Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

কোনোভাবেই জামায়াতকে সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না : ডিএমপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৫৬জন দেখেছেন

Image

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে কোনোভাবেই কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার। তিনি বলেন, জামায়াতের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স রয়েছে। দলটি নাশকতার দায়ে অভিযুক্ত একটি রাজনৈতিক দল। তাদের অতীত কর্মকাণ্ড অত্যন্ত জঘন্য। তারা সাধারণ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে। পুলিশকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ-মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে এখনো কোনো শঙ্কা নেই বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। বিপ্লব কুমার বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। সজাগ রয়েছি।

বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমাবেশ নিয়ে বিপ্লব কুমার বলেন, আমরা প্রত্যেককেই চিঠি দিচ্ছি এবং দেব। যে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ যেন জনসাধারণের কথা চিন্তা করে রাস্তায় সমাবেশ না করে মাঠে সমাবেশ করে। এতে সাধারণ মানুষের উপকার হবে।

আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে সমাবেশ করতে চাইছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। গত শুক্রবার সমাবেশের অনুমতির জন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর চিঠি দেয় আওয়ামী লীগ। পরে গত শনিবার চিঠি দেয় বিএনপি। এর পর দিন রাজধানীর শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দেয় জামায়াত।


আরও খবর

মহাসড়ক ফাঁকা, আছে বিজিবির টহল

মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর ২০২৩




শীতে লালশাক কেন খাবেন?

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৮জন দেখেছেন

Image

শীতের হাওয়া বইতে শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবুজ শাক-সবজির আধিক্য দেখা যায়, যা আমাদের মৌসুমী খাদ্যের প্রধান উপাদান হয়ে ওঠে। সরিষা শাক এবং পালং শাক সাধারণত বেশি খাওয়া হয়। মেথি এবং বথুয়া শাকও খাওয়া হয়। এই সবুজ শাকগুলোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে শুধু সবুজ শাক নয়, লাল রঙের শাক লালশাকেও আছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। শীতের সময়ে সবুজ শাকের পাশাপাশি পাতে থাকুক লালশাকও।

লালশাক

লালশাকে ভিটামিন এ এবং সি, ফাইবার, ফোলেট, আয়রন এবং ক্যালসিয়ামসহ অনেক পুষ্টি থাকে। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারিতা নিয়ে আসে। নিয়মিত লালশাক খেলে তো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শীতকালীন ডায়েটে লালশাক রাখার উপকারিতা চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
লালশাকে প্রচুর প্রোটিন এবং ভিটামিন সি রয়েছে। যা শীতের মাসগুলোতে সক্রিয়ভাবে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। এটি মৌসুমী রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর ঢাল হিসেবে কাজ করে। তাই শীতের সময়ে লালশাক খেতে হবে নিয়মিত।

২. হজমক্ষমতা বাড়ায়
যারা হজমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য একটি উপকারী খাবার হতে পারে লালশাক। কারণ লালশাকের উচ্চ ফাইবার উপাদান পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে কাজ করে, এটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাস সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।

৩. চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ভিটামিন এ স্বাস্থ্যকর চোখ বজায় রাখার জন্য অপরিহার্য। লালশাকে প্রচুর ভিটামিন এ রয়েছে। নিয়মিত এই শাক খেলে তা চোখের বিভিন্ন সমস্যা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। তাই চোখ ভালো রাখতে এই শাক পাতে রাখতে হবে।

৪. রক্ত বিশুদ্ধ করে
লালশাক রক্ত পরিশোধনকারী বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এই শাক আপনার শীতকালীন খাদ্যতালিকায় যোগ করলে তা স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং বিশুদ্ধ রক্ত তৈরিতে অবদান রাখে। বুঝতেই পারছেন, লাল রঙের এই শাক আপনার জন্য কতটা প্রয়োজনীয়?

৫. হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করে
লৌহ সমৃদ্ধ লালশাক রক্তস্বল্পতার রোগীদের জন্য উপকারী একটি খাবার। নিয়মিত লালশাক খেলে তা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, এটি রক্তের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে। তাই হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উন্নত করার জন্য নিয়মিত লালশাক খেতে হবে।

৬. ক্ষুধা বৃদ্ধি করে
খাবারে অরুচি হলে তা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে। তাই এমন খাবার খেতে হবে যা ক্ষুধা বাড়াতে কাজ করে। তেমনই একটি খাবার হলো লালশাক। এই শাক আপনার ক্ষুধা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে লালশাক রাখতে হবে খাবারের তালিকায়।


আরও খবর

শুষ্ক ত্বকের যত্নে মধু

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩

পেটের মেদ কমাবে আদা ও তুলসি পাতা

বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩




প্রথমবারের মতো হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি ইসরায়েল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত দেড় মাস ধরে চলা যুদ্ধে এই প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মূলত হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতেই ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠী এই সমঝোতায় আসতে আগ্রহী।

চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস যদি তার হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও ছেড়ে দেবে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটির সরকার। এখন অপেক্ষা কেবল হামাসের জবাবের।

জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারটি ইসরায়েল যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে দাবি করে নিজেদের প্রতিবেদনে কান জানিয়েছে, ‘বল এখন হামাসের কোর্টে। হামাস যদি ইতিবাচক সাড়া দেয়, সেক্ষেত্রে সহজেই একটি সমঝোতা হতে পারে।’

এর আগে একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকেও এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি জানিয়েছিলেন, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

‘দু’পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতার একটি পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা আশা করছি এটি হবে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে,’ হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন কিরবি।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।

যুদ্ধের শুরুর দিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছিল, তাদের জিম্মায় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি রয়েছে। তবে পরে হামাস ঘোষণা করে, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার কারণে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন জিম্মি।


আরও খবর



এক ইনিংসে যত রেকর্ড গড়লেন ম্যাক্সওয়েল

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : রেকর্ডবুক তোলপাড় করা একটি ম্যাচ দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম আগে থেকেই শচীন টেন্ডুলকারের ঘরের মাঠ বলে খ্যাত। সেই ভেন্যুতে দাঁড়িয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানতাড়ার (২৯১) রেকর্ড গড়লেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও প্যাট কামিন্সরা। চলতি বিশ্বকাপেই রানতাড়ায় খুব বেশি সফল হওয়ার রেকর্ড নেই। যদিও এই আসরে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড গড়েছিল পাকিস্তান। সে তুলনায় আগে ব্যাট করা দলগুলোকেই বেশি জিততে দেখা গেছে।

বিশ্বকাপের ৩৯তম ম্যাচে গতকাল (মঙ্গলবার) আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া দুদলই সেমিফাইনাল নিশ্চিতের লড়াইয়ে নেমেছিল। সে দৌড়ে ম্যাচের প্রায় অধিকাংশজুড়ে হাশমতউল্লাহ শহিদীর দল দাপট দেখালেও শেষ হাসিটা হেসেছেন কামিন্সরা। অথচ মাত্র ৯১ রানেই তারা ৭ উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিল।

সেখান থেকে ম্যাক্সওয়েল ও কামিন্স যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সেটি ছিল অবিশ্বাস্য। এমন দিনে রেকর্ডের খাতা এলোমেলো হয়ে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। সেরকমই কিছু রেকর্ড দেখে নেওয়া যাক—

৭ উইকেট হারানোর পর ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড
ক্রিকেট ইতিহাসে দলের চরম বিপর্যয় শুরুর পরও টেল এন্ডারদের সঙ্গে গড়া জুটিতে জয়ের রেকর্ড আগেও অনেক আছে। বিশেষত দলীয় সংগ্রহ ১০০ ছোঁয়ার আগেই ৭ উইকেট হারিয়েও জয়ের ঘটনা আছে ১২ বার। তবে সর্বোচ্চ রানতাড়ার রেকর্ড এদিন গড়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৯১ রানেই তারা ৭ উইকেট হারানোর পর আর কোনো ব্যাটারকে না হারিয়েই তারা ২৯১ রান পেরিয়েছে।

এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে এমন নজির দেখিয়েছে অজি ইতিহাসের সাক্ষী আফগানিস্তান। স্কটিশদের ২১১ রান তাড়ায় তারা মাত্র ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল। আফগানরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে নেয় ১ উইকেটে।

সপ্তম উইকেট বা তার নিচে সর্বোচ্চ রানের জুটি
এতদিন পর্যন্ত ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি ছিল ইংল্যান্ডের জস বাটলার ও আদিল রশিদের যৌথভাবে করা ১৭৭ রানের। সেই রেকর্ড ভেঙে গতকাল অস্টম উইকেটে এসে ম্যাক্সওয়েল-কামিন্স ২০২ রানের জুটি গড়লেন। যা সপ্তম বা তার নিচের লোয়ার অর্ডার জুটিতে সর্বোচ্চ। এই রেকর্ডে তৃতীয় স্থানে আছেন দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটার আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ২০২২ সালে এই দুজনের জুটিতে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশ ১৭৪ রানের জুটি পেয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরেই ভারতের মাটিতে ১৬২ রানের জুটি গড়েছিলেন দুই নিউজিল্যান্ড ব্যাটার মাইকেল ব্রেসওয়েল ও মিচেল স্যান্টনার।

এর আগে অষ্টম উইকেটে ২০০৬ সালে কেপটাউনে ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যান্ড্রু হল ও জাস্টিন কেম্প সর্বোচ্চ ১৩৮ রানের জুটি বেধেছিলেন।

ওডিআই রানতাড়ায় প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি, ছয় নম্বর ও অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ
ওয়ানডেতে রানতাড়ায় এতদিন পর্যন্ত কোনো ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড ছিল না। গতকাল ১২৮ বলে ম্যাক্সওয়েল সেই কীর্তি গড়েছেন। এতদিন পর্যন্ত রানতাড়ায় সবচেয়ে বেশি রান ছিল পাকিস্তানের ফখর জামানের। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৯৩ রান করেছিলেন। ২০১১ সালে শেন ওয়াটসন অপরাজিত ১৮৫ রান করেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৫ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলি সমান ১৮৩ রান করেন।

এছাড়া ফরম্যাটটিতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এদিন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানও করেন ম্যাক্সওয়েল। শেন ওয়াটসনের করা ১৮৫ ছিল এতদিন পর্যন্ত কোনো অজি ব্যাটারের সর্বোচ্চ রান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে ম্যাক্সওয়েলের ২০১ তৃতীয় সর্বোচ্চ। এর ওপরে আছে ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলের ২৩৭* ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের ২১৫।

এছাড়া ওয়ানডেতে ছয় বা এর নিচে ব্যাটে নেমে সর্বোচ্চ রানও করেছেন অজি ব্যাটার। আগের সর্বোচ্চ রান ছিল কপিল দেবের ১৭৫*, ১৯৮৩ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে।

বিশ্বকাপে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি, ওয়ানডেতে দ্বিতীয়
ম্যাক্সওয়েলের গতকালের দ্বিশতক ওয়ানডে বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুততম। এই কীর্তি গড়তে গতকাল আফগানদের বিপক্ষে ১২৮ বল খেলেছেন। তবে ওয়ানডেতে সবচেয়ে দ্রুততম দ্বিশতকের রেকর্ড ভারতীয় ব্যাটার ইশান কিষাণের। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০২২ সালে ১২৬ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন। ফরম্যাট বিবেচনায় তার পরই অবস্থান ম্যাক্সওয়েলের। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপে ক্রিস গেইল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৪ বলে ডাবল ম্যাজিক ফিগার পূর্ণ করেছিলেন।

ছক্কার রেকর্ড
দ্বিশতক পূর্ণ করতে গতকাল এই অজি ব্যাটার ১০টি ছক্কা মেরেছিলেন। বিশ্বকাপে যা অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ। আগের রেকর্ডটি ৯ ছক্কার, এবারের বিশ্বকাপেই পাকিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচেই যা গড়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ।

বিশ্বকাপের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছয় মারার রেকর্ডে ম্যাক্সওয়েলের সামনে আছেন চারজন। ইয়ন মরগান ২০১৯ সালে আফগানদের বিপক্ষে এক ইনিংসে ১৭টি ছয় মেরেছিলেন। ২০১৫ আসরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্রিস গেইল মেরেছিলেন ১৬টি ছয়। একই আসরে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে ১১টি এবং চলতি আসরে কিউইদের বিপক্ষে সমান ১১টি ছয় মারেন পাকিস্তানের ফখর জামান।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই ইসলামে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৬জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : ইসলাম শান্তির ধর্ম। সমগ্র মানব সমাজের শান্তি নিশ্চিত করতে ইসলামের আগমন। সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান এ পবিত্র ধর্মে নেই। ইসলামে অমুসলিমদের ধর্ম পালনে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে। কোরআন শরিফে আল্লাহপাক হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নির্দেশ দিয়েছেন অমুসলিমদের এ কথা বলতে, “তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্য এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্য।” (সুরা কাফিরুন : ৬)। অন্য ধর্মাবলম্বীদের ইসলাম ধর্ম পালনের জন্য জোর-জবরদস্তি করতে ইসলাম ধর্ম নিষিদ্ধ করেছে। এ ব্যাপারে কোরআন শরিফে বলা হয়েছে- “দ্বীনের ব্যাপারে কোনো জোর-জবরদস্তি নেই।” (সুরা বাকারাহ : ২৫৬)। মুসলিম-অমুসলিম সবারই জীবনের নিরাপত্তার ব্যাপারে ইসলামে সমান গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। পবিত্র কোরআন শরিফে বলা হয়েছে, কোনো মানুষ যদি কাউকে হত্যা করে সে যেন পৃথিবীর সব মানুষকে হত্যা করল; আর কেউ যদি কারও প্রাণ রক্ষা করে সে যেন পৃথিবীর সবার প্রাণ রক্ষা করল।” (সুরা মায়িদাহ : ৩২)। রসুল (সা.) বলেছেন, “মনে রেখ, যদি কোনো মুসলমান অন্য কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালায়, তার অধিকার খর্ব করে, তার কোনো মাল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়, তাহলে কেয়ামতের দিন আমি আল্লাহর আদালতে তার বিরুদ্ধে অমুসলিম নাগরিকের পক্ষ অবলম্বন করব।” (আবু দাউদ)।

হাদিসে আছে, একদা রসুল (সা.) এর পাশ দিয়ে একটি লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি তা দেখে দাঁড়িয়ে যান, উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম তখন বললেন, এ তো ইহুদির লাশ। রসুল (সা.) তাদের জিজ্ঞেস করলেন, ‘সে মানুষ ছিল তো?’ (বুখারি)। ইসলাম মুসলিম-অমুসলিম সব আত্মীয় ও প্রতিবেশীর অধিকার রক্ষা করতে বলে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি মানুষকে বাবা-মায়ের সঙ্গে সুন্দর আচরণের আদেশ করেছি। তবে তারা যদি তোমার ওপর বল প্রয়োগ করে আমার সঙ্গে এমন কিছু শরিক করতে, যে সম্পর্কে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তাহলে তাদের কথা মানবে না।’ (সুরা আনকাবুত)। রসুল (সা.) বলেন, ‘প্রতিবেশীর বিষয়ে জিবরাইল আমাকে এত উপদেশ দিচ্ছিলেন, আমি মনে করছিলাম, তিনি হয়তো তাদের ওয়ারিশই বানিয়ে দেবেন।’ (তিরমিজি)। ইসলাম অন্য ধর্মের অনুসারীদের সঙ্গে ধর্ম নিয়ে এ বিষয়ে নবী করিম (সা.) বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন, “সাবধান! ধর্ম সম্বন্ধে বাড়াবাড়ি করিও না। এ বাড়াবাড়ির কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।”

ইসলাম মুসলিম-অমুসলিম সবার প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ করা হয়েছে, “কোনো সম্প্রদায় এর প্রতি বিদ্বেষ যেন তোমাদের এমনভাবে প্ররোচিত না করে যে তোমরা (তাদের প্রতি) ন্যায়বিচার করবে না। তোমরা ন্যায়বিচার করবে।” (সুরা মায়িদাহ : ৮)।

প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের কাছে তাদের উপাস্য অতি পবিত্র। এক ধর্মের অনুসারী অন্য ধর্মের উপাস্যকে গালি দিলে পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এমনকি সাম্প্রদায়িক হানাহানি বা দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হয়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবনতি ঘটে। সমাজে অশান্তির সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে কোরআন শরিফে বলা হয়েছে, “তারা (অমুসলমানরা) আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের ডাকে তাদের তোমরা গালি দিও না। তা না হলে তারা অজ্ঞতাবশত আল্লাহকেও গালি দিয়ে বসতে পারে।” (সুরা আনআম : ১০৮)। ইসলাম অমুসলিমদের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি মেনে চলার শিক্ষা দেয়। এ বিষয়ে কোরআন শরিফে বলা হয়েছে, “সেইসব মুশরিক যাদের সঙ্গে তোমরা (মুসলমানরা) চুক্তি করেছ, তারা চুক্তি রক্ষার ব্যাপারে একটুও কম করেনি, আর না তোমাদের বিরুদ্ধে অন্য কাউকে সাহায্য করেছে, তাদের সঙ্গে তোমরাও মেয়াদ পর্যন্ত চুক্তি মেনে চলবে।” (সুরা তওবা : ৪)। আত্মীয় অমুসলমান হলেও তার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে ইসলামে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হজরত আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) বলেছেন, “রসুলের যুগে আমার মা মুশরিক অবস্থায় আমার কাছে এলেন। তখন আমি রসুলুল্লাহ (সা.) এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, আমার মা এসেছেন, তিনি অমুসলিম। আমি কি তার সঙ্গে আত্মীয়তা রক্ষা করব? মহানবী (সা.) বলেন, হ্যাঁ তার সঙ্গে আত্মীয়তা রক্ষা কর।” (বোখারি)। কোরআন শরিফে এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, “তোমার পিতা-মাতা যদি তোমাকে এ বিষয়ের ওপর পীড়াপীড়ি করে যে, তুমি আমার সঙ্গে শিরক (আল্লাহর শরিক) করবে যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই, তুমি তাদের কথা মানবে না, তবে দুনিয়ার জীবনে তুমি তাদের (অমুসলিম পিতা-মাতার) সঙ্গে অবশ্যই ভালো ব্যবহার করবে।” (সুরা লোকমান : ১৫)। যে কোনো ধর্মের মানুষ প্রতিবেশী হতে পারে। প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করলে, ঝগড়াঝাটি করলে অশান্তিই সৃষ্টি হয়, অমুসলিম প্রতিবেশী হলে তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও নষ্ট হয়। তাই প্রতিবেশী যে ধর্মেরই হোক প্রতিবেশী হিসেবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে কোনো অবহেলা করা উচিত নয়।


আরও খবর



নামাজে বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াতের গুরুত্ব অপরিসীম

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | ১৯জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত অনন্য এক নিয়ামত। কোরআন তেলাওয়াতকারী মূলত আল্লাহ তায়ালার সঙ্গেই কথা বলে থাকেন। নামাজে কোরআন তেলাওয়াত অপরিহার্য বা ফরজ। সুতরাং বিশুদ্ধভাবে কোরআন তেলাওয়াত করাও অত্যাবশ্যক। কেরাত সম্পর্কীয় মাসায়েল অবগত হওয়া প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য দায়িত্ব। ফিকাহ তথা মাসয়ালার কিতাবে নামাজে বিশুদ্ধ কেরাত সম্পর্কিত মাসায়েল নিম্নরূপ বর্ণনা করা হয়েছে। ১. আরবি অক্ষরগুলো বিশুদ্ধভাবে উচ্চারণ করতে হবে। বিভিন্ন অক্ষরের উচ্চারণের পার্থক্য নিরূপণ করে যেটি যেভাবে উচ্চারণ করতে হয় ঠিক সেভাবেই উচ্চারণ করতে হবে। যথার্থ এবং বিশুদ্ধ উচ্চারণের জন্য সব সময় প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ভুল পড়লে গুনাহগার হবে। এমনকি নামাজ নষ্টও হয়ে যেতে পারে।

২. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে সুরা ফাতেহার পর কোরআনের যে কোনো সুরা অথবা বড় এক আয়াত বা ছোট তিনটি আয়াত পড়া ওয়াজিব। তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহা পড়তে হবে। বিতর, সুন্নত ও নফল নামাজের সব রাকাতেই সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলিয়ে পড়তে হবে। ৩. নামাজের রাকাতে সুরা ফাতিহা পড়ার পর অন্য কোনো সুরা বা আয়াত মিলানো ওয়াজিব। এক্ষেত্রে কেউ প্রথমে সুরা বা আয়াত পড়ার পর সুরা ফাতিহা পড়লে ওয়াজিব আদায় হবে না। ৪. ফজর, মাগরিব, এশা, জুমা ও দুই ঈদের নামাজে কেরাত উচ্চৈঃস্বরে পড়তে হবে, ইমাম ভুলে আওয়াজ না করে কিরাত পড়লে সিজদা সাহু করতে হবে। ইচ্ছাকৃত নীরবে নামাজ পড়লে নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে।

৫. জোহর ও আসর নামাজে ইমামকে নীরবে কেরাত পড়তে হয়। একাকী বিতর নামাজ আদায়কারীর জন্য নীরবে কেরাত পড়া ওয়াজিব। ৬. ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজ কোনো কারণবশত একাকী আদায় করলেও উচ্চৈঃস্বরে কেরাত পড়া উত্তম। ৭. জামাতের সঙ্গে ইমাম ফজর, মাগরিব ও এশার নামাজ কাজা আদায় করলেও উচ্চৈঃস্বরে কিরাত পড়া ওয়াজিব। ৮. একই সুরা প্রথম ও দ্বিতীয় রাকাতে না পড়াই উত্তম। ৯. আস্তে করে কেরাত পড়ার নামাজেও কেরাত মুখে উচ্চারণ করে পড়তে হয়। একেবারে মুখ বন্ধ করে শুধু মনে মনে পড়া জায়েজ নয়।

১০. নামাজে কেরাত শেষ হওয়ার আগেই রুকুতে ঝুঁকে গিয়ে সেখানেও কেরাত পড়তে থাকা মাকরুহ। ১১. ফরজ নামাজে ইচ্ছাকৃত কোরআনের ক্রমধারার বিপরীত কেরাত পড়াও মাকরুহ, তবে ভুলে পড়লে তা মাকরুহ হবে না। ১২. ফরজ নামাজে একই সুরার অনেক আয়াত একত্রে পড়ার পর মাঝখানে দুই আয়াতের কম ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয় রাকাতে সামনে থেকে পড়া মাকরুহ। এমনিভাবে দুই সুরা এভাবে পড়ে মাঝখানে তিন আয়াত সংবলিত সুরা ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী সুরা পড়াও মাকরুহ। যেমন প্রথম রাকাতে সুরা মাউন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন পড়ে মাঝখানে সুরা কাউসার ছেড়ে দেয়, তাহলে মাকরুহ হবে। এ হুকুম ফরজ নামাজের জন্য, নফল নামাজের জন্য প্রযোজ্য নয়।

১৩. ফরজ নামাজের এক রাকাতে মাঝখানে এক বা একাধিক আয়াত ছেড়ে দ্বিতীয় রাকাত পড়া মাকরুহ। নফল নামাজের ক্ষেত্রে এ হুকুম প্রযোজ্য নয়। ১৪. কোনো ব্যক্তি নতুন মুসলমান হয়ে সবেমাত্র নামাজ আরম্ভ করেছে, কিন্তু কোরআনের কোনো সুরা বা আয়াত তার মুখস্থ নেই, এমতাবস্থায় অনতিবিলম্বে সুরা বা আয়াত মুখস্থ করতে হবে। মুখস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত নামাজে শুধু সুবহানাল্লাহ অথবা আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি পড়ে নামাজ আদায় করতে হবে। তবে কোরআনের সুরা বা আয়াত মুখস্থ করার ব্যাপারে অলসতা বা অবহেলা করলে গুনাহগার হবে। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি পৃষ্ঠা ১৪৯ থেকে ১৫০)

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদুর রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করবে, তার প্রতিটি অক্ষরে অজুবিহীন অবস্থায় ১০ নেকি, অজু অবস্থায় ২০ নেকি, নামাজে বসে পড়লে ২৫ নেকি এবং দাঁড়িয়ে পড়লে ৫০ নেকি প্রদান করা হবে। নামাজে বিশুদ্ধ কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করা জরুরি। কেননা লাহনে জলি তথা মারাত্মক ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায় এবং লাহনে খফি তথা অসুন্দর পড়ার দ্বারা নামাজ মাকরুহ হয়ে যায়। লাহনেজলি তথা মারাত্মক ভুল যেমন: ১. ভিন্ন মাখরাজের ভুল উচ্চারণ। যদিও শুনতে কাছাকাছি মনে হয়। ২. হরকত তথা জের, জবর ও পেশের পরিবর্তন। যার দ্বারা অর্থের সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে যায়, এমনকি কুফরিও হয়ে যায়। ৩. মাদের হরফকে টেনে না পড়া। লাহনে খফি তথা অসুন্দর পড়া। যেমন: গুন্নাহ, ঈদগাম, ইজহার, ইখফা ও ক্ললকলা ইত্যাদি যথাযথ নিয়মে আদায় না করা। এর দ্বারা অর্থ ঠিক থাকে কিন্তু তিলাওয়াত অসুন্দর হয়। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা কোরআন শরিফ বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত কর। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে নামাজের ভিতরে ও বাহিরে বিশুদ্ধভাবে কোরআন শরিফ তেলাওয়াত করার তৌফিক দান করুন, আমিন। 


আরও খবর