Logo
আজঃ রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

কোরআন-হাদিসে জান্নাতি মানুষের পরিচয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ১৯৭জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : মৃত্যুর পর মানুষ নিজের ভালো-মন্দ কাজের প্রতিদান পাবে। এ সময় মুমিনরা চিরস্থায়ীভাবে জান্নাত লাভ করবে এবং কাফিররা চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামে থাকবে। ঈমান ও নেক আমল ভালো কাজ জান্নাত লাভের প্রধান শর্ত। আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখবে এবং ভালো কাজ করবে তিনি তাকে এমন জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশে নদ-নদী প্রবাহিত হয়, যেখানে তারা চিরস্থায়ীভাবে থাকবে।’ (সুরা : তালাক, আয়াত : ১১)

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জান্নাতি মানুষের বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো : রাগ সংবরণ ও মানুষকে ক্ষমা করা জান্নাতি মানুষের বৈশিষ্ট্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা রবের ক্ষমার দিকে দৌড়ে যাও এবং জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমান ও জমিনের সমান, যা মুত্তাকিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে, রাগ সংবরণ করে, মানুষকে ক্ষমা করে এবং আল্লাহ অনুগ্রহ কারীদের ভালোবাসেন। যারা অশ্লীল কাজ করলে বা নিজেদের ওপর অন্যায় করলে আল্লাহকে স্মরণ করে, অতঃপর তাদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে..।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৩৩-১৩৫)

কোমল হৃদয় ও ক্ষমতার অধিকারী : হাদিসে ক্ষমতাবান লোকদের মধ্যে যারা সত্যবাদী ও ন্যায়পরায়ণ, তাদের জান্নাতের সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। ইয়াজ বিন হিমার (রা.) থেকে বর্ণিত, একটি দীর্ঘ হাদিসে জান্নাতি ও জাহান্নামিদের বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে। তাতে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তিন শ্রেণির মানুষ জান্নাতি।

এক. যারা ক্ষমতাবান, ন্যায়পরায়ণ, সত্যবাদী এবং ভালো কাজের তাওফিক পেয়েছে। দুই. যারা দয়ালু এবং আত্মীয়-স্বজন ও মুসলিমদের প্রতি কোমল হৃদয়ের অধিকারী। তিন. যারা পবিত্র চরিত্রের অধিকারী, ভিক্ষা করে না এবং পরিবার ও সন্তানাদি সম্পন্ন লোক।  আর পাঁচ ধরনের মানুষ জাহান্নামি। এক. দুর্বল লোক, যার জ্ঞান-বুদ্ধি নেই, যারা তোমাদের অনুসরণ করে এবং তাদের পরিবার ও সম্পদের প্রতি আগ্রহ নেই- অর্থাৎ নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি ব্যবহার করে হারাম থেকে বাঁচতে বৈধ উপায়ে সম্পদ উপার্জন করে না।

দুই. খিয়ানতকারী, ছোট বিষয়েও যার লোভের কথা কারো অজানা নয়। তিন. ওই ব্যক্তি যে সম্পদ ও পরিবারের বিষয়ে তোমার সঙ্গে সকাল-সন্ধ্যা প্রতারণা করে। অতঃপর তিনি কৃপণতা, মিথ্যা বলা ও গালমন্দ করার কথা উল্লেখ করেন। (মুসলিম, হাদিস : ২৮৬৫)

বিভিন্ন হাদিসে জান্নাতিদের পরিচয় হিসেবে দুর্বল ও অসহায় মানুষের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হারিস ইবনে ওয়াহাব খুজাঈ (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি, আমি কি তোমাদের জান্নাতি মানুষের পরিচয় বলব? তারা বলল, অবশ্যই বলুন। তিনি বলেন, প্রত্যেক দুর্বল ও বিনয়ী ব্যক্তি, তারা কোনো ব্যাপারে আল্লাহর নামে শপথ করলে তা পূরণ করে। আমি কি তোমাদের জাহান্নামি মানুষের পরিচয় বলব? তারা রূঢ় স্বভাবের, বেশি মোটা ও অহংকারী। তারাই জাহান্নামি। (বুখারি, হাদিস : ৪৯১৮)

নারী-পুরুষের মধ্যে যারা জান্নাতি : একটি হাদিসে জান্নাতি পুরুষ ও নারীদের কথা এসেছে। ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমি কি তোমাদের জান্নাতি পুরুষদের সম্পর্কে জানাব না? (তারা হলো) নবী, সত্যবাদী, আল্লাহর পথে শহীদ, জান্নাতের শিশু যারা ছোটবেলায় মারা গেছে, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য শহরের আরেক প্রান্তে অন্য ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এবং তোমাদের স্ত্রীরাও জান্নাতি, যারা বেশি প্রেয়সী, সন্তানদাত্রী, যতবার ভুল করে ততবার স্বামীর কাছে ফিরে আসে। তার স্বামী রাগ করলে সে স্বামীর হাতে হাত রেখে বলে, আপনি সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত আমি ঘুমাব না। (নাসায়ি, হাদিস : ৯১৩৯)

মৃত্যুর পর ইতিবাচক সাক্ষ্যদান : জান্নাতি হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের ইতিবাচক প্রশংসা গুরুত্বপূর্ণ। আবু জুহাইর আল-সাকাফি (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) নাবাওয়াহ নামক এলাকায় আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। নাবাওয়াহ তায়েফের একটি এলাকার নাম। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘শিগগির তোমরা জান্নাতিদের জাহান্নামিদের থেকে পৃথকভাবে চিনতে পারবে। সবাই বলল, হে আল্লাহর রাসুল, কিভাবে চিনব? তিনি বলেন, ভালো প্রশংসা ও মন্দ প্রশংসার মাধ্যমে। কারণ তোমরা পৃথিবীতে একে অন্যের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাক্ষী হবে। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩৪১৯)

মৃত ব্যক্তির উত্তম প্রশংসা : আনাস (রা.) বলেন, কিছু লোক একটি জানাজার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মৃতলোকের উত্তম প্রশংসা করে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, অবধারিত হয়েছে। অতঃপর আরেকটি জানাজা অতিক্রমকালে তার দুর্নাম করে। তখন রাসুল (সা.) বলেন, অবধারিত হয়েছে। ওমর (রা.) বললেন, কী অবধারিত হয়েছে? রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা যে ব্যক্তির প্রশংসা করেছ তার জান্নাত অবধারিত। আর যার দুর্নাম করেছ তার জাহান্নাম অবধারিত। তোমরা পৃথিবীতে আল্লাহর সাক্ষী। (বুখারি, হাদিস : ১৩৬৭)


আরও খবর



ইসরায়েলি সেনাদের পিছু হটতে বাধ্য করল হিজবুল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  লেবাননে প্রবেশ করতে গত তিন-চারদিন ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। শনিবার (৫ অক্টোবর) মধ্যরাতে আদাইসেহ নামের একটি সীমান্তবর্তী গ্রাম দিয়ে আবারও এই চেষ্টা চালিয়েছিল তারা। তবে হিজবুল্লাহর প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
হিজবুল্লাহর বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আদাইসেহ গ্রামে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে হিজবুল্লাহর যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই হয়। ওই সময় ইসরায়েলি সেনারা পিছু হটে। যেসব সেনা লেবাননে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েককজন হতাহত হয়েছেন।

আদাইসেহ গ্রামের লড়াই নিয়ে দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল বিবিসি। তবে এ ব্যাপারে তারা কোনো তথ্য জানাতে রাজি হয়নি। এমনকি অভিযানে গিয়ে কত সেনা হতাহত হয়েছে সে ব্যাপারেও মুখ খোলেনি আইডিএফ।
গত দুই সপ্তাহ ধরে গাজার যুদ্ধ অনেকটাই লেবাননের দিকে চলে গেছে। এই সময়ের মধ্যে হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহসহ অনেক উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। এছাড়া পেজার এবং ওয়াকিটকিতে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হিজবুল্লাহর কয়েক হাজার যোদ্ধাকে আহত করেছে।ধারণা করা হয়েছিল, এসব হামলার জেরে হিজবুল্লাহ সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়তে পারবে না। তবে ইসরায়েলি সেনারা স্থল হামলা চালাতে যখন লেবাননে প্রবেশের চেষ্টা চালানো শুরু করে তখনই হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা তাদের লক্ষ্য করে গুপ্ত হামলা শুরু করে। এতে করে স্থল হামলার প্রথমদিনই ইসরায়েলের চৌকস ব্রিগেডের আট সেনা নিহত হয়।


আরও খবর



সহধর্মিণী হারালেন নাট্যকার মামুনুর রশীদ

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

বরেণ্য নাট্যকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদের স্ত্রী গওহর আরা মামুন ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় সকলের দোয়া চেয়েছে পরিবার।

দীর্ঘদিন ধরে বেশ কিছু শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন গওহর আরা মামুন। অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।  তার মৃত্যুতে মামুনুর রশীদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে মরহুমার নামাজে জানাজা হবে। এরপর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় দাফন করা হবে গওহর আরা মামুনকে।


আরও খবর

পাপারাজ্জিদের খপ্পরে হৃতিক-সাবা

শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪

সরকারের উপদেষ্টা হতে চান ফারুকী

রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪




ডিমের বাজারে অস্থিরতা : নেপথ্যের যারা

প্রকাশিত:রবিবার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: সম্প্রতি অস্থিরতা তৈরি হয়েছে সারা দেশের ডিমের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে একটি ডিমের দাম পৌঁছেছে ১৫ টাকায়। এমন অস্থিরতার নেপথ্যে বহুজাতিক কোম্পানি এবং রাজধানীর তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতিকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি এসোসিয়েশন (বিপিএ)। একইসঙ্গে গত ২০ দিনে অযৌক্তিকভাবে ডিম ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে অসাধু চক্র ২৮০ কোটি টাকা লুটপাট করেছ বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব অভিযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে ডিমের বাজারে অস্থিরতা চলছে। যার প্রেক্ষিতে ডিম-মুরগির দামও নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর কোনো প্রান্তিক খামারিকে ডিম-মুরগির দাম নির্ধারণের ওয়ার্কিং গ্রুপ কমিটিতে রাখেনি। তারা শুধু কর্পোরেট গ্রুপদের পরামর্শে দাম নির্ধারণ করেছে। যার ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবার এর জন্য ফিড ও মুরগির বাচ্চার উৎপাদনকারী কোম্পানি, তাদের অ্যাসোসিয়েশন এবং তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতিসহ আরো অনেকের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের হাত রয়েছে।তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক পর্যায়ে একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ দশমিক ২৯ টাকা। সে অনুযায়ী ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকা যদি ভোক্তা পর্যায়ের দাম থাকে তবে সেটি যৌক্তিক। কিন্তু সেই ডিমের দাম পোঁছেছে ১৫ টাকায়। এমন অবস্থায় ডিম আর মুরগির বাজারে স্বস্তি রাখতে পোলট্রি ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট ভেঙে ডিম-মুরগির উৎপাদন খরচ কমাতে পারলে শিগগিরই বাজার সহনীয় পর্যায়ে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিবৃতিতে ডিমের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের ভূমিকার ব্যাপারে বলা হয়, তারা প্রথমে খামার থেকে ডিম সংগ্রহ করেন। পরে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় রাতে ডিম পাঠানো হয়। এরপর সকালে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতি ফজরের নামাজের পর দাম নির্ধারণ করে সব জায়গায় মোবাইল এসএমএস ও ফেসবুকের মাধ্যমে দাম ছাড়িয়ে দেয়। এরপর সারা দেশেই এই দাম বাস্তবায়ন করা হয়। এখানে প্রতিদিন ১০০ ডিমে ১০-২০ টাকা কমিয়ে ৭ টাকা প্রতি পিসে দাম নামিয়ে আনা হয়। আবার একই নিয়মে ডিমের দাম বাড়িয়ে ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এক্ষেত্রে এই সিন্ডিকেট দাম কমিয়ে ডিম কিনে ৫ থেকে ৭ দিন সংরক্ষণ করে রাখে। এরপর হঠাৎ দাম বাড়িয়ে নিজেরা কমদামে কেনা ডিম বেশি দামে বিক্রি করে দ্বিগুণ-তিনগুণ লাভ করে। এতে করে, সারা দেশের ডিম ব্যবসায়ীরা লাভবান হয় আর উৎপাদক ও ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।



আরও খবর



ময়মনসিংহে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ময়মনসিংহে স্বপন ভ্রদ্র (৫৫) নামে এক প্রবীণ সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও সহকর্মীদের মধ‍্যে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের মাঝিপাড়া এলাকায় এই হত‍্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।নিহত স্বপন ভদ্র জেলার তারাকান্দা উপজেলার কাকনি ইউনিয়নের জগেশ চন্দ্র ভদ্রের ছেলে। তবে তিনি পরিবার নিয়ে সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জের মাঝিপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। স্বপন ভদ্র তারাকান্দা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি। এক সময় তিনি স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন।

খবরের সত‍্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, হত‍্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থল এলাকায় পুলিশ কাজ করছে। তবে কেন বা কী কারণে এই হত‍্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো জানা যায়নি। রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ওসি।



আরও খবর



জবি ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের বাকি ৭ লাখ টাকা, দাবি পরিচালকের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়ায় গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাকি খেয়েছেন ৭ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো. মাসুদ এ দাবি করেছেন।

ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক জানান, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এছাড়াও বাকির হিসাবে রয়েছে ছাত্রলীগের আরও অন্তত ৫ নেতাকর্মীর নাম। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির ‘মাই ম্যান’ খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসাইনের ‘গ্রুপ লিডার’ খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা।

সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরও দুই নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ও ৯ হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই সাত নেতাকর্মীদের নামেই বাকি সর্বমোট ৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এ ছাড়া অনেকে বাকি খেলেও হিসাব নেই ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো. মাসুদের কাছে।

ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো. মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছে তারা। টাকা দেবে দেবে করে আর দেয়নি। এর বাইরে আরও অনেকে আছে যারা টুকটাক খেয়েছে, তার হিসাব নেই। খেয়ে তারা টাকা দিত না, আবার খাবার দিতে দেরি হলেও ক্যান্টিনের ওয়েটারদের মারধরও করেছে সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন।

তিনি আরও বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো আছেই। তার ওপর এত টাকা বাকি। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কেনা লাগে। এত টাকা এখন কীভাবে উঠাব, আর কিভাবে আমি এই লস (লোকসান) পূরণ করব?

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. কেএএম রিফাত হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর