফা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করবে, যা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া হিসেবে চলবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা ধাপে ধাপে এটি আরও উন্নত করবো। যেদিন বাংলাদেশের মাটিতে জনগণের জন্য ৩১ দফা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সেদিনই বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রকৃত বিজয় অর্জিত হবে।

পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনরা শাসনামলে দেশের বিভিন্ন সেক্টরের অনিয়মের চিত্র তুলে ধরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, খুনি আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা ,উন্নয়ন ও গণতন্ত্র ধ্বংস করে গেছে। নির্বাচনের নামে দেশের জনগণের সঙ্গে তামাশা ও প্রহসন করেছে। বিরোধী দলের প্রতি দমন, পীড়ন নীতি চালানো ও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীদের গুম, খুন করা হয়েছে। জোরপূর্বক ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসররা মানুষের কথা বলার অধিকারকে হরণ করে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একচ্ছত্র অপশাসন কায়েম করেছিল। ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার, খুনি ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন ঘটেছে। বাংলার মাটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে শেখ হাসিনা।

তারেক রহমান বরেন, এই মুহুর্তে ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে দেশের সাধারণ জনগণ বিএনপির দিকেই তাকিয়ে আছে। তাই মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের কাজে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

দেশ ও জনগণের কল্যাণে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার অবদান তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিশুদের শিক্ষিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, শিল্পায়ন সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে গিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বর্তমান চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নানান বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তবুও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথে দলীয় নেত্রী থেমে থাকেননি। সেজন্যই তিনি আপোসহীন নেত্রী।

বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া দল বিএনপি অতীতে যেমন মানুষের পাশে ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। এছাড়াও, বিএনপি সরকারের আমলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, নারী শিক্ষার উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের জন্য কলকারখানা স্থাপনসহ তরুণ ও বেকারদের কর্মসংস্থানে নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল।

তারেক রহমান অভিযোগের স্বরে বলেন, ‘বিএনপিকে হেয় করতে বিভিন্ন মহল দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা রাজনৈতিকভাবে তাদের মোকাবিলা করছি এবং করবো। তবে, জনগণের আস্থা বজায় রাখা আমাদের দায়িত্ব। এ জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। হতে হবে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। তাহলেই আমরা পরিবর্তন আনতে পারবো।’


আরও খবর



দশ বছরে চামড়ায় সর্বোচ্চ দাম বাণিজ্যে উপদেষ্টা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:বুধবার ০৯ জুলাই ২০২৫ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন মঙ্গলবার নাটোরের চকবৈদ্যনাথ এলাকায় চামড়া আড়ৎ পরিদর্শনকালে বললেন, “গত ১০ বছরের তুলনায় এবার কোরবানির চামড়া সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। আগামী বছর আরও দাম বাড়বে বলে আমরা আশা করছি। এজন্য সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের অর্থনীতির প্রসারের জন্য বাণিজ্য সম্প্রসারণে মনোযোগ দিতে হবে।”

শেখ বশিরউদ্দিন আরও যোগ করে বলেন, “আমাদের দেশে এবছর লবণের উৎপাদন অনেক বেশি হয়েছে। সরকার সাড়ে ৭ লাখ মণ লবণ কিনেছে। সেজন্য লবণ চাষীদেরও একটা উপায় হয়েছে। বর্তমান বাজার দর ১ হাজার টাকা মণ। তাতেও চাষী বাঁচবে না। সরকারকে সবসময় সামগ্রিকভাবে চিন্তা করতে হয়। শিল্প মন্ত্রণালয় সাড়ে ৭ লাখ মণ লবণ কিনেছে মাদ্রাসায় বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য। এর ফলে বাজারে একটা সুষম কাঠামো তৈরি হয়েছে। তাদেরও কিছু ভুল রয়েছে। সেই ভুল থেকেই তারা জানতে ও শিখতে চান। অনেক মাদ্রাসা বিনামূল্যে লবণ পেয়েও কাঁচা চামড়া ও লবণ আলাদা করে বিক্রি করেছে।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “সরকার লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে চামড়া নষ্ট না হয় এবং ব্যবসায়ীরা ভালো দাম পান। বাজারে একদিনে প্রচুর সরবরাহ হলে দামে কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে সংরক্ষণ করে ধীরে ধীরে বিক্রি করলে আরও ভালো দাম পাওয়া সম্ভব। সরকার বিসিকের মাধ্যমে ট্যানারি মালিকদের তিন ধরনের লবণের নমুনা দিয়েছে। তারা পরীক্ষার পর উপযুক্ত লবণ নির্ধারণ করেছেন। কেউ কেউ লবণের দাম বাড়ার কথা বলছেন, কিন্তু আমাদের লবণচাষীদের কথাও চিন্তা করতে হবে।”

‘আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবসা চাই। শুধু একটি বা দুটি দেশের সঙ্গে নয়, বরং ভারত, চীন, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে চাই। একইভাবে বৈশ্বিক বাজার থেকেও পণ্য আমদানি করব’-যোগ করেন এ উপদেষ্টা।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।


আরও খবর



দেশে আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়তেছে

প্রকাশিত:বুধবার ১১ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

 দেশে করোনা সংক্রমণ আবারো বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে সেখানেই এই পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের হাসপাতালগুলোতে পরীক্ষা চালু হবে। যেসব হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাব রয়েছে, শুধু সেখানেই শুরুতে এই সুবিধা মিলবে বলেও জানানো হয়।

এদিকে প্রতিদিনই দেশে বাড়ছে করোনার নতুন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ। জনমনেও তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক। ঈদের ছুটিতে থাকা ফাঁকা ঢাকায় করোনার সংক্রমণ বাড়াচ্ছে উদ্বেগ। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঈদের ছুটি শেষে জনসমাগম বাড়লে রাজধানীতে ব্যাপকহারে সংক্রমণ বাড়তে পারে। তবে তারা জানান, মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গত এক সপ্তাহের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আক্রান্তের অধিকাংশই রাজধানী ঢাকায়। ঈদের ছুটি থাকার পরও ঢাকায় এমন সংক্রমণ বাড়ছে উদ্বেগও।

এদিকে ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন নগরবাসী। এতে কর্মচঞ্চল হয়ে উঠছে ঢাকা। সাথে বাড়বে জনসমাগমও। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, এতে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে সংক্রমণের সংখ্যা ব্যাপকহারে বাড়ার। তাই, ঢাকায় ফিরতি যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়াও জনসচেতনতা বাড়াতে এখনই সরকারি পদক্ষেপেরও জোর দিয়েছেন।

এদিকে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। প্রাথমিকভাবে যেসব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে আরটি পিসিআর ল্যাব আছে সেখানে পরীক্ষা শুরু হবে বলেও জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক হালিমুর রশীদ আজ বাসস’কে বলেছেন, যেসব হাসপাতালে আরটিুপিসিআর ল্যাব রয়েছে, করোনা পরীক্ষা পুনরায় চালু করার প্রস্তুতি নিতে তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় কোম্পানিগুলো থেকে পরীক্ষার কিট সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি বিদেশ থেকেও কিট আমদানির জন্য সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোকে (সিএমএসডি) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

অধ্যাপক হালিমুর রশীদ বলেছেন, আমরা আশা করছি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আবার চালু করা যাবে-তবে তা সীমিত পরিসরে। যাদের উপসর্গ থাকবে, তারাই পরীক্ষার সুযোগ পাবেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর পক্ষ পাঠানো তথ্য থেকে জানা গেছে, যাদের করোনা উপসর্গ থাকবে তারাই শুধুমাত্র পরীক্ষার অনুমতি পাবেন।

হালিমুর রশীদ আরো বলেছেন, সংক্রমণের হার যদি আরো বাড়ে, তাহলে পরীক্ষার পরিধিও বাড়ানো হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্যমতে, গত একদিনে ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শতকরা হিসেবে অত্যন্ত উচ্চ শনাক্ত। এরইমধ্যে ৯ জুন থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতর মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করে এবং বিমানবন্দরসহ সব প্রবেশপথে হেলথ স্ক্রিনিং অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জনগণকে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং উপসর্গ দেখা দিলে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ১৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তদের প্রত্যেকেই ঢাকা মহানগরী এলাকার বাসিন্দা। এর আগে গত ৯ জুন ৪১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন দু’জন। এর ফলে এই সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। 


আরও খবর



ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী : হোয়াইট হাউস

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

 যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, ইরান আলোচনায় না এলে দেশটির জনগণের উচিত তাদের শাসকগোষ্ঠীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া। তবে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ট্রাম্প এখনো কূটনৈতিক সমাধানে আগ্রহী।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, সোমবার ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘যদি ইরানি সরকার শান্তিপূর্ণ কূটনৈতিক সমাধানে না আসে, যার জন্য প্রেসিডেন্ট এখনো আগ্রহী এবং প্রস্তুত, তাহলে ইরানিরা কেন কয়েক দশক ধরে তাদের দমন করা একটি চরম সহিংস শাসনের ক্ষমতা কেঁড়ে নিতে পারবে না?


আরও খবর



সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত।

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে আদালত।

দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক আবুল খায়ের, তার স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজি ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, জাহেদ কামাল, হুমায়ূন কবির ও তানভীর নিজাম।

দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. আবুল খায়েরসহ অন্যান্যের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতপূর্বক সরকারি বিধি বিধান এবং শেয়ার বাজার আইন লঙ্ঘনপূর্বক শত শত কোটি টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা যায় যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বিধায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিতকরণ একান্ত আবশ্যক। 

আদালত আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেয়।


আরও খবর



দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় গ্যাসের বিপুল বকেয়া বিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জুন ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুলাই ২০২৫ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

দেশের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘদিন ধরেই গ্যাস সরবরাহের বিল নিয়মিত পরিশোধ করছে না। বরং গ্যাসের বিপুল বকেয়া পরিশোধে ওসব প্রতিষ্ঠান গড়িমসি করছে। তাতে বিপাকে পড়েছে দেশের ৬টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি মোট ২১ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। আর ওই টাকা আদায় করতে না পারায় এরই মধ্যে কোম্পানি পরিচালনায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার বিদ্যুতের বকেয়া পরিশোধে বিগত সরকারের চেয়ে অনেক তৎপর হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে অর্থ আদায়ে সফলতা দেখাতে পারছে না। বিশেষ করে বিপুল অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সরবরাহ করলেও ওই গ্যাসের বিল আদায় হচ্ছে না। ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিগত তিন বছর ধরেই গ্যাসের বকেয়া বিল পরিশোধ নিয়ে টানাপড়েন চলছে। বিদেশী কোম্পানিগুলোর কাছে এ খাতে গত বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৭৫ কোটি ডলার বকেয়া ছিল। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধ করে ২৪ কোটি ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ও বিদেশী বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানির বিপুল পরিমাণ বকেয়া বিল পরিশোধেও তৎপরতা চালানো হয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি ঘটছে না। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাসের মোট ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। তার মধ্যে বিতরণ কোম্পানি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) পাবে ৮ হাজার ৯৬ কোটি টাকা। সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে তিতাস গ্যাস পাবে ৩ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া ৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। তবে মার্চ ও এপ্রিল হিসাবে ধরলে এ খাতে মোট বকেয়ার পরিমাণ ২৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এ অর্থ আদায়ে বিতরণ কোম্পানিগুলো কঠোর অবস্থানে থাকলেও খুব বেশি অগ্রগতি নেই।

সূত্র জানায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে বকেয়া পড়েছে ৪ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। তার মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর কাছে ১৬৫ কোটি টাকা বকেয়া এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৪ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে চট্টগ্রামে গ্যাস বিতরণে নিয়োজিত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ৬৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ৬৫৫ কোটি টাকা আর বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে বকেয়া প্রায় ৪৩ কোটি টাকা। জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমস লিমিটেডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে ৪ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা বকেয়া আছে। আর দেশের পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহে নিয়োজিত পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল) বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে পায় ১ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাছে ১ হাজার ২০ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ৭১৬ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডও বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বিপুল পরিমাণ বকেয়া পাবে। সংস্থাটির গ্যাস সরবরাহ বাবদ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়া পাওনার পরিমাণ ১ হাজার ৭৮৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে বকেয়ার পরিমাণ ৬৮৪ কোটি টাকা।

সূত্র আরো জানায়, সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দেশের ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ নেয়। ওই গ্যাসের বকেয়া বাবদ বিতরণ কোম্পানিগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর কাছে ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া পাবে। যার মধ্যে বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র (আইপিপি) কাছে গ্যাসের বিল ২১ হাজার ৭৯ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো গ্যাস নিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিক্রি করে। কিন্তু বিপিডিবি কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুৎ বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে না পারায় তারাও গ্যাসের বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না। যদিও এখন সরকার বিদ্যুতে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর বকেয়া কমিয়ে এনেছে। তার পরও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর কাছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর বিপুল পরিমাণ অর্থ বকেয়া রয়েছে। বিতরণ কোম্পানিগুলোর মধ্যে গ্যাসের বিপুল পরিমাণ বকেয়া নিয়ে তীব্র অস্বস্তি রয়েছে। বিশেষ করে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব আদায়ে এ ঘাটতি পরিচালন ব্যয়ে বড় আকারে প্রভাব ফেলছে। তবে বকেয়া আদায়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদের মাধ্যমে বকেয়া আদায়ে তৎপরতা চালানো হচ্ছে।

এদিকে একাধিক বিতরণ কোম্পানির সংশ্লিষ্টরা জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকার বকেয়া বিল আগের চেয়ে দ্রুত পরিশোধ করছে। কারণ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোও দ্রুত অর্থ পাচ্ছে। তবে তারা বকেয়া পরিশোধের ক্ষেত্রে নানা ইস্যু তুলে ধরে। আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি বারবার সামনে তুলে ধরে। এ বিষয়ে এখন সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা রাখা জরুরি। কারণ এ বিল বকেয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। যদিও বকেয়া আদায়ে তিতাস কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু ভিন্ন। কেননা এটি যেহেতু সরবরাহ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত, ফলে এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক কঠোর অবস্থানে গেলে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা রয়েছে। তবে আগের চেয়ে বিল আদায় কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে বকেয়া আদায়ের হার ছিল ১১০ শতাংশ। 

অন্যদিকে বেসরকারি বিদ্যুৎ উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইপিপিএ) সভাপতি ডেভিড হাসানাত জানান, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের কাছে বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর এখনো তিন মাসের বকেয়া রয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিলো ছয় মাস। গত জানুয়ারি পর্যন্ত সরকার বিল পরিশোধ করেছে। বকেয়া নিয়ে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি না থাকলেও বেশকিছু একক সিদ্ধান্ত নিয়ে আইপিপিগুলোর মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে। যেমন সার্ভিস চার্জ ৯ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আমাদের সমস্যাগুলো বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যুতে গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ে জ্বালানি বিভাগ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিল বকেয়া রাখা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা করা হয়েছে। কারো দুই মাসের অধিক বিল বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। আবাসিকের ক্ষেত্রে সংযোগ বিচ্ছিন্ন অব্যাহত রয়েছে। অবৈধ সংযোগ উচ্ছেদে পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। সরকারি গ্যাস বিল আদায়ে বকেয়া  বিল আদায়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। বকেয়ার বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে।


আরও খবর