Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

জ্বালানি-শিক্ষা-পরিবেশসম্মত ইট তৈরিতে ৯৫১ কোটি টাকা দিচ্ছে ইইউ

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৮৩জন দেখেছেন

Image

বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাংলাদেশ সরকার এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যে মোট ৮২ মিলিয়ন ইউরো অর্থায়ন সম্বলিত ছয়টি অনুদান সহায়তা চুক্তি সই হয়েছে। প্রতি ইউরো সমান ১১৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিমাণ ৯৫১ কোটি টাকা। 

অনুদানের অর্থ দেশব্যাপী মানসম্মত শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি উৎপাদন, পরিবেশসম্মত ইট উৎপাদন, লিঙ্গ বৈষম্য রোধ, সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও জনগণের সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।

‘হিউম্যান ক্যাপিটাল ডেভলপমেস্ট প্রোগ্রাম ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ৩০ মিলিয়ন ইউরো, পার্টনারশিপ ফর গ্রিন এনার্জি ট্রানজেশন প্রকল্পের অনুকূলে ১২ মিলিয়ন ইউরো, অ্যাডভান্সিং ডিসেন্ট ওয়ারক ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের অনুকূলে ১০ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ। 

ইভেক্টিভ গভর্নেন্স অ্যাকসিলারেটিং ই-গভর্ন্যান্স অ্যাকসিলারেটিং ই-গভর্নমেন্ট অ্যাননট ডিজিটাল পাবলিক সার্ভিস ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পের অনুকূলে ১০ মিলিয়ন ইউরো, স্ট্রেনদেনিং প্রিভেনশন অ্যান্ড রেসপন্স টু জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স অ্যাট পাবলিক অ্যান্ড ওয়ার্কশপ ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্পের অনুকূলে ১০ মিলিয়ন ইউরো এবং স্কেলিং আপ গ্রিন কন্সট্রাকশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক কর্মসূচির অনুকূলে ১০ মিলিয়ন ইউরো দেবে ইইউ।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান এবং ইইউয়ের পক্ষে ইইউ মহাপরিচালক (আইএনটিপিএ) কোয়েন ডোয়েনস অনুদান চুক্তিতে সই করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট তেরেসা সিজেরউইনসকা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭২ সাল থেকে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইইউ প্রায় দুই হাজার মিলিয়ন ইউরো অনুদান সহায়তা দিয়েছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ইইউ স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্য এবং সুশাসন খাতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে।


আরও খবর



বিদ্যুৎ ও পানির ভর্তুকি থেকে সরে আসতে বললেন প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৯জন দেখেছেন

Image

বিদ্যুৎ ও পানির ভর্তুকি থেকে সরে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আয় অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করতেও নির্দেশনা দিয়েছেন সরকার প্রধান।

বৃহস্পতিবার (০৯ নভেম্বর) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে এ তথ্য জানান পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৪৪টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৩০ হাজার ১২৩ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৭৬৮ কোটি টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, রাজধানীতে উঁচু ভবন নির্মাণে সতর্ক থাকতে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, উঁচু ভবনের কারণে বিমান চলাচলে যেন এয়ার ফানেল তৈরি না হয়। এছাড়া, মহাসড়কের সংস্কারের জন্য টোল আদায় করে তহবিল গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি রাস্তার পাশে জলাধার রাখতে হবে।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে
ঢাকার শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প। ঢাকাস্থ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প। চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প। ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর-বাঞ্ছারামপুর জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প। রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী এভিনিউ সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প। চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (এন-১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) এর চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেইজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প। গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতল বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ রেজিলিয়েন্স প্রকল্প। ঢাকা স্যানিটেশন উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প। বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প। সাপোর্টিং ইপ্লিমেন্টেশন অব দ্যা মাদার অ্যান্ড চাইল্ড বেনিফিট প্রোগ্রাম প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প। আইসিটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের জন্য নেকটারের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রকল্প। উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিক হেলথ প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট। যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন (কম্পোনেন্ট ৩) প্রকল্প। মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প। যশোর রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প।

সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা ও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষা প্রকল্প। সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্প। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প। মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প। পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।


আরও খবর

আবারও বাড়লো সোনার দাম

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




গার্মেন্টসের নিরাপত্তায় ৪৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় পোশাক কারখানার নিরাপত্তায় ৪৮ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

এ ছাড়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও বিভিন্ন দলের ডাকা অবরোধের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,  পোশাক কারখানার নিরাপত্তা জোরদারে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ৪৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।


আরও খবর



কোরআন-হাদিসে জান্নাতি মানুষের পরিচয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৫জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : মৃত্যুর পর মানুষ নিজের ভালো-মন্দ কাজের প্রতিদান পাবে। এ সময় মুমিনরা চিরস্থায়ীভাবে জান্নাত লাভ করবে এবং কাফিররা চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে। ঈমান ও নেক আমল ভালো কাজ জান্নাত লাভের প্রধান শর্ত। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখবে এবং ভালো কাজ করবে তিনি তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে নদ-নদী প্রবাহিত হয়, যেখানে তারা চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ১১)

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জান্নাতি মানুষের বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো : রাগ সংবরণ ও মানুষকে ক্ষমা করা জান্নাতি মানুষের বৈশিষ্ট্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা রবের ক্ষমার দিকে দৌড়ে যাও এবং জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমান ও জমিনের সমান, যা মুত্তাকিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে, রাগ সংবরণ করে, মানুষকে ক্ষমা করে এবং আল্লাহ অনুগ্রহ কারীদের ভালোবাসেন। যারা অশ্লীল কাজ করলে বা নিজেদের ওপর অন্যায় করলে আল্লাহকে স্মরণ করে, অতঃপর তাদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে..।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৩-১৩৫)

কোমল হৃদয় ও ক্ষমতার অধিকারী : হাদিসে ক্ষমতাবান লোকদের মধ্যে যারা সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ, তাদের জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। ইয়াজ বিন হিমার (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি দীর্ঘ হাদিসে জান্নাতি ও জাহান্নামিদের বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। তাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ জান্নাতি।

এক. যারা ক্ষমতাবান, ন্যায়পরায়ণ, সত্যবাদী এবং ভালো কাজের তাওফিক পেয়েছে। দুই. যারা দয়ালু এবং আত্মীয়-স্বজন ও মুসলিমদের প্রতি কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিন. যারা পবিত্র চরিত্রের অধিকারী, ভিক্ষা করে না এবং পরিবার ও সন্তানাদি সম্পন্ন লোক।  আর পাঁচ ধরনের মানুষ জাহান্নামি। এক. দুর্বল লোক, যার জ্ঞান-বুদ্ধি নেই, যারা তোমাদের অনুসরণ করে এবং তাদের পরিবার ও সম্পদের প্রতি আগ্রহ নেই- অর্থাৎ নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি ব্যবহার করে হারাম থেকে বাঁচতে বৈধ উপায়ে সম্পদ উপার্জন করে না।

দুই. খিয়ানতকারী, ছোট বিষয়েও যার লোভের কথা কারো অজানা নয়। তিন. ওই ব্যক্তি যে সম্পদ ও পরিবারের বিষয়ে তোমার সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা করে। অতঃপর তিনি কৃপণতা, মিথ্যা বলা ও গালমন্দ করার কথা উল্লেখ করেন। (মুসলিম, হাদিস : ২৮৬৫)

বিভিন্ন হাদিসে জান্নাতিদের পরিচয় হিসেবে দুর্বল ও অসহায় মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হারিস ইবনে ওয়াহাব খুজাঈ (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আমি কি তোমাদের জান্নাতি মানুষের পরিচয় বলব? তারা বলল, অবশ্যই বলুন। তিনি বলেন, প্রত্যেক দুর্বল ও বিনয়ী ব্যক্তি, তারা কোনো ব্যাপারে আল্লাহর নামে শপথ করলে তা পূরণ করে। আমি কি তোমাদের জাহান্নামি মানুষের পরিচয় বলব? তারা রূঢ় স্বভাবের, বেশি মোটা ও অহংকারী। তারাই জাহান্নামি। (বুখারি, হাদিস : ৪৯১৮)

নারী-পুরুষের মধ্যে যারা জান্নাতি : একটি হাদিসে জান্নাতি পুরুষ ও নারীদের কথা এসেছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি কি তোমাদের জান্নাতি পুরুষদের সম্পর্কে জানাব না? (তারা হলো) নবী, সত্যবাদী, আল্লাহর পথে শহীদ, জান্নাতের শিশু যারা ছোটবেলায় মারা গেছে, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য শহরের আরেক প্রান্তে অন্য ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এবং তোমাদের স্ত্রীরাও জান্নাতি, যারা বেশি প্রেয়সী, সন্তানদাত্রী, যতবার ভুল করে ততবার স্বামীর কাছে ফিরে আসে। তার স্বামী রাগ করলে সে স্বামীর হাতে হাত রেখে বলে, আপনি সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমাব না। (নাসায়ি, হাদিস : ৯১৩৯)

মৃত্যুর পর ইতিবাচক সাক্ষ্যদান : জান্নাতি হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের ইতিবাচক প্রশংসা গুরুত্বপূর্ণ। আবু জুহাইর আল-সাকাফি (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) নাবাওয়াহ নামক এলাকায় আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। নাবাওয়াহ তায়েফের একটি এলাকার নাম। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শিগগির তোমরা জান্নাতিদের জাহান্নামিদের থেকে পৃথকভাবে চিনতে পারবে। সবাই বলল, হে আল্লাহর রাসুল, কিভাবে চিনব? তিনি বলেন, ভালো প্রশংসা ও মন্দ প্রশংসার মাধ্যমে। কারণ তোমরা পৃথিবীতে একে অন্যের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাক্ষী হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪১৯)

মৃত ব্যক্তির উত্তম প্রশংসা : আনাস (রা.) বলেন, কিছু লোক একটি জানাজার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মৃতলোকের উত্তম প্রশংসা করে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, অবধারিত হয়েছে। অতঃপর আরেকটি জানাজা অতিক্রমকালে তার দুর্নাম করে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, অবধারিত হয়েছে। ওমর (রা.) বললেন, কী অবধারিত হয়েছে? রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা যে ব্যক্তির প্রশংসা করেছ তার জান্নাত অবধারিত। আর যার দুর্নাম করেছ তার জাহান্নাম অবধারিত। তোমরা পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী। (বুখারি, হাদিস : ১৩৬৭)


আরও খবর



সাগরে লঘুচাপ, তিন বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরো ঘণীভূত হতে পারে। ফলে দেশের তিন বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সকালে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি ঘণিভূত হয়ে সুষ্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরো ঘণিভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ৬-১২ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবারের (১৬ নভেম্বর) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকংশ জায়গায় এবং সিলেট, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।

শুক্রবারের (১৭নভেম্বর) পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকংশ জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত  পাঁচ দিনের আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।


আরও খবর



এবার অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করলো ইসরায়েল, নিহত ১৫

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দুই সপ্তাহ আগে হাসপাতালে হামলার পর বিশ্বজুড়ে রোষানলে পড়লেও থামেনি দখলদার ইসরায়েল। এবার অন্য একটি হাসপাতালের সামনে অ্যাম্বুলেন্সে হামলা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। অ্যাম্বুলেন্সে হামলায় ঘটনাস্থলেই ১৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অন্তত ১৬ জন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার আল জাজিরা জানায়, গাজায় আল-শিফা হাসপাতালের গেইটে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালায় ইসরায়েল।   

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় অ্যাম্বুলেন্সে হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি-হামাসের সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সটি ব্যবহার করছিল। তাদের লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়।

 তবে হামাস গাড়িটি ব্যবহার করছে— ইসরায়েলের এই অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

এদিকে ফিলিস্তিনের বৃহত্তম এই স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। শিগগিরই বিদ্যুৎ সংযোগ না পেলে এই হাসপাতাল মৃত্যুপুরীতে রূপ নেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির চিকিৎসকরা।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আল-আহলি আরব হাসপাতালে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। দখলদারদের হামলা থেকে বাঁচতে ও ‘নিরাপদ আশ্রয়’ ভেবে অনেক মানুষ হাসপাতালটিতে অবস্থান নিয়েছিল। ওই হামলায় একসঙ্গে প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছিল গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সূত্র: আল জাজিরা 


আরও খবর