Logo
আজঃ রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪
শিরোনাম

কোরআনের ভাষায় উত্তম দান

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৩ অক্টোবর ২০২৪ | ২০৩জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : সৃষ্টিগতভাবে মানুষ ধনী-গরিব দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত। ধনীদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, ‘তাদের ধন-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতদের হক রয়েছে।’  (সুরা : জারিআত, আয়াত : ১৯)

সুতরাং ব্যক্তি যত সম্পদশালীই হোক না, সম্পদ তার একার নয়; তার সম্পদে অসহায় মানুষেরও অংশ আছে।

সদকা কাকে বলে?
আরবি সদাকাহ শব্দের অর্থ দান-খয়রাত ও জাকাত।

আর পরিভাষায় সদকা বলা হয় ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে সম্পদ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে অসহায় ও দীন-দুঃখীদের জন্য ব্যয় করা হয় তাকে সদকা ও খয়রাত বলে। (সংক্ষিপ্ত মাআরেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ১৪২)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি (আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে) যা কিছু ব্যয় করো তাই সদকা। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে নলাটি তুলে দাও সেটাও। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৩৫৪)

কোরআন-হাদিসে সদকা
কোরআনের বহু স্থানে আল্লাহ তাআলা সদকার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেমন আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! আমি তোমাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করো। সেদিনের পূর্বে, যে দিন থাকবে না ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুবান্ধব এবং কোনো সুপারিশ। (সুরা: বাকারাহ, আয়াত: ২৫৪)

রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো। একটি খেজুর সদকা করে হলেও। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪১৭)

উত্তম সদকা কোনটি
রাসুল (সা.)-কে সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কী সদকা করব? জবাবে আল্লাহ আয়াত নাজিল করলেন, ‘হে নবী! বলে দিন, যা (তোমাদের প্রয়োজনের) অতিরিক্ত থাকে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২১৯)

হাকিম ইবনে হিজাম (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, সর্বোত্তম সদকা হলো, যা নিজের সচ্ছলতা বজায় রেখে করা হয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০৩৪)

তবে দান করার সময় অবশ্যই উত্তম বস্তুগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা আল্লাহ বলেছেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে উৎপন্ন করি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করো। নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয়ের ইচ্ছা কোরো না।

কেননা তোমরা তা কখনোই গ্রহণ করবে না। তবে যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নাও; তাহলে জেনে রেখো–আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রসংশিত।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৬৭)

এ আয়াত থেকে বোঝা যায় সদকা করতে হবে উৎকৃষ্ট ও সেরা বস্তু। নিকৃষ্ট বস্তু সদকা করা যথাবিধি নয়।

উত্তম দানে সাহাবিদের প্রতিযোগিতা
পবিত্র কোরআনে উত্তম বস্তু দান করার নির্দেশ দিলে সাহাবিদের মধ্যে নিজের সর্বোত্তম সম্পদ দানের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, সে সময়ে মদিনার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন আবু তালহা (রা.)। মসজিদ-ই-নববীর কাছে তাঁর একটি বাগান ছিল। নাম ‘বারিহা’। স্বীয় বিষয়-সম্পত্তির মধ্যে এ বাগানটি ছিল তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। রাসুল (সা.) প্রায়ই যেতেন সে বাগানে। বাগানে অবস্থিত কূপ থেকে মিষ্টি পানি পান করতেন। কোরআনে উত্তম বস্তু দানের নির্দেশ দিলে তিনি নবীজি (সা.)-এর দরবারে এসে বললেন, আল্লাহর রাসুল! আমি আমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ বাহিরা আল্লাহর পথে সদকা করে দিলাম। নবীজি তাঁকে বাহ! বাহ! দিলেন। এবং বললেন, তোমার এই বাগান তুমি তোমার স্বজনদের মধ্যে বণ্টন করে দাও। রাসুলের নির্দেশানুযায়ী তিনি সে বাগান আত্মীয়-স্বজন ও তাঁর চাচাতো ভাইদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪৬১)

মাআরেফুল কোরআনে আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লিখিত নির্দেশ আসার পর জায়েদ বিন হারেসা (রা.) দেখলেন বাহনের ঘোড়া তাঁর সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। তিনি তা নিয়েই উপস্থিত হলেন নবীজির দরবারে। নবীজি খুশি মনে তা গ্রহণ করলেন এবং ঘোড়াটি জায়েদ (রা.)-এর ছেলে উসামাকে দিয়ে দিলেন। নিজের সম্পদ নিজের ঘরে ফিরে যেতে দেখে তিনি মনঃক্ষুণ্ন।

নবীজি (সা.) তাঁকে কাছে ডেকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, মনঃক্ষুণ্ন হয়ো না জায়েদ! তোমার সদকা কবুল হয়েছে। (সংক্ষিপ্ত মাআরেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ১৮৬)


আরও খবর



জবি ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের বাকি ৭ লাখ টাকা, দাবি পরিচালকের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়ায় গত আড়াই বছরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাকি খেয়েছেন ৭ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালক মো. মাসুদ এ দাবি করেছেন।

ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক জানান, ক্যাফেটেরিয়ায় জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজির নামে বাকি রয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আকতার হোসাইনের নামে বাকি রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

এছাড়াও বাকির হিসাবে রয়েছে ছাত্রলীগের আরও অন্তত ৫ নেতাকর্মীর নাম। শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির ‘মাই ম্যান’ খ্যাত রবিউল ইসলাম রবির নামে বাকি ৫২ হাজার টাকা। এ ছাড়া সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসাইনের ‘গ্রুপ লিডার’ খ্যাত মিরাজের নামে বাকি রয়েছে ৭৫ হাজার টাকা, সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নামে বাকি ৫৫ হাজার টাকা।

সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের আরও দুই নেতা তামিম ও সাজবুলের নামে বাকি রয়েছে যথাক্রমে ১২ হাজার ও ৯ হাজার টাকা। ছাত্রলীগের এই সাত নেতাকর্মীদের নামেই বাকি সর্বমোট ৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এ ছাড়া অনেকে বাকি খেলেও হিসাব নেই ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো. মাসুদের কাছে।

ক্যাফেটেরিয়া পরিচালক মো. মাসুদ বলেন, দীর্ঘদিন বাকি খেয়েছে তারা। টাকা দেবে দেবে করে আর দেয়নি। এর বাইরে আরও অনেকে আছে যারা টুকটাক খেয়েছে, তার হিসাব নেই। খেয়ে তারা টাকা দিত না, আবার খাবার দিতে দেরি হলেও ক্যান্টিনের ওয়েটারদের মারধরও করেছে সাজবুলসহ বেশ কয়েকজন।

তিনি আরও বলেন, ক্যাফেটেরিয়ার পরিচালনা বাবদ সপ্তাহে খরচ হয় ৩৯ হাজার ৭৫০ টাকা, মাসে ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া মালামাল বাবদ খরচ তো আছেই। তার ওপর এত টাকা বাকি। যেখান থেকে আমি মালামাল কিনি, সেখানেও আমার ধার করে কেনা লাগে। এত টাকা এখন কীভাবে উঠাব, আর কিভাবে আমি এই লস (লোকসান) পূরণ করব?

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদককে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. কেএএম রিফাত হাসান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি সত্য হলে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা রেগুলার স্টুডেন্ট হলে তাদের থেকে টাকা আদায় করার ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রশাসনিকভাবে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ অক্টোবর ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিনিধি : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এটা ভালো কথা। তার মানে হলো, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার মানে অন্যরা কাজ করছে না।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আর্থিক সহায়তা অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, সেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, সেসব এলাকাতেই সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া দরকার। কিন্তু যেসব এলাকা শান্তিপূর্ণ আছে, যেখানে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করছেন; সেখানে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নতুন সমস্যা তৈরি করা সমীচীন হবে না, বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব, তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। কখনই এমন কোনো ব্যবস্থা নেবেন না যা সামগ্রিকভাবে তাদের জন্য বুমেরাং হবে, দেশের মানুষের জন্য বুমেরাং হবে।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা আশাবাদী অন্তর্বর্তী সরকার সব জঞ্জাল দূর করে দেশে এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করবে, যেখানে সুষ্ঠু উপায়ে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের পার্লামেন্ট তৈরি হবে। এই অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই, আমরা যেন সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র দেখতে পাই। গণতান্ত্রিক মানে নির্বাচিত সরকার দেখতে পাই, পার্লামেন্ট দেখতে পাই। আমি জানি আমার কথাগুলো অনেকের মনঃপূত নাও হতে পারে। কিন্তু সত্য উচ্চারণ করা আমার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব থেকেই আমি এই কথাগুলো উচ্চারণ করছি।’ রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক কাজ করতে দেওয়া, এটাই সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে তিনি মত দেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে সবার সমর্থনে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন অল্প সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকারের অপরাধগুলোর বিচার করতে। এই অপরাধের  মূল হোতা শেখ হাসিনা। তাঁর নির্দেশেই হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কয়েক দিনে তো গেছেই, তারও আগে ২০১২ সাল থেকে শুরু হয়েছিল এই অত্যাচার। বিএনপির সাত শর বেশি মানুষকে গুম করে আয়নাঘরে নিয়ে গেছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ, কৃষক, যাঁরা কোনো দিন আদালতের প্রাঙ্গণ পর্যন্ত দেখেননি; তাঁদের নিয়মিত আদালতে যেতে হয়েছে। গত ১০-১২ বছরে আদালতে যেতে যেতে তাঁরা নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ অক্টোবর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ২১জন দেখেছেন

Image

ইসলামের মৌলিক স্তম্ভগুলোর মধ্যে নামাজ অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যে পাঁচটি ভিত্তির ওপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে এর মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ ছাড়া ইসলামের মৌলিকত্ব অসম্ভব। ঈমানের পর ইসলামে নামাজের চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোনো ইবাদত নেই। কোরআন মাজিদে ৮৩ বার নামাজের প্রসঙ্গ বর্ণিত হয়েছে।
নামাজেই ঈমানের পরিচয় : পবিত্র কোরআনে মুমিন-মুত্তাকির পরিচয় দিতে গিয়ে ঈমানের পরই নামাজের কথা বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘(মুত্তাকি তারা) যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সালাত কায়েম করে এবং আমি তাদের যা কিছু দিয়েছি তা থেকে (আল্লাহর সন্তোষজনক কাজে) ব্যয় করে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ৩) নামাজই ঈমানের পরিচয় বহন করে।  যে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করে সেই প্রকৃত মুমিন। যে নামাজ আদায় করে না সে পূর্ণ মুমিন নয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনরা সফলকাম হয়েছে। যারা নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ১-২) নামাজ সবার জন্য সব সময় : ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ ও রোজা ধনী-গরিব সবার জন্যই ফরজ। তবে হজ ও জাকাতের বিধান শুধু ধনী ব্যক্তিদের জন্য প্রযোজ্য। শারীরিক অসুস্থতাসহ কিছুকিছু ক্ষেত্রে ফরজ রোজা ভঙ্গ করার হুকুম রয়েছে এবং পরে তা আদায় করে নেওয়া যায়। রোজা ভঙ্গের পর কাফ্ফারা আদায় করার বিধানও রয়েছে। তবে নামাজের ক্ষেত্রে কাজা করার হুকুম শুধু বিশেষ ক্ষেত্রেই দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে না পারে; সে যেন বসে নামাজ আদায় করে। যদি কারো বসে নামাজ আদায় করতে কষ্ট হয়; সে যেন শুয়ে নামাজ আদায় করে। দেহে জ্ঞান থাকা পর্যন্ত কোনো অবস্থায় কোনো ব্যক্তির জন্য নামাজ বাদ দেওয়ার বিধান নেই। আল্লাহ বলেন, ‘যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহর স্মরণ করে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯১) নামাজের বিধান ঊর্ধ্বলোকে : মহান আল্লাহ নবী (সা.)-কে সাত আসমান পার করে ঊর্ধ্বলোকে তাঁর কাছে নিয়ে গিয়ে নামাজের বিধান দিয়েছেন। অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে এমনটি হয়নি। সুতরাং নামাজ যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মিরাজের রাতের প্রসঙ্গে হাদিসে এসেছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, অতঃপর আল্লাহ আমার উম্মাতের ওপর ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দেন। অতঃপর তা নিয়ে আমি ফিরে আসি। অবশেষে যখন মুসা (আ.)-কে অতিক্রম করি; তখন তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা আপনার উম্মতের ওপর কী ফরজ করেছেন? আমি বললাম, ৫০ ওয়াক্ত নামাজ। তিনি বলেন, আপনি আপনার পালনকর্তার কাছে ফিরে যান; কেননা আপনার উম্মত তা পালন করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। আল্লাহ তাআলা কিছু অংশ কমিয়ে দিলেন। আমি মুসা (আ.)-কে পুনরায় অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন, আর আমি বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনি পুনরায় আপনার রবের কাছে ফিরে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে পারবে না। আমি ফিরে গেলাম। তখন আরো কিছু অংশ কমিয়ে দেওয়া হলো। আবারও মুসা (আ.)-কে অতিক্রম করাকালে তিনি আবার জানতে চাইলেন। বললাম, কিছু অংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনি পুনরায় আপনার প্রতিপালকের কাছে যান। কারণ আপনার উম্মত এটিও আদায় করতে সক্ষম হবে না। তখন আমি পুনরায় গেলাম, তখন আল্লাহ বলেন, এই পাঁচই (নেকির দিক দিয়ে) ৫০ (বলে গণ্য হবে)। আমার কথার কোনো রদবদল হয় না। (মুসলিম, হাদিস : ১৬৩) নামাজ পরিশুদ্ধি অর্জনের মাধ্যম : নিজেকে পরিশুদ্ধ করার একমাত্র ইবাদত নামাজ। নামাজের মাধ্যমেই মানুষ সব পাপ থেকে মুক্ত থেকে পবিত্র জীবন যাপন করতে পারে। নামাজ আদায় করতে থাকলে একসময় এই নামাজই মানুষকে অশ্লীল ও অন্যায় কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখবে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ (মানুষকে) অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৪৫) নামাজ পাপ থেকে মুক্তির উপায় : নামাজ মানুষকে পাপ মুক্ত করে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন করে। হাদিসে এসেছে-আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আচ্ছা তোমরা বলো তো-যদি কারোর বাড়ির দরজার সামনে একটি নদী থাকে, যাতে সে প্রতিদিন পাঁচবার করে গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থেকে যাবে?’ সাহাবিরা বলেন, কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকবে না। তিনি বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদাহরণও তেমনই। এর দ্বারা আল্লাহ পাপরাশি নিশ্চিহ্ন করে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ৫২৮) নামাজ সব সমস্যার সমাধান : আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার জন্য আল্লাহর নির্দেশিত পদ্ধতি হলো-নামাজের মাধ্যমে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করা। যেকোনো বিপদণ্ডআপদে ও সমস্যায় পড়লে আল্লাহর সাহায্য ও অনুগ্রহের প্রত্যাশায় নামাজে মগ্ন হওয়া চাই। পাশাপাশি পারিপার্শ্বিকভাবেও চেষ্টা করতে হবে। এতে আল্লাহর সাহায্য ও সহযোগিতা সহজে পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৫৩) হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) কোনো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হলে নামাজ আদায় করতেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৩১৯) গুরুত্বের সঙ্গে নামাজ আদায় : কোরআন মাজিদে যেভাবে নামাজিদের প্রশংসা করা হয়েছে, তেমনি নামাজে অবহেলাকারীদের প্রতি ধমকি ও হুঁশিয়ারিমূলক বক্তব্যও এসেছে। আল্লাহ বলেন, ‘আর দুর্ভোগ ওই নামাজিদের জন্য, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে উদাসীন।’ (সুরা : মাউন, আয়াত : ৪-৫)  এজন্য খুব গুরুত্বসহ সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে, জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায় করতে হবে। নামাজে মনোযোগ ফেরাতে ইহসানের বিকল্প নেই। ইহসানের ব্যাখ্যায় হাদিসে বলা হয়েছে-উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) থেকে বর্ণিত, জিবরাইল (আ.) নবীজি (সা.)-কে বলেন, ‘আমাকে ইহসান সম্পর্কে বলুন।’ তিনি (সা.) বলেন, ইহসান হলো-‘তুমি এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে যেন তুমি তাঁকে দেখছো। আর তুমি যদি তাকে না-ও দেখো, তিনি তোমাকে অবশ্যই দেখছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৫০)


আরও খবর

নামাজ না পড়ার ভয়াবহ শাস্তি

শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪

কোরআনের বর্ণনায় মেঘ-বৃষ্টির রহস্য

বৃহস্পতিবার ০৩ অক্টোবর ২০২৪




বুয়েটে ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের ক্যাম্পাসে পুনর্বাসনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট শুরু করেছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, সোমবার রাতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থী হলে উঠলে তাদের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ফুঁসে ওঠে। তীব্র ক্ষোভ থেকে গতকাল মধ্যরাতেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন বুয়েটিয়ানরা।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, খুনি সংগঠন ছাত্রলীগকে বুয়েটে পুনর্বাসনের জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল অভিযুক্তরা। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে শিক্ষাজীবন ব্যাহত করার অভিযোগও রয়েছে এসব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, গত মার্চে সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের গভীর রাতে বুয়েটে অনুপ্রবেশের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছিল। সে সময় প্রায় দেড়মাস বুয়েটে অচলাবস্থা ছিল।

খুনীদের পুনর্বাসন ও ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা সৃষ্টিতে যারা কাজ করেছিল তাদের শাস্তির আওতায় না এনে ক্যাম্পাসে পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বুয়েট শিক্ষার্থীরা এই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।


আরও খবর



নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪ | ৭০জন দেখেছেন

Image
অনলাইন ডেস্ক: স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কখনও ভালো, কখনও টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে। গত এক দশকে বিভিন্ন ইস্যুতে সেই সম্পর্ক একেবারে তলানীতে গিয়ে ঠেকেছে। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় চরম ব্যর্থতা দেশটিকে বাংলাদেশ থেকে একটু একটু করে দূরে নিয়ে গেছে।

সেই দূরত্ব ঘোচাতে এবং সম্পর্কে পুনরায় গতি ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিশেষ করে এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। যার বাস্তব রূপ দেখা মিলেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে, দেশ দুটির সরকারপ্রধানের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের মধ্য দিয়ে। বিষয়টি অত্যন্ত ‘বিরল’ বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

কেন বিরল— জানতে চাইলে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো দেশের শীর্ষনেতার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের তেমন নজির নেই। যেটি হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এদিন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কাছে পেয়ে বুকে টেনে নেন। হাতে হাত রেখে বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কারের যে লক্ষ্য নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ঠিক করেছেন, তাকে বাস্তবে রূপ দিতে সবধরনের সহযোগিতা করবে হোয়াইট হাউস।’

আরও খবর