Logo
আজঃ শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3
শিরোনাম

কোরআনের ভাষায় উত্তম দান

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৫জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : সৃষ্টিগতভাবে মানুষ ধনী-গরিব দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত। ধনীদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেছেন, ‘তাদের ধন-সম্পদে প্রার্থী ও বঞ্চিতদের হক রয়েছে।’  (সুরা : জারিআত, আয়াত : ১৯)

সুতরাং ব্যক্তি যত সম্পদশালীই হোক না, সম্পদ তার একার নয়; তার সম্পদে অসহায় মানুষেরও অংশ আছে।

সদকা কাকে বলে?
আরবি সদাকাহ শব্দের অর্থ দান-খয়রাত ও জাকাত।

আর পরিভাষায় সদকা বলা হয় ‘প্রয়োজনের অতিরিক্ত যে সম্পদ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে অসহায় ও দীন-দুঃখীদের জন্য ব্যয় করা হয় তাকে সদকা ও খয়রাত বলে। (সংক্ষিপ্ত মাআরেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ১৪২)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তুমি (আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে) যা কিছু ব্যয় করো তাই সদকা। এমনকি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে যে নলাটি তুলে দাও সেটাও। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৩৫৪)

কোরআন-হাদিসে সদকা
কোরআনের বহু স্থানে আল্লাহ তাআলা সদকার নির্দেশ দিয়েছেন।

যেমন আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! আমি তোমাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করো। সেদিনের পূর্বে, যে দিন থাকবে না ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুবান্ধব এবং কোনো সুপারিশ। (সুরা: বাকারাহ, আয়াত: ২৫৪)

রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা জাহান্নাম থেকে বাঁচো। একটি খেজুর সদকা করে হলেও। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪১৭)

উত্তম সদকা কোনটি
রাসুল (সা.)-কে সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কী সদকা করব? জবাবে আল্লাহ আয়াত নাজিল করলেন, ‘হে নবী! বলে দিন, যা (তোমাদের প্রয়োজনের) অতিরিক্ত থাকে।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২১৯)

হাকিম ইবনে হিজাম (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেছেন, সর্বোত্তম সদকা হলো, যা নিজের সচ্ছলতা বজায় রেখে করা হয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১০৩৪)

তবে দান করার সময় অবশ্যই উত্তম বস্তুগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। কেননা আল্লাহ বলেছেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা স্বীয় উপার্জন থেকে এবং আমি তোমাদের জন্য ভূমি থেকে উৎপন্ন করি, তা থেকে উৎকৃষ্ট বস্তু ব্যয় করো। নিকৃষ্ট বস্তু ব্যয়ের ইচ্ছা কোরো না।

কেননা তোমরা তা কখনোই গ্রহণ করবে না। তবে যদি তোমরা চোখ বন্ধ করে নাও; তাহলে জেনে রেখো–আল্লাহ অভাবমুক্ত, প্রসংশিত।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৬৭)

এ আয়াত থেকে বোঝা যায় সদকা করতে হবে উৎকৃষ্ট ও সেরা বস্তু। নিকৃষ্ট বস্তু সদকা করা যথাবিধি নয়।

উত্তম দানে সাহাবিদের প্রতিযোগিতা
পবিত্র কোরআনে উত্তম বস্তু দান করার নির্দেশ দিলে সাহাবিদের মধ্যে নিজের সর্বোত্তম সম্পদ দানের প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। আনাস বিন মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, সে সময়ে মদিনার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ছিলেন আবু তালহা (রা.)। মসজিদ-ই-নববীর কাছে তাঁর একটি বাগান ছিল। নাম ‘বারিহা’। স্বীয় বিষয়-সম্পত্তির মধ্যে এ বাগানটি ছিল তাঁর সবচেয়ে প্রিয়। রাসুল (সা.) প্রায়ই যেতেন সে বাগানে। বাগানে অবস্থিত কূপ থেকে মিষ্টি পানি পান করতেন। কোরআনে উত্তম বস্তু দানের নির্দেশ দিলে তিনি নবীজি (সা.)-এর দরবারে এসে বললেন, আল্লাহর রাসুল! আমি আমার সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ বাহিরা আল্লাহর পথে সদকা করে দিলাম। নবীজি তাঁকে বাহ! বাহ! দিলেন। এবং বললেন, তোমার এই বাগান তুমি তোমার স্বজনদের মধ্যে বণ্টন করে দাও। রাসুলের নির্দেশানুযায়ী তিনি সে বাগান আত্মীয়-স্বজন ও তাঁর চাচাতো ভাইদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৪৬১)

মাআরেফুল কোরআনে আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লিখিত নির্দেশ আসার পর জায়েদ বিন হারেসা (রা.) দেখলেন বাহনের ঘোড়া তাঁর সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। তিনি তা নিয়েই উপস্থিত হলেন নবীজির দরবারে। নবীজি খুশি মনে তা গ্রহণ করলেন এবং ঘোড়াটি জায়েদ (রা.)-এর ছেলে উসামাকে দিয়ে দিলেন। নিজের সম্পদ নিজের ঘরে ফিরে যেতে দেখে তিনি মনঃক্ষুণ্ন।

নবীজি (সা.) তাঁকে কাছে ডেকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, মনঃক্ষুণ্ন হয়ো না জায়েদ! তোমার সদকা কবুল হয়েছে। (সংক্ষিপ্ত মাআরেফুল কোরআন, পৃষ্ঠা ১৮৬)


আরও খবর



সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষক তবুও দাম নিয়ে শঙ্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪৩জন দেখেছেন

Image

নড়াইলের মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে আমন ধান। সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। ফলন মোটামুটি ভালো হলেও উৎপাদন ব্যয় উঠবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় আছেন তারা। এদিকে ফলন ভালো হয়েছে দাবি করে কৃষি বিভাগ বলছে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা গেলে এবং কৃষক ন্যায্য মূল্য পেলে আগামীতে আমান চাষ আরও বাড়বে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২ হাজার ২৬২ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪২৩ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ জমির ধান কর্তন হয়েছে। 

সরেজমিন মাঠে গিয়ে দেখা যায়, দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে আমন ধানের খেত সবুজ থেকে সোনালী বর্ণ ধারণ করেছে। কৃষকরাও ফসল ঘরে তুলতে দিন-রাত এক করে কাজ করছে। কেউ ধান কাটছে, কেউ আঁটি বাঁধছে। কেউ কেউ সেই ধান মাথায় নিয়ে খেত থেকে বাড়ি যাচ্ছে। আবার কেউ করছে মাড়াইয়ের কাজ। সকাল থেকে দিনভর এভাবেই ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। তবে কৃষকের মুখে নেই হাসি। ফলন মোটামুটি ভালো হলেও সার, কীটনাশক, ধান কাটা শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়েছে। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। ফলে ধানের দাম না বাড়লে লাভ তো দূরে থাক এই দামে উৎপাদন খরচ উঠবে কি না তা নিয়ে এখন শঙ্কায় কৃষক।  

সদর উপজেলার উজিরপুর এলাকার আমন চাষি বলেন, ধানের ফলন একেবারে খারাপ না। ফলন ভালোই। কিন্তু সার, ওষুধ দিয়ে যে খরচ পড়ে তাতে তাদের মোটেই লাভ থাকে না। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। দাম বাড়ানো উচিত। দাম না বাড়ালি কৃষক বাঁচবে না। 

অজিত বিশ্বাস জানান, তারা যে দাম পাচ্ছে সে দামের তুলনায় যে খরচ হয় সে খরচের পয়সা তাদের বাঁচে না। এ বছর পোকার (কারেন্ট পোকা) কারণে বিঘা প্রতি ধানের ফলনও কম হয়ছে। তারপর সার-মাটিতে যে খরচ তা চালান একটুও মেলে না। চাষি মানুষ, চাষ করতে হয়, তাই করে যাচ্ছেন। 

কার্তিক দাসসহ জেলার আরো কয়েকজন কৃষক জানান, সব কিছুর যে দাম তাতে ধানের দাম ১৫শ টাকার নিচে হলে কৃষকের লস। যেভাবে খরচ হয়, তাতে কৃষকের বেঁচে থাকা সম্ভব না। তারপরও নিজেদের জমি, চাষ না করে কি করবেন। না খেয়ে তো আর মরা যায় না। তাই বাধ্য হয়ে  লস হলেও চাষ করা লাগে। 

এদিকে আমনের ফলন ভালো হয়েছে দাবি করে নড়াইল সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রোকনুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা আগ্রহের সাথে রোপা আমন চাষ করেছে। তুলনামূলক রোগবালাই এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। তবে কৃষকদের একটি আশঙ্কার জায়গা হচ্ছে ধানের দাম। প্রতিটা স্তরে যে উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং কৃষক যদি যথাযথ মূল্য পায় তাহলে নড়াইলসহ সারাদেশে রোপা আমনের আবাদ বাড়বে। একইসঙ্গে উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে কৃষক আরও আগ্রহী হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই কর্মকর্তা। 


আরও খবর



নয়াপল্টন ফাঁকা, মোড়ে মোড়ে পুলিশ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ | ৩৩জন দেখেছেন

Image

রাজধানীসহ সারাদেশে বিএনপির ডাকা ফের ৪৮ ঘণ্টার টানা অবরোধ কর্মসূচি চলছে। জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোও কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির এই অবরোধ ঘিরে রাজধানীতে ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য লক্ষ্য করা গেছে।

রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। এখনও কেন্দ্র তালাবদ্ধ। সেখানে দলবেঁধে পুলিশ অবস্থান করছে। এছাড়া ঢাকার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে টহল দিতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।

নয়াপল্টনে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় দুই ইউনিটে ভাগ হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন পুলিশ সদস্যরা। সেখানে ব্যারিকেডও রাখা হয়েছে।

সর্বাত্মক অবরোধে ঢাকা ও আশপাশের জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে আরও ১০ প্লাটুন।

এর আগে জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সরকার পতনের’ এক দফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। এ দিন রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘাতে প্রাণ যায় যুবদলের মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নেতা শামীম মোল্লার। সংঘর্ষের মধ্যে পণ্ড হওয়া সমাবেশ থেকেই পরদিন সারাদেশে হরতালের ডাক দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৯ অক্টোবর সেই হরতালের সকালে গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেই কর্মসূচি শেষ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতে বেশ কয়েকজনের প্রাণ গেছে, ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে কয়েক ডজন যানবাহন ও স্থাপনা।


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩




ঝালকাঠিতে শিশু স্কুল ছাত্র হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৩১জন দেখেছেন

Image

ঝালকাঠি প্রতিনিধি : ঝালকাঠির রাজাপুরে শাহরিয়া ইসলাম তাওহীদ নামে চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু স্কুল ছাত্রকে হত্যার বিচার ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ-মানববন্ধন করেছে তার স্বজন, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।

রবিবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজাপুর-ভান্ডারিয়া মহাসড়কের উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর বলাই বাড়ি নামক এলাকায় ঘন্টা ব্যাপি এ বিক্ষোভ-মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে স্বজন, এলাকাবাসী ও ওই এলাকার শিক্ষার্থী বিভিন্ন শ্রেনী পেশার প্রায় এক হাজার মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নিহত শাহারিয়ার মা তানিয়া বেগম, বাবা মিলন হাওলাদার, মামা তমাল হোসেব বাবু, মিলনসহ স্থানীয়রা।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১৪ নভেম্বর স্কুল ছুটির পরে বাসায় ফেরেনি শাহারিয়ার। বিভিন্ন যায়গায় খোঁজাখোঁজির পরে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বাড়ীর পাশে তাফালবাড়ী খাল থেকে শাহারিয়ার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

শাহারিয়ারকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে প্রথমে নির্মানাধীন একটি ভবনে তাকে লুকিয়ে রাখে এবং পরে গুমের উদ্দেশ্যে মরদেহ খালের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। ওই ভবনের একটি কক্ষে রক্তের দাগ ও রক্তমাথা কোদাল ও কনহি পাওয়া যায়। 

এ ঘটনায় ৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করে করেন মানববন্ধনে অংশগ্রহন কারিরা।


আরও খবর



কোরআনে সুন্নাহ অনুসরণের নির্দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৫জন দেখেছেন

Image

ইসলামিক ডেস্ক : মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি রাসুলের আনুগত্য করে, সে আল্লাহর আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাদের ওপর আমি তোমাকে রক্ষক হিসেবে প্রেরণ করিনি।’  (সুরা : নিসা, আয়াত : ৮০)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর হাদিস ও সুন্নত কোরআনে কারিমের পর শরিয়তের দ্বিতীয় উৎস ও দলিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে প্রমাণিত, তাঁর কথা, কাজ ও সমর্থনকে হাদিস বা সুন্নাহ বলা হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) ২৩ বছরের নবুয়তি জীবনের প্রতিটি কথা ও কাজের মাধ্যমে কোরআনের ব্যাখ্যা করেছেন। সেগুলোই মূলত হাদিস বা সুন্নাহ। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে হাদিস ও সুন্নাহ মেনে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে এমন কয়েকটি আয়াত উল্লেখ করা হলো— 

আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ফায়সালা মেনে নিতে মুমিনরা বাধ্য : হাদিস হলো মহানবী (সা.)-এর ফায়সালা। আর মুমিনরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ফায়সালা মেনে চলতে বাধ্য। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কোনো বিষয়ে ফায়সালা করে দিলে কোনো মুমিন নর-নারীর জন্য সে বিষয়ে নিজস্ব কোনো ফায়সালা দেওয়ার এখতিয়ার নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্যতা করবে, সে ব্যক্তি স্পষ্ট ভ্রান্তিতে পতিত হবে।’  (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৩৬)

কথা ও কাজে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আগে বাড়া নিষিদ্ধ : হাদিস হলো নবীজির কথা। আর হাদিস না মানা নবীজির কথা থেকে নিজের কথা প্রাধান্য দেওয়ার নামান্তর। আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনরা! তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আগে বেড়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব কিছু শোনেন ও জানেন।’   (সুরা : হুজুরাত, আয়াত : ১)

নবীজির আনুগত্য যে করে না সে কাফির : হাদিস না মানা নবীজির আনুগত্য না করার সমতুল্য। আর যে নবীজির আনুগত্য করে না সে কাফির। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,  ‘তুমি বলো, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো। যদি তারা এতে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে (তারা জেনে রাখুক যে) আল্লাহ কাফিরদের ভালোবাসেন না।’  (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩২)

নবীজির আনুগত্য আল্লাহর আনুগত্যের  নামান্তর : হাদিসের অনুসরণ মানে নবীজির আনুগত্য। আর নবীজির আনুগত্য আল্লাহর আনুগত্যের নামান্তর। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি রাসুলের আনুগত্য করে, সে আল্লাহর আনুগত্য করে। আর যে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাদের ওপর আমি তোমাকে রক্ষক হিসেবে প্রেরণ করিনি।’  (সুরা : নিসা, আয়াত : ৮০)

নবীজির আনুগত্য না করলে বিবাদ দেখা দেবে : আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো। আপসে ঝগড়া কোরো না। তাহলে তোমরা হীনবল হয়ে যাবে এবং তোমাদের শক্তি উবে যাবে। তোমরা ধৈর্য ধারণ করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন।’  (সুরা : আনফাল, আয়াত : ৪৬)

নবীর বিরুদ্ধাচরণে আজাব আসবে : হাদিস না মানা মহানবী (সা.)-এর বিরুদ্ধাচরণের অন্তর্ভুক্ত। আর নবী (সা.)-এর বিরুদ্ধাচরণ করলে আল্লাহর আজাব আসবে। আল্লাহ বলেন, ‘রাসুলের প্রতি আহবানকে তোমরা পরস্পরের প্রতি আহবানের ন্যায় গণ্য কোরো না। আল্লাহ তাদের জানেন, যারা তোমাদের মধ্যে চুপিসারে চলে যায়। অতএব যারা তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সাবধান হোক যে ফিতনা তাদের গ্রাস করবে অথবা মর্মন্তুদ শাস্তি তাদের ওপর আপতিত হবে।’  (সুরা : নূর, আয়াত : ৬৩)

নবীজির আনুগত্য না করার পরিণাম জাহান্নাম : নবীজি (সা.)-এর আনুগত্য না করার পরিণাম জাহান্নাম। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্য করবে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার তলদেশ দিয়ে নদী প্রবাহিত হয়। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। আর এটাই হলো মহা সফলতা। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্যতা করবে এবং তাঁর সীমারেখা লঙ্ঘন করবে, তিনি তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে চিরদিন থাকবে। আর তার জন্য আছে অপমানজনক শাস্তি।’  (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৩-১৪)

নবীজির নিয়ে আসা বিধি-বিধান গ্রহণে কোরআনের নির্দেশ : মহান আল্লাহ বলেন, ‘...আর রাসুল তোমাদের যা দেন, তা গ্রহণ করো এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাকো। আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা।’  (সুরা : হাশর, আয়াত : ৭)

মুমিনদের জন্য নবীজির জীবনে আছে উত্তম আদর্শ : মহানবী (সা.)-এর নবুয়তি জীবনের কথা ও কাজের সমষ্টি হলো হাদিস। আর মুমিনদের জন্য মহানবী (সা.)-এর জীবনে আছে উত্তম আদর্শ। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুলের মধ্যে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ নিহিত আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিবসকে কামনা করে এবং বেশি বেশি আল্লাহকে স্মরণ করে তার জন্য।’  (সুরা : আহজাব, আয়াত : ২১)

মহানবী (সা.)-এর কথা-কাজ সব কিছু ওহি : মহানবী (সা.) নিজে থেকে কোনো কথা বলেননি, কোনো কাজ করেননি। যা বলেছেন, যা করেছেন সব কিছু মহান আল্লাহর হুকুমে। সুতরাং তাঁর আনুগত্য অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘তিনি [রাসুল (সা.)] নিজ খেয়ালখুশিমতো কোনো কথা বলেন না। এটি শুধু তা-ই, যা তাঁর কাছে ওহি হিসেবে পাঠানো হয়।’  (সুরা : নাজম, আয়াত : ৩-৪)

হাদিস হলো কোরআনের ব্যাখ্যা : মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে মহানবী (সা.)-কে কোরআনের ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি তাঁর গোটা জীবনে কোরআনের যা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা-ই মূলত হাদিস। মহান আল্লাহ বলেন, ‘আর আমি তোমার কাছে নাজিল করেছি কোরআন, যাতে তুমি মানুষকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে দাও, যা তাদের প্রতি নাজিল করা হয়েছে, যেন তারা চিন্তা-গবেষণা করে।’  (সুরা : নাহল, আয়াত : ৪৪)


আরও খবর



বিএনপি এখন শেষ হওয়ার পথে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | ৪০জন দেখেছেন

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২৮ তারিখ সরকার তো যায় যায়। শেষ হয়ে গেছে? শেষ হয়ে যাচ্ছে তারা। বিএনপি এখন শেষ হওয়ার পথে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে খুলনা সার্কিটহাউজ মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন শেষের পথে। ২৮ তারিখে মির্জা ফখরুল নয়াপল্টন থেকে দৌড়ে পালিয়েছে। তারা বেশি তর্জন গর্জন করতে গিয়ে নিজেদেরই পতন ডেকে যাচ্ছে। ঠিক কিনা বলেন? ইনশাআল্লাহ বিএনপির পতন অনিবার্য।

তিনি বলেন, তারা নাকি কী এক আরাফিকে ডেকেছে। এই আরাফি নাকি বিএনপির অবতার আর ভগবান। ভগবানকে ডেকে সরকারকে সেদিন হটাতে চেয়েছিল। পেরেছে? তাকে দিয়ে সরকার হটানো চক্রান্ত করেছে। সেই চক্রান্ত সফল হয়নি আল্লাহর রহমতে।

শেখ হাসিনার ওপর আল্লাহ’র আশীর্বাদ রয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখের বেটি শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। ইনশাআল্লাহ আগামী জানুয়ারিতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে বিজয়ী হব। শেখ হাসিনা আছেন, তিনি যতদিন আছেন, জনগণের সঙ্গে আছেন। আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।


আরও খবর

হঠাৎ ডিবি কার্যালয়ে শামীম ওসমান

বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩