Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম

জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা মিজানুরের জামিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হক এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিনের আবেদন করেন।শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি মিজানুরের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চপর্যায়ের নেতারা একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছেলে ও তার প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে চলছে অবৈধ্যভাবে বালু ও মাটি কাটার উৎসব

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ২৩জন দেখেছেন

Image

মো.হারুন-উর-রশীদ,ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে: দিনাজপুর ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়ন, খয়েরবাড়ী ইউনিয়ন, দৌলতপুর ইউনিয়নসহ উপজেলা প্রতিটি ইউনিয়নে অবৈধ্যভাবে চলছে বালু ও মাটি কাটার উৎসব। এতে চরম বিপদে পড়েছে সংশ্লিষ্ঠ এলাকার কৃষক,আবাদকৃত ফসল,গ্রামীন রাস্তা-ঘাট। ঝুতিতে চলাচল করছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করছে, বলেন অভিযোগ করছেন অনেকে।


সরজমিনে শিবনগর ইউনিয়নের নদী ঘেষা রাজারামপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়। স্থানীয় প্রভাবশালী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী তার নিজের জায়গায় মাটি কাটছেন। সেখানে তিনি তার নিজের জায়গা প্রায় ৮ফিট গভীর করে মাটি ও বালি কেটে বিক্রয় করছেন। সেই বালি ও মাটি বহনকারী ট্রাক্টর দিয়ে পাশের জমির মালিকের চাষকৃত ভুট্টা ক্ষেত ও গাছ লাগানো বাগান ধ্বংস করছেন। সেই সাথে পাশে থাকা বিদ্যালয়ের ওয়াল ও গাছ নষ্ট করেছেন।

বিদ্যালয়টির সীমানা প্রাচির না থাকায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রয়েছে ঝুকিতে। বিয়টি নিয়ে রাজারামপুর সফর উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানসহ গ্রামের ৭ জন কৃষক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী বিপ্লবের নামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দ্বায়ের করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ পেয়ে একবার উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরীকে পাঠিয়েছিলেন ্এর পর আর কোন পদক্ষেন নেন নাই বলে জানান, শিক্ষক ও ভুক্তভোগী ফজলুর রহমান। পরে তিনি আবার তার জায়গায় গাছ রোপন করেছেন।


অপরদিকে আলাদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর হোসেন তার নিজ পুকুরের মাটি কেটে নিচু জমি ভরার করবে বলে ভুমি অফিসের অনুমোতি নিয়ে পুকুর থেকে মাটি না কেটে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রয় করছেন। এমন দৃশ্য দেখা যায় খয়েরবাড়ী,দৌলতপুর ইউনিয়নের নদী ঘেষা এলাকা গুলোতে।  

সংশ্লিষ্ট্য এলাকার মানুষের একটাই দাবি তাদের কৃষি জমি, ফসলের মাঠ ও যাতায়াতের রাস্তা ধ্বংস রোধে প্রশাসন

 যেন তৎপর  হয়। তারা আতংঙ্ক নিয়ে বলেন আর যদি রক্ষক ,ভক্ষকের রুপ ন্যায় তাহলে আমরা যাবো কোথায়।


আরও খবর



মেহজাবীনকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেলেন জয়া

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ জানুয়ারী ২০২৫ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক: দেশের জনপ্রিয় দুই অভিনেত্রী জয়া আহসান ও মেহজাবীন চৌধুরী আবেগঘন এক মহূর্ত উপহার দিলেন দর্শকদের। (২৪ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার ‘প্রিয় মালতী’ সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে ঘটে এমন ঘটনা। যেখানে প্রদর্শনী শেষে মেহজাবীনকে কাছে টেনে বুকে জড়িয়ে নিলেন, কপালে চুমু খান জয়া।


এরপর মেহজাবীনকে প্রশংসায় ভাসিয়ে জয়া বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে ওর অভিনয় দেখছিলাম। আর মুগ্ধ হচ্ছিলাম। এরপর আমার মনে হয়, এত পরিপক্ব একটা কাজ করবে বলেই হয়তো এত দেরি করেছে মেহজাবীন। অর ভবিস্যতের জন্য শুভ কামনা।’



এদিন প্রিমিয়ারে অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ, রুনা খান, নাবিলা, তমা মির্জা, অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার, সোহেল মণ্ডল, নির্মাতা রায়হান রাফি, আহমেদ শাওকী, রাকা নওশীন নাওয়ার, প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘প্রিয় মালতী’ টিম এবং মেহজাবীনকে।


সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মেহজাবীন। এ ছাড়া আরও আছেন আজাদ আবুল কালাম, শাহজাহান সম্রাট, রিজভি রিজু, আনিসুল হক বরুণ, নাদের চৌধুরীসহ অনেকে। এটি পরিচালনা করেছেন শঙ্খ দাশগুপ্ত।


আরও খবর

কখনও ভাবিনি আমি বাঁচব : প্রীতি জিনতা

রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫




রাজধানীর লালবাগ থানাধীন এলাকায় “চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সা চালক মাহবুব হত্যা মামলার” অন্যতম প্রধান আসামী গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ | ২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজধানীর লালবাগ এলাকায় বসবাসকারী মাহবুব আলম (৩২) অটোরিক্সা চালিয়ে তার জীবিকা নির্বাহ করতো। গত ৩১/১২/২০২৪ তারিখ রাত আনুমানিক ২২:০০ ঘটিকায় ভিকটিম মাহবুব থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়।

এরপর গত ০১/০১/২০২৫ তারিখ মাঝরাত আনুমানিক ০১.৩০ ঘটিকায় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পিচ্চি মনির গ্যাং এর সক্রিয় সদস্য আসামী মোঃ জাহাঙ্গির (৩০), পিতা- মৃত আবুল কালাম,সাং-বৌদ্ধ পাড়া,থানা-লালবাগ, ঢাকাসহ তার সঙ্গীয় অপরাপর আসামিরা রাজধানীর লালবাগ থানাধীন ২৪নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত জেএন সাহা রোডস্থ এলাকায় ভিকটিম মাহবুবকে ঘিরে ধরে দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে।

আসামিদের আক্রমনে ভিকটিম মাহবুব হাতের বাহু, মাথার পিছনে, পায়ের গোড়ালিতে গুরুতর রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃতুবরণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম মাহবুবের পরিবার খবর পেয়ে উক্ত স্থানে গিয়ে মাহবুবের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়।

উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম মাহবুবের মা মোছা. আমেনা বেগম বাদী হয়ে রাজধানীর লালবাগ থানায় জাহাঙ্গিরসহ ১৩ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১, তারিখ-০২/০১/২০২৫ খ্রিঃ ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। মামলা রুজুর বিষয়টি জানতে পেরে জাহাঙ্গিরসহ অন্যান্য আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।  


উক্ত হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল হত্যাকান্ডে জড়িত আসামীদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি শুরু করে।


এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ০৭/০১/২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ২১:৫৫ ঘটিকায় র‌্যাব-১০, লালবাগ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোয়ান্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন আশরাফাবাদ  এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে।

উক্ত অভিযানে চাঞ্চল্যকর অটোরিক্সা চালক মাহাবুব হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী মোঃ জাহাঙ্গির আলম (৩০), পিতা- মৃত আবুল কালাম, সাং-বৌদ্ধ পাড়া, থানা-লালবাগ, ঢাকা’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামী উক্ত হত্যাকান্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্তার সত্যতা স্বীকার করেছে।


গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।



আরও খবর



ফরিদপুরে বিপেমস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পের উদ্যোগে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচারের আন্ত:সম্পর্ক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত।

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ জানুয়ারী ২০২৫ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ২১জন দেখেছেন

Image

মধুখালী প্রতিনিধি: আমেরিকান স্টেট ডিপার্টমেন্টের অর্থায়নে, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর কারিগরি সহযোগিতায় ও টিএমএসএস বাস্তবায়িত বিপেমস অগ্রযাত্রা ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রকল্পের আয়োজনে অদ্য ৬ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচারের আন্ত:সম্র্পক বিষয়ক একটি কর্মশালা আয়োজন করা হয়। 

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইয়াছিন কবির ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা।  প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন ’ মানবপাচার ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্ত:সম্র্পক বিষয়ে  এখন পযন্র্Í কোথাও সঠিক তথ্য-উপাত্ত নাই। তাই এই কর্মশালা শেষে আমরা এই বিষয়ে আন্ত:সম্র্পকের জায়গাটি আমরা স্পষ্ট হতে পারলাম। আমরা আমাদের এই জ্ঞান স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে এর নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে আনতে কাজ করবো”।


কর্মশালায় জলবায়ু পরিবর্তন ও মানবপাচার বিষয়ে তধ্য-উপাত্তসহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেন্টেশন উপস্থাপন ও আলোচনা করা হয়। কর্মশালাটিতে অংশগ্রহণ করেন ফরিদপুর জেলা সমাজ সেবার উপ পরিচালক এএসএম মো: আলী আহসান, জেলা জনশক্তি ও কর্মসংস্থান সহকারি পরিচালক ষষ্ঠী পদ রায়, ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর এর সহকারি পরিচালক (শস্য) মো: রইচ উদ্দিন সহ জেলা পর্যায়ের সাতটি সরকারি দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা ও উপজেলা পর্যায়ের মোট ১৯ জন কর্মকর্তাবৃন্দ। 


এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর বিপেমস অগ্রযাত্রা প্রকল্পের প্রোগ্রাম লিড জাকিয়া নাজনিন, মো: আব্দুল গাফফার সিনিয়র ম্যানেজার মনিটরিং, নুশরাত ইসলাম খান কমিউনিকেশন বিশেষজ্ঞ, আহনাফ সাদিক রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর, শ্রিপা গোস্বামী ব্লাস্ট কো- অর্ডিনেটর, টিএমএসএস এর সহকারি পরিচালক সামিহা ইয়াচিন প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. তুহিন ইসলাম সহ টিমের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।


আরও খবর



দোজার গবেষণাকর্ম চলচ্চিত্রের সৈয়দ শামসুল হক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৪ শে ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয় ‘চলচ্চিত্রের বহুমাত্রিক শাখায় সৈয়দ শামসুল হক ’ শীর্ষক সেমিনার। বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক জনাব মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষক মো. রাসেল রানা দোজা। প্রবন্ধের উপর আলোচনা করেন ‘চলচ্চিত্রের বহুমাত্রিক শাখায় সৈয়দ শামসুল হক ’ শীর্ষক গবেষণা কর্মের তত্ত্বাবধায়ক বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আজম , বিশিষ্ট শিল্প সমালোচক ও চলচ্চিত্র শিক্ষক জনাব মইনুদ্দীন খালেদ , ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া এন্ড টেলিভিশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.ইমরান ফিরদাউস এবং বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক জনাব লাবিব নাজমুছ ছাকিব।


আলোচকদের আলোচনায় উঠে আসে সৈয়দ  শামসুল হকের  সাহিত্যের প্রতিটি শাখায়- গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক  প্রবন্ধে  বিচরণ'র পাশাপাশি সমানভাবেই চলেছে  শক্তিশালী গণমাধ্যম চলচ্চিত্রেও তার অভিযাত্রা। চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান- কাহিনী, সংলাপ গীত রচনা, চিত্রনাট্য এবং পরিচালনায় তার সরব উপস্থিতি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের প্রারম্ভ থেকে অর্থাৎ ষাটের দশক গোড়ার দিক থেকে আশির দশক পর্যন্ত তার সৃজনশীল প্রতিটি কাজ সমৃদ্ধ করেছে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে। ১৯৫৯ সালে প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার মহিউদ্দিনের পরিচালনায় মাটির পাহাড় চলচ্চিত্রে তিনি গীত রচনা, কাহিনী, সংলাপ, চিত্রনাট্য ও সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। চলচ্চিত্র যাত্রায় প্রথমেই তিনি যে সফলতার স্বাক্ষর রাখেন তা তাকে পরবর্তী কাজগুলোকে আরো গতিশীল করেছিল। এরপর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি একে একে যুক্ত হন অনেক দর্শক নন্দিত চলচ্চিত্রের কাহিনীকার, গীতিকার, সংলাপ রচয়িতা ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে।কাজ করেন ষাট সত্তর আশি দশকের বিখ্যাত চিত্র পরিচালক মহিউদ্দিন, আব্দুল জব্বার খান,সুভাষ দত্ত, কামাল আহমেদ কিউ এম জামান, কাজী জহির প্রমূখদের সাথে।


কেবল চলচ্চিত্রের কাহিনী,সংলাপ, গীত রচনা  চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় সীমাবদ্ধ ছিলেন না । ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পাঠক নন্দিত জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন চিত্রালিতেও চলচ্চিত্র সাংবাদিকতায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত   চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক পত্রিকা অন্তরঙ্গের সম্পাদনার দায়িত্বে অধিষ্ঠিত ছিলেন। চলচ্চিত্র বিষয়ক ও অন্যান্য লেখার সূত্রে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন মাসিক সিনেমা ও সচিত্র সন্ধানীর সাথে। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি চলচ্চিত্রে এতগুলো শাখায় বিচরণ করা দ্বিতীয় জন খুঁজে পাওয়া সত্যিই বিরল।


বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের পরিচালক জনাব মুহাম্মদ আরিফ সাদেকের  সঞ্চালনায় এ সেমিনার অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও গবেষকগণ। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রকল্প পরিচালক জনাব ইয়াকুব আলী।


আরও খবর

কখনও ভাবিনি আমি বাঁচব : প্রীতি জিনতা

রবিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৫