Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

কোরআন-হাদিসে জান্নাতি মানুষের পরিচয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : মৃত্যুর পর মানুষ নিজের ভালো-মন্দ কাজের প্রতিদান পাবে। এ সময় মুমিনরা চিরস্থায়ীভাবে জান্নাত লাভ করবে এবং কাফিররা চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে। ঈমান ও নেক আমল ভালো কাজ জান্নাত লাভের প্রধান শর্ত। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখবে এবং ভালো কাজ করবে তিনি তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে নদ-নদী প্রবাহিত হয়, যেখানে তারা চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ১১)

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জান্নাতি মানুষের বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো : রাগ সংবরণ ও মানুষকে ক্ষমা করা জান্নাতি মানুষের বৈশিষ্ট্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা রবের ক্ষমার দিকে দৌড়ে যাও এবং জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমান ও জমিনের সমান, যা মুত্তাকিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে, রাগ সংবরণ করে, মানুষকে ক্ষমা করে এবং আল্লাহ অনুগ্রহ কারীদের ভালোবাসেন। যারা অশ্লীল কাজ করলে বা নিজেদের ওপর অন্যায় করলে আল্লাহকে স্মরণ করে, অতঃপর তাদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে..।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৩-১৩৫)

কোমল হৃদয় ও ক্ষমতার অধিকারী : হাদিসে ক্ষমতাবান লোকদের মধ্যে যারা সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ, তাদের জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। ইয়াজ বিন হিমার (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি দীর্ঘ হাদিসে জান্নাতি ও জাহান্নামিদের বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। তাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ জান্নাতি।

এক. যারা ক্ষমতাবান, ন্যায়পরায়ণ, সত্যবাদী এবং ভালো কাজের তাওফিক পেয়েছে। দুই. যারা দয়ালু এবং আত্মীয়-স্বজন ও মুসলিমদের প্রতি কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিন. যারা পবিত্র চরিত্রের অধিকারী, ভিক্ষা করে না এবং পরিবার ও সন্তানাদি সম্পন্ন লোক।  আর পাঁচ ধরনের মানুষ জাহান্নামি। এক. দুর্বল লোক, যার জ্ঞান-বুদ্ধি নেই, যারা তোমাদের অনুসরণ করে এবং তাদের পরিবার ও সম্পদের প্রতি আগ্রহ নেই- অর্থাৎ নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি ব্যবহার করে হারাম থেকে বাঁচতে বৈধ উপায়ে সম্পদ উপার্জন করে না।

দুই. খিয়ানতকারী, ছোট বিষয়েও যার লোভের কথা কারো অজানা নয়। তিন. ওই ব্যক্তি যে সম্পদ ও পরিবারের বিষয়ে তোমার সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা করে। অতঃপর তিনি কৃপণতা, মিথ্যা বলা ও গালমন্দ করার কথা উল্লেখ করেন। (মুসলিম, হাদিস : ২৮৬৫)

বিভিন্ন হাদিসে জান্নাতিদের পরিচয় হিসেবে দুর্বল ও অসহায় মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হারিস ইবনে ওয়াহাব খুজাঈ (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আমি কি তোমাদের জান্নাতি মানুষের পরিচয় বলব? তারা বলল, অবশ্যই বলুন। তিনি বলেন, প্রত্যেক দুর্বল ও বিনয়ী ব্যক্তি, তারা কোনো ব্যাপারে আল্লাহর নামে শপথ করলে তা পূরণ করে। আমি কি তোমাদের জাহান্নামি মানুষের পরিচয় বলব? তারা রূঢ় স্বভাবের, বেশি মোটা ও অহংকারী। তারাই জাহান্নামি। (বুখারি, হাদিস : ৪৯১৮)

নারী-পুরুষের মধ্যে যারা জান্নাতি : একটি হাদিসে জান্নাতি পুরুষ ও নারীদের কথা এসেছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি কি তোমাদের জান্নাতি পুরুষদের সম্পর্কে জানাব না? (তারা হলো) নবী, সত্যবাদী, আল্লাহর পথে শহীদ, জান্নাতের শিশু যারা ছোটবেলায় মারা গেছে, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য শহরের আরেক প্রান্তে অন্য ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এবং তোমাদের স্ত্রীরাও জান্নাতি, যারা বেশি প্রেয়সী, সন্তানদাত্রী, যতবার ভুল করে ততবার স্বামীর কাছে ফিরে আসে। তার স্বামী রাগ করলে সে স্বামীর হাতে হাত রেখে বলে, আপনি সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমাব না। (নাসায়ি, হাদিস : ৯১৩৯)

মৃত্যুর পর ইতিবাচক সাক্ষ্যদান : জান্নাতি হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের ইতিবাচক প্রশংসা গুরুত্বপূর্ণ। আবু জুহাইর আল-সাকাফি (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) নাবাওয়াহ নামক এলাকায় আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। নাবাওয়াহ তায়েফের একটি এলাকার নাম। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শিগগির তোমরা জান্নাতিদের জাহান্নামিদের থেকে পৃথকভাবে চিনতে পারবে। সবাই বলল, হে আল্লাহর রাসুল, কিভাবে চিনব? তিনি বলেন, ভালো প্রশংসা ও মন্দ প্রশংসার মাধ্যমে। কারণ তোমরা পৃথিবীতে একে অন্যের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাক্ষী হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪১৯)

মৃত ব্যক্তির উত্তম প্রশংসা : আনাস (রা.) বলেন, কিছু লোক একটি জানাজার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মৃতলোকের উত্তম প্রশংসা করে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, অবধারিত হয়েছে। অতঃপর আরেকটি জানাজা অতিক্রমকালে তার দুর্নাম করে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, অবধারিত হয়েছে। ওমর (রা.) বললেন, কী অবধারিত হয়েছে? রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা যে ব্যক্তির প্রশংসা করেছ তার জান্নাত অবধারিত। আর যার দুর্নাম করেছ তার জাহান্নাম অবধারিত। তোমরা পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী। (বুখারি, হাদিস : ১৩৬৭)


আরও খবর



জোড়া ফ্ল্যাট বিক্রি রণবীর-দীপিকার! নেপথ্যে কী

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩৬জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : কার্তিকের ধনত্রয়োদশীর দিনে পালন করা হয় ধনতেরাস। এবার দিনটি ছিল শুক্রবার (১০ নভেম্বর)। ধনতেরাসে লক্ষ্মী লাভের আশায় অনেকে নতুন গহনা কিংবা সম্পত্তি কেনেন। এই অনন্যা পান্ডে নতুন অ্যাপার্টমেন্ট কিনে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। আর সেই আবহেই রণবীর-দীপিকা নিজেদের জোড়া ফ্ল্যাট বিক্রি করে দিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।

বলিউড সূত্রে খবর, ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের গোরেগাঁওতে রণবীর সিংয়ের নামে দুটি ফ্ল্যাট ছিল। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে সেই ফ্ল্যাট দুটি কিনে ছিলেন অভিনেতা। তবে সেসময়ে যে দামে ওই ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, সেটিই এবার ধনতেরাসে চড়া দামে বিক্রি করে দিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৫ কোটি টাকা লেগেছিল ওই ফ্ল্যাট দুটি কিনতে। তবে এবার সেটা বিক্রি করলেন ১৫.২৫ কোটি টাকায়। এক্ষেত্রে অভিনেতা যে তিন গুণ দামে গোরেগাঁওয়ের ফ্ল্যাট দুটি বিক্রি করেছেন তা বলাই যায়।

মুম্বাইয়ে ওয়েস্টার্ন এক্সপ্রেস হাইওয়ের ধারে ওই ফ্ল্যাট দুটি ওবেরয় মলের অল্প দূরেই ছিল। দুটিই ছিল ১৩২৪ বর্গফুটের। তবে ধনতেরাসের দিন সেই দুটি ফ্ল্যাটই বিক্রি করে দিলেন রণবীর সিং। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই জল্পনা, তাহলে কি অর্থকষ্টে ভুগছেন তারকা দম্পতি? আবার উদ্বিগ্ন অনুরাগীদের প্রশ্ন, নাকি বিচ্ছেদের জল্পনায় সিলমোহর পড়ল। যদিও জনসমক্ষে রোম্যান্টিক কাপল হিসেবেই ধরা দেন রণবীর-দীপিকা।


আরও খবর



কত টাকা পেল চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, ভারতের পকেটে গেল কত?

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ২৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : গত ৫ অক্টোবর ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠেছিল ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপের। দেড় মাসের ক্রিকেটযজ্ঞ শেষে সেই আহমেদাবাদেই গতকাল (রোববার) পর্দা নামল টুর্নামেন্টটির। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্টেডিয়ামে এক লাখ ত্রিশ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে স্বাগতিক ভারতের হৃদয় ভেঙে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

শিরোপার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ধারেকাছেও নেই কেউ। অজি বাহিনীর যেখানে ট্রফি ৬টি, আর কোনো দলের নেই তিনটি শিরোপাও। টানা দুই হারে বিশ্বকাপ শুরু করা অস্ট্রেলিয়া দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা নবম জয়ে ২০১৫ সালের পর সোনালী শিরোপা ফের পুনরুদ্ধার করল। সেই সঙ্গে বড় অঙ্কের অর্থ পুরস্কারও পেয়েছে চ্যাম্পিয়নরা। 

সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরের জন্য মোট ১০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১১০ কোটি টাকা প্রাইজমানি বরাদ্দ রাখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা-আইসিসি। এখান থেকে বিশ্বকাপ জেতার জন্য ৪০ লাখ ডলার (প্রায় ৪৪ কোটি টাকা) পুরস্কার পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপজুড়ে ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়েছে ভারত। রাউন্ড রবিন লিগে টানা নয় ম্যাচে জয়ের পর সেমিফাইনালেও জয়রথ ধরে রাখে স্বাগতিকরা। একমাত্র ব্যর্থ হয় ফাইনালে এসেও। রানার্সআপ ভারতের পকেটে ঢুকেছে ২০ লাখ ডলার (প্রায় ২২ কোটি টাকা)। 

সেমিফাইনালে পরাজিত দু’দল নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সমান অঙ্কের টাকা পাচ্ছে। দুই দলকে দেওয়া হচ্ছে আট লাখ ডলার (প্রায় ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা) করে। এ ছাড়া শেষ চারের আগেই বিদায় নেওয়া বাংলাদেশসহ প্রতিটি দল পাবে এক লাখ ডলার বা প্রায় এক কোটি ১০ লাখ টাকা। 

এ ছাড়া প্রতিটি ম্যাচের জন্যও বরাদ্দ ছিল প্রাইজমানি। প্রতিটিতে জয়ের জন্য ৪০ হাজার ডলার করে পেয়েছে দলগুলো। সে হিসেবে অস্ট্রেলিয়া, ভারতসহ দলগুলোর টাকার অঙ্ক আরও বাড়ছে।


আরও খবর

৩১৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড

বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩




ক্ষমা চাইলেন ছবির নির্মাতারা, এখনো চুপ এ আর রহমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : ‘পিপ্পা’ ছবিতে বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানের সুর বিকৃতির অভিযোগ উঠেছে সুরকার এ আর রহমানের বিরুদ্ধে। এরপরই এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। কড়া সমালোচনার মুখে অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ছবিটির নির্মাতারা। আনন্দবাজার

গত শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে রাজা কৃষ্ণ মেনন পরিচালিত ছবি ‘পিপ্পা’। এই ছবিতে কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গানটিতে সুর বিকৃতি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। ছবির সংগীত পরিচালক এ আর রহমান।

বিগত কয়েক দিনে বাংলার সাংস্কৃতিক জগতের বিশিষ্টরা বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু গত রোববার পর্যন্ত ছবির নির্মাতা বা রহমান কারো পক্ষ থেকেই কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সোমবার বিকালে এই বিতর্ককে মাথায় রেখে বিবৃতি দিলেন ‘পিপ্পা’ ছবির অন্যতম প্রযোজক সিদ্ধার্থ রয় কপূর (রয় কপূর ফিল্মস)।

এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘এই গানকে ঘিরে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সেখানে প্রযোজক, পরিচালক এবং সংগীত পরিচালক হিসেবে আমরা নজরুল পরিবারের থেকে প্রয়োজনীয় স্বত্ব নেওয়ার পরই শিল্পের খাতিরে গানটিকে তৈরি করেছি।’

নির্মাতারা লিখেছেন, ‘নজরুল ইসলাম ও তার সৃষ্টির প্রতি আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে।’ এরই সঙ্গে নজরুলের পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী এবং তার পুত্র কাজী অনির্বাণের থেকে যাবতীয় নিয়ম মেনে যে এই গানের স্বত্ব নেওয়া হয়েছিল, সে কথাও ঐ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

উল্লেখযোগ্য বিষয়, এর আগে নজরুল পরিবারের তরফে আনন্দবাজার অনলাইনকে অনির্বাণ জানান যে, গানের কথা ব্যবহার করা হলেও সুর বদলানো যাবে না, এই মর্মেই তারা নির্মাতাদের স্বত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু বিবৃতিতে রয় কপূর ফিল্মস জানিয়েছে, ‘গানটির ঐতিহাসিক তাত্পর্যকে শ্রদ্ধা জানানোই আমাদের উদ্দেশ্য ছিল। গানের কথা ব্যবহার ও সুরের পরিবর্তন চুক্তি অনুযায়ী করা হয়েছে।’ সবশেষে ঐ বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা মূল গানটিকে ঘিরে শ্রোতাদের আবেগকে সম্মান করি। শিল্প যেহেতু ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভরশীল, সেখানে আমাদের পদক্ষেপ যদি কারো আবেগে আঘাত করে থাকে, তার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’


আরও খবর



দীপিকার প্রেমজীবন নিয়ে কটাক্ষের জবাব দিলেন অক্ষয়ের স্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৩ | ২৮জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : ২০১৮ সালে ইতালিতে গাঁটছড়া বেঁধেছেন বলিউড তারকা দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর সিং। বিয়ের আগে বছর ছয়েক প্রেম তাদের। ২০১২ সালে সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ‘গোলিয়োঁ কি রাসলীলা রাম-লীলা’ ছবিতে কাজ করার সময় একে অপরের কাছাকাছি আসেন দীপিকা ও রণবীর। ওই ছবির সেটেই তাদের প্রেমের সূত্রপাত। 

শোনা যায়, ছবির সেটে নাকি রণবীরের কোলেও বসতে দেখা যেত দীপিকাকে। যদিও তখন জনসমক্ষে নিজেদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি রণবীর বা দীপিকা কেউই। তবে চলতি বছরের ‘কফি উইথ করন’-এর কফি আড্ডায় এসে রণবীর জানান, ২০১৫ সালেই নাকি দীপিকার সামনে বিয়ের প্রশ্ন রেখেছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই নাকি গোপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন দীপিকা ও রণবীর।

তবে দীপিকা জানান, রণবীরের সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার আগেও নাকি একাধিক পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা করেছেন তিনি। দীপিকার এই মন্তব্যেই সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায়। রণবীরের সঙ্গে নাকি আসলে প্রতারণা করেছেন তিনি, রায় দেন নেটাগরিকদের একাংশ। এবার সেই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন অক্ষয় কুমারের স্ত্রী অভিনেত্রী ও লেখিকা টুইঙ্কেল খান্না।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন, “আপনি যদি দোকানে একটা সোফা কিনতে যান, আপনি তো বেশ কয়েকটা সোফায় বসে দেখবেন কোনটা আপনার পক্ষে সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত! কিন্তু সেই সোফায় আপনি যার সঙ্গে বসবেন, তাকে নির্বাচনের ক্ষেত্রে বাছবিচার করার নাকি প্রয়োজন নেই!”

টুইঙ্কেল আরও লেখেন, “দীপিকার সিদ্ধান্ত থেকে অন্তত এই শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, দেখেশুনে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করলে রাজপুত্রের বেশে ব্যাঙকে বিয়ে করার হাত থেকে বেঁচে যাবেন!”

টুইঙ্কেলের ওই পোস্ট থেকেই স্পষ্ট, দীপিকার যুক্তির প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে তার।

কফি আড্ডায় এসে দীপিকা জানান, রণবীরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার গোড়ার দিকে নাকি একে অপরের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হননি তারা। বরং সেই সময় অন্যান্যদের সঙ্গেও মাঝেমধ্যে ডেটে গিয়েছেন তিনি। তবে এ কথা বলার পরেও দীপিকা এ-ও স্বীকার করেন যে, মনে মনে নাকি তিনি রণবীরকেই নিজের সঙ্গী হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। ‘কফি উইথ করন’-এর ওই পর্ব প্রকাশ্যে আসার পরেই দীপিকার চরিত্র নিয়ে শুরু হয় কাটাছেঁড়া। নিন্দার ঝড় বয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায়।


আরও খবর



প্রথমবারের মতো হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি ইসরায়েল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত দেড় মাস ধরে চলা যুদ্ধে এই প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েল ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল কান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মূলত হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতেই ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠী এই সমঝোতায় আসতে আগ্রহী।

চ্যানেলটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস যদি তার হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তি দেয়, তাহলে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদেরও ছেড়ে দেবে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি অধ্যুষিত ভূখণ্ডটির সরকার। এখন অপেক্ষা কেবল হামাসের জবাবের।

জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারটি ইসরায়েল যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে দাবি করে নিজেদের প্রতিবেদনে কান জানিয়েছে, ‘বল এখন হামাসের কোর্টে। হামাস যদি ইতিবাচক সাড়া দেয়, সেক্ষেত্রে সহজেই একটি সমঝোতা হতে পারে।’

এর আগে একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকেও এই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কিরবি জানিয়েছিলেন, গাজায় ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্র তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

‘দু’পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতার একটি পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। আমরা আশা করছি এটি হবে। তবে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়ে গেছে,’ হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন কিরবি।

গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে তারা। সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।

যুদ্ধের শুরুর দিকে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছিল, তাদের জিম্মায় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি রয়েছে। তবে পরে হামাস ঘোষণা করে, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলার কারণে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন জিম্মি।


আরও খবর